User login

Sing In with your email

Email Address
Password
Forgot Password?

Not Account Yet? Create Your Free Account

Send

Recipients:
Message:

Share to your friends

Copy link:

    Our Price:

    Regular Price:

    Shipping:Tk. 50

    • Size:
    • Color:
    QTY:

    প্রিয় ,

    সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
    মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?

    Please Login to Continue!

    Our User Product Reviews

    Share your query and ideas with us!

    Customer Reviews

      By 880****541

      21 Dec 2023 07:26 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Only sci - fi readers can feel this . Masterpiece ❤️‍?

      By Nasrifa Parvin Anjona

      07 Oct 2023 12:24 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      অসাধারণ একটা বই। পড়া শেষেও রেশ থাকবে অনেক দিন। কুশান কে ভুলতেই পারবেন না!!!! অবশ্য ই অবশ্যই সবার পড়ার মত একটা বই

      By Bushra Burhan

      23 Sep 2023 11:55 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অসাধারণ একটা বই, যে কারও এটা ভালো লাগবে নিশ্চিত।

      By Arpit Chowdhury

      26 Dec 2022 09:53 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      মানুষে মানুষে বিভেদ বন্ধ হোক। ঘৃণার চর্চা বন্ধ হোক। শেষ হোক হানাহানি। 'অবনীল' এর মূল মেসেজ এটাই। মুহাম্মদ জাফর ইকবাল মানুষ ও নীলমানবের দ্বন্দ্ব ও শেষে শান্তিস্থাপনকে দেখিয়েছেন মেটাফোর হিসেবে। পৃথিবীর মানুষ ও ক্লড দ্বীপপুঞ্জের নীলমানবের মাঝে যুদ্ধ চলছে বহুবছর ধরে। নীলমানবের রক্ত কপারপ্রধান- নীল, ফুসফুসের আকার বড়, কম অক্সিজেনেও চলতে সক্ষম। চোখের পরিবর্তন ঘটিয়ে অবলোহিত, অতিবেগুনী রশ্মি দেখার ক্ষমতা অর্জন করেছে তারা। সবই মানুষের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সুবিধালাভের জন্য। একইভাবে নীলমানবদের দমন করতে মানুষরাও একজোট। শতাব্দীর পর শতাব্দী পরস্পরের প্রতি ঘৃণা ও বিদ্বেষ পোষণ করে আসছে তারা। 'অবনীল' শুরু হয় মহাকাশযানের শিক্ষানবিশী ক্রু রিরাকে দিয়ে। এমন এক মহাকাশযানে ডিউটিতে আছে সে, যে যানটি এইমুহুর্তে বহন করে নিয়ে সতেরোটি বন্দী নীলমানব। খুব কড়া পাহারায় রাখা হলেও বুদ্ধি খাটিয়ে নীলমানবেরা বেরিয়ে আসে, সাথে নিরাপত্তারক্ষীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া অস্ত্র। মুহুর্তেই রক্তাক্ত হয়ে ওঠে সমগ্র মহাকাশযান। একপর্যায়ে রীরা অবাক হয়ে লক্ষ্য করে সে আর আহত এক নীলমানব কুশান ছাড়া মহাকাশযানটিতে আর কেউই বেঁচে নেই। সময় কিংবা পরিস্থিতির প্রয়োজনেই রীরা ও কুশান পরস্পরের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। এবং একপর্যায়ে বুঝতে পারে যে পরস্পরের প্রতি চাষ করা এই ঘৃণা অমূলক। দুই ভিন্ন জাতির স্পেসিমেন হয়েও বন্ধুত্ব ও সৌহার্দ্যের দৃষ্টান্ত স্থাপন করে একাকী রীরা ও কুশান। সবকিছু যখন বেশ গুছিয়ে আসছে তখনই গল্পে আবির্ভাব এন্টাগোনিস্টের। রীরা বাঁচার তাগিদে এক পরিত্যক্ত গ্রহে আশ্রয় নিয়েছিলো। আপাতদৃষ্টিতে বন্ধুর ধূলিধূসর গ্রহটিকে নিরীহ মনে হলেও মাটির নীচে সে লালন করে চলছে অজস্র হিংস্র ক্লেদাক্ত সরীসৃপ জাতীয় জীব। তারা গ্রহটিতে ইতোপূর্বে বসতি স্থাপন করা মানুষের কলোনিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। প্রসেসরের ভাষায় যারা 'বুদ্ধিহীন, ভয়ঙ্কর এবং নৃশংস প্রাণী।' উদ্ধারের বার্তা পাঠানোর আশায় ট্রান্সমিটার সংগ্রহ করতে গিয়ে এই বিভীষিকার মুখোমুখি হয় রীরা ও কুশান। এবং কুশান নিজের ভাগ্যটুকু রীরাকে দিয়ে, নিজেকে ক্ষতবিক্ষত প্রায়মৃত করে রীরাকে বাঁচায়। এই ঘটনায় দুজন পরস্পরের আরো কাছে আসে। তারা স্বপ্ন দেখে সুন্দর এক ভবিষ্যতের। হানাহানি লড়াই দ্বেষমুক্ত এক ভবিষ্যৎ। যদিও নভেলাটিতে হ্যাপি এন্ডিং হয়নি। হয়তো হলে সেটি আমাদের মনে এতো দাগ কাটতোওনা। উদ্ধারকারী টিমের (মানুষ) আক্রমণে প্রাণ হারায় কুশান। তার মাথাটি কোলে ধরে চোখে চোখ রেখে তাকিয়ে থাকে রীরা। নভেলার শেষটি তিন লাইনের। মহীয়সী রীরা। যার একক প্রচেষ্টায় মানুষ ও নীলমানবের বিরোধের সমাপ্তি ঘটেছিলো। নাইনা গ্রহের জাতীয় সমাধিক্ষেত্রে তার সমাধিতে ফুল দেবার জন্য এখনো দূর দূরান্ত থেকে মানুষ ও নীলমানবরা উপস্থিত হয়। মানুষ আর নীলমানবের মাঝে কল্পিত সেই যুদ্ধ আজ বিগত। কিন্তু সারা পৃথিবীব্যাপি ধর্ম, রাজনীতি, জাতীয়তা, বর্ণের ভিত্তিতে যে বিভেদ, যুদ্ধ, দ্বেষ - তা কি আদৌ কখনো গত হবে?

      By Samena

      25 Jun 2022 04:22 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অসাধারণ এক কথায়।

      By Saidul Alom

      11 Mar 2022 12:11 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Good

      By Arifur Rahman

      12 Feb 2022 02:29 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Nice

      By Power

      28 May 2021 10:12 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অনেক ভালো

      By morsheda rahman

      27 Apr 2021 10:20 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      'অবনীল' আমার পড়া অন্যতম শ্রেষ্ঠ সাইন্সফিকশন।বইটা পড়লে পাঠক মোহিত হবেন।নীলমানব আর মানুষের মধ্যকার আবেগ ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে বইটিতে।

      By Mahdia Ruza

      21 Mar 2021 11:12 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অসাধারণ একটি বই ।

      By Nafeesa Nubaif

      19 Jan 2021 05:12 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      amazing

      By Eccha

      17 Oct 2020 12:52 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      জাফর ইকবাল এর সায়েন্স ফিকশন এর যতগুলো বই পড়েছি তার মধ্যে অবনীল বইটি এক নম্বরে আছে। গল্পটা অসাধারণ। বইটি যে আমি কতবার পড়েছি তার হিসেব নেই।

      By Rubayet Ferdous Alvi

      09 Feb 2020 10:14 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      সত্যিই বইটি মুগ্ধ করার মতো।জ্ঞ্যানের তৃষ্ণা মেটানোর জন্য বইটি যথেষ্ট উপযোগী।শুধু এই বিষয়ের ছাত্র না, সবাই এই বইটি সমানভাবে উপভোগ করতে পারবে।শিখতেও পারবে অনেক কিছু।বইটি পড়ার পর ভালো লাগা কাজ করবেই।অনেক চিন্তার খোরাক যোগাবে বইটি।আমি সবাইকে রেফার করবো বইটি পড়ার জন্য।

      By Md. Masum

      07 Jan 2020 02:33 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বইয়ের নাম: অবনীল লেখক: মুহাম্মদ জাফর ইকবাল ধরণঃ সায়েন্স ফিকশন গল্প প্রকাশনাঃ তাম্রলিপি প্রকাশনী হতে প্রকাশিত । দামঃ ১৪১ টাকা অবনীল...নামটার মধ্যে কেমন একটা স্নিগ্ধতা, গভীরতা। মুহাম্মদ জাফর ইকবাল স্যারে রচিত একটি সাইন্স ফিকশন। গল্পটিতে বিজ্ঞান ও ভালোবাসার বর্ননা ততোটাই গভীর, স্নিগ্ধ........ হিংস্রতাকেও যে ভালোবাসায় পরিনত করা যায়, ইচ্ছা শক্তি দিয়ে যে অদম্য সাহসী হয়ে ওঠা যায় তারই দৃষ্টান্ত এই গল্পটি.....গল্পের শেষটায় যেন সীমাহীন ভালোবাসা...যেখানে না বলা কথায় মাঝে লুকিয়ে আছে একটা বিরাট উপন্যাস।

      By মুনিয়া জামান

      11 Jan 2019 12:42 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      #রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ_জানুয়ারি রিভিউ নংঃ১৫ বইঃ অবনীল লেখকঃ মুহম্মদ জাফর ইকবাল, ক্যাটাগরিঃ সায়েন্স ফিকশন, মূল্যঃ১৪১টাকা (রকমারি মুল্য) প্রকাশনীঃতাম্রলিপি লেখক পরিচিতিঃ মুহম্মদ জাফর ইকবাল (জন্ম: ২৩ ডিসেম্বর ১৯৫২) হলেন একজন বাংলাদেশী লেখক, পদার্থবিদ ও শিক্ষাবিদ। তাকে বাংলাদেশে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী লেখা ও জনপ্রিয়করণের পথিকৃৎ হিসাবে গণ্য করা হয়। এছাড়াও তিনি একজন জনপ্রিয় শিশুসাহিত্যিক এবং কলাম-লেখক। তার লেখা বেশ কয়েকটি উপন্যাস চলচ্চিত্রে রূপায়িত হয়েছে। তিনি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের একজন অধ্যাপক এবং তড়িৎ কৌশল বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব প্রাপ্ত ছিলেন। কাহিনী সংক্ষেপেঃ মানুষ আর নীলমানব দুই দলে বিভক্ত। নীলমানব মানুষের মর্যাদা পায় নাই। তাদেরকে একটা আলাদা প্রানী হিসেবে বিবেচনা করে মানুষ। বিজ্ঞান একাডেমী নীলমানবদের নিয়ে গবেষণা করতে চায়। ১৭ জন নীলমানব বন্দী করা সম্ভব হয়েছে। মহাকাশযানে করে তাদেরকে পৌঁছে দেওয়া হবে বিজ্ঞান একাডেমীর কাছে। নীলমানবেরা অসম্ভব সাহসী, অসম্ভব একরোখা। তারা সবাই একসাথে কাজ করে। অথচ তাদেরকে শীতল ঘরে না রেখে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে শুধুই বন্দী করে। তারা তাদের অসম্ভব বুদ্ধি দিয়ে মহাকাশযানে একটা যুদ্ধক্ষেত্র বানিয়ে ফেলে। কিছু মানুষ জোর করে নিজেদের মাঝে বিবর্তন এনেছে নিজেদের আরো শক্তিশালী অর প্রখর বুদ্ধিমান করে তোলার জন্য; যারা ‘নীল মানব’ নামেই পরিচিত সাধারণ মানব জাতির কাছে। মানুষের নিজেদের মধ্যেই কত জাতি-উপজাতি নিয়ে দ্বন্দ্ব আর ‘নীল মানব’ তো মোটামুটি রাক্ষস-খোক্কসের পর্যায়ের উপাধি পেলো সাধারণ মানুষের কাছে। তাদেরই একদল বন্দীকে নিয়ে মহাকাশ-যাত্রায় এক মিশনে যাচ্ছিল রিরা নামের এক মেয়ে আর তার গবেষক দল, যারা কিনা সাধারণ মানুষ। ঘটনাক্রমে, নানা দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতির শিকার হয়ে রিরা এক নীলমানবকে কাছ থেকে দেখার এবং জানার সুযোগ পেলো। আর কি সুন্দর কাকতালীয় ব্যাপার! এই নীলমানব ছিল একজন পুরুষ; যাকে নাকি সুদর্শন বলা যেত যদি গায়ের রঙ কিছুটা নিলাভ না হতো। নাহ! এই সুদর্শন পুরুষ যার নাম পরে জানা গেলো কুশান, সেও অবশ্য এক জায়গায় বলেছিল রিরাকে সুন্দরী বলে চালিয়ে দেয়া যেত যদি তার গায়ের রঙ পঁচা আঙ্গুরের মতো না হতো। তা বেশ যাচ্ছিল প্লট আর কেমিস্ট্রি। যাইহোক, ভালোই রেসিসমের মাঝখানে দুই ভিন্ন রকমের মানুষ যখন একইসাথে দুর্ভাগ্যের মধ্য দিয়ে যায় তখন হয়তো একটা পরিচয়ই কাজ করে তাদের মাঝে - ‘মানুষ’ পরিচয়, আর কিছু না। এবং বেশ চেনাজানা হয়ে যাবার পর যখন অপরজনকে নিজেদের কাছে আর রাক্ষস কিংবা ডাইনি মনে হলো না, তখন তারা নতুন করে ভাবতে শিখলো; কারা ঢোকাচ্ছে এসব ভেদাভেদ? এবং কেন? মানুষ 'রিরা' আর নীলমানব 'কুশান' বেঁচে থাকে। মহাকাশযানের কন্ট্রোল কখনো মানুষের হাতে আবার কখনো নীলমানবের হাতে। আস্তে আস্তে মহাকাশযানের মূল প্রসেসর কিংবা আপনার ধারণাকে সম্পূর্ণ ভুল প্রমাণিত করে শুরু হয় অবনীলের নতুন অধ্যায়। এক অচেনা অজানা গ্রহে হিংস্র প্রাণীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হয় জীবন টিকিয়ে রাখার জন্য। নতুন এ্যাডভেঞ্চার শুরু হয় সেখানে। ফিরে আসতে হবে মানব সভ্যতার মাঝে । কী হয় শেষ পর্যন্ত? জানতে হলে পড়তে হবে মুহম্মদ জাফর ইকবালের "অবনীল"। পাঠ্য প্রতিক্রিয়াঃ জাফর ইকবালের বেশীরভাগ বইই শেষ হয় ভাল লাগা দিয়ে। কিন্তু আপনি এই বইটা শেষ পৃষ্ঠার আগের পৃষ্ঠা পড়ে হাহাকার করে উঠবেন। হয়তোবা চোখের কোণে অশ্রু চলে আসবে। শেষ পৃষ্ঠা পড়ে হয়তোবা সেই কষ্ট কিছুটা লাঘব হবে। কিংবা হবে না। ৯৬ পৃষ্ঠার এই বইটি আপনি একবার পড়তে শুরু করলে আর ছাড়তে পারবেন না। পরবর্তীতে কি ঘটছে এটা জানার জন্যই আপনি একটানা বইটি পড়তে বাধ্য হবেন। আজ এতদিন পরে বইটা পড়ে আমার কান্না পায়নি ঠিকই। কিন্তু বুকের ভেতর সেই চাপা কষ্টটা আবারও অনুভব করতে পারলাম। যার পরিমাণ আগের চেয়ে একটুও কম না।

      By Al Mamun

      22 Aug 2018 04:01 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Mahmuda Islam #রবিজ_রকমারি_বুক_রিভিউ_কন্টেস্ট . কাহিনী সংক্ষেপ : ক্লড উপগ্রহের যুদ্ধে ধরা পড়া ১৭ জন নীলমানব কে বন্দি অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বিজ্ঞান একাডেমী তে। এই অভিযানের নেতৃত্বে আছেন ক্যাপ্টেন বর্কেন। জীবনে প্রথমবারের মতো মহাকাশযানের দীর্ঘ অভিযানে আসা কম বয়সী "রিরার" চোখ মুখ দেখেই বুঝা যায় যে সে, কত উত্তেজিত এই অভিযান নিয়ে। . এইবার নীলমানব দের কিছু বর্ণনা দিই। দেখতে মানুষের মতো হলেও তাদেরকে আসলে মানুষ হিসেবে বিবেচনা করা যায় না। কারণ তারা জোর করে তাদের দেহে বিবর্তন ঘটিয়েছে। এই যেমন : তাদের চোখ ইনফ্রারেড থেকে শুরু করে আল্ট্রাভায়োলেট পর্যন্ত সংবেদনশীল। রক্তের রঙ টা নীল, আর তাই তাদের গায়ের রঙ টাও হালকা নীল। তারা বেশি পরিমাণ অক্সিজেন জমা রাখার জন্য ফুসফুস কে অনেক বড় করেছে। তাছাড়া, তাদের মস্তিষ্ক এমনভাবে কাজ করে যেন পুরো দলটি একসাথে কাজ করে। কেউ বিচ্ছিন্ন ভাবে কোনো কাজ করতে পারেনা। কিন্তু তারা খুবই সাহসী, একরোখা এবং নৃশংস প্রাণী। তারা চায় মানব জাতিকে ধ্বংস করে দিতে। . সেজন্য ক্যাপ্টেন বর্কেন সেই ১৭ জনকে আলাদা কক্ষে বন্দি করে নিয়ে যাচ্ছে এবং প্রতি মূহুর্তে তারা কি করতেছে, কোনো প্ল্যান করছে কিনা বের হওয়ার জন্য, সেটা খেয়াল রাখছেন তার কন্ট্রোল রুমের মনিটরে। কিন্তু খুবই কৌশল করে নীলমানবরা ক্যাপ্টেন বর্কেন এর দলকে বোকা বানিয়ে বের হয়ে আসে তাদের বন্দি অবস্থা থেকে আর আক্রমণ চালায় মানুষ দের উপর। লাল-নীল রক্তে ভেসে যায় পুরা মহাকাশযান। বেঁচে থাকে শুধু সেই শিক্ষানবিশ "রিরা"। . কিছুক্ষণ পর রিরা আবিষ্কার করে একজন আহত "নীলমানব" ও বেঁচে আছে। রিরা তাকে মেরে ফেলতে পারেনা। পরে তার নাম জানা যায় "কুশান"। এদিকে গোলাগুলির ফলে মহাকাশযান প্রচণ্ড ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এবং রিরা জানতে পারে যে, ২/১ দিনের মধ্যেই এই মমহাকাশযান আপনা আপনি ধ্বংস হয়ে যাবে। দুইদিন পর যাদের মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী, এটা জেনেও কি আর কেউ শত্রুতা করে? তেমনি, রিরা ও কুশান শত্রুতা ভুলে গিয়ে বন্ধু হলো। শুরু হলো তাদের বাঁচার লড়াই। কারন মানুষ তার শেষ নিঃশ্বাস এর আগ পর্যন্ত বাঁচার জন্য চেষ্টা চালায়। শুরু হয় এক নতুন এডভেঞ্চার। কিন্তু আসলেই কি তারা বেঁচে ফিরতে ফেরেছিল এই মানব সভ্যতার মাঝে ? কি ঘটেছিল তাদের সাথে? কোটি কোটি বুদ্ধিহীন, নৃশংস প্রানী গুলো, যারা কুশান-রিরার উপর আক্রমণ করেছিল, তাদের থেকে কি তারা নিজেদের রক্ষা করতে পেরেছিল? রিরা কি জানতে পেরেছিল কেন নীলমানব রা মানুষ দের ধ্বংস করতে চায়? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হলে আপনাকে পড়তে হবে "অবনীল" বইটি। আর শেষ পর্যন্ত কুশান, রিরার বন্ধুত্বের পরিনতি ই বা কী হয়েছিল, সেটা জানতে হলে আপনাকে বইয়ের শেষ লাইন অবধি পড়ে যেতে হবে। . #পাঠ_প্রতিক্রিয়া : এই বইটি প্রথম পড়েছিলাম ২০১৫ সালে। প্রচুর ভালোলাগা থেকেই বইটা আবার পড়া। এবং আবার। বলা যায়, জাফর ইকবাল স্যারের অন্যতম সায়েন্স ফিকশন এটা, যদিও গল্প টা একটা মুভি থেকে কপি করা বলে অনেকেই বলে। তারপরও বইটা পড়তে গিয়ে যে কোনো পাঠকই বুঝতে পারবে যে, এই বইয়ের কাহিনী তে কিছুটা ব্যতিক্রম রয়েছে ।এই বইয়ের শেষটায় পাঠকের ভেতরে এক ধরনের হাহাকারের সৃষ্টি করে। শেষ টা পড়তে গিয়ে কারো চোখে পানি আসলে ও অবাক হওয়ার কিছু নেই। পড়লে আশা করি সময় নষ্ট হবে না। . ব্যক্তিগত রেটিং : ৪.৯/৫ #হ্যাপি_রিডিং

      By Nahid Farhana

      09 Oct 2016 10:25 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      ক্যাপ্টেন বর্কেনের নেতৃত্বে পরিচালিত এক মহাকাশ অভিযানের নবীন শিক্ষানবীশ ক্রু রিরা। জীবনের প্রথম মহাকাশ অভিযানের উত্তেজনার পাশাপাশি ক্যাপ্টেন বর্কেনের মত দলপতি পাওয়াও তার কাছে অত্যন্ত সৌভাগ্যের। দায়িত্বশীল এই মানুষটির ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়ের উপর তার অগাধ ভরসা; আর তাই মহাকাশযানের কার্গো নিয়ে ক্যাপ্টেন বর্কেনের আশঙ্কায় রিরাও কিছুটা উদ্বিগ্ন। এই মহাকাশযানের কার্গো হচ্ছে সতের জন নীলমানবের একটি দল। নীলমানব হল মানব সম্প্রদায়ের সেই প্রজাতি যাদের বিবর্তন মানুষের মত স্বাভাবিক না। তারা নিজেরা নিজেদের মধ্যে পরিবর্তন এনে দৃষ্টিশক্তি আল্ট্রাভায়োলেট পর্যন্ত সংবেদনশীল করেছে, ফুসফুসের আকার করেছে বৃহৎ, যার ফলশ্রুতিতে সীমিত অক্সিজেনও তাদের জন্য কোন সমস্যা না। সেই সাথে রক্ত কপারভিত্তিক হওয়ায় তাদের গায়ের রঙ হালকা নীল। অস্বাভাবিক বিবর্তনের কারণে মানুষের কাছে তারা মানুষ হিসেবে বিবেচ্য না, তাদের পরিচয় - নীলমানব। মানুষের কাছ থেকে নিগৃহীত হয়ে তাদের মাঝে জন্ম নেয় মানুষের প্রতি এক ভয়ানক আক্রোশ, তারা হয়ে উঠে প্রতিহিংসাপরায়ন। মানবজাতির দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে রচিত হয় এক চরম শত্রুতা। বাহ্যিক কাঠামো ছাড়াও নীলমানবরা পরিবর্তন এনেছে তাদের আভ্যন্তরীন চিন্তা-চেতনাতে। মানুষের মত এককভাবে চিন্তার পরিবর্তে তারা চিন্তা করে সম্মিলিতভাবে, তাই তাদের বুদ্ধিমত্তাও অসাধারণ। নিরাপত্তার সৌজন্যে ক্যাপ্টেন বর্কেনের প্রস্তাব ছিল নীলমানবদের শীতলঘরে ঘুম পাড়িয়ে মহাকাশ পাড়ি দেয়া। কিন্তু বিজ্ঞান একাডেমির কৌতূহলের কাছে ক্যাপ্টেনের আশঙ্কা ধোপে টিকেনা। যার ফলাফল এক বীভৎস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ। লাল-নীল রক্তে নির্মমভাবে রেঙ্গে উঠে পুরো মহাকাশযান; বেঁচে থাকে দুই প্রজাতির দুটি মাত্র প্রানী - রিরা ও নীলমানব কুশান। যুদ্ধের পরে চারদিকে যখন নিশ্ছিদ্র নীরবতা, তখন রিরা আবিষ্কার করে পুরো মহাকাশযানটিতে সে আর এক আহত নীলমানব ছাড়া আর কেউ বেঁচে নেই। বেঁচে থাকার প্রয়োজনে কয়েকঘন্টা আগেও যারা মেতে উঠেছিল নৃশংস ধবংসযজ্ঞে, কয়েকঘন্টা পরেই ভাগ্য তাদেরকে পরষ্পরের সহায় হিসেবে দাড় করিয়ে দেয়, তাও আবার বেঁচে থাকারই প্রয়োজনে। মহাকাশ অভিযানে অনভিজ্ঞ দুই প্রানী একত্রে মোকবেলা করতে থাকে বিচিত্র সব প্রতিকূল পরিস্থিতি। কিন্তু চূড়ান্ত মোকাবিলা কি আদৌ সম্ভব??? ব্যক্তিগত মতামতঃ সায়েন্স ফিকশনের পাঠক হিসেবে আমার যাত্রা শুরু জাফর স্যারের বই দিয়ে। উনার আগের লিখা প্রতিটি সায়েন্স ফিকশনই আমাকে প্রবলভাবে আকৃষ্ট করত। তার মাঝে এই বইটি ছিল শ্রেষ্ঠ। এর কারণ সম্ভবত এর রোমান্টিকতা। যারা সায়েন্স ফিকশন পড়েন না, তারাও এটা পড়ে দেখতে পারেন, আশা করি সময়টা খারাপ কাটবে না।

      By Zamsedur Rahman

      24 Oct 2022 01:50 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      এটি এমন সময়ের গল্প, যেখানে মানুষ আর নীলমানব দুটি সম্প্রদায় একে অপরের রক্তের জন্য ক্ষুধার্ত। নীলমানবেরা দেখতে অবিকল মানুষের মতো হলেও তাদেরকে ঠিক মানুষের মর্যাদা দেওয়া হয়নি। বরং তাদেরকে আলাদা প্রাণী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। অসম্ভব সাহসী, ভয়ঙ্কর, দুর্ধর্ষ, একরোখা এবং বুদ্ধিমান হিসেবে পরিচিত নীলমানবেরা মানবজাতিরই ছোট্ট এক অংশ। যারা স্বেচ্ছায় নিজেদের মাঝে বিবর্তন এনেছে। দৃষ্টি ক্ষমতা এমনভাবে বাড়িয়েছে যেন অন্ধকারেও দেখতে পায়। ফুসফুসকে বড় এবং শক্তিশালী করেছে যেন জরুরি পরিস্থিতিতে অতিমাত্রায় অক্সিজেন জমাতে পারে। তাদের রক্ত কপারভিত্তিক, ফলে এদের রক্ত এবং গায়ের রঙ নীল। নীলমানবদের এসকল গুণ-বৈশিষ্ট্যের কারণে তাদের নিয়ে মানুষের আগ্রহের সীমা নেই। তারা এই প্রজাতির উপর গবেষণা করতে চায় এবং পরবর্তীতে সেই সুযোগ তৈরিও হয়। ক্লড যুদ্ধে মানুষ মোট ১৭ জন নীলমানবকে আটক করে। এরপর ক্যাপ্টেন বর্কেনের নির্দেশে একটি মহাকাশযান এদেরকে নিয়ে বিজ্ঞান একাডেমীর উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। যাত্রাপথে মহাকাশচারী ও নীলমানবদের মাঝে ভয়াবহ যুদ্ধ লাগে। মুহূর্তেই লাল ও নীল রক্তের বন্যা বয়ে যায়। রীতিমতো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া মহাকাশযানে মাত্র দুজন প্রাণে বেঁচে যায়। রিরা নামের একজন কিশোরী শিক্ষানবিশ কর্মকর্তা এবং কুশান নামের একজন নীলমানব। যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে প্রায় ধ্বংশ হয়ে যাওয়া মহাকাশযান নিয়ে অচেনা এক গ্রহে অবতরণ করে রিরা। সেই গ্রহের মধ্যাকর্ষণজনিত ত্বরণ জি-এর কাছাকাছি এবং মোটামুটি পর্যায়ের বায়ুমণ্ডল ও আলো রয়েছে। মহাকাশযানের মূল প্রসেসর কর্তৃক জানা যায়, প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে এই গ্রহে কলোনী করেছিল মানুষেরা। কিন্তু কোনো এক অজ্ঞাত কারণে সবাই মারা যায়। শুধু তাই নয়, আরও একটি ভয়াবহ তথ্য উঠে আসে। এই গ্রহে রয়েছে বুদ্ধিহীন, ভয়ঙ্কর এবং নৃশংস একদল প্রাণী। সংখ্যায় এরা লাখের উর্ধ্বে এবং আপাতদৃষ্টিতে এটাই সবচাইতে বড় বিপদ। অচেনা গ্রহে লাখো শত্রুদের ভিড়ে কীভাবে টিকে থাকবে রিরা? প্রায় ধ্বংস হয়ে যাওয়া মহাকাশযানেই-বা কতদিন বেঁচে থাকবে? তাদেরকে কেউ উদ্ধার করতে আসবে কি? বেঁচে যাওয়া সেই নীলমানবটিরই-বা কী হলো? এসকল প্রশ্নের উত্তর মিলবে এই উপন্যাসে। অবনীল যতটা সায়েন্স ফিকশন, ঠিক ততটাই সার্ভাইবাল কাহিনি। শুরুর দিকটা ধীর গতিসম্পন্ন হলেও খুব দ্রুততার সঙ্গে গল্পের বাক পরিবর্তন ঘটে। সেইসাথে আস্তে ধীরে স্নায়ুর উপর চাপও বাড়তে থাকে। একটা সময় মহাকাশযানের কক্ষপথে বিচ্যুতি দেখা দিলেও পাঠকের মনোযোগে বিচ্যুতি ঘটার কোনো সম্ভাবনা নেই। কঠিন বিপর্যয়কে মোকাবিলা করতে প্রধান চরিত্রগুলো যে ধরনের প্রতিবন্ধকতার মাঝ দিয়ে যায়, যেসকল প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয়, তা পাঠকও অনুভব করতে পারবেন। নিজেকে আবিষ্কার করবেন কোণঠাসা অবস্থায়। তাছাড়া লেখক যখন মুহম্মদ জাফর ইকবাল আর জনরা যখন সায়েন্স ফিকশন, তখন খুব বেশি কিছুর ব্যাখ্যা দরকারও পড়ে না। তবে যদি প্রশ্ন করা হয়- এটা কি শুধুই বিজ্ঞান নির্ভর কল্পকাহিনি? উত্তরটা হবে- না। সময়ের ব্যবধান যদি গায়েব করে দেওয়া যায়, তাহলে কল্পনা আর বাস্তবতার মাঝে খুব বেশি পার্থক্য থাকে না। মহাকাশ, মহাযান, অত্যাধুনিক কম্পিউটার প্রযুক্তির বিষয়গুলো বাদ দিলে, মানব সন্তান রিরা এবং ভিন্ন প্রজাতির নীলমানব কুশানের ভাষা, সংস্কৃতি, আচরণগত পরিবর্তনকে খুব সহজেই বাস্তব জীবনের সঙ্গে মেলানো যায়। আমরা নিজেদের সমাজ, সংস্কৃতি, ধর্ম, গোষ্ঠীর বাইরে আলাদা কাউকে বা কোনোকিছুকে সহজভাবে নিতে পারি না। বরং বিরূপ মনোভাব পোষণ করি। অথচ আমাদের বেঁচে থাকার সংগ্রাম এক। বুক ভরে শ্বাস নিতে, শান্তিতে বেঁচে থাকার যে বাসনা, সেটাও অভিন্ন। লেখক যেন এই চরিত্রগুলোর মাধ্যমে বর্তমান সমাজ, গোষ্ঠীর মধ্যে থাকা অমূলক ভেদাভেদকেই তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। উপন্যাসের ঘটনাগুলোকে অনুসরণ করলে দেখা যায়, একে অপরের রক্তের জন্য মরিয়া দুটি ভিন্ন সম্প্রদায়-গোষ্ঠী শেষ পর্যন্ত বেঁচে থাকার জন্য একে অন্যের সাহায্য নিয়ে যে লড়াইটা চালিয়ে যায়, সেটা যেন বর্তমান যুগের জীবন সংগ্রামেরই প্রতিচ্ছবি। যা এই বিজ্ঞান নির্ভর কল্পকাহিনিকে আরও বেশি বাস্তবিক করে তোলে। সবমিলিয়ে উপন্যাসটি ভীষণ উপভোগ্য ছিল। যারা সায়েন্স ফিকশন, থ্রিলার পছন্দ করেন, তাদের জন্য ‘অবনীল’ বইটি সাজেস্ট করব। হ্যাপি রিডিং। . বই: অবনীল লেখক: মুহম্মদ জাফর ইকবাল প্রচ্ছদ: ধ্রুব এষ ধরন: সায়েন্স ফিকশন প্রকাশনী: তাম্রলিপি পৃষ্ঠা সংখ্যা: ৯৬ মলাট মূল্য: ১৬০ টাকা

      By Arafat hossin

      24 Feb 2020 10:19 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      wow!! This is a very heart-rending book....

      By অবনী সিমরান

      27 Feb 2017 09:19 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      #রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বইয়ের নামঃ অবনীল লেখকঃজাফর ইকবাল ধরনঃবৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী প্রকাশনীঃতাম্রলিপি মূল্যঃ১৬০ টাকা(রকমারি মূল্যঃ১২০ টাকা) . একজন নীল মানুষ ও একজান সাধারণ মানুষ এর কাহিনী।এই দুজনকে গল্পের কেন্দীয় চরিত্র বা নায়ক নায়িকা ও বলা চলে। #কুশান একজন নীলমানব আর #রিরা মহাকাশ অভিযানের নবীন শিক্ষানবীশ ক্রু। . #সার-সংক্ষেপঃএকদল নীলমানবকে নিয়ে ক্যাপ্টেন বার্কের মহাকাশযান যাত্রা শুরু করেছেন।তিনি এই মহাকাশযযান এর দলপতি। এই নীলমানবের দলটি ক্লড উপগ্রহের যুদ্ধে ধরা পরেছে।আর ক্যাপ্টেন বার্কের ওপর ভার পরেছে এদের বিজ্ঞানন একাডেমিতে পৌছে দেওয়ার।এরা খুবই ভয়ানক তাই তিনি চেয়েছিলেন এদের ঘুম পাড়িয়ে শীতল ঘরে নিয়ে যেতে কিন্তু বিজ্ঞান একাডেমি রাজি হয়নি। . ক্যাপ্টেন বার্কের ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়ের ওপর রিরার অগাধ ভরসা, তাই মহাকাশযানের কার্গো নিয়ে ক্যাপ্টেন বর্কেনের আশঙ্কায় রিরাও কিছুটা উদ্বিগ্ন। এই মহাকাশযানের কার্গো হচ্ছে সতের জন নীলমানবের একটি দল। নীলমানব হল মানব সম্প্রদায়ের সেই প্রজাতি যাদের বিবর্তন মানুষের মত স্বাভাবিক না। তারা নিজেরা নিজেদের মধ্যে পরিবর্তন এনে দৃষ্টিশক্তি আল্ট্রাভায়োলেট পর্যন্ত সংবেদনশীল করেছে, ফুসফুসের আকার করেছে বৃহৎ, যার ফলশ্রুতিতে সীমিত অক্সিজেনও তাদের জন্য কোন সমস্যা না। সেই সাথে রক্ত কপারভিত্তিক হওয়ায় তাদের গায়ের রঙ হালকা নীল। অস্বাভাবিক বিবর্তনের কারণে মানুষের কাছে তারা মানুষ হিসেবে বিবেচ্য না, তাদের পরিচয় - নীলমানব। . কিন্ত বিজ্ঞান একাডেমির কৌতুহলের কাছে ক্যাপ্টেন বার্কে হার মানতে হয়।যার ফলাফল হয় এক বীভৎস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ। লাল-নীল রক্তে নির্মমভাবে রেঙ্গে উঠে পুরো মহাকাশযান। . বেঁচে থাকে কেবল দুই প্রজাতির দুজন মানুষ, রিরা ও নীলমানব কুশান।এই ভয়ানক যুদ্ধের পরে রিরা আবিষ্কার করে যে মহাকাশযানটিতে সে আর নীলমানব ছাড়া আর কেউ বেঁচে নেই। বেঁচে থাকার প্রয়োজন এ একজন আরেক জনের সহায় হয়। এক অচেনা অজানা গ্রহে হিংস্র প্রাণীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হয় জীবন টিকিয়ে রাখার জন্য। নতুন এ্যাডভেঞ্চার শুরু হয় সেখানে। ফিরে আসতে হবে মানব সভ্যতার মাঝে । কী হয় শেষ পর্যন্ত? জানতে হলে পড়তে হবে মুহম্মদ জাফর ইকবালের "অবনীল" #পাঠ_প্রতিক্রিয়াঃ জাফর ইকবাল স্যারের অন্যতম আরেকটি সায়েন্স ফিকশন এর নাম হল অবনীল।দুই প্রজাতির দুইজন মানুষ এর ভালবাসা পুরো উপন্যাসটি ছিল ভরপুর। মুহম্মদ জাফর ইকবালের বেশীরভাগ বইই শেষ হয় ভাল লাগা দিয়ে।কিন্তু এটাতে তার ব্যতিক্রম ঘটেছে।এই বইয়ের শেষটায় পাঠকের ভেতরে এক ধরনের হাহাকারের সৃষ্টি করে।পড়লেই বুঝতে পারবেন। হাপি রিডিং...

      By Rehnuma Rubayat Prapty

      06 Jan 2018 09:17 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      #রবিজ_রকমারি_বই_রিভিউ একদল নীলমানবকে নিয়ে ক্যাপ্টেন বার্কের মহাকাশযান যাত্রা শুরু করেছেন। মহাকাশযান এর দলপতি ক্যাপ্টেন বার্ক একদল নীলমানব কে নিয়ে পৃথিবী তে আসছেন যাদের ক্লড যুদ্ধে ধরা হয় কিন্তু বিজ্ঞান একাডেমি তাদের ঘুম পাড়িয়ে শীতল কক্ষে আনতে দেয়নি। এভাবেই শুরু হয় যাত্রা, কিন্তু হঠাৎ করেই শুরু হয় এক গোলমাল। নীল মানব রা মুক্ত হয়ে যায়, লেগে যায় এক তুমুল যুদ্ধ মহাকাশচারী দের সাথে। লাল নীল রক্তে ভেসে যায় সব। কিন্তু ভাগ্যক্রমে বেঁচে যায় কিশোরী এক মহাকাশচারী রিবা ও নীলমানব কুশান। তারা আবিষ্কার করে এই ক্ষতিগ্রস্ত মহাকাশযানে তারা একা, আর কেও জীবিত নেই। শুরু হয় তাদের বেঁচে থাকার সংগ্রাম এবং এক চিলতে ভালোবাসা। কিন্তু তাদের এই জীবন সংগ্রাম শেষ হয় ঠিক ই কিন্তু এক আশ্চর্য রকম কষ্টে ভরা তার সমাপ্তি। পাঠ প্রতিক্রিয়া: মাত্র ৯৬ পৃষ্ঠার এই সাইন্স ফিকশন টি শুরুতে সাধারণ ভাবে গেলেও টুইস্ট একেবারে শেষের দিকে। আমার পড়া জাফর ইকবালের সাইন্স ফিকশন গুলোর মধ্যে এটি ভালো লেগেছে বেশি। ভিন্নধর্মী এক পরিবেশ হয়তো এর মূলে রয়েছে। বই টি কি সংগ্রহে রাখার মত? সাইন্স ফিকশন প্রেমীদের জন্য পড়ার মত একটি বই। By: Muhammad Tanjim Farhat

      By Misba

      24 Sep 2017 12:48 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      ২০০৫ সালে সপ্তম শ্রেণীতে উঠে সাপ্তাহিক বই পড়া ক্লাসে, পড়ার লিস্টে সেদিন পেয়েছিলাম বইটা। উল্লেখ্য, ‘ট্রাইটন একটি গ্রহের নাম’ পেয়েছিলাম প্রথম সপ্তাহে যেটা তখন কিছুই বুঝিনি। তাই বলবো ‘ঠাকুরমার ঝুলি’ কিংবা ‘ঈশপের গল্প সমগ্রের’ পর প্রথম পুর্নাঙ্গ উপন্যাস/ গল্পের বই ছিল আমার ক্ষেত্রে এই ‘অবনীল’। পুরোপুরি কিশোরী দিনের অনুভূতি নিয়ে লিখছি রিভিউ। স্পয়লার বাদ দিয়ে মূলকথাঃ কিছু মানুষ জোর করে নিজেদের মাঝে বিবর্তন এনেছে নিজেদের আরো শক্তিশালী অর প্রখর বুদ্ধিমান করে তোলার জন্য; যারা ‘নীল মানব’ নামেই পরিচিত সাধারণ মানব জাতির কাছে। মানুষের নিজেদের মধ্যেই কত জাতি-উপজাতি নিয়ে দ্বন্দ্ব আর ‘নীল মানব’ তো মোটামুটি রাক্ষস-খোক্কসের পর্যায়ের উপাধি পেলো সাধারণ মানুষের কাছে। তাদেরই একদল বন্দীকে নিয়ে মহাকাশ-যাত্রায় এক মিশনে যাচ্ছিল রিরা নামের এক মেয়ে আর তার গবেষক দল, যারা কিনা সাধারণ মানুষ। ঘটনাক্রমে, নানা দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতির শিকার হয়ে রিরা এক নীলমানবকে কাছ থেকে দেখার এবং জানার সুযোগ পেলো। আর কি সুন্দর কাকতালীয় ব্যাপার! এই নীলমানব ছিল একজন পুরুষ; যাকে নাকি সুদর্শন বলা যেত যদি গায়ের রঙ কিছুটা নিলাভ না হতো। নাহ! এই সুদর্শন পুরুষ যার নাম পরে জানা গেলো কুশান, সেও অবশ্য এক জায়গায় বলেছিল রিরাকে সুন্দরী বলে চালিয়ে দেয়া যেত যদি তার গায়ের রঙ পঁচা আঙ্গুরের মতো না হতো। তা বেশ যাচ্ছিল প্লট আর কেমিস্ট্রি। যাইহোক, ভালোই রেসিসমের মাঝখানে দুই ভিন্ন রকমের মানুষ যখন একইসাথে দুর্ভাগ্যের মধ্য দিয়ে যায় তখন হয়তো একটা পরিচয়ই কাজ করে তাদের মাঝে - ‘মানুষ’ পরিচয়, আর কিছু না। এবং বেশ চেনাজানা হয়ে যাবার পর যখন অপরজনকে নিজেদের কাছে আর রাক্ষস কিংবা ডাইনি মনে হলো না, তখন তারা নতুন করে ভাবতে শিখলো; কারা ঢোকাচ্ছে এসব ভেদাভেদ? এবং কেন? কিন্তু, কিচ্ছু আসে যায় না, কারা ঢোকাচ্ছে সেসব জেনে। কারণ, জীবনের শেষ প্রান্তে হয়তো তারা। আর শেষ মুহূর্তে যতটুকু পারে তারা জীবনকে উপভোগ করে নিতে চায়। (উপভোগের ঘটনায় অবশ্যই লেখকের প্রিয় তিতির পাখির ঝলসানো কাবাব আর অঙ্গুরের রস ছিল। :p ) আমার মতামতঃ ১। কিশোরী দিনগুলোতে আসলেই কোন সমালোচনা ছিল না এই গল্পের। এই লেখক আর সমরেশ আমার চিন্তাভাবনার জগতের জাল বিস্তারের সহায়ক। ২। এখন পিডিএফে চোখ বুলিয়ে নিয়েছিলাম একটু, সেই সুদর্শন নীলমানবের নাম মনে করতে পারছিলাম না বলে। (কিভাবে আমার প্রথম ক্রাশের নাম ভুলে গেলাম বুঝলাম না যদিও। ) ৩। লেখকের এখনকার লেখাগুলোর তুলনায় ডায়ালগ বেশ ভালো। যদিও আমার প্রায় জায়গায় আগেও মনে হতো সরাসরি ইংরেজি ডাবিং করা হচ্ছে ডায়ালগগুলোকে। মানে, ‘দিস’, ‘দ্যাট’কে বাংলায় সাধারণত উহ্য রাখলেই আমার কাছে ভালো লাগে। কিন্তু লেখকের সব সাই-ফাইএ, সর্বনামের ব্যবহার আমার কাছে অড লাগতো। এবং বাক্যগুলোকে ইংরেজিতে চিন্তা করে বাংলায় অনুবাদ করে লিখেছেন মনে হতো। কিশোর উপন্যাসগুলোতে আবার এমনটা লাগেনি। কিন্তু, এই অড লাগাটাও সয়ে গিয়েছিলো লেখকের অন্য অনেক বই পড়তে পড়তে। ৪। যারা লেখকের অন্য অনেক সাই-ফাই পড়েছেন, তাদের কাছে একই গোছের লাগতে পারে। ৫। ট্র্যাজেডি এলার্ট! যাদের ফিকশন ভালো লাগে তাদের পড়তে ভালো লাগবে। আমার রেটিংঃ যখন প্রথম পড়ছি তখন ৫/৫ এখন পড়লেঃ ৩.৫/৫ (শুধু মাত্র, এখন আর তেমন ছোট ফিকশন পড়িনা বলে)

      By Ahnaf Afsah Asif

      27 Sep 2019 08:57 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      সায়েন্স ফিকশন কাহিনি আর আবেগের মিশ্রিত এক অসাধারণ বই। এই বই পড়ে মন খারাপ হবেই। এই বইয়ে আছে অনন্য এক মানবীর গল্প যে এক নীল মানবের সাথে থেকে জীবিত থাকার চেষ্টা করে। আদতে নীল মানব আর শত্রু হলেও তারা বন্ধুত্বএর সম্পর্কের দ্বারা কাছে আসে এবং বেচে থাকার লড়াইয়ে টিকে যায়। জাফর ইকবাল স্যারের এক অনবদ্য প্রকাশনা যা একজন সায়েন্স ফিকশন প্রেমিকের অবশ্যই পড়া উচিত।

      By rashed abdullah

      25 Feb 2014 04:30 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      I read many sci-fi books of Zafar Iqbal sir.But it is the best of all.

    •  

    Recently Viewed


    Great offers, Direct to your inbox and stay one step ahead.
    • You can pay using


    JOIN US

    icon Download App

    Rokomari.com is now one of the leading e-commerce organizations in Bangladesh. It is indeed the biggest online bookshop or bookstore in Bangladesh that helps you save time and money. You can buy books online with a few clicks or a convenient phone call. With breathtaking discounts and offers you can buy anything from Bangla Upannash or English story books to academic, research or competitive exam books. Superfast cash on delivery service brings the products at your doorstep. Our customer support, return and replacement policies will surely add extra confidence in your online shopping experience. Happy Shopping with Rokomari.com!