User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নাম : Cosmos ( কসমস ) লেখক : কার্ল স্যাগান অনুবাদক : আসাদ ইকবাল মামুন মূল ভাষা : ইংরেজি ধরন : নন ফিকশন বিষয় : বিজ্ঞান প্রকাশের সাল : ১৯৮০ ISBN : 0-394-50294-9 (প্রথম সংস্করণ) সৃষ্টির শুরু থেকেই অসীম মহাকাশ নিয়ে জানার ইচ্ছা মানুষের । আদিম গুহাবাসী মানুষ রাতের তারাভরা আকাশের দিকে তাকিয়ে জানতে চেয়েছে মহাকাশের অপার রহস্য । আজও মানুষ নিখাদ বিষ্ময় নিয়ে তাকায় আকাশ পানে । ১৯৫০ এর দশকে সোভিয়েত ইউনিয়ন সর্বপ্রথম তাদের মহাকাশযান পাঠায় । তারপর থেকেই আমেরিকা আর সোভিয়েত ইউনিয়ন এর মধ্যে শুরু মহাকাশে আধিপত্য বিস্তারের এক অদৃশ্য লড়াই , যা আজও পরিচিত Space Race নামে । এর প্রায় ৩০ বছর পর মার্কিন জ্যোতিপদার্থবিজ্ঞানী কার্ল স্যাগান প্রকাশ করেন মহাকাশ বিজ্ঞান নিয়ে লেখা তার অনবদ্য গ্রন্থ Cosmos । সাধারণ মানুষের কাছে মহাকাশ সম্পর্কে কৌতুহল এবং জানার আকাঙ্ক্ষা তৈরির জন্য ১৯৭০ এর শেষ দিকে কার্ল স্যাগান এর পরিকল্পনা এবং উপস্থাপনায় শুরু হয় টিভি অনুষ্ঠান ‘Cosmos : A Personal Voyage’ । সারা আমেরিকায় ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় এই অনুষ্ঠানটি । এরপর কার্ল স্যাগান রচনা করেন Cosmos । Cosmos : A Personal Voyage এর পর্বের সংখ্যা ছিলো ১৩ টি । অনুরূপভাবে স্যাগান তার বইকেও বিন্যস্ত করেন ১৩ টি অধ্যায়ে । প্রতিটি অধ্যায়ের সূচনায় তিনি যুক্ত করেছেন মহাকাশ ও সৃষ্টি সম্পর্কে উদ্ধৃতি যা তিনি নিয়েছেন প্রাচীন মায়ান সভ্যতার ধর্মগ্রন্থ থকে শুরু করে বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানীদের রচনা থেকে । শুধু কসমোলজিই নয় স্যাগান তার Cosmos বইয়ে তুলে ধরেছেন বিবর্তনবাদ , নৃ তত্ত্ব , মানব ইতিহাসের বিভিন্ন তথ্য আর তত্ত্ব । স্যাগান জটিল তত্ত্বগুলোকে বর্ণিত করেছেন এমন ভাবে যেনো অতি সাধারণ মানুষও একটি পরিচ্ছন্ন ধারণা পেতে পারে বিজ্ঞান সম্পর্কে । তিনি তার এই বইয়ের দ্বারা মানুষের কাছে অবারিত করেন দূর আকাশের সেইসব মহাজাগতিক বস্তু যা সম্পর্কে মানুষ চিন্তা করেছে স্মরণ অতীত কাল থেকে । কার্ল স্যাগান Viking Lander Imaging Flight Team এর সদস্য ছিলেন ১৯৭৬ সালে যারা প্রথমবারের মতো কোনো গ্রহে মহাকাশযান অবতরণ করাতে সক্ষম হন । Cosmos এর বিভিন্ন অংশে উঠে এসেছে স্যাগানের সেই সময়কার অভিজ্ঞতা যার দ্বারা পাঠকেরা তখনকার মহাকাশ গবেষণার অনেক অজানা তথ্য জানতে পারেন । Cosmos এর বিভিন্ন স্থানে উঠে এসেছে নিউটন , কেপলার , কোপার্নিকাস , টাইকো ব্রাহে , হাইগেনস এর মতো বিজ্ঞানীদের কথা যাদের কাছে মানবকূল চিরকালই ঋণী থাকবে । কার্ল স্যাগান নিজের শৈশবের কথাও বলেন যখন তিনি তার এক অপরিচিত রাস্তাকে মনে করতেন সুদূরের মঙ্গল গ্রহ যা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় আমাদের শৈশবকে যখন আমরা আমাদের চারপাশকে ব্যাখ্যা করতাম নিজেদের মতো করে । কার্ল স্যাগান তার বইয়ে মহাজাগতিক প্রানীদের সন্ধান চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেন কেননা তার মতে মহাজাগতিক প্রানীরা আমাদের জীবন ভাবনা বদলে দিতে পারে নাটকীয়ভাবে । অনুবাদক আসাদ ইকবাল মামুন প্রাঞ্জল্ভাবে অনুবাদ করেছেন আধুনিক বিজ্ঞান বিষয়ক বইয়ের কিংবদন্তীতুল্য এই বইয়ের। বিভিন্ন জটিল বৈজ্ঞানিক পরিভাষার ভাষান্তর খুবই আকর্ষনীয়। তার এই অনুবাদ বাংলা অনুবাদ সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করবে এতে কোনো সন্দেহ নেই। Cosmos মানবজাতির মহাকাশ নিয়ে চিন্তার এক নান্দনিক দলিল যাতে অতীত , বর্তমান আর ভবিষ্যতের মিলবন্ধন । এই বইটি পৃথিবীর প্রথম বিজ্ঞান সংক্রান্ত বই যা পায় বেস্ট সেলারের তকমা । ৩৬৫ পৃষ্ঠার এই বইটি পাঠককে বুঝতে সাহায্য করবে এই মহাবিশ্বের সাথে আমাদের আন্তঃসম্পর্ক । Cosmos শুধুই একটি বই নয় , এটি একটি অতুলনীয় অভিজ্ঞতা । “ আমরা বিশ্বব্রহ্মাণ্ডকে উপলব্ধি করার জন্য এক অভিজাত ও শক্তিশালী পদ্ধতি আবিষ্কার করেছি যার নাম বিজ্ঞান । “ -কার্ল স্যাগান তথ্যসূত্র : উইকিপিডিয়া
Was this review helpful to you?
or
Ending needs to be more specific.Also inception of plethora of stars in galaxy or milky way need to be mentioned
Was this review helpful to you?
or
Very High-Quality Translation.
Was this review helpful to you?
or
Cosmos is magnificent, challenging.… One of the book’s strengths is the way it traces today’s knowledge and today’s scientific method to their historical roots. It is enthusiasm, plus Dr. Sagan’s poetic insight and literary skill, that makes this an eminently readable book. I've really enjoyed the book.
Was this review helpful to you?
or
চমৎকার!এ লেখকের কোন বই আগে পড়িনি,তাই শুরুতে বইটিকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়নি। কিন্তু পুরো বইটি পড়ার পর বলতেইহয় ওরেব্বাপ! অসাধারণ । পৃথিবী, মহাকাশ, মহাবিশ্ব,মানবসত্ত্বা ইত্যাদি নিয়েই লেখক কার্ল সাগান বইটিতে বেশ গভীর এবং বিস্তৃতভাবে আলোচনা করেছেন। এক্ষেত্রে এই বিষয়গুলোকে যুক্তিযুক্ত ভাবে উপস্থাপন করতে গিয়ে তিনি আরো বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে ধর্ম, দর্শন, ইতিহাস, সংস্কৃতি ও বিজ্ঞান। সবশেষে আমার মতামত হলো একজন বিজ্ঞানমনস্ক পাঠক বইটি পড়লে কোনমতেই এটি খারাপ লাগার কথা নয়।
Was this review helpful to you?
or
অসামান্য একটি বই এবং অবশ্যপাঠ্য। ?
Was this review helpful to you?
or
এ এক মহাকাব্য!!!!!!!
Was this review helpful to you?
or
কার্ল সাগান লোকটাকে আমাদের দেশে পরিচয় করিয়ে দেবার দরকার আছে। তবে আমেরিকা এবং ইউরোপে তার নামটিই যথেষ্ট, আর কোন পরিচয় দরকার হয়না। তিনি যদিও একজন বিজ্ঞানী, মহাশুন্যে যে সব স্পেস প্রোব পাঠানো হয়েছে, সেগুলোর কয়েকটাতে তার অসাধারণ অবদান রয়েছে, তবে সাধারণ মানুষ তাকে চেনে তার বিখ্যাত টিভি সিরিয়াল কসমস এবং পরবর্তীতে বই কসমস এর মাধ্যমে। কি আছে এই কসমসে? যেটা এটিকে সারা দুনিয়ায় বিখ্যাত করে ফেলেছে? যেটা তার সৃষ্টিকর্তাকে অমর করে নিয়েছে বিজ্ঞান লেখকদের জগতে এবং আরও অসংখ্য পাঠকের হুদয়ে? এই পৃথিবী এবং তার চারপাশে ঘিরে থাকা অসীম মহাবিশ্বকে নিয়ে নিজের বিশ্বয় একদম নিজের মত করে, সোজা ভাষায় প্রকাশ করেছেন কার্ল সাগান। মানুষকে নিয়ে, মানব সভ্যতাকে নিয়ে, মানব সভ্যতার ভবিষ্যতকে নিয়ে, তিনি তার বিশ্বয়, মুগ্ধতা এবং একই সাথে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিভিন্নভাবে। কোথায় যাবে মানুষ? কি হবে তাদের ভবিষ্যত সমাজ ব্যবস্থা? কোথায় যাবে মানব সমাজ? আগামীকাল সময়টা কেমন হবে? এই প্রশ্নের উত্তর খুজতে তিনি বার বার পেছন ফিরে তাকিয়েছেন, দেখতে চেয়েছেন কোথায় ছিল মানব সভ্যতা। অতীতের আলোয় দেখতে চেয়েছেন ভবিষ্যতের মানুষদের। তিনি কথা বলেছেন সমাজ নিয়ে, কথা বলেছেন জীববিদ্যা নিয়ে, কথা বলেছেন পদার্থবিদ্যা নিয়ে, মহাকাশ বিদ্যা নিয়ে। এসেছে দর্শন, এসেছে ইতিহাস, এসেছে সমাজবিদ্যা। তিনি যেমনটা করে নজর দিয়েছেন বর্তমানে, তেমন করেই দেখতে চেয়েছেন ভবিষ্যত, দেখাতেও চেয়েছেন সবাইকে। তিনি একজন মহাকাশ বিজ্ঞানী, তাই বিভিন্নভাবে তার এই বইতে উঠে এসেছে মহাকাশ নিয়ে নানারকম আকর্ষনীয় দৃষ্টিভঙ্গি। কিন্তু এক কথায় যদি বলা যায়, এটা একটা মহাকাব্য, এটা একটা বৈজ্ঞানিক দর্শন। পড়লে আপনি মানব সভ্যতার অন্তর্নিহিত সত্তায় উকি দিয়ে দেখতে পারবেন। অনুভব করতে পারবেন নিজেকে এবং একই সাথে নিজের চারপাশে গড়িয়ে চলা মানস সত্তাকে। অনুভব করতে পারবেন, আপনি একা নন, অসংখ্য আপনি আপনি মিলেই সবকিছু। নিজেকে অন্যভাবে দেখতে শিখবেন আপনি। অনুবাদ কিছুটা কঠিন হয়েছে। তবে আশা করা যায় পাঠক নিজের মত করেই অনুভব করে নেবেন কার্ল সাগানের বক্তব্য। কারন তিনি কঠিন বিজ্ঞান নিয়ে কথা বলার থেকে বেশি বলেছেন সাধারণ অনুভব নিয়ে। এটা সবার মাঝেই আছে, তাই আশা করা যায় তার বক্তব্য বুঝতে সমস্যা হবে না বেশি একটা।