User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
মুসা গালিব। সৈকত আজিমের প্রথম বই। প্রথম বই হিসেবে লেখাটা যথেষ্ট ভালো। কিন্তু মাঝে মাঝে লেখক মুসা গালিবের অবজারভেশনের উদারণ দিয়েছেন যেখানে একটু বেশি বর্ণনা করেছেন বলে মনে হয়েছে।
Was this review helpful to you?
or
এভারেজ ছিল। কিন্তু অনেক জায়গায় লেখক শুধু নিজের পাণ্ডিত্য জাহির করার চেষ্টা করায় বিরক্ত লেগেছে।
Was this review helpful to you?
or
. ◼️ফ্ল্যাপ থেকেঃ মুসা গালিব একজন প্রখর প্রজ্ঞাবান মানুষ। একজন মুসলিম ডিটেকটিভ। সাইকোলজি লোকটার এত প্রিয় যে গভীরভাবে তা কাজে লাগান। কেউ যখন তার সামনে আসে-তিনি সেই মানুষটিকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেন। হাত নাড়ানো থেকে শুরু করে, কথা বলার ধরন, চোখের পলক, হাঁটার ধরন, তাকানোর অঙ্গভঙ্গি-সকল কিছু। যেহেতু তার সাইকোলজিতে ডিগ্রি আছে, ক্রিমিনাল ল নিয়েও পড়াশোনা করেছেন-তাই তিনি সাইকোলোজিস্ট হিসেবে কাউন্সিলিংও করেন। কখনও দেখা যায় তিনি ডিটেকটিভ হিসেবে তদন্ত করছেন, আবার কখনও দেখা যায় কাউন্সিলিং করতে বসে গেছেন। কখনও রাগী, কখনও-বা পাগলাটে। খুশি হলে শিশুদের চিৎকার দিয়ে উঠেন। মানুষের পাশাপাশি তিনি পশু-পাখিকেও অবজারভেশন করেন। মুসা গালিব একাকী সময় বাঁশি বাজাতে পছন্দ করেন। তার বাঁশির মধ্যে রুপার একটি ময়ূরের পালক আছে। মুসা গালিবের সমস্যা সমাধান করার টেকনিক সম্পূর্ণ আলাদা। মুসা গালিব একটি চরিত্র যার এক্সিস্টেন্স হবে তার পাঠক। ◼️লেখক পরিচিতি: লেখক মোঃ সৈকত আজিম নব্বইয়ের দশকে জন্ম গ্রহণ করেন। ছোট বেলা থেকে তার বেড়ে উঠা পুরান ঢাকা আজিমপুরে। বর্তমানে তিনি একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করছেন। লেখক হিসেবে “মুসা গালিব”-ই তার প্রথম বই। এর আগে তিনি বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় আর্টিকেল লেখা থেকে শুরু করে বিষয় ভিত্তিক লেখা এবং বিভিন্ন গ্রুপ ম্যাগাজিন ও ওয়েবসাইটে লিখতেন। ◼️ পাঠসজ্জা: আশি পৃষ্ঠার বইটিতে রয়েছে চারটি গল্প। গল্পের শিরোনাম গুলোও বেশ আকর্ষণীয়। গল্পগুলো হলো- ▪️দ্য কেস অব রেড ফ্ল্যাশ...... ▪️দ্য কেস অব কিডন্যাপিং...... ▪️জার্নি অব থট...... ▪️ দ্য স্টাডি অব ফিউচার...... ◼️ পাঠ্যানুভূতি: ▪️ দ্য কেস অব রেড ফ্ল্যাশ: গল্পটা ভালো লেগেছে। বেশ ইনফরমেটিভ। তবে মেয়েটার হুট করে এসে এভাবে হুড়মুড় করে সবকিছু বলে ফেলাটা একটু কেমন লাগলো। খাপছাড়া টাইপ আর কি। প্রথম সাক্ষাতে দরজায় দাড়িয়ে ঠিকানা, পরিচয় টুকটাক দেওয়া স্বাভাবিক তবে বয়সের মতো ইনফরমেশনও হুড়মুড় করে বলে দেওয়া, এগুলো একটু এলোমেলো লেগেছে। ▪️দ্য কেস অব কিডন্যাপিং: এই গল্পটা ইন্টারেস্টিং লাগলো। গল্পের মাধ্যমে অজানা কিছু বিষয়, কিছু বিস্ময়কর তথ্য জানতে পারলাম। ▪️জার্নি অব থটস: নাস্তিকের সাথে কথোপকথন, এবং কাউন্সেলিং নিয়ে মূলত গল্পটা। ভালো লেগেছে। যুক্তিগুলোও ভালো লেগেছে। ▪️দ্য স্টাবি অব ফিউচার: ভবিষ্যদ্বাণী করা এক ১৭ বছর বয়সী যুবককে নিয়ে গল্পটা। পথ হারাতে বসা ছেলেটা পথ খুঁজে পায় মুসা গালিবের মাধ্যমে। ৪টা গল্প পড়েছি। গল্পগুলোর মাঝে উঠে এসেছে বর্তমান দুনিয়ার পর্দার আড়ালে থাকা নানান বিষয়। গল্প হলেও কিছু বিষয় সত্য, যার প্রভাবে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয় সবজায়গায়। রূপক অর্থে অনেককিছুই লেখা হয়েছে। একটু চিন্তা করলেই বোঝা যাবে সত্যটা। লেখকের প্রথম বই হিসেবে বেশ ভালোই বলা চলে। ◼️ প্রিয় কিছু লাইন: “ ধর্মীয় প্রার্থনা মানুষের মনকে শীতল করে দেয়। যাদের মন খারাপ হয়, যারা নিজেদের কথাগুলো বলার মতো মানুষ পায় না -তারা মোনাজাত দীর্ঘ করলে, মোনাজাতে আল্লাহর কাছে সব কথা বললে, মানসিক উন্নতি হয়।" ◼️প্রকাশনার প্রতি: টাইপ ইরোর বিরক্তিকর একটি বিষয়। বইটিতে অনেক জায়গায় টাইপ ইরোর রয়েছে। প্রকাশনার প্রতি আমার অনুরোধ, প্রকাশনী যেন এগুলোর প্রতি আরেকটু সতর্ক দৃষ্টি দেয়। . ◼️এক নজরে বইটি: বই: মুসা গালিব- মিস্টার অবজারভার লেখক: মো. সৈকত আজিম পৃষ্ঠা সংখ্যা: ৮০ প্রকাশনায়: প্রিমিয়াম পাবলিকেশন রেটিং:৪.৫/৫ প্রথম প্রকাশ: ২০২৪ ©️ Review by Fahmida Afrin
Was this review helpful to you?
or
মোঃ সৈকত আজিম কে আমি পারসনালি খুব ভালো ভাবে চিনি। সে বইটি লিখার পরে আমাকে এক কপি দিয়েছেন, কিন্তু ফ্রী জিনিশ পাইলে সবাই যা করে আরকি বই টা নিয়া বাসায় ফেলে রাখছিলাম। পরে একদিন সে আমাককে জিজ্ঞেস করল যে ভাই বই টা কেমন ছিল? তখন তো আমি উত্তর দিতে পারি নাই কারন বইটা ফেলে রাখছিলাম। পরবর্তীতে সে আমার কাছ থেকে জোর করে বই এর টাকা নিল, তখন বইটা পড়লাম। পরে বুঝলাম যে সে আসলেই খুব ভালো বই লিখেছেন, এবং তার লিখা দেখে আমি মুগ্ধ। দোয়া করি সে আরো বই লেখুক আর সামনে এগিয়ে যাক। আর আমার টাকা টা আমাকে ফেরত দিক। ঃ০)
Was this review helpful to you?
or
মুছে গালিব বইটি সত্যি খুবই দারুণ একটা বই। এই বইটির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আপনার অনেক কিছু শেখার আছে এবং আপনি অনেক কিছু শিখতে পারবেন।যদি বইটি ভালো করে পড়েন।
Was this review helpful to you?
or
আসাধারণ একটা বই, আমার কাছে মন সংক্রান্ত তিনটি বই আছে তার মধ্যে মুসা গালিব আন্যতম।তিনটি বইয়ের ছবি নিচে দেওয়া হলো,এই বইগুলো রকমারি থেকে কেনা।
Was this review helpful to you?
or
বাংলা ভাষায় এই প্রথম ডিডাকশন নিয়ে কোনো গোয়েন্দা বই বের হলো। বইটি এক কথায় অসাধারণ। এই বইটি একদিন কালজয়ী হবে আশা করি।
Was this review helpful to you?
or
আমি কিছু দিন আগে বইটি কিনেছিলাম, অনেক ভালো লাগলো, কোয়ালিটি খুব ভালো, ধন্যবাদ
Was this review helpful to you?
or
Book is hardcover. And all is well.
Was this review helpful to you?
or
ভবিষ্যতে মুসা গালিব নিয়ে আরো কিছু লেখেন প্লিজ ??
Was this review helpful to you?
or
প্রিমিয়াম পাবলিকেশন এর পাঠকদের জন্য এটি নতুন রেসিপি ছিলো।চমৎকার উপভোগ্য সাইকোলজিক্যাল, থ্রিলার জনরা।বাংলায় ভাষায়, বাঙালি লেখক এমন চমৎকার কিছু উপহার দিবে ভাবিনি।?
Was this review helpful to you?
or
কোনো মানুষ কে দেখে তার ব্যাক্তিত্ব, আচার-আচরণ, বলে দেওয়া সম্ভব, বই টি পাঠকের হৃদয় স্পর্শ করে নেওয়া মতো
Was this review helpful to you?
or
বই টি সুন্দর
Was this review helpful to you?
or
চারটি গল্পের সমন্বয়ে মুসা গালিব বইটি।যা পাঠককে বিকর্ষণ নয় বরং আকর্ষণ করবে।
Was this review helpful to you?
or
love this book❤️ অনেক সুন্দর বইটা
Was this review helpful to you?
or
মুসা গালিব মিস্টার অবজারভার মোঃ সৈকত আজিম চমৎকার চারটি গল্পের সমন্বয়ে Premium Publications এর মুসা গালিব বইটি সাজানো।যা পাঠকের মনকে তৃপ্তি করে। মানুষ সম্পর্কে জানতে গেলে আগে মানুষ হতে হবে। যে মানুষ সম্পর্কে জানতে চান- সেই মানুষটাকে নিজের মধ্যে ধারণ করতে হয়। মানুষটার জায়গায় নিজেকে বসাতে হয়।
Was this review helpful to you?
or
best book .
Was this review helpful to you?
or
বইটি চমৎকার, সকলে পড়ার জন্য অনুরোধ রইল।
Was this review helpful to you?
or
অবজারভারমূলক বই হিসেবে ভালোই লেগেছে
Was this review helpful to you?
or
আমার বিশ্বাস বইটি একদিন বাংলাদেশে ঘরে ঘরে পৌছে যাবে
Was this review helpful to you?
or
What a Great Book!!! এই বইটা অন্যান্য ভাষায় অ অনুবাদ করা উচিৎ । আমার বিশ্বাস এই বইটা কমপক্ষে ইংলিশ এ অনুবাদ করলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও নাম উঠে আসতে পারে।
Was this review helpful to you?
or
বইটা থেকে অনেক কিছু শিখতে পেরেছি
Was this review helpful to you?
or
বইটি অনেক সুন্দর।বইটি পড়ে আমি একজন মানুষকে আগের থেকেও ভালোভাবে চিনতে শিখেছি। বইটার প্রতিটা বর্ণ আমাকে আরো নতুনভাবে ভাবতে শেখায়
Was this review helpful to you?
or
অনেক সুন্দর একটি বই
Was this review helpful to you?
or
যারা ডিটেকটিভ আর সাইকোলজি পছন্দ করে নিঃসন্দেহ তারা বইটি সংগ্রহ করতে পারেন। আমার দেখা বেস্ট একটা বই মুসা গালিব। ব্যক্তিগত রেটিং: ৫/৫
Was this review helpful to you?
or
বইটার উৎসর্গ টা বেশ ভালো লেগেছে মাশাআল্লাহ। তার সাথে বইটাও। অসাধারণ সুন্দর ছিলো। আমার মনে হয় বইটা সবারই পড়া উচিৎ। অন্তত পক্ষে যারা সত্যিকার অর্থে কোন ভালো বই পড়তে চায় তারা এই বইটা পড়তে পারে
Was this review helpful to you?
or
বইটা সুন্দর ❤️?❤️?
Was this review helpful to you?
or
মাশাআল্লাহ অসাধারণ একটি বই। যারা আমার মতো এ্যাডভেঞ্জার লাভার তালা পড়তে পারেন। লেখক সাহেব খুব সুন্দর ভাবে বইটিতে উপস্থাপনা করেছেন। লেখকের আগামী দিনের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা।
Was this review helpful to you?
or
ফ্যান ফিকশন হিসেবে বইটা দারুণ!
Was this review helpful to you?
or
❤️?
Was this review helpful to you?
or
গল্পগুলো অনেক সুন্দর।
Was this review helpful to you?
or
বইটা অনেক ভালো, যারা ডিটেকটিভপ্রিয় তাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে।
Was this review helpful to you?
or
বই পড়ে শেষ করলাম এইমাত্র। তাই এখন রিভিউ দিতে এসেছি। প্রথমেই বলে রাখি যে একটা ভালো বই লেখা কী পরিমাণ কঠিন তা যে লেখে সেই জানে। আমি শখের বশে লিখতে বসেছিলাম কিন্তু একটা শব্দও মাথায় আসেনি, সেই জায়গায় মোঃ সৈকত আজিম স্যার এইরকম বই লিখেছেন ..। রিভিউ- আমার কাছে বইয়ের যে কাহিনী গুলো আছে তা ভালো লেগেছে। কিন্তু এই বই পড়ার সময় আমার শুধু একটা চরিত্রের কথা মনে পড়তেছিল,তা হলো মিসির আলি।বলতে গেলে দুই চরিত্রের মধ্যে খুবই মিল। তারপর এইসব গোয়েন্দা বইগুলোর চরিত্র/ক্যারেক্টার বাস্তবতার সাথে মিল থাকলে পড়ে ভালো লাগে, নিজেকে ওই ক্যারেক্টারের সাথে রিলেট করা যায়। কিন্তু এইখানে মুসা গালিব কোনো একটা ক্লু দেখেই তার নাড়ী নক্ষত্র বলে দেন। এই জিনিসটা কেমন যেন অবাস্তবতা তৈরি করেছে। আর লেখক চাইলেই বইয়ের গল্পগুলো আরও ইন্টারেস্টিং করতে পারতো। কিন্তু বই পড়ে মনে হলো এখানে প্রত্যেকটি গল্পের মূলভাব বলেছেন আর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গল্প শেষ পারেন। এখানে মুসা গালিব কীভাবে প্রমাণ সংগ্রহ করেছেন তা অতি সংক্ষেপে বলেছেন। রেটিং:- ২.৫/৫
Was this review helpful to you?
or
The best book that I have seen in Bengali thriller or detective book.
Was this review helpful to you?
or
অনেক সুন্দর লিখেছেন লেখক,,
Was this review helpful to you?
or
মুসা গালিবের সাথে দেখা করার অপেক্ষায় আছি। ভালো একটি বই
Was this review helpful to you?
or
এই তেতাল্লিশ বছরে বয়সে এই রকম বই আর পড়া হয়নি। অন্তত বাংলা ভাষায় পড়িনি। লেখকের সাথে দেখা করার খুব ইচ্ছে আছে। যদি।কোনো।দিন সুযোগ হয় অবশ্যই দেখা করব।
Was this review helpful to you?
or
প্রিয় বইয়ের তালিকায় রেখে দিয়েছি,নেক্সট বইটা তাড়াতাড়ি নিয়ে আসুন,অপেক্ষায় আছি।
Was this review helpful to you?
or
ভালো লেগেছে বইটা পড়ে।
Was this review helpful to you?
or
বইটা সুন্দর!
Was this review helpful to you?
or
বুক রিভিউ বই: মূসা গালিব মিস্টার অবজারভার ছোট বেলা থেকেই আমার গোয়েন্দা গল্পের প্রতি বিশেষ আকর্ষণ। অনেক গুলো গোয়েন্দা গল্প পড়েছি ইতোমধ্যে। কিছু দিন সাড়া জাগানো বই 'মূসা গালিব মিস্টার অবজারভার ' পড়ে ফেললাম। বইটি এতোটাই টানছিলো যে পরীক্ষার পড়া বাদ দিয়ে এক বসাতেই শেষ করেছি। উক্ত লেখকের কোনো বই এর আগে পড়িনি আমি। তাই বইটি কেনার সময় ভাবছিলাম কেমন যে হয়! কিন্তু আমার সন্দেহকে দূর করে আমাকে জাস্ট অবাক করে দিয়েছে বইটি। আমার পড়া বেস্ট বইয়ের তালিকাতে উক্ত বইটি প্রথম সারিতে স্থান পেয়েছে। উক্ত লেখকের পরবর্তী বইয়ের জন্য অধির আগ্রহ নিয়ে বসে আছি। আমার অনুভুতি টুকু ঠিকমতো সাজিয়ে লিখতে পারলাম না, কিন্তু বলতে পারতাম সুন্দর করে। পার্সোনাল রেটিং : ১০/১০ (অনেস্টলি) ~সুমাইয়া আক্তার মুমু
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটা বই?
Was this review helpful to you?
or
#বই_রিভিউ বই - মুসা গালিব মিস্টার অবজারভার লেখক- সৈকত আজিম( শার্লক হোমস) প্রকাশনী- প্রিমিয়াম প্রকাশনী প্রকাশক- জিয়াউল হক নিয়াজ। খারাপ দিক: মুসা গালিব বইটি অর্ডার করার চারদিন পর হাতে এসেছিল। বইটির প্রথম পেজ ছেড়া ছিল। বইটির উপরের অবস্থা একেবারে দুমড়েমুচড়ে গিয়েছে। বিস্তারিত: বই রিভিউ লেখায় আমি অভ্যস্থ নই। কিন্তু "মুসা গালিব মিস্টার অবজারভার"পড়ার পর মনে হলো নাহ- এবার একটু রিভিউ এ ঝুঁকা যাক। আমি এই পর্যন্ত ৪০০ এর অধিক থ্রিলার /ডিটেকটিভ ফিকশন টাইপ বই পড়েছি। মুসা গালিব মিস্টার অবজারভার বই পড়ার আগে ভেবেছিলাম বইটি হয়তো নকল-সকল হবে। নতুবা ধর্ম ব্যবসায়ীদের মত করে - ধর্মের নামে ব্যবসা করবে। কিন্তু বইটি পড়ে অবাক না হয়ে পারলাম না। এই বই কেন আগে পড়লাম না! প্রত্যেকটি গল্প,প্লট,ডিডাকশন, যুক্তি, ইন্টিটিউশন, পিক পয়েন্ট,ফিলোসোফি, মাস্টার্স লেভেলের এ্যনালেটিক্যাল পয়েন্টগুলো অনেক সুন্দরভাবে মুসা গালিবের চরিত্রের সাথে মিশে গেছে। ছোট্ট একটি বই অথচ এর মধ্যে সেকুলারিজম, স্যোসিওলিজম,নাস্তিকতা,আস্তিকতা বিষয়গুলো নিরপেক্ষভাবে প্রেজেন্ট করা হয়েছে। যা সত্যিকারের একজন ডিটেকটিভের সাথে মিলে যায়। যারা নতুন তারা এই বই দিয়ে পড়া শুরু করতে পারেন৷ রিডিং ব্লক থাকবে না আশা করি। পুরো বইয়ে চার টা খন্ড গল্প রয়েছে। "মুসা গালিব মিস্টার অবজারভার" নামের সঙ্গে পুরো বইয়ের প্যাটার্ন এ মিল পাবেন হরদম। আমি যদি বলি- লেখক তার সাইকোলজিক্যাল অবজারভেশনের দক্ষতা গুলো খুব দক্ষ ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন তাহলে হয়তো ভুল হবে না। বাংলা ভাষায় এমন চরিত্র দ্বিতীয়টি নেই। এই কথা বলার কারণ ডিডাকশন নিয়ে এখন পর্যন্ত বাংলা ভাষায় কোনো বই পাইনি। যদি আপনাদের কারো জানা থাকে তবে দেখাতে পারেন!!! আমি অবশ্য পাইনি! শুধু এ বিষয় টা না- লেখক তার গুণাবলি গুলো,মুসা গালিবের মাধ্যমে গল্পে ফুটিয়ে তুলেছেন, বলে আমার মনে হয়। এজ এ রিডার- আপনি বইটা হাতে নেয়ার পর মনে হবে- এটায় এক অদ্ভুত জাদু রয়েছে, প্রত্যেক টা শব্দে,প্রত্যেক টা বাক্যে,প্রত্যেক টা যুক্তি আপনাকে টানবে মাস্ট। আপনি যত পড়বেন তত ভাবতে বাধ্য হবেন। অমনোযোগী হয়ে পড়ার সুযোগ নেই কেননা একটা শব্দ ছুটে গেলে আরেকটা শব্দ বুঝতে অসুবিধা হবে। মাঝেমধ্যে অনেক রকম প্রশ্ন জাগবে--! যেমন :- ১- আমি কে? কি আমার পরিচয় ? যার উত্তর বইয়ে দেয়া আছে। ২- মুসা গালিব কিভাবে চিন্তা করে? ৩- একটি বইয়ে চার রকমের লেখা। দ্যা কেস অব কিডনাপিং গল্পের লেখাগুলো হুমায়ুন আহম্মেদ স্যারের স্টাইলে লেখা হয়েছে। ৪- কষ্টে আছেন, হতাশা লাগছে, ভেঙ্গে গিয়েছেন ভিতর থেকে? তাহলে মুসা গালিব আপনাকে দেখাবে কিভাবে সেখান থেকে বের হতে হয়। #নির্দেশনা : বইয়ের কিছু জায়গা বানানে ত্রুটি দেখতে পেলাম যা সম্পদকের দেখা উচিৎ ছিল। আমি খুব করে চেয়েছিলাম শার্লক হোমসের মত বিশাল মাপের একটি গোয়েন্দা চরিত্র বাংলা সাহিত্যে আসুক। হয়তো মুসা গালিবের হাত ধরে সেই জিনিসটি কিছুটা হলেও পুরণ হবে ইনশাআল্লাহ। এই প্রথম রিভিউ লিখলাম, কেমন হয়েছি জানিনা।
Was this review helpful to you?
or
#বই_রিভিউ বই: মুসা গালিব মিস্টার অবজার্ভ লেখক: মোঃ সৈকত আজিম প্রকাশনি:প্রিমিয়াম প্রকাশনি জনরা:ডিটেকটিভ / সাইকোলজি পৃষ্ঠা :৮০ পৃষ্ঠা মুদ্রিত মূল্য :২০০ টাকা * দ্যা কেস অব রেড ফ্ল্যাস কথাবলার স্ট্যাইল বা হাতের লেখা দেখেই যে বলতে পারে আপনার সম্পর্কেআপনার বাড়ি কোথায় আপনার পেশা কী কিংবা এই পেশায় কেনো আসলেন তাহলে কেমন হবে ? একটা গাড়ীর টায়ার, সামান্য আংটি বা খুঁটিতে লেগে থাকা র,ক্তের মাধ্যমে অপরাধীকে সনাক্ত কীভাবে করলো ? *দ্য কেস অব কিডন্যাপিং সামান্য গালি শুনেই আপনার সম্পর্কে কীভাবে সব বলে দিলো ? সামান্য প্রফাইল পিক দেখেই আপনার কিডন্যপিং কেস কীভাবে সলভ্ করলো ? বা আপনার পছন্দ অপছন্দ সম্পর্কে কীভাবে সব বলল ? *জার্নি অব থট আপনার স্বপ্ন শুনেই তার কেমন ব্যাখ্যা দিলো ? আচ্ছা চিত্রলেখার সমস্যা কী সমাধান হয়েছিলো ? *দ্য স্টার্ডি অব ফিউচার একজন মানুষ কীভাবে ভবিষ্যৎ বানী করতে পারে ? মানুষের জন্মগত ইন্টেলিজেন্স কয়টি? বুঝবে কীভাবে তার ইন্টেলিজেন্স কোনটি? ## বইটা কেনো পড়বে : ছোট একটা ক্লু দিয়ে কতো কিছু চিন্তা করা যায় বা হতে পারে এই সম্পর্কে জানতে বা বুঝতে বইটা পড়তে পাড়েন। এই সমস্ত প্রশ্নের জবাব দিবে মুসা গালিব। এই প্রশ্নগুলোর উত্তর জানতে হইলে পড়ে ফেলুন মুসা গলিব মিস্টার অবজার্ভার বইটা। [ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইলো। আমার লেখা প্রথম বুক রিভিউ।ধন্যবাদ। ]
Was this review helpful to you?
or
মোটামুটি ভালো
Was this review helpful to you?
or
মূসা গালিব বইটি আসলেই চমৎকার একটি বই।লেখক তার সুন্দর লেখনী ফুটিয়ে তুলেছেন এই বইয়ের মাধ্যমে। বইটি পড়ে আমার অনেক ভালো লাগলো।
Was this review helpful to you?
or
অসম্ভব দারুণ ছিলো। এখানে আমি মুসা গালিবের নয় লেখকের অবজারভেশনের প্রশংসা করছি। যেটা লেখক তার কলমের মাধ্যমে কাগজে ফুটিয়ে তুলেছেন। অনেক অনেক ভালোবাসা আর শুভকামনা লেখকের জন্য। মুসা গালিবের পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
Was this review helpful to you?
or
এতটা অবাক আর মুগ্ধ আমি কখনোই কোন বই পড়ে হইনি, এত নিখুঁতভাবে রহস্য উন্মোচন করা, সকল তদন্ত করে সমাধান করা, এ বই থেকে অনেক কিছু সম্বন্ধে জানতে পেরেছি, এখন এই বই পড়ার পর কেমন যেন আশেপাশের মানুষকে অবজার্ভ করা শুরু করে দেই। সত্যি বইটা অনেক দারুন অন্তত একবার হলেও সবার এই বইটা পড়া উচিত।
Was this review helpful to you?
or
To further explain how people’s attitudes can become so polarized, Md Saikat Azim walk readers through the effects of these mental patterns on people in various real-life cases and controversies. With its many compelling links to real-life events, this book is the perfect read for psychology and advocate readers alike. musa ghalib's logics are look like advocate sometimes its going to psychologist,sometimes detective...
Was this review helpful to you?
or
Musa Ghalib Mister observer is the bengalies only deduction observer type detective. Money and prestige don't interest him, simply the chance to flex his intellectual muscles and practise his unique method of deduction are enough. Following him through a series of problems, you are able to watch a great mind at work and delve into the criminal world of Bangladesh. I loved the Musa Ghalib' books and really enjoyed following the various mysteries that Bisshonath and Musa Ghalib dealt with through the years. I fancy myself better at reaching the correct conclusion than Mr. Bisshonath is, although I am nowhere near as observant as Musa Ghalib. However, I would have liked to know more about what went on between Musa Ghalib and Md Saikat Azim writes that they were sparring and the problems faced had been numerous and difficult, but doesn't go into details. I would recommend his books to anyone who enjoys mystery and adventure and any budding sleuths. thank you............ but i have seen a similarities with musha ghalib and Sherlock Holmes...
Was this review helpful to you?
or
চমৎকার লেখনীতে ফুটে উঠেছে মুসা গালিব
Was this review helpful to you?
or
ডিটেকটিভ বই হিসেবে দারণ! ✨
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটা গল্প ছিলো❤
Was this review helpful to you?
or
বইটা পড়ার অনেক ইচ্ছে আছে,সংগ্রহ করে পড়বো ইনশাআল্লাহ ?
Was this review helpful to you?
or
কাউন্সিলিং আর ডিটেকটিভ জনরার চমৎকার একটা বই
Was this review helpful to you?
or
পড়তে শুরু করলে মুসা গালিব হওয়ার ইচ্ছা না করে থাকতে পারবেন না,,এমন একটা বই
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের গল্পটির স্ট্রাকচার ভীষণ সুন্দর, পরবর্তী পার্টের জন্য অপেক্ষায় আছি
Was this review helpful to you?
or
অনেক সুন্দর একটা বই।
Was this review helpful to you?
or
বই - মুসা গালিব মিস্টার অবজারভার লেখক- সৈকত আজিম( শার্লক হোমস) প্রকাশনী- প্রিমিয়াম প্রকাশনী প্রকাশক- জিয়াউল হক নিয়াজ। ---------------------------------------------------- বই রিভিউ লেখায় আমি অভ্যস্থ নই।যে বই আমার ভালো লাগে সে বইয়ে সংক্ষিপ্ত নোট লিখে রাখি ব্যাস। বাট "মুসা গালিব মিস্টার অবজারভার"পড়ার পর মনে হলো নাহ- এবার একটু রিভিউ এ ঝুঁকা যাক। সো - প্রথমেই বলবো উৎসর্গ নিয়ে! প্রথম এ অংশটুকুতে আপনি আটকাবেন, মুগ্ধ হবেন এবং দু'মিনিট নিস্তব্ধ হয়ে কিছু হলেও ভাববেন,কনফার্ম। পুরো বইয়ে চার টা খন্ড গল্প রয়েছে। অবশ্যই গল্প গুলোর নাম বলবো না- কেননা ইট’স নট গুড। "মুসা গালিব মিস্টার অবজারভার" নামের সঙ্গে পুরো বইয়ের প্যাটার্ন এ মিল পাবেন হরদম। আমি যদি বলি- লেখক তার সাইকোলজিক্যাল অবজারভেশনের দক্ষতা গুলো খুব দক্ষ ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন তাহলে হয়তো ভুল হবে না। শুধু এ বিষয় টা না- লেখক তার গুণাবলি গুলো,মুসা গালিবের মাধ্যমে গল্পে ফুটিয়ে তুলেছেন,অবজারর্ভ করলে তা অনুমেয়। এজ এ রিডার- আপনি বইটা হাতে নেয়ার পর মনে হবে- এটায় এক অদ্ভুত জাদু রয়েছে, প্রত্যেক টা শব্দে,প্রত্যেক টা বাক্যে,প্রত্যেক টা যুক্তির পেছনে। আপনি যত পড়বেন তত ভাবতে বাধ্য হবেন। অমনোযোগী হয়ে পড়ার সুযোগ নেই কেননা একটা শব্দ ছুটে গেলে আরেকটা শব্দ বুঝতে অসুবিধা হবে। মাঝেমধ্যে মনে হরেক রকম প্রশ্ন জাগবে--! যেমন আমার মনে হলো- ১- সবুজ শাড়ি কেন? ২- লেখক কেন বিয়ে করবেন না? ৩- একজনের দুই চরিত্র ফুটিয়ে তোলা এত সহজ কেন? ৪- হোয়াই ইউ আর সো ইন্টেলিজেন্ট? ৫-মুসা গালিবের নিজস্ব ভাষার মতো আমার নিজস্ব ভাষা থাকলে মন্দ কি? ৬-প্রত্যেক টা কথা বাস্তবিক কেন? ৭- রাফি........? থমকেছি,থেমেছি,কেননা বাধ্য হয়েছি।প্রথমত নিজের নাম টা আচমকা মিলা পাওয়ায়, দ্বিতীয়ত- থাক বলবো না। রাফি- দ্যা স্টাডি অফ ফিউচার।টিচার- I asked, will be my teacher? ওকে,,আরো অসংখ্য প্রশ্ন- অসংখ্য..! আপনাকে বলবো না আপনি এ বইটা পড়ুন কিন্তু না পড়লে অবশ্যই কিছু না কিছু মিস করবেন। এবার ভিন্ন কিছু বলি--! নাম অনুযায়ী কেবল অবজারভেশন এর দিকটায় না ঝুঁকে ভিন্ন কিছু এড করলে আরেকটু রসালো হতো। যেমন টা- মানুষ যত পায় তত চায় তেমন টা আরকি। মুসা গালিব বেশি কথা বলেন গল্পে কিন্তু বাস্তবিকে স্বল্পভাষী নয়তো স্বল্পভাষী হওয়ার অভিনেতা। বেশি কথা বলেন - বললাম, কারণ- একটা প্রশ্নের উত্তরে ওনি অনেক গুলো উত্তর দিয়েছেন। কিন্তু আকর্ষণ কম হয় নি।আপনি একবার বই হাতে নিলে চুম্বকের মতো টানবে মাস্ট। এবার বলি টেন আউট টেন এ কতো দিবো? সেক্ষেত্রে আমি মুসা গালিব কেই অনুসরণ করে- টেন আউট সেভেন দিবো। তিন- কম কেন? এটা ভাববেন না- লেখা বা বইয়ের কোন খুঁতের জন্য। ওই যে বললাম মুসা গালিব'কে অনুসরণ করবো সেজন্য। টেন আউট টেন পেয়ে গেলে পরবর্তী বইয়ে হান্ড্রেড আসবে না হয়তো, সেজন্য। কিন্তু পরবর্তী বই তো আমাদের আরোও বেটার চাই। বিকজ মন তো লোভী অভিয়েসলী। সো - পাঠক! মুসা গালিব অবশ্যই আপনার সান্নিধ্যে নিয়ে আসার চেষ্টা করবেন। এন্ড হ্যাঁ মুসা গালিব মিস্টার অবজারভার - ওরফে শার্লক হোমস..... আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ,প্রেম প্রথা হীন এমন নিরবিচ্ছিন্ন সুন্দর এবং অনবদ্য একটা বই আমাদের উপহার দেয়ার জন্য। ।রাফিয়া রাফি। ১০-০৬-২০২৪
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটি ডিটেকডিভ গল্প আমাদের উপহার দিয়েছেন সৈকত আজিম ভাইয়া । তার পরবর্তী পার্টের অপেক্ষায় আছি।
Was this review helpful to you?
or
মুসা গালিব মিস্টার অবজারভার লেখক--মোঃ সৈকত আজিম প্রথম প্রকাশ--ফেব্রুয়ারি বই মেলা ২০২৪ প্রকাশনী--প্রিমিয়াম পাবলিকেশন্স বইটা হাতে পাওয়ার পর যখন উৎসর্গ অংশটুকু পড়ছিলাম, থমকে গেলাম আমার পছন্দের ব্যাক্তিত্ব ইয়াহিয়া সিনোয়ার এর নাম টা দেখে! অসাধারণ উপস্থাপন ছিলো এই অংশটুকু। লেখক মোঃ সৈকত আজিমের সৃষ্ট চরিত্র মুসা গালিব,যিনি একজন সেল্ফ অবজারভার, ইনভেস্টিগেটিভ সাইকোলজিস্ট, যার নামানুসারেই বইটির নাম "মুসা গালিব মিস্টার অবজারভার"। শুরুতেই বলি আতিক সাহেব (বিশ্বনাথ বাবু) এর কথা,,, উনি কলকাতার মানুষ।কিন্তু পরিচয় গোপন করে যখন বাসা খুজছিলেন তখন মুসা গালিবের বাসায় যান।তখন উনার পরিচয়টা মুসা গালিব যেভাবে তুলে ধরলেন বিশ্বনাথ বাবু তো পুরোই অবাক,সাথে পাঠক হিসেবে আমি তো আছিই!! বইটা কিন্তু বিশ্বনাথবাবুর জবানিতেই লেখা। এই বিশ্বনাথ বাবুর ভাগ্যটা অনেক ভালো,মুসা গালিবের মতো বন্ধু পেয়েছেন। জারিনের বাবার মৃত্যুর সাথে জড়িত থাকাদের খুজে বের করা,,পান্ডুকে তার পরিবারে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য মুসা গালিব যেভাবে চিন্তা ভাবনা করেছেন,,খুব কম মানুষই এরকম ভাবে চিন্তা ভাবনা করেন।এটাই তো স্বাভাবিক কারণ সবাই তো আর মুসা গালিব নয়-তবে চেষ্টা করলে মুসা গালিবের মতো হওয়া যাবে না যে তাও কিন্তু নয়! আর "জার্ণি অব থট" এর কথা কি বলবো,,একটা মানুষকে দেখেই তার সম্পর্কে সবকিছু বলে দেওয়া,,কি ভাবছে তাও বলে দেওয়া! চিত্রলেখার সাথে নিজেরও কিছু মিল পেয়েছি,,এতে তো পুরো বইটা পড়ার আগ্রহ আরো কয়েকগুন বেড়ে গিয়েছিলো। নাস্তিক ছেলে নিখিল যখন বলেছিলো-"স্যার আমি খুব শিঘ্রই ধর্মের পথে ফিরে আসবো,আমার ফিরে আসা হবে আপনার জন্য সারপ্রাইজ! " এই লাইনটা পড়ে বসে বসে ভাবছি- মুসা গালিব তো তাকে জোরজবরদস্তি করে কিছু বলেন নি,কতটা সুন্দর করে বুঝানোর কারনে ছেলেটি এই কথা বলতে পারলো! আরেকজন হচ্ছে রাফি! যে কিনা ভবিষ্যৎবাণী করে দেয়।মুসা গালিব তার শিক্ষক ছিলেন,উনিই রাফিকে গাইড দিয়েছিলেন। রাফির ভবিষ্যৎবাণী দেখে ভালোই লাগতেছিলো,কিন্তু মন খারাপ হয়ে গেলো যখন রাফির বাবা মাকে মুসা গালিব বললেন-"ব্যাপার না,এইটাই তার শেষ ভবিষ্যৎবাণী আর পারবে না।" গল্পগুলোর বিশ্লেষণ আর নাই দেই,তাহলে পাঠকদের জন্য বইটা পড়ার মজাই থাকবে না! এবার বলি মুসা গালিবের কয়েকটা উক্তি,যেগুলো আমার কাছে অসম্ভব ভালো লেগেছে। ✪ "মানুষ সম্পর্কে জানতে গেলে, আগে মানুষ হতে হয়।" ✪ "জীবন যুদ্ধে জড়িয়ে যাওয়া ছেলেটাকে সুযোগ তৈরি করে দাও। তাদের পথ দেখিয়ে দাও। একবার সন্ধান মিলে গেলে - তারাই হয়ে উঠবে আদর্শ।" ✪ "মানুষ নিজের লক্ষ্য, চিন্তা যত বেশি মনের মধ্যে পুষে রাখতে পারে- ততই ভালো। কাউকে পরিচয় দেওয়ার জন্য আমি পড়াশোনা করিনি। নিজের কাছে নিজের পরিচয় তুলে ধরার জন্য পড়াশোনা করেছি।" পড়াশোনা নিয়ে ডিপ্রেশনে পড়ে গেলে এই লাইনটুকু মনে করি,,নিজের কথা ভাবি,তখন ডিপ্রেশন হাওয়া হয়ে যায়! পাঠকদেরকে বলি,,যারা ডিটেকটিভ+সাইকোলজিক্যাল বিষয়ে আগ্রহী তারা নিশ্চিতে বইটা পড়তে পারেন। লেখককে বলবো,বইটিতে ডিটেকটিভ এর পাশাপাশি যে ছোটো-ছোটো তথ্য গুলো দিয়েছেন,তদন্তের সার্থে এগুলো আমাকেও অন্নেক উপকার করবে। আমি খুব বেশি বই পড়ি নি,পাঠক হিসেবে নতুন,তাই বইয়ের রেটিংস দেওয়ার মতো সাহস করবো না। আর হে! আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ডিটেকটিভপ্রেমী পাঠকদের এরকম বই উপহার দেওয়ার জন্য! অনুরোধ রইলো,পরবর্তী বই দ্রুত নিয়ে আসবেন পাঠকদের মাঝে। নিরন্তর শুভকামনা আপনার প্রতি !
Was this review helpful to you?
or
মুসা গালিব মিস্টার অবজারভার মো: সৈকত আজিম পার্সোনাল রেটিং :- ৪.২/৫ প্রকাশনী: প্রিমিয়াম পাবলিকেশন্স মূল্য : ২০০৳ লেখক এখানে খুবই সুকৌশলে লেখাগুলি লিখেছেন। চারটি ভিন্ন গল্প। গল্পগুলো খুবই সাধারণ কিন্তু মুসা গালিবের চরিত্রটাই যথেষ্ট পাঠককে আকৃষ্ট করার জন্য । একটা মানুষকে দেখে, তার চলাফেরা, কথাবার্তা, দৃষ্টি দেখে তার সম্পর্কে সব কিছু বলে দেওয়ার যে ব্যাপারটা। ক্রিমিনোলোজি, সাইকোলজি, ক্রিমিনাল জাস্টিস,, সোশিয়লজি অনেক কিছুতে ডিগ্রি নিয়ে তারপর মাঠে নেমেছেন মুসা গালিব। আবার তার একজন শিষ্য আছে যার বয়স ১৭ বছর। যে কিনা ভবিষ্যৎ বলতে পারে। আশা করা যায় বইটি পাঠকদের খুব অন্য রকম এক জগতে নিয়ে যাবে। সাথে কাউন্সিলিং তো আছেই। ডিটেকটিভ/ সাইকোলজি/ ফ্যান ফিকশন তিনটা বিষয় ই এখানে লক্ষ করার মতো। আমার মতামত - দেখতে গেলে বইটি সত্যি দারুণ। লেখকের প্রতিটি বিষয় খোলাসা করে বলার ব্যাপারটা সুন্দর ছিলো ।আবার বইটাতে অপ্রয়োজনীয় শব্দের ব্যবহার একদম নাই বললেই চলে।
Was this review helpful to you?
or
বইটি পড়ে আমি সত্যি অবাক হয়েছি যে এটা কী আসলে সত্য ঘটনা নাকি বানানো গল্প। যারা একটু এক্সপ্লোর মাইন্ডের আমি শিউর এই বই পড়ে তারা কিছুটা হলেও মানুষের মাইন্ড রিডিং অথবা মানুষকে দেখে তার সম্পর্কে বলে দিতে পারবে।
Was this review helpful to you?
or
সম্পুর্ন নিরপেক্ষ তদন্ত রিপোর্টঃ মুসা গালিব বইয়ের রিভিউ। যে বইতে প্রয়োজনের বাইরে একটি অক্ষর-ও নেই। আমার বিশ্বাস, আস্থা রাখার জন্য লেখক সাহেবের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। লেখক নিয়মিত ফ্যান ফিকশন লিখত। আমাদের দেশে ফ্যান-ফিকশনের চর্চা একদম নেই'ই বললে চলে। তবুও মাঝে মাঝে খুব দয়াবান লেখকরা লিখে, আমি তা যত্ন করে পড়ি। লেখক শার্লক হোমসের ফ্যান-ফিকশন স্টোরিগুলো পড়ার পরে আমি বিশেষভাবে আকৃষ্ট হই গল্পগুলোর দিকে তাকিয়ে। এগুলো তো জীবনের কথা! মাটি আর ইটকে গুড়ি করে মাখিয়ে দিকে, তা কখনো এক হবে না। দেখা মাত্রই বোঝা যাবে মাটি আর ইটের অংশ। তবে মাটির সাথে মাটির গুড়ো মিশালে তা খুব সুক্ষভাবে মিলে যাবে। গল্পগুলোও এমন। যখন মানুষের গল্পগুলো যখন লেখার রসে উপস্থাপন করা হবে, তখন মানুষ সেই গল্পের সাথে নিমিষেই নিজেকে খুজে পাবে। তখন সে গল্প হবে কালজয়ী পর্যায়ের। লেখকের এমন সুকৌশলী রসবোধ দেখে আমি বিস্মিত হই। আমি দাবি করি, লেখকের প্রিন্ট ভার্সন লেখাগুলো ফিজিক্যাল বইতে রুপান্তর হোক। লেখক আমার দাবি পর্যবেক্ষণ করেন, তিনি দাবি মেনে নেন। আমি শতভাগ আত্মবিশ্বাসী ছিলাম লেখকের বইটি অবশ্যই ভালো বইগুলোর মধ্যে অন্যতম হবে। কারণ গল্পগুলোর সাথে পাঠক নিজেকে খুজে পাবে। আমি ব্যক্তিজীবনের কথা বললে, এমন সব মানুষের নিজস্ব গল্প শুনেছি যার সাথে কেউ না কেউ কোনোভাবে সম্পর্কিত৷ কিন্তু তা সব জায়গায়, সব পরিবেশে প্রকাশ করাও যায় না। সে দিক থেকে, আমি নিশ্চিত ছিলাম লেখকের কাছে এমন অসংখ্য গল্প আছে। লেখক আমার বিশ্বাসের, আস্থার মূল্য দিয়েছে। আমার কথা রেখেছে, আমি ভীষণ ভাবে লেখকের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপণ করছি। বইতে মোট চারটি গল্প আছে ফিলিস্তিনি নির্যাতিত নিপীড়িত জনগনসহ, শহিদদের প্রতি এবং ইয়াহিয়া সিনোয়ারের প্রতি উৎসর্গ করা এই বইতে মোট চারটি গল্প আছে। সবগুলো গল্পই নিজস্ব ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। কমন চরিত্রকে নিয়ে গল্প লিখতে লেখকের যে বাধা থাকে তা হলো, প্রথম গল্প দিয়ে যে প্রত্যাশা তৈরি করা সেটার গতি ধারাবাহিকভাবে বজায় রাখা। ফ্রিকোয়েন্সী ঠিক রাখার মতো চ্যালেঞ্জিং কাজটি সুনিপুণ ভাবে রাখা হয়েছে। আমি প্রতিটি গল্পের পরিচয় বিশেষ ভাবে দিচ্ছি, যাতে পাঠক সহজেই গল্প সম্পর্কে ধারণা পায়। দ্য কেস অব রেড ফ্ল্যাশ গল্পটিতে সব থেকে আকর্ষনীয় দিক হলো চরিত্রগুলোর অভিষেক! হ্যাঁ আমি চমকে গিয়েছি লেখক প্রতিটি চরিত্রকে যেভাবে পাঠকের সামনে এনেছেন তা অত্যান্ত কঠিন ও দূরহ কাজ বটে। একটি বই লেখা যতটা না সহজ, তার থেকেও কঠিন গল্পের সূচণাটা করা। আমরা কাফকার লেখনিতে এমন আকর্ষণীয় ভাবে শুরু করাটা নিখুঁত ভাবে পাই। আমি কল্পনাও করিনি লেখক এভাবে উপস্থিত করবে। প্রথম গল্পটির মূল কাহিনী শুরু হওয়ারও আগে থেকেই গল্প বলা শুরু হয়েছে। গল্পটিতে আমরা দেখি, যার মুখে গল্পটি বলা হচ্ছে সে বর্তমানে ঢাকায় একটি বাসা খুজছে। ঢাকা শহরে বাসা পাওয়া যে কতটা দুর্বোধ্য, সেটার ছাপ দিয়ে গল্পের কেন্দ্রীয় ও কমন চরিত্র মুসা গালিবের সাথে পরিচয়। মুসা গালিবের আধ্যাত্মিক শক্তি, মনস্তাত্ত্বিক দক্ষতা, সুক্ষ ও তীক্ষ্ণ বুদ্ধির পরিচয় প্রথমে কোডিং করে দেখানো হয়েছে। সেটা হলো মুসা গালিবের বাসার নম্বর- ৩৬৯। ৩৬৯ ও এমন তিনটি সংখ্যা যা বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সমস্ত আকৃতির মধ্য সীমাবদ্ধ থাকে। যেমন বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের আকৃতি ৩৬০ ডিগ্রী। এই তিনটি সংখ্যার যোগফল ৩+৬+০=৯। একই ভাবে অর্ধ বিশ্বব্রহ্মাণ্ড ১৮০ ডিগ্রী। যোগফল ১+৮+০=৯। সংখ্যাটি যেমন মহাবিশ্বকে বোঝার চাবিকাঠি ধারণ করে, তেমনই আবার এই সংখ্যাকে আধ্যাত্মিক ও দর্শনের শক্তির প্রতিক হিসেবেও ভাবা হয়। সে যাই হোক, তবে কোডিং করে তো কোনো চরিত্রের ধারণা পাওয়া যায় না তাই না। আমাদের তো লাগবে তার দক্ষতার প্রমান। সে জন্য অভিষেক হিসেবে লেখক মুসা গালিবের বাস স্থান তথা তার পরিবেশ এর একটি সুন্দর উপস্থিতি এনেছে। পরবর্তীতে তার প্রথম দক্ষতার পরিচয় মিলে ইদুর নিয়ে তার পর্যবেক্ষণ দ্বারা।(ইচ্ছে করেই বানা ভুল করেছি) ইঁদুর তো গেলো, এবার মানুষের পালা। যিনি আমাদের গল্প বলছেন, তার ব্যাপারেই মুসা গালিবের পর্যবেক্ষণ দেখা যায়। লোকটার নাম আতিক বলা হলেও, মুসা গালিবের কাছে নিজের সম্পর্কে সব কিছু শুনে আতিক লোকটা পুরো থ! নিজেকে আর ছদ্মবেশে রাখতে পারলেন না, মুসা গালিব তার মাইন্ড রিডিং স্কিল দিয়ে লোকটাকে আরও আশ্চর্য করে দেয়। সময়ের পরিক্রমায় বিশ্বনাথ তথা আতিক নামে যে ছদ্মবেশী আমাদের গল্প বলেছেন তিনি আর মুসা গালিব ভালো বন্ধু হয়ে উঠে। তাদের জুটি এমন হয়ে যায় যে, “নীলনদ ছাড়া মিশর যেমন অসম্পূর্ণ তেমনই বিশ্বনাথকে ছাড়া মুসা গালিব-ও অসম্পূর্ণ”। অন্তত তাদের কেমিস্ট্রিটার জন্য এটা বলাই যায়। লেখক গল্পের ছলে হলেও যে দক্ষতা এখানে দেখিয়েছে তা প্রশংসনীয়। প্রতিটি পরতে পরতে নানা মনস্তাত্ত্বিক খেল দেখিয়ে চলতে থাকে গল্প। পরবর্তীতে জেরিন নামে একটা মেয়ের আগমণ ঘটে। মুসা গালিব তাকে আসতে দেখেই বিশ্বনাথ বাবুকে বলেন মেয়েটি কে, কি জন্য এসছে। আমরা এই সময়ে দেখি গল্পের নতুন মোড়। জেরিনের বাবা মারা গিয়েছে, তার মা-কে নিয়ে তাদের বাস চট্টগ্রামেই। বাবা বেসরকারি চাকরী করলেও মারা যাওয়ার পর রহস্যজনক ভাবে বেশ বড় অঙ্কের টাকার খবর আসে, সাইনিং-ও হয় বেশ রহস্যজনক ভাবে। এই সময়ে আবার এক মাওলানা আসেন, তিনি এসে লক্ষ টাকা দিয়ে বলে “জেরিনের বাবার থেকে সে ধার নিয়েছিলো”। পরবর্তীতে আবারও আসে সে। এবার থাকা শুরু করে জেরিনদের বাসায়। লোকটাকে ভালো মনে হলেও সে বারবার জেরিনের বাবার স্টাডিরুমের দরজা খোলার চেষ্টা করতে থাকে। এটা জেরিনকে ভাবায়। তার সন্দেহ ও সবিস্তার সব শুনে মুসা গালিব সিদ্ধান্ত নেন তিনি এটার ভেতরে যাবে। এবার ইনভেস্টিগেশনে যেতে হবে। মনস্তাত্ত্বিক তদন্ত। চট্টগ্রামের পথে তাদের যাত্রা। সময় যেতে থাকে আর চলতে থাকে মুসা গালিবের রহস্য যাত্রা। বাসে যাত্রা কালে যে আবেগীয় এবং বুদ্ধিবৃত্তিক ঘটনা লেখক দিয়েছেন, সেটা ছিলো অত্যান্ত দক্ষতার। চট্টগ্রামে গিয়ে মুসা গালিবের আরও একটি কৌশলের সাথে পরিচিত হয় বিশ্বনাথ। যোগাযোগ এর জন্য নিজস্ব ভাষা। মৈথিলী ভাষার মতো “তামিল ও বাংলা ভাষার সংমিশ্রণে সে ভাষা”। যাতে তথ্য আদান প্রদানে তা আর কেউ না বুঝতে পারে। তদন্তের জন্য মনস্তাত্ত্বিক এক দারুন যাত্রা চলতে থাকে। একের পর এক আসতে থাকে মনস্তাত্ত্বিক চিন্তাধারার পাশাপাশি এক রুদ্ধশ্বাস রহস্যের উন্মোচন। জেরিনের বাবা-কে হত্যা করা হয়নি তো? আমার কাছে এই গল্পটা মাস্টারপিস। কেননা এই গল্পের প্রতিটি প্লেস সিটিং, স্টোরি টেলিং এর জন্য পার্শ্ব-ঘটনার আবির্ভাব, আবার তাকে মুল গল্পের সাথে টেনে আনার যে দুর্দান্ত বিক্রিয়া ঘটানো হইছে সেটা একদম ক্লাসিক। আবার কোডিং এর যে দারুন সংযুক্তি (মানে 37f9) তার সাথে সিদ্ধান্ত গ্রহণের মৌলিকত্ব অতুলনীয় ছিলো। দ্য কেস অব কিডন্যাপিং মুসা গালিবের দ্বিতীয় কিস্তি হলো দ্য কেস অব কিডন্যাপিং। এই গল্পে কমন ছিলো মুসা গালিব। আমাদের কেন্দ্রীয় চরিত্র। রিক্সাওয়ালাদের মধ্যে গালাগালির স্বভাবটা খুব সাধারণ। তবে এই সাধারণ ঘটনাকে মুসা গালিবের মাধ্যমে শৈল্পিক ভাবে উপস্থাপন করে পাঠকের মনকে নতুন গল্পের সাথে যুক্ত করা হয়েছে। পরবর্তীতে দেখা যায়, মুসা গালিবের সাথে মুগদা কবরস্থানের পাশে দেখা করতে আসে বাদল নাম তারই এক বন্ধু। সেখানে সাদা কালো রঙ নিয়ে মনস্তাত্ত্বিক একটি ব্যাখ্যা, ধর্মীয় ব্যাখ্যাও বাদ যায় না। তবে মুসা গালিবের গলায় এবার ছিলো ফিলিস্তিনি কেফিয়াহ বা চাদর। বাদলের সাথে মুসা গালিবের আড্ডার মাঝে দেখা যায় রাজনীতি নিয়ে মুসা গালিবের দৃষ্টিভঙ্গি। তাদের কথার মাধ্যমে আমাদেরকে মূল চরিত্রে নিয়ে যাওয়া হয়। বাদলের মেয়ে ঐশীর বান্ধুবী পূর্ণা। বেশ সুন্দরী মেয়ে, সেই সাথে বেশ বুদ্ধিমান। পূর্ণার মাধ্যমে লেখক আবেগীয় অনেক মানুষের প্রতিষ্ঠিত বিশ্বাস “সুন্দরী মেয়েরা বুদ্ধিমান হয় না” এর বিরুদ্ধে নিজের মত প্রকাশ করেন। স্বভাবসুলভ মুসা গালিব পূর্ণাকে এক্সপ্লোর করে। পরবর্তীতে পূর্ণার সমস্যাটি শোনা যায়। তার মা মারা যাওয়ার পর বাবা নতুন বিয়ে করে। তার ছোট ভাই পাণ্ডুকে তার সৎমা একদম দেখতে পারে না। এক পর্যাতে পাণ্ডুর মৃত্যু হয়, পূর্ণার অনুপস্থিতিতেই তাকে কবরাস্থ করা হয়। পূর্ণার মনে প্রায়শই নানা ধারণা জন্ম দেয়। সে ভাবতে ভাবতে বিষন্নতায় ডুবে যায়। মুসা গালিব আরও পার্শ্ববর্তী নানা ঘটনা ও তথ্যের আলোকে পূর্ণাকে বলেন তিনি একটা বিপদে আছে। কি বিপদ? তা উন্মোচণের যাত্রাতে দেখা যায়, পূর্ণার মৃত ভাই পাণ্ডু আসলে মরে-ইনি। তাহলে কি ঘটতে যাচ্ছে তাদের সাথে, কি'ই বা বিপদ? কি ঘটেছিলো পাণ্ডুর সাথে? নানা প্রশ্ন উত্থাপিত হতে থাকে, আর মুসা গালিব মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণের সাথে তার পর্যবেক্ষণ ক্ষমতার দক্ষতার স্বাক্ষর দিতে থাকেন। টুইস্টের পর টুইস্ট, আশ্চর্যজনক সত্যের উন্মোচন ঘটতে থাকে। গল্পটি বেশ ছোট ছিলো, তবে অল্প কথায় যে চরিত্রের ভাস্কর্য ও তার জন্য উপস্থাপনার যে দক্ষতা লেখক দিয়েছেন তা সত্যিই মুগ্ধকর। উপভোগ্য তো বটেই, মস্তিষ্কের স্নায়ুকোষগুলোর কার্যগতি বাড়িয়ে দিতে ভৌতিক ছোয়ার সাথে টানটান উত্তেজনার দারুন মশলা পাওয়া যায় এখানে। জার্নি অব থট ১) ফ্রিডরুখ নিচে-র বিখ্যাত "ঈশ্বর মৃত এবং আমরাই তাকে হত্যা করেছি।" দর্শন ছিলো ওই আমলের ধর্মীয় অনুশাসনের বিরুদ্ধে একটি বড় প্রতিবাদ। তবে ধর্মীয় বিশ্বাসের অনুপস্থিতি এবং তা নিয়ে সংশয় একজন মানুষের মানসিক অবস্থাকে ভারসাম্যহীনতায় পরিনত করার পাশাপাশি তার নীতিবোধকে তালাবদ্ধ করে দেয়। আবু জাকারিয়ার বিখ্যাত গবেষণা গ্রন্থ তথা প্রবন্ধ “দি ইটার্নাল চ্যালেঞ্জ” বইতে দেখানো হয়েছে ধর্মের নিজস্ব বিস্তার গতিশক্তি আছে। সোভিয়েত ইউনিয়ন কর্তৃক যখন ধর্মীয় বিস্তারের বিরুদ্ধে নানা কর্মসূচি পালন করা হয়, তখন ধর্মের যে পতন রাশিয়াতে হয়, পরবর্তী তা অল্প সময়ের মধ্যেই আবার ফুলে ফেপে উঠে। অর্থাৎ ধর্মের একটি নিজস্ব গতিশক্তি রয়েছে। ধর্মীয় বিশ্বাস মনস্তাত্ত্বিক ভাবে যে ভারসাম্য বজায় রাখে, তা শুধু সামাজিক ভাবেই নীতিগত ভাবে স্থির রাখেই না, বরং আধ্যাত্মিক ভাবে আত্মার স্বাস্থ্যকে রাখে পরিপূর্ণ। ২) মানুষ জাতির মধ্যে মেয়েদেরকে আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন বিশেষ রহমতে। তাদের মনস্তাত্ত্বিক, শারিরীক এবং আত্মার গঠন এবং কার্যপ্রণালীও বেশ জটিল এবং অতি সুক্ষ। নারীরা প্রায়ই নানা কারণে মানসিক বিধ্বস্ততার মধ্যে যায়। তাদের এ জন্য শারিরীকভাবেও নানা প্রভাব প্রভাবিত করে। উপরের উল্লেখিত কথাগুলো বইয়ের বা গল্পের না। বরং গল্পটির সম্পর্কে বলতে গেলে এ দুইটি বিষয়ে জানা দরকার। আমরা প্রথমে দুইটি গল্পের সাথে মুসা গালিবকে যেভাবে দেখি, বর্তমান গল্পে তার পৃথকতা একদম বৈপরীত্যে। পাঠককে এক রসবোধ থেকে টেনে অন্য রসবোধে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এখানে শারিরীক, মানসিক ও আত্মার যে স্বাস্থ্য আছে, সেটার প্রতি তাগিদ দেওয়া হয়েছে। এটাকে আমি সম্পূর্ণ রুপক গল্প বলব। এই গল্পটা যিনি গল্পটি পড়ছেন তার জন্য, তাকেই বলা হচ্ছে। গল্পে প্রথমে দেখা যায়, চিত্রলেখাকে। চিত্ররেখা আমার সব চেয়ে প্রিয় নাম। চিত্রলেখা (যদিও রেখা না) দেখে বিস্মিত হওয়ার আরও একটি কারণ হলো আমাদের কালজয়ী অন্যতম মেঘ বলেছে যাব যাব গল্পের চিত্রলেখাকে ভেবে। এখানে চিত্রলেখা তার স্বপ্ন কেন্দ্রিক একটা সমস্যা নিয়ে উপস্থিত হয় মিস্টার অবজার্ভারের কাছে। মুসা গালিব সবিস্তারে শুনে স্বপ্ন নিয়ে দারুন এক ফ্রিকোয়েন্সীয়াল ব্যাখ্যা দেন। পরবর্তীতে তাকে মানসিক, শারিরীক ও আধ্যাত্মিক স্বাস্থ্যকে পুনর্জীবিত করার জন্য দেন দুর্দান্ত কিছু পরামর্শ। এখানে চিত্রলেখা হলো মূলত পাঠক নিজে। লেখক কৌশলে পাঠককে দাড় করিয়েছেন তার কেসে। তিনি পাঠকের প্রতি তার উদার আহবান দিয়েছেন “নিজের প্রতি তাকানোর!” পরবর্তীতে দেখা যায় নিখিলকে। ধর্ম নিয়ে ছেলেটার বিশ্বাসের যে অবনতি তা যে ছেলেটাকে কিভাবে তিলে তিলে মানসিক ও শারিরীক ভাবে পঙ্গু করছে তার প্রতিচ্ছবি। এখানে ধর্মের প্রয়োজনীয়তাকে বুঝানো হয়েছে ধর্মীয় বিশ্বাসের ঘাটতিতে মানসিক যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় তার মাধ্যমে। দ্য স্টাডি অব ফিউচার বার্নআউট। সাইকোলজির ভাষায় একটি নেতিবাচক আবেগ। এটা কাজের চাপের কারণে জমাট বাধতে শুরু করে। প্রতিনিয়ত এক অভ্যাসে কাজ করতে থাকলে, কাজের প্রতি চাপ বাড়তে থাকলে, নিজের স্বাধীনতা না থাকলে, নিজের ইচ্ছের বিরুদ্ধে করতে থাকলে এটা হয়ে থাকে। বাংলাদেশের প্রত্যেকটা বাবা-মা, শিক্ষার্থীর অন্যতম সাইকোলজিক্যাল নেগেটিভ ইমোশন “বার্ণআউট” রয়েছে। এটা কেবল ব্যক্তির জীবনকেই দুর্বিষহ করে না বরং তার পরিবারের সদস্যদের উপর বিরুপভাবে ক্রিয়া বিস্তার করে। গল্প বুঝার প্রয়োজনে এই তথ্য দরকার ছিলো বলে এটা বলে নেওয়া হলো। সর্বশেষ গল্পের মাধ্যমেই লেখকের সাথে আমার ঐতিহাসিক দ্বন্দ্বের অবসান ঘটে। কি দ্বন্দ্ব? আরেহ ভাই গল্পগুলো তো বুঝলাম, আমার হোমস কোথায়? আমার ফ্যান-ফিকশন কোথায়? তামিমের দোকান থেকে কড়া করে পান পেঁচিয়ে এনে শেষ গল্পটি পড়ছি। সুপারিতে কামড় দিতে দিতে গল্পতে ডুবে যাই। মুসা গালিব সিগারেটের সাথে সুপারি খাচ্ছেন। বিশেষ কারণগুলোর সাথে কিছু দুর্দান্ত তথ্যের মিশ্রণে আমরা জানতে পারি, আজ রাফি মানে গালিবের স্টুডেন্ট ও তার পরিবার আসবে দেখা করতে। গালিবের বাবা মায়ের বিস্তর প্রশ্ন, রাফি এখন ভবিষ্যৎ বলে দিচ্ছে, যা বলে তা'ই হচ্ছে। রাফির দাদি মারা যাওয়া থেকে তার চাচার লঞ্চ দুর্ঘটনা, ইমামের মেয়ে উদ্ধার থেকে স্পেস-এক্সের বিমান দুর্ঘটনা বা বাসায় গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ সবই বলে দিচ্ছে। এ নিয়ে তার বাবা-মা অতিষ্ঠ। গালিবের মুখে জানতে পারি, তার বাবা মা সারাক্ষণ নিজেদের কাজে ব্যস্ত থাকতো। এর প্রভাবে রাফি এক গাদা মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত হয়। ভঙ্গুর মানসিক অবস্থায় রাফিকে পেয়ে গালিব তার পরিচর্যা করেন। গড়ে তুলেন দক্ষতার সাথে। আর এই সময়েই জানতে পারি, গালিবের কেস সলভের সময় ছিলো সর্বনিম্ন ৬ ঘন্টা থেকে সর্বোচ্চ দুইদিন। তার প্রাইভেট এজেন্সি ছিলো। নাম “হোমস ডিটেকটিভ এজেন্সি”! এই গল্পের মাধ্যমে লেখক তার সামাজিক দায়বদ্ধতার দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি মানসিক ভাবে যে সকল সমস্যা ও টার্ম আছে তার ক্লিয়ার এক্সপ্লেইন দিয়েছে। সেই সাথে টীকা আকারেও সংক্্ষেপে সেগুলোর পরিচয় দিয়েছে। এখানে লেখক কেবল তথ্য প্রদানই করেনি, গল্পের মাধ্যমে মানসিক পরিবেশ ও অবস্থাকে তুলে ধরার মধ্য দিয়ে তিনি “সাইকোলজির প্রয়োজনীয়তাকে” তুলে ধরেন। আমাদের দেশে সাইকোলজির ব্যাপারে সতর্কতা বাড়ানোর মোক্ষম এক বার্তা দিয়েছেন। খুব দুর্বোধ্য কাজ ছিলো বটে! আচ্ছা রাফির মাধ্যমে হিমুর একটা সম্পর্ক দেখলে কেমন হয়? ব্যক্তিগত কথামালা মুসা গালিব বইটার প্রতি আমার আত্মবিশ্বাস ছিলো অনেক বেশি। প্রত্যাশা ছিলো যা সবই পেয়েছি। লেখক আমাকে আশাহত করেন নাই। আমার একটা দায়বদ্ধতা ছিলো, লেখকের প্রতি যেমন ছিলো একইভাবে ছিলো পাঠকের প্রতি। তাই আমাকে পড়তে হয়েছে বেশ সচেতন ভাবে। বইটি নিয়ে লেখকের যে শ্রম ছিলো, তাছাড়া খুব অল্প দিনে লেখক যেভাবে গল্প সাজিয়েছেন ও প্রকাশ করেছেন তার জন্য আমি লেখকের প্রতি অনেক বেশিই কৃতজ্ঞ। আমি গল্পগুলোর যে বৈচিত্র্য তা দেখে অনেক বেশি মুগ্ধ হয়েছে। পাঠককে এক বিন্দুও বিরক্ত হতে দিবে না। দুর্দান্ত সব বার্তা তো দিবেই। তবে হ্যাঁ, বইটি পড়ে আপনি মানুষকে পড়তে পারবেন এমন ধারণা রাখলে ভুল করবেন। বইটি পড়ে মানুষ পড়তে পারবেন না। এই দক্ষতা খুব অনুশীলন ও সময়ের ব্যাপার। আবার এই দক্ষতার উপর সৎ থাকাও মুশকিল। লেখক অবশ্যই এ বিষয়টি জানেন। এ জন্য লেখক কি করলেন? লেখক একটি ঝড় বাতাস তৈরি করলেন, যে বাতাস পুর্ব দিক থেকে উঠে সকল মানুষকে স্পর্শ করে দিয়েছে। এখানে পাঠক চাইলেও তাকে স্পর্শ করবে, না চাইলেও। সাইকোলজির ব্যাপারে যেমন আকর্ষণ বাড়াবে, একইভাবে সচেতনতা-ও। আবার একই ভাবে মানবিক হতে, ভ্রাতৃপ্রেমী হতে, অন্যের সম্মান ও ইজ্জতকে রক্ষায় গালিবের অন্যতম বিশ্বাস “মানুষের ইজ্জত নষ্ট করা সহজ হলেও সে ইজ্জত ফিরিয়ে দেওয়া কঠিন” কে ধারণ করিয়ে দিবে। একজন মানুষকে মানসিক ভাবে, সামাজিক ভাবে, নীতিগত ভাবে ভারসাম্যপূর্ণ হতে গালিবের প্রচেষ্টা সফল বলে আমার বিশ্বাস। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যা সাগর তার “আখ্যানঞ্জরী” বইয়ের ভূমিকাতে গল্পগুলোর বৈশিষ্ট্য রসবোধ, উপভোগ্যতার সাথে আবশ্যিক ভাবে তা যেন মানবীয় গুনাবলীকে সদাচারে প্রভাবিত করে -এর যে মত দিয়েছিলেন মুসা গালিব তা রেখেছে। গল্পের যে বুনন, তথ্যের যে সামঞ্জস্যতা, মূল বার্তার যে সহজ সরল উপস্থাপনা, বাক্য গঠনে যে সহজবোধ্যতা, ব্যাকরণগত দিকের যে সচেতনতা তার পরিপ্রেক্ষিতে আমি বইটিকে আবশ্যক পাঠ্যনীয় বলে মত দিচ্ছি। বইয়ের কভার, প্রচ্ছদ, নামকরণ এবং প্রোডাকশন ভালো থাকলেও বইয়ের একটা কটু গন্ধ পেয়েছি যেটা আমাকে দারুন ভাবে বিরক্ত করেছে। আর একটি কথা, বইতে প্রয়োজনের অতিরিক্ত একটা শব্দও নেই। বই সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য বইয়ের নাম: মুসা গালিবঃমিস্টার অবজারভার লেখক: মো: সৈকত আজিম প্রকাশনী: প্রিমিয়াম প্রকাশনী দাম: ২০০ টাকা (প্রচ্ছদ) ; পৃষ্ঠা: ৮০ টি রেটিং: ৫/৫ (রেটিং স্টান্ডার্ড বিবেচনায় দেওয়া হয়েছে, মন-মতো দেওয়া হয়নি) সবশেষে আমি বইটির জন্য লেখকের প্রতি ও বইয়ের সাথে সম্পর্কিত সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপণ করছি। বইটি সম্মানিত পাঠকদের একবার হলেও পড়া প্রয়োজন, সবারই ভালো লাগবে এবং প্রয়োজনীয় বলে মনে করছি। আমি এটা যৌক্তিক ভাবেই দাবি করছি। রিভিউটির জন্য লেখক, প্রকাশক কিংবা অন্য কেউ অনুরোধ করেন নাই। আমি বায়াসড-ও নই। বইটি পড়ে থাকলে প্রতিটি পাঠক আমার সাথে একমত হবেন বলে আমার বিশ্বাস। তবে দ্বিমতের প্রতি আমার শ্রদ্ধা। কথা দিচ্ছি, বইটি পড়ার জন্য আপনার অর্থ বা সময়ের সামান্য অপচয়ও হবে না। দুর্দান্ত বিনিয়োগের জন্য শুভ কামনা।