User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
thanks
Was this review helpful to you?
or
চেনা নগরে অচিন সময় – এক ভ্রমণ, এক অনুভূতির দলিল! মহামারির সময় আমরা সবাই এক অচেনা বাস্তবতার মুখোমুখি হয়েছিলাম। সেই অস্থির সময়ে এক ভিন্নধর্মী ভ্রমণের অভিজ্ঞতা উঠে এসেছে সরোজ মেহেদীর নতুন বই "চেনা নগরে অচিন সময়"-এ। ভারতের চণ্ডীগড়ে লেখকের শিক্ষা ও জীবনযাত্রা, অতঃপর লকডাউনের জটিলতায় দেশে ফেরার সংগ্রাম—সবকিছুই উঠে এসেছে বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে। বইটি কেবল ভ্রমণকাহিনী নয়, বরং একটি সময়ের প্রতিচিত্র, যেখানে পথের সঙ্গী হয় অনিশ্চয়তা, ভয়, এবং নতুন করে জীবনকে দেখার উপলব্ধি। সরল কিন্তু গভীর ভাষাশৈলী, সময়ের নির্মম বাস্তবতা আর ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণের সংমিশ্রণে এই বইটি হয়ে উঠেছে ব্যতিক্রমী এক পাঠ্য। যারা ভ্রমণ, জীবনসংগ্রাম, এবং সময়ের পরিবর্তনের গল্প পছন্দ করেন, তাদের জন্য এটি অবশ্যপাঠ্য।
Was this review helpful to you?
or
কিছু বই আছে যেগুলো কখনো পুরান হয় না, তেমনি একটি বই হলো কথা সাহিত্যিক সরোজ মেহেদীর 'চেনা নগরে অচিন সময়ে' বইটি। বইটি আমি কিছুটা দেরিতে হাতে পেলেও বইয়ের লেখাগুলো পড়ে বুঝতে পারলাম এটা সব সময়ের পড়ার মতো বই। যেখানে বিভিন্ন বিষয়ের অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেছেন লেখক। যার মাধ্যমে আমরা নিজেরাও এই অভিজ্ঞতাগুলো নিজেদের কাজে লাগিয়ে সহজেই কোনো কাজে একধাপ এগিয়ে রাখতে পারব। যেহেতু বইটি একটি বিশেষ কালের কথা বলে সেটি হচ্ছে মহামারী কাল। সেই কালে ভিনদেশে থাকা, স্বদেশে আসবে বলে সীমান্ত পাড়ি দিতে গিয়ে কি সীমাহীন দুর্ভোগে পড়া আর চোখে দেখা নানা অসঙ্গতি তুলে ধরেছেন লেখক। এই বইয়ের পাতায় দ্রোহ আছে, ক্ষণে ক্ষণে বুক উচাটান করে বিদ্রোহ ঘোষণা করে। বইটি পড়ার পর আরেকটি বিশেষ মনে হলো পরবর্তী প্রজন্ম তো বুঝবে না মহামারী করোনার সময়ের কথা। তাঁদের জানার জন্য হলেও বইটি একটা 'মাস্টারপিস' হিসেবে ধরা দিবে।
Was this review helpful to you?
or
এই বইয়ে রয়েছে মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্কের বয়ান। মানুষের সহজাত বৈশিষ্ট্য ও স্ববিরোধী আচরণের ব্যবচ্ছেদ করেছেন তিনি। ইঙ্গিত রয়েছে ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কসূত্র নিয়ে; এসেছে দুই দেশের নানা অনিয়ম, অনাচার, দুর্নীতির প্রসঙ্গও। সেইসঙ্গে আলো ফেলেছেন আমাদের এই উপমহাদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্যের দিকে। প্রকাশ পেয়েছে দেশভাগের জন্য লেখকের গভীর দুঃখবোধ। পাশাপাশি, ভারতে থিতু হওয়ার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও মাটির টানে এদেশে থেকে যাওয়া দুলাল হালদারদের মতো মানুষগুলোর প্রতিও লেখকের পক্ষপাতিত্ব চোখে পড়ার মতো। লেখক সরোজ মেহেদীর ভাষাভঙ্গি টান টান। বক্তব্য ঝাঁঝালো। বাক্যের ধার সুতীক্ষ্ণ, যেন ফালা ফালা করে দিতে চায় সকল অনিয়ম, অসংগতিকে। প্রচলিত সমাজব্যবস্থা ও বিশ্বাসকে ব্যঙ্গ করতে ছাড়েন না তিনি। গল্পচ্ছলে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন প্রতিষ্ঠিত বহু মিথের দিকে। তার গল্পের পরতে পরতে অনায়াসে ঢুকে যায় তীর্যক বাক্যতির। কিন্তু এর গভীরে গোপনে লেপটে থাকে দেশের প্রতি অমোঘ টান, বাঙালি-জীবনের প্রতি মমত্ববোধ, দরিদ্র-অসহায় মানুষের জন্য সহমর্মিতা ও সমানুভূতি। বাক্যের উদ্দেশ্যকে জোরালোভাবে প্রতিষ্ঠা করতে তিনি আঞ্চলিক শব্দকে টেনে আনেন অনায়াসে। চলতি কথ্যরীতির শব্দ বসিয়ে দেন বাক্যের শরীরে। সেই শব্দটি ‘খাপছাড়া’ ভাবমূর্তি নিয়েও সগৌরবে নিজের অস্তিত্বকে জানান দেয়, বাক্যকে রসালো করে এবং একইসঙ্গে সমসাময়িকতারও প্রতিনিধিত্ব করে। আবার এক প্রসঙ্গে কথা বলতে বলতে কথার সূত্র ধরে ভিন্ন প্রসঙ্গে চলে গেলেও সেটির তাৎপর্য টের পাওয়া যায় আরো পরে। তার এই ‘ধান ভানতে শিবের গীত’ গাওয়ার কৌশলটি মনে ধরার মতো। কেননা, পাঠকের ধৈর্যচ্যুতি ঘটার পূর্বেই তিনি ফিরে আসেন মূল প্রসঙ্গে। এটা তার অন্যতম বৈশিষ্ট্য। এতে মূল প্রসঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয় না; বরং তার গায়ে প্রক্ষেপিত হয় যুক্তিগ্রাহ্য বহুবর্ণিল আলো। ফলে মূল প্রসঙ্গের ভিত আরো পাকাপোক্ত হয়। লেখকের রসবোধ প্রশ্নাতীত। তার গল্পের পরতে পরতে লেপটে থাকে রঙ্গ-ব্যঙ্গ ও কৌতুক। তবে রঙ্গরসের ফাঁক-ফোকরে উচিত কথাটি বলতে পিছপা হন না তিনি। ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য তাকে দ্রোহী করে তোলে। অসহায় মানুষের দুঃখ-দুর্দশা তার মনকে আর্দ্র করে। তিনি নিজেকেও তাদের একজন বলে মনে করেন। এই সংবেদনশীলতাই একজন লেখককে সৃজনকর্মে তাড়িত করে। আরেকটি প্রবণতা প্রসঙ্গে না বললেই নয়। তার লেখায় স্বগতোক্তির ভেতর ঢুকে যায় বিভিন্ন আপ্তবাক্য কিংবা ঘটনা বর্ণনায় প্রসঙ্গক্রমে চলে আসে প্রচলিত বিভিন্ন মিথ ও কিংবদন্তি- যা গল্পগুলোর মধ্যে রস ও শক্তি সঞ্চার করে। এটি পাঠকের আগ্রহকে উসকে দেয় এবং প্রলুব্ধ করে পাঠ এগিয়ে নিতে। এসব তার গল্প বলার ধরনের ভিন্নতা। এই প্রবণতা লেখকের স্বকীয় বৈশিষ্ট্যকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করে।
Was this review helpful to you?
or
এই বই বিশেষ একটি কালের কথা বলে মহামারি কাল। সেই কালে ভিনদেশে থাকা, স্বদেশে আসবে বলে সীমান্ত পাড়ি দিতে গিয়ে কি সীমাহীন দুর্ভোগে পড়া আর চোখে দেখা নানা অসঙ্গতি নিজস্ব বয়ান ও ভঙ্গীতে ধরা পড়ে পরতে পরতে। এই বই ইতিহাসের পাতায় করুণ ও ভয়ার্ত এক সময়ের সাক্ষ্য বহন করে। খুব সাহস করে প্রচলিত সমাজ ও বিশ্বাসকে ব্যঙ্গ করে। গল্পচ্ছলে চ্যালেঞ্জ জানায় প্রতিষ্ঠিত বহু মিথকে, আঙুল তুলতে অনুপ্রাণিত করে। এই বইয়ের পাতায় পাতায় দ্রোহ আছে, ক্ষণে ক্ষণে বুক উচাটন করে বিদ্রোহ ঘোষণা করে।এই বই বিশেষ একটি কালের কথা বলে মহামারি কাল। সেই কালে ভিনদেশে থাকা, স্বদেশে আসবে বলে সীমান্ত পাড়ি দিতে গিয়ে কি সীমাহীন দুর্ভোগে পড়া আর চোখে দেখা নানা অসঙ্গতি নিজস্ব বয়ান ও ভঙ্গীতে ধরা পড়ে পরতে পরতে। এই বই ইতিহাসের পাতায় করুণ ও ভয়ার্ত এক সময়ের সাক্ষ্য বহন করে। খুব সাহস করে প্রচলিত সমাজ ও বিশ্বাসকে ব্যঙ্গ করে। গল্পচ্ছলে চ্যালেঞ্জ জানায় প্রতিষ্ঠিত বহু মিথকে, আঙুল তুলতে অনুপ্রাণিত করে। এই বইয়ের পাতায় পাতায় দ্রোহ আছে, ক্ষণে ক্ষণে বুক উচাটন করে বিদ্রোহ ঘোষণা করে। ('চেনা নগরে অচিন সময়ে' থেকে)
Was this review helpful to you?
or
করোনার সময়ের অ্যাডভেঞ্চার। কোয়ারেন্টিনের ১৪ দিন নিয়ে লেখাগুলো বেশি ভালো ছিল।
Was this review helpful to you?
or
"কলম হেলে পড়েনি" গোত্রহীন তরুণ লেখকের নিরপেক্ষ বয়ান 'চেনা নগরে অচিন সময়ে' বইটি। বাংলাদেশের লেখালেখির জগত যারপরনাই মতাদর্শভিত্তিক ও পক্ষপাতদুষ্ট। এইজন্যই গণমানুষের কবি, সাহিত্যিক লেখক নাই। সবই রাজনৈতিক ও ধর্মীয় গোষ্টীর হেজিমনি তৈরির মেশিন। এই সব মেশিনের মেকানিজমে গণমানুষের সমস্যা বৃদ্ধি পেয়েছে বহুগণ। এই প্রথম সরোজ মেহেদী 'চেনা নগরে অচিন সময়ে' বইতে গণমানুষের সমস্যাকে প্রকৃত ভাবে চিহ্নিত করেছেন। তার কিছু নমুনা দিচ্ছি বই থেকে। ইসলামিক গোষ্ঠী মাজারকে বিলিন করে দিতে চায়। কারন মাজার প্রকৃত ইসলামের সাথে যায় না৷ শিরকের কারখানা। কিন্তু মাজার বহু নিরন্ন মানুষের এক বেলার অন্ন যোগায়৷ অনেকের মাথা গোজার ঠাই হয়। লেখকের বক্তব্য এখানে, তুমি মাজার বন্ধ করতে চাও কিন্তু এর চেয়ে উত্তম বিকল্প কোথায়? হিন্দু মুসলিম দ্বন্দ্ব উপমহাদেশে চিরকালীন সমস্যা। এই সমস্যা যতটা না ধর্মীয় তার চেয়ে অনেক বেশি রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক। লেখন মনে করেন, বাংলাদেশ ভারত দুই দেশেই সংখ্যালঘুরা ভোটের রাজনীতিতে খেলার গুটি। বাংলাদেশে হিন্দুদের সাথে সাধারণ মুসলিমদের কোন সমস্যা নাই।আরো চমকপ্রদ তথ্য হলো, ক্ষমতাবান হিন্দুরা সাধারণ হিন্দুদের সমস্যা জিইয়ে রাখে। সমস্যা শেষ মানে ইনকাম বন্ধ। ভারতে বিজিপির রাজনৈতিক কৌশল মুসলিম বিরোধিতা। এই বিরোধিতা সংখাগুরুর সমর্থন আদায়। তাই সরোজ মনে করেন, সংখ্যাগুরুর মনোরঞ্জন বড় নির্মম। এই রাজনৈতিক কারনে ধর্ম ভালোবাসার বাহন হতে পারেনি। একজন যুবক প্রাকৃতিক মহামারী করোনাকে মোকাবেলা করছে পদে পদে মানুষরুপী করোনার সাথে লড়াই করে। বিচিত্র সব চরিত্রে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে মানুষরুপী করুনার রুপ। একটা প্রিন্ট আউট ২০০ টাকা দিয়ে করতে হয়। বাবার কেরামতিতে মুহূর্তে করোনার সার্টিফিকেট তৈরি হয়। এইসব দেখে সরোজের মনে হয়েছে, মানুষ বিপন্ন প্রাণী। এই বিপন্ন প্রাণীকে টিকিয়ে রাখতে বিশেষ প্রকল্প দরকার। বিশেষ যত্ন দরকার। কতো প্রকল্প এই দেশে হয় অথচ সবার আগ মানুষ রক্ষার প্রকল্প দরকার! *এই দেশে কোন বুদ্ধিজীবী নাই। বুদ্ধিজীবী প্রসঙ্গে বলেন, এ এক অদ্ভুত তেলের উপর ভাসছে স্বদেশ৷ *শিক্ষিত চোর ছাড়া সবাই এই দেশে টানাপোড়েনে থাকে। *ধর্মহোক ভালোবাসার বাহন *বৈশ্বিক কোন স্বীকৃতির আশায় থাকি না আর দেশীয়গুলোতে অরুচি, অনীহা। গন্তব্য অজানা৷ এমন সব দারুণ বক্তব্য আছে বইতে। আসলেই সরোজের গন্তব্য অজানা। এই বই প্রকাশের পর কোন পক্ষই তাকে নিজেদের লোক মনে করবে না এই চ্যালেঞ্চ ধরে রাখতে পারলে গণমানুষের কন্ঠস্বর হয়ে উঠবে। তার জীবন এই বইয়ের শেষ লাইনের মতো হবে, আমি তোমাদের লোক ছিলাম । কেবল তোমাদের ভালোবেসে ছিলাম।
Was this review helpful to you?
or
ঝরঝরে লিখনীতে প্রাণবন্ত এক ভ্রমণগদ্য। ৫০ বছর পর কোভিড-১৯ ওই প্রজন্মের কাছে অজানা এক ইতিহাস হয়ে যাবে। তখন এই মহামারিকালে মানুষ কী অভাবনীয় পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গেছে তা কেউ জানতে চাইলে পড়তে পারবে এই বই। শুধু কোভিড পরিস্থিতিই নয়, এই সময়ের মানুষের মনস্তত্ত্ব, সমাজ, রাজনীতি, বিশ্ব প্রেক্ষাপটও বইয়ে লেখকের বয়ানে উঠে এসেছে। সে হিসেবে বলা যায়, অর্ধশতাব্দী পর এই সমাজ কেমন ছিল তা বুঝতে চাইলেও বইটি আয়না হয়ে কাজ করবে। চিরাচরিত ভ্রমণকাহিনীর বাইরে সম্পূর্ণ ভিন্নধারার এ বই যে কাউকে আঁকড়ে রাখবে শেষ না করা পর্যন্ত। শুভকামনা বইটির জন্য।