User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
তথ্যবহুল বই
Was this review helpful to you?
or
Ok
Was this review helpful to you?
or
অবিচলিত শান্ত ও সাহসী মানুষটির ছিল একটিই কথা: ‘লন্ডনের রাস্তায় আমার শবদেহ পড়ে থাকবে তবু পাকিস্তানের সঙ্গে আপোস করে দেশে ফিরব না।বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে আন্তর্জাতিক জনমত সংগঠনে বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। বাঙালী জাতির মহান সন্তান বিচারপতি চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধের সময়ে লন্ডনে তাঁর সদর দফতর স্থাপন করে পৃথিবীর দেশে দেশে প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিরূপে ছুটে বেড়িয়েছেন - সম্পন্ন করেছেন এক বিশাল কর্মযজ্ঞ। শত্রুরা তাঁর প্রাণের প্রতি হুমকি প্রদর্শন করেছে - তাঁর প্রাণহানির আশঙ্কায় স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড সর্বক্ষণ তাঁকে প্রহরা দিয়েছে। কিন্তু এই’ মুক্ত স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের পর বাংলাদেশের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতির দায়িত্বভার অর্পণ করা হয় তাঁকে। প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলি গ্রন্থে তিনি বিবৃত করেছেন প্রবাসে একাত্তরের দিনগুলির স্মৃতিকথা। তাঁর অকপটতা ও সারল্য দিয়ে নির্মিত এই স্মৃতিকথা।
Was this review helpful to you?
or
ইতিহাসের এক প্রামাণ্য দলিল এবং অনেক তথ্য বহুল কিন্তু খুব তথ্যের আধিক্য থাকায় অনেকের কাছে একটু এক ঘেমেয়ি মনে হতে পারে ।
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নামঃপ্রবাসে একাত্তরের দিনগুলি লেখকঃআবু সাঈদ চৌধুরী প্রকাশনীঃইউ পি এল মূল্যঃ২৩৮টাকা লেখক আবু সাঈদ চৌধুরী বিদেশে আন্তর্জাতিক জনমত গঠনের জন্য অবস্থানকালে যে দুর্বিষহ দিনগুলো যাপন করেছিলেন তারই স্মৃতিকথা তিনি এ বইটিতে অতি গঠনশীল বর্ণনার মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে আন্তর্জাতিক জনমত সংগঠনে বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী ঠিক কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তার স্পষ্ট ছাপ এ বইটিতে পেয়েছি। বইটিতে তিনি বলেছেন ২৫শে মার্চের রাতে বাংলাদেশে থাকলে হয়তো তিনিও হত্যার শিকার হতেন। ভাগ্যক্রমে ছিলেন বিদেশে কিন্তু সকালে ঘুম থেকে উঠে ঢাকার খবর পাওয়ার সাথে সাথে দুদন্ড তিনি চিন্তা করেন নি আসলে কি করতে হবে। গলগল করে ওইদিনই মানবাধিকার কমিশনের সভায় উপস্থিত হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চালানো তান্ডবের কথা তুলে ধরেন। সেই দিনের পর আরো ৯ মাস তিনি তাই করেছিলেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ যেটি করছেন তিনি বাংলাদেশকে ইউরোপের রাষ্ট্রপ্রধান, সাধারণ মানুষের কাছে আমাদের যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার যুক্তি, কেন আমাদের স্বাধীনতা দরকার এসব কিছু তুলে ধরেছেন।প্রবাসী বাংগালীদের এক সূত্রে গেথেছেন। দেশে সাহায্য পাঠানোর অনুরোধ করে গেছেন ইউরোপের এখান থেকে ওখানে। তার প্রচেষ্টায় ইউরোপব্যাপী জনমত গড়ে উঠে বাংলাদেশের পক্ষে।ভারত ছাড়া আর কোন দেশ যে মুক্তিযুদ্ধে সাহায্য করেছে, এই বই না পড়লে হয়তো জানতামই না । শুধু রাজনৈতিক কারনে সরকারী সমর্থন না, সাধারন বিদেশীরা যারা হয়ত আগে কোনদিন বাংলাদেশের নামও শুনে নি , তারা যে ভাবে এগিয়ে এসেছে , সেটা অসাধারন লেগেছে। বইটি পড়ে জানতে পারলাম আমাদের স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনতে প্রবাসীরা আমাদের যথেষ্ট সাহায্য করেছিল প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে। বইটি পড়ে মহান মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে আমার জ্ঞান অনেকটা সমৃদ্ধ হলো বলে মনে হচ্ছে। প্রতিটি বাঙালির এ অজানা তথ্য গুলো জানা উচিত বলে মনে করি।