User login

Sing In with your email

Email Address
Password
Forgot Password?

Not Account Yet? Create Your Free Account

Send

Recipients:
Message:

Share to your friends

Copy link:

    Our Price:

    Regular Price:

    Shipping:Tk. 50

    • Size:
    • Color:
    QTY:

    প্রিয় ,

    সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
    মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?

    Please Login to Continue!

    Our User Product Reviews

    Share your query and ideas with us!

    Customer Reviews

      By সাকিব আহমেদ

      18 Mar 2025 12:33 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      আসে প্রেমিকার রূপ নিয়ে। জ্বালিয়ে পুড়িয়ে সব ছারখার করে দেয়। মনের দহনে যে লাভার উদগীরণ হয়, সেই লাভা ছড়িয়ে পড়ে চারিদিকে। প্রেম তো মিলে না। স্বাধীনতা মিলবে কি? যেই মাতৃভূমিকে ভালোবেসে অস্ত্র তুলে ধরা, যেই মাতৃভূমির জন্য নিজের জীবনকে উৎসর্গ করা; সেই ভূস্বর্গ, অপরূপ রূপের লাবণ্য মাখা কাশ্মীর কি স্বাধীন হবে? কে জানে! ভবিষ্যতের কথা কেই-বা বলতে পারে। আমাদের অপেক্ষা করে যাওয়া ছাড়া উপায় নেই। কাশ্মীর! পৃথিবীর বেহেশত! এমন নৈসর্গিক রূপ খুব কমই দেখা মেলে। প্রাকৃতিক রূপের সাথে এক আধ্যাত্মিক শক্তি এখানে মিলেমিশে একাকার হয়ে। সেই কাশ্মীর ছিল নির্ঝঞ্ঝাট। স্বাধীনতায় বিশ্বাসী এক ভূখণ্ড। কিন্তু কাশ্মীরি মানুষদের সুখে শান্তিতে থাকা হলো না। যে-ই শাসক হয়ে এসেছে, সে-ই শোষণের যাঁতাকলে পিষে মেরেছে। এমন এক সমাজে পিতামাতাকে হারিয়ে এতিম হয়ে পড়ে মরিয়ম নামের মেয়েটি। যার যাওয়ার জায়গা নেই। খালার আশ্রয়ে দিনযাপন করতে অসহায় মেয়েটা যখন আসে, তখন পরিবারের সবার উষ্ণ অভ্যর্থনা মেয়েটির হৃদয় গলাতে ব্যর্থ হয়। সদ্য মা-বাবাকে হারানো কিশোরীর মনে কী বয়ে যেতে পারে, সেটা বুঝতে কষ্ট হওয়ার কথা না। সময়ের সাথে সাথে সব পরিবর্তন হয়ে যায়। খালা নাজনীন ও খালু ফয়জুল্লাহর স্নেহে নতুন পরিচয়ে বাঁচতে শেখে মরিয়ম। খালাতো বোন নূরজাহান যেন আরেক সখী। খালাতো ভাই আদনান ভরসার আবরণ। সময় সেখানে ভালোবাসার মায়ায় জড়িয়ে নেবে। আরেক খালাতো ভাই রায়হান এখানে গলার কাঁটা হয়ে বিঁধে। এভাবেই কাটে সময়। একটি পরিবারের হাসি আনন্দের মাঝে সময়টা বয়ে চললেও দিনে দিনে উত্তাল হতে থাকে কাশ্মীরের আবহাওয়া। কাশ্মীরের মানুষেরা স্বাধীনতা চায়। নিজের মতো করে বাঁচতে চায়। ভারতের আগ্রাসন থেকে মুক্ত চায়। চোখের সামনে কালো পট্টি বেঁধে সেই সুযোগ দেওয়ার নামে এক প্রহসন নির্বাচনের আয়োজন করে ভারতীয় সরকার। যুগে যুগে প্রতিটি স্বৈরাচার একই রূপে আবির্ভূত হয়। প্রতিবাদ দমনে অস্ত্র গর্জে ওঠে। নির্বাচনের নামে নিজ দলকে জেতানোর চেষ্টায় কারচুপি চলে। কিন্তু অন্যায় কেন মানতে হবে? প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে কাশ্মীর উপত্যকা। জনগণ হয়ে ওঠে ভয়ডরহীন। স্বৈরাচারের অস্ত্রের মুখেও ভয় পায় না কেউ। স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয় রাজপথ। এমন এক দিনে মিছিলে গুলি চলে। আদনান হারিয়ে ফেলে প্রেয়সী মরিয়মকে। এই রক্তাক্ত জনপদে একবার যে হারিয়ে যায়, তাকে কি খুঁজে পাওয়া যায়? এরপর থেকে বদলে যায় শান্তিকামী কাশ্মীরিদের ভবিষ্যত। আতঙ্কে উৎকণ্ঠায় দিন কাটে। কখন জানি মিলিটারি এসে আবার ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। রাস্তায় পেলেই ধরে নিয়ে যায়। নববধূর সম্ভ্রমহানি হয়। বোনের দিকে ভাই তাকাতে পারে না। তখন মনে হয় যুদ্ধই যেন নিয়তি। বোনের এই পরিণতির শাস্তি দিতে না পারলে ভাই হিসেবে অকর্মণ্য মনে হবে। আদনান তাই মেনে নেয় ভাগ্যকে। যুদ্ধের নেশায় সীমান্ত পেরিয়ে আসে। প্রশিক্ষণে হাত পাকিয়ে বিজয়ের স্বপ্ন দেখে। আরো স্পষ্ট করে বললে এ নেশা রক্তের নেশা। যাদের জন্য মরিয়মকে সে হারিয়েছে, বোন নূরজাহান সম্ভ্রম হারিয়েছে; তারা এই পৃথিবীতে বাঁচার অধিকারও হারিয়েছে। ওদের শাস্তি পেতেই হবে। যুদ্ধ যখন কাঁধে চেপে বসে তখন নির্ভার হওয়ার সুযোগ নেই। কখন যে সুযোগ আসে সফল হওয়ার কে জানে! কখনও সফলতাও বিফলে পতিত হয়। তাই চোখকান খোলা রেখে চলতে হয়। ক্ষুদ্র সময়ের জন্য মনোযোগ হারালে এর মাশুল দিতে হয় বড় করে। হয়তো নিজের জীবন দিয়ে। “আজাদির সন্তান” বইটি এমন এক স্বাধীনতাকামী মানুষদের নিয়ে লেখা, যারা হয়তো স্বাধীনতার স্বাদ পায় না। শোষণের যাঁতাকলে পিষে সেই স্বাদটুকু হারিয়ে যায়। বইটি ভালো লেগেছে মূলত দুইটি কারণে। প্রথম কারণ, এই বইটির ভাষাশৈলী। কী দুর্দান্ত লেখা। ভাষার কারুকাজ, গল্প বলার ধরন, প্রকৃতি ও পরিবেশকে উপজীব্য করে জীবনের সাথে মিলে যাওয়া উপমার ব্যবহার, মেদহীন বর্ণনা, এক বাক্যে অনেক কিছু বুঝিয়ে দেওয়া কিংবা অনুভব করার মতো বিষয় বইটিকে প্রাণবন্ত করেছে। আর দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে, এক অদ্ভুত সুন্দর কাশ্মীরকে লেখক বইটিতে তুলে ধরেছেন। কাশ্মীরের সৌন্দর্যের কাছে সবকিছু যেন অম্লান। লেখকের লেখাতে সেই কাশ্মীর উঠে এসেছে, যে কাশ্মীর একেক সময় একেক রূপে আবির্ভূত হয়। তুষারাবৃত কাশ্মীরের সৌন্দর্য অন্যরকম। আবার শীত পেরিয়ে যখন কাশ্মীর নতুন ঋতুতে প্রবেশ করে, ধরা দেয় অন্যরূপে। কাশ্মীরের সৌন্দর্যের যে মায়াময় অবয়ব চিত্রিত হয়েছে লেখকের লেখায়, তা অনন্য। সেই ভূস্বর্গের ঐতিহ্যের দিকেও লেখক আলোকপাত করেছেন। বাহারি খাবারের বর্ণনায় জিহ্বায় জল আসে। রমজান, ইদ কিংবা বিয়ের মতো আয়োজনে যে আমেজ থাকে, তা-ও যেন জীবন্ত হয়ে উঠেছিল। রূপে-গুণে, আয়োজনে যে কাশ্মীর সবার পরম আরাধ্য; গল্পের ছলে, কথার জাদুতে তাকেই সবার সামনে তুলে আনার অনন্য প্রয়াস লেখকের। বইটির আরো গুরুত্বপুর্ণ বিষয় হচ্ছে, ইতিহাস। উপন্যাস কখনও ইতিহাসের দলিল হতে পারে না। তবুও ইতিহাসের গাঁথুনির উপর ভিত্তি করে যে উপন্যাস রচিত, কিছুটা হলেও আমলে নিতে হয়। অন্তত বইটির প্রতিটি বাঁকে বাঁকে কাশ্মীরিদের যে রোমহর্ষক জীবনের বর্ণনা রয়েছে, তা পাঠককে কাশ্মীর সম্পর্কে জানতে উদ্বুদ্ধ করবে। তবে যে প্রক্রিয়ায় বইয়ে ইতিহাসে প্রবেশ, ঠিক পছন্দ হয়নি। কিছু কিছু অংশে মনে হয়েছিল ননফিকশন ইতিহাসের বই পড়ছি। বিশেষ করে সংলাপের মাধ্যমে পরিবারের সবাইকে ইতিহাস জ্ঞান বিতরণ করা আরেকটু সংলাপসুলভ হতে পারত। এখানে যুদ্ধের বিষয়টাও গুরুত্বপুর্ণ। পড়তে পড়তে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের কথা স্মরণে আসে। হয়তো এভাবেই সব রচনা হয়েছিল। এভাবেই অত্যাচারিত হয়েছে সাধারণ মানুষ। মিলিটারি হায়েনাদের হিংস্রতায় গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া, নারীদের সম্ভ্রম নষ্ট করার পৈশাচিক রূপ কিংবা মুক্তিফৌজের সদস্যদের পরিবারের উপর অকথ্য নির্যাতন যেন একাত্তরের বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি। সেখানেও স্বাধীনতাকামী মানুষের মাঝে বসবাস করে স্বাধীনতাবিরোধীর জন্ম হয়েছিল। একই বৃন্তে দুটি ফুল হলেও একই রকম রূপ সবার হয় না। আজাদকামী মানুষের প্রতি সাধারণ মানুষের ভালোবাসা, মায়া-মমতা, ভাতৃত্বের বন্ধন যে রূপরেখা গঠন করে, এর সাথে কোনো কিছুর তুলনা হয়। অস্ত্রই কেবল যুদ্ধের মাধ্যম নয়। অনেক কিছুর মধ্য দিয়েই যুদ্ধ রচনা করা যায়। এখানে সবাই সহযোদ্ধা। কেউ অস্ত্র হাতে নিয়ে, কেউ সাহায্য করে কিংবা গ্রাফিতি অংকনের মধ্য দিয়েও এই যুদ্ধে শামিল হয় কেউ কেউ। এখানে ভারতীয় সরকার, তাদের মিলিটারি ও তাদের মিডিয়ার ভূমিকা অনস্বীকার্য। আমরা বর্তমান সময় অবশ্যই দেখতে পাই, ভারতীয় মিডিয়া কী করে গুজবের পাঠ পড়িয়ে সবাই বিভ্রান্ত করে। যা ঘটেই না, তাকে রটনা বানিয়ে বড় করে উপস্থাপন করে। মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় সংখ্যালঘুদের প্রতি যাদের সম্প্রতি, মমতা, উৎকণ্ঠা যেভাবে পরিলক্ষিত হয়; তাদের নিজ ভূখণ্ডে অন্য ধর্মের অনুসারী অত্যাচারিত হলে সেই বিষয়ে নীরবতা দ্বিমুখী নীতি ছাড়া কিছুই না। ভারত এই দ্বিমুখী নীতির রূপরেখা প্রতিটি ক্ষেত্রে উপস্থাপন করে চলেছে। নিজেদের সুবিধা সবাই দেখে। ভারত যেখানে কাশ্মীর শাসন করতে চায়, পাকিস্তানের ইচ্ছাটাও অমূলক নয়। যেখানে কাশ্মীরের জনতা চায় স্বাধীনতা। সেই স্বাধীনতা দিতে অপারগ সাহায্যকারীও। ফলে স্বার্থে আঘাত লাগলে মুখোশের আড়ালে থাকা রূপটাও বেরিয়ে আসে। “আজাদির সন্তান” বইটা আবেগের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। ক্ষণে ক্ষণে বিষন্ন হয়ে যায় মন, আবার অন্যরকম ভালো লাগায় ছেয়ে যায়। পুরো বই জুড়ে এমন অনুভূতি অনুভূত হয়েছিল। এখানে লেখকের স্বার্থকতা বিরাজমান। গল্পের গাঁথুনি কিংবা স্রোতে সকল উপাদান তিনি দিয়েছিলেন। যেখানে ভালোবাসা ছিল, অভিমান ছিল, হাসি ছিল, বেদনা ছিল, মমতা ছিল, ঈর্ষা ছিল, বিশ্বাসঘাতকতা ছিল। শেষটা কেমন যেন মিশ্র অনুভূতি দিয়ে গিয়েছে। কিছু পূর্ণতা অপূর্ণতার পরেই পাওয়া যায়। কিন্তু সে পূর্ণতা ধরা যায় না, ছোঁয়া যায় না। হয়তো জীবনের এই গল্পে অপূর্ণতাই শ্রেয়। প্রোডাকশন কোয়ালিটি নিয়ে যদি বলতে হয়, তবে এই বইয়ে ছাপার ভুল বা বানান ভুল একদমই চোখে পড়েনি। এই বিষয়টা ভালো লেগেছে। তবে বাঁধাই একটু শক্ত মনে হলো। ২৭৫ পৃষ্ঠার বইও খুলে পড়তে অসুবিধা হয়েছে। যদি খুব কাছে থেকে দেখা হয়, প্রচ্ছদ ঘটনাবহুল বইটির প্রতিচ্ছবি হিসেবে ধরা দিবে। পরিশেষে, এই গল্প আদনানের পরিবারের রূপে পুরো কাশ্মীরি জীবনের। হয়তো এভাবে কাশ্মীরের প্রতিটি পরিবার জীবন অতিবাহিত করে। কোনো পরিবারের মেয়ের সম্ভ্রম নষ্ট হয়েছে, কেউ হারিয়ে গিয়েছে, কেউ না কেউ যুদ্ধে গিয়েছে। অত্যাচার নেমে এসেছে বৃদ্ধ বাবা-মায়ের উপর। তবুও আজাদির স্বপ্ন পিছু ছাড়ে না। আল্লাহর নামে, জন্মভূমির জন্য যখন কেউ নিজেকে উৎসর্গ করার শপথ করে; পিছনের কোনো বন্ধন মায়ার বাঁধনে বাঁধতে পারে না। ◾বই : আজাদির সন্তান ◾লেখক : সাব্বির জাদিদ ◾প্রকাশনী : ঐতিহ্য ◾ব্যক্তিগত রেটিং : ৪.৫/৫

      By Abu Sad Ahmad

      22 Aug 2024 03:13 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      "কাশ্মীর পৃথিবীর এমন ভূস্বর্গ, যেখানে চোখ মেললে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সাথে অনিবার্যভাবে ধাতব মেশিনগানও দেখা যায়।" ( আজাদীর সন্তান ) সাব্বির জাদিদ, একজন উদীয়মান কথাসাহিত্যিক। তার লেখার সাথে আমার প্রথম পরিচয় “পিতামহ” উপন্যাসের মাধ্যমে। পিতামহ পড়ার পর থেকেই লেখকের লেখনীর ভক্ত হয়ে যায়। তার বর্ণনা শৈলী যে কাউকে আকৃষ্ট করতে সক্ষম। আরও পড়েছি “গোত্রহীনের ইতিকথা” । এবারের বইমেলায় প্রকাশিত “আজাদির সন্তান” কয়েকদিন আগে শেষ করলাম। কাশ্মীর, পৃথিবীর ভূস্বর্গ, সবচেয়ে সুন্দর দেশ। এই সুন্দরকেই দখলে নিতে সাম্রাজ্যবাদীদের শত বছরের শকুনীয় থাবায় বিপর্যস্ত এই ভূমি, সাথে রয়েছে মুসলিম প্রধান জনপদ হবার গৌরব ও পরীক্ষা। দুটিকেই লালন করে যাচ্ছে এ ভুমির মানুষেরা। আজাদির সন্তানে মুলত এই জনপদেরই চিত্র অঙ্কন করা হয়েছে। উপন্যাসের মূল চরিত্র আদনান ফাইয়াজ, পেহেল্গাম জেলার গুরিহাকা গ্রামে বাবা-মা, ভাই-বোনকে নিয়ে যার বেড়ে উঠা। সবসময় তার চিন্তায় পেরেসানরত কৈশোরের সঙ্গী মারিয়ামকে নিয়ে স্বপ্ন বুনেছিল একটি সুখী পরিবারের। কিন্তু, সাম্রাজ্যবাদী হায়েনার হিংস্র থাবা ছিন্নভিন্ন করেছিল স্বাধীন ভূমির স্বপ্নে বিভোর একজনের সতীত্ব ও আরেকজনের পুরুষত্বকে। একমাত্র আদরের ছোট বোন নূরজাহানের জীবনকে পরিণত করেছিল জীবন্ত নরকে। আর, গোরখোদক গুলজার চাচা, এক সময় লাশের অভাবে বসে বসে দিন গুজরান করত যে, নিজের নাতিকে নিয়ে কবর খনন করতে করতে হাপিয়ে উঠেছিলেন লাশের আধিক্যে। চিরচেনা আদনানদের আপেল বাগানও, যেখানে এক গরিব কিশোরীর মৃত্যুপথযাত্রী দাদীর আপেল খাওয়ার ইচ্ছাপূরণকে কেন্দ্র করে মারামারি করেছিল ফয়জুল্লাহর দুই ছেলে, সাক্ষী হয়েছিল এই সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনের। পরিশেষে, একটি বুকখোলা কবরের দিকে সদ্য মা হওয়া মারিয়ামের অস্রুসিক্ত নয়নে চেয়ে থাকা উদাস দৃষ্টি, যার সমাধিলিপির ধুলো প্রিয়জনের কপালের ঘাম মুছবার মতো যত্ন নিয়ে ওড়না দিয়ে প্রত্যহ মুছে দেয় ও। আর, সমাধিলিপির ধুলো সরে যেতেই চকচক করে উঠে পাথরখোদিত এক বিহ্বল বাক্য : “ এই কবরটি আদনানের জন্য অপেক্ষা করছে ”। আহ! একজন গেরিলা যোদ্ধার প্রাণহীন নিথর দেহকেও ভয় পেয়েছিল মানুষরূপী ওই হায়েনারা। আজাদির সন্তান মুলত এমনই এক ভাগ্যাহত জনপদের উপাখ্যান। প্রেম-বিরহ, ইতিহাস, রাজনীতি, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও কাশ্মিরের মানুষের জীবন-চিত্রের দারুণ সমন্বয় ঘটেছে বইটিতে। বইটি পড়ুন, এই দুঃখী জনপদের উপাখ্যান আপনার হৃদয়কে অবশ্যই ভারাক্রান্ত করবে।

      By Nadiuzzaman Khan Rizvi

      15 Feb 2024 07:47 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      অসাধারণ

      By Ask Shuvo

      27 Feb 2024 02:51 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      লেখকের শক্তিশালী লেখনী চুম্বকের মত আকর্ষণ করবে পাঠককে।এক বসায় শেষ করার মতন সাহিত্যিক রস আছে এই উপন্যাসে।কাশ্মীরের ভূপ্রকৃতি, সেখানকার মানুষের জীবনবোধ,পারিবারিক ভালোবাসা-দ্বন্দ,রাজনৈতিক অস্থিরতা, আযাদীর জন্য আবাল-বৃদ্ধ-ভণিতার সংগ্রামের এক অনন্যসাধারণ উপ্যাখ্যান।

    •  

    Recently Viewed


    Great offers, Direct to your inbox and stay one step ahead.
    • You can pay using


    JOIN US

    icon Download App

    Rokomari.com is now one of the leading e-commerce organizations in Bangladesh. It is indeed the biggest online bookshop or bookstore in Bangladesh that helps you save time and money. You can buy books online with a few clicks or a convenient phone call. With breathtaking discounts and offers you can buy anything from Bangla Upannash or English story books to academic, research or competitive exam books. Superfast cash on delivery service brings the products at your doorstep. Our customer support, return and replacement policies will surely add extra confidence in your online shopping experience. Happy Shopping with Rokomari.com!