User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা #অক্টোবর : ২ নাম : আনাফ্রাঙ্কের ডায়েরি ধরন : আত্মজীবনী মূলক, অনুবাদ গ্রন্থ মূল্য : ২০০ টাকা মাত্র ১৩ বছর বয়সের এক সদ্য কিশোরী আনা। এই বয়সেই ডায়েরি লিখতে শুরু করে সে। টানা লিখে যায় ২ বছর ২ মাস ধরে। স্বপ্ন ছিল বড় হয়ে লেখক হবে। বিশ্ব জোড়া নাম হবে তার। নিজের লেখা দিয়ে অমর হয়ে থাকবে সবার মাঝে। কিন্তু বড় হওয়া হলো না তার। ডায়েরি তে শেষ লেখার ঠিক সাত মাস পরেই তাকে ছাড়তে হয় এই পৃথিবী। কিন্তু বিধাতা তার ইচ্ছে পূর্ণ করে দেন। তার লেখা সেই ডায়েরি তাকে যুগ যুগ ধরে অমর করে তোলে বিশ্ববাসীর কাছে। আনাফ্রাঙ্কের জন্ম ১৯২৯ সালের ১২ জুন,জার্মানি তে। বাবা অটো ফ্রাঙ্ক ও মা এডিথ। আনার বড় বোন মারগটের জন্ম ১৯২৬ সালে। সে সময় জার্মানি তে হিটলার মাথা তুলছে সগর্বে। চারদিকে বিভৎস অত্যাচার আর হত্যাজজ্ঞ। ইহুদীদের উপর অত্যাচারের মাত্রা বেশি। দলে দলে সবাই দেশ ছাড়ছে। অটো ফ্রাঙ্কও পরিবার নিয়ে দেশ ছাড়লেন। আনা তখন মাত্র ৪ বছর। কিন্তু তার ছয়বছর পর হল্যান্ডেও হিটলার বাহিনীর আগমন ঘটল। আনার বোন মারগট ছিল দুর্দান্ত সুন্দরী। নাৎসী বাহিনীর দৃষ্টি পড়ল তার উপর। অটো ফ্রাঙ্কের কাছে শমন এলো, মারগট কে বন্দীশিবিরে পাঠানোর জন্য। কিন্তু অটো ফ্রাঙ্ক তাতে রাজি হলেন না। নিজেদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পেছনে বানালেন গোপন আস্তানা। তারপর পরিবার নিয়ে আত্মগোপন করলেন। সেই আত্মগোপনের দুঃসহ যন্ত্রনায় আনা তুলে নিল কলম। লিখতে শুরু করল তারপর দিনলিপি। এইভাবে কেটে গেল ২৫ মাস। তারপর একদিন তারা ধরা পড়ল নাৎসী বাহিনীর হাতে। জার্মানির এক বিভৎস বন্দিশিবিরে ১৯৪৫ সালে মারা যায় আনার মা এডিথ। আনা আর মারগট ছিল বহু দূরের আরেক বন্দি শিবিরে। সেখানে ১৯৪৫ এর ফেব্রুয়ারির শেষ অথবা মার্চের শুরু তে মারা যায় মারগট। আর সেই মার্চেই ওই বন্দি শিবিরের মারা যায় আনাফ্রাঙ্ক। এই বন্দিশিবির থেকে একমাত্র বেঁচে ফিরতে পেরেছিলেন আনার বাবা অটো ফ্রাঙ্ক। আর তখনই তাদের দুই শুভাকাঙ্ক্ষীর হাতে তুলে দেন লাল ডোরাকাটা মলাটের একটা ডায়েরি। প্রকাশ পায় আনাফ্রাঙ্কের ডায়েরি। পাঠ প্রতিক্রিয়া : আনার দিন লিপি শুরু হয় ১৪ জুন,১৯৪২ ( রবিবার) থেকে। শেষ হয় ১ আগষ্ট, ১৯৪৪। আনাফ্রাঙ্কের ডায়েরি পড়তে গিয়ে সত্যিই মুগ্ধ হয়েছি। তার লেখার পরিনত ভাব দেখে বিশ্বাস করা কঠিন এটি কোন তের বছরের মেয়ের লেখা। পরিস্থিতি মানুষ কে পরিনত করে। আনার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছিল। জ্ঞান হওয়ার পর থেকেই অত্যাচার,কঠিন জীবন পরিবেশ,তাকে অনেক কিছু বুঝিয়েছিল। তাই খুব সহজেই সে বর্ননা করে গেছে সেই সময়ের বিভৎসতা কে। পাশাপাশি তার লেখায় ফুটে উঠেছে দর্শন,এসেছে ইশ্বর, মানবচরিত্র, এমন কি প্রেমানুভূতি। সেই সাথে তৎকালীন ইতিহাস, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের খন্ডচিত্র। সত্যিই অভিভূত হওয়া ছাড়া উপায় নেই। বেঁচে থাক আনাফ্রাঙ্কের দিনলিপি।আর সেই সাথে চিরন্তন অমর হয়ে থাক আনাফ্রাঙ্ক।