User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের মার্কিনমুলুক ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নিয়ে লেখা বই। সেদেশে বাঙালির "অবাক" নামক এক সংগঠনের সাংস্কৃতিক সম্মেলনে যোগদিতে ই মূলত সেথায় পাড়ি জমান,থেকেও ছিলেন বেশকিছু দিন। একে শুধু যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণকাহিনীর ফ্রেমে আবদ্ধ রাখা বোধকরি উচিত হবে না কেননা লেখকের লেখনীতে বেশ সচেতনভাবেই তার পূর্বের ভ্রমণের অভিজ্ঞতাগুলো বেশ সরেস আর প্রাসঙ্গিকভাবে উপস্থাপন করেছেন (এরমধ্যে তাজমহল আর এ্যাডিলেডে কালচারাল সেন্টার দেখে "বিসাক" গড়ার প্রেরণার বিষয়টি বেশ লেগেছে) । যুক্তরাষ্ট্রে দু'দফায় ভ্রমণের অভিজ্ঞতা এ গ্রন্থে উঠে এলেও প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র দেখার বিষয়টি ছিলো মুখ্য। যুক্তরাষ্ট্রে থাকাকালীন সেখানকার বেশকিছু অঙ্গরাজ্যের দর্শনীয় স্থান ঘুরে ঘুরে সেসবের বর্ননা দিয়েছেন সাথে নানা সাহিত্য থেকে কোট করেছেন যা বইতে ভিন্নতা এনে দিয়েছে। আসেন, (বেশ)কিছু নেগেটিভ কথা বলি। বইয়ের প্রথম থেকেই মনে হচ্ছিল লেখকের যুক্তরাষ্ট্র দেখার ইচ্ছা স্বর্গ দর্শনের মতোই তীব্র (তিনি একে স্বদেশ ভ্রমণের সাথে তুলনা করেছেন)। সাধের যুক্তরাষ্ট্রে পৌছানোর পর তার উচ্ছ্বাস ছিলো বেশ দৃষ্টিকটু।তার মনে হয়েছে মার্কিন আবহাওয়ার মতো চমৎকার জিনিস আর হতেই পারে না এটলিস্ট তার বাঙাল মুলুকে তো নয় ই(যে দেশের আবহাওয়া এতো বাজে সেদেশে এতোদিন কীভাবে বেঁচে আছেন সেটাই অবিশ্বাস্য)। কোনো জায়গায় গেলে তার ভালো-মন্দ উভয় দিক ই চোখে পড়ার কথা কিন্তু বিধিবাম তার লেখনীতে মার্কিনমুলুকের সবই ভালো(!) অথচ ভালো অবজারভারের চোখে উভয় ই ধরা পড়ার কথা। ব্যক্তিগত কচকচানি ছিলো মাত্রাতিরিক্ত। দুই তারকার বেশী দিতে পারছি না, বেশ আশাহত।
Was this review helpful to you?
or
অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যারের ‘ওড়াউড়ীর দিন’ বইটি তাঁর আমেরিকা ভ্রমণের কাহিনী নিয়ে লেখা। আমি আমার জীবনে যতগুলো ভ্রমণকাহিনী পড়েছি তার মধ্যে এই বইটি নিঃসন্দেহে অন্যতম সেরা। একটা ভ্রমণকাহিনী যে এতটা বহুমাত্রিক হতে পারে তা এই বইটি না পড়লে আমি কখনোই জানতে পারতাম না। ‘ওড়াউড়ীর দিন’ বইয়ে স্যার তাঁর আমেরিকা ভ্রমণের গল্প অত্যন্ত আকর্ষণীয় ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। তিনি বইটি শুরু করেছেন তাঁর প্লেন যাত্রার ভীতির কথা বর্ণনা করে। সে ভীতি এমনই পর্যায়ের যে স্যার প্লেনে উঠলে মোটামুটি ধরেই নেন তাঁর জীবন ওখানেই শেষ। তবে মজার ব্যাপার হল স্যার নিজেই এই অহেতুক ভীতির বিরুদ্ধে যুক্তি দাঁড় করিয়েছেন। তিনি লিখেছেন একশো জন মানুষের মধ্যে কয়জন মানুষ প্লেনে উঠে মারা যায় আর কয়জন মানুষ নিজের বিছানায় শুয়ে মারা যায় তা আমরা সবাই আন্দাজ করতে পারি। তারপরও আমাদের প্লেনে উঠতে ভয়। আসল কথা হল মন তো আর যুক্তি মানে না। এরপর স্যার আমেরিকা পৌঁছার পর সেখানে যে যে জায়গায় গিয়েছিলেন তার সব কিছুর পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা ‘ওড়াউড়ীর দিন’ বইয়ে পাওয়া যাবে। তবে যে বিষয়টি এই বইকে আর দশটা ভ্রমণ কাহিনী থেকে আলাদা করেছে তা ভ্রমণের বিবরণ নয়। বরং তা হল এক অস্বাভাবিক অন্তর্দৃষ্টি সম্পন্ন মানুষের অনন্যসাধারণ বিশ্লেষণী ক্ষমতার সুপ্রচুর ব্যবহার। এই বইয়ে তিনি গল্পের ছলে ধীরে ধীরে পাঠকদের আমেরিকান জাতি সম্পর্কে পরিচিত করেছেন। তাদের পূর্বের ইতিহাস পাঠকদের সামনে তুলে এনেছেন। আর সূক্ষ্ম বিশ্লেষণের মাধ্যমে দেখিয়েছেন, ঠিক কী কী গুণের সমন্বয়ের ফলে আমেরিকান জাতি আজ সারা বিশ্বকে শাসন করছে। আমরা জাতি হিসেবে ঠিক কী কী কারণে এখনও পিছিয়ে আছি তার তুলনামূলক বিশ্লেষণও এই বইয়ে পাওয়া যাবে। আর এ সব বিষয়গুলো স্যার তুলে এনেছেন আমেরিকার রাস্তা-ঘাটে চলার সময় যে সব জিনিষগুলো চোখে পড়ে তার উপর ভিত্তি করে। অর্থাৎ এই বইয়ে স্যার বর্ণনা ও বিশ্লেষণের এমন সুষম সমন্বয় করেছেন যে পাঠককে বইটি পড়ার সময় নিজের অজান্তেই কখনও অবাক হতে হবে আবার কখনও গভীর ভাবনায় ডুবে যেতে হবে। এছাড়া এই বইয়ে স্যার আমেরিকানদের শিল্প-সাহিত্য, নান্দনিক রুচিবোধ, নাটক, চিত্রকলা এসবের সাথেও পাঠককে পরিচয় করিয়ে দেন। আর বাড়তি পাওনা হিসেবে স্যারের স্বাদু, ঋজু গদ্যশৈলী এবং সাবলীল বর্ণনাভঙ্গি তো থাকছেই। পরিশেষে বলতে হয় ‘ওড়াউড়ীর দিন’ এমন একটি বই যা শুধু পাঠককে ভৌগলিক ভ্রমণের স্বাদ-ই দিবে না বরং আমেরিকানদের শিল্প-সাহিত্যের আঙিনা থেকেও ঘুরিয়ে আনবে।
Was this review helpful to you?
or
এটা আমার আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের পড়া দ্বিতীয় বই। এর আগে "নদী ও চাষীর গল্প" পড়া এবং ভাল লাগার পর ওনার "ওড়াউড়ির দিন পড়া" শুরু করি। পড়া যতই এগুতে থাকে, এতদিনের সম্মানিত একটা ব্যক্তির প্রতি সম্মান ধীরে ধীরে হ্রাস পেতে থাকে। বইটা আমেরিকার ভ্রমণ কাহিনী। লেখক আমেরিকায় যাই দেখেন সবই ওনার কাছে সর্বশ্রেষ্ঠ মনে হয় আর তার সাথে তুলনা টানেন বাংলাদেশের। সেই তুলনায় বাংলাদেশকে নিতান্তই বস্তিতুল্য একটা অবস্থান দেন। অবস্থাটা এমন যে, মাধুরী দীক্ষিত কে এক নজর দেখলাম আমার নিজের মাকে যদি খুবই কুৎসিত বস্তির মহিলা মনে হওয়া শুরু করলো! এই ধরণের তুলনায় বিরক্ত হতে হতে কিছুই যখন আর বাদ নেই, তখন তো প্রায় বলেই বসলেন জাতিগত ভাবে আমরা ভীরুর জাত। আমেরিকা তো আমেরিকায়, এমনকি সাহস, গরিমার দিক থেকে পাকিস্তান ও নাকি আমাদের চেয়ে মানসিক ভারসাম্যে এগিয়ে!! থাক, ঢের হয়েছে আমার আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ পড়া, মাফ ও চাই, দোয়াও চাই, কিন্তু এখানেই দ্যা এন্ড..