User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগীতা বই:- হিটলার লেখক:- শেখর সেনগুপ্ত ঘরানা:- ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব প্রকাশনি:-:আসির্বাদ প্রকাশনি মূল্য:- ১৫০ টাকা মাত্র। রকমারি মূল্য:- ২১৩ টাকা। রেটিং:- ৪/৫ ইন নদীর কিনারায় জমাট অন্ধকার। ১৮৮৯ খ্রিঃ এমন এক বিষন্ন সন্ধ্যায় জন্মগ্রহণ করেন হের হিটলার। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গন্ডি পেরিয়ে যখন মাধ্যমিকে পদার্পণ করেন তখন তার বাবাকে হারান এবং ছাত্র জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটে। তারপর ঘরবাড়ি বিক্রি করে, ১৯০৫ সালে এক বিষন্ন সকালে হিটলার মায়ের হাত ধরে রাস্তায় নেমে আসে। নিজমনে তখনও স্বপ্ন বুনে চলেছেন হিটলার "সে শিল্পী হবে"। অবশেষে শেষ সম্বল মাকেও হারায় হিটলার। স্বপ্ন ভেঙ্গে যায় তার। হ্যানিচ নামের এক বালকের সাথে একটি ফ্লাট ভাড়া করে একসাথে বসবাস করেন। দুজনের মধ্যে খুব ভালো বন্ধুত্ব গড়ে উঠে। দুজনের চিন্তা ছিলো একটি "বাঁচতে হবে, পেট ভরে খাবার খেতে হবে"। রেলস্টেশন, ডক, ফুটপাত পথে পথে ঘুরে বেড়ায় দুজনে। টাকার বিনিময়ে মানুষের মালামাল পৌঁছে দেয় বিভিন্ন স্থানে। টাকার বিনিময়ে যে কোন সৎকাজ করতে প্রস্তুত দুই বন্ধু। যখন তাঁর পকেটে কয়েকটি ক্রাউন এসে জমা হতো সাথে সাথে হাজির হতেন নামি-দামী ক্যাফেতে, মুখরোচক খাবারের সাথে পেপারে মুখ গুজতেন। তাঁর অভ্যাস ছিলো সংবাদ পত্রের প্রতিটি সংবাদ খুব মনোযোগ দিয়ে পড়া এবং ঘন্টার পর ঘন্টা রাজনিতি নিয়ে তর্কে মেতে উঠা। হিটলার বলতেন, সংগ্রামই জীবন। এই সংগ্রাম ব্যতীত জীবনের স্রোত রুদ্ধ হয়ে পড়ে। এই সংগ্রামে তিনিই বরমাল্য পাবেন যিনি অপেক্ষাকৃত ক্ষমতা বান। ভিয়েনায় শত কষ্টের মাঝে দিন অতিবাহিত করে হিটলার এবং এখান থেকেই তাঁর প্রবল ইচ্ছা শক্তির সৃষ্টি হয়। যা পরবর্তিকালে তাকে ইতিহাসের নায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে। একটু সময় পেলেই পার্কে বা কোন সভার কোনে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন দলের নেতাদের বক্তৃতা শুনতেন। কিভাবে হাজার হাজার প্রাণী জ্বালাময়ী বক্তিতা শুনে। তখন থেকেই জ্বালাময়ী বক্তিতার কৌশল অবলম্বন করতে থাকেন তিনি। ১৯১৩ খ্রিঃ তিনি একেবারে ভিয়েনা ত্যাগ করেন। চব্বিশ বছরের খেয়ালি কিন্তু কঠিন যুবক। ঠিক কি কারনে ভিয়েনা ত্যাগ করলেন তা জানা যায় নি। তার চোখে মুখে ছিলো ব্যর্থতার তিক্ততা এবং হিংস্রতা।ভিয়েনা ছেড়ে মিউনিকে আস্তানা গাড়ে হিটলার। যে রাজনৈতিক কৌশল তিনি ভিয়েনাতে আয়ত্ব করেন তা দিয়েই মিউনিকে বাজিমাত করার চেষ্টা চালান। ১৯১৪ সালে জার্মানিতে যুদ্ধ আবশ্যক হয়ে পরে। জার্মানির প্রতিটি মানুষ যুদ্ধ প্রার্থনা করতে থাকে। মহাসমর ঘোষণা করা হয়। হিটলার এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে আগামী দুই বছরের জন্য সৌনিক হয়ে যায়। এবং প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহন করেন। হিটলার সহ জার্মান জাতীর সবার স্বপ্ন ভেঙ্গে গেলো। তারা প্রথম বিশ্ব যুদ্ধে হেরে গেলো। তাঁরা কল্পনাও করতে পারে নি পরাজয় এতো দ্রুত এবং মর্মান্তিক হয়ে উঠবে। যুদ্ধরত সৈনিকরা জানতেও পারে নি, তাদের সরকার পরাজয় স্বিকার করেছে। একের পর এক ব্যর্থতা আঘাট করে হিটলারের দূয়ারে। তাহলে কি করে হবেন তিনি ইতিহাসের নায়ক? কেনই বা তাকে পৃথিবী স্বরণ করবে চীরকাল? জানতে হলে পড়তে হবে হিটলারকে নিয়ে লেখা এই উপন্যাসটি। #পাঠ_প্রতিক্রিয়া:- হিটলারের আমার সংগ্রাম বইয়ের থেকে বেশি তথ্যে ভরপূর এই বইটি। একজন মানুষ যখন নিজের আত্নজীবনি লেখেন তখন নিজের সম্পর্কে রসিয়ে রসিয়ে অনেক কথাই বলেন। এটা ভেবেই আমি বইটি পড়েছি। চমৎকার করে সব বর্ননা করা আছে বইটিতে। এক কথায় অসাধারন একটি বই। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাছাড়াই অনেকে জীবনে উন্নতির চূর্নশিখরে পৌঁছেছেন। তাদের মধ্যে হিটলারের নাম সবার উপরে। সমস্যা শুধু আমাদের দেশে । আপনি কি পারেন বা জানেন সেটা বড় কথা নয়। দশগ্রাম ওজনের কাগজের টুকরা কয়টা আছে সেটাই বড় কথা আমাদের দেশে। তার পরেতো মামা-খালু লাগে চাকরির জন্য। হিটলার নামের এই বইটি ঐসকল মানুষকে কিছুটা হলেও অনূপ্রেরনা যোগাবেন যারা জীবনে তেমন বেশি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা লাভের সুযোগ পায় নি।