User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
বই: ডেইজ অ্যাট দ্য মরিসাকি বুকশপ লেখক: সাতোশি ইয়াগিসাওয়া অনুবাদক: শাহরিয়ার দ্বীপ, উম্মে শারিকা প্রকাশক: উপকথা প্রকাশন পৃষ্ঠা সংখ্যা: ১৫৯ টাকা ফ্ল্যাপ থেকে: টোকিও শহরের জিমবোচো, বইপ্রেমীদের জন্য যেন এক টুকরো স্বর্গ। সেখানেই কোনো এক কোনায় কাঠের পুরোনো একটা দালানে হাজারো পুরোনো বইয়ে ঠাসা একটি বইয়ের দোকান রয়েছে। তিন প্রজন্ম ধরে মরিসাকি বুকশপ তার মায়ের পরিবার সামলাচ্ছে, অথচ ২৫ বছর বয়সি তাকাকো কখনোই বই পড়তে তেমন একটা পছন্দ করেনি। তার মামা সাতোরু নিজের জীবনের সবটুকু ঢেলে দিয়েছেন এই বইয়ের দোকানের জন্য। পাঁচ বছর আগে তার মামি মোমোকো তাকাকো মামাকে ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। এরপর থেকে সাতোরু মামা এই বইয়ের দোকান নিয়েই আছেন। তাকাকো যখন জানতে পারে তার প্রেমিক অন্য এক মেয়েকে বিয়ে করতে চলেছে, কিছুটা ইতস্ততভাবেই সে তার পাগলাটে মামার প্রস্তাবে রাজি হয়ে যায়। প্রস্তাবটা ছিল বইয়ের দোকানের উপরের ঘরটিতে সে বিনা ভাড়ায় থাকতে পারবে। তাকাকো তার এই নতুন জীবনের দৃশ্য দেখে অত্যন্ত অবাক হয়েছিল, যেখানে সে একগাদা বইয়ের স্তুপের সাথে মরিসাকি বুকশপে বাস করতে যাচ্ছিল। গ্রীষ্মের শেষ হয়ে বসন্ত আসতে শুরু করেছিল, কিছুটা সময় তারা পার করে এসেছে একসাথে। আর এভাবেই তাকাকো দেখল তার মামার সাথে তার অনেক মিল আছে, যা সে প্রথম দেখায় কখনো কল্পনাও করেনি। মরিসাকি বুকশপের মাধ্যমে তারা দুইজনই জীবন, ভালোবাসা ও বই পড়ার মধ্য দিয়ে ক্ষত ভোলার শিক্ষা লাভ করেছিল। চরিত্র বিশ্লেষণ ও নিজস্ব মতামত: ১. তাকাকো: তাকাকো এই বইয়ের মূল চরিত্র। পুরো বইয়ের বর্ণনাই তার বয়ানে তুলে ধরা হয়েছে। বইয়ের শুরুতে দেখা যায় তাকাকোর কলিগ প্রেমিক হিদেয়াকি কথায় কথায় তাকে জানায় সে বিয়ে করতে যাচ্ছে। এই কথা শুনে তাকাকো আহত হয়। হিদেয়াকি তাকাকোর সাথে সম্পর্কে জড়ানোর আগে থেকেই তার বাগদত্তার সাথে সম্পর্কে জড়িয়েছিল। তাকাকো এর কিছুই জানত না। ভালোবাসার মানুষের সাথে সম্পর্ক নষ্ট হলে হয়তোবা মানিয়ে নেয়া যায়। কিন্তু কোনো অপরাধবোধ ছাড়াই নিমিষে সম্পর্ক শেষ করে দেয়া, তার উপর ভালোবাসার মানুষের জীবনে সামান্য এক বিকল্প হিসেবে এক বছর ধরে থাকার ব্যাপারটা শুধু কষ্টই দেয় না, অপমানও করে। নির্লজ্জ প্রেমিক হিদেয়াকি প্রেমের সম্পর্কে ইতি টেনেও আবার হাসিমুখে জানায় চাইলে আবার এভাবে দেখা করা যায়। কিন্তু তাকাকো নরম স্বভাবের হলেও বিবেকবান। কষ্টের সাগরে ডুবে গেলেও কাউকে বুঝতে দেয় না৷ ভালোবাসার মানুষ এত বাজেভাবে তার ভালোবাসার অনুভূতিকে অপমান করার পরও সে তাই প্রতিশোধ নিতে পারে না৷ মনে হাজারো প্রশ্ন নিয়ে ডুবে যেতে থাকে অন্ধকারের অসীম কূপে। এভাবে একই অফিসে বারবার সেই বিশ্বাসঘাতক ও তার বাগদত্তাকে দেখতে দেখতে শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ হতে থাকে তাকাকো। এক সময় সিদ্ধান্ত নেয় পদত্যাগ করার। পদত্যাগ করার পরও হিদেয়াকি হাসিমুখে তার দিকে এগিয়ে বলে আবার চাইলে একসাথে ডিনার করতে পারে তারা দুজন। কিন্তু তাকাকো অবাক হওয়া ছাড়া আর কিছু করতে পারে না। একইসাথে চাকরি ও প্রেমিক হারিয়ে তার দিশেহারা অবস্থা। শুধুমাত্র চাকরির জন্যই টোকিওতে থাকে সে। খুব বেশি মিশুক না হওয়াতে অফিস কলিগ ছাড়া আর কারো সাথে সখ্যতা নেই তার। এমন খারাপ সময়ে ফেরেশতার মত আবির্ভাব হয় সাতোরু মামার। সাতোরু মামা তার বোনের কাছ থেকে প্রিয় ভাগ্নির দুঃসময়ের কথা জানতে পেরেছেন। তাকাকোর এই দুর্বিষহ সময়কে দূর করার জন্য উদ্ভট এক প্রস্তাব রাখেন তার কাছে৷ তাকাকোর নানার সূত্রে পাওয়া মরিসাকি বুকশপে তাকে সাহায্য করার কথা জানান। বিনিময়ে সে বুকশপের উপরে দোতলায় থাকতে পারবে, ওয়াশরুম আছে। আর নিজের মত থাকার জন্য যথেষ্ট পরিমাণ প্রাইভেসি। সাতোরু মামাকে তেমন পছন্দ না করলেও তাকাকো এই প্রস্তাবে রাজি হয়ে যায়। চাকরি ছাড়া টোকিওর মতো শহরে সে বেশিদিন টিকতে পারবে না৷ তাই সাথে সাথেই জিনিসপত্র নিয়ে মামার কাছে যায়। এরপর তাকাকোর জীবনে নতুন অধ্যায় শুরু হয়। সকালে নির্দিষ্ট সময়ে বইয়ের দোকান খুলে বসে থাকা। আর সন্ধ্যার পর বইয়ের দোকান বন্ধ করে সব গুছিয়ে রেখে ঘুমানো। যন্ত্রমানবীর মত দিন পার করতে দেখে সাতোরু মামা তাকে বই পড়ার পরামর্শ দেন। সাতোরু মামা মানুষ হিসেবে ভালো। কিন্তু তার উড়নচণ্ডী স্বভাবের জন্য সে মামাকে তেমন পছন্দ করে না। দরকার ছাড়া মামার সাথে তেমন কথাও বলে না। তাকাকোর এই বিমর্ষতা সাতোরু মামা হয়ে মেনে নিতে পারছে না। তাই তাকে জোর করে এক ক্যাফেতে নিয়ে গেলো। স্যাভর ক্যাফে। পুরোনো আমলের কাঠের তৈরি একটা ক্যাফে। মামার পছন্দের জায়গা। দীর্ঘ সময় পর তাকাকো আবিষ্কার করল তার ভালো লাগছে৷ ক্লান্ত ভাবটাও আর নেই। ক্যাফের উষ্ণ, আরামদায়ক পরিবেশ যেন তার মধ্যে নতুন প্রাণের সঞ্চার করেছে। তাকাকো নতুন করে জীবন শুরু করেছে। তার কর্পোরেট জীবনের চেয়ে অনেকটা আলাদা জীবনযাপনে শুরুর দিকে বিরক্ত থাকলেও একটা সময় পর তার এই জীবন ভালো লাগতে শুরু করে। সাতোরু মামার অনুরোধেই হোক বা অন্য কোনো কারণ, সে হাতের কাছে থাকা একটা বই নিয়ে পড়া শুরু করে। আর এভাবেই এক বইপ্রেমী তাকাকোর জন্ম হয় নতুন করে। এই বইপ্রেমী হওয়ার সাথে সাথে সাতোরু মামার সাথেও তার সম্পর্ক সময়ের সাথে সাথে উন্নত হয়। তাকাকো চরিত্রের জীবনে পতনের সময় থেকে উত্থানের সময়টুকু পড়তে পড়তে আমি বারবার ভাবছিলাম আমাদের জীবনেও কি এমন সময় আসে না? আমরাও কি এভাবে অসহায় অবস্থা থেকে মুক্তি চাই না? তাকাকো চরিত্রটাকে নিয়ে কিছু বলার নেই। আমার খুব ভালো লেগেছে। নিজের মত আনমনে থাকা, চুপচাপ অন্তর্মুখী স্বভাবের তাকাকো যেন আমার মাঝেই বিরাজমান। কষ্টকে ভুলে থাকার জন্য বইয়ের সান্নিধ্য নেয়া, ক্লান্তিকর জীবনযাপনের মাঝে বইয়ের ভেতরে থাকা গোটা গোটা কালো অক্ষরের লেখা যেন আমাদের নিস্তরঙ্গ জীবনে প্রাণের সঞ্চার করে। অন্য কারো জীবনের টুকরো টুকরো অংশ জুড়ে নিজেকে নতুনভাবে গড়া, এ যেন বহু আরাধ্য এক প্রাপ্তি! ২. সাতোরু: সাতোরু চরিত্রটাকে শুরুর দিকে কিছুটা বিরক্তিকর, গায়েপড়া স্বভাবের মনে হলেও ধীরে ধীরে গল্পের গভীরে যেতে যেতে মনে হয় তাকাকোর জন্য ঠিক সময়েই এই মানুষটার উপস্থিতির প্রয়োজন ছিল। জীবনের শুরুর দিকে নিজের ইচ্ছামতো স্বাধীনভাবে ঘোরাঘুরি করতে ভালোবাসা সাতোরু বাবার মৃত্যুশয্যায় বুকশপ দেখাশোনার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন। সমাজের চিরায়ত সাধারণ পুরুষদের ছায়া যেন সাতোরু মামার মধ্যে খুঁজে পাওয়া যায়। দায়িত্বের বোঝা কাঁধে নিয়ে জীবনের হাজারটা অভিলাষকে দূরে ঠেলে দিয়ে সাতোরু মামা হয়ে ওঠেন একজন দায়িত্ববান পুরুষ। একই সাথে আড্ডাপ্রিয় মানুষ, স্নেহপরায়ণ মামা, প্রেমময় স্বামী যে তার স্ত্রীকে ভীষণ ভালোবাসে। ভাগ্নির প্রয়োজনের সময় শুধু তার থাকা-খাওয়ার দায়িত্বই কাঁধে তুলে দেননি, তাকে নিঃসঙ্গতার চোরাবালি থেকে তুলে আনার জন্য অক্লান্ত চেষ্টাও করতে থাকেন। এতে তার চরিত্রের নরম স্বভাব আমাদের চোখে ধরা দেয়৷ ৩. মোমোকো: মোমোকো সাতোরুর স্ত্রী, তাকাকোর মামি। এই মোমোকো চরিত্রটি বেশ রহস্যজনক। বইয়ের শুরুতেই দেখা যায় সাতোরু মামা শারীরিক জটিলতার জন্য একা একা বুকশপের কাজ সামলাতে পারেন না। এই বুকশপে তাকাকো আসার আগে মোমোকো মামিই সাতোরু মামার সাথে মিলেমিশে দেখাশোনা করতেন। কিন্তু হঠাৎ কাউকে না জানিয়ে তিনি উধাও হয়ে যান৷ আবার হুট করেই পাঁচ বছর পর ফিরে আসেন মরিসাকি বুকশপে। যেন কিছুই হয়নি। বইয়ের দ্বিতীয় অংশই শুরু হয়েছে মোমোকো মামির ফিরে আসার ঘটনা দিয়ে। আর এই দ্বিতীয় অংশে মোমোকো মামির প্রতি সাতোরু মামার ভালোবাসার অনুভূতির ব্যাপারেও জানা যায়। খুব রহস্যময়, অদ্ভুত আর প্রাণবন্ত মোমোকো মামিকেও পছন্দের চরিত্র বললে ভুল হবে না। এছাড়া আরো যেসব চরিত্র আছে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে সাবু। মরিসাকি বুকশপের নিয়মিত ক্রেতা। এছাড়াও সাতোরু মামার বন্ধু বললে মোটেও বাড়িয়ে বলা হবে না। কিছু জায়গায় বেশ বিরক্তিকর লাগলেও এই চরিত্রের কিছু ভালো গুণ আছে। সাতোরু আর তাকাকোর সম্পর্কের উন্নতির পিছনে এই চরিত্রের অবদানও কম না৷ বইপ্রেমী ওয়াদা, স্যাভর ক্যাফের ওয়েট্রেস টোমো, তাকানো সব চরিত্রই বইয়ের কাহিনির সাথে খুব সুন্দরভাবে মিশে গিয়েছে৷ আমাকে খুব চমৎকার কিছু সময় উপহার দিয়েছে। এই বইয়ের প্রতিটি চরিত্রের কাছে আমি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ। পছন্দের কিছু অংশ: এই বইতে এত এত পছন্দের বাক্য আছে যে পয়েন্ট করে বলতে গেলে গোটা বইটাই তুলে ধরতে হবে। তবুও কিছু অংশ নিচে তুলে ধরছি: "ধীরে ধীরে বুঝতে পারি অদ্ভুত এক ভালো লাগায় ছেয়ে উঠেছে আমার মন, যেন আমাকে কেউ ভোরের শিশির ছড়িয়ে সতেজ করে দিয়েছে। " "পুরোনো বইগুলোর মধ্যে মলাটবন্দি ইতিহাস আমার কল্পনার চাইতেও বেশি আগ্রহোদ্দীপক। শুধু যে বইয়ের বিষয়বস্তুই আমাকে ভাবিয়েছে, তা নয়। বরং মাঝে মাঝে এমন কিছু জিনিসের মুখোমুখি হই, যা আমাকে যাপিত জীবন সম্বন্ধে ভাবতে বাধ্য করে। কিংবা মনে করিয়ে দেয় একটা পুরোনো বই কত হাত ঘুরে আমার কাছে এসেছে।" "কোনোকিছু দেখা বা পর্যবেক্ষণ করা মোটেও সাধারণ কোনো ব্যাপার না। কোনো দৃশ্য দর্শনের মানে সেটার দ্বারা মোহিত হওয়া। কখনো এটা আমাদের মনের এক প্রান্তকে প্রভাবিত করে, কখনো আমাদের পুরো সত্তাকে আবেশে জড়িয়ে নিয়ে যায় ভিন্ন কোনো জগতে।" কিছু ভালো লাগা ও একান্ত অভিলাষ: পরিশেষে বলতে চাই, এই বইতে শুধু একটা বুকশপের কথা তুলে ধরা হয়নি৷ বুকশপের ইতিহাসের পাশাপাশি সমান্তরালে এই বুকশপের সাথে সম্পর্কিত মানুষজনের জীবনের রূপরেখাও চিত্রায়িত হয়েছে। জাপানিজ বইয়ের একটা ব্যাপার আমার খুব ভালো লাগে। তারা বইয়ের কাহিনির সমান্তরালে তাদের ঐতিহ্যকেও তুলে ধরার চেষ্টা করে আর এই কাজটা বেশ সাদামাটাভাবেই করেন। আমি আশা রাখি আমাদের দেশের সমকালীন মৌলিক সাহিত্যিকরা এভাবে তাদের লেখায় অশ্লীলতা বিবর্জিত বাংলাদেশী সংস্কৃতিকে তুলে ধরবেন।
Was this review helpful to you?
or
আছে মোটামুটি। আকর্ষণীয় তেমন কিছু নেয়।
Was this review helpful to you?
or
জীবনে প্রথম উপন্যাসের বই পড়ার অভিজ্ঞতা টা অন্যরকম। আর এরকম সুন্দর একটা বই থেকে যদি শুরুটা হয় তাহলে তো কথাই নেই। অর্ডার দেয়া থেকে ডেলিভারি পর্যন্ত খুবই যত্মসহকারে বইটি হাতে এসে পৌছেছে। একদিনের মধ্যেই পেয়ে গেছি বইটা। রকমারির সাথে প্রথম অভিজ্ঞতা টা সত্যি অসাধারণ ছিলো,, হ্যাঁ বইটাও ?
Was this review helpful to you?
or
Premium!
Was this review helpful to you?
or
আছে মোটামুটি।
Was this review helpful to you?
or
অনুবাদ অনেক ভালো। লেখকে অনেক অনেক ধন্যবাদ,এতো সুন্দরে করে অনুবাদ উপস্থাপন করার জন্য।
Was this review helpful to you?
or
good
Was this review helpful to you?
or
দেখেই মনে হচ্ছে বিদেশী বড় কোন প্রকাশনীর কালেক্টর'স এডিশন। সত্যি দারুণ হয়েছে। খুবই প্রিমিয়াম লুক মাত্র ২০০ টাকায়। গ্রিন এডিশনটা থাকা সত্ত্বেও ডার্ক এডিশনটা নিলাম। ? বই: ডেইজ এট দ্য মরিসাকি বুকশপ (রিয়েল ব্ল্যাক এডিশন) লেখক: সাতোশি ইয়াগিসাওয়া অনুবাদক : শাহরিয়ার দ্বীপ ও উম্মে শারিকা প্রকাশনী : উপকথা প্রকাশন পৃষ্ঠা সংখ্যা : ১৫৯ পেইজ : ছাপা বেশ সুন্দর হয়েছে। ঝকঝকে পরিষ্কার ছাপা। আর আলো রিফ্লেক্ট করার সমস্যাটাও অনেক কম। এজ ব্ল্যাক কালার স্প্রে করা। রিভিউঃ মরিসাকি বুকশপের দিনগুলি পুরানো বইগুলির আরামদায়ক সুবাসের মধ্যে নিরাময় এবং আত্ম-আবিষ্কারের একটি হৃদয়গ্রাহী গল্প। তাকাকোর জীবন যখন একটি অপ্রত্যাশিত মোড় নেয়, তখন সে নিজেকে তার মামার সেকেন্ড হ্যান্ড বিচিত্র বইয়ের দোকানে আশ্রয় খুঁজে পায়, যা টোকিওর জিম্বোচোতে আলোচিত সাহিত্য কেন্দ্রের মধ্যে অবস্থিত। বইয়ের জগতে নিজেকে নিমজ্জিত করার সাথে সাথে, তাকাকো ব্যক্তিগত বৃদ্ধির যাত্রা শুরু করে, পৃষ্ঠাগুলির মধ্যে পাওয়া জ্ঞান এবং সে যাদের মুখোমুখি হয় তাদের চরিত্র দ্বারা পরিচালিত হয়। মরিসাকি বুকশপ তার অভয়ারণ্যে পরিণত হয়, এমন একটি জায়গা যেখানে সে তার ভাঙা হৃদয়কে মেরামত করতে পারে এবং তার আবেগকে পুনরায় আবিষ্কার করতে পারে। দুই নবীণ অনুবাদক শাহরিয়ার ও উম্মে শারিকার অনুবাদ বেশ সাবলীল ও সহজ পাঠ্য। মরিসাকি বুকশপের দিনগুলি হল গ্রন্থমনস্ক বা গ্রন্থপ্রিয় ব্যক্তিদের জন্য একটি প্রেমের চিঠি এবং আমাদের নিজেদের এবং আমাদের চারপাশের বিশ্বের সাথে সংযুক্ত করার জন্য বইগুলি স্থায়ী শক্তির একটি প্রমাণ৷ এটি এমন একটি গল্প যা চূড়ান্ত পৃষ্ঠাটি উল্টানোর পরেও দীর্ঘস্থায়ী হয়, যা আমাদের পড়ার সহজ আনন্দ এবং বইয়ের প্রতি ভাগ করা ভালবাসার মাধ্যমে আমরা যে সংযোগগুলি তৈরি করি তা লালন করার কথা মনে করিয়ে দেয়।?
Was this review helpful to you?
or
কষ্ট করে শেষ করেছি। অনুবাদ ভালো লাগেনি। গল্পের মধ্যে আকর্ষনীয় কিছু খুজে পাইনি। খাপছাড়া একটা সাধারণ গল্প মনে হয়েছে। জানিনা যে, এটা গল্পের সমস্যা নাকি অনুবাদের সমস্যা। তবে বইয়ের প্রচ্ছদটা অসাধারণ আর ব্ল্যাক এডিশনে করায় বইয়ের সৌন্দর্য আরো বেড়ে গিয়েছে।