User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
“ইয়াসমীন” আফিফা মারজানার লেখা সাতটি গল্পের সমাহার । বইয়ের শুরু হয়েছে “ইয়াসমিন” নামক এক স্মৃতি রোমন্থনের মধ্য দিয়ে। যেখানে শৈশবের স্মৃতি ঘেরা সময়, মান অভিমান, খুনসুটিতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ইয়াসমীন-মারজানের বন্ধুত্ব। ইয়াসমীনের আসমানি নীল জড়ির খামে মোড়ানো চিঠি মারজান যে নিগূঢ় যত্নে পড়ছিলো, তার প্রতিটি শব্দের ভাঁজে ভাঁজে স্মৃতির আলাপন লেখিকার দূরদর্শিতার প্রমাণ রাখে, সাথে আমার মতো অলস পাঠকের মনেও কৌতুহলের সৃষ্টি করে যা বইয়ের প্রতি টানটা বাড়িয়ে দেয় বহুগুণে। দুটি সত্তার মমতাস্পর্শী অতিত ও বর্তমানেরর সংমিশ্রণে ইয়াসমীন যেমন বাস্তব কিছু উপলব্ধি জাগিয়ে তোলে একইভাবে “তাহিরা” গল্পে তাহিরার প্রতি তার স্বামীর শরীফ বা বেঞ্জামিন অথবা মাসউদের আপন করে পাওয়ার নেশা এবং সেই অপেক্ষা নতুন কিছু ভাবতে বাধ্য করে। “সময়”-এ অর্থের কুপ্রভাব কিভাবে মনুষ্যত্ব ছিনিয়ে নেয় তার প্রতিফলন ও সুপারস্টারে নারীর সৌন্দর্যের সঠিক মূল্যায়ন প্রদর্শন ও করতালি মুখর পরিবেশ দিতে পারে না বরং সেই খ্যাতি নামক মরিচিকা যে নর্দমা তুল্য পরিবেশে আবদ্ধ করে তাতে সম্মানহানী ছাড়া কিছু এনে দেয় না তা “ আফিফা মারজান” স্পষ্ট করে ফুটিয়ে তুলেছেন। জীবনে উপলব্ধির গুরুত্ব সত্যিই অসীম, উপলব্ধি ছাড়া ভুল জীবন ভুলই থেকে যায়। “ইয়াসমীন”-এ যে বাস্তব জীবনের সূক্ষ্ম থেকে গৌণ ভুল গুলো লেখিকা ফুটিয়ে তুলেছেন তা পাঠকের মন-মস্তিষ্কে নাড়া দিয়ে যেতে বাধ্য। সবশেষে বলবো বাস-ট্রাম-রিক্সা যেখানেই হোক, হাতে এমন একটা বই থাকলে সময় পার হবে সুন্দর কিছু উপলব্ধির সাথে। ?
Was this review helpful to you?
or
ইয়াসমীন বইটিতে মোট সাতটি গল্প আছে। সবগুলোই ছোটগল্প আর ছোটগল্পের ধর্ম অনুযায়ী গল্প শেষ হয়ে যায় কিন্তু মনের মধ্যে বাজতে থাকে সেই সুর ‘শেষ হয়েও হইলো না শেষ'। সাতটি গল্পের মধ্যে আমার কাছে ‘সুপারস্টার’ এবং ‘তাহিরা’ গল্প দু'টি একটু বেশি ভালো লেগেছে। ‘সুপারস্টার’ গল্পে লেখিকা আমাদের সমাজের তথাকথিত নায়িকা রূপের নার্সিসিস্ট মালিহার গল্প তুলে ধরেছেন। যারা ‘দেখিয়ে দাও অদেখা তোমায়’ স্লোগানে বিশ্বাসী। নিজেদেরকে দেখানোর নেশা যে একসময় প্রস্টিটিউটের কাতারে নামিয়ে আনে এবং সবকিছু বিকিয়ে যখন রিক্তহস্ত, নায়িকা তখন নিজের প্রাণনাশে উদ্ভুদ্ধ হয়; লেখিকা তাই চিত্রিত করেছেন। নারী হচ্ছেন ঘরের রানী। তার রাজত্ব কেবল তার ঘরেই বিরাজ করে। কেউ যদি তার রাজত্ব বাইরে স্থাপন করতে চায় তার মনে রাখা উচিত যে নারীর সৌন্দর্য ফুলের কোমলতার ন্যায়। ফুল যতোক্ষণ তার যথোপযুক্ত জায়গায় থাকবে ততোক্ষণই তার স্নিগ্ধতায় সৃষ্টির মহিমা ছড়াবে। আর যদি নিজের যথোপযুক্ত জায়গা ছেড়ে নর্দমায় নিজের স্নিগ্ধতা ছড়াতে যায় বিনিময়ে কেবল নর্দমার কীটপতঙ্গের ছোঁয়াতে নিজের কোমলতা ও স্নিগ্ধতা দুই-ই হারাবে। ‘তাহিরা’ গল্পের তাহিরার জন্য অনেক আক্ষেপ হচ্ছে তারচেয়ে বেশী হচ্ছে তার স্বামী শরীফ যে মরে গিয়ে বেঞ্জামিন হয়ে ভুগছিলো এবং তাহিরার দেখা পেয়ে তাকে আবার নিজের করে পাওয়ার হেতু বেঞ্জামিনকে মেরে আবার বেঁচে ওঠার নেশায় মাসউদ হয়েছে কিন্তু নিয়তি তাহিরাকে আপন করে পেতে দেয়নি। তাহিরার চিঠির সেই শেষ বাক্যটি ‘আমি আপনার অপেক্ষায় থাকব’ মাসউদ ওরফে বেঞ্জামিন ওরফে শরীফের কাছে রয়ে গেলো তাহিরার শেষ স্মৃতি হয়ে। মাসউদের মৃত্যুর পরই হয়তো তাহিরার সেই অপেক্ষা শেষ হবে। তারপর কি তাদের দেখা হবে?! ‘সময়’ গল্পে লেখিকা আমাদের সমাজের আরও একটি চিরাচরিত বিষয় তুলে ধেরেছেন; অর্থের কুপ্রভাব। সমাজের একশ্রেণির মানুষ যারা দারিদ্র্যকে কখনো মনুষ্যত্বের অন্তরায় হতে দেয় না, ভাঙা টিনের ঘরে ঘুমিয়েও মনুষ্যত্বকে সদা জাগ্রত রাখে দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত হৃদয়ে। যখনই ভাগ্য তাদের ওপর সদয় হন মন থেকে মনুষ্যত্ব যেনো তখন রকেটের গতিতে পালায়। সেলিম চরিত্রটি বড় হতাশ করেছে! মালিহাকে দেওয়া মুশফিকা বেগমের শেষ চিঠিতে কি ছিল সেটা অজানাই রয়ে গেলো। প্রথম ছয়টি গল্পে যে তৃপ্তি অধরাই ছিল সেটা সাত নম্বর গল্পে পেয়েছি। শেষের শেষটা ভালো হওয়াতে পূর্বের শেষের কষ্টগুলো লাঘব হয়েছে কিছু টা। বই: ইয়াসমীন লেখিকা: আফিফা মারজানা পাবলিকেশন: Penfield Publication
Was this review helpful to you?
or
"বেশ কয়েকজন বই পড়ে ফেবুতে স্পয়লার দিয়েছিল! এখন রাগ হচ্ছে! মনে হচ্ছে স্পয়লার না দিলে গল্পটা আরও সুন্দরভাবে উপভোগ করতে পারতাম।" ;( [পড়ার সময়কালীন অনুভূতি] - ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ লিখালিখিতে খুব একটা দক্ষ নই আমি, রিভিউ দিতে তো আরোই না। শুধু একজন পাঠক হিসেবে অনুভূতি ব্যক্ত করার সামান্য প্রয়াস করে যাই। ভেবেছিলাম, 'গুলমোহর' পড়ে দুটোর রিভিউ একসাথে দিবো। কিন্তু গুলমোহর পড়ার পর আমার অনুভূতি প্রকাশের শব্দগুলো এলোমেলো হয়ে গেছে। ঠিক যেমনটা হয়েছিল ইয়াসমিন পড়ার পর। যেজন্য আমার আর রিভিউ লেখা হয়ে উঠে না। ভাবলাম, অগোছালো ভাবই খানিকটা প্রকাশ করে ফেলি, নয়তো বিভিন্ন টপিকের আড়ালে চাপা পরে যাবে। ইয়াসমিন বইয়ের নাম জানার পর আমার সর্বপ্রথম যেই চিন্তাটা এসেছিলো সেটা হচ্ছে, বইয়ের নাম কেনো তাহিরা হলো না! যার ক্যারেক্টরে আমি নিজেকে খুঁজতে চাইতাম। তাহিরাকে নিজের কাছে না রাখতে পারার আক্ষেপও ছিলো খানিকটা। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর তাহিরাকে পাই! প্রতীক্ষার শুরুটা সেইদিন থেকে, যেদিন বুকশপ থেকে ফোন করে বলা হলো এই বইটা স্টক আউট। ঐদিকে লেখিকা ঘোষণা দিয়ে বসে আছেন এই বই কয়েকবছরে পুনমূদ্রণের কোনো সম্ভাবনাই নেই! দীর্ঘ এই প্রতীক্ষা শেষ হলো ২৩ এ এসে! আমি জানি না, ঠিক কতদিন পর আমি একটা বই এভাবে টানা পড়ে শেষ করতে পেরেছিলাম! আমার এক উদাস দিনের সঙ্গী হয়ে রইল ইয়াসমীন ! বলেছিলাম বইয়ের নাম তাহিরা না হওয়ায় মন খারাপ হয়েছিল আমার। কিন্তু ইয়াসমীনকে জানার পর আমি ভেবে পাই নি এর থেকে ভালো নাম আর কিছু হতে পারে কি না! বইটিতে একঝাঁক গল্পগুচ্ছ রয়েছে আর রয়েছে প্রতিটা গল্পের নিজস্বতা। কিন্তু ইয়াসমীন আমার মনে এক দীর্ঘ প্রভাব রেখে গিয়েছে। এই প্রভাব আমি কখনো কাটাতে চাই না। বইয়ের প্রচ্ছদও এখন আমার পছন্দের তালিকায় চলে এসেছে। আমি আজকাল নার্সারিতে গিয়ে ইয়াসমীনের খোঁজ করি! ভাবা যায়? পাহাড় আর ঝর্ণায় তাহিরাকে খোঁজে বেড়াই! তাহিরা, ইয়াসমীন কিংবা ইয়াসমীন, তাহিরা! লিখতে গেলে শব্দ ভান্ডারের থাকা শব্দে কমতি বেড়িয়ে আসবে। গল্প পড়তে পড়তে চোখ মুছতে থাকা আমিকে বারবার দরজার দিকে খেয়াল করতে হয়! কেউ চলে না আসে! চলে আসলে নির্ঘাত উন্মাদ ভাববে! কোনো এক উদাস দিনে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে থাকা কষ্টগুলো নিজের আর রব্বের সামনে প্রকাশ করার মাধ্যমও যে 'বই পড়া' হতে পারে সেটা 'ইয়াসমীন' কে না পেলে হয়ত ভুলতেই বসেছিলাম। কেউ যখন কাঁদতে ভুলে যায়, ভুলে যায় অনুভূতি প্রকাশ করতে, তখন সে বুঝতে পারে অনুভূতি প্রকাশ করতে পারাও অনেক বড় নিয়ামাহ। 'ইয়াসমীন' কে নিয়ে অনেক কিছু লেখার ছিলো। এতো অল্প কথায় আমার জন্য ইয়াসমীনকে জাস্টিফাই করা সম্ভব হলো না। লেখিকার প্রতি কৃতজ্ঞতা, এজন্য যে, প্রতি বিকেলে একঝাঁক গীবতের আসরে না বসে ইয়াসমীন'কে নিয়ে বসা যাবে। গীবতের প্রভাবে প্রভাবিত হওয়া থেকে বাঁচতে ভালো একটা স্পেস পাওয়া যাবে ইয়াসমীনে! ইয়াসমীনের পাঠকদের প্রতি শুভকামনা রইল।
Was this review helpful to you?
or
ইয়াসমীন ~ আমার কাছে আস্ত একটা জুঁইফুল, সুরভিত করে চারিদিক, উথাল-পাতাল ব্যাকুল … লেখিকা আফিফা মারজানা আপার এই বইটির প্রথম প্রকাশ হয় ২০১৯ সালে আর দ্বিতীয়বার প্রকাশিত হয় গতবছর, ২০২৩ সাল। আর আমার হাতে এসে পৌঁছেছে প্রায় সাড়ে ৫ বছর পর। এই বই হাতে আসার পর থেকেই কৃতুপা আমাকে কতোবার বলেছে, আগে ইয়াসমীন আর তাহিরা পড়ো তারপর গুলমোহর পড়ো। যখনই বলতাম কোনো বই পড়ে শেষ করেছি, ওর একটাই প্রশ্ন, ইয়াসমীন-তাহিরা আর গুলমোহর পড়েছো? গতরাতে যখন আবার বললো, এবার আল্লাহর নাম নিয়ে বসেই পড়লাম ইয়াসমীন পড়তে। শনিবার পার হয়ে রবিবারের মধ্যরাত, দেড়টা নাগাদ ইয়াসমীনের পাতা উল্টালাম। লেখিকার কথাগুলো আগেই পড়ে রেখেছিলাম, তারপরের পাতা উল্টাতেই সূচিপত্র, ছোটোবড় মোট ৭ টা গল্প একটা মলাটে বাঁধা। প্রথম গল্পটাই ছিলো ইয়াসমীন, মোস্ট রেকমেন্ডেড। আমি পড়তে শুরু করলাম, পাতা উল্টাতে থাকলাম। রাত গভীর হয়, চোখের পাতা ভারী হয়ে আসে। আর অসুস্থতা মস্তিষ্ককে আরো দূর্বল করে দেয়। কিন্তু বই ছেড়ে আমার উঠতে মন চাইছিলো না, মনে হচ্ছিলো আমিও ওদের সাথে মাদ্রাসায় বসে আছি, মনে হচ্ছিলো আমিও ছোটোবেলায় মাদ্রাসায় পড়ার আনন্দ কুড়িয়ে পাচ্ছি। তারপর, বই রেখে উঠে পড়লাম। ইয়াসমীন শেষ না করেই ঘুমাতে গেলাম, তাও ভাবছিলাম, মারজানের কাছে সেই রাতে চিঠিটা কীভাবে এলো? তারপর সকালে উঠেই ইয়াসমীন পড়ে শেষ করলাম, কেমন একটা অনুভূতি হলো যেনো, অবর্ণনীয়। মনে হলো আমি মারজানের জায়গায় দাঁড়িয়ে, কিছু একটা হারিয়ে হাহাকার করে যাচ্ছি। ইয়াসমীনকে আমি হয়তো আজীবন মনে রাখবো, সাথে সেই হাহাকার করা অনুভূতিটা নিখুঁতভাবে উপলব্ধি করবো। হয়তো কিছু সময়ের জন্য আমি মারজান হয়ে যাবো আবার! ইয়াসমীন শেষ করে পরের গল্পটা মনে হচ্ছিলো পানসে (সত্যিই এমন লাগছিলো), ভাবছিলাম সাধারণ। কিন্তু আমাকে অবাক করে দিয়ে গল্পের শেষটা আমাকে স্তব্ধ করে দিলো। কিছুক্ষণ ঝিম ধরে বসে ছিলাম। শুধু মনে হচ্ছিলো, হঠাৎ করে টাকা হলে মানুষের অমানুষ হয়ে যাওয়াটা কি বাধ্যতামূলক? সময় মানুষকে দুনিয়ার সবচাইতে করুণ পরিস্থিতিতেও ফেলে দেয়, সেটাই বলতে চাইছিলো এই “সময়” গল্পটা। আগের গল্পের এন্ডিং যখন মানতে পারছিলাম না, ঠিক তখনই পাতা উল্টে আসে “তাহিরা” লিখা পাতাটা, ঘোর কাটার পর দেখি আরেকটা গল্প এর আগে রয়ে গেছে, নাম “সুপারস্টার”। পড়তে গিয়ে আমার মাথায় ঘুরছিলো সেইসব নিষ্পাপ প্রাণগুলোর কথা যারা মালিহার মতোই দুনিয়াবি লোভে পড়ে সর্বস্ব হারিয়ে বসে। এই লাইনটা মনে হতে পারে স্পয়লার, কিন্তু আসলে তা না, পুরো গল্পটাই যেনো কেমন ঘোরলাগা, পড়ে শেষ করার পর যখন ঘোর কাটে আর মনে পড়ে আল্লাহ আমাদের কতটা হেফাজত করেছেন আলহামদুলিল্লাহ, শুকরিয়ায় যেনো মাথা সিজদাহ্তেই পড়ে থাকতে মন চাইবে। আমার মনে হয়েছে এই গল্পটা পরিবারের বাবা মা ভাই বোন সবাইকেই পড়ানো উচিত। এখানে একদিকে যেমন প্যারেন্টিং-এ ত্রুটি ফুঁটে ওঠে, অন্যদিকে এক মহীয়সী মায়ের দুনিয়া আর আখিরাতে সফলতার গাছ রোপণের চিত্রও ফুঁটে উঠেছে। আর আজকের দিনে কিছু মানুষ যাদের সুপারস্টার বা রকস্টার বলে বাহবা দিয়ে থাকে তাদের জীবনে যে আলো বলতে কিছুই নেই, এই গল্পটা তার প্রতিটি বাক্যে তা প্রমাণ করেছে। তারপরই আসে “তাহিরা”, ইয়াসমীন নিয়ে যেমন বেশি কিছু বলতে পারলাম না, তাহিরা নিয়ে আরো পারবো না। এক কথায়, “আমি বাকরুদ্ধ”। কেনো? উত্তর জানতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই পড়তে হবে, তারপর অনুভব করতে হবে। কিন্তু হ্যাঁ, এটা পড়ে আপনি অনুভব করতে বাধ্য, “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ”। “রক্তভাগ্য” গল্পটায় একটাই শিক্ষা পাওয়া যায়, আর তা হলো- নিজের ধারণাকে এক সাইডে রেখে কখনো কখনো সামনের মানুষটাকেও শুনতে হয়। রাগ অভিমান আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ, তাই বলে এটা ভুলে যাওয়া উচিত না, মুদ্রার দুই পিঠ বরাদ্দ। ছোটো গল্প, তবে বিশাল উপলব্ধির ভাণ্ডার হাতে ধরিয়ে দিয়ে চলে যায় “রক্তভাগ্য”। তারপরের খুবই সাদামাটা সত্য কাহিনীটা হলো “একজন মাজেদার গল্প”। সত্যি বলতে, তাহিরা শেষ করে আমি স্তব্ধতা কাটিয়ে উঠতে পারছিলাম না৷ কেমন বিষাদময় অনুভূতি! লেখিকাকে সামনে পেলে হয়তো কান্নাকাটি করে বলতাম কলম চালিয়ে পটভূমি পরিবর্তন করে দিন মিন ফাদ্বলিক। কিন্তু সেটা হচ্ছিলো না। তারপর যখন মাজেদার গল্প পড়ে শেষ করলাম, কেমন যেনো চিন্তায় হারিয়ে গেলাম। এই গল্পটা শেষ করে আপনার অনুভূতি কেমন হবে জানিনা, কিন্তু আমি নিজেকে শুধু প্রশ্ন করছিলাম, আর কখনো দেখা হবে না এমন কোনো মানুষের সাথে কি আমি এমন কিছু করেছি যা নিয়ে আমার অনন্তকালের আফসোস বয়ে বেড়াতে হবে? উত্তর খুঁজে পাইনি, তবে অস্থির হয়েছি খুব। এই মলাটের আশ্রয়ে থাকা শেষ গল্পটা “দিলরুবা”। একটা দিলরুবা এই মলাটে আটকে থাকলেও হাজার হাজার দিলরুবা আমাদের সমাজে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। কৈশোরের রঙিন চশমা নাকের ডগায় নিয়ে আলগোছে কল্পনা করা অন্ধকার ভবিষ্যৎটা তখন রঙিন চশমায় ঝকঝকে দেখায়। কিছু দিলরুবার জায়গা হয় অন্ধকার পল্লিতে, কিছু দিলরুবা ঝুলে পড়ে ফ্যানের সাথে। আর গুটিকয়েক যেই দিলরুবারা আল্লাহর অশেষ দয়ায় তাকদীরের জোরে বেঁচে ফেরে স্বাভাবিক জীবনে, তাদেরই একজন ইয়াসমীনের মলাটে আবদ্ধ হওয়া “দিলরুবা”। কি কুৎসিত অনুভূতি দেয়া শ্বাসরুদ্ধকর লেখনিতে দিলরুবা তার জীবনের কঠিন সময়ের বর্ণনা দিয়েছে তা না পড়লে তো বোঝাই যাবে না। অন্তত কিশোরীদের উপলব্ধি এটুকুতে পৌঁছাবে যে, পরিবার কখনো খলনায়ক হয় না। আর কেউ যদি প্রমাণ নিয়ে আসে তবে তা “এক্সেপশনাল”, দ্যাট ক্যাননট বি এন এক্সাম্পল! আল্লাহ আমাদের জীবনের কঠিন সময়গুলো সবরের সাথে পার হওয়ার তাওফিক দান করুন, আমিন। ইয়াসমীনের পাতা কি শেষ হলো? হয়তো... হয়তো না... খুব ধীরে ধীরে পড়ছিলাম বইটা, দ্রুত পড়ার অভ্যাসকে আজকে একপাশে বেঁধে রেখেছিলাম। তবুও কিছু জায়গা এতো বেশি ভালোলেগেছিলো যে, ফিরে এসে আবার পড়েছি। এই বইটার গল্পগুলো এমনভাবে সাজানো যেনো, প্রতিটা গল্পের শেষে লেখিকা আলাদা আলাদা অনুভূতি যুক্ত করে রেখেছেন। মনে হচ্ছিলো, গল্পের শেষ লাইন পড়া মানেই নতুন অনুভূতি মন মস্তিষ্কে অটোমেটিক গেঁথে যাবে। আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিক আপা, আমিন।
Was this review helpful to you?
or
লেখিকার বই পড়তে গেলেই মনে হয় শেষ না হোক, পড়তেই থাকি। তাহিরা গল্পটা পড়ে মনে হচ্ছিলো হারিয়ে গেছি তাহিরার সাথেই। আর ইয়াসমীন? ইয়াসমীন পড়ে তো কিছুক্ষণ অবাক হয়েই বসে ছিলাম। এতো বেশী কীভাবে পাঠককে নিজের লিখায় ডুবিয়ে রাখতে পারেন আল্লাহু আলাম। আল্লাহ আরো বারাকাহ দান করুক। সবার এতো অনুরোধের পরেও লেখিকা কি নতুন বইয়ের সুসংবাদ দিবেন না?
Was this review helpful to you?
or
অনেক আগে তাহিরা গল্পটা পড়েছিলাম। বইটা কেনার পর বাকি সব গল্প এক রাতেই পড়ে ফেলেছি। লেখিকার লেখনীতে আল্লাহ বারাকাহ দিন।
Was this review helpful to you?
or
ঠিক কতদিন অপেক্ষা করেছি তাহিরার গল্পটা পড়ার জন্য? নিজেও মনে করতে পারিনা। আর ইয়াসমীন গল্পটা গোলকধাঁধার মত ঘুরতে থাকে মাথার ভেতর। লেখিকার কাছে সবিনয় নিবেদন.... খুব শীঘ্রই নতুন বই চাই!
Was this review helpful to you?
or
ইয়াসমিন কোনো একক গল্পের বই নয়, খন্ড খন্ড কয়েকটি গল্পের সমন্বয়ে একটি বই। প্রতিটি গল্পে আলাদা আলাদা জীবন এবং জীবনের আলাদা আলাদা পার্ট ফুটে উঠেছে। লেখিকার দুটো বইয়ের দুটোই খুব বাস্তবিক। এক কথায় হয়তো রিভিউটা শেষ করা যেতো এরপরেও অতিরিক্ত চার লাইন যুক্ত করলাম বইয়ের ধরন বুঝাতে। বাকিটা নির্ভর করবে পাঠক হিসেবে আপনি কতটা ধৈর্যশীল বিশেষ করে লেখিকার অন্য আরেকটি বই 'গুলমোহরের' ক্ষেত্রে।
Was this review helpful to you?
or
|| বই পরিচিতি || বইঃ ইয়াসমীন রচনাঃ আফিফা মারজানা বানান ও ভাষারীতিঃ শাকির মাহমুদ সাফাত প্রচ্ছদঃ কাজী যুবাইর মাহমুদ পৃষ্ঠাসজ্জাঃ মুহারেব মুহাম্মাদ পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ১৬০ মুদ্রিত মূল্যঃ ৩২৫৳ প্রকাশনীঃ Penfield Publication || বইয়ের বিষয়বস্তু || "ইয়াসমীন" বইটি একটি গল্পসংকলন বই। সাতটি জীবনঘনিষ্ঠ গল্পের সমন্বয়ে রচিত এই বই। লেখিকার ভাষ্যমতে, খুচরো পয়সার মতো কিছু সময় থাকলে নীরবতা অবলম্বন করে বইটিতে অবগাহন করতে পারেন। || বই বৃত্তান্ত || মানুষের জীবনটাই এক মায়ার আঁধার। ইয়াসমীনও এক মায়ার নাম। যে মায়া পাঠককে এক অচিনপুরে নিয়ে থামিয়ে দিবে। পাঠক সেথায় ভাবতে বসবে আশপাশের গল্পের পেছনের গল্প। একজন মানুষ জীবনতরী বাইতে গিয়ে কতকিছুরই সম্মুখীন হয়। সেসব থেকে বেছে বেছে কিছু বেদনামালা গল্পে বুনন করা হয়েছে। || পাঠ-প্রতিক্রিয়া || স্কুল লাইফে আমরা সবাই একটি ভাবসম্প্রসারণ/সারমর্ম পড়েছি। "ছোট ছোট বালুকণা, বিন্দু বিন্দু জল গড়ে তোলে মহাদেশ, সাগর অতল।" ঠিক একইরূপে "ইয়াসমীন" বইটিতেও রয়েছে ছোট ছোট সাতটি গল্প, যা মনের ভেতর মহাসাগর সম আলোড়ন সৃষ্টি করতে সক্ষম। আর ছোটগল্পের সংজ্ঞা তো সকলেরই জানা। "শেষ হইয়াও হইলো না শেষ!" এই বইয়ের 'ইয়াসমীন' গল্পটি নিখাদ বন্ধুত্বের উদাহরণ। বন্ধুত্বে অভিমান নামক অনুভূতিটা সুন্দর। যে অনুভূতি মারজান অনুভব করেছে ঠিকই, কিন্তু ইয়াসমীন বুঝতে পারেনি। বুঝবে কি করে? তার তো বুঝার সক্ষমতা নেই। এটাই রহস্য এই গল্পের। যা লেখিকা খোলাখুলি উল্লেখ করেনি, পাঠকদের উপর ছেড়ে দিয়েছেন। যে যেভাবে ভাববে সেটাই শ্রেয়। সময়ের তালে তালে মানুষ পরিবর্তন হয়ে যায়। কেউ ভালো থেকে খারাপ, কেউবা নিকৃষ্ট থেকে উৎকৃষ্ট মানে পৌঁছে যায়। প্রাচুর্যের নেশা মানুষকে সময়ের ভ্রান্তিতে টলিয়ে দেয়। অনুভূতিহীন করে তোলে ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব। এরূপ উদাহরণ নিয়েই রচিত 'সময়' গল্পটি। বিত্ত-সম্পদ, খ্যাতি মানুষের চোখে লালসার পর্দা ফেলে দেয়। তখন আর মানুষ ঠিক-বেঠিক বিচার করতে পারে না। রক্তের সম্পর্ক নির্দ্বিধায় ভুলে যায়। সুপ্ত কোনো আশায় মন-প্রাণ কেঁদে উঠলেও তা স্বীকার করতে নারাজ। একটা সময় সে হেরে যায়, নিজের জীবনের কাছে, তাবৎ দুনিয়ার কাছে। আত্মার মরণে দেহটাকেও শেষ করে দেয় অবলীলায়। এসব নিয়ে সুন্দর একটি কাহিনী রচিত হয়েছে আলোচ্য বইটির 'সুপারস্টার' নামক গল্পে। সবশেষে আসি 'তাহিরা' -তে। এখন অনেকের মনে প্রশ্ন জাগবে, "আরো তো তিনটা গল্প বাকি আছে! তবে এটাই সর্বশেষ কেন?" আসলে 'তাহিরা' গল্পটাই এমন যে পাঠক ঘোরে চলে যাবে। বাদবাকি তিনটি গল্প শুধু রিডিং পড়ার মতো পড়ে গিয়েছি, যেন পড়তে হবে বলেই পড়া। বইটি দুই, তিন, চারবার পড়েছি তাও প্রতিবার 'তাহিরা' অবধি গিয়ে থেমে যাই। থেমে যেতে হয়। কল্পনায় আমি তাদের প্রত্যক্ষদর্শী বনে যাই। যেন তাহিরার পাশে পাশে চলছি আমি। জীবনের পরতে পরতে তার সাথে হেঁটে চলে গিয়ে সমাপ্তি টানি রাসূলের দেশে। এটাই যে আমার আর তার মূল গন্তব্য! এটা পড়ার পর মনে হয়েছে যেন গল্প নয়। বরঞ্চ এরকম অসংখ্য শরীফ-তাহিরা আমাদের আশেপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। শুধু আমরাই কখনো তাদের বেদনাগাথা উপলব্ধি করতে পারি না। ?পরিশিষ্টঃ আমরা অতি মহান কেউ নই। খুচরো আলাপ করবার অনেক সময় আছে আমাদের, ঘন্টার পর ঘন্টা অনলাইনে স্ক্রলিং করার মতো যথেষ্ট সময় আছে আমাদের, পড়ন্ত বিকেলে গল্পে গল্পে মজে গীবত করে ফেলার মতোও হাজার সময় আছে - কিন্তু একলা একা কক্ষে ধোঁয়া ওঠা কফির কাপে চুমুক দিতে দিতে বই পড়ার মতো খুচরো সময় নেই আমাদের, অতি ব্যস্ত আমরা। লেখিকার মতো করেই বলছি আলোচ্য বইটিতে শিখবার মতো কিছু নেই। শুধু ধূলিকণাতে মিশে যাওয়া মানুষের টুকরো টুকরো অনুভূতি ব্যতীত আর কিছুই নেই। বইটি পড়ে ধরণীর পথে প্রান্তরে মিলে যাওয়া এসব অনুভূতি অন্যরকম স্পন্দন সৃষ্টি করবে হৃদয়ে। কিছু কিছু মানুষের প্রকৃতরূপ হয়তো ধরা দিবে, ব্যস এটুকুই। অবসর সময় তো আমাদের অনেক আছে, কিছু সময় নাহয় টুকরো টুকরো এসব অগোছালো স্মৃতি জমাতে ব্যয় করলাম! লেখায়ঃ তাসনিয়া তারা
Was this review helpful to you?
or
এক গল্প আমি সাধারণত ২ বার পড়তে পারিনা, যেহেতু গল্পের কাহিনী জানা থাকে। ব্যতিক্রম এই বই, এই ইয়াসমিন। কেনো যেনো এই গল্প টা আমাকে টানে। বইটা ছোট ছোট কয়েকটা গল্প নিয়ে। এর মধ্যে "তাহিরা" আর "ইয়াসমিন" মন কেড়েছে। তাহিরার প্লট টা এত উপভোগ করেছি! মনে হয়েছে জায়গাগুলো স্বচক্ষে দেখেছি। আমার মনে হয় একটা বইয়ের সার্থকতা বইটাকে পাঠক কতটা ভিজুয়ালাইস করতে পেরেছে তার মধ্যে। সেক্ষেত্রে ইয়াসমিন খুব ভালোভাবেই এটা পেরেছে। আমি জানিনা আর ক'বার এই বই আমি পড়বো। লেখিকার জন্য অনেক শুভকামনা রইলো। আল্লাহ তার লেখনীতে আরও বারাকাহ দান করুক।?
Was this review helpful to you?
or
ইয়াসমিন বইটি গোটা কতক গল্পের সমাবেশ। ছোট ছোট গল্প হওয়ায় বইটিতে একঘেয়েমি আসে নি।ইয়াসমিন বই প্রতিটি গল্প গুলো যেনো জীবন্ত এক একটি অধ্যায়। বইটির ইয়াসমিন, সুপারস্টার, তাহিরা,দিলরুবা গল্পগুলো আমাকে সবচেয়ে মোহিত করেছে।চারিদিকে ঘটেে যাওয়া জীবনের বাঁকে বাঁকে,, জীবনের যে বিবর্ণ রং,, শিল্পীর রং তুলিতে লেখিকা জীবনের চিত্র তুলে ধরেছেন।
Was this review helpful to you?
or
বছর দুয়েক আগে হঠাৎ একজনের রিভিউ দেখলাম "ইয়াসমিন" নামক এক স্টক আউট বইয়ের। লেখিকা আফিফা মারজানা। রিভিউটাকে এমন কিছু ছিল যা আমাকে বাধ্য করেছিল আফিফা আপুকে খুঁজে বের করতে। এরপর বিশাল প্রতীক্ষার পর পেলাম ইয়াসমিনের নতুন সংস্করনের দেখা, সাথে গুলমোহরকে। সে যাইহোক, গুলমোহরকে তো আমি অন্ধভাবে ভালোবাসি, কিন্তু ইয়াসমিনে মুগ্ধ হই। প্রতিটা গল্পে বাস্তবতাকে এতো বেশি কাছ থেকে দেখতে পেরেছি যে, লেখিকার গাটস দেখে মুগ্ধ হয়েছি। তাহিরার মতো গল্পের প্লট লেখাতে যে কী পরিমাণ সাহসের দরকার তা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছি। (এগেইন, গুলমোহরের ক্ষেত্রেও সেইম; বাহারের সাথে যা হয়েছিল তা বইতে লেখার জন্য ইয়া বড় একখান কলিজা দরকার)। ইয়াসমিন গল্পটা মাঝরাতে পড়েছিলাম, দুরুদুরু বুকে কোনোরকমে ঘুমাতে গিয়েছিলাম। ইশ! এইরকম সুবাসিত কোনো গল্প আমি কি আগে পড়েছি? অনেক অনেক কথা বলতে ইচ্ছা করছে, কিন্তু বলতে গেলেই মনে হচ্ছে, আমি আমার আবেগকে সামলাতে পারছিনা। আর, আবেগ না সামলে রিভিউ দেওয়া উচিত না। শুধু বলব, সাহিত্যানুরাগী কেউ যদি আফিফা আপুর এই বই দুইটা পড়েন তবে আমার মতো তার আপকামিং বইগুলার অপেক্ষা করতে বাধ্য হবেন। আরো বলব, আমি বিশ্বাস করি, আপুর সামর্থ্য এই বইয়ের অনেক উর্ধ্বে। আরো বলব, "খুশবু" আর "নুরজাহান" এর অপেক্ষায় বসে আছি। সর্বশেষে, আমার পছন্দের কোনো লেখক-লেখিনা নেই, কারন মানুষকে পছন্দ করতে গেলেই ছ্যাকা খাওয়া নির্ধারিত। তবে পছন্দের বই আছে, সেই তালিকায় নিশ্চয় ইয়াসমিন আর গুলমোহর থাকবে, থাকবেই।
Was this review helpful to you?
or
আফিফা আপুর দুইটা উপন্যাসই পড়ার সুযোগ হয়েছে। ইয়াসমীন এর গল্পগুলো অসাধারণ। এর মধ্যে ইয়াসমীন, তাহিরা গল্প দুটো বিশেষভাবে মনে গেথে আছে। তাহিরা পড়ে কষ্ট, আনন্দ, কান্না তিনটারই স্বাদ পাওয়া হয়েছে! আপুর পরবর্তী বইয়ের অপেক্ষায়....
Was this review helpful to you?
or
নরমালি বেশ অনেকদিন যাবৎ উপন্যাস বই কেনা হয়না। এই না কেনার মধ্যে গুলমোহর এবং ইয়াসমীন বইটার বেশ ভালো রিভিউ পাচ্ছিলাম। এর মাঝে থেকে তবুও উপন্যাস বই কিনে টাকা গচ্ছা দেয়ার মানসিকতায় অটল থাকি। এরই মাঝে উস্তাযাহ যায়নাব আল গাযীর ফিডব্যাক সাথে মাজিদা রিফা আর লেখিকার ভেড়ার হাদিয়া দেয়া নিয়ে পোস্ট টা পড়ে উৎসুক হয়ে পড়ি ইয়াসমীন কে ক্রয় করার। কারণ আমার জীবনেও লেখিকা এবং মাজিদা রিফার বন্ধুত্বের মতো একজন বন্ধু আছে আলহামদুলিল্লাহ এরপর বইটা অক্টোবর মাসে নেয়া হয় সত্যি বলতে লেখনি পড়ে আমি অভিভূত। এরকম গল্প বা উপন্যাস আগে পড়া হয়নি। সবথেকে খারাপ লাগে তাহিরা-র গল্প পড়ে। বাকি গল্পগুলো পড়েও মনে হচ্ছিল লেখিকা সব গল্প কেনো এমন কষ্ট দিয়ে শেষ করেছেন। মাঝে মধ্যেই আমি আমার বন্ধু কে বলি তাহিরার গল্পটা ২য় পাট আমি লিখবো ওনাদের অসম্পূর্ণ ভালোবাসার সম্পূর্ণতা দিয়ে তবুও কেনো জানি না তাহিরার শেষ পরিণতি মেনে নিতে পারিনা। আমার বোন উপন্যাস প্রেমি তার হাতেও ইয়াসমীন কে ধরিয়ে দেয়ার বাকি; কারণ দুজন দু জায়গায়। নেক্সট টার্গেট গুলমোহর এবং গুজারিশ। সবমিলিয়ে বইটা পড়লে আপনিও লেখিকার ভক্ত হয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ।
Was this review helpful to you?
or
ইয়াসমিন!! এই গল্পে গল্পটির মৌলিকত্ব ছাড়িয়েও যেটা আমাকে মুগ্ধ করে বেশি তা হলো— গল্পটির পরতে পরতে এক বাস্তব জীবনের গন্ধ পাই। যা সীমাহীন ভালো লাগার। কী সুন্দর করেই না উঠে আসে জীবনের নানাবিধ গল্প। কৈশোরের সেই উপচে পড়া উচ্ছ্বাস— সাইমুম সিরিজের কথা, ছোট বড় সবারই কমবেশি পরিচিত বেচারা নান্টুর কথা। আর সেই দিলরুবা! যেন আমারই গল্পকথন! কতবার পড়েছি এই গল্পগুলো, এই বইদুটো। একবার, দুইবার নয় শুধু; ততোধিকবার। আহা অমৃত যেন। ইলিশ মাছের ডিম খাওয়ার যা স্বাদ ঠিক সেইরকমই সুস্বাদু.. আপুর বই দুটোর রিভিউ লেখার খুব ইচ্ছে আমার। তবে সেখানে বইয়ের কথার চে' নিজের পাগলামির কথায় বেশি হয়ে যাবে দেখে আর আগানো হয় না। কভু কি পারবো অন্তত আপুকে চমকে দেওয়ার জন্য হলেও একটা রিভিউ লিখতে! তাহিরা!! গল্পটি শুরু করতেই আমার সবচে' বেশি বেগ পেতে হয়েছিলো। শুধু মনে হয়েছিলো এটা যত দেরিতে পড়বো ততই মঙ্গল। অন্যথায় পৃথিবীর সব ভেদ আমার নিমিষেই জানা হয়ে যাবে। হা হা কেমনতরো ভাবনা! আপুর বই দুটোর ক'টা ফটোগ্রাফি করবো করবো করেও করা হয়ে উঠছে না আমার। ইন শা আল্লাহ জরুর করবো একদিন; লেখিকার জন্য নাহোক, অন্তত আমার জন্য! আবারও বলে রাখি— আপুর খুশবুর অপেক্ষায়। যদিও ততদিনে বুড়ি হওয়া লাগে!
Was this review helpful to you?
or
ইয়াসমিন পড়ার পর লেখিকার উপরে খুব রাগ লাগছিল। পরে ঠিক হয়ে গেছে। কিন্তু বহুৎ বহুৎ ভালো লেগেছে।
Was this review helpful to you?
or
ইয়াসমীন বইটা পড়ার ইচ্ছে ছিলো বহুত আগে থেকে। অবশেষে পড়া হলো বেশ কয়েকদিন আগে। বরাবরের মতোই অসাধারণ লেখনী " ইয়াসমীন"!!
Was this review helpful to you?
or
এতো সুন্দর বই, যতক্ষন শেষ না করবেন ততক্ষন ভাবতেই থাকবেন এরপর কি হবে এরপর কি হবে, এতো সুন্দর লেখনী মাশা আল্লহ বারাকাল্লহ
Was this review helpful to you?
or
‘ইয়াসমীন’ আমার কাছে এক আবেগের নাম। প্রতিটি শব্দচয়ন পারফেক্ট এবং ঝরঝরে। কাহিনী টেনে হিঁচড়ে পৃষ্ঠা সংখ্যা বাড়ানোর কোন চেষ্টা নেই বরং স্বল্প পরিধির লেখনীর মাঝেই লেখিকা এক অপার্থিব ভাবের জগতের জন্ম দিয়েছেন। জীবনের যান্ত্রিকতায় অতিষ্ঠ মানুষদের জন্য চমৎকার সময় কাটানোর একটুখানি জায়গা হতে পারে ‘ইয়াসমীন’।
Was this review helpful to you?
or
"ইয়াসমীন" বইটিতেও রয়েছে ছোট ছোট সাতটি গল্প, যা মনের ভেতর মহাসাগর সম আলোড়ন সৃষ্টি করে। আর ছোটগল্পের সংজ্ঞা তো সকলেরই জানা। "শেষ হইয়াও হইলো না শেষ!"
Was this review helpful to you?
or
'ইয়াসমীন' বইটা লেখিকার পড়া আমার ২য় বই। প্রত্যেকটা গল্প এতো সুন্দর। বাস্তবতার সাথে মিলে যায় কোনো কোনো টা! তাহিরা গল্প টা পড়ে শেষ করে কয়দিন গল্পের মধ্যেই ডুবে ছিলাম! প্রত্যেকটা গল্পই অসাধারণ।
Was this review helpful to you?
or
বহু বহুদিন গল্পের কোন বই পড়া হয় না। ইয়াসমিন বের হয়ে মার্কেট আউট তখনও কেনা হয় নি। অনেক পরে যখন নিলাম আর পড়া শুরু করলাম সত্যিই কোথায় হারিয়ে গেলাম। কতদিন কোন গল্প পড়া হয় না! শূণ্যতা যেন নিমিষেই পূরণ হয়ে গেল। এই বইতে একটা শব্দও বাড়তি নেই। বাড়তি কোন বর্ণনা নেই। যথাযথ জায়গায় যোগ্য শব্দসমূহ। ইয়াসমিন! একবার পড়ে গেলে কখনও ফেরত এসে পুনরায় পড়ার অভ্যেস আমার নাই। কিন্তু ইয়াসমিন যেন টেনে বারবার ফেরাতে চায়। তাহিরা! আহা! উন্মাতাল প্রেম ঝরে পড়া শরীফের প্রতিটি কথায়, প্রতি শব্দে। গল্প এমনও হয়! অথচ এটা একটা কী ভীষণ রাজনৈতিক গল্প। শেষ গল্পটার শুরুটা এত অন্যরকম সুন্দর লেগেছে আমার। সত্যি বলতে প্রতিটা গল্প সুন্দর। সত্যি বলতে প্রতিটা গল্পই অসাধারণ। লেখক লেখার প্রতি উদার হন, আরও বই আমাদের জন্য লেখেন। এই প্রত্যাশা।
Was this review helpful to you?
or
ইয়াসমিন! অনেক সময় বইয়ের নাম দেখেই পড়ার আগ্রহ জন্মায় খুব করে। আবার প্রচ্ছদ দেখেও মন আকুল হয়ে যায় তাকে ছুঁয়ে দেখতে, ভেতরের পাতা গুলো উল্টে দেখতে। ইয়াসমিন বইটাও সেরকম। যখন থেকে বইটা সম্পর্কে শুনি, নামটা জানি তখন থেকেই উন্মুখ হয়ে ছিলাম কবে বইটা নিজের হস্তগত করতে পারি। উইশলিস্টের এ বইখানা হাতে পেয়েছিলাম কাছে পাওয়ার আকাঙ্খা শুরু হওয়ার বহুদিন পর। যাক কাছে পেয়ে তাকে হাত বুলিয়ে ছুঁয়ে দেখার সাধ মিটালাম, তারপর পাতা উল্টাতে উল্টাতে শেষ করে তিয়াস মিটালাম কি আছে এর মাঝে তা জানার জন্য উৎসুক হয়ে থাকা আমার মনের। বইয়ের মাঝে থাকা শব্দগুলোর মাঝে যেন কিছু একটা ছিল, বাস্তবতার গন্ধ ছিল ভরপুর। এ যেন নিছক কোন গল্প নয়, বেশিরভাগ গল্পের পরতে পরতে ছিল যেন বাস্তব সব কাহিনী। তবে "তাহিরা" পড়ে মন কেমন করেছে খুব! কষ্ট পেয়েছি খুব, কান্নাও এসেছে খুব! আর "সময়" পড়ে আমি থ হয়ে ছিলাম। শেষটা অমন হবে ভাবিনি। তবে গল্প তো বেশিরভাগ সময় ই ভাবনার উল্টো হয়, এখানেই লেখকের চিন্তার শক্তি নিহিত থাকে অনেকটা, "সময়" ও তেমন, যেন পুরোটাই বাস্তব! ধাক্কা খেয়েছিলাম ভীষন করে। সবগুলো গল্প পড়ার পরও যেন এটার রেষ যাচ্ছিলো ভিতর থেকে। সবশেষে বলি " স্নিগ্ধ প্রচ্ছদের ইয়াসমিন বই টা আসলেই স্নিগ্ধ " একঘেয়েমি চলে আসা জীবনে একটু ধাক্কা লাগিয়ে হুশ ফেরাতে এমন একটা বই অবশ্যপাঠ্য বলা যায়। বাস্তবতাকে একটু অন্য রকম করে জানার জন্য বেশ কাজের বলা যায়
Was this review helpful to you?
or
সময়টা ২০-২১ সালের দিকে হবে, ইয়াসমীন প্রথম নজরে আসে প্রিয় কবি নজিব ভাইয়ের পোস্ট হতে । তিনি তার মায়ের নাম সম্পর্কে বলেছিলেন সম্ভবত ইয়েসমিন । ভাই লিখেছিলেন বইটা লেখিকা তাকে গিফট করেছিলেন। ভাইয়ের রিভিউ দেখে বইটা পড়ার এবং লেখিকা সম্পর্কে জানার খুব আগ্রহ জাগে যেহেতু আমি নিয়মিত পাঠক। এরপর জল অনেক দুর গড়িয়েছে । কোনও কারণে বইটার কথা প্রায় ভুলেই গিয়েসিলাম। ২৩ এর শেষের দিকে ছোট বোন কিছু বই কেনার আবদার করলে কয়েকটি বইয়ের সাথে ইয়াসমিন ও কিনে ফেলি। আমার একটা অভ্যাস হল বই হাতে পেলে গল্পের বই গুলা আগে পড়ি । সেদিন সন্ধায় বই নিয়ে বসলাম । সবগুলা গল্প নাম পড়ে নিয়ে কেন জেনো ইয়াসমিন গল্পটা আগে পড়লাম । হয়ত নজিব ভাইয়ের কথার সেই দিনের সেই অবসেশনের কারণেই । বরিশালের মাদ্রাসার দিনগুলা, ক্লাসের মাঝের খুনসুটি, পাহাড়ে ইয়াসমিনদের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া, রাতের ছাদে জিনেদের পদচারনা, লঞ্চে হঠাত দেখা , বাবার বন্ধুত্ব, কিংবা ইয়াসমিনের বাচ্চাদের লেখিকার বাড়িতে সফর। কিংবা গল্পের শেষের দিকে ইয়াসমিনের অসুস্থতা । গল্পে দুইয়ে দুইয়ে চার কেন জেন মিলছিলো না । রবি ঠাকুরের সেই ছোট গল্পের মত মনে হচ্ছিলো শেষ হয়ে ও স্বব্ধ হয়ে রয়েছিলাম । শিতের রাতেরও কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমে উঠছিলো । বইয়ের অন্যান্য গল্প যেমন তাহিরা , সুপারস্টার কিংবা রক্তভাগ্য ও আমাকে অনেক সুময় ধরে অবচেতন করে রেখেছিলো । বরিশালের থাকি এজন্যই নাকি অন্য কোনও কারণে কেন জানি লেখিকার সাথে দেখা করতে বা কথা বলার তীব্র বাসনা হয়েছিলো। যদিও লেখিকার email বইতে দেয়া ছিল কিন্তু কেন যেন মেইল করা হয়নি । হয়ত কোনও একদিন সাহস করে করে ফেলবো । বেশি লিখলে হয়তো দু চারটা প্রবন্ধ হয়ে যাবে । বাকি সাসপেন্স গুলা তাই পাঠকের জন্যই বরাদ্দ থাক ।
Was this review helpful to you?
or
আমার বন্ধু মুইনুল হাসান সাবেতের বাসায় একদিন নিয়ে গেলো। আমি তখন বইয়ের নেশায় বুঁদ হয়ে থাকতাম। ফরিদাবাদে আমরা একসাথে পড়তাম। ওর বাসায় গিয়ে ইয়াসমীনকে পাই, শুরু করি পড়া। একবসায় পুরোটা শেষ করেছিলাম। সেই গল্পের রেশ এতগুলো বছর পরে এখনও যেন আমার কাটেনি। আমার জীবনে পড়া, সত্যি একটা চমৎকার বই এটি। গত ইসলামি বইমেলায় যখন গুলমোহরের সাথে নতুন করে পেনফিল্ড থেকে ছেপে আসে, তখন অনেককে গিফট করেছি। পরামর্শ দিয়ে কিনিয়েছিও। এত দারুণ লেখেন যিনি, তার বইয়ের সংখ্যা এত কম হওয়া মোটেও মানা যায় না। লেখিকা আরও দারুণ বই আমাদেরকে উপহার দিন, কামনা থাকলো।