User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
আমি নিয়েছি, দারুন লাগলো?
Was this review helpful to you?
or
সত্যি বলতে গল্পটি অসাধারণ হয়েছে♥️
Was this review helpful to you?
or
Good but not best.
Was this review helpful to you?
or
বইটা ভালোই ?। বেচারা বুড়ো সান্তিয়াগো ২৫ দিন পর একটা মাছ পেলো, তাও মাছটার সাথে তুমুল লড়াই করে ২-৩ দিন পর মাছটাকে ধরতে পেলো,। মাছটা বিশাল আকৃতির লম্বায় প্রায় ১৮ ফুট। বুড়োর নৌকা থেকেও প্রায় ২ ফুট বড়ো, বুড়ো মাছটিকে নৌকার একপাশে বেধে নিয়ে আসছিলো ঘাটে, মাছটা নিয়ে আসার পথে হাঙরের আক্রমণ হলো, হাঙর গুলো মাছটা পুরো টুকু খেয়ে ফেলে। বেচারা সান্তিয়াগো মাছের কঙ্কাল নিয়ে তীরে আসে। ✅ অবসর টাইমে পড়ার মতো একটা বই ?।বইয়ের অনুবাদ ও ভালো। ??
Was this review helpful to you?
or
worst book.. waste of money
Was this review helpful to you?
or
আহা ১৮ ফিট লম্বা মার্লিন???
Was this review helpful to you?
or
very nice book
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ বই
Was this review helpful to you?
or
good
Was this review helpful to you?
or
অনুবাদ ভাল লাগে নি
Was this review helpful to you?
or
ভালোই লাগেছে পড়ে
Was this review helpful to you?
or
Excellent
Was this review helpful to you?
or
Good book
Was this review helpful to you?
or
অনুবাদ ভালো হয়েছে। উপন্যাস মোটামুটি।
Was this review helpful to you?
or
আজকেই প্রথম বারের মতো অনলাইন বুকশপ থেকে কিছু অর্ডার করলাম। এবং নিজের প্রিয় লেখকের চারটি বই আশা করি খুব দ্রুত হাতে পেয়ে যাব। এবং প্রিয় লেখকের বইয়ের শুভ্র সমগ্রে এই বইটার নাম অনেক পড়েছি। হাত এখন একেবারে খালি। যা ছিল সবগুলো দিয়ে চারটা বই অলরেডি অর্ডার করেছি। এই বইটা পড়ার ইচ্ছে এখন মনে পুষে রাখি। দ্রুতই কিনব ইনশাআল্লাহ। আগে যে চারটা অর্ডার করেছি সেগুলোকে ছুঁয়ে আর এক্সাম চলছে, এক্সাম শেষে পড়ে শেষ করে মনের সাধ মিটাই। আগের বার পিডিএফে পড়া হয়, এইবার বই ছুয়ে পরতে পারব এটা ভাবতেই খুব আনন্দ লাগছে।
Was this review helpful to you?
or
valo
Was this review helpful to you?
or
yes
Was this review helpful to you?
or
One of the best book in history. Copy was good.
Was this review helpful to you?
or
পেজের মান অনুযায়ী দাম অনেক বেশি।
Was this review helpful to you?
or
Nice book
Was this review helpful to you?
or
কিনে পড়তে পারেন
Was this review helpful to you?
or
good
Was this review helpful to you?
or
ভালো বই
Was this review helpful to you?
or
onek val akta boi
Was this review helpful to you?
or
5/5
Was this review helpful to you?
or
nice
Was this review helpful to you?
or
One of the best book I have ever read.
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নাম : দি ওল্ড ম্যান এন্ড দ্য সী লেখক: আর্নস্ট হেমিংওয়ে বৃদ্ধ জেলে সান্তিয়াগো। ম্যানোলিন নামক বারো তেরো বছরের একটি ছেলে তার সহকারী। বৃদ্ধ এবং বালক দুজনে মিলে সমুদ্রে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করত । বৃদ্ধ জেলেটি সমুদ্রে মাছ ধরায় ওস্তাদ। কিন্তু ভাগ্যের কাছে তার সমস্ত দক্ষতা হার মেনেছে, চুরাশি দিন হতে চললো সে একটিও মাছ পায়নি। দীর্ঘ দিন যাবত মাছ না পেয়ে খালি হাতে ফেরার কারণে লোকটাকে সবাই ‘অপয়া’ হিসেবে গণ্য করতে থাকে। অপয়া হবার কারণে বৃদ্ধের সহকারী বালকটিও তাকে ছেড়ে চলে গেছে। কিন্তু মাছ না পাবার পঁচাশিতম দিনে বৃদ্ধ তার হার্পুন দিয়ে বড় একটি মার্লিন (সোর্ডফিশ) আটকায়। মাছটি এতো বড় সাইজের ছিল, ওটাকে নৌকাতে তোলাই সম্ভব হয়নি। নৌকার চেয়েও বড় মাছ! এই মাছ উপকূলে নিতে পারলে জেলের উপর আরোপিত অপয়ার অপবাদ ঘুচবে। মাছটা বেচে অনেক টাকাকড়ি পাওয়া যাবে। এসব কথা ভেবে বৃদ্ধ সিদ্ধান্ত নিল মাছটাকে নৌকাতে না তুলে নৌকার সাথে বেঁধে উপকূলে টেনে নিয়ে যাবে। মাছটাকে মারতে অনেক বেগ পেতে হয়। এই মাছ কিভাবে টেনে নিবে? উল্টো মাছটাই নৌকাসমেত বৃদ্ধকে টেনে মাঝ সাগরে নিয়ে যেতে থাকে। তিনদিন তিনরাত যুদ্ধ করে অবশেষে মাছটাকে বৃদ্ধ বাগে আনতে পারে। এই তিনদিনে বৃদ্ধ কি কি কাজ করল সবকিছুর চমৎকার ধারাবিবরণী রয়েছে উপন্যাসে। মাছটার জন্যে বৃদ্ধের মায়া, নৌকায় বসে তার একা কথোপকথন, সহকারী বালক ম্যনোলিনকে মাঝসাগরে স্মরণ করা কিংবা সামান্য খাবার লবণের জন্য বৃদ্ধের হাহাকার সবই লেখক আশ্চর্য দক্ষতা নিয়ে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু মাছ নিয়ে বৃদ্ধ লোক নির্বিঘ্নে উপকূলে ফিরতে পারলো না। মাঝপথে হামলা করল ক্ষুধার্ত হাঙরের পাল। বেচারা বৃদ্ধ লোক মাছটাকে আনতে না পারলেও মাছের কংকালের কল্যাণেই তার উপর আরোপিত অপয়া অপবাদ ঘুচে যায়, বৃদ্ধ লোক তার হারানো সম্মান আবার ফিরে পায়।
Was this review helpful to you?
or
one of my favourite book
Was this review helpful to you?
or
আমার পড়া প্রথম অনুবাদ বই। যথারীতি আমেরিকান কথাসাহিত্যিক আর্নেস্ট হোমিংওয়ে রচিত (আমার পড়া) প্রথম বই। "ওল্ডম্যান এন্ড দ্য সী" বইটি এক কথায় অসাধারণ। তিনি আমেরিকান রাইটার হলেও মূলত তার বেশিরভাগ লেখার বিষয়বস্তু ছিল আমেরিকার বাইরের পটভূমিতে রচিত। ১৯৫২ সালে বইটি প্রকাশের এক বছরের মাথায় ১৯৫৩ সালে জয় করে নেয় পুলিৎজার পুরস্কার। মুলকথাঃ উনার এ বইটি পড়েই মূলত আমার অনুবাদ বই পড়ার প্রতি আগ্রহ জন্মে। এরই ধারাবাহিকতায় আরো বেশকিছু অনুবাদ বই আমার দ্বারা পড়া হয়েছে। বইটিতে বাচ্চা ছেলেটির বুড়ো জেলের প্রতি মায়া কিংবা ভালোবাসা আমার মন আন্দোলিত করে। আর শেষদিকে একটু কষ্ট লাগে যে এত দিন পর বিশাল সাইজের একটা মাছ পেয়েও (৩ দিনের লড়াই মাছটির সাথে) পাড়ে আসতে আসতে অবশিষ্ট ছিল কেবল মাছের কঙ্কালটি...?
Was this review helpful to you?
or
I appreciate the fast delivery. The book and the story is nice. But there is some mistakes in spelling. But overall I got a good service from rokomari
Was this review helpful to you?
or
এই বইটি খুবই ইন্টারেস্ট আমার মজাদার। একজন ছেলে এবং বালককে নিয়ে বইটি লিখা। সফলতার গল্প উঠে এসেছে এই বই টিতে
Was this review helpful to you?
or
It was fun to read the book. But I didn’t like the ending.
Was this review helpful to you?
or
অনুবাদ অত্যন্ত বাজে। এই অনুবাদ পড়ে এই বইয়ের মাহাত্ম্য বোঝা যাবে না৷ যারা রিভিউটা পড়ছেন তারা এটা না নিয়ে সেবা প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত বইটা নিতে পারেন৷
Was this review helpful to you?
or
খুব ভালো বই
Was this review helpful to you?
or
বই পড়লে টাকা বিফলে যাবেনা, হলফ করে বলতে পারি। পাতায় পাতায় মজা পাবেন।
Was this review helpful to you?
or
The translation of the book 'The old man and the sea ' by 'এনায়েত রসুল' is very bad.The are many mistakes in spelling also.I WOULD NOT RECOMMEND THIS TRANSLATION.
Was this review helpful to you?
or
সাবলীল ও সহজ অনুবাদ। আর এই বইটি সেরা হার না মানা কাহিনীগুলির মধ্যে অন্যতম।
Was this review helpful to you?
or
দ্যা ওল্ড ম্যান এন্ড দ্যা সি প্রখ্যাত মার্কিন লেখক আর্নেস্ট হেমিংওয়ে কর্তৃক ১৯৫১ সালে কিউবায় অবস্থাকালীন সময়ে লিখিত এবং ১৯৫২ সালে প্রকাশিত উপন্যাস।এটি লেখকের জীবন কালে প্রকাশিত সর্বশেষ ফিকশানধর্মী রচনা। এটা তার সেরা লেখাগুলোর একটি। উপন্যাসের প্রধান কাহিনী বর্ণিত হয়েছে উপসাগরীয় স্রোতে বিশাল এক মারলিন মাছের সাথে সান্তিয়াগোর এক বৃদ্ধ জেলের সংগ্রামের কাহিনী।
Was this review helpful to you?
or
good
Was this review helpful to you?
or
দ্যা ওল্ড ম্যান এন্ড দ্যা সি প্রখ্যাত মার্কিন লেখক আর্নেস্ট হেমিংওয়ে কর্তৃক ১৯৫১ সালে কিউবায় অবস্থাকালীন সময়ে লিখিত এবং ১৯৫২ সালে প্রকাশিত উপন্যাস। এটি লেখকের জীবন কালে প্রকাশিত সর্বশেষ ফিকশানধর্মী রচনা। এটা তার সেরা লেখাগুলোর একটি। উপন্যাসের প্রধান কাহিনী বর্ণিত হয়েছে উপসাগরীয় স্রোতে বিশাল এক মারলিন মাছের সাথে সান্তিয়াগোর এক বৃদ্ধ জেলের সংগ্রামের কাহিনী। ১৯৫৩ সালে দ্যা ওল্ড ম্যান এন্ড দ্যা সি সাহিত্যে পুলিৎজার পুরষ্কার এবং ১৯৫৪ সালে নোবেল পুরষ্কার লাভ করে।
Was this review helpful to you?
or
‘দ্য ওল্ড ম্যান এন্ড দ্য সি’ আর্নেস্ট হেমিংওয়ে এর লেখা নোবেল বিজয়ী একটি বই । লেখক ১৯৫৩ সালের পুলিতজার ও ১৯৫৪ সালে সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী লেখক । তিনি ১৮৯৯ সালের ২১ জুলাই আমেরিকার শিকাগো শহরের ওকপার্কে জন্মগ্রহন করেন । স্থানীয় পাবলিক স্কুল থেকে ১৯১৭ সালে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করেন এবং এরপর তিনি সাংবাদিকতা পেশা বেছে নেন । তিনি প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহন করেছেন । তিনি তার জীবনে বহু উপন্যাস লিখেছেন । তার লেখা দ্য ওল্ড ম্যান এন্ড দ্য সি বইটি বাংলাতে অনুবাদ করেছেন এনায়েত রসুল । বইটি ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রকাশিত হয় । বইটি প্রকাশিত হয় সৃজনী প্রকাশনী থেকে এবং এর প্রচ্ছদ করেছেন মশিউর রহমান । বইটি পড়লে মানুষ তার মধ্যে অন্যরকম আশা অনুভব করতে পারবে । মানুষ এর জীবনে চড়াই উৎরাই থাকেই ,অনেকে সেগুলো পার করতে পারে ,অনেকে ভেঙ্গে পড়ে । অনেকে পরাজয় হওয়ার আগেই পরাজিত হয়ে যায় আবার অনেকে শেষ পর্যন্ত যুদ্ধ করতে থাকেন । এমনই এক মানুষ সান্তিয়াগো । একা একা সে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরে । বিভিন্ন কারনে তার বিচলিত হওয়ার মতো অবস্থা হয় কিন্তু সে বিচলিত না হয়ে যুদ্ধ করত থাকে । একা, নিঃসঙ্গ বুড়ো মাছের সাথে লড়াই করে মৃত্যুর দরজা থেকে ফিরে এসে আবার স্বপ্ন দেখে। আবার নতুন উদ্যোমে পরিকল্পনা করে মাছ ধরার। মানুষ যে মূলত একা এবং নিঃসঙ্গ তাকে বাঁচতে হয় লড়াই করে, সেকথাই হেমিংওয়ে তাঁর এ উপন্যাসে তুলে ধরেছেন। তবে এই উপন্যাসে সমাজের চরিত্রটি আসলে ততোটা গুরুত্বপূর্ন নয়, যতোটা গুরুত্বপূর্ন ব্যক্তির চরিত্র। ব্যক্তির কথাই আসলে বলে এই উপন্যাসটি, সেই ব্যক্তির কথাই ঘুরে-ফিরে আসে, যে সংগ্রামী এবং স্বপ্ন দেখে। বইটি পড়লে মানুষ এর মাঝে আশার আলো জ্বলে উঠবে বলে আশা করা যায় , মনোবল বাড়াতে সাহায্য করবে বইটি ।
Was this review helpful to you?
or
বইটা সত্যিই সেরা বই।
Was this review helpful to you?
or
দ্য ওল্ড ম্যান এন্ড দ্য সি বইটির জন্য ১৯৫৪ সালে আর্নেস্ট হেমিংওয়ে নোবেল পুরস্কার প্রাপ্ত হন। আর কিছু কি বলার দরকার আছে বইটি নিয়ে? হ্যা, আছে। বইটি নিয়ে অনেক কিছুই বলার আছে। এটি শুধুমাত্র এক গল্প নয়, মানব জাতির জন্য এ মহান শিক্ষার বাণী। ‘মানুষ ধ্বংস হয়ে যেতে পারে কিন্তু কখনও পরাজিত হয় না। যতই প্রতিকূল অবস্থা আসুক, সে কখনো হার মেনে নেবেনা। প্রকৃতি ও নিয়তির সঙ্গে মানব জীবনের সম্বন্ধ নির্ণয়ে হেমিংওয়ের যে উৎসুক্য তা তিনি তুলে ধরেছেন ‘দি ওল্ডম্যান এ্যান্ড দি সী’ গ্রন্থে। সমুদ্রের বুকে সংগ্রামরত এক বৃদ্ধের মাছ ধরার কাহিনী ফুটে উঠেছে এ গ্রন্থে। বৃদ্ধের নাম সান্তিয়াগো। যার চেতনায় সমুদ্র সর্বদাই নারী এবং এমন কিছু, দান ও হরণ দুটো ক্ষমতাই যার আছে। তার দৃষ্টিতে সমুদ্রের যে রুদ্র রূপ সেখানে সমুদ্রের কোন হাত নেই। চাঁদ তাকে প্রভাবিত করে যেমন করে একজন মেয়েকে, ওভাবে। সান্তিয়াগো একা। একা, নিঃসঙ্গ বুড়ো মাছের সাথে লড়াই করে মৃত্যুর দরজা থেকে ফিরে এসে আবার স্বপ্ন দেখে। আবার নতুন উদ্যোমে পরিকল্পনা করে মাছ ধরার। মানুষ যে মূলত একা এবং নিঃসঙ্গ তাকে বাঁচতে হয় লড়াই করে, সেকথাই হেমিংওয়ে তাঁর এ উপন্যাসে তুলে ধরেছেন। তবে এই উপন্যাসে সমাজের চরিত্রটি আসলে ততোটা গুরুত্বপূর্ন নয়, যতোটা গুরুত্বপূর্ন ব্যক্তির চরিত্র। ব্যক্তির কথাই আসলে বলে এই উপন্যাসটি, সেই ব্যক্তির কথাই ঘুরে-ফিরে আসে, যে সংগ্রামী এবং স্বপ্ন দেখে। একদম শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত যখন ভাঙ্গা নৌকা নিয়ে সব হারিয়ে ফিরে আসছে সান্টিয়াগো তখনো সে আশা হারায় না… শেষ করতে গিয়ে শুধু একটা কথা মনে পরছে- শশাংক রিডামশন মুভিতে মর্গান ফ্রিম্যান এর বয়ানে সেই অদ্ভুত সুন্দর সত্য কথাটি- My dear friend, hope is the most dangerous thing…
Was this review helpful to you?
or
'দ্যা ওল্ড ম্যান এন্ড দ্যা সি' প্রখ্যাত মার্কিন লেখক আর্নেস্ট হেমিংওয়ে কর্তৃক ১৯৫১ সালে কিউবায় অবস্থাকালীন সময়ে লিখিত এবং ১৯৫২ সালে প্রকাশিত উপন্যাস।খুব সাধারণ একজন জেলের গল্প হলেও আর্নেস্ট হেমিংওয়ের 'দি ওল্ড ম্যান অ্যান্ড দি সি' মূলত ঐ জেলের হার না মানা জীবনেরই গল্প।গল্পটি এমন -একজন বয়স্ক জেলে যিনি কিউবায় বাস করেন,জেলে জীবনের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা থাকে সত্ত্বেও গল্পের প্রথমেই জানা যায় যে তিনি একটানা ৮৪ দিন ধরে একটি মাছও ধরতে পারেননি। কিন্তু ওনার কাছে এই ব্যর্থতা আসলে ব্যর্থতা নয় বরং জীবন যুদ্ধের আরেকটি ধাপ মাত্র। উনি সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন যে উনি অনেক দূরের সাগরের জলে যাবেন যেখানে অনেক বড় বড় মাছ পাওয়া যায় । যেই ভাবা সেই কাজ । পরের দিন ঠিকই বের হয়ে পড়েন দূর সাগরের উদ্দেশ্যে এবং জীবনে দেখা সবচেয়ে বড় মারলিন মাছটি তিনি দেখতে পান এখানে। এই মাছটিকে নিয়েই শুরু হয়ে এবার গল্পের এক নতুন মাত্রা । এই মাত্রায় মাছটিকে ধীরে ধীরে শিকারে পরিণত করা, মাছটি ধরার জন্য জেলেটির ত্যাগ-তিতিক্ষা এবং শিকার ও শিকারীর মাঝে শিকার চলাকালীন সময়ে গড়ে উঠা এক গল্প বর্ণনা করা হয়েছে ।এর প্রধান চরিত্র মাত্র ২টি।প্রথম প্রধান চরিত্র হল সান্তিয়াগো যিনি কিউবার অধিবাসী এবং পেশায় একজন জেলে,বয়সের ভারে অনেকটা বাঁকা হয়ে এসেছেন তবে তাঁর কিন্তু আছে দুর্দান্ত এক জোড়া চোখ যে চোখে কোন বার্ধক্য নেই, কোন ক্লান্তি নেই । সান্তিয়াগোর স্ত্রী মারা গিয়েছেন এবং তিনি নিঃসন্তান। দারিদ্রতার চরম সীমায় বাস করার পরেও তিনি যেন জীবনে তৃপ্ত। আর এই তৃপ্তির কারণ সাগর এবং মাছ ধরা সম্পর্কে তাঁর অগাধ জ্ঞান । সে নিজে অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী এবং আশাবাদী । জানেন জীবন মানেই যুদ্ধ করা, সে যুদ্ধে জয়লাভ করা নয় । তিনি ৮৪ দিন নৌকা নিয়ে বের হয়েছে কিন্তু ধরে আনতে পারেননি একটি মাছও । এই অপবাদে তিনি তাঁর জেলেপাড়ার সবচেয়ে অলক্ষ্মী জেলেতে পরিণত হন । কিন্তু এতকিছুও তাঁকে দমাতে পারেনি । তিনি শিকার করেছেন সবচেয়ে বড় মারলিন মাছ একাই । ৩ দিন একটানা প্রকৃতি এবং নিজের শরীরের সাথে যুদ্ধ করে গিয়েছেন তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় মাছটি শিকার করার জন্য । পরিশেষে সফল না ব্যর্থ হয়েছেন সে বিষয়ে তেমন চিন্তিত ছিলেননা বরং তাঁর জোড়া নীল চোখে ছিল স্বপ্ন। সান্তিয়াগো বাদেও এই উপন্যাসের আরেকটি চরিত্র হল ম্যানোলিন নামের একটি বালক, যে পূর্বে সান্তিয়াগোর নৌকায় কাজ করত।গল্পে এই বালকটিকে দেখা যায় সান্তিয়াগোর ভক্ত হিসেবে। সে সান্তিয়াগোর সেবা-যত্ন করত, তাঁর খাবারের ব্যবস্থা করে দিত, খবরের কাগজ এনে দিত এবং সান্তিয়াগোর সাথে মনের সুখে আমেরিকান বাস্কেটবল খেলার গল্প করত পুরাতন পেপার থেকে ।খুব ছোট্ট একটা গল্প হলেও লেখক মনে হয়ে গল্পটিকে টেনে অনেক বেশিই বড় করে ফেলেছেন।তবে এই দীর্ঘ বর্ণনা পড়েই বুঝা যায় যে সাগর, জেলেদের জীবন এবং তাদের মাছধরা পেশা সম্পর্কে লেখকের অসাধারণ জ্ঞান রয়েছে। সাগর জীবনের নানান বর্ণনা ছাড়াও এই গল্পে তুলে ধরা হয়েছে মানব জীবনের আসল উদ্দেশ্য- জীবন যুদ্ধ করা, মানব সম্প্রদায় এবং প্রকৃতির মাঝের সম্পর্ক, প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা, জীবনের প্রতি ভালোবাসা।আর প্রচণ্ডভাবে উঠে এসেছে হার না মানা এক বৃদ্ধ জেলের গল্প যা আমাদের শিক্ষা দিয়ে থাকে অনেক কিছুই।যেমন:নিজের লক্ষ্য অটুট থাকলে সব বাঁধা পেরিয়ে লক্ষ্যে ঠিকি পৌঁছান সম্ভব হবে, কেও সাথে না থাকলেও , থাকতে হবে মনোবল আর প্রত্যয় ইত্যাদি।তাই জীবন চলার পথে অাপনি যদি হতাশ হয়ে পড়েন তবে বইটা অাপনার অবশ্যই পাঠ করা উচিত।উল্লেখ্য, ১৯৫৩ সালে দ্যা ওল্ড ম্যান এন্ড দ্যা সি সাহিত্যে পুলিৎজার পুরস্কার এবং ১৯৫৪ সালে নোবেল পুরষ্কার লাভ করে।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বইয়ের নামঃ দ্য ওল্ড ম্যান অ্যান্ড দ্য সি লেখকঃ আর্নেস্ট হ্যামিংওয়ে। অনুবাদঃ এনায়েত রসুল। প্রকাশনাঃ সৃজনী প্রকাশনী সান্তিয়াগো নামের এক বৃদ্ধ জেলের এক দুঃসাহসিক সমুদ্রযাত্রাকে উপজীব্য এ উপন্যাসটি রচিত হয়েছে। বৃদ্ধ সান্তিয়াগো দীর্ঘ তিনমাস যাবৎ ধরে এক মাছের পেছনে ব্যয় করেন। এর জন্য তাকে অনেক বিপদসংকুল পথ পাড়ি দিতে হয়। তবুও তিনি একটিবারের জন্যেও মনোবল হারাননি। এমনকি নিজের লক্ষ্য থেকে একবিন্দুও চ্যুত হননি কখনো। এখানে ঔপন্যাসিক মূলত জেলের দুঃসাহসিকতা তুলে ধরেছেন। পাশাপাশি কোনো কাজে সফলকাম হবার জন্য যে ধৈর্য আর একনিষ্ঠতা খুব বেশি জরুরী, এটি আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন। এছাড়াও কোনো কাজে সফলকাম হবার জন্য কারো একাগ্রতা, নিষ্ঠা, পরিশ্রম, ধৈর্য আর সাহস থাকলে বয়স যে আদৌও কোনো বাধা নয়, এ ব্যাপারটি হ্যামিংওয়ে অত্যন্ত সাবলীলভাবে পাঠকের সামনে তুলে ধরেছেন। এসব দিক বিবেচনা করলে, এটি সকলের জন্য, (বিশেষত যারা বয়োজ্যেষ্ঠ হয়েও মনেপ্রাণে তারুণ্য ধারণ করেন, তাদের জন্য) এক বড় অনুপ্রেরণার উৎস। এটি তরুণদেরকেও অনুপ্রেরণা জোগাবে বলে আমি মনে করি। এক কথায়, সার্বিক বিবেচনায় এটি অত্যন্ত সুপাঠ্য এক উপন্যাস। (যারা পড়েননি, তারা সম্ভব হলে অবশ্যই পড়ে নিবেন।) রকমারি লিংকঃ www.rokomari.com/book/33076
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বইঃ দ্য ওল্ড ম্যান অ্যান্ড দ্য সি লেখকঃ আর্নেস্ট হেমিংওয়ে রূপান্তরঃ এনায়েত রসুল ধরণঃ উপন্যাস প্রচ্ছদঃ মশিউর রহমান প্রকাশনীঃ সৃজনী রকমারি মূল্যঃ ১৩২ বইটির উৎসর্গ পত্রঃ "স্বাধীনতার কথা বলা পত্রিকা আমার দেশ-এর নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ। শ্রদ্ধাস্পদেষু" লেখক প্রসঙ্গঃ আর্নেস্ট হেমিংওয়ে একজন আমেরিকান পুলিৎজার, নোবেল বিজয়ী লেখক। তিনি ক্যানসাস সিটি স্টার পত্রিকায় কাজ করার সময় আমেরিকার রেডক্রস সমিতির ড্রাইভার হিসেবে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। উনি মূলত ছোটগল্প লেখক তবে অজস্র ছোটগল্প লেখার ফাকে ফাকে হেমিংওয়ে বেশকিছু উপন্যাসও লিখেছেন। দ্যা সান অলসো রাইজেস, এ ফেয়ারওয়েল টু আর্মস ইত্যাদি ইত্যাদি। বহুমাত্রিক চরিত্রের অধিকারি হেমিংওয়ে বন্দুকের গুলিতে আত্মহত্যা করেন। রিভিউ নং-০৩ঃ প্রথমেই বলতে হয় বিদেশী বই পড়তে গেলে যেই ভাষায় মূল বইটি রচিত সেই ভাষাতে পড়াটাই উত্তম। আমার মত যারা মূল ভাষাতে বইটি পড়ার ক্ষমতা রাখেন না তারা অনুবাদ পড়ে দুধের স্বাধ ঘোলে মিটাতে পারেন। , ১৯৫২ সালে প্রকাশিত 'দ্য ওল্ড ম্যান অ্যান্ড দ্য সি' বইটির জন্য আর্নেস্ট হেমিংওয়ে ১৯৫৩ সালে সাহিত্যে পুলিৎজার পুরষ্কার লাভ করেন। এই বইটি লেখকের সর্বশেষ ফিকশন গ্রন্থ। মানুষের ছোট্ট একটা জীবন। ছোট্ট এই জীবনে কতকিছু করাটাই যেন বাকি রয়ে গেছে। কারো ইচ্ছাটা ছোট্ট একটা গণ্ডির ভেতরে সীমাবদ্ধ তো কারো ইচ্ছাটা গণ্ডির বাইরে কি আছে তা দেখার জন্য। ছেলেটির ইচ্ছাটা খুব বড় নয়। সহজ সরল নির্ভেজাল ইচ্ছা। বুড়ো সান্তিয়াগোর সাথে একসঙ্গে সমুদ্র পাড়ি দেওয়ার ইচ্ছা। ছোট একটি জেলেনৌকা নিয়ে গালফ স্ট্রিমের স্রোতে ভেসে ভেসে মাছ ধরে বুড়োটি। অথচ কি দুর্ভাগ্যভরা কপাল বুড়োটার, এবার চুরাশি দিন পেরিয়ে গেলো একটিও মাছ ধরতে পারলো না। সেবার ছেলেটিও বুড়োটির সাথে মাছ ধরতে গিয়েছিলো, চল্লিশদিন থেকে একটাও মাছ ধরতে পারেনি। সেবার ফিরে আসার পর ছেলেটিকে কাজ ছাড়িয়ে নেয় ছেলেটির বাবা-মা। বুড়ো-অপয়া-দুর্ভাগার সাথে থেকে জীবন নষ্ট করার কোনো মানে হয়না... কাজ থেকে ছাড়িয়ে নিলে কি হবে! বুড়োটির প্রতি ছেলেটির মনের ভেতর যে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা সঞ্চিত ছিলো তা মুছে ফেলতে পারেনি তার বাবা-মা। এজন্যই তো সেদিন বুড়োটি ফিরে আসার সাথে সাথেই ছেলেটি বুড়োর সাথে দেখা করার জন্য পাগলপ্রায় হয়ে ছুটে যায়। বুড়ো সান্তিয়াগোই যে ছেলেটিকে সমুদ্রের ব্যকরণ শিখিয়েছেন, মাছ ধরার কলাকৌশল সম্পর্কে প্রাথমিক শিক্ষা দিয়েছেন, ছেলেটি তা কৃতজ্ঞতার সঙ্গেই মনে রেখেছে। তাইতো এবার বুড়ো আসতেই ছেলেটি বলে উঠলো, 'সান্তিয়াগো! আমি আবার তোমার নৌকায় কাজ নেবো। দুজন একসঙ্গে মাছ ধরতে যাবো। চিন্তা করো না সান্তিয়াগো, এরই মাঝে আমি কিছু টাকা জমিয়েছি।' হতভাগ্য বুড়োর জীবন এভাবেই চলতে থাকে জীবনের সুর বদল করে করে। আত্মবিশ্বাসই মূল চালিকা শক্তি, এই বিষয়টি ছেলেটির মাথায় খুব ভালোভাবেই ঢুকাতে পেরেছে বুড়ো সান্তিয়াগো। ভাগ্য বদল হয়, কেউ মানে আর কেউবা মানতে নারাজ। কিন্তু এটা আসলেই হয়। বুড়ো সমুদ্রতে পারি দিলো মাছ শিকারের উদ্দেশ্যে। ছেলেটিকে সাথে নেননি। কিন্তু কেন.? জানতে হলে পড়ুন। বুড়ো সান্তিয়াগো এবার তার বৈঠাটাকে দড়ি দিয়ে নৌকার বাতার সঙ্গে বেঁধে নিলেন। তারপর সামনের দিকে ঝুঁকে নৌকা বেয়ে সমুদ্রের দিকে এগিয়ে চললেন। সাথে আছে মাত্র একদিনের পানীয়। নীল সমুদ্রের বুক চিরে একের পর এক নৌকা এগিয়ে চলেছে। তার সাথে এগিয়ে চলছে বুড়োটির নৌকা... দিনের পর দিন চলে যায়, সান্তিয়াগো আর ফিরে আসেনা। ছেলেটির চিন্তা করার আর সীমা থাকেনা... প্রতিদিন বুড়োটার অপেক্ষায় তাকিয়ে থাকে সমুদ্রের নীলাজলের দিকে। আজ খুব তেজ নিয়ে বাতাস বইছে। যে সব নৌকা দূর সমুদ্রে যায় তারা আজ ঘাট ছেড়ে যায়নি। তাই ছেলেটিও আজ সূর্য ওঠার অনেক পরে ঘুম থেকে উঠেছে। তারপর নিত্যদিনের অভ্যেস মতো বুড়ো সান্তিয়াগোর বাড়িতে এসেছে তার খোঁজ নেওয়ার জন্য। ছেলেটি দেখলো কঙ্কালসার একটি মানবের অবয়ব। হাতের অবস্থা দেখেই ঝরঝর করে কেঁদে ফেললো ছেলেটি... কফি আনার জন্য বেরিয়ে গেলো ছেলেটি- সারাটা পথ বুড়োর দুরবস্থার দৃশ্য মনে করে কাঁদলো। তার মন জুড়ে বুড়োর জন্য সংরক্ষিত আছে গভীর মমতা। বুড়ো সান্তিয়াগোর নৌকার আশেপাশে জেলেদের একটা ভিড় জমে গেছে। জেলেরা দেখতে পেলো হতভাগ্য বুড়োর নৌকার সঙ্গে কি যেন একটা বাঁধা রয়েছে। এক জেলে প্যান্ট গুটিয়ে পানিতে নেমে বড়শির দড়ি দিয়ে জিনিসটার লম্বা মেপে দেখলো....... ছেলেটি আর নৌকার দিকে গেলো না। সে আগেই এদিকটা ঘুরে গিয়েছে। তবে কি ভাগ্য বদল হয়েছে বুড়োটির.? কি বাঁধা ছিলো বুড়োটির নৌকায়.? গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে কি ঘটেছিলো বুড়োটির সাথে.? দারুণ রোমাঞ্চকর এডভেঞ্চার ফিকশনে পরিপূর্ণ উপন্যাসটি হতাশাগ্রস্ত ব্যাক্তিদের জন্য চমকপ্রদ ঔষধ হিসেবে কাজ করবে। কোনো কাজে সফলতা অর্জনের জন্য কারো একাগ্রতা, নিষ্ঠা, পরিশ্রম, ধৈর্য আর সাহস থাকলে বয়স যে আদৌও কোনো বাধা নয়, এ ব্যাপারটি হেমিংওয়ে অত্যন্ত সহজ ও সাবলীলভাবে পাঠকের সামনে তুলে ধরেছেন। জীবনের প্রতি বিতৃষ্ণা, ব্যর্থতায় ঠাসা জীবন বদলে দিতে এই বইটার জুড়ি নেই। বইয়ের মেসেজটা ধরতে পারলে আমাদের জীবনে ঘিরে থাকা শত শত বাধা নিমিষেই ভেঙে চুরমার হয়ে যাবে। জীবন থেমে থাকার নয়... , এই বইয়ের অনুবাদটা একেবারে মন মতই হয়েছে। বইটা পড়তে গিয়ে কখনো কোথাও বিরক্ত হইনি। তবে বাংলাদেশের প্রকাশনীদের চিরায়ত একটা ভুল ঠিকই থেকে গেছে... বেশ কিছু যায়গায় বানান ভুল। হয়তোবা টাইপিং মিসটেক। তবে মজার ব্যাপার হলো এই, একমাত্র বিচক্ষণ পাঠকেরাই সেই ব্যাপারটা ধরতে পারবেন। তাহলে আর দেরি কেন.? পুরস্কার পাওয়া বইটি এখনই পড়ে ফেলুন আর নিজের চিন্তাধারাকে নতুন দিগন্তের দিকে ধাবিত করুন। রেটিংঃ ৫/৫ হেপি রিডিং :)