User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
beautiful
Was this review helpful to you?
or
আমার পড়া সেরা বইগুলোর একটি। হেমিংওয়ে,স্কট ফিটজ্জেরাল্ড,মার্ক টোয়ান,টলষ্টয় এরা আমার প্রিয় লেখক। এদের লেখা আপনি কখনই আপনাকে হতাশ করবেনা।
Was this review helpful to you?
or
"Man can be destroyed but must not be defeated" লেখক আর্নেস্ট হেমিংওয়ের উপন্যাস 'দি ওল্ড ম্যান এন্ড দি সী' প্রকাশিত হয় ১৯৫২ সালে। এই উপন্যাসের জন্য তিনি সাহিত্যে নোবেল পান। উপন্যাসের মূল চরিত্র বুড়ো সান্তিয়াগো। পেশায় জেলে। বড় ছিপ দিয়ে সাগরে মাছ ধরে। তার কেউ নেই। মাঝে তার নৌকায় একটা ছোট ছেলে তাকে সাহায্য করতো। কিন্তু বুড়োর মাছ ভাগ্য সুপ্রশস্ত নয় বলে ছেলেটির মা বাবা অন্য নৌকায় মাছ ধরতে পাঠায় ছেলেটিকে। প্রথম দিকে বুড়ো আর ছেলেটির গভীর মমত্ববোধ তুলে ধরেছে লেখক। বুড়ো তার মন্দাকাল নিয়ে সচেতন। সেও চায় না তার সাথে গিয়ে ছেলের মা বাবার মন খারাপ হোক। তবে ছেলেটাকে সে যত্ন নিয়ে মাছ শিকার শেখায়। বুড়ো বেসবল খেলার পাগল। সে নিয়মিত খোঁজ রাখে বেসবল লীগের। এক বেসবল খেলোয়াড়ের বাপ জেলে ছিল সেটাও সে গর্ব নিয়ে স্বরণ করে। দীর্ঘ দিন বড় মাছ পায় না সে। এর জন্য ছেলেটাও তার সাথে নেই। তবে এই যাত্রার আগে ছেলেটি তাকে বড়শির টোপ আর নৌকাটা ঠিক করতে সাহায্য করে। শেষমেষ বড়শিতে বড় একটা মাছের অস্তিত্ব টের পায় সে। মাছ তার নৌকা সমেত স্রোতের বিপরীতে টেনে নিয়ে যায়। বুড়ো অবাক হয়। কত বড় মাছ আর হার না মানা মনোভাব মাছের! শেষমেষ বুড়ো আর মাছের ভাগ্যে কি ঘটেছিল পড়তে হবে বইটি। 'তুমি আমায় মেরে ফেলেছ মাছ। বুড়ো মনে মনে বলে। তবে আমাকে মারার অধিকার তোমারও আছে। জীবনে কখনো তোমার মত সুন্দর, মহৎ বৃহৎ মাছ দেখিনি ভাই। এসো আমাকে মেরে ফেলো। এতটুকু দুঃখ আমি পাবো না। কে কাকে মারে সেদিকে দেখবার প্রয়োজন নেই' -বইটার একটা চুম্বক অংশ। তবে আমি ইংরেজিতে মূল বইটা পড়তে বেশি উৎসাহিত করবো।
Was this review helpful to you?
or
হেমিংওয়ের এই বইটি দারুণ জনপ্রিয়।এটি লেখকের সর্বশ্রেষ্ঠ উপন্যাস। এই উপন্যাসের জন্য হেমিংওয়ে সাহিত্যে নোবেল পান।১৯৫২ সালে প্রাকাশিত এই বইটির আর্থিক সাফল্য ও ঈর্ষণীয়। বইটি পড়ার ইচ্ছা হয় হুমায়ুন আহমেদের কোনো এক বই পড়ে।
Was this review helpful to you?
or
হেমিংওয়ের এই বইটি দারুণ জনপ্রিয়।এটি লেখকের সর্বশ্রেষ্ঠ উপন্যাস। এই উপন্যাসের জন্য হেমিংওয়ে সাহিত্যে নোবেল পান।১৯৫২ সালে প্রাকাশিত এই বইটির আর্থিক সাফল্য ও ঈর্ষণীয়। বইটি পড়ার ইচ্ছা হয় হুমায়ুন আহমেদের কোনো এক বই পড়ে। . The Old Man And the sea সমুদ্রের পটভূমিতে লেখা।এই উপন্যাসের নায়ক সান্তিয়াগো। পেশায় একজন জেলে।যিনি সমুদ্রকে দেখেন নারীর রূপে। সাপ্রতিককালে তার দুর্দিন যাচ্ছে। প্রায় ৮০ দিন তিনি কোনো মাছ ই ধরতে পারেন নি।সে জীবন ধারণের সংকটেই পড়ে গেছে। একটি কিশোর বালক তার কাছে শিক্ষানবিশ হিসেবে আসত। নাম ম্যানোলিন। তার বাবা মা চাইত ম্যানোলিন ভাগ্যহীন এই জেলে ছাড়া অন্য কারো সাথে থাকুক। বইয়ের প্রথম দিকে ফুটে উঠেছে সান্তিয়াগো এবং ছেলেটির মধ্যকার সম্পর্ক।তাদের মধ্যকার গভীর সম্পর্কের কথা ফুটিয়ে তুলেছেন। . সান্তিয়াগোর অভাব ছিল কিন্তু তা সত্ত্বেও তিনি লক্ষ্য সমন্ধে সজাগ ছিলো।সে প্রত্যেকদিন দূরদুরান্তে নৌকা নিয়ে যেত পৃথিবীর সব থেকে বড়, সুন্দর মহোত্তম মাছটি শিকারের জন্য।একদিন সে মাছটি তার ছিপে আটকাও বড়। মাছটি বুড়ো সান্তিয়াগো কে টানটানতে নিয়ে যায় দূর সুমদ্রে। যুদ্ধ চলে মাছটির সাথে।পথমধ্যে মাছটিকে আক্রমণ করে একদল হাঙর। সান্টিয়াগো কি পারবে মাছটি তীরে নিয়ে আসতে?জানতে হলে বইটি পড়ুন। উপন্যাসে সান্তিয়াগোর সাথে সমুদ্রের,মাছের আর নিজের কথোপকথন গুলি হেমিংওয়ের জীবন দর্শন কে ফুটিয়ে তোলে।গভীর অনুভূতির, চেতনাবোধ সম্পন্ন কথাগুলো হৃদয় ছুয়ে যায়। ছোট কাব্যময় সুন্দর,স্নিদ্ধ বইয়ের মধ্যে তিনি ফুটিয়ে তুলেছেন মানবজাতির জীবন কে-জীবনের অন্বেষণ কে,এই জীবনের সঙ্গে মানুষের সংগ্রাম, সবটুকু দিয়ে আশা, স্বপ্নকে বাস্তবায়নের চেষ্টা করা। বইটির মুলভাবের মিল আছে রবীন্দ্রনাথের বিখ্যাত একটি কবিতার সাথে।যেখানে রবীন্দ্রনাথ জীবনের সংগ্রামকে তুলে ধরেছেন একজন চাষীর মাধ্যমে।"সোনার তরী" কবিতাটির কথা বলছি। . বইয়ের চুম্বাংশের অনুবাদ,"তুমি আমায় মেরে ফেলেছো মাছ।বুড়ো মনেমনে বলে।তবে আমাকে মারার অধিকার ও তোমার আছে।জীবনে কখনো তোমার মতো সুন্দর, বৃহত মহত মাছ দেখিনি,ভাই।এসো আমায় মেরে ফেলো।এতোটুকু দুঃখ আমি পাবো না।কে কাকে মারে সেদিকে দেখবার প্রয়োজন নেই।" এরপরই সবচেয়ে ভালো লাগা কথাগুলো,"কিন্তু মানুষ হেরে যাবার জন্য জন্মায়নি।Man can be destroyed but must not be defeated. " বই: The Old Man And The Sea লেখক: Ernest Hemingway অনুবাদ:ফাতেহ লোহানী নবরাগ প্রাকশনী। মুদ্রিত মূল্য ১৪০। অনুবাদ রেটিং:৬
Was this review helpful to you?
or
অনুবাদ ভালো হয় নি
Was this review helpful to you?
or
'দ্যা ওল্ড ম্যান এন্ড দ্যা সি' প্রখ্যাত মার্কিন লেখক আর্নেস্ট হেমিংওয়ে কর্তৃক ১৯৫১ সালে কিউবায় অবস্থাকালীন সময়ে লিখিত এবং ১৯৫২ সালে প্রকাশিত উপন্যাস।খুব সাধারণ একজন জেলের গল্প হলেও আর্নেস্ট হেমিংওয়ের 'দি ওল্ড ম্যান অ্যান্ড দি সি' মূলত ঐ জেলের হার না মানা জীবনেরই গল্প।গল্পটি এমন -একজন বয়স্ক জেলে যিনি কিউবায় বাস করেন,জেলে জীবনের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা থাকে সত্ত্বেও গল্পের প্রথমেই জানা যায় যে তিনি একটানা ৮৪ দিন ধরে একটি মাছও ধরতে পারেননি। কিন্তু ওনার কাছে এই ব্যর্থতা আসলে ব্যর্থতা নয় বরং জীবন যুদ্ধের আরেকটি ধাপ মাত্র। উনি সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন যে উনি অনেক দূরের সাগরের জলে যাবেন যেখানে অনেক বড় বড় মাছ পাওয়া যায় । যেই ভাবা সেই কাজ । পরের দিন ঠিকই বের হয়ে পড়েন দূর সাগরের উদ্দেশ্যে এবং জীবনে দেখা সবচেয়ে বড় মারলিন মাছটি তিনি দেখতে পান এখানে। এই মাছটিকে নিয়েই শুরু হয়ে এবার গল্পের এক নতুন মাত্রা । এই মাত্রায় মাছটিকে ধীরে ধীরে শিকারে পরিণত করা, মাছটি ধরার জন্য জেলেটির ত্যাগ-তিতিক্ষা এবং শিকার ও শিকারীর মাঝে শিকার চলাকালীন সময়ে গড়ে উঠা এক গল্প বর্ণনা করা হয়েছে ।এর প্রধান চরিত্র মাত্র ২টি।প্রথম প্রধান চরিত্র হল সান্তিয়াগো যিনি কিউবার অধিবাসী এবং পেশায় একজন জেলে,বয়সের ভারে অনেকটা বাঁকা হয়ে এসেছেন তবে তাঁর কিন্তু আছে দুর্দান্ত এক জোড়া চোখ যে চোখে কোন বার্ধক্য নেই, কোন ক্লান্তি নেই । সান্তিয়াগোর স্ত্রী মারা গিয়েছেন এবং তিনি নিঃসন্তান। দারিদ্রতার চরম সীমায় বাস করার পরেও তিনি যেন জীবনে তৃপ্ত। আর এই তৃপ্তির কারণ সাগর এবং মাছ ধরা সম্পর্কে তাঁর অগাধ জ্ঞান । সে নিজে অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী এবং আশাবাদী । জানেন জীবন মানেই যুদ্ধ করা, সে যুদ্ধে জয়লাভ করা নয় । তিনি ৮৪ দিন নৌকা নিয়ে বের হয়েছে কিন্তু ধরে আনতে পারেননি একটি মাছও । এই অপবাদে তিনি তাঁর জেলেপাড়ার সবচেয়ে অলক্ষ্মী জেলেতে পরিণত হন । কিন্তু এতকিছুও তাঁকে দমাতে পারেনি । তিনি শিকার করেছেন সবচেয়ে বড় মারলিন মাছ একাই । ৩ দিন একটানা প্রকৃতি এবং নিজের শরীরের সাথে যুদ্ধ করে গিয়েছেন তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় মাছটি শিকার করার জন্য । পরিশেষে সফল না ব্যর্থ হয়েছেন সে বিষয়ে তেমন চিন্তিত ছিলেননা বরং তাঁর জোড়া নীল চোখে ছিল স্বপ্ন। সান্তিয়াগো বাদেও এই উপন্যাসের আরেকটি চরিত্র হল ম্যানোলিন নামের একটি বালক, যে পূর্বে সান্তিয়াগোর নৌকায় কাজ করত।গল্পে এই বালকটিকে দেখা যায় সান্তিয়াগোর ভক্ত হিসেবে। সে সান্তিয়াগোর সেবা-যত্ন করত, তাঁর খাবারের ব্যবস্থা করে দিত, খবরের কাগজ এনে দিত এবং সান্তিয়াগোর সাথে মনের সুখে আমেরিকান বাস্কেটবল খেলার গল্প করত পুরাতন পেপার থেকে ।খুব ছোট্ট একটা গল্প হলেও লেখক মনে হয়ে গল্পটিকে টেনে অনেক বেশিই বড় করে ফেলেছেন।তবে এই দীর্ঘ বর্ণনা পড়েই বুঝা যায় যে সাগর, জেলেদের জীবন এবং তাদের মাছধরা পেশা সম্পর্কে লেখকের অসাধারণ জ্ঞান রয়েছে। সাগর জীবনের নানান বর্ণনা ছাড়াও এই গল্পে তুলে ধরা হয়েছে মানব জীবনের আসল উদ্দেশ্য- জীবন যুদ্ধ করা, মানব সম্প্রদায় এবং প্রকৃতির মাঝের সম্পর্ক, প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা, জীবনের প্রতি ভালোবাসা।আর প্রচণ্ডভাবে উঠে এসেছে হার না মানা এক বৃদ্ধ জেলের গল্প যা আমাদের শিক্ষা দিয়ে থাকে অনেক কিছুই।যেমন:নিজের লক্ষ্য অটুট থাকলে সব বাঁধা পেরিয়ে লক্ষ্যে ঠিকি পৌঁছান সম্ভব হবে, কেও সাথে না থাকলেও , থাকতে হবে মনোবল আর প্রত্যয় ইত্যাদি। তাই জীবন চলার পথে অাপনি যদি হতাশ হয়ে পড়েন তবে বইটা অাপনার অবশ্যই পাঠ করা উচিত।উল্লেখ্য, ১৯৫৩ সালে দ্যা ওল্ড ম্যান এন্ড দ্যা সি সাহিত্যে পুলিৎজার পুরস্কার এবং ১৯৫৪ সালে নোবেল পুরষ্কার লাভ করে।
Was this review helpful to you?
or
ইনশাআল্লাহ পড়ব।
Was this review helpful to you?
or
"আর্নেস্ট হেমিংওয়ে" শুধু একটি নাম নয়;একটি ইতিহাস।পাশ্চাত্য সাহিত্যে আমূল পরিবর্তন সাধনে তিনি যে ভূমিকা রেখেছেন তা চিরস্মরণীয়। "ওল্ড ম্যান এন্ড দি সী" বইটি লিখে তিনি বিশ্বসাহিত্যে ব্যাপক তোলপাড় ফেলে দিয়েছিলেন।কারণ মানুষের দীর্ঘ সংগ্রামী জীবনের চরম অথচ তিক্ত সত্যকে তিনি এবইতে যেভাবে ফুটিয়েছিলেন তা ছিল সত্যিই অভূতপূর্ব। বহু সংগ্রামের পর বৃদ্ধ একটি মাছ ধরল ঠিকই,কিন্তু লোভী হাঙ্গর মাছগুলোর কবল থেকে তাকে রক্ষা করে কিভাবে ডাঙায় পৌঁছাবে সেটি নিয়ে সে চিন্তিত হয়ে পড়ল।আবার হতাশ হওয়াও পরিশ্রমী মানুষের স্বভাববিরুদ্ধ।তাই সে মাছটিকে সাথে নিয়েই তীরের দিকে পাড়ি জমায়। অবশেষে অসংখ্য হাঙ্গরের আক্রমনে মাছটি ক্ষত-বিক্ষত হয়ে যায়,বৃদ্ধ শুধু কঙ্কালটি আগলে রাখে।এই কঙ্কালটি দেখেই ঘাটের সকলে বিষ্ময় প্রকাশ করতে থাকে। আসলে এই কাহিনীর মধ্য দিয়ে হেমিংওয়ে বোঝাতে চেয়েছেন যে লক্ষ্যে পৌঁছাতে গেলে মানুষকে কতটা পরিশ্রমী ও আত্মবিশ্বাসী হতে হয়।তাছাড়া সফলতা অর্জনের পথ যে কতটা কণ্টকাকীর্ণ সেটিও তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন হিংস্র হাঙ্গরগুলোর উপস্থিতির মাধ্যমে। একথা বলা অসম্ভব যে হেমিংওয়ের লেখায় কোনো জীবনদর্শন নেই।তাঁর সেই তিক্ত জীবনদর্শন এখানেও উপস্থিত।প্রতীকের সফল ব্যবহার,জীবনবোধের ঐশ্বর্যে,প্রকৃতির অন্তরঙ্গ স্পর্শে একটি সাধারণ মানুষের তুচ্ছ অথচ মহান সংগ্রামের কাহিনী এই ছোট্ট বইটিতে মহাকাব্যের মহিমায় মহিমান্বিত হয়ে উঠেছে।আর এটিই "ওল্ড ম্যান এন্ড দি সী" বইটির চরম সার্থকতা