User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
porthe valo lagche
Was this review helpful to you?
or
হেরমেন হেসের লেখা "সিদ্ধার্থ" গভীর জীবনদর্শন নিয়ে লেখা একটি বই৷ নতুন করে ভাবতে শেখায় অনেক কিছু৷ বইয়ের নাম একটু বিভ্রান্তি তৈরী করেছিল আমার মাঝে৷ ভেবেছিলাম মহামানব গৌতম বুদ্ধের জীবনকাহিনী হয়তো এই বই। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এটা শাক্যমুনির সময়াশ্রিত একটি গল্প যাতে লেখকের নিজের জীবনবোধ আর অভিজ্ঞতা ফুটে উঠেছে। হেরমেন হেস নিজের জীবনে আত্মহত্যা করতে গিয়ে ফিরে এসেছেন, নোবেল জিতেছেন। তাই তিনি জীবনকে গভীরভাবে চিনেছেন বলাই যায়। বিঃদ্রঃ যারা নতুন করে বই পড়ার অভ্যাস গড়ছেন তারা এই বই শুরুতে অবশ্যই পড়বেন না৷ বাক্য কিছুটা দীর্ঘ, বুঝতে অসুবিধা হতে পারে৷ তাছাড়া ফিকশনধর্মী বই তো নয়ই। বইয়ের কোয়ালিটি : 90/100। ট্যাগ ফিতা দেয় নি। যদিও ছোট বই, তবুও দিলে ভাল হত৷
Was this review helpful to you?
or
পর্যালোচনাঃ সর্বাধিক পঠিত বইসমূহের অন্যতম সিদ্ধার্থ আধ্যাত্মবাদের অবশ্যপাঠ্য একটি বই। কিছূ বই আছে যেটি পড়ার পর আমরা অনুভব করি কেন আর আগে বইটি পরলামনা,আবার পড়তে হবে সিদ্ধার্থ এমনই একটি বই । পড়ার আগে ভেবেছিলাম বইটি গৌতম বুদ্ধের উপর লেখা ,কারন বুদ্ধের প্রকৃত নাম ছিল সিদ্ধার্থ। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সিদ্ধার্থ লেখকের চিত্রায়িত সম্পূর্ণ নিজস্ব একটা চরিত্র যে জিবনের অর্থ অন্বেষণে নিজেকে সমর্পিত করে। শুধু বুদ্ধের সাথে সিদ্ধার্থের কথোপকথনে একটি অধ্যায় সংযোজিত করেছেন লেখক। ব্রাহ্মণ পরিবারের সন্তান সিদ্ধার্থ একসময় তাঁর জিবনের বৃহত্তর সত্যসন্ধানের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে এবং সন্যাসব্রত গ্রহণের জন্য বেরিয়ে পড়ে। সে এবং তার বন্ধু গোবিন্দ যোগ দেয় শ্রমণদের দলে এবং শিখে ধ্যান, উপোষ কারা, ধৈর্য ধারণ কারা ইত্যাদি। সেখানেও সিদ্ধার্থ নিজেকে স্থির রাখতে পারেনা । নির্বাণের পথের সন্ধানে ত্যাগ করে শ্রমণদের আস্তানা। তারপর বুদ্ধের নৈকট্যও তাকে সন্তুষ্ট করতে ব্যার্থ হয় , সে প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে সম্পূর্ণ নিজস্ব এক নির্বাণ পথের । একসময় সিদ্ধার্থ আবার জাগতিক মোহে নিজেকে সমর্পিত করে। জাগতিক মানুষে পরিণত হয়েও কিভাবে সিদ্ধার্থ নির্বাণের পথে অগ্রসর হয় তার সেই শিক্ষনীয় যাত্রা নিয়েই রচিত হেরমান হেস এর বিশ্ববিখ্যাত গ্রন্থ সিদ্ধার্থ। নিজস্ব মতামত ও শিক্ষাঃ নির্বাণ বা পরম সুখ অর্জনের জন্য শ্রমণ হওয়ার প্রয়োজন হয়না প্রয়োজন হয় মনকে একটি স্থির দর্পণে পরিনত কারা যাতে সবকিছু প্রতিফলিত হয়ে ফিরে যাবে,প্রয়োজন হয় বোঝার যে পৃথিবীতে পরম ভাল বা পরম খারাপ বলতে কিছু নেই সবকিছুরই আছে বৈপরীত্য প্রকাশকারী সম্ভাবনা। ভালবাসার দৃষ্টিতে পর্যবেক্ষন করলে সমগ্র সৃষ্টজগতই সুন্দর ও শিক্ষাদানে সক্ষম।
Was this review helpful to you?
or
নোবেল পুরস্কার বিজয়ী জারমান লেখক হেরমান হেস। গৌতম বুদ্ধের অপর নাম সিদ্ধার্থ। কিন্তু হেরমান হেস রচিত সিদ্ধার্থ গ্রন্থের নায়ক আর গৌতম বুদ্ধ দুটি ভিন্ন মানুষ ।সিদ্ধার্থ গ্রন্থ সম্পর্কে বলা যায় সাধারনভাবে পরিজ্ঞাত বুদ্ধকে অতিক্রম করে এখানে নতুন এক বুদ্ধ সৃষ্টি করা হয়েছে।এবং এ সাফল্য অভাবিতপূর্ব। সিদ্ধার্থ জ্ঞান পিপাসায় সংসার ত্যাগ করলেন। কিন্তু তার বন্ধু গোবিন্দ গৌতম বুদ্ধের শিষ্যত্ব গ্রহণ করলেও তিনি করলেন না। কারন তিনি তথাক্তহিত জ্ঞান অর্জন , উপদেশ ও ধর্মের বাঁধনে বাধা পড়েননি। বরং প্রকৃতির থেকে নিজে নিজে শিক্ষা গ্রহণ করেছেন ,যেমন বাসুদেব নিয়েছেন নদী থেকে প্রকৃতি থেকে। নৌকার মাঝি হয়ে বহু লোককে নদী পারাপার করেছেন। তার দীক্ষাই শেষ পর্যন্ত গ্রহণ করলেন হেরমান হেস এর নায়ক। গোবিন্দ প্রথমে বন্ধু সিদ্ধার্থকে চিনতেই পারেননি। সিদ্ধার্থ কিন্তু তাকে ঠিকই চিনেছে। গোবিন্দ সিদ্ধার্থ কে সাষ্টাঙ্গে প্রমান করে ভাবছে কি বিচিত্র মানুষ সিদ্ধার্থ । কি অদ্ভুত তার মতামত..... ভগবান বুদ্ধের শিক্ষার সাথে কত গভীর পার্থক্য। তিনি শিখিয়েছেন দয়া, ক্ষমা, করুণা ও ধৈর্য। কিন্তু শেখাননি প্রেম। পার্থিব প্রেম এ জড়িয়ে না প্রতে তিনি আমাদের উপদেশ দিয়েছেন। সিদ্ধার্থের বক্তব্য সুস্পস্ট ।তিনি তার বন্ধু গোবিন্দকে বিদায়বেলায় বলেছেন আমার মতবাদ শুনে হয়তো হাসবে। গোবিন্দ আমার মনে হয় ভালোবাসা সংসারের সবচাইতে বড় জিনিস । বড় বড় দার্শনিকরা প্রিথিবিকে খুঁটিয়ে পরীক্ষা করতে পারেন, সংসারের কর্ম কান্ডের চমৎকার ব্যাখ্যা দিতে পারেন । ত্রিশটি বিচ্যুতির জন্য পৃথিবীকে ঘৃণা করতে পারেন ,কিন্তু আমাদের পক্ষে সবচেয়ে বড় কথা , এই পৃথিবীকে ভালোবাসা তাকে ঘৃণা করা নয়। আমরা পরস্পরকে ভালোবাসব, এখাঙ্কার প্রত্যেকটি প্রানী ও বস্তুকে ভালোবাসব, সম্মান করব, শ্রদ্ধা করব এই সৃষ্টির সাথে এক হয়ে। সিদ্ধার্থের উপরোক্ত বক্তব্যের মাধ্যমে জার্মান লেখক হেরমান হেস এর ম্নের কথা ব্যক্ত হয়েছে। ব্যক্ত হয়েছে তার নিজস্ব দর্শন। অর্থাৎ প্রকৃতি ও মানুষের প্রতি তার ভালোবাসা। ভালোবাসাই মানুষকে পথের সন্ধান দেয়, সারা জীবন যে পথের স্নধানে সে ঘুরে বেরায়