User login

Sing In with your email

Email Address
Password
Forgot Password?

Not Account Yet? Create Your Free Account

Send

Recipients:
Message:

Share to your friends

Copy link:

    Our Price:

    Regular Price:

    Shipping:Tk. 50

    • Size:
    • Color:
    QTY:

    প্রিয় ,

    সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
    মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?

    Please Login to Continue!

    Our User Product Reviews

    Share your query and ideas with us!

    Customer Reviews

      By yeasmin nargis

      28 Mar 2025 12:29 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      "আত্মার জটিল পথচলায়, কে আড়কাঠি – সময়, মানুষ, না নিয়তি?" জীবন কি আমাদের ইচ্ছার ফল, নাকি অদৃশ্য কোনো শক্তির সুতোয় বাঁধা এক পুতুলনৃত্য? "আড়কাঠি" উপন্যাস সেই চিরন্তন প্রশ্নের প্রতিচ্ছবি। এখানে মানুষ লড়াই করে স্বাধীনতার জন্য, অথচ প্রতিটি পদক্ষেপে সে আবিষ্কার করে, কেউ একজন নেপথ্যে থেকে দিকনির্দেশনা দিচ্ছে। সম্পর্ক, ক্ষমতা, সময়—সবই যেন এক অন্তহীন টানাপোড়েনের খেলা, যেখানে কেউ আড়াল থেকে সুতো টানে, আর কেউ অজান্তেই সেই সুতোর টানে দোদুল্যমান। সত্য আর নিয়তির এই সংঘাতে, শেষ পর্যন্ত কে জয়ী হয়—মানুষ, না তারই অদৃশ্য নিয়ন্ত্রক? ?গল্পের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি: ওবায়েদ হকের আড়কাঠি উপন্যাসটি ঊনবিংশ শতকের শেষভাগের বাংলার পটভূমিতে রচিত। এটি মূলত তৎকালীন উপনিবেশিক বাংলার শ্রম অভিবাসন, মানব পাচার, দারিদ্র্য এবং সামাজিক বঞ্চনার এক জটিল বুনন। উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র নরেন, একজন নিম্নবর্ণের দরিদ্র যুবক, যিনি শৈশব থেকেই বঞ্চনা, নির্যাতন এবং অপমান সহ্য করে বড় হয়েছেন। মাতাল বাবার অত্যাচার থেকে বাঁচতে ছোটবেলা থেকেই তিনি বন-জঙ্গলে ঘুরে বেড়ান, প্রকৃতির সাথে ঘনিষ্ঠতা গড়ে তোলেন। সময়ের স্রোতে নরেনের জীবনে আসে দীনেশ—এক সহজ-সরল তরুণ, ভীতু হলেও অন্তরে কাপুরুষ নয়। বুকভরা ভালোবাসা আর স্নেহ নিয়ে সে নরেনকে আপন করে নেয় , তাকে 'দাদা' বলে ডাকে। কাজের খোঁজে তারা পৌঁছে দীনেশের মামাশ্বশুরের কাছে, আর সেখান থেকেই এক নতুন পথের সূচনা। তারা জড়িয়ে পড়ে আড়কাঠিদের দলে—সেসব দালাল, যারা মানুষ কেনাবেচার অন্ধকার কারবারে যুক্ত। দলনেতা অঘোরবাবুর নেতৃত্বে নরেন, দীনেশ, ভোলা, চারু রওনা হয় চা-বাগানের জন্য শ্রমিক সংগ্রহের মিশনে। কিন্তু নরেন বা দীনেশ কেউই জানত না—এই যাত্রার শেষ কোথায়, কিংবা যাদের তারা নিয়ে যাচ্ছে, তাদের কপালে কী ভয়ংকর নিয়তি অপেক্ষা করছে! ? আড়কাঠির ভিন্ন বিশ্লেষণ: জীবনের নাট্যমঞ্চে আমরা সবাই অভিনয়শিল্পী, কিন্তু প্রশ্ন হলো—এই নাটকের প্রকৃত নির্দেশক কে? আমরা নিজেরা? নাকি এক অদৃশ্য শক্তি আমাদের নিয়ন্ত্রণ করছে? "আড়কাঠি" উপন্যাস যেন সেই গভীর প্রশ্নের উত্তর খোঁজার এক নিরব প্রচেষ্টা। ? নিয়তি বনাম নিয়ন্ত্রণ: মানুষ ভাবে, সে নিজের জীবনের পরিচালক। কিন্তু বাস্তবতা কি সত্যিই তেমন? সমাজের স্রোত, সময়ের খেলা, অপরিচিত কোনো এক অদৃশ্য হাত—সব মিলিয়েই কি গঠিত হয় আমাদের নিয়তি? আমরা কি সত্যিই স্বাধীন, নাকি কারও আড়কাঠির টানে নাচছি? ? সত্য ও মায়ার দ্বন্দ্ব: জীবনে যা দেখি, সব কি সত্য? নাকি সত্যের মুখোশ পরে মায়া আমাদের পথ দেখায়? এই উপন্যাসের চরিত্রগুলোর যন্ত্রণা, সংগ্রাম আর দ্বিধা যেন প্রতিফলিত করে সেই নিরন্তর দোটানা—কোনটা বাস্তব আর কোনটা কেবল এক কুহক? ? শক্তি ও দুর্বলতার সূক্ষ্ম সীমারেখা: কে আসল শক্তিমান? যে নিয়ন্ত্রণ করে, নাকি যে নিয়ন্ত্রিত হয়েও নিজের পথ খুঁজে নেয়? মানুষ কি নিজের নিয়তির কাঠপুতলি, নাকি সে নিজেই একদিন আড়কাঠি হয়ে ওঠে? ? সময়ের নিষ্ঠুরতা: সময় যেন এক কঠোর শাসক, যা কাউকে ক্ষমা করে না। সময়ের হাত ধরে মানুষ বদলায়, সম্পর্ক বদলায়, আর কিছু কিছু সম্পর্ক কেবল আড়ালেই থেকে যায়। সময়ই কি আসল আড়কাঠি? নাকি সেই মানুষ, যে সময়েরও নিয়ন্ত্রক হতে চায়? ?পাঠপ্রতিক্রিয়া: ব্রিটিশ শাসনের পটভূমিতে চা বাগানের নির্মম ইতিহাস তুলে ধরার জন্য ওবায়েদ হক যে দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করেছেন, তা যেন এক মিশ্র অনুভূতির জন্ম দেয়। আমরা ইতিহাস জানি, কিন্তু সে ইতিহাসকে অনুভব করি কতটুকু? চা শ্রমিকদের নিয়ে এত লেখা হয়েছে, এত গবেষণা হয়েছে, কিন্তু একজন আড়কাঠির দৃষ্টিকোণ থেকে পুরো ব্যবস্থাটিকে দেখা—এ যেন এক নতুন জানালার সামনে দাঁড়িয়ে যাওয়ার মতো। এখানে ওবায়েদ হক আগের উপন্যাসগুলোর মতো চরিত্র ও কাহিনির জাল বুনেননি, বরং একটা সময়কে মূর্ত করে তুলেছেন। তার লেখনী আগের মতোই মায়াময়, তবে এবার সেখানে ব্যথার চেয়ে তিক্ত বাস্তবের ছোঁয়া বেশি। কিছু জায়গায় হয়তো পাঠক খেই হারাতে পারেন, কারণ গল্প নয়, সময় এখানে মূল চরিত্র। কিন্তু উপন্যাস শেষে একধরনের শূন্যতা ঘিরে ধরে—ঠিক যেমন কোন কিছু হাতে পেয়ে আবার ছেড়ে দেয়ার হাহাকারের মতো এই উপন্যাস শুধুই এক আড়কাঠির গল্প নয়, এ এক সময়ের গন্ধ, মানুষের বেদনা, স্বপ্নভঙ্গের নিরব সাক্ষী। ওবায়েদ হক শুধু এক গল্প শোনাননি, তিনি আমাদের সামনে দাঁড় করিয়েছেন এমন এক আয়না, যেখানে আমরা হয়তো নিজেরাই আড়কাঠি হয়ে উঠতে দেখব—অথবা সেই শ্রমিক, যে প্রলোভনের ফাঁদে পা দিয়ে নিজের শেকড় হারিয়েছে চিরতরে। লেখকের ভাষা ও উপস্থাপনা আমাকে বিশেষভাবে মুগ্ধ করেছে। তার দৃষ্টিভঙ্গি এতটা স্পষ্ট যে, প্রতিটি চরিত্র এবং পরিস্থিতি যেন এক জীবন্ত ছবি হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন উপজাতির কষ্ট, তাদের সংগ্রাম, তাদের প্রতিরোধের কাহিনী- সবই এক দার্শনিক পটভূমিতে স্থান পেয়েছে, যেখানে ব্যক্তির মুক্তি বা স্বাধীনতার চেয়ে বড় কিছু নেই। ?শেষাংশে একটু তৃপ্তি বা পূর্ণতা ছিল না। কিছুটা অতৃপ্তি নিয়ে উপন্যাসটি শেষ করলেও, এটি দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলে গেছে মনে। লেখক যদি শেষাংশটিতে আরও কিছু গভীরতা যুক্ত করতেন, তাহলে এটি আরও পরিপূর্ণ হতে পারতো। তবুও, এই উপন্যাসটি একটি শক্তিশালী পাঠ্য অভিজ্ঞতা হিসেবে উঠে এসেছে, যা আমাকে মানব জীবনের বিচিত্রতাকে উপলব্ধি করতে সাহায্য করেছে। ‘আড়কাঠি’ বলতে গল্পে বোঝানো হয়েছে সেই মধ্যস্থতাকারীদের, যারা শ্রমিক সংগ্রহ করে ব্রিটিশদের বাগান ও কলকারখানায় পাঠাতো। "আড়কাঠি" শুধু একটি গল্প নয়, এটি একটি সময়, ইতিহাস এবং নিপীড়নের দলিল। বইটি পড়ে মনে হবে, শত বছর পেরিয়ে গেলেও সমাজের শোষণের রূপ বদলায়নি, শুধু চরিত্রগুলো বদলেছে।তাই কবির ভাষায় বলতে হয়, "ইশ্বরকে মানুষ ভয় পায় না,নয়তো সর্বজ্ঞ ইশ্বর সব দেখছে জেনেও অনাচার করতে পারতো না,মানুষ আসলে ভয় পায় মানুষকেই।"

      By ripan dey

      17 Mar 2025 12:49 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      উনিশ শতকের শেষ দিকের গল্প। ১৮৭০ থেকে ১৮৯০ মধ্যেই সময়কাল। যখন ব্রিটিশরা চা বাগান তৈরি করা শুরু করেছে। আর এই চা বাগানের জন্য পর্যাপ্ত শ্রমিক দরকার, যেহেতু এটা কষ্টযোগ্য কাজ সেহেতু শ্রমিক পাওয়া দুর্লভ। আর এই দুর্লভ কাজকে সহজতোল্য করার জন্য ব্রিটিশরা আড়কাঠি প্রয়োগ ব্যবস্থা করে । যাদের কাজ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গা থেকে অভাবী মানুষদের নানা রকম প্রলোভন দেখিয়ে শ্রমিক হিসেবে নিয়ে আসা । এটা সেই গল্প ,যেই গল্পের সাথে জড়িত রয়েছে কীভাবে একজন যুবক আড়কাঠি হয়ে উঠলো এবং যেখানে রয়েছে একটা বীভৎস সত্য প্রেক্ষাপট ! সেই প্রেক্ষাপটে জড়িত রয়েছে অনেকগুলো হত্যা!! ?ব‌ই : আড়কাঠি । লেখক: ওবায়েদ হক । প্রকাশনী : বায়ান্ন । প্রচ্ছদ: নন্দন । মূল্য : তিনশত বায়ান্ন টাকা মাত্র ?কাহিনী সারসংক্ষেপ : গল্পটা শুরু হয় নরেন নামের এক যুবককে নিয়ে, তাদের অভাব অনটনের সংসারে বেঁচে থাকার লড়াই । ব্রিটিশদের আগমনে একদিকে সবার সুখের ছোঁয়া দেখা দিলে ও কেড়ে নিয়েছে তার মায়ের জীবন । আর বাবা তো নেশা করতে করতে জীবন দিয়ে দিলো । নরেন চলেছে তার জীবনের উৎস খুঁজতে! শেষ পর্যন্ত এমন এক গন্তব্যের সন্ধান পেয়েছে যেখানে বদলে যেতে পারে নরেনের জীবন । সে গন্তব্যের সন্ধান দেয় দীনেশ । দীনেশ সহজ সরল ,ঘটনাক্রমে নরেনকে সে দাদা বলে সম্বোধন করে । কিন্তু এই গন্তব্য অন্ধকার নাকি আলোর পথে নিয়ে যাবে সেটা সে বোঝতে পারছে না । এই গন্তব্যের মধ্যে বহু লোকের সাথে সাক্ষাৎ হলেও তার জীবনের আলো অন্ধকার দেখিয়ে দেওয়ার জন্য আবির্ভূত হয় এক ফকির সাহেবের । এই ফকির সাহেবের সাথে জড়িত রয়েছে আরেক ইতিহাস!! ?পাঠ- প্রতিক্রিয়া : ব‌ইয়ের প্রচ্ছদ দেখে আমার প্রথম ভাবনা ছিলো ব‌ইয়ের পুরোটা চা বাগানের অত্যাচার এসব নিয়ে কিন্তু যখন পড়া শুরু করি তখন যা উপলব্ধি করলাম তা অনবদ্য। নিপিড়ীত মানুষের শোষন , অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ,রাগের বহিঃপ্রকাশ, কষ্টের থেকে মুক্তির পথ , এক অবাঞ্ছিত সত্যি সবকিছু উন্মোচন এই গল্পে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে । তবে গল্পটা আরো চলতে পারতো ! মনে হচ্ছে খুব তাড়াতাড়ি যেনো শেষ হয়ে গেলো । গভীর জঙ্গলের যাওয়ার মূহুর্তের ঘটনা বিশ্লেষণ বেশ লেগেছে । চরিত্র বিশ্লেষণ থেকে দৃশ্যপট বিশ্লেষণ চমৎকার । শেষের দিকে থ্রিল টাইপের টুইস্ট দিয়ে পড়াটা যেনো সার্থক হয়ে উঠলো । আজকাল ক্ষমতার দাপটে যা কিছু হচ্ছে ব্রিটিশদের আমলে সেটা যেন আরো বেশি হয়ে আসছে । লেখকের ভাষায় বলতে গেলে "ক্ষমতা থাকলে তা প্রদর্শন না করতে পারলে ক্ষমতাবানদের তা অসহ্য লাগে" । ক্ষমতার জোরে কি সবকিছু সম্ভব,এটাকে কি ভালো কাজে ব্যবহার করা যায় না ! সেসব ভাবনা আপাতত থাক এবার রয়েছে ক্ষুধা প্রসঙ্গে,,, "ক্ষুধার্তরা সবাই এক জাত । দেহে , মনে,ভাষায় , ধর্মে যত‌ই তারা আলাদা হোক , পেটে তারা এক ।"ক্ষুধা নিয়ে চমৎকার ব্যাখা লেখক নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলেছে ।তবে একটা খুঁত রয়ে গেছে! একটা লাইন কিন্তু বিশেষ ধার্মিকদের জন্য মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়াবে!তবে এই লাইনটা না থাকলে তেমন অসুবিধা হতো না । আমার শুধু আক্ষেপ এই লাইন টা নিয়ে ,মনে মনে বললাম হুদাই এই লাইনটা লিখতে গিয়েছে,,কত চমৎকার বিশ্লেষণ কিন্তু এই লাইন ! যাইহোক এই লাইন বিবেচনা বাদ দিয়ে পুরোটা চমৎকার! ?ভালো লাগার কারণ : শব্দচয়ন থেকে অরণ্যের বিশ্লেষণ ব্যাপক ভালো লেগেছে !লেখার যে একটা সৌন্দর্য ফুটে উঠে যেটা আমরা বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আরো অনেকে রয়েছে তাদের থেকে পেয়ে থাকি সেগুলোর মতো করে ব‌ইয়ের সৌন্দর্য এই ব‌ইয়ে পেয়েছি । আশা করি লেখক এমন লেখার মান বজায় রাখলে অনেক দূর পর্যন্ত ছাড়িয়ে যাবে । ?লেখক প্রসঙ্গে : ব‌ইয়ের শেষ পৃষ্ঠা উল্টিয়ে লেখকের পরিচয় পাওয়া সম্ভব নয় । লেখক যুবক নাকি বৃদ্ধ , শিক্ষিত নাকি অশিক্ষিত, ধনী নাকি দরিদ্র এগুলো অপ্রাসঙ্গিক। লেখকের পরিচয় পাওয়া যাবে প্রথম ও শেষ পৃষ্ঠার মাঝের পৃষ্ঠাগুলোতে । কালো কালো হরফের লেখাগুলোকে লেখক সন্তান মনে করেন, সন্তানের পিতা হিসেবেই তিনি পরিচিত হতে চান । লেখক তো এমনি হ‌ওয়া উচিত যার পরিচয় লেখার মাধ্যমে হরফ করা যায় ! লেখকের জন্য শুভকামনা র‌ইলো । ব্যক্তিগত রেটিং : ৪.৫/৫ ।

      By Siam Ihsan

      11 Feb 2025 11:00 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      আহা! ওবায়েদ হক! লোকটার কলমের ডোগায় মুক্তা ঝরে!

      By Leeon Haque

      23 Aug 2024 12:23 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      মোটামুটি

      By Sayem Dewan

      03 Apr 2024 11:49 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      "ইশ্বরকে মানুষ ভয় পায় না,নয়তো সর্বজ্ঞ ইশ্বর সব দেখছে জেনেও অনাচার করতে পারতো না,মানুষ আসলে ভয় পায় মানুষকেই।" "রেচন,প্রজননের মতো মানুষের ভালোবাসাও আটকে থাকেনা,একটা ধারা বন্ধ হয়ে গেলে আরেকটা নতুন ধারার সৃষ্টি হয়।" লেখক দিনদিন আমার প্রিয় একজন লেখকে পরিনত হচ্ছে।এর আগে "নীল পাহাড়" এবং "একটি শাড়ী ও কামরাঙ্গা বোমা" পড়েছি।যেখানে নীল পাহাড় পড়ে রীতিমতো তার ফ্যান হয়ে গিয়েছি।এবার মেলাতে আসা তার আড়কাঠি উপন্যাসটা পড়লাম।আড়কাঠিতে সন্তুষ্ট করার মত সবকিছু ছিলো,প্রথমত প্লাস পয়েন্ট ছিলো অযথা সংলাপ বড় করেনি,অকারণে কিছু চরিত্র যুক্ত করেনি,এই দামিদামি বইয়ের ভীড়ে সে যথাসম্ভব চেষ্টা করেছে বইটাকে মোটা না করার।চরিত্রগুলো তার নিজনিজ কাজ সম্পন্ন করে আবার চলে গেছে তাদের জায়গায়,অযথা নিজেকে গল্পে রেখে দেয় নাই।লেখক আমাকে এক দরিদ্রের জগতে নিয়ে গেছে,নিয়ে গেছে রোমাঞ্চকর এক বনো জঙ্গলে,নিয়ে গেছে বনোজঙ্গলে উপজাতিদের মাঝে,নিয়েগেছে কিছু বেদনাদায়ক অনুভূতিতে। দিনশেষে বলবো উপন্যাসটা পড়ে মনে সেটিসফেকশনটা অন্তত এসেছে,না যেই টাকা দিয়ে কিনেছি সেইটা উশুল হইছে।লেখকের নিকট দুইটা অভিযোগ, এক.এতো বাঘ বাঘ করেও, বাঘের দেখা মিলাইলো না।যেমনটা আমার সাথে সাফারি পার্কে ঘটছিলো।বাঘ দেখানোর কথা বলে বাঘের লেজ পর্যন্ত দেখতে পারিনি। দুই.নীল পাহাড়ের লাস্টের মত নায়ককে সেই সিঙ্গেলই রেখে দিলো।

      By Abu Darda Mahfuz

      07 Feb 2024 03:42 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      লেখাটি ওবায়েদ হকের অন্য উপন্যাসগুলোর মতোই। বাক্যের পর বাক্যে পাঠক সম্মোহিত হবে। শব্দের পর শব্দের কারুকাজ পাঠককে মুগ্ধ করেই ক্ষান্ত হবে না; ভাবাবে। শুরুতে যে আশা-দূরাশা নিয়ে পাঠক বইটি পড়তে বসবেন, তেইশটা অধ্যায় শেষে বইয়ের একদম শেষ দুই পাতায় গিয়ে তারও বেশি মুগ্ধ হবেন। অবশ্য, মুগ্ধতার সাথে একরাশ আক্ষেপও পাঠকের হৃদয়ে জায়গা করে নিবে। এভাবেও শেষ করা যায়—পাঠকের হৃদয়ে বাক্যটা প্রতিধ্বনিত হবে। ধন্যবাদ, ওবায়েদ হককে।

    •  

    Recently Viewed


    Great offers, Direct to your inbox and stay one step ahead.
    • You can pay using


    JOIN US

    icon Download App

    Rokomari.com is now one of the leading e-commerce organizations in Bangladesh. It is indeed the biggest online bookshop or bookstore in Bangladesh that helps you save time and money. You can buy books online with a few clicks or a convenient phone call. With breathtaking discounts and offers you can buy anything from Bangla Upannash or English story books to academic, research or competitive exam books. Superfast cash on delivery service brings the products at your doorstep. Our customer support, return and replacement policies will surely add extra confidence in your online shopping experience. Happy Shopping with Rokomari.com!