User login

Sing In with your email

Email Address
Password
Forgot Password?

Not Account Yet? Create Your Free Account

Send

Recipients:
Message:

Share to your friends

Copy link:

    Our Price:

    Regular Price:

    Shipping:Tk. 50

    • Size:
    • Color:
    QTY:

    প্রিয় ,

    সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
    মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?

    Please Login to Continue!

    Our User Product Reviews

    Share your query and ideas with us!

    Customer Reviews

      By Md Rakib Hasan

      15 May 2025 04:45 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      ====== বইয়ের কাহিনী/সার-সংক্ষেপ ====== অন্তরের ডাক ও মনের চাহিদাকে সামনে রেখে কয়জনই বা লক্ষ্যের দিকে অবিরাম ছুটে চলতে পারে? সম্পূর্ণ অনাকাঙ্খিত ও অপ্রত্যাশিতভাবেই কুকুর বাক তার নিশ্চিন্ত ও আরামদায়ক জীবন হারিয়ে পাড়ি দিতে বাধ্য হয় অজানার পানে। সেখানে সে জীবনকে আবিষ্কার করে নতুনভাবে। তাকে ছুঁড়ে দেয়া হয় বরফ-শীতল আলাস্কার বুকে এক নির্দয় পরিবেশে। যেখানে নিদারুণ শ্রম, খাবারের অভাব, নোংরা পরিবেশ, লোভ হচ্ছে নিত্যদিনের সঙ্গী। কিন্তু এর মাঝেও বাক খুঁজে পায় বন্ধুত্বের বন্ধন ও একইসাথে শত্রুতার থাবা। আর প্রতিদিনই সময়ের পরতে পরতে থাকে মৃত্যুর হাতছানি। কিন্তু তবুও আলাস্কার বুকে স্লেজটানা কুকুর বাক এগিয়ে যেতে থাকে তার অন্তরে বাজতে থাকা সেই আদিম শ্বাপদ সংগীতের পানে। নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে অবশেষে প্রকৃতির কোলে বাক নিজেকে আবিষ্কার করে নিজের আসল গন্তব্যে কিন্তু সম্পূর্ণ নতুনরূপে। ========= পাঠ প্রতিক্রিয়া ========== ২০২০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত হলিউড মুভি The Call of the Wild দেখে অন্যরকম এক ভালোলাগা কাজ করেছিলো; যেটা তৈরি হয়েছিলো এই বইয়ের কাহিনীকে উপজীব্য করেই। অবশেষে বইটির অনুবাদও পড়ে ফেললাম। প্রতিটা মানুষেরই নিজের মনের মধ্যে কিংবা তার কিছু স্বপ্ন থাকে হৃদয়ে। খুব কম মানুষই আছে যে তার নিজের এই অন্তরের ডাক শুনে সেই পানে এগিয়ে যেতে পারে। ‘দ্য কল অভ দ্য ওয়াইল্ড’ বইটি সেই হৃদয়ের ডাক শোনার গল্প, সেই অব্যক্ত স্বপ্ন পূরণের গল্প। যে স্বপ্ন পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অবিরত মনের কোণে এক প্রকার খোঁচা অনুভব হতে থাকে। কিন্তু অন্তরের ডাকে ছুটে চলার পথটা কখনোই মসৃণ বা কোমল হয় না। সেখানে থাকে চ্যালেঞ্জ, থাকে প্রতিবন্ধকতা, থাকে লক্ষ্য হতে পিছলে যাবার ভয় কিংবা থাকে মৃত্যুর হাতছানি। বইটি সেসবকে তুচ্ছ মনে করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার গল্প; নিজের স্বপ্নপূরণে আপনার সামর্থ্য যাচাইয়ের গল্প। বইটি একটি অনুপ্রেরণার গল্প। আর সাথে অ্যাডভেঞ্চারের পাশাপাশি রয়েছে আলাস্কার চমৎকার প্রাকৃতিক বর্ণনা। সেখানে প্রকৃতির সৌন্দর্যে যেমন আত্মভোলা হওয়া যায়; তেমনি পদে পদে রয়েছে মৃত্যুর হাতছানি। বইয়ের অনুবাদের মান ভালো ছিলো। তবে অনুবাদটা একটু নিরস লেগেছে। আরো সাবলীল হওয়া প্রয়োজন ছিলো বলে মনে করি। বইটি সকল বয়সের বিশেঃষত আমার মতে কিশোর বয়েসী পাঠক-পাঠিকাদের জন্য দারুণ একটি অ্যাডভেঞ্চার বই। প্রোডাকশনঃ বইটির কভার ডিজাইন ও বইয়ের নাম লেখার স্টাইল ভালো লেগেছে। বাইন্ডিং ও পৃষ্ঠার কোয়ালিটি ঠিকঠাক ছিলো। বানান ভুলও চোখে পড়েনি। ব্যক্তিগত রেটিংঃ ৮/১০।

      By Afroza Kamal

      06 May 2025 05:29 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      boiti hate pelam mone hochhe valo hobe

      By Tä Sü

      25 Mar 2025 10:11 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      “কৃতজ্ঞ কুকুর অকৃতজ্ঞ মানুষ অপেক্ষা শ্রেয়।” - শেখ সাদী। কখনো কখনো আমরা মানুষকে ছাপিয়ে পশুদের ভালোবাসতে শুরু করি। তারা আমাদের ভালোবাসা উপলব্ধি করে, বুঝতে পারে, আমাদের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকে। কিন্তু মানুষ কখনো কখনো পশুর চেয়েও হীন মানসিকতার পরিচয় দেয়। যার কারণে মানব-বন্ধুর থেকে পশু-বন্ধুই আমাদের কাছে শ্রেয় হয়ে ওঠে। আমেরিকার দক্ষিণের গরমাঞ্চলের অধিবাসী জাজ মিলারের বাড়িতে বাক (কুকুর)-এর বসবাস। সারাজীবন বাড়ির অন্যান্য পশুদের ওপর রাজত্ব করে আসা বাকের ভাগ্যে হঠাৎ কালো মেঘ নেমে আসে। বাড়ির এক চাকর লোভে পড়ে বাককে বিক্রি করে দেয়। সাহসী আর উদ্যমী বাক তার নতুন মালিককে মোটেও পছন্দ করে না। হিংস্র হয়ে বারবার ঝাপিয়ে পড়ে কিন্তু পরক্ষণেই মুগুরের বিষম আঘাতে মাটিতে পড়ে যায়। এভাবে মুগুরের আঘাত খেতে খেতে একসময় সে নেতিয়ে পড়ে। বুঝতে পারে এখন আর তার রাজত্ব চলবে না। এখন তার সমস্ত কিছু নির্ভর করবে তার মালিকের ওপর। বাককে ক্রয় করা সেই ব্যক্তি বাককে আবারও হাতবদল করে দেয় আরেকজনের কাছে। সেখানে গিয়ে বাক তার নিজের মতো আরো ডজন খানেক কুকুরের সাথে মিশে যায়। দক্ষিণের সেই গরম অঞ্চল পেরিয়ে এমন জায়গায় যায়, যেখানে বাতাস কাঁটার মতো শরীরকে বিদ্ধ করে। আকাশ থেকে পতিত শুভ্র তুষার ছুঁড়ির মতো পুরো শরীরকে এফোঁড়ওফোঁড় করে দেয়। বাক বুঝতে পারে এখন সে আর আরামের জীবন যাপন করতে পারবে না। তাকে হতে হবে আরো অনেক উদ্যমী, পরিশ্রমী আর হিংস্র। সেই জমাট বাঁধা শক্ত বরফের মধ্যে তার যাত্রা শুরু হয়। সাথে আছে দুই মালিক আর বাকের মতো আরো ৮টি কুকুর। শুরু হয় মাইলের পর মাইল ছোটা। নিরন্তর, বিশ্রামহীন। কিন্তু এভাবে কত? কতদিনই বা এভাবে নিরন্তর চলতে পারবে বাকরা? কীসের খোঁজে ছুটছে তারা এই জনমানবহীন আর বিপন্ন তুষার শুভ্র ভূমিতে? জ্যাক লন্ডনের জীবনের সেরা দুটি সাহিত্যকর্মের মধ্যে “দ্য কল অভ দ্য ওয়াইল্ড” হলো একটি। এই গল্পে উঠে এসেছে আরামপ্রিয় আর রাজকীয় পরিবেশে থাকা এক কুকুরের পরিস্থিতি-পরিবেশের পরিবর্তনে নিজেকে পরিবর্তন করার গল্প। একটা কুকুর পরিস্থিতির কারণে কতটা পরিবর্তন হতে পারে, উদ্যমী, পরিশ্রমী, সাহসী আর হিংস্র হতে পারে, তা-ই বাকের দ্বারা এই গল্পে তুলে ধরা হয়েছে। কিন্তু আপনি একটু চিন্তা করলেই বুঝতে পারবেন, এখানে গল্পটা একটা কুকুরের হলেও তা পুরোপুরি মানুষের সাথে মিলে যায়। মানুষ পরিস্থিতির কারণে কতটা হিংস্র হয়, মনের এক কোণে সবসময় যে একটা গুপ্ত পৈশাচিক বাসনা থাকে, সুযোগ পেলেই যে ক্ষমতা লাভের জন্য যা-ইচ্ছে তা-ই করতে পারে, তা আপনি কুকুর বাককে পড়ার পর সামান্য ভাবলেই বুঝতে পারবেন। মজার ব্যাপার হলো এই বইয়ের লেখক জ্যাক লন্ডনও একসময় এমন তুষার শুভ্র নিষ্ঠুর পরিবেশে স্বর্ণলাভের আশায় পথ চলেছেন। মুখোমুখি হয়েছেন নিষ্ঠুর পরিণতির। যদি বলি এই বইটা তার অভিজ্ঞতার উপর থেকেই লেখা হয়েছে, তাহলে খুব ভুল বলা হবে না। এমনকি লেখকের একটা কুকুরও ছিল। যার নাম ছিল রোলো। এই পুরো গল্পটি একটি কুকুরের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে লেখা হয়েছে। গল্পটি আগো গোড়া একটা অ্যাডভেঞ্চার তা অনুমান করেই ফেলেছেন হয়তো। বইয়ে যেসব চরিত্র ছিল, কুকুর বলেন কিংবা মানুষ, সবগুলোকেই এতো চমৎকারভাবে লেখক সাজিয়েছেন! প্রত্যেকটি চরিত্রের আলাদা বৈশিষ্ট্য। বিশেষ করে বাকের চরিত্রটা এত্ত জোশ! একসময় অতিরঞ্জিত মনে হচ্ছিল, তবে সেটা সম্ভব হতে পারে ভেবে আর অতিরঞ্জিত না ভেবে কন্টিনিউ করেছি। প্লট নিয়ে বলার মতো তো কিছুই নাই। বিশ শতকের গোঁড়ার দিকে লেখা এসব সেরা সাহিত্যকর্মের প্লট কেমন হয় তা আমরা ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি। এক কথায় অসাধারণ। ঘটনার এমন পালাবদলে মোটেও বিরক্তি আসবে না পড়ার সময়। হঠাৎ হঠাৎ ধেয়ে আসা টুইস্ট পাঠকের মনোযোগ একটুও এদিক সেদিক হতে দিবে না। লেখকের বর্ণনাশৈলিও অতি চমৎকার। শুরু থেকে খুটিনাটি সমস্ত জিনিসের বর্ণনার কারণে কোনো জিনিসই আবছা আবছা পার হওয়ার সুযোগ নেই। গল্পে কোনো রহস্য নেই, জটলা নেই। আছে শুধু অক্লান্ত পরিশ্রম, হিংস্রতা আর ভালোবাসার সংমিশ্রণ। অনুবাদ খুবই ভালো। এই অনুবাদকের কাজ প্রথমবার পড়লাম। চমৎকার অনুবাদ। তবে বইয়ের প্যারা আর লাইনগুলো অতিরিক্ত চাপা চাপা মনে হয়েছে। পৃষ্ঠা উল্টোলেই কেমন যেন চোখে ধরে আর বিরক্তি আসে। সামান্য স্পেস দিলে বোধ হয় ভালো হতো। আর বেনজিনের প্রচ্ছদ, প্রোডাকশন নিয়ে বলার অপেক্ষা রাখে না। সবশেষে, তুষার শুভ্র দুর্গম পরিবেশে একটা কুকুরের সাথে মাইলের পর মাইল যদি ছুটতে চান, পদে পদে বিপন্ন পরিস্থিতির মুখোমুখি দাঁড়াতে চান, অরণ্যের ভেতর থেকে ভেসে আসা আদিকালের সেই বিলাপের রহস্য যদি ভেদ করতে চান, তাহলে এই বইটি আপনার জন্য। ব্যক্তিগত রেটিং : ৪.৮/৫ বই : দ্য কল অভ দ্য ওয়াইল্ড লেখক : জ্যাক লন্ডন অনুবাদক : ফাহাদ আল আব্দুল্লাহ প্রকাশনী : বেনজিন পৃষ্ঠা সংখ্যা : ১১২

      By Umar Faruk Akash

      04 Feb 2024 03:07 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      বইঃ দ্য কল অভ দ্য ওয়াইল্ড মূলঃ জ্যাক লন্ডন অনুবাদঃ ফাহাদ আল আব্দুল্লাহ প্রচ্ছদঃ সজল চৌধুরী সম্পাদনাঃ আশরাফুল সুমন প্রকাশনায়ঃ বেনজিন প্রকাশন মুদ্রিত মূল্যঃ ২০০/- পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ১১২ ফ্ল্যাপ থেকেঃ এই গল্প এক সারমেয় সন্তানের নিজেকে খুঁজে পাবার। মানুষের লোভ তাকে নির্দয়ভাবে ছিনিয়ে আনে তার আরাম-আয়েশের জীবন থেকে, তারপর ছুঁড়ে ফেলে দেয় উষর আলাস্কার বুকে। নিদারুণ শ্রম, বন্ধুত্ব আর মৃত্যুর এক অপূর্ব গাথা দ্য কল অভ দ্য ওয়াইল্ড। ১৯০৪ সালে বের হওয়া এই বই তার লেখককে করে তোলে বিশ্ব নন্দিত। অ্যাডভেঞ্চার উপন্যাসটিতে আছে তুষার-ঘেরা আলাস্কার শ্বাসরোধকারী বর্ণনা, আছে মানুষের লোভের আখ্যান, সাথে তার ভালোবাসার বিবরণ। আর আছে বাক, এই গল্পের মূল চরিত্র। বন্ধুর আলাস্কার বুকে স্লেডটানা কুকুর হয়ে বেঁচে থাকার সংগ্রামের গল্পই এই উপন্যাসের মূল উপজীব্য। পাঠপ্রতিক্রিয়াঃ ছোট বেলা থেকেই গাছ পালা পশু পাখির প্রতি আমার স্নেহ প্রবণতা ছিল। আমি এসব অবুঝ প্রাণীগুলোকে ভালোবাসি। যদি বলা হয় প্রানীকেন্দ্রীক চরিত্রের উপর ভিত্তি করে লেখা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ কিশোর ক্লাসিক কোনটা? তাহলে আমি বলবো 'দ্য কল অভ দ্য ওয়াইল্ড।' 'দ্য কল অফ দ্য ওয়াইল্ড' হলো তুষার ঢাকা আলাস্কার বিবরণ, প্রেম, বন্ধুত্ব, ক্যাম্প এবং অ্যাডভেঞ্চারের দারুণ একটা প্যাকেজ। লেখক 'জ্যাক লন্ডন' একটি কুকুরের দৃষ্টিকোণ থেকে খুব সুন্দরভাবে সমাজের অন্বেষণ, মানুষের লোভ, উচ্চাকাঙ্খা তুলে ধরেছেন। বইটির মূল চরিত্র কুকুরটির নাম 'বাক।' মানুষ কিংবা প্রাণী টিকে থাকতে হলে পরিশ্রম করতে হবে। জীবনযুদ্ধে টিকে থাকতে হবে এবং এটাই বেঁচে থাকার ভালোভাবে বেঁচে থাকার মাধ্যম। আরামে জীবন কাটিয়ে দেওয়া অনেক সহজ কিন্তু এটা কোন জীবনই নয়! এটাই বাককে দাম্ভিক আর অহংকারী করে তুলেছিল। সে অন্য প্রানী তো বটেই মানুষকেও তার প্রজা ভাবতে শুরু করে। পৃথিবীটা তার একটা বাড়িতেই সীমাবদ্ধ ছিল বলে বাইরের জগতটা যে কতটা কঠিন হতে পারে সেই ধারনাই ছিল না তার। তার এই বাড়ির স্বাধীনতা বা কর্তৃত্ব যে এখান থেকে বেরুলেই তুচ্ছ হয়ে যেতে পারে তা ছিল ধারণার বাইরে। 'বাক' যাকে তার স্বাধীনতাময় জীবনযাপন থেকে ছিনিয়ে এনে পড়িয়ে দেওয়া হয়েছিলো অস্বাধীনতার শিকল। আপন মানুষের বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হয়ে তার জীবনে নেমে এসেছিলো এক কালো অধ্যায়। “বিশ্বাসঘাতকতার ক্ষেত্রে সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয়টি হচ্ছে যে এটি কখনই আপনার শত্রুদের কাছ থেকে আসে না”। বাক সভ্যতার মাঝ থেকে কয়েকদিনের ব্যবধানে চলে আসলো সম্পূর্ন আদিম জগতে। যেখানে না শান্তি আছে, না নিরাপত্তা আছে না বিশ্রাম আছে। এখানে আছে শুধু মুগুরের আইন। স্বর্ণ সন্ধানী ও অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় মানুষেরা সুবিশাল পৃথিবীর নানা অদেখা প্রান্ত ঘুরে বেড়াচ্ছে। তখনো যান্ত্রিক যোগাযোগব্যবস্থা অতটা প্রতিষ্ঠিত হয়নি। বন্য পরিবেশে যোগাযোগ ব্যবস্থার একমাত্র অবলম্বন ছিল কুকুরের টানা স্লেজ ও ঠেলাগাড়ি। জ্যাক লন্ডনের এই মাস্টারপিসটি সেই সভ্য-সামাজিকতার পূর্বকালীন সময়ের চিত্র ফুটিয়ে তুলেছে একটি কুকুরের জীবনের বর্ণনাকে ঘিরে। বইটা পড়তে পড়তে ভাবলাম, জীবন সত্যিই অনিশ্চত আমাদের জন্য। আজকে যে রাজা আগামীকাল তার জীবনধারনই কঠিন হয়ে উঠতে পারে। কাল কি হবে আমরা কেউ জানিনা। নিজেকে ঠিক সেভাবেই মানিয়ে চলতে শিখতে হয়। জীবনের মোড় কখন ঘুরে যায় বলাবাহুল্য। যেকোনো পরিস্থিতিতে নিজেকে গড়া উচিৎ। মনোবল মজবুত করতে পারলে সব কিছু সহজ হবে। সাময়িক ভাবে কষ্ট করে এগিয়ে যেতে পারলেই সব সম্ভব। সব পরিস্থিতিতে নিজেকে অটুট রাখতে হবে। যে ভালোবাসায় কোনো চাওয়া পাওয়ার হিসেবে নেই সেই সম্পর্কগুলো অন্য রকম। প্রথমত বইটি হাতে পাওয়ার পরে যে-ধরনের এক্সপেকটেশন রেখেছিলাম, বইটা সম্পর্কে। বইটি পড়ার পরে আমার এখন মনে হচ্ছে, আমার ফার্স্ট এক্সপেকটেশন এর তুলনায় বইটা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অনেক অনেক বেশি রোমাঞ্চকর। বইয়ের গল্পটি কিন্ত সত্যিই খুব আকর্ষণীয়। গল্পে ঢুকে পড়বেন তো দ্রুত পৃষ্ঠা উল্টাবেন। সুন্দর এবং গোছানো ছিল। প্লট, কাহিনির বুনন বেশ পরিপক্ব লেগেছে। লেখকের বাচনভঙ্গি ও লেখার ধরণ ছিল সাবলীল। বইয়ের গল্পটি অনেক ভালো ছিল, বেশ দাপুটে একটা প্লট। ফাহাদ আব্দুল্লাহ ভাইয়ের প্রথম পড়া অনুবাদ এটি। সত্যি বলতে উনার অনুবাদ দারুণ প্রশংসনীয় ছিল। একদম জোস ও পরিপক্ব অনুবাদ। বেশ সাবলীল এবং ঝরঝরে। শুরুর দিকে যদিও একটু খটকা লেগেছে ঠিকই কিন্তু ধীরেধীরে অনুবাদক সব শুধরে নিয়েছেন। শেষের দিকে খানিকটা তাড়াহুড়ো স্পষ্ট ছিল। আরেকটু বিস্তারিত বর্ণনা যদি করা হত হয়ত আমার শেষ আক্ষেপটুকুও আর থাকত না।

    •  

    Recently Viewed


    Great offers, Direct to your inbox and stay one step ahead.
    • You can pay using


    JOIN US

    icon Download App

    Rokomari.com is now one of the leading e-commerce organizations in Bangladesh. It is indeed the biggest online bookshop or bookstore in Bangladesh that helps you save time and money. You can buy books online with a few clicks or a convenient phone call. With breathtaking discounts and offers you can buy anything from Bangla Upannash or English story books to academic, research or competitive exam books. Superfast cash on delivery service brings the products at your doorstep. Our customer support, return and replacement policies will surely add extra confidence in your online shopping experience. Happy Shopping with Rokomari.com!