User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
বই : ফ্রেমে বন্দি ভালোবাসা লেখক : আব্দুল্লাহ সাকিব প্রকাশনী : স্বরবর্ণ প্রকাশনী পৃষ্ঠা : ৬৪ আমি সবসময় বলে থাকি যে রোমান্টিক জনরার বই আমার তেমন পছন্দ না। এক বসায় কখনও পড়তেও পারিনা যতই আকার ছোট হোক। একদমই যে পছন্দ না বিষয়টা এরকম না। গদোগদো টাইপের কথা-বার্তা সংবলিত কোনো উপন্যাস পছন্দ না। " ফ্রেমে বন্দি ভালোবাসা " বইটির শুরু থেকেই পড়তে আমার বিরক্ত লাগছিলো। এটা শুরু করেছিলাম ছাত্র আন্দোলনের সময় যখন ইন্টারনেট বন্ধ ছিল। কিন্তু আমার পক্ষে সম্ভব হয়নি শেষ করা। বারবার স্বামী-স্ত্রী'র গদোগদো আলাপে আমি বিরক্ত হয়ে যাচ্ছিলাম। তেমন কোনো অশ্লীল কথা-বার্তা না থাকলেও নিব্বা-নিব্বি টাইপ অনেক কথোপকথন তাদের মধ্যে ননস্টপ চলছিলো। এগুলো হয়তো আমার চেয়ে যারা রোমান্টিসিজম বলতে এসব বুঝেন তাদেরই পড়া উচিত ছিলো। দুই দিন আগে ভাবলাম যে নতুন লেখকদের বই তো আমি সংগ্রহ করি এজন্যই যেন তাদের একটু উপকার হয়।প্রচার-প্রসার হয়। কিন্তু সবসময় আমি একটা খারাপ জার্নি শেষ করি।একবার আমার মনে হয় আর নতুন রাইটার্সের বই পড়া ঠিক হবে না। পরক্ষণেই ভাবি পুরাতন লেখকদের বই নিয়মিত না পড়েই নতুনদের বই পড়তে কষ্ট হয়। তাদের বই পড়লে তো আর নতুনদের বই স্পর্শ করতেও ইচ্ছে করবেনা। সেজন্য সব মিলিয়েই সংগ্রহ করা হয়। যখন যেটার সুযোগ হয়। তাছাড়া নতুনদের লেখা না পড়লে, পর্যালোচনা না করলে,উৎসাহ না দিলে ভবিষ্যতে ভালো মানের লেখক তৈরি হবে কীভাবে? তাদের ভুল গুলোতো পাঠকদেরই ধরিয়ে দিতে হবে এবং তাদের অনুপ্রেরণাও পাঠকদেরকেই দিতে হবে। প্লট : বিষয়বস্তু এমন যে এখানে সাজিদ নামের একজন ছেলে ও জান্নাত নামের একটি মেয়ে মানে তারা স্বামী-স্ত্রী। তিন মাস হলো বিয়ে হয়েছে তাদের। সাজিদের মিমি নামের একজন প্রাক্তন প্রেমিকা থাকে। মূলত তাকে ঘিরেই ৬৪ পৃষ্ঠার এই বইটি লিখা হয়েছে। বানানশৈলী ও শব্দচয়ন : বানানে মোটামুটি অনেক ভুল ছিলো। বিশেষ করে কমন বানানগুলোতে এত ভুল থাকা বিরক্তিকর। শব্দচয়ন ছিলো বাচ্চাদের মতো। মনে হয়েছে নবম-দশম শ্রেণির ছেলে-মেয়েরা যেমন ফ্যান্টাসি তে ভোগে সংসার জীবনের কথা ভেবে সেই ফ্যান্টাসিই এখানে তুলে দেওয়া হয়েছে। এরকম লেখার মান লেখকের ইমমেচিউরিটি ও ব্যক্তিত্বকে ক্ষুণ্ণ করে। এজন্য একজন পাঠক হিসেবে অনুরোধ থাকবে একটু স্ট্রং ও বাস্তবসম্মত লিখা আমাদের উপহার দেওয়ার জন্য। প্লট নিয়ে নিজস্ব মতামত : যদি লেখক এটা নিজের জীবন অথবা অন্য কারোর জীবন থেকে অর্থাৎ রিয়েল লাইফের কোনো বিষয় তুলে ধরে থাকেন সেজন্য এটা আমার মনে হয়না উচিত হয়েছে। যতই হোক। হারাম সম্পর্ক হচ্ছে পাপ। আর এটা এভাবে প্রকাশ করে হাজার হাজার মানুষকে কেয়ামতের ময়দানে সাক্ষী হিসেবে তৈরি করে নিজের বিপদ ডেকে আনা ছাড়া কিছুই না ( এটা পুরোটাই আমার পার্সপেক্টিভ। এটাকে সর্বজনীন ধরার দরকার নাই।) গল্প অনুযায়ী সাজিদের ব্যাকগ্রাউন্ড ছিল মাদ্রাসা। অথচ তারা হারাম সম্পর্কের সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছেছে। অন্তত এরকম প্লট নির্মাণ করা লেখকের পক্ষে উচিত হয়নি। আমি অনেক জেনারেল ব্যাকগ্রাউন্ডের ছেলেদেরকেও এরকম পর্যায় পর্যন্ত যেতে দেখিনা। অনেক ছেলেকে দেখে তো রেসপেক্ট চলে আসে অটোমেটিক। সাজিদ কীভাবে বিয়ের আগে মিমির সাথে জড়িয়ে ধরা,কিসিং পর্যন্ত চলে যায়? মানে লাজ-লজ্জা বলেও তো কিছু থাকে? তার উপর আবার মিমি যখন মানা করে দিলো সে হারাম সম্পর্কে থাকবেনা। এবং হুজুরের বয়ান, হাদিসসহও বললো। তখন সে তাকে ছলনাময়ী, বেইমান ডাকা শুরু করে দিল? সবচেয়ে হাস্যকর বিষয় হচ্ছে তার বউ জান্নাত উরফে জানু এত সহজে তার স্বামীর প্রাক্তনের কাহিনী সব শুনছিলো। আর সাজিদও এমনভাবে বলছিলো যেন সে বিয়ের আগে কত বড়ো মহান কাজ করেছে। তাছাড়া সে জান্নাতকেই তার জীবন ভাবে। অথচ মিমির স্মৃতি গুলোও রাখতে চায়। স্ট্রেইঞ্জ! এত ধৈর্য এখনকার মেয়েদের আবার এত লো পারসোনালিটি এখনকার ছেলেদের? ওহ্ হ্যাঁ। সাজিদ আবার না চাইতেও সব পেয়ে যায়। তার বাবার অনেক টাকা। আর মিমির বাবা খুবই গরীব। অথচ সাজিদ যখন বিয়ে করতে চায় তখন মিমির পরিবার বলে সাজিদ নাকি তাদের পরিবারের জামাই হওয়ারই যোগ্য না। এই ৬৪ টা পৃষ্ঠায় কোন জায়গায়টা যে ভালো লাগলো সেটাই বুঝলাম না। শেষ করতে হবে বলে শেষ করেছি। তবে এটা পড়ে যদি কারোর কিছু বুঝার থাকে তাহলে অন্তত এটা বুঝতে সক্ষম হবেন বিবাহবহির্ভূত প্রেম কষ্টদায়ক। অনিশ্চিত ও তিলে তিলে নষ্ট করে দেয় মানুষকে। এজন্যই আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা এটাকে যিনা বলেছেন। যিনার ছয়টা স্তর আছে। শুধু মন দিয়ে নন-মাহরামকে ভাবা,কল্পনা করাও যিনা। বাকিগুলো তো বলাই বাহুল্য। আর হ্যাঁ, সবার তো আর সাজিদের মতো ভাগ্য ভালো হবে না যে এত ভালো বউ পেয়ে যাবে। তাই এই বই থেকে কিছু শেখার থাকলে শুধু এটাই শিখতে পারবেন বিয়ের আগে প্রেম করে নিজের কষ্টই ডেকে আনা হবে। দুনিয়াতেও জাহান্নামের মতো কষ্টদায়ক আর আখিরাতের জন্য তো বীজ বপন হচ্ছেই। আমার কথা হচ্ছে মানুষ মনে করে বিয়ের আগে একটা মানুষকে জেনে-বুঝে বিয়ে করলে তারা বেশি সুখী হবে, বেশি ভালো থাকবে, রোমান্টিকতায় ভরপুর সংসার হবে। সবাই একটু বেশি ভালো থাকার জন্যই ভালোবাসে। কিন্তু ভালো থাকে কই?
Was this review helpful to you?
or
বই: ফ্রেমে বন্দি ভালোবাসা লেখক: আব্দুল্লাহ সাকিব প্রচ্ছদ: সাদিত উজ-জামান প্রকাশনায়: স্বরবর্ণ প্রকাশনী বিষয়: উপন্যাস পৃষ্ঠা :৬৪ মূল্য :২০০৳ গল্প থেকে : গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র ভোজনরসিক সাজিদ। মধ্যবিত্ত এক শিক্ষিত পরিবারে বেড়ে ওঠে সাজিদ। পরিবারে বাবা-মা, দুই বোন আর একমাত্র ছেলে সাজিদ। বড় বোনের বিয়ে হয়ে শ্বশুর বাড়িতে থাকেন, সাজিদ দ্বিতীয় সন্তান সবার ছোট বোন জিকু কলেজে পড়ে। এদের নিয়ে ছোট্ট একটা গোছানো পরিবার সাজিদের। মূলত বইয়ের গল্পটি শুরু হয়েছে পারিবারিকভাবে নব্য বিবাহিত এক দাম্পত্যি সাজিদ আর জান্নাতকে নিয়ে। কিন্তু পরক্ষণেই গল্পের মোড় ঘুরে যায় সাজিদের পুরনো স্মৃতি জুড়ে। সাজিদের জীবন জুড়ে রয়েছে মিমি নামে এক মেয়ে এবং তার দেয়া কিছু স্মৃতি। বিয়ের পরেও এই স্মৃতিগুলো আঁকড়ে ধরে সাজিদ এখনো প্রশান্তির নিশ্বাস ফেলে। সাজিদ আর মিমিকে ঘিরে গল্প চলতে থাকে পৃষ্ঠা পর পৃষ্ঠা। বিয়ের কয়েকমাস পর হঠাৎ রোজ ডে তে সাজিদ আর জান্নাত বাহিরে ঘুরতে বের হয় কিন্তু সেখানে গিয়েও সাজিদ মিমিকে ঘেরা শহরের অলিতে-গলিতে পুরোনো স্মৃতিতে আটকে পড়ে। সাজিদ কিছুতেই পুরোনো স্মৃতির জগৎ থেকে বেরুতে পারছিলো না। সাজিদ তার পুরোনো স্মৃতিগুলো একের পর এক জান্নাতকে শোনাচ্ছিল। জান্নাত ছিল শান্ত স্বভাবের খুবই বাধ্য একটা মেয়ে। শ্রোতা হিসেবেও দারুণ। তবে স্বামীর মুখে এসব কাহিনি শোনতে মোটেও ভালো লাগছিলো না কিন্তু সাজিদ নাছোরবান্দা প্রতিটি কথায় কথায় মিমির সাথে কতশত দিন একসাথে মিশেছিলো,কতশতবার দেখা হয়েছিলো,একইপথে পাশাপাশি দুজন হেটেছিলো,হাতে হাত রেখে কতশত প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছিলো।দুজনার অনুভূতির সংমিশ্রনে একাকার হয়ে জনম জনম একসাথে থাকার স্বপ্ন দেখেছিলো। একজনের সাথে অন্যজনের একবেলা কথা না হলে দু'জনই অস্থির হয়ে নানান পাগলামী করতো,চোখের জলে বুক ভিজাতো। দু'জনের একদিন দেখা না হলে মনে হতো কয়েক যুগ ধরে দেখা হয়না এসব বলেই যাচ্ছিল আনমনে। সাথে যে বউকে নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছে সেটাও ভুলতে বসেছে প্রায়। জান্নাত মাঝে মধ্যে রেগে যাচ্ছিল বটেই পরক্ষণেই সব রাগ ভুলে নিরব শ্রোতা হয়ে উঠছিল। জান্নাতের একটাই চাওয়া তার স্বামী যেন এই পৈশাচিক স্মৃতি থেকে বেরিয়ে এসে সুস্থ স্বাভাবিক পবিত্র প্রণয়ে মনোযোগী হোন। কে এই মিমি? তাকে ঘিরে সাজিদের জীবনে এতো স্মৃতি বা কিসের? কেন বা মিমিকে আর তাঁর দেয়া স্মৃতিগুলোকে ভুলতে পারছে না? শেষমেশ জান্নাত কি পেরেছিলো সাজিদকে পৈশাচিক যন্ত্রণা থেকে বেরিয়ে আনতে? নাকি মিমির স্মৃতিগুলো আঁকড়ে ধরে জান্নাতকে ভুলতে বসেছিল সাজিদ? এসব জানতে হলে পড়তে হবে পুরো বইটি। বইয়ের কিছু লাইন: ?দৃষ্টিসীমায় নয়নদ্বয় খুঁজে বেড়ায় সুখ, এদিক-সেদিন ফিরে পাইনি তার মুখ। দৃষ্টিগোচরের তৃষ্ণায় ছটফট করে মন, তুৃমিহীনা শূন্য যে বাকি সব ক্ষণ। ? পুঞ্জিভূত কামনা খুঁজে প্রণয়ের জোয়ার, লোচনে অধরে তার তপ্ততার দুয়ার। রক্তাভ পল্লব ডাকে বাক্যহীন ইশারায়, বর্ষণের ইতি টানে গাত্রজুড়াই নিরালায়। পাঠানুভূতি: বইটি পড়তে ভালোই লেগেছে কারণ বইটি ছিলোনা কোন অশ্লীল শব্দ। বর্তমানে যেখানে রোমান্টিক উপন্যাস মানে কারণে-অকারণে, প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে অশ্লীলতা ও যৌনতা এবং গালাগাল ভেসে উঠে বন্যার মতো যা প্রকাশ করা সম্ভব নয়। সেখানে এই বইয়ের লেখক গল্পের চরিত্র উপস্থাপনে অপমান, রাগ-ক্ষোভ, ঘৃণা প্রকাশ করার ক্ষেত্রেও অশ্লীল কিংবা অসম্মানজনক কোন শব্দ ব্যবহার করেননি। সব মিলিয়ে স্বামী-স্ত্রীর রাগ-অভিমান, খুনসুটি, ভালবাসা,সম্মান ও যত্নের মুহূর্তগুলো মনোমুগ্ধকর ছিলো। প্রথম বই হিসেবে চমৎকার ছিলো বইটি। এগিয়ে যান বহুদূর দোয়া রইল। কিছু কিছু বানান মিস্টেক ছিলো। বউকে জানু ডাকটা বেশি হয়ে গেলো মনে হলো। আহ্লাদী ডাকটা ভালো ছিলো? ভুল-ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।জাযাকাল্লাহ খাইরান। রিভিউঃ Tanha Ayat.
Was this review helpful to you?
or
দারুণ একটি বই। লেখার ধারাবাহিকতা খুবই স্বচ্ছ সাবলীল।