User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
অনুবাদ কোয়ালিটি জঘন্য
Was this review helpful to you?
or
বইটা ভালোই ছিলো। I am satisfied ?
Was this review helpful to you?
or
আমি জানি না, আমার কাছে কেন মনে হচ্ছে বইটা ফোটোকপি!! বইয়ের প্রথম এবং শেষ পাতা, যেটায় শুধুমাত্র বাতিঘর প্রকাশনী লিখা আছে, এ ছাড়া বাকি সব পৃষ্ঠায় সাধারণ কাগজ দিয়ে ছাপা! নিউজপ্রিন্ট টাইপ কাগজে বই পেয়ে আশাহত! মূলত এই প্রকাশনীর দুইটো বই এরকম পেলাম। কেন জানি নিজেকে ঠকানো হয়েছে মনে হচ্ছে।
Was this review helpful to you?
or
ভালো বই। অনুবাদও বেশ ভালো।
Was this review helpful to you?
or
।।#বুক_রিভিউ।। (পোস্ট নং ১) # দ্য শাইনিং। লেখকঃ স্টিফেন কিং। অনুবাদঃ তানজীম রহমান। প্রকাশনীঃ বাতিঘর। ভূমিকাঃ ‘It’ll shine when it shines.’ হরর ঘরানার এই উপন্যাসটি পুরো পৃথিবীতেই খুব বিখ্যাত। নিউইয়র্ক টাইমস’র মতে, স্টিফেন কিং’র এই বিখ্যাত উপন্যাসটি রাতের বেলা কেউ একা পড়তে পারবে না। গল্পটা এতটাই রোমহর্ষক। আমার অবশ্য রাতের বেলা একা একা পড়তে তেমন কোনো অসুবিধা হয়নি, আমি আবার অনেক সাহসী কি-না। কাহিনী সংক্ষেপঃ গল্পটা ওয়েন্ডি নামের একজন মায়ের যার সমস্ত চিন্তা তার একমাত্র ছেলে ড্যানিকে ঘিরে আবর্তিত হয়, গল্পটা জ্যাক টরেন্স নামের একজন বাবারও। বদমেজাজী, অ্যালকোহলিক হওয়া সত্ত্বেও যার ভেতরে লুকিয়ে আছে সাহিত্যিক প্রতিভা। যে কি-না স্বপ্ন দেখে একদিন সে আমেরিকার নামজাদা একজন লেখক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। সেই সাথে গল্পটা ওভারলুক নামের একটা হোটেলেরও। যেটা কি-না কয়েক দশকের অভিশাপে বিপর্যস্ত। আর আছে অদ্ভুত এবং বিরল প্রতিভার অধিকারী একটা বাচ্চা ছেলে ড্যানি। যে কি-না নিজের অজান্তেই দেখতে পায় ভবিষ্যৎ, পড়ে ফেলতে পারে মানুষের মনের কথা। ঘটনা চক্রে নিজের এক ছাত্রের সাথে মারপিট করার দরুণ শিক্ষকতার চাকরিটা হারাতে হয় জ্যাক টরেন্সকে। আর্থিক ভাবে সে যখন অসহায় তখন তার এক বন্ধুর কৃপায় প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থিত এক হোটেলে কেয়ারটেকারের চাকরি জুটে যায় তার। এটা এমন একটা হোটেল যেটা পুরো শীতের তুষার পাতের সময় সাময়িক ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়। আর এই খণ্ডকালীন সময়েই হোটেলটাকে দেখে-শুনে রাখার দায়িত্ব চাপে টরেন্সের ঘাড়ে। কোনো পথ খোলা না থাকায় স্ত্রী ওয়েন্ডি আর পাঁচ বছরের ছেলে ড্যানিকে নিয়ে জ্যাক টরেন্স হাজির হয়ে যায় জনবিরল সেই হোটেল ওভারলুকে। হোটেলে পৌঁছানোর পর থেকেই অদ্ভুত অদ্ভুত সব ঘটনা ঘটতে শুরু করে। টপিয়ারির ঝোঁপগুলো যেন জীবন্ত হয়ে উঠেছে, আর ২১৭ নং কক্ষের বাথটাবে শুয়ে আছে পচে যাওয়া একটা লাশ। অদ্ভুত হলেও সত্য লাশটা জীবন্ত। বাথটাব থেকে উঠে হেঁটে বেড়ায় পুরো কক্ষ জুড়ে। আরও আছে অনেক কিছু...একটা স্ক্র্যাপবুক, বলরুম, বিশ্বযুদ্ধের সময়কার মুখোশ পড়া কিছু মানুষ, লিফট, বয়লার...অদ্ভুততার যেন কোনো শেষ নেই। এক এক করে পুরো হোটেলটাই যেন আস্ত একটা পিশাচে পরিণত হয়ে গেছে। যে কি-না ড্যানির অদ্ভুত ক্ষমতাকে নিজের করে পেতে চায়। সেই সাথে গিলে নিতে চায় টরেন্সের পুরো পরিবারটাকেই। আর তার সেই আকাঙ্ক্ষার লকলকে জিভটাকে তৃপ্ত করতে পিশাচটা নিজের সেনাপতি হিসেবে বেছে নেয় ড্যানির বাবা জ্যাক টরেন্সকে? কোনো উপায় না দেখে সরাসরি পিশাচটার সাথে যুদ্ধে নামে ড্যানি। পাঁচ বছরের ছোট একটা বাচ্চার প্রতিপক্ষ কয়েক দশকের পুরনো কতগুলো প্রেতাত্মা। তারপর? তার...পর। জানতে হলে পড়তে হবে স্টিফেন কিং’র বিখ্যাত হরর উপন্যাস ‘দ্য শাইনিং’। লেখক পরিচিতি: স্টিফেন কিং, হরর জগতে এমন এক নাম যার সাথে বইপোকাদের পরিচয় করিয়ে দেওয়ার ধৃষ্টতা আমার নেই। তবুও...প্রখ্যাত এই লেখক ১৯৪৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন। আর দ্য শাইনিং হলো এই লেখকের তৃতীয় উপন্যাস যার ব্যাপক সফলতা আর জনপ্রিয়তা রাতারাতি এই লেখককে প্রথম শ্রেণির লেখকে পরিণত করেছে। কথিত আছে যে, প্রতিভাবান এই লেখক প্রতিদিন প্রায় দুই হাজার করে শব্দ লিখেন। অনুবাদক পরিচিতিঃ তানজীম রহমানের জন্ম এবং বেড়ে উঠা ঢাকা শহরে। পড়াশোনা করেছেন নর্থ-সাউথ ইউনিভার্সিটিতে। দ্য শাইনিং-উপন্যাসটি এই লেখকের প্রথম অনুবাদ করা উপন্যাস। সেই সাথে উনি বেশ কয়েকটি মৌলিক থ্রিলারেরও স্রষ্টা। পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ আমি নিশ্চিত, ঘোরটা কয়েকদিন আমাকে তাড়িয়ে বেড়াবে। তবে শেষটা আমার মন মতো হয়নি। আশা করি যারা পড়েছেন তারা আমার সাথে একমত হবেন। আর বাতিঘর প্রকাশনীকে বানানের ব্যাপারে আরও অনেক বেশি সতর্ক হতে হবে। তবে অনুবাদ বেশ ঝরঝরে। এটা অস্বীকারের কোনো উপায় নেই। যারা হরর ঘরানার বই পছন্দ করেন স্বাভাবিক ভাবেই বইটা তাদেরকে আলোড়িত করবে বলেই আমার বিশ্বাস। বইটিতে বীভৎসতার ব্যাপারগুলোও লেখক অদ্ভুত শিল্প সুষমায় উপস্থাপন করেছেন যা একজন পাঠকের মনে দাগ কাটতে বাধ্য। ছোট ছোট কিছু টুইস্টও আছে যা আপনা-আপনিই আপনার চোখগুলোকে মার্বেলের মতো করে তুলবে। প্রিয় একটা অংশঃ আলম্যান বলল, আপনি এখনও আত্মহত্যা করেননি জেনে ভালো লাগলো। শুনেই মেজাজটা খিঁচড়ে গেল জ্যাকের। যথাসম্ভব শান্ত থেকে সে বলল, আসলে এত কাজ সময়ই পাচ্ছি না। তবে ক্রিসমাসের আগেই শুভ কাজটা সেরে ফেলবো বলে আমার বিশ্বাস। শুনেই গম্ভীর হয়ে গেল আল।, কি জন্য ফোন করেছেন বলুন। আপনার রসিকতা শোনার মতো সময় আমার হাতে নেই। অনুবাদস্বত্বঃ মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন। প্রথম প্রকাশঃ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ইং। প্রকাশকঃ মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন। প্রচ্ছদঃ ডিলান। মুদ্রণঃ একুশে প্রিন্টার্স। মূল্যঃ ২৪০ টাকা। (মুদ্রিত মূল্য) পৃষ্টাঃ ২৮৫। রেটিংঃ ৪.৯/৫। হ্যাপি রিডস রেটিংঃ ৪/৫। রিভিউঃ © শুভাশীষ বাপ্পী।
Was this review helpful to you?
or
Name : Shining (The Shining #1). Author : Stephen King. Genres : Horror, Fiction, Thriller, Classic. !!!বইটা পড়ে স্টিফেন কিং-এর ভক্ত হয়ে গেলাম। এই সিরিজের পরবর্তী বই পড়ার অপেক্ষায় আছি!!!
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা --- কাহিনী সংক্ষেপঃ জ্যাক টরেন্স--- একটি নামকরা স্কুলের ইংরেজির শিক্ষক। যার দুইটি ভয়ানক দোষের মধ্যে একটি হচ্ছে প্রচন্ড এ্যালকোহল আসক্তি এবং অপরটি হচ্ছে নিয়ন্ত্রণহীন ক্রোধ। রেগে গেলে মানুষ থাকেনা জ্যাক। এই বদমেজাজের কারণেই একসময় চাকরি হারাতে হয় তাকে। কর্মহীন অবস্থায় পরিবার সামলাতে সে যখন দিশেহারা প্রায় তখন এক হোটেলে কেয়ারটেকারের চাকরি দিয়ে তাকে উদ্ধার করে তার এক বন্ধু। পুরো শীতকালটা জ্যাককে অতিথিশূন্য হোটেলটার দেখাশোনা করতে হবে। ডুবন্ত মানুষের হাতের কাছের খড়কুটার মতো এই চাকরিটা পেয়ে জ্যাকও রাজি হয়ে যায়। স্ত্রী আর পাঁচ বছরের ছেলেকে নিয়ে চলে যায় হোটেলটিতে। জ্যাকের ছেলে ড্যানি। খুবই লক্ষ্মী একটা বাচ্চা। পাশাপাশি খুব বিশেষ একটা ক্ষমতার অধিকারী। অন্য মানুষের ভাবনাগুলো পড়তে পারে সে। কখনো কখনো দেখতে পারে ভবিষ্যৎ। হোটেলটাকে ঘিরে অশুভ এক ভবিষ্যতের ছবি ভেসে ওঠে ওর চোখের সামনে। কিন্তু ও বুঝতে পারে ওদের ছোট্ট সংসারটা টিকিয়ে রাখতে হলে, বাবা মায়ের মধ্যে ভালোবাসাটা অক্ষুণ্ন রাখতে হলে, বাবাকে এই চাকরিটা করতেই হবে। বর্তমানের সুখটাকে টিকিয়ে রাখতে গিয়ে ভবিষ্যতের অমঙ্গল চিন্তাভাবনাকে সে দূরে সরিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু এই সিদ্ধান্তই কি ওদের জীবনের সবচেয়ে বড় অভিশাপ হয়ে নেমে আসবে? ওলটপালট হয়ে যাবে সবকিছু? না কি ড্যানি পারবে তার মানসিক ক্ষমতা দিয়ে সব অশুভ শক্তির মোকাবিলা করতে? ... পাঠপ্রতিক্রিয়া পড়ে বলছি। পাঠচলাকালীন প্রতিক্রিয়াটা আগে বলে নেই। বইটা পড়া শুরু করেছি সকালে। দিন গড়িয়েছে আর গড়িয়েছে বইয়ের কাহিনিও। নিজের মধ্যে একটা ড্যাম কেয়ার ভাব ছিলো রাত হলেও বইটা শেষ করতে ভয় পাবোনা। সেই মোতাবেক রাতেও বইটা পড়ছি। হঠাৎ আবিষ্কার করলাম ঘরের ভেতর আমিই একমাত্র জীবন্ত মানে জাগ্রত প্রাণি। আর সবাই ঘুমে। সাথে সাথেই একটা অদ্ভুত ভয় আচ্ছন্ন করে ফেললো। বইটা বন্ধ করে শুয়ে পড়লাম। কিন্তু কাহিনীর শেষটা না পড়ে ঘুমও আসছিলো না। ভাগ্য সদয় হলো। ঘরের ভেতর একজন জেগে উঠলো কি একটা কাজ করবার জন্য। আর আমিও সেই সুযোগে পড়ে নিলাম বাকিটা। এমনই বই, পড়তে ভয়ও লাগবে কিন্তু না শেষ করে রেখেও দেয়া যাবেনা। ... এবার আসি পড়ার পরের প্রতিক্রিয়ায়। ক্ল্যাইমেক্সটা পড়ে মন খারাপ হয়ে গ্যাছে। আর শেষ করার পর শুরু থেকে সব ঘটনাগুলো আবার মাথার ভেতরে পর্যাক্রমে চলেছে। অনুবাদটা সাবলীল ছিলো যার কারণে পড়ার সময় বিরক্তি আসেনি। ভালো লেগেছে। ... চরিত্রগুলোর ব্যাপারে বলতেই হয়। জ্যাক বদমেজাজি এবং তার স্ত্রী ওয়েন্ডি তার প্রতি বিরক্ত হলেও পরিবারের সবার মধ্যেই একটা জিনিস খুব প্রবল--- ভালোবাসা। তিনজন সদস্যই পরস্পরকে খুব ভালোবাসে এবং এই গুণটাই চরিত্রগুলোর অন্যান্য দোষগুলিকে ফিকে করে দেয়। আর সবচাইতে বেশি ভালো লেগেছে ড্যানিকে। বাচ্চাটা কি যে ভালো, কি যে ভালো! খুব ভালো লেগেছে চরিত্রটা। তো মোটের উপর দ্য শাইনিং বেশ সন্তুষ্টিকর। পড়ে দেখুন সুযোগ হলে... ... ... বইয়ের নামঃ দ্য শাইনিং ধরণঃ হরর-থৃলার লেখকঃ স্টিফেন কিং অনুবাদকঃ তানজীম রহমান প্রকাশনঃ বাতিঘর পৃষ্ঠাঃ ২৮৪ দামঃ ২৬০/- (মলাট মূল্য) রেটিংঃ ৪.৫/৫
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বইঃ দ্য শাইনিং মূল: স্টিফেন কিং অনুবাদ: তানজিম রহমান ধরণ:হরর থ্রিলার প্রকাশনী: বাতিঘর প্রকাশনী মুদ্রিত মুল্য:২৬০ টাকা কাহিনী সংক্ষেপে: জ্যাক টরেন্স, তার স্ত্রী উইনিফ্রেড(ওয়েন্ডি), তাদের পাচ বছরের ছেলে ড্যানি এবং হোটেল ওভারলুক নিয়েই মুলত এই কাহিনী রচিত। জ্যাক টরেন্স একজন লেকচারার, পাশাপাশি একজন লেখকও।কিন্তুমদের নেশা আর প্রচন্ড রাগ এর ফলে সে চাকরিচ্যুত হয়।এরপর তার বন্ধু মিঃ শকলি প্রত্যন্ত অঞ্চলের এক হোটেল এ হোটেল ওভারলুক এ জ্যাক কে কেয়ারটেকার এর চাকরি দেয়।জ্যাক এখানে তার অর্ধপূর্ণ নাটক পূর্ণ করতে চায় এবং আবার সাভাবিক জীবনে।ফিরতে চায়।ইতিমধ্যে সে মদের নেশাও ছেড়ে দিয়েছে।জ্যাক এবং ওয়েন্ডির ছেলে ড্যানি একটু ভিন্ন প্রকৃতির। সে এমন কিছু শুনতে ও দেখতে পারে যা অন্য সাধারণ মানুষ পারে না। ছোট্ট ড্যানি বুঝতে পারে হোটেল ওভারলুক তার এবং তার পরিবারের ওপর আসতে চলেছে অনেক।বড় বিপদ। এরপর হোটেল এ ঘটতে থাকে কিছু অদ্ভুত ভুয়ংকর ঘটনা। হোটেল এর পঞ্চাশ বছর পুরোনো এক আত্মা হরণ করতে চায় ড্যানির ক্ষমতা। পঞ্চাশ বছর পুরনো আত্মা, হোটেল ওভারলুক থেকে ড্যানি কি পারবে নিজকে ও তার পরিবার কে রক্ষা করতে???????? জানতে হলে পড়ে ফেলুন পাঠ প্রতিক্রিয়া: বইটি হরর টাইপ হলেও ভয় একদমই পাইনি। কিন্তু বইয়ের প্লট ভালো লেগছে। লেখকের একটি মাস্টারপিস এই বইটি।অনুবাদ যথেষ্ট ভালো।একঘেয়ে লাগে নি।প্রকাশনীর তেমন কোনো ভুল চোখে পড়ে নি। এক কথায় অসাধারণ। আমার রেটিং :৪/৫। বইটি পড়তে পারেন আশা করি ভালো লাগবে। রকমারি লিংক: https://www.rokomari.com/book/34054/দ্য-শাইনিং
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা এক সমীক্ষায় ৭ লক্ষ পাঠকের হিসাবে ৪.২৫ রেটিং পাওয়া বইয়ের নাম "দ্য শাইনিং"। পাঠকদের বিরাট অংশ একে উল্লেখ করেছে এ যাবৎকালের পঠিত বইয়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভয়াবহ বলে। "দ্য শাইনিং" এর লেখক একবার হোটেল ওভারলুকে বেড়াতে যান। মজার বিষয় হল, পুরো হোটেলে শুধু তিনি এবং তার স্ত্রীই ছিলেন। আর কোনো অতিথি সেখানে ছিল না। নিস্তব্ধ করিডোর, জনশুণ্য ডাইনিং রুম, সব মিলিয়ে স্টিফেন কিং এর মাথায় এই ভৌতিক উপন্যাস লেখার প্লট আসে। এই হাড় শীতল করা বইয়ের রিভিউ: এই পুরো প্লটের কেন্দ্রীভুত চরিত্র ছিল তিনজন। জ্যাক টরেন্স, তার স্ত্রী ওয়েণ্ডি, এবং তাদের সন্তান ড্যানি। জ্যাক ওভারলুক হোটেলের কেয়ারটেকার হিসেবে চাকরী পায়। কিন্তু এই ওভারলুক হোটেল প্রতি শীতকালে ব্যাপক তুষারপাতের কারণে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পারত:পক্ষে শীতকালে কেওই সেখানে থাকতে চায় না। এমনই এক শীতকালে হোটেলে থাকার সময় শুরু হয় নানান ভৌতিক ঘটনা। কী চায় সেই অন্ধকারের মানুষগুলো? আচ্ছা এটা তো অালোর বিপরীতে অবষ্থানকারী প্রেতাত্মাদের নিয়ে কাহিনী। তাহলে বইয়ের নাম দ্য শাইনিং কেন?? কার মধ্যে আছে জ্যোতি? জানতে হলে আর দেরি কেন??? বই আপনার জন্য অপেক্ষমান। পাঠপ্রতিক্রিয়া: "ন্যাশভিল ব্যানার"এ বই প্রসঙ্গে উল্লেখ করেছে:' এই গা শিউরে ওঠা উপন্যাসটি আপনাকে তাড়িয়ে বেড়াবে, আপনার রক্ত হিম করে তুলবে।' নি:সন্দেহে তাই হয়, আপনি যত গভীরে যাবেন, ততই আপনার শ্বসন দ্রুততর করে দিবে এই অসাধারণ ভৌতিক উপন্যাস। প্রসঙ্গত: এই বইটি লেখকের তৃতীয় উপন্যাস, যা প্রকাশ হবার পর বেস্ট সেলার তো হয়ই, তার সাথে সাথে একরাতের মধ্যে এই উপন্যাস লেখককে প্রথম শ্রেণির ঔপন্যাসিকে পরিণত করে দেয়। এই উপন্যাস নিয়ে পরবর্তীতে সিনেমাও নির্মিত হয়। সবকিছু মিলিয়ে এই বইয়ের রেটিং আমার কাছে ৪/৫ অনুবাদ প্রসঙ্গে: বইয়ের অনুবাদ সাবলীল, এবং প্রাঞ্জল। পাশ্চাত্যে এ বই নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে। পাঠক সমাজ একে এ যাবৎ কালের সবচেয়ে বড় ভৌতিক উপন্যাস বলে আখ্যায়িত করেছে। যদিও আমার কাছে ততটা ভৌতিক মনে হয় নি। সম্ভবত অনুবাদের কারণে। তারপরেও অনুবাদ পড়ে লেখক কী বলতে চেয়েছেন পাঠক সহজেই বুঝতে পারবেন। আমার কাছে অনুবাদের রেটিং-৪.৫/৫
Was this review helpful to you?
or
সেই লেভেলের ফালতু অনুবাদ।
Was this review helpful to you?
or
দ্য শাইনিং উপন্যাসটিকে হরর থৃলার জগতের ক্লাসিক মাস্টারপিস বলা হয়। আর এর লেখক স্টিফেন কিং সাহেবকে বলা হয় দ্য মাস্টার অফ হরর। উপন্যাসটা শেষ করার পর এই দুটি উদ্ধৃতিরই সত্যতা আমি উপলব্ধি করেছি। জ্যাক আর ওয়েন্ডি স্বামী স্ত্রী। তাদের পাঁচ বছরের একটা বাচ্চা ছেলে আছে যার নাম ড্যানি। আসলে এই পুরো উপন্যাসই ড্যানির Paranormal Intution আর আত্মাদের আধিভৌতিক কাজ-কারবারকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে। জ্যাক সাবেক মদ্যপ এক ব্যক্তি। যে অনেক কষ্টে মদ থেকে নিজেকে দূরে রেখেছে, কিন্তু এমন কোন দিন নেই যেদিন তার মদের নেশা মাথায় চড়েনা। সে চাকরিহীন। ঘনিষ্ট বন্ধু আল শকলির সুপারিশে সে ঐতিহাসিক হোটেল 'ওভারলুক' এ শীতকালীন কেয়ারটেকার হিসেবে চাকরি পায়। হোটেলটা যেখানে অবস্থিত, সেখান থেকে শীতকালে কোন জায়গাতেই কোন রকম যোগাযোগ করা অসম্ভব ব্যাপার। সেখানে সে তার পরিবারকে নিয়ে ওঠে। ওভারলুক হোটেলে বসবাসরত অতৃপ্ত, অশুভ আত্মা, জ্যাকের ছেলে ড্যানির অতিন্দ্রীয় ভবিষ্যত দেখার ক্ষমতা ছিনিয়ে নিয়ে তাকে নি:শেষ করে দিতে চায়। শেষ করে দিতে চায় পুরো পরিবারটিকে। এভাবেই এগিয়ে যেতে থাকে শ্বাসরুদ্ধকর এক কাহিনি। দ্য শাইনিং এর প্রতিটি অধ্যায়ের টান টান আকর্ষন আপনাকে বেঁধে রাখবে বইএর পাতার সাথে। আপনিও এর বাঁধাইএর একটা অংশ হয়ে যাবেন। জ্যাক-ওয়েন্ডির সম্পর্কের টানাপোড়েন, ড্যানির নিষ্পাপ সরলতা, রহস্যময় 'রেডরাম' ইত্যাদি অনেক কিছুই আপনি আপনার entire পাঠকজীবনে কখনো ভুলতে পারবেননা। তানজীম রহমানের সহজ-সুপাঠ্য অনুবাদ অনেক ভালো লেগেছে। তাঁকে ধন্যবাদ। মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন ভাইকে এই বিশ্বসেরা ক্লাসিকটির অনুবাদ বের করার জন্য শুভেচ্ছা। দ্য শাইনিং এর সিক্যুয়েল 'ডক্টর স্লিপ' বের হয়েছে ২০১৩ সালে। আগ্রহীরা শাইনিং পড়ার পর পড়ে ফেলতে পারেন 'ডক্টর স্লিপ'।
Was this review helpful to you?
or
জঘন্য অনুবাদ
Was this review helpful to you?
or
রিভিউটি লিখেছেন ফুয়াদ আল ফিদাহ নি:শেষিত এক লেখক, মদে আসক্ত বলে চাকরী হারিয়ে বিপর্যস্ত। এক বন্ধুর কৃপায় প্রতন্ত অঞ্চলে অবস্থিত এক হোটেলের কেয়ারটেকার এর চাকরী পায়। স্ত্রী আর পাচ বছরের এক সন্তান নিয়ে হাজির হয় জনবিরল সেই হোটেলে। তাদের পাচ বছরের ছেলে ড্যানি একেবারেইই ভিন্ন প্রকৃতির। সে এমন কিছু শুনতে পায়, দেখতে পায় যা অন্যরা পায় না। ছেলেটা বুঝতে পারে ততার পপরিবার ববিপদের সম্মুক্ষিন হতে যাচ্ছে। একের পর এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটে যাচ্ছে সেখানে। হোটেলে।ঘুরে বেড়াচ্ছে এক প্রেতাত্মা। ড্যানির প্রতিভা হরণ করতে চায় সে। পঞ্চাশ বছরের পুরানো প্রেতাত্মার সাথে কি পেরে উঠবে পাচ বছরের ছোট্ট ছেলে ড্যানি? আমার মত - স্টিফেন কিং ইজ দ্য কিং অফ হরর। আজকাল হরর ঘরানার বই পড়লে হাসি আসে। মনে হয় ছেলে ভুলান গল্প পড়তেছি। সেই আগের থ্রিল বা আগের ভয় এখন আর পাই না। কিন্তু এই বই টা ব্যতিক্রম। এখন বি বাড়িয়ার এক্টা ক্লিনিকে লাইট নিভিয়ে শুয়ে শুয়ে পড়তেছিলাম। ভয় পাইছি বলব না, তবে এক্টু পরপর ইচ্ছা করেই ব্রেক নিচ্ছি। নাহলে।হয়ত লাইট জেলেই বসতে হবে কি এমন আছে বইটাতে? আসলে তেমন কিছুই নাই। সচরাচর হরর বই এ যা থাকে - ভূত, প্রেতাত্মা, অদ্ভুত সব কান্ডকারখানা - এসব কিছুই এখানে আছে। কিন্তু ভয়ের ফিলিংসটা এগুলো থেকে আসে না, আসে লেখকে দুর্দান্ত লেখার থেকে। আসলে বইটাতে চরিত্র তিন টা। এই তিন চরিত্রের একে অন্যের সাথে interaction আর আস্তে আস্তে এদের স্বাভাবিক মানুষ থেকে অন্য রকম কিছু এক্টাতে পরিণত হওয়াটাই বইটার প্রধান ফ্যাক্টর। অসামান্য দক্ষতা ফুটে উঠেছে চরিত্র গুলার গঠন আর বিকাশে। হরর বই হলেও প্রায় পুরোটা বই আপনাকে ভাবনার খোরাক দিবে। আপনি চেষ্টা করবেন ঘটনা গুলো কে আধিভৌতিক কোন কিছুর সাহায্য ছাড়া ব্যাখ্যা করতে। আসলে অনেক কিছুই যুক্তি দিয়ে ব্যাখ্যাও করতে।পারবেন। ১ম ৭০-৮০ পাতায় লেখক আপনাকে চরিত্র গুলোর সাথে, তাদের ব্যাক ষ্টোরির সাথে পরিচয় করিয়ে দিবেন। এমন ভাবে যেন আপনি চেষ্টা করেন পরের ঘটনাগুলিকে যুক্তি দিয়ে ব্যাখ্যা করার। এরপরের ১০০ পাতায় আপনাকে লেখক টেনে নিয়ে যাবেন কাহিনীর মধ্যে। আসল চমক লেখক রেখে দিয়েছেন শেষ কিছু পাতায় যেখানে আপনার যুক্তি বুদ্ধি হোচট খাবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল এমন ব্যাখ্যা লেখক দিয়েছেন যে মেনে নিতেও আপনার কষ্ট হবে না। কাহিনী আর চরিত্রের অপূর্ব সমন্নয় এই বইতে পাবেন। অনুবাদের কথা আর কি বলব - তানজীম রহমানের অনুবাদ বাতিঘরের বাকি সবার চেয়ে ভাল বলে মনে হত। এখন আমার মনে হচ্ছে এর অনুবাদের তুলনায় বাকি অধিকাংশের অনুবাদই সাব স্ট্যান্ডার্ড। বাতিঘরের খুব কম অনুবাদ আমাকে সন্তুষ্ট করতে পেরেছে। তার মধ্যে উনার বই ই রয়েছে তিনটা। উনার অনুবাদকর্ম চলতে থাকুক এই দুয়াই করি। হরর ঘরানার ফ্যান হন বা না হন, অসাধারন এক বই আর তার উপযুক্ত অনুবাদ পড়তে চাইলে শুরি করে দিন। আমার রেটিং - ৫/৫
Was this review helpful to you?
or
স্টিফেন কিং যে কি বড় মাপের একজন লেখক তা বলার অপেক্ষা রাখে না। অনুবাদটি সেরকম ভালো না হলেও শুধু স্টোরি লাইনই আপনাকে বাধ্য করবে পুরাটা শেষ করার জন্য। আর আপনি শুধু এই গল্পটিকে অসাধারন বললেও কম হয়ে যাবে।
Was this review helpful to you?
or
গল্পটা সুন্দর। যদিও, এটাকে এখন আর "স্টিফেন কিং" এর লেখা বলা যায় নাহহ!! তবে এমুহূর্তে অনুবাদককে প্রচন্ডভাবে গালাগাল দিতে ইচ্ছে করছে। আমার ধারণা, তিনি "গুগল ট্রান্সলেট" ব্যাবহার করে অনুবাদ লিখেছেন। এত বিশ্রী অনুবাদের বই যে প্রকাশ হতে পারে, এটা আমার জানা ছিলো নাহ!! সেই সাথে প্রকাশকও বোধ-হয় গঞ্জিকা সেবন করে বই টা প্রকাশ করেছে!! এর থেকে কষ্ট করে ইংরেজি টা পড়াও ভালো ছিলো.........!!