User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
#রিভিউ_পোষ্ট লেখিকা Farah Azad Dolon ম্যাম, রচিত "নোনা জলের আলিঙ্গনে" একটি পারিবারিক ভ্রমণকাহিনী মূলক বই। বইটি প্রকাশিত হয় ২০২৩ সালে। বইটিতে মোট ১৬টি গল্প রয়েছে। প্রত্যেকটি গল্পেই রয়েছে রচনাশৈলী বর্ননা। ফারাহ্ আজাদ দোলন ম্যাম, দেশ-বিদেশের অসংখ্য জায়গায় ভ্রমন করেছেন, কুড়িয়েছেন সহস্র অভিজ্ঞতা। সেসবের আলোকেই রচনা করেন ভ্রমণকাহিনী মূলক বই। পৃথিবীর শতশত নগর, জনপদ, প্রাচীন স্থাপত্য থেকে শুরু করে অর্থনৈতিক, সামাজিক বিষয় পর্যন্তও তিনি তার বইয়ে তুলে ধরেন। খুব কম সংখ্যক লেখকই আছেন যারা এভাবে বর্ণনা করেন। অনেক লেকখই শুধু একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে গল্পগুলো রচনা করে থাকেন, কিন্তু ফারাহ্ ম্যামের রচনায় সে ছাপ নেই। তিনি তার লেখায় নানান দিক থেকে বর্ননা করেন। ফারাহ্ ম্যামের লেখায় একটা ধীরস্থির ভাব দেখতে পাওয়া যায়, যা সচরাচর অন্য কারো লেখায় পাওয়া যায় না। কক্সবাজার পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত। পর্যটন নগরী, দর্শনীয় স্থানগুলোর মাঝে অন্যতম, প্রতিবছর অনেক পর্যটক আসে দেশ-বিদেশ থেকে। মূলত কক্সবাজার ভ্রমনের আলোকেই সাজানো হয়েছে "নোনা জলের আলিঙ্গনে" বইটি। বইটিতে সুন্দর, সুচারুরূপে দর্শনীয় স্থানগুলোর বর্ননা দেওয়া হয়েছে, যা অন্য কোনো লেখকের লেখায় খুবই কম পাওয়া যায়। মানুষের জীবন, প্রকৃতির রুপ, অর্থনৈতিক, সামাজিক চিত্রগুলোও বর্ণিত হয়েছে সুচারুরুপে । কক্সবাজার, মহেশখালী, সেন্ট মার্টিন দ্বিপ বিগত কয়েক দশকে কেমন ছিল! বর্তমানে কিরূপ অবস্থা ধারন করেছে, সব পরিবর্তনই তুলে ধরা হয়েছে। লেখিকা "ফারাহ্ আজাদ দোলন" ম্যাম ভ্রমণকাহিনীর বর্ণনা দিতে গিয়ে নানা বিচিত্র তার আলোকে স্থানের বর্ণনা, সামাজিক অবস্থা, অর্থনৈতিক রূপরেখা ও বাংলার ইতিহাসে বিখ্যাত মানুষ "মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী", আহমদ ছফা এবং কবি ইমতিয়াজ মাহমুদের কবিতার লাইন তুলে ধরেছেন। ভ্রমনের আলোকে ফুটে উঠেছে না বলা জীবনের গল্প, শৈশব, মানুষের বেদনার কথামালা। পৃথিবীর বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত হওয়ায় প্রতিবছর অসংখ্য মানুষের পাদচারণায় মুখর থাকে সৈকত, হঠাৎ করেই বিদেশি পর্যটক কমে যাওয়ার আলোচনা করা হয়েছে বইটিতে। কক্সবাজারের প্রকৃতির উপর অত্যাধিক মানুষের চাপ বিরুপ প্রভাব ফেলে, কক্সবাজারের সমুদ্রের প্রানীগুলো আজ বিলুপ্তির মুখে! কতৃপক্ষের যথাযথ ব্যবস্থা, হস্তক্ষেপ না থাকায় সব আজ হারাতে বসেছে, এইসব আলোচনাও করা হয়েছে " নোনা জলের আলিঙ্গনে" বইটিতে। সমুদ্রপাড়ের অধিবাসীদের খাদ্যাভ্যাস, চলাফেরা, জীবনযাপন ও সংস্কৃিতিরও যেমন ধারনা পাওয়া যায় তেমনি রোহিঙ্গাদের কথা, করোনার সময়ের কথা, বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের সুবিধা-অসুবিধার কথা বর্নিত হয়েছে সুচারুরূপে। (সংক্ষিপ্ত রিভিউ) বই:- নোনা জলের আলিঙ্গনে লেখিকা:- ফারাহ্ আজাদ দোলন পৃষ্ঠা:- ৬৪
Was this review helpful to you?
or
বেশ কিছুদিন আগেই প্রিয় ফারাহ আজাদ দোলন ম্যামের সদ্যপ্রকাশিত বই "নোনা জলের আলিঙ্গনে" হাতে পেয়েছিলাম। আমার অভ্যাস হচ্ছে নতুন কোন বই হাতে পেলে দ্রুত সেটা পড়ে শেষ করে ফেলা। কিন্তু নানাবিধ ব্যস্ততায় বইটা পড়া শুরু করতে পারলাম আজ। বইটা পড়ার আগে যদিও একটু সংশয় ছিল যে কক্সবাজার ভ্রমণ নিয়ে তো প্রায় সবই জানি, সেখানে এই বইতে নতুন করে আর কী জানতে পারব। তবে ফারাহ ম্যামের লেখনীর সাথে আরো আগে থেকেই পরিচয় থাকায় এটুকু বিশ্বাস ছিল যে উনি এই চিরচেনা কক্সবাজারকে ভিন্নভাবে তুলে ধরবেন। বইটা পড়তে গিয়েও সেই বিশ্বাস আরো দৃঢ় হলো। ফারাহ ম্যাম সত্তরের দশক থেকেই অনেকবার কক্সবাজার গিয়েছেন। তাঁর লেখায় সেইসময়ের কক্সবাজার যেমন আছে, তেমনি এখনকার কক্সবাজারও আছে। শুধু তাই নয়, এই শহর, সমুদ্র সৈকত ও আশেপাশের প্রাণপ্রকৃতি একটা বিবর্তন এর মধ্য দিয়ে যাচ্ছে সেটাও খুব স্পষ্টভাবে উপলব্ধি করা যায়। ফারাহ ম্যাম সমাজবিজ্ঞানে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেছেন। তাই তার লেখায় সমাজসচেতনার উপস্থিতি সবসময়েই লক্ষনীয়। আমরা সাধারণত কোথাও ঘুরতে গেলে সেখানকার দর্শনীয় স্থানগুলোতে ঘুরে বেড়াতেই বেশি পছন্দ করি, সেখানকার অধিবাসীদের জীবনযাত্রা নিয়ে তেমন একটা মাথা ঘামাই না। ফারাহ ম্যামের প্রতিটি ভ্রমণকাহিনিতেই শুধু দর্শনীয় স্থানগুলোর বর্ণনাই থাকে না সেখানকার অধিবাসীদের জীবনযাত্রা, খাদ্যাভ্যাস, লেখাপড়া, সংস্কৃতির একটা বেসিক ধারণাও পাওয়া যায়। এই বইতেও কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন এলাকার মানুষদের জীবনযাপনের বেশকিছুদিক অত্যন্ত সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত পৃথিবীর সবচেয়ে দীর্ঘতম প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকত। তাই স্বাভাবিকভাবেই এটা প্রতি বছর প্রচুর টুরিস্টদের টেনে নিয়ে আসে। যদিও এখন প্রায় সবাই দেশী পর্যটক, কিন্তু একটা সময় কক্সবাজারে প্রচুর বিদেশি পর্যটক আসতেন। বিদেশি টুরিস্ট আসা শুন্যের কোঠায় নেমে যাওয়ার বিষয়টি নিয়েও বইটিতে আলোচনা করা হয়েছে। আর আমার কাছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা মনে হয়েছে কক্সবাজার এর ভূপ্রকৃতির উপর অত্যাধিক মানুষের চাপে এখানকার পরিবেশ এর উপর যে বিরূপ প্রভাব পড়েছে সেটি নিয়ে বেশ তথ্যবহুল আলোচনা। একসময় কক্সবাজার বীচের সীগাল, কাঁকড়া, জেলিফিশ, ঝাউগাছ এখন বলতে গেলে বিলুপ্ত। এগুলো দেখতে হলে এখন যেসব জায়গায় বেশি টুরিস্ট যায় না সেসব জায়গায় যেতে হয়। কিন্তু যথাযথ কর্তৃপক্ষের কঠোর মনিটরিং না থাকলে আর কয়েকবছর পর কক্সবাজারের সমুদ্র থেকে এসব পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়ে যাবে। আমি একজন ক্ষুদ্র পাঠক হিসেবে এটুকু উপলব্ধি করেছি যে কোন লেখকের গভীর জীবনবোধ না থাকলে তার লেখা মানুষের হৃদয় ছুঁয়ে যেতে পারে না। আমার পরিচিত মানুষদের মধ্যে যে কয়জনকে গভীরতম জীবনবোধের অধিকারী হিসেবে জানি তাদের মধ্যে ফারাহ ম্যাম অন্যতম। এই গভীর জীবনবোধের উপস্থিতিই তাঁর যেকোনো লেখার গভীরতা আরো বাড়িয়ে দেয় নিঃসন্দেহে। চেনা কক্সবাজারকে একটু ভিন্নভাবে উপলব্ধি করার জন্য "নোনা জলের আলিঙ্গনে" অপ্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে থাকবে এই কামনা করি।
Was this review helpful to you?
or
" নোনা জলের আলিঙ্গনে " বইটি হলো একটি পারিবারিক ভ্রমণ কাহিনী। বইটি লিখেছেন "ফারাহ্ আজাদ দোলন" । বইটিতে মোট ১৬ টি গল্পে অসংখ্য বিষয়ের কথা উঠে এসেছে । একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সহধর্মিনী হওয়ার সূত্রে তিনি দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করেছেন । এবং তার মধ্য দিয়ে বিভিন্ন অভিজ্ঞতা দিয়ে তিনি বইটি সাজিয়েছেন । লেখিকা বইটিতে সামাজিক , অর্থনৈতিক রূপরেখা তুলে ধরেছেন। তুলে ধরেছেন - রামুর রাবার বাগানের গাছের , মাওলানা ভাসানীর ঝড়ের পূর্বাভাসের গল্প , আহমেদ সফার আব্দুল রাজ্জাক স্যারের বাণী । ভ্রমণকাহিনী তে আরো উঠে এসেছে- স্মৃতিকাতর শৈশব , শুকটির মার্কেটের কথা , রোহিঙ্গাদের কথা , করোনার সময়ের প্রকৃতি যে , তার প্রাণ ফিরে পেয়েছিল তার কথা | তুলে ধরেছেন বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের সঙ্গে অন্য দেশের পর্যটন শিল্পের , সুবিধা , অসুবিধার কথা | আরো তুলে ধরেছেন বিভিন্ন পর্যটন এলাকার বিভিন্ন তথ্য | লিখেছেন পৃথবীর র্দীঘতম সমুদ্র সৈকতের কথা | সর্বপরি বইটি পড়ে আমার খুব ভালো লেগেছে | লেখকের জন্য শুভকামনা অনন্তর | বুক রিভিউঃ " নোনা জলের আলিঙ্গনে " লেখিকাঃ "ফারাহ্ আজাদ দোলন" লেখিকার অন্যান্য বই সমূহ : ১) "বৈচিত্র্যময় দুটি আরব" ২) "বিদ্যাপীঠ ও বিদ্যাগুরুগণ" ৩) "ড্রাগন রাজার দেশে"
Was this review helpful to you?
or
"বই রিভিউ"= নোনা জলের আলিঙ্গনে। লেখকঃ ফারাহ্ আজাদ দোলন। "নোনা জলের আলিঙ্গনে" একটি পারিবারিক ভ্রমণ কাহিনী। বইটি যিনি লিখেছেন, তিনি পৃথিবীর সহস্র নগর-শহর এবং জীবনের বৈচিত্র্য দেখা মানুষ। বহুমাত্রিক মেধার এই মানুষটার পরিচয় দিতে যেয়ে থতমত খাই, তিনি কত কিছুতে নিখুঁত তা বুঝবার সাধ্য নিকটজনদের পক্ষেই কঠিন। প্রথম পরিচয় তিনি একজন কবি। একজন প্রকৃতি প্রদত্ত ক্ষমতার লিখক, একজন সমাজ বিজ্ঞানী, ডিজাইনার,পরিপূর্ণ সাহিত্য প্রাণ। কিন্তু লিখনি পড়ে দেখলে মনে হবে, তিনি একজন গভীর হৃদয়ের দার্শনিক, মনোবিশ্লেষক, স্নেহ পরিপূর্ণ মাতৃ-হৃদয়ের এক প্রতিয়মান দেবী যার কাছে শিশু থেকে বৃদ্ধ আপন হয়ে যায় অজান্তে। ভ্রমণের কাহিনী লিখতে যেয়ে শুধু পথের দেখা নয়, সাধারণ জীবনের অধরা গল্পগুলো ছুয়ে দেখতে চেয়েছেন। সাগরের উত্তাল জলরাশির সাথে অতিত স্মৃতি, পথে পাওয়া মানুষের জীবন, মানুষের অত্যাচারে প্রকৃতির হারানো রূপ, অতিত এবং বর্তমানের ছবি উন্মোচন করেছেন সব্যসাচী শিল্পীর মতো। সাগরে যেমন সহস্ররূপে ক্ষমতার উৎস লুকিয়ে থাকে, "নোনা জলের আলিঙ্গন" বইয়ের ১৬ টি গল্পে অসংখ্য বিষয় উঠে এসেছে অভিজ্ঞতার বিস্ময়ে। লিখা পড়লে মনে হবে, তিনি কবির চোখে প্রকৃতির রূপ দেখেন আর অক্ষর দিয়ে ডিজাইন করেন মানুষের চারপাশ। একজন অতি উচ্চ পর্যায়ের সেনা কর্মকর্তার সহধর্মিণী তিনি। সেই সুত্রে দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলেন, বহুদেশ ভ্রমণ করেছেন। প্রতিটি ভ্রমণের মধ্য দিয়ে তিনি হাজারো অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন। দেশ বিদেশের নানাবিধ অভিজ্ঞতা আমাদের কক্সবাজারমুখী ভ্রমণের গল্পকে সিদ্ধ করেছে। "নোনা জলের আলিঙ্গনে" বইটির ঐতিহাসিক মূল্য আছে। এখন থেকে তিন দশক আগের কক্সবাজার, সেইন্ট মার্টিন, শাহপরীর দ্বীপ,টেকনাফ, রামু,মহেশখালী এবং কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের মূল দর্শনার্থী প্রিয় স্থানগুলোর পরিবর্তনগুলো তুলে ধরেছেন। যারা কক্সবাজারে অঞ্চলে ঘুরতে গেছেন এবং ভবিষ্যতে যাবেন, এই বইটি পড়লে মিলিয়ে নিতে পারবেন নানাবিধ পরিবর্তনজনিত অভিজ্ঞতা। লেখক "ফারাহ্ আজাদ দোলন" আপু সবকিছুর সামাজিক, অর্থনৈতিক রূপরেখা তুলে ধরবার প্রয়াস রাখেন। তিনি সমাজ বিজ্ঞানের একজন মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন, তাই যেখানেই পা রেখেছেন, সেখানকার সমাজচিত্র বুঝবার জন্য পরিসংখ্যান জানার চেষ্টা করেছেন। রামুর রাবার বাগানের গাছ, পরিধী,সেইন্ট মার্টিন দ্বীপের জনসংখ্যা, স্কুল কলেজ, মাদ্রাসা, গাছ পালা এবং প্রাকৃতিক সম্পদের সবই স্পর্শ করেছেন গল্পচ্ছলে। তিনি গল্পের বর্ননার সাথে দেশ বিদেশের বহু বিখ্যাত মানুষের প্রসঙ্গ তুলে এনেছেন। পরম শ্রদ্ধেয় মাওলানা ভাসানী নদীর পানিতে হাত রেখে ঝড়ের পূর্বাভাস দিতে পারতেন, আহমদ সফার গুরু শ্রদ্ধেয় আব্দুর রাজ্জাক স্যারের বাণী, করোনার আক্রমণে থমকে যাওয়া বিশ্ব আর মানুষের নির্যাতনে তপ্ত পৃথিবীর বুকে স্বাধীন জীবকূলের প্রাণ ফিরে পাওয়া,কবি শ্রীজাত'র অসম্ভব সুন্দর দর্শন সম্পন্ন কবিতার লাইন,কবি ইমতিয়াজ মাহমুদ ভাইয়ের কবিতার লাইন কত কিছু এসেছে। ভ্রমণের গল্প বলতে বলতে হঠাৎ এনেছেন জীবনের গল্প,স্মৃতিকাতর কৈশোর, মানুষের অবারিত উচ্ছ্বাস, লুকানো বেদনার কথামালা। "চা অভিযান" নামক গল্পে, সেই পিতামাতার অসীম শুন্যতা,যারা সাধ্যের সবটা দিয়ে সন্তানদের মানুষ করেছে, অঢেল সম্পদ করেছে নিজেদের সুখ বিসর্জন দিয়ে কিন্তু সন্তানেরা কোন খোঁজ নেয়না। এমন কত কথা এসেছে লিখায়। আমি কক্সবাজার এলাকায় দুই বছর কর্মসুত্রে ছিলাম। নোনা জলের আলিঙ্গন" পড়ে নিজের দেখার সাথে মিলিয়ে হতভম্ব হয়েছি। আগের মহেশখালী, কক্সবাজার, টেকনাফ, মেরিন ড্রাইভ আর বর্তমান যেন দুই মেরুর কথা। লিখা বড় হচ্ছে তাই সংক্ষেপণ জরুরী?♂️? সমুদ্রের নীল জলের টানে আমার প্রিয় মাতৃভূমির অপার সৌন্দর্য বিস্ময়, পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের ভ্রমণ কথা লিখেছেন লেখিকা, কথার সুত্র ধরে কখনো নিয়ে গেছেন ভাবনার গহীনে।কখনো পরিমিত বিস্ময় ঘোরে আবার কখনো চলার পথের তিক্ত অভিজ্ঞতার মূলে। প্রকৃতির মতো সহজাত শক্তিময়ী শ্রদ্ধেয় লেখক Farah Azad Dolon আপুর "নোনা জলের আলিঙ্গনে" বই প্রেমীদের জন্য পড়ে দেখার আহবান রইলো। লেখকের অন্যান্য বই সমুহ- ১) "বৈচিত্র্যময় দুটি আরব" ২) "বিদ্যাপীঠ ও বিদ্যাগুরুগণ" ৩) "ড্রাগন রাজার দেশে" প্রিয় লেখকের প্রতি আরও লিখবার অনুযোগ বরাবর। আগামীর সমস্ত প্রবাহে লেখক আরও বেশি সম্মানিত হোক এই প্রার্থনা করি।