Our User Product Reviews

এ বইটাকে নিয়ে কোনো সিনেমা তৈরী হয়েছে কিনা জানিনা।তবে বইয়ে যেভাবে বিস্তৃতভাবে লিখা আছে,সেভাবে যদি সিনেমা তৈরী করা হয় দারুন হবে। এককথায় আমি বলবো অসাধারণ একটা বই,বিশেষ করে শেষের দিকটা আমার সুন্দর লেগেছে। আমি এই বইটা অন্যদের ও পড়ার অনুরোধ করবো।

"আইন সকলের জন্য সমান "- কিন্তু যখন দূর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, প্রসাশনের হীনতা, বিচার ব্যবস্থার দূরাবস্থা, কিংবা নানান রকমের অনিয়ম অভিযোগ মাথা চড়া দিয়ে উঠে তখন গ্রীক এই প্রবাদ অর্থহীন। পুঁজিবাদি রাষ্ট্রের জন্মলগ্ন থেকেই হয়ত এই অপরাধ প্রবনতা লক্ষ্য করা যায়। এমন অবস্থায় যখন সাধারন মানুষ সুস্থ বিচার দাবি করেও পায় না, তখন এই ধরনের অপরাধ আরো মাথা চরা দিয়ে উঠে। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ভাষায় তখন দুটো রাস্তাই খোলা থাকে। ১ নতুন কোন বিপ্লব এর উত্থান, ২ সকল নাগরিক সুযোগ সুবিধা সুস্থ ভাবে নিশ্চিতকরণ। কিন্তু দেখা যায় বিপ্লব ঘটানো পসিবল হয়ে দ্বারায় না কেননা আজকালকার বিপ্লবীরা সেই আর্জেন্টাইন চে গুয়েভারার মতো না, তারা আগেই ক্ষমতাশীনদের পা চাটা শুরু করে দেয়। আর যদি বলবেন সকল নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতকরণ, তার থাকবে শুধু কাগজে কলমেই।। এমনতো অবস্থায় নাগরিক স্বার্থ সংরক্ষনের তাগিয়ে গড়ে উঠে একদল মানুষের সংগঠন। যাদের হয়তো চর্মচক্ষুর আলোতে দেখা যায় না, কিন্তু আলোর জগতের অন্তরালে তারা গড়ে তুলে বিশাল মাফিয়া সংগঠন। তাদের দলপতিকে আমরা বলি "গডফাদার "। এই মাফিয়া সংগঠন মশালের মতো আলোকিত হয়ে থাকলেও রাষ্ট্রের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের ঘাটাতে সাহস পায় না। কিংবা আইন শৃঙ্খলার বিচার ব্যবস্থার অন্তরালে তারা হয়ে উঠেন পিতা থেকে ধর্মপিতা, গডফাদার। ১৯৬৯ সালের গোড়ার দিকে ইতালীয়ান বংশোভুত আমেরিকা লেখক মারিও পুজো একটি বিখ্যাতো উপন্যাস রচনা করেছিলেন। নাম "দ্যা গডফাদার"। গডফাদার প্রকাশিত হওয়ার পর পরই আমেরিকা সহ ধীরে ধীরে পুরো বিশ্বে সমাহিত হতে থাকে এবং অচিরেই ক্লাসিক বই হিসাবে বর্তামানেও বেস্টসেলার এর তালিকাভুক্ত। মারিও পুজো তার গডফাদার বইতে দেখিয়েছেন যে গডফাদার রা লোকচক্ষু এর অন্তরালে কিভাবে নিজের জাল বিছিয়ে রেখেছেন। কাহিনী সংক্ষেপ আলোচনা করতে গেলে দেখবো বই এর শুরুতেই আমেরিকান গডফাদার ডন ভিটো কর্লিয়নিকে। সমাজের মানুষ যখন সঠিক বিচার পায় না, বিচার ব্যবস্থা যখন দূর্নীতি আর রাহাজানিতে পরিনত হয় তখন মানুষ ডনের কাছে আসেন তাদের ফরিয়াদ জানাতে। তারা জানেন ডন কখনো তাদের খালি হাতে ফেরাবে না। কিন্তু কেন? ডনের উদ্দেশ্য কি মানব প্রেম? না বিনিমেয় ডন শুধু চায় বন্ধুত্ব, যে ডনের সাথে বন্ধুত্ব করবে তার সমস্যা ডনের নিজের সমস্যা, ডন শুধু চায় মানুষের ভালোবাসা আর ভক্তি, ভক্তি ভরে মানুষ যেন তাকে পিতা বলে ডাকে, ধর্মপিতা। কর্লিয়নি পরিবার এর প্রধান ডন ভিটো কর্লিয়ানি। তার বড়পুত্র সনি সান্টিয়াগো কর্লিয়নি, পিতার সাথে পারিবারিক ব্যবসাহ্ জড়িয়ে গেলেও পিতার মতো একনিষ্ঠ এবং ধৈর্যের পরিচয় দিতে পারেননি, ফলে অচিরে তাকে প্রাণ দিতে হয়েছে শত্রুপক্ষের হাতে। মেজো ছেলে মাইকেল কর্লিয়ানি বাবার ব্যবসায় প্রথমে না জড়ালেও পরবর্তী তে জরিয়ে যায়। মেয়ে কর্নির বিয়ে হয় আরেক মাফিয়া পরিবার এর ছেলে কার্লোর সাথে।। ডন ভিটো কর্লিয়ানি এর জন্ম ছিলো ইতালির সিসিলিতে, সেখানে সিসিলিয়ান মাফিয়ারা তার বাবাকে হত্যা করে। ছেলে বড় হয়ে বাবার হত্যার প্রতিশোধ নিবে এই ভয়ে ডনকে খুন করার পরিকল্পনা করতে থাকে সিসিলিয়ান মাফিয়ারা, ডন তখন পালিয়ে আসেন আমেরিকায়, এবং ভাগ্যের নির্মম পরিহাসের সাথে শুধু করেন জলপাই তেল এর ব্যবসাহ্, পরবর্তী তে সফল ভাবে ব্যবসাহ্ পরিচালনায় পারদর্শিকতার পরিচয় দেন। নিউ ইয়র্কের মাত্র সাতশো ডলার এর বিনিময়ে ডনের প্রথম খুনের হাতেখড়ি হয়। ধীরে ধীরে ডন হয়ে উঠেন মাফিয়া জগতের প্রভু। মারিও পুজোর লেখা "দ্যা গডফাদার " বইটিতে লেখক দেখিয়েছেন ১৯৪৫-১৯৫৬ সালের ডন ভিটো কর্লিয়নির প্রথম জীবন স্মৃতিময় অতিত, বর্তমান এবং তার কর্মকান্ড। মূলত এই বইতে লেখক দেখিয়েছেন মাফিয়া জগৎ। অর্থাৎ মাফিয়া জগতটা কতটা ভয়নাক কিংবা সুন্দর। কতটা ক্ষমতাশীল তারা কিংবা কেনই বা তারা মাফিয়া হয়ে উঠে ইত্যাদি।। মারিও পুজোর লেখায় পাঠক খুঁজে পাবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ের নিউ ইয়র্ক শহর,পাঁচ পরিবার এর দ্বন্দ্ব , পুঁজিবাদি রাষ্ট্রের কোন্দাল, ক্ষমতার অপব্যবহার কিংবা পারিবারিক দ্বন্দ্ব । বইটিতে কখনো পাঠক টান টান উত্তেজনায় পেজ উল্টাবে কিংবা কখনো লেখকের লেখা তাকে ভাবাবে। অনেকের মতেই গডফাদার একটি থ্রিলার। কিন্তু এটাকে থ্রিলার বললেও আমি থ্রিলার বলতে নারাজ, কারন কেউ যদি বইটিতে খুন ইনভেস্টিগেশন, রহস্য, টুইস্ট খুঁজে তাহলে সে পুরো ব্যর্থ হবে। কেননা এটা একটি ক্লাসিক সাহিত্য। যার মূল কাঠামো অপরাধ বিজ্ঞান এবং অপরাধ এর জগত। এই বইটিতে আমার আরেকটা ভালো লাগার বিষয় হলো, যে আমি রিয়ালিটি পছন্দ করি, সমাজবাস্তবতা দেখে তাকে গালিগালাজ করে নিজে একটু আনন্দ পাই, সেই বাস্তবতার আনন্দ টুকু এই বইতে আমি পেয়েছি। মানে অসমতা,ন্যায় বিচারের অভাব, দূর্নীতি, আন্ডারওয়ার্ল্ড, মাফিয়া জগৎ, ড্রাগ মাদক, সেক্স যৌনতা সব ছিলো। যৌনতার এতো রগরগে বর্ননা, যা সিডনি শেলডন আর জেমস প্যাটারসনের পরে আমি মারিও পুজোর আমার পড়া প্রথম বইতেই পেলাম। অনুবাদ প্রসঙ্গে বলতে গেলে বলবো আমি সেবা প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত আব্দুল হাকিম এর অনুবাদ টি পড়েছি। ২০০৪ সালে বাতিঘর প্রকাশনী থেকে মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন গডফাদার এর পূর্নাঙ্গ অনুবাদ করেন। এর আগে শেখ আব্দুল হাকিম এর অনুবাদ সেবা প্রকাশনী থেকে দুটি ভলিয়ম আকারে বের হয়। আমি দুটো অনুবাদই দেখেছি, নাজিমউদ্দিন সাহেব সরাসরি অনুবাদ করে গিয়েছেন, অন্যদিকে আব্দুল হাকিম সাহেব পুরো বইকে চারটি পর্বে বিভক্ত করে অনুবাদ করেছেন। আব্দুল হাকিম সাহেব এর অনুবাদ মনে হয়েছে তিনি ভেঙ্গে ভেঙ্গে পাঠককে বুঝিয়ে বুঝিয়ে গড়েছেন। বর্তমানে সেবা প্রকাশনীর গডফাদার প্রিন্ট আউট, দৈব্যচয়নে যদি কোথাও সেকেন্ড হ্যান্ড পাওয়া যায় তো আলহামদুলিল্লাহ। শেখ আব্দুল হাকিম এর অনুবাদ বর্তমানে আকাশ প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া কলকাতায় লীলা মজুমদার গডফাদার এর অনুবাদ করেছেন, নীলক্ষেতে তা পাইরোসি প্রিন্ট পাওয়া যায়। তবে সর্বাপরি আমি যেহেতু আব্দুল হাকিম এর অনুবাদ পড়েছি, আমি বলবো শেখ আব্দুল হাকিম এর অনুবাদই ভালো। ১৯৭২ সালে গডফাদার উপন্যাস অবলম্বনে হলিউডে নির্মিত হয় "দ্যা গডফাদার" মুভিটি, বই এর মতো মুভিও সফল ব্যবসাহ্ এর দাবিদার। তারপর ১৯৭৪ এবং ১৯৯০ সালে যথাক্রমে গডফাদার ২ এবং ৩ মুভি নির্মান হয়। এবং আইএমডিবি রেটিং এর টপ মুভিগুলোর মাঝে গডফাদার এবং গডফাদার২, ৯.১ এবং ৯ রেটিং নিয়ে শশাঙ্ক রেডেম্পশন এর পর দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে আছে। সুতরাং বুঝাই যাচ্ছে মুভি হিসাবে গডফাদার কতটা গুরুত্বপূর্ন। এতোদা স্বত্বেও কিছু মানুষ বলছেন গডফাদার আহামরি বই না, অনেকেই বলছেন প্রচারই প্রসার, তাদের জাস্ট এইটুকু বলবো গডফাদার মাফিয়া জগতের, তাদের অন্তরালের গল্প যেখানে খুঁজতে হবে সাহিত্যরস, যদি থ্রিলিং খুঁজেন আপনি ব্যর্থ। পরিশেষে এই বলবো যে সেই ১৯৬৯ সালের বই অর্থাৎ বাংলাদেশ জন্মেরও আগের, আগ্রহী পাঠকরা অবশ্যই ট্রাই করে দেখতে পারেন, আশাকরি না যে খারাপ লাগবে।। গুডরিডস রেটিং : ৪.৩৬/৫ পারসোনাল রেটিং : ৪.৫/৫ বইয়ের নাম : দ্যা গডফাদার। লেখক : মারিও পুজো ভাষা : ইংরেজি, অনুবাদক : শেখ আব্দুল হাকিম। জনরা : অপরাধ বিষয়ক উপন্যাস। প্রকাশকাল : ১০ই মার্চ১৯৬৯।। ধন্যবাদ, মিদুল, পুরাতন, ঢাকা ইসলামবাগ চকবাজার। রাত ৭টা, ০২-০১-২০২১।

বইঃ গডফাদার লেখকঃ মারিও পুজো অনুবাদঃ মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন। হাতে সময় থাকলে চলুন ঘুরে আসি ডনের সাম্রাজ্য থেকে। যেখানে আছে বন্ধুত্ব আছে রাজত্ব আছে মানুষকে নিয়ন্ত্রন করা । ডন কর্লিয়নি পরিবার কে নিয়ে এ গল্প। মাইকেল কর্লিয়নি তার বাবা ডন কর্লিয়নিকে জিজ্ঞেস করল,"কিভাবে লোককে না বললে তারা খুশি হয়, বাবা " ডন বললেন, " মাইকেল,যাদের ভালবাসা যায় তাদের ’না’ বলা যায়না,, অন্তত খুব বেশি বার নয়। ঐ হল গোপন মন্ত্রটি। তবু যদি ’না’ বলতেই হয়, তাহলে এমনভাবে বলতে হবে যেন 'হ্যাঁ'র মতো শুনতে লাগে। কিংবা অপর পক্ষকে দিয়েই 'না'টি বলিয়ে নিতে হবে। একটু সময় দিতে হয়, কষ্ট করতে হয়। তবে, আমি হলাম সেকেলে, তোমরা নব্য এবং আধুনিক, আমার কথা শুনোনা। " ডন তার বড় ছেলে সনিকে বললেন, " সান্তিনো, যাদের বয়স কম, তাদের লোভ বেশি এবং আজকাল তাদের ভদ্রতা জ্ঞানও নাই। বড়দের কথায় বাধা দেয় নাক গলায়। তুমি এরকম করবেনা। নিজেদের পরিবারের বাইরে কারো কাছে কখনো নিজের মনের কথা প্রকাশ করবেনা । তোমার নখের নিচে কি আছে কাউকে জানতে দেবেনা। নিজের কাজের দিকে মন দাও " ভয়াবহ ফানুচির উপর ডন ভিটো কর্লিয়নি মনে হিমশীতল রাগ জন্মাল কিন্তু রাহ প্রকাশ না করে সুযোগের অপেক্ষায় রইলেন। ফানুচিকে হত্যা করে ডনের সূচনা

অসাধারণ একটি বই। কিছু শব্দের বানানে ভুল রয়েছে এবং কিছুকিছু জায়গায় বাক্য গঠনেও সমস্যা রয়েছে।

Osthir

সমাজ কিংবা দেশের প্রচলিত আইন যখন ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে ব্যর্থ হয় কিংবা দ্বায়িত্বপ্রাপ্তরা তাঁদের দায়িত্ব এড়িয়ে যায় কিংবা হয়ে পড়ে দুর্নীতিগ্রস্থ, তখন সাধারন মানুষ ন্যায় বিচারের আশায় এমন কাউকে খুঁজে নেয় যিনি দেশের প্রচলিত আইনের তোয়াক্কা না করে ভিন্ন উপায়ে অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিত করে ,যদিও প্রচলিত আইনে সেটাও অপরাধ । গডফাদার উপন্যাসের প্রধান চরিত্র ডন ভিটো কর্লিয়নি তেমনই একজন মানুষ যিনি আন্ডার গ্রাউন্ডের কিছু মানুষের কাছে অসম্ভব জনপ্রিয় কিন্তু আইনের চোখে নিছকই একজন মাফিয়া । সত্যিকারের থ্রিলার বলতে যা বুঝায় তাই হচ্ছে গডফাদার উপন্যাসটি । অনুবাদের প্রাঞ্জলতা মূল লেখার মতো রাখা কখনোই সম্ভব হয় না আর এটা মেনে নিয়েই বলছি অসম্ভব সুন্দর এই বইটি । ধন্যবাদ ।

অসাধারণ অনুবাদ, পড়ে মনেই হয়নি যে কোনো অনুবাদ পড়ছি

Best

এক বিশাল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডন ভিটো কর্লিয়নি। তার এই রাজ্যের ভিত্তি জলপাই তেল এর ব্যবসা। রূপকথার গল্পের মতই তার রাজ্য। তার কাছে সাহায্য চেয়ে কেউ খালি হাতে ফিরবে না। ন্যায় বিচার না পেয়ে অনেক মানুষ হাজির হচ্ছে এই গডফাদার এর দরজায়। পাচ্ছে ন্যায় বিচার। তিন পুত্র আর এক কন্যার জনক। তিন আলাদা চরিত্রের তিন পুত্র। জনমনে প্রশ্ন এই গডফাদার রাজ্যের উত্তরাধিকারী কে হবে? এক মাত্র কন্যার আড়ম্বরপুর্ণ বিয়ের দৃশ্য দিয়ে উপন্যাস এর শুরু। কন্যার স্বামী খুব একটা সুবিধার মানুষ নয়। এর মধ্যেই বড় ছেলে আর সেই গুণধর বোনের স্বামীর মধ্যে চলে বেশ ভালই হাতাহাতি। এক সিসিলিয় বালকের সাধারণ থেকে অসাধারণ হয়ে ওঠার অদ্ভুত ইতিহাস। মাথা ঠান্ডা রেখে নিজের কাজ করে গেছেন বলেই হয়ত শুন্য থেকে পূর্ণ হয়ে উঠেছিল তার থলে। একদিন তার এই সম্রাজ্যে উঠলো এক ঝড়। সেই ঝড়ে উলটে পালটে গেল সুন্দর সব দিন। সমস্ত রাজ্যে এল পরিবর্তন। কি সেই ঝড়? ব্যক্তিগত মতামতঃ বইটা নিয়ে টুকটাক শুনতাম। একদিন এক ফ্রেন্ড বলল যে, এইটা এমন একটা বই যা মানুষ এর জীবন কে বদলে দিতে পারে। অনেক কিছু শেখাতে পারে। আসলেই তাই। এই বই পড়ে ঠান্ডা মাথায় প্রতিশোধ নেয়া শিখছি। যদিও এখনও কারোর উপর এপ্ল্যাই করিনি, তবু ইচ্ছা আছে এই শিক্ষা কাজে লাগাবই। মজা করে বললেও এটা অনেক সত্য। এই ডন সাহেব মোটামুটি ভালোই শিক্ষা দিয়েছে কিভাবে নিজের নার্ভকে ঠান্ডা আর শান্ত রেখে কাজ উদ্ধার করতে হয়। বইটা আমার খুব পছন্দের, এই বই এর নাকি সিক্যুয়াল ও আছে, নামগুলো এখন মনে নাই, তবে পড়ার ইচ্ছা আছে। প্রেম, মোহ, ভালোবাসা, থ্রিলার, খুন, রহস্য, প্রতিশোধ, একটি পরিবারের গল্প, কি নেই সেখানে? সব কিছু মিলে অসাধারণ এক বই। এই বই এর সবথেকে বড় শিক্ষা আমার কাছে হল, অপরাধ অপরাধই। সব অপরাধের শাস্তি ঠিকই পেতে হয়, আজ না হলেও কাল। অন্যদিকে বলব, বাতিঘরের একটা কমন জিনিস, বানানের ভুল। বেশ অনেক ভুল আছে এই বইটি তে।

মারিও পুজোর দ্যা গডফাদার বইটি নিয়ে লিখতে চাইলে অনেক কিছু লিখা যায়। আমি এই বইটি অনেকবার হাতে নিয়েছি দ্বিতিয় বার পড়ার জন্য কিন্তু কখন পড়া হয়নি। প্রথমবারের চমক , মুগ্ধতা হাড়িয়ে যাওয়ার ভয়ে। চরিত্রগুলো খুব সুন্দর ও গভীর ভাবে লিখেছেন মারিও পুজো । একেবারে পাঠকের মনের গভীরে ঢুকতে পেরেছেন। খুব কম লেখকই এই কাজটি করতে পারেন । মারিও পুজো এই কাজটি করতে পেরেছেন বলেই সবধরনের পাঠক বইটি আগ্রহ নিয়ে পড়ছে , পড়েছে এবং ভবিষ্যতেও পড়বে। চির যৌবনা এক উপন্যাস। প্রেমিকার মুখর মত, যতবারই দেখি মুগ্ধতা শেষ হয়না। দ্যা গডফাদারও তেমনই একটি বই। বারবার পড়া যায়।বইটিকে কি বলব !! শুধুই উপন্যাস নাকি তারচেয়েও বেশি কিছু। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয়েছে , আমেরিকার অর্থনীতির অবস্থা শোচনীয়। এর মধ্যেই মাফিয়া পরিবারগুলাের ব্যবসা চাঙ্গা হয়ে উঠছে । তেমনই একটি পরিবার হল কর্লিওনি। এই পরিবারের প্রধান হলেন ভিটো কর্লিওনি । গডফাদার । আর কর্লিওনি পরিবারকে ঘিরেই গড়ে উঠেছে দ্যা গডফাদার উপন্যাসের কাহিনী । মারিও পুজো উপন্যাসটি সৃষ্টি করেছেন প্রেম ভালবাসা, বিশ্বাস অবিশ্বাসের অপূর্ব মিশ্রনে। এই উপন্যাসের কােন বনর্ণায় আমি যাব না, আমার সে ক্ষমতাও নেই। শুধু বলব যারা এখনও এই উপন্যাসটি পড়েননি তারা বিশ্ব সাহিত্যের বিরাট একটি অংশ মিস্ করছেন। উপন্যাসটি যে একবার শুরু করবে, সে আর শেষ না করে ছাড়তে পারবে না। মারিও পুজোর এই উপন্যাসটি নিয়ে সিনেমাও বানানাে হয়েছে। সিনেমাগুলাে কখনাে দেখার ইচ্ছে হয়নি। কারন মারিও পুজোর বনর্ণায় চরিত্রগুলো আমি আমার মত করে কল্পনা করে নিয়েছি। চােখ বন্ধ করে গডফাদার ভিটো কর্লিওনির কথা ভাবলেই আমি তাকে দেখতে পাই। সিনেমা দেখলে, আমি আর আমার মত করে চরিত্রগুলো দেখতে পাব না। দ্যা গডফাদার - মারিও পুজোর অসামান্য একটি সৃষ্টি।

along with many celebrities and powerful personalities, The Godfather is one of the most favourite book to me as well... its awesome. translation by Nazim Uddin is really good. i think, reading this book is a lifetime experience...

বইটি শুরু করার পর শেষ না করে আর উঠতে পারি নি। প্রতিটা জায়গায় নতুন নতুন মোর একবারে যেন গায়ের লোম দাড়িয়ে যায়। গল্পের শেষ দিকটা এক কথায় অসাধারণ।

রকমারিতে আমার প্রথম অর্ডার করা বইগুলোর একটি। অনুবাদ ভাল হয়নি। বানান এর অনেক ভুল রয়েছে, তবে অসাধারন একটা বই।

দূর্বল যখন আদালতের সুবিচার পায়না তখন হাজির হয় এক গোপন বিচারকের কাছে। রাজনীতিবিদরা ক্ষমতার স্বাদ নিতে আর ব্যবসায়ীরা সাহায্যের জন্য ছুটে যান তাঁরই কাছে। নিজেই নিজের নিয়ম তৈরি করে সৃষ্টি করেছেন এক জগৎ। সেই জগতে তিনিই একচ্ছত্র অধিপতি! স্নেহবৎসল পিতা আর নিজের নিয়মে তিনি একজন নীতিবানও বটে! যারা তাঁর বন্ধু তাদের জন্য তিনি নিজের জীবন বিপন্ন করেন! শত্রুর কাছে এক ভয়ঙ্কর বিভীষিকা! হিংস্রতা আর ক্রুড়তায় অনন্য! তিনি বিশ্বাস করেন প্রতিটি মানুষের একটাই নিয়তি থাকে আর সেটা তৈরি হয় ঘটনাচক্রে! সমাজের ভিতরে সমাজ আর রাষ্ট্রের ভিতরে রাষ্ট্রের যে জগত সেই জগতের শক্তি কেন্দ্রে বসে সবার অলক্ষ্যে কলকাঠি নাড়েন গডফাদার...

বাজে অনুবাদ ।

For all of those people saying they did not enjoy this book, that is because they have not reached the level of maturity mandatory for viewing this novel. It was boring to the people that could not understand what was happening. I thought the introduction was riveting! The beginning explained to you what was going on, but in an intriguing way. The story was all very well written.

পঞ্চাশের দশক, আমেরিকা। অনেক সিসিলীয় পরিবার অভিবাসী হয়েছে আমেরিকায়। এসব ইটালিয়ান আমেরিকানরা নেহাতই দরিদ্র মানুষ-রুটি ব্যাবসায়ি, ফলের দোকানী কিংবা শ্রমজীবী।মার্কিন আইন তাদের প্রতি সদয় নয় তখনও, পদে পদে এ মানুষগুলো অন্যায় অত্যাচারের শিকার হয় এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়। কিন্তু তারা ঠিক অসহায় নয়, কারণ তাদের অনেকেরই আছে একজন খুব শক্তিমান বন্ধু, যার দীর্ঘ হাত মার্কিন প্রশাসনের বহু ক্ষেত্রে বিস্তৃত। এমন একজন মানুষ যিনি অনেক ক্ষমতাবান হলেও পর্দার পিছনে থাকতেই ভালবাসেন। যিনি এমন প্রস্তাব দিতে জানেন যা কেউ প্রত্যাখ্যান করতে পারে না। নিজের বন্ধুদের সাহায্য করতে যার বিন্দুমাত্র দ্বিধা নেই, বিনিময়ে তিনি শুধু কামনা করেন কৃতজ্ঞতা, বন্ধুত্ব আর একটি সম্বোধন-গডফাদার! মারিও পুজো, আজকের “মারিও পুজো” হয়ে ওঠেন যে উপন্যাস লিখে সেটি হল-‘দ্য গডফাদার’। মাফিয়া বা কসা নস্ত্রা (cosa nostra; যার আক্ষরিক অর্থ 'আমাদের জিনিস') পরিবারগুলোকে নিয়ে শ্রেষ্ঠ উপন্যাস আজ পর্যন্ত হয়ত এটাই। উপন্যাসের পটভূমি ১৯৪৫-১৯৫৫ সালের আমেরিকা। ভিটো করলিয়নি একজন বর্ষীয়ান পুরুষ, তিনি একজন ব্যবসায়ী, এবং নৈতিকতার মাপে খুবই উঁচু একজন ব্যক্তি। কিন্তু একটু ভিতরে ঢুকলেই বোঝা যায়, আপাতদৃষ্টিতে ভিটো করলিয়নিকে যা মনে হয়, তিনি মোটেও তা নন। তাঁর অধীনে চলছে এক বিরাট সন্ত্রাসী সাম্রাজ্য, বিশাল মাফিয়া পরিবার। ক্লেমেঞ্জা আর টেসিও নামের দুই সহকারীকে সাথে নিয়ে, পালকপুত্র টম হেগেনের আইনী জ্ঞানে তিনি চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁর পরিবার। তাঁর বড় দুই ছেলে-সনি আর ফ্রেডি, বাবাকে সাহায্য করে তাঁর কাজে। ব্যতিক্রম ছোট ছেলে মাইকেল, সে তাঁর বাবার এধরনের ব্যবসাকে ঘৃণা করে পরিবার থেকে দূরে দূরে থাকে। পরে অবশ্য আমরা দেখি- সেই মাইকেলই উত্তরসূরি হয় তাঁর পিতার, সে হয়ে ওঠে ডন মাইকেল করলিয়নি! গল্পের শুরু হয় ভিটো করলিয়নির মেয়ে কনির বিয়ের অনুষ্ঠানের বর্ণনার মাধ্যমে, তারপর নানা ঘটনায় কাহিনী এগিয়ে চলে। এরই মধ্যে দৃশ্যপটে সলোজো নামের এক ড্রাগডিলারের আবির্ভাব ঘটে। সে নিউইয়র্কে মাদকব্যবসা ছড়িয়ে দিতে চায়। কিন্তু ডন ভিটো করলিয়নি মূল্যবোধের সাথে আপোষ করে বেশি লাভের আশায় মাদক-ব্যবসায় জড়িত হবেন না কোনক্রমেই। উপায়ান্তর না পেয়ে সলোজো ডনকে হত্যার চক্রান্ত করে, প্রকাশ্যে তার উপর পরপর পাঁচটা গুলি চালানো হয়। অলৌকিকভাবে ডন বেঁচে যান। মাইকেল সেসময় ছুটি কাটাচ্ছিল তার বান্ধবী কে অ্যাডামসের সাথে, শহরে। তার বাবার উপর আক্রমণের খবর শুনে সে তাড়াতাড়ি ছুটে যায় বাড়িতে। তার মাথায় তখন প্রতিশোধের আগুণ জ্বলছে তীব্রভাবে। সে সলোজো-কে এক রেস্টুরেন্টে ডাক দেয় ব্যবসায়িক আলাপের উদ্দেশ্যে। সলোজো এলে সে তাকে খুন করে কপালে গুলি করে, সাথে এক পুলিশ অফিসারকেও হত্যা করে। জোড়া খুন করে মাইকেল পালিয়ে যায় সিসিলিতে। এবার শত্রুর রক্তে হাত রাঙিয়ে ও আনুষ্ঠানিকভাবে জড়িত হয়ে যায় পারিবারিক ব্যবসার(!) সাথে! ‘দ্য গডফাদার’ উপন্যাসটি একটি ক্লাসিক-ক্রাইম থ্রিলার। মুলতঃ এই উপন্যাসের মাধ্যমে পুজো ইতালিয়ান-আমেরিকান মাফিয়া পরিবারগুলোকে নিয়ে থ্রিলার লেখার ধারার সূচনা করেন। পরবর্তীতে গডফাদারের পার্শ্ব-সিকুয়েল ‘দ্য সিসিলিয়ান’, হলিউড আর লাসভেগাস নিয়ে লেখা ‘দ্য লাস্ট ডন’-এ তিনি এ জনরাকে ব্যাপকভাবে বিকশিত করেছেন। ‘দ্য গডফাদার’ উপন্যাসটি মোটা দাগে চারটি পর্বে বিভক্ত। শেষ দুই পর্বের অনেকটা এসেছে ফ্ল্যাশব্যাক আকারে, দেখানো হয়েছে ভিটো করলিয়নির প্রথম জীবন, যৌবন ও ডন হিসেবে উত্থান। পুজোর বর্ণনার ধরণ একান্তই ওঁর নিজস্ব আর বিকল্পহীন। পুরো বইয়ে বোরিং হওয়ার মতো স্থান নেই বললেই চলে। গল্প যত এগিয়ে যায়, চরিত্রের সংখ্যাও বাড়তে থাকে। উপন্যাসের প্রয়োজনেই আসে লুসি মানচিনি, নিনো ভালেন্টি, লুকা ব্রাসি, জনি ফন্টেন-এর মতো কিছু চরিত্র, যাদেরকে ভোলার নয়। “দ্য গডফাদার’ আমি পড়েছি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের অনুবাদে, বাতিঘর সংস্করণ। বেশ ভালো লেগেছে অনুবাদটি। ‘দ্য গডফাদার’- এক অসাধারণ বই। পড়তে পড়তে কখনো কখনো চরিত্রগুলোর প্রতি আপনার অতিরিক্ত ঘৃণা জন্মে যাবে, আবার কখনো জাগবে ভালবাসা, কখনো সহানুভূতি। তবে ঐ অন্ধকার জীবনের প্রতি আকর্ষণ জাগবে নিশ্চিত, একবারের জন্য হলেও। আর শেষে মাথায় ঘুরতে থাকে মারিও পুজোর নিখুঁত লাইন- “Behind every successful fortune ; There is a Crime.”

Read this book, but a different translation

এক কথাইয় অসাধারন একটা বই। তবে অনুবাদ ভাল হয়নি। বানান এর অনেক ভুল রয়েছে ...

Its an awesome book by maria pujo. if u haven't read it yet, just read the book. U'll thank me to suggest to read the book. there are two volumes of godfather, volume-1 and volume-2. but u have to buy the translation of sheikh abdul hakim. remember not the translation by nazim uddin buy the translation of sheikh abdul hakim