User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
#চন্দ্রনাথ_শরৎচনদ্র_চট্টপাধ্যায় - প্রধান চরিত্র (চন্দ্রনাথ ও সরযূ) পৃথিবীর বিচিত্র এই সকল নিয়মাবলির কাছে মানুষ সত্যি কি অসহায়? নাকি সকল কিছু বুঝিতে পারিয়াও চুপ করিয়া থাকাটা অভ্যাসে পরিনিত করিয়া লইয়াছে? কিছুদিন আগে একখানা কথা ভাবিয়া লিখিয়া রাখিয়াছিলাম। "পর কে আপন করিয়া লইয়া তাহারা নিকট হইতে যন্ত্রনা পাওয়া যে কত কষ্টের তা কেবল যে পাইয়াছে সেই বলিতে পারে"। কথাখানা যে এমন করিয়া মিলিয়া যাইবে বুঝিতে পারিনাই। এখন মুল কথায় আসি। শরৎচন্দ্রের যে কয়খানা বই পড়িয়াছি প্রত্যেকটি বইতে একটা বিষয় লক্ষ্য করিয়াছি তাহা হইলো জাত-কুল লইয়া আলোচনা। চন্দ্রনাথও তাহার বাহিরে নয়। ভালোবাসায় সিক্ত হইয়া যেই ফুলের মালা খানি গলে পড়িয়া লইয়াছিলো একদিন সেই ফুলের বাগানের সত্যতা জানিয়া ছুরিয়া ফেলিয়া দিতেও দিধাবোধ করে নাই,কিছুক্ষনের জন্য করিলেও সমাজ সেই ফুলকে আশ্রয় দেয়নাই। ইচ্ছা করিলেই সেই ফুল অন্যের গলার শোভা বর্ধন করিতে পারিতো কিন্তু কুড়ির কথা ভাবিয়া তাহা আর হইয়া উঠিলোনা। আশ্রয় হইয়াছিলো বাসি চুলাতে গিয়া কিন্তু সে ফুলের যত্নের ত্রুটি হয় নাই। অন্যদিকে যে ফুল খানা কুরাইয়া পাইয়া শেষ জীবনে সম্বল করিয়া লইয়াছিলো বিধি তাহাও হইতে দিলো না। বইটির বিংশ পরিচ্ছেদে গিয়া নয়নের অশ্রু আর ধরিয়া রাখা যায় না (আমার মত আবেগী যারা)। লেখকের সার্থকতা কোথায় ইহা আমি ভাবিতে চাহিনা কিন্তু একজন পাঠক হিসাবে বলিতে পারি কিছুক্ষনের জন্যে হইলেও এই সমাজ কে ত্যাগ করিয়া, ধর্মের বন্ধন হইতে মুক্ত হইয়া, নিজ ব্যক্তিত্ব কে বিসর্জন দিয়া ওই কোমল মধু মাখা ফুল আর কুরি খানি লইয়া গৃহত্যাগী হইতে সকলেরই বাসনা জাগিবে। বাকিটুকু বইখানা পড়িয়া বুঝিয়া লইবেন। নিজ মন্তব্যঃ বইখানা শেষ করিয়াও বুঝিতে পারিলাম না ইহা উপন্যাস কিনা। তবে ইহা নিশ্চই বুঝিয়াছি জাত-কুল, ধর্ম, সমাজ হইতে ভালোবাসা উৎকৃষ্ট। পৃথিবী এই সকল কলহ একমাত্র ভালোবাসা দারাই জয় করা সম্ভব। অন্যদিকে পরের ধন আপন ভাবিয়া বুকে টানিয়া লইলে তাহা একদিন হারাইতে হইবে। সেইদিন হয়তো ভালোবাসার দোহাই, মায়ার বন্ধন আরো শত চেষ্টা করিয়াও সে ধনের অংশিদার হওয়া যাইবেনা কারন ওই সম্পদে যে আমার কোন অধিকার নাই। কিন্তু তাই বলিয়া মুল্যবান বস্তুকে রাস্তায় ফেলিয়াও রাখা চলে না, যথাস্থানে স্থাপন করিতে হয় তাহা না হইলে ওই সম্পদের যে কলঙ্ক হয়। বিঃ দ্রঃ সকল বিষয় সমুহ রুপক ভাবে উপস্থাপন করিলাম। যাহারা বইখানা এখোনো পড়েন নাই তাহাদের প্রতি পড়িবার জন্য অনুরোধ রহিলো। ভুল-ভ্রান্তি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখিলে কৃতজ্ঞ থাকিবো।