User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা #অক্টোবর : ৭ বই : চোখের বালি লেখক : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মূল্য : ২০০টাকা ধরন : মনস্তাত্ত্বিক উপন্যাস পৃষ্ঠা : ১৪৪ মহেন্দ্র, রাজলক্ষীর একমাত্র সন্তান। ডাক্তারি পড়ে সে। সবসময় মায়ের কথার একান্ত বাধ্য এই ছেলেটির সাথে, রাজলক্ষ্মীর ছোটবেলার সখী হরিমতির মেয়ে বিনোদিনীর বিয়ে দিয়ে,তাকে পুত্রবধূ হিসেবে ঘরে তুলতে চায় তার মা। কিন্তু মাতৃস্নেহ হারানোর দোহাই দিয়ে সে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে মহেন্দ্র ।মায়ের প্রতি ছেলের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে এ বিষয়ে বেশিদূর এগুতে আর মন চায় না রাজলক্ষীর। মহেন্দ্রর এক বাবা-মা হারা বন্ধু বিহারীও তাদের বাড়িরই একজন। রাজলক্ষ্মী তাকেও সন্তানের মতই দেখে। রাজলক্ষ্মী এইবার তাকে অনুরোধ করে। কিন্তু বিহারীও ফিরিয়ে দেয় তাকে। অবশেষে অন্যত্র বিয়ে হয় বিনোদিনীর। আর তার কিছুকাল পরেই বিধবা হতে হয় তাকে। মহেন্দ্রের কাকী অন্নপূর্ণা। স্বামী-সন্তানহীনা এ মহিলাটি মহেন্দ্রকে নিজের সন্তানের মত স্নেহ করে। মহেন্দ্র নিজেও কাকী কে ভিষন ভালবাসে। এই নিয়ে রাজলক্ষ্মীর মনে খানিকটা ঈর্ষা ছিল। একদিন অন্নপূর্ণা তার পিতৃমাতৃহীনা বোনঝি আশালতা'র সাথে মহেন্দ্রের বিয়ের ইচ্ছা পোষন করে। মহেন্দ্রর এই ব্যাপারে আগ্রহ না থাকলেও, তার কাকী যে মনঃ কষ্টে ভুগছে এ ব্যাপারটি ঠিকই বুঝতে পারে। অবশেষে মহেন্দ্রের চেষ্টায় বিহারীর সাথে বিয়ে ঠিক করা হয়। মেয়ে দেখার জন্য কাকীকে প্রস্তাব করে সে। বিহারী মহেন্দ্রের বন্ধু হলেও মা-কাকীর স্নেহের পাত্র ছিল সবসময়। কিন্তু আশালতাকে দেখতে গিয়ে হুজুগে আর আবেগী মহেন্দ্র নিজেই বিয়ের জন্য মনস্থির করে এবং শেষ পর্যন্ত নানা বাধার পরও নিজেই আশালতাকে বিয়ে করে। বিহারী এতে খানিকটা আহত হলেও সেভাবে কিছু প্রকাশ করে না। তারপর শুরু হয় আশা-মহেন্দ্রর চড়ুইপাখির সংসার।সমাজ সংসার কে পেছনে ফেলে তারা মেতে ওঠে প্রনয় লীলায়। দিন দিন ছেলের উপর কর্তৃত্ব হারাতে থাকেন রাজলক্ষ্মী । এসব নিয়েই অন্নপূর্ণা ও রাজলক্ষীর মধ্যে মনোমালিন্য শুরু হয়।ফলাফল স্বরূপ, অন্নপূর্ণা বাড়ি ছেড়ে কাশিতে চলে যায় ধর্ম পালনের দোহাই দিয়ে। একপর্যারে মায়ের উপর ছেলের ভালোবাসা পরীক্ষা করতে রাজলক্ষীও চলে যায় গ্রামের বাড়ি। সেখানে গিয়ে দেখা হয় বিনোদিনীর সাথে। তারপর বাড়ি ফিরে আসার সময় রাজলক্ষ্মী সঙ্গে নিয়ে আসে সেই বিধবা বিনোদিনীকে। সংসারী, শিক্ষিত, সুদর্শনা, গৃহকর্মনিপুণা বিনোদিনী অল্প দিনেই সংসারের সকলকে আপন করে নিজের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়। রাজলক্ষী তার কর্তব্যবুদ্ধি ও সেবায় মুগ্ধ হন। বিনোদিনীর মাধ্যমে মনে মনে আশালতাকে জব্দ করার মনোভাবও জাগ্রত হয় তার। বিনোদিনী কিশোরী আশালতার সাথে "চোখের বালি" সই পাতায়। আশালতা তাকে পরিচয় করিয়ে দেয় মহেন্দ্রর সাথে। মহেন্দ্রের সাথে পরিচিত হয়ে তাকেও আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয় বিনোদিনী। তারপরই ঘটে যায় আসল ঘটনা। মহেন্দ্র গোপন এক আকর্ষণে বিনোদিনীর প্রতি অনুরক্ত হয়ে পড়ে। বিনোদিনী তার উদ্ধত যৌবনের অমোঘ আকর্ষনে ক্রমশ পাগল করে তোলে মহেন্দ্র কে। সেই সাথে মুগ্ধ হয় বিহারীর ব্যক্তিত্বে। এই গুণবতী বিনোদিনীর কাছে, কিশোরী আশা হয়ে ওঠে কেবলই হাতের পুতুল মাত্র। বিহারী অবশ্য বুঝতে পারে বিনোদিনী আর মহেন্দ্রর মনোভাব। তাই মাঝে মধ্যে উপস্থিত হয়ে সে কটাক্ষের বাণে বিদ্ধ করতে চায় বিনোদিনী কে, আবার কখনো তার কিছু কিছু আচরণে মুগ্ধ হয়ে তাকে শ্রদ্ধা জানাতেও ভোলে না। নারী প্রকৃতির শুভ চেতনায় বিনোদিনী বিহারীর প্রতি ধীরে ধীরে গভীর ভালোবাসা অনুভব করতে থাকে।কিন্তু মানুষের চাওয়া পাওয়ার সাথে প্রাপ্তির মেলবন্ধন সবসময় হয়ে উঠেনা। একদিকে কিশোরী আশার মহেন্দ্রর প্রতি অকৃত্রিম ভালবাসা, মহেন্দ্রর বিনোদিনীর প্রতি নিষিদ্ধ কামনা, বিনোদিনীর বিহারীর প্রতি প্রচণ্ড টান তাদের জীবনে এক ভয়াবহ ঝড় তোলে। এভাবেই ত্রিভূজ প্রেমের সমীকরন ক্রমশই জটিল আকার ধারন করতে থাকে। ভেঙে তছনছ হয়ে যায় রাজলক্ষ্মীর সাজানো সংসার। কিন্তু তারপর? কি ঘটেছিল তাদের জীবনে? কোথায় গিয়ে ভীড়েছিল তাদের আকাঙ্ক্ষার তরী? পাঠ প্রতিক্রিয়া : "চোখের বালি" কথাটির সাথে আমরা সবাই ভিষণ পরিচিত। হঠাৎ চোখে ধূলোবালি পড়লে আমাদের যেমন অসহ্য অনুভূতি হয়, ঠিক তেমন অনুভূতির কথায় হয়ত প্রকাশ করতে চেয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তাই উপন্যাসটির নাম দিয়েছেন " চোখের বালি" "চোখের বালি" রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম মনস্তাত্ত্বিক উপন্যাস। এর সূচনাতেই তিনি লিখেছেন, " গল্পের আবদার যখন এড়াতে পারলুম না, তখন নামতে হল মনের সংসারের সেই কারখানা ঘরে যেখানে আগুনের জ্বলুনি হাতুড়ির পিটুনি থেকে দৃঢ় ধাতুর মূর্তি জেগে উঠতে থাকে।" আসলেই তিনি মনের কারখানা ঘরেই নেমেছিলেন। আর তাই সূনিপুন ভাবে চিত্রিত করে গেছেন প্রতিটি চরিত্র কে। কিশোরী আশালতার চঞ্চলা, নতুন সংসারের উত্তাল ঢেউতে হাবুডুবু খাওয়া, শ্বাশুড়ির ভৎসনা শুনে দু চোখ ছাপিয়ে জলের ঢল নামানো, আবার বিপর্যস্ত অবস্থায় তার মানসিক পরিবর্তন আমাদের মনকেও দুলিয়ে দেয়। মহেন্দ্রর খামখেয়ালীপনা, বিহারীর ব্যক্তিত্ববোধ আমাদের উদ্বেলিত করে। রাজলক্ষ্মীর অতিরিক্ত পুত্র প্রেম কখনো কখনো আমাদের বিরক্তিতে ভাসিয়ে দেয়। আর বিনোদিনী? যাকে নিয়ে পুরো উপন্যাসটি আবর্তিত, তার চাওয়া পাওয়া, আনন্দ, সংসারের সুখের পিছে ছুটতে গিয়ে ঈর্ষান্বিত হয়ে ওঠা কি আমাদের স্তব্ধ করে না? আমাকে করে। আমি যতবার উপন্যাসটি পড়ি ততবারই আমার কাছে বিনোদিনী, আশালতা জীবন্ত হয়ে ধরা দেয়। উপন্যাসের শেষে হিসেব কষতে বসে যাই আনমনে, কার ভাগ্যে কতটুকু সুখ রইল। আর মনের এই আবেগের উচ্ছাসের আবহনেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর চির সার্থক। তবুও তার উপর রাগ হয় মাঝে মাঝে, তিনি কি একটু বেশিই কষ্ট দিয়ে ফেললেন না বিনোদিনী কে? বঙ্কিম, শরৎ যা পারেননি,তিনি কি চাইলে তা পারতেন না? এই উপন্যাস লেখার প্রায় ৩৯বছর পর তিনি ভিষন অপরাধবোধে ভুগেছিলেন বিনোদিনীর পরিনতি নিয়ে। অনেক অভিযোগ - অনুযোগের পরও আমার কাছে "চোখের বালি" অনন্য। যারা পড়েননি, শীঘ্রই পড়ে ফেলুন
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বইয়ের নামঃ চোখের বালি লেখকঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ধরণঃ চিরায়ত উপন্যাস প্রকাশনীঃ সুচয়নী পাবলিশার্স মূল্যঃ ১২৮ টাকা . বিনোদিনী আর আশালতা দুই বন্ধু। এই দুই নারীর বন্ধুত্বকে কেন্দ্র করেই বইয়ের নামকরণ হয় #চোখের_বালি। "চোখের বালি" উপন্যাসে মূল আকর্ষণীয় চরিত্র হচ্ছে #বিনোদিনী। এই মেয়েটির প্রেমকে কেন্দ্র করেই উপন্যাসের কাহিনী চলতে থাকে। বিনোদিনীর মায়ের খুব ইচ্ছা ছিল মেয়ের বিয়ে রাজলক্ষ্মীর ছেলে মহেন্দ্রের সাথে দেয়ার। কিন্তু মহেন্দ্র? সে নাকি এ জীবনে বিয়েই করবেনা! মায়ের আঁচলের নিচে পড়াশোনা নিয়ে থাকাই তার ইচ্ছা..... অন্যদিকে, মহেন্দ্রের কাকিমা অন্নপূর্ণার খুব ইচ্ছা মহেন্দ্রের সাথে নিজের বোনঝি পিতৃমাতৃহীনা আশালতার বিয়ে দেয়ার জন্য। কিন্তু মহেন্দ্র তো বিয়ে করবেনা! তাই সে কাকিমার অনাথা এই বোনঝির সাথে বিহারীর বিয়ে ঠিক করে। বিহারী হচ্ছে মহেন্দ্রের বন্ধু। মহেন্দ্রের মা রাজলক্ষ্মী নিজের ছেলের মতই ভালবাসেন বিহারীকে। যাইহোক, এক সময় মহেন্দ্র বিহারীকে নিয়ে যায় আশালতাকে কনে দেখতে। তারপর, কি যেন হয়ে যায়.... বিহারীর সাথে বিয়ের কথাবার্তার মাঝখানে হঠাৎ করে মহেন্দ্র ঠিক করে বসে সে-ই বিয়ে করবে আশালতাকে। #আশালতা চরিত্রটি যথেষ্ট ভাল লেগেছে। ঘরকন্নার কাজ আশালতা তেমন জানেনা। দারুণ শান্ত স্বভাবের এক মেয়ে সে। বৌ হয়ে আসার পর থেকেই শাশুড়ি রাজলক্ষ্মী বিষ নজরে দেখতে থাকেন ছেলের বউকে। মহেন্দ্র যেন বিয়ের পর হঠাৎ করেই বদলে যায়! যে ছেলে মা ছাড়া কিচ্ছু বুঝতনা সেই ছেলে হঠাৎ করে কেমন মায়ের আঁচল ছেড়ে আশ্রয় নেয় স্ত্রীর আঁচলে! ভীষন ভালবাসে মহেন্দ্র তার স্ত্রী আশাকে। বিয়ের পর মহেন্দ্রের সারাদিন যেন হঠাৎ করেই স্ত্রীর মধ্যে গুটিয়ে গেল। আশালতা ছাড়া অন্য কোন বিষয় ভাবার সময় যেন নেই তার। জা-য়ের সাথে মনোমালিন্য শুরু হয় রাজলক্ষ্মীর! রাজলক্ষ্মীর রাগ হওয়া হয়তো স্বাভাবিক ছিল, কিন্তু তারপরেও আশালতার কোন দোষ আমার চোখে পড়েনি.... . তারপর, নিজ জন্মস্থান অনেকদিন দেখা হয়নি সে কারণে নাকি ছেলের ওপর অভিমানে রাজলক্ষ্মী ঠিক করেন যাবেন জন্মস্থান বারাসাতে। বিহারীই পৌঁছে দিয়ে আসে রাজলক্ষ্মীকে বারাসাতে। রাজলক্ষ্মী চলে গেলে অন্নপূর্ণাও চলে যান তীর্থে। এইবেলা, শাশুড়ি আর মাসীমা ছাড়া আশালতা যেন একা হয়ে পড়ে। সংসার তার কাছে কেমন খাপছাড়া লাগে.... রাজলক্ষ্মীর এই বারাসাতে যাওয়ার জন্যই হয়তো উপন্যাসে আগমন ঘটে আবার #বিনোদিনী' র বিনোদিনী যথেষ্ট আধুনিকা মেয়ে। শিক্ষিতাও বলা যায় তাকে। কর্মনিপুণা, বুদ্ধিমতী এক অন্যরকম মেয়ে সে। যার কাছে প্রতিশোধ ব্যাপারটাই হয়তো ছিল উপন্যাসে মূখ্য বিষয়! যাইহোক, বারাসাতে বিনোদিনীর সাথে বেশ সখ্যতা গড়ে ওঠে রাজলক্ষ্মীর..... এই সখ্যতাই যে রাজলক্ষ্মীর পরিবারের জন্য অশুভ বার্তা হয়ে আসবে তা হয়তো রাজলক্ষ্মী তখনও জানতেননা..... বারাসাত থেকে নিজ বাড়িতে ফেরার সময় রাজলক্ষ্মী সঙ্গে নিয়ে আসেন বিনোদিনীকে। শাশুড়ি ফিরে আসায় আশালতা যেন প্রাণ ফিরে পায়। সাথে পায় বিনোদিনীর মত সই! বেশ বন্ধুত্ব হয়ে যায় আশালতা আর বিনোদিনীর.... দুই সখীর চলে আনন্দের ঝড়! কি ভালবাসা একজনের জন্য আরেকজনের! ভালবাসার খাতিরেই কিনা কে জানে বিনোদিনী বেশ শাসন করতো আশাকে। ধীর পায়ে কাহিনী গড়ায় অন্যদিকে।...... শুরুতেই মহেন্দ্রের অন্যতম শুভাকাঙ্ক্ষী #বিহারী আস্তে আস্তে বুঝে নিতে পারে কোন অশুভ ছায়া এসে পড়বে মহেন্দ্রের পরিবারে। কিন্তু মহেন্দ্র তখন অন্যরকম এক ঘোরে... কারো আদেশ-উপদেশ শোনার তার বিন্দুমাত্র ইচ্ছা নেই। এক রকম নির্লজ্জের মত অটুট থাকে সে তার সিদ্ধান্তে... #চোখের_বালি উপন্যাসের কেন্দ্রীয় পুরুষ চরিত্রে মহেন্দ্র থাকলেও ধীরে ধীরে মহেন্দ্রের জায়গা জুড়ে নেয় বিহারী! এক সময় হঠাৎ করে বিহারী হয়ে যায় উপন্যাসের মূল পুরুষ চরিত্র! মহেন্দ্র আর বিহারীর বন্ধুত্বে ধরে ফাটল.... কেন? হঠাৎ করেই যেন উপন্যাসের প্রত্যেকটি চরিত্র নির্ভরশীল হয়ে পড়ে বিহারীর ওপর। সেও যথাসাধ্য চেষ্টা করে সকলের নির্ভরতার মূল্য দিতে.... কিন্তু বিহারী কি সত্যি পারে আবার সেই আনন্দ ফিরিয়ে আনতে তার চিরচেনা পরিবারে? তার বন্ধুত্বের পরিচয় দিতে? . বেশ জটিল দিকে চলে যায় উপন্যাসের কাহিনী। তারপর........... জমা থাকুক :) . #পাঠপ্রতিক্রিয়াঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের #চোখের_বালি উপন্যাস হল তার চতুর্থ উপন্যাস। ১৩০৮ বঙ্গাব্দের ১জ্যৈষ্ঠ (১৫ মে, ১৯০১ সাল) উপন্যাসটি প্রকাশিত হয়। গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় ১৩০৯ বঙ্গাব্দের ২২ চৈত্রে (২২ এপ্রিল,১৯০৩ সাল)। বইটি আমার কাছে চমৎকার লেগেছে, কারণ- সহজ-সরল ভাবে এই বইটি রচিত। বেশ ধীরে কাহিনী বদলে যায়। ভাল লাগার কথা বলতে গেলে "বিহারী" চরিত্রটি অসাধারণ লেগেছে, এবং "আশালতা" চরিত্রটিও বাড়িয়েছে ভাল লাগার পরিমাণ :) খারাপ দিক বলতে গেলে "মহেন্দ্র" চরিত্রটাই বেশী খারাপ ছিল। যাইহোক, সবদিক বিচারে "চোখের বালি" উপন্যাস রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি সার্থক উপন্যাস অবশ্যই! সাহিত্যে নতুন যুগের সূচনা তৈরি করা এই উপন্যাসটি পড়লে ভাল লাগবে বলেই আমার মনে হয়..... হ্যাপি রিডিং :)