User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটি বই৷ গল্পের কাহিনী মন ছুঁয়ে গেছে৷
Was this review helpful to you?
or
শ্যামল ছায়া, এটি একটি মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক উপন্যাস । মাত্র ৪৮ পৃষ্ঠার উপন্যাসটি’তে লেখক সাহেব বেশ সুন্দরভাবেই উপস্থাপন করেছেন; ‘৭১ এর যুদ্ধকালীন কতিপয় তরুণ যোদ্ধাদের নৌকায় করে রাত্রীকালিন অপারেশনে যাওয়া ও পথিমধ্যে তাদের বিভিন্ন কর্মকান্ডের ঘটনা বর্ণনা করে । এক বসায় শেষ করে উঠতে পারবেন বইটি । হ্যাপি রিডিং !
Was this review helpful to you?
or
good book
Was this review helpful to you?
or
এই বইটি পাঠককে নিয়ে যাবে ১৯৭১ সালের যুদ্ধের সময়ে। হুমায়ূন আহমেদ এর এই সম্পর্কিত বইগুলো আসলেই খুব সুন্দর।
Was this review helpful to you?
or
প্রিয় একটা উপন্যাস
Was this review helpful to you?
or
অনেক সুন্দর একটি বই সকলে পড়তে পারেন !
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ুন আহমেদের শ্যামল ছায়া উপন্যাসটি পড়ে আজকের একজন পাঠকও সেই ১৯৭১ এর যুদ্ধের সময়কার অনুভুতি পাবে। অসাধারণ একটা বই।
Was this review helpful to you?
or
‘Shamol Chaya’ is a novel about our Liberation War in 1971, written by Humayun Ahmed. The story is of a boat journey. During monsoon, 1971, some helpless people were moving forward to the free zone. A terrible state of affairs was going through Bangladesh. Pakistan's military had released genocide in the country. Our heroic sons started a war of liberation. Passengers of the boat were horribly afraid but they had dreams of war to get Shyamol Chhaya, the land of people of peace. Would they be able to reach Shyamol Chhaya? If you want to know, you should read the book. Next, Shyamol Chhaya is turned into a movie, released on 16 December 2005, written and directed by Humayun Ahmed, starring Humayun Faridi, Tania Ahmed, Shimul, Riaz, Shaon and many more. It mirrors a story of free Bangladesh and how people were passing their time at that time.
Was this review helpful to you?
or
হুমায়ূন আহমেদের বই মানে পাঠকদের কাছে মজার ভাণ্ডার। এই বইটিও তার ব্যতিক্রম হয় নি।
Was this review helpful to you?
or
"শ্যামল ছায়া" হুমায়ূন আহমেদ স্যারের লেখা একটি মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক উপন্যাস। উপন্যাসটির মূল চরিত্র কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা। তাঁরা হলো আবু জাফর, হুমায়ূন, হাসান আলী,আনিস এবং মজিদ। এখানে সবার সম্পর্ক বর্ণনা করা হয়েছে। তাঁরা মেথিকান্দার মিলিটারি ক্যাম্প আক্রমণ করে।পঞ্চমবার আক্রমণ করে তাঁরা সফল হয়।তাঁরা অনেক মুক্তিযোদ্ধাকে হারায়।অনেক ভালো লেগেছে বইটি পড়ে।
Was this review helpful to you?
or
বই - শ্যামল ছায়া লেখক - হুমায়ূন আহমেদ প্রকাশনা - অন্যপ্রকাশ প্রকাশ - মার্চ ২০০৩ প্রচ্ছদ - ধ্রুব এষ দাম - ১০০ /- রেটিং - ৫/৫ ******** 'সবাই অপেক্ষা করছে সেই মুহূর্তটির জন্য, যখন মনে হবে পৃথিবীতে আমি ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। রাইফেলের উপর ঝুঁকে থাকা একেকটি শরীর আবেগে ও উত্তেজনায় কাঁপতে থাকবে থরথর করে।' শ্যামল ছায়া। ঠিক মুক্তিযুদ্ধের উপন্যাস না। এটা মুক্তিযোদ্ধাদের উপন্যাস। অপারেশনের আগের রাতে প্রতিটা ব্যক্তির প্রতিটা অনুভূতি নিয়ে এক অনন্য সৃষ্টি। শ্যামল ছায়া যুদ্ধের কথা বলে না। বলে যুদ্ধজয়ের একেকজন নায়কের কথা। ...... একটি মেথিকান্দা ক্যাম্প। অনেকগুলো জেগে থাকা চোখ। মিশন একটাই কব্জা করতে হবে ক্যাম্প। উড়িয়ে দিতে হবে ব্রিজটাকে... প্রথমে কিছু একটা ভুল। সেই ভুল থেকে আর ফেরা হয়নি। ধীরে ধীরে মেথিকান্দা হয়ে গেল মুক্তিবাহিনীর মৃত্যুকূপ। সেই মেথিকান্দার দিকেই আরেক অভিযানে হুমায়ূন আহমেদের নেতৃত্বে আবু জাফর, আনিস, মজিদ আর পথপ্রদর্শক হাসান আলি। অবসরে বা চলার পথে কারো মনে জেগে উঠে রাজাকারে থাকা দিনের কথা, কারো মনে পড়ে অকালে হারানো বোনের কথা। কেউ মনে করে সহযোদ্ধার মাকে কিভাবে বলবে তার মৃত্যুর কথা। এর মাঝেই রাত দুটার জন্য প্রস্তুতি চলে। প্রস্তুতি চলে মৃত্যুকূপ থেকে বেঁচে ফেরার জন্য। কারো নরম মন, কারো উদ্ভট রসিক কথা, কারো জ্বর তবু সব ফেলে অপেক্ষা একটা মুহূর্তের জন্য 'যখন মনে হবে পৃথিবীতে আমি ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট নেই।' .... হুমায়ূন স্যারের লেখা নিয়ে কখনোই কিছু বলার নেই। স্যার এমন একজন মানুষ যার প্রতিটা লেখা অন্তত একবার হৃদয়ে ছোঁয়া দেয়। শ্যামল ছায়া থেকে পরবর্তিতে হয়েছে চলচ্চিত্র। পেয়েছে জাতীয় পুরস্কার। বই টা কেবল নিছক বই ছিল না। ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের অনুভূতির একদিনের ডায়েরী। সবমিলিয়ে রেটিং ৫/৫।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বইঃ শ্যামল ছায়া লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ ধরণঃ সমকালীন উপন্যাস প্রকাশনীঃ অন্যপ্রকাশ মূল্যঃ ১০০ টাকা (রকমারি মূল্য ৭৫ টাকা) . ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের ডাক পড়েছিল বাংলাদেশের রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায়। স্বাধীনতা পাওয়ার তুমুল উৎসাহে সে ভয়ংকর সময়েও জীবনের মায়া তুচ্ছ করে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে পিছপা হয়নি আমাদের দেশের তরুণ-রা! পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠী যে কি পরিমাণ অমানবিক অত্যাচার করেছিল সে কথা জানলে গা শিউরে ওঠে! লক্ষ লক্ষ মানুষকে তারা নির্বিচারে হত্যা করে, বদ্ধভূমিতে আশ্রয় নিতে হয় কত শত বুদ্ধিজীবীদের! নির্বিচারে গণিমতের মাল বলে ধর্ষণ করে আমাদের পবিত্র মা-বোনদের! হ্যাঁ, সে অত্যাচারের প্রতিশোধ তুলতে যুদ্ধের ময়দানে পা বাড়ায় #শ্যামল_ছায়া উপন্যাসের কয়েকজন তরুণ। রাতের অন্ধকারের মধ্যেও যেন উজ্জল আলোর মত ভাসমান ছিল সাধারণ নৌকায় অসাধারণ কয়েকজন তরুণ #আবু_জাফর_শামসুদ্দিন #হুমায়ূন_আহমেদ #হাসান_আলি #আবদুল_মজিদ এবং #আনিস_সাবেত . এদের প্রত্যেকেই নিজস্ব ক্ষোভ থেকে নামে যুদ্ধে। যুদ্ধের ভয়াবহ থাবা আঘাত হানে তাদের পরিবারের সদস্যদের ওপর, আর তার জন্যই যুদ্ধে নামা। নৌকার মাঝি হাসান আলি। স্বল্পভাষী মানুষ। কেউ কিছু জিজ্ঞেস করলে সহজে উত্তর দেয়না, এমন ভাব করে যেন কথাটা শুনেনি, কিন্তু যে মানুষ দু মাইল দূরের বোটের আওয়াজ পর্যন্ত শুনতে পায় তার পাশে বসে থাকা মানুষটির কথা না শোনার মানে কি কে জানে...... তবে হাসান আলিকে দলের প্রয়োজন। যেকোন দুর্গম এলাকায় যেন নিমিষেই, সহজেই নিয়ে যেতে পারে সে। এমন একটা চলনসই মানুষ দলের জন্য সব সময় প্রয়োজন। জাফর, দলের রূপ সচেতন ছেলে। অতটা ভয়-ডর নেই মনে, সাহসী বলা যায় তাকে। ঘুম মনে হয় একটু প্রিয়-ই তার। তাকে ঘুমের মধ্যে মিলিটারির ভয় দেখানোর আয়োজন করার হয় দলের। দেখাই যাক কি হয়.... হুমায়ূন মানুষটা একটু দুর্বল চিত্তের। এই দুর্বল চিত্তের মানুষকে দলের লিডার করা যেন পছন্দ হচ্ছিলনা কারো কারো। তবে, এই মিশনের তিনিই লিডার! এমন দুর্বল মনের মানুষ হয়ে কেন তিনি যুদ্ধে নামলেন সেটাও এক ইতিহাস। মজিদ হচ্ছে দলের সবচেয়ে ভীতু ছেলে। অপারেশনে যেন অপঘাতে না মারা যায় সেটার জন্য কোন এক পীরের কাছ থেকে ছোট-খাটো ঢোলের মত তাবিজও জোগাড় করেছে। তবে হ্যাঁ, অপারেশনের সময় এই ভীতু ছেলেটার মাথাই থাকে সবচেয়ে ঠান্ডা। আর হাতের 'এইম' নির্ভুল থাকে। তিনটি গুলির মধ্যে দুটি গুলি তার মিস যেতেই পারেনা! ছেলেমানুষি স্বভাবের ছেলে আনিস। মুক্তিযুদ্ধা ভেবে যদি কেউ অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে চট করে 'এলএমজি'র ব্যারেল নাড়বে, গুলির ক্যাস খুলে দরকার ছাড়াই নাড়বে আর তখন কৌতূহলী কেউ কিছু জিজ্ঞেস করলে বিরক্তি নিয়ে তাকিয়ে থাকে। যেন বিরাট কাজ করছে! আর ভাষণ তার তৈরিই থাকে, সুযোগ পেলেই দেশের দুর্দিনে কি করা উচিত সেই ভাষণ ননস্টপ টেপ রেকর্ডারের মত তার চলতেই থাকে! পাগলাটেও বলা যায় তাকে। অপারেশনের সময় আর মাথার ঠিক থাকেনা তার, একটা কাজ করতে বললে আরেকটা করে বসে! কিন্তু এই পাগলাটে ছেলেটিই নিজের জীবন উপেক্ষা করে বয়ে নিয়ে আসে এক অপারেশন থেকে আহত হুমায়ূনকে। . যাইহোক, এই যোদ্ধা দলটি যাচ্ছে 'মেথিকান্দা' নামক জায়গায় অপারেশনে। মেথিকান্দা মুক্তিবাহিনীর মৃত্যু_কূপ। চার বার অপারেশনে গিয়েও সেখানে সফলতার মুখ দেখেনি মুক্তিবাহিনী। বরং হারিয়ে আসতে হয়েছে দলের কিছু দুর্ধর্ষ যোদ্ধা! এখন পঞ্চমবারের মত যাচ্ছে এই দলটি .... দেখাই যাক, কি হয়? এরা কি পারবে মেথিকান্দা নামক স্থানটি দখল করতে নাকি আবারও ফিরে আসতে হবে দলের আরো কিছু যোদ্ধা হারিয়ে? . #পাঠপ্রতিক্রিয়াঃ সত্তর দশকের শেষ ভাগ থেকে শুরু করে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত হুমায়ূন আহমেদ ছিলেন আমাদের সাহিত্যাঙ্গনের অপ্রতিদ্বন্দ্বী উজ্জল নক্ষত্র, এবং আগামীতেও থাকবেন। তার লিখায় যেন, পাঠক নিজ ভাবনা-চিন্তার অনেক অংশই খুঁজে পান। গল্প আর বাস্তবতাকে এক করে তিনিই পারতেন আমাদের চমৎকার সব লিখা উপহার দিতে। #শ্যামলল_ছায়া তার তেমনই এক মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক লিখা। এই বইটিতে, রাতে নৌকায় যোদ্ধা তরুণদের সে সফর কেমন যেন এক ঘোরের তৈরি করে দেয় মনে। চরিত্র ভাল লেগেছে সব গুলোই, তবে পাগলাটে 'আনিস' ছেলেটাকে একটু বেশী ভাল লাগে। খারাপ লাগে যখন সে রাস্তায় হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পড়ে... আনিসের মত হয়তো আমরা সব পাঠকই ছিলাম- যুদ্ধ শুরু হওয়ার অপেক্ষায়, মর্টারের আওয়াজ শোনার অপেক্ষায়! মুক্তিযুদ্ধের বই সব সময়ই বেস্ট! যাদের পড়া হয়নি পড়েই দেখুন, সাধারণ গল্প গুলা কেমন অসাধারণ রূপে ফুঁটে ওঠে। হ্যাপি রিডিং :)
Was this review helpful to you?
or
'Semol Chaya' is a common noble of Humayun Ahmed, which is written about the liberation war of Bangladesh. By reading this book one can know how the people were spending their life in the time of liberation war in Bangladesh. In this book, the writer describes a journey in the time of war.
Was this review helpful to you?
or
"শ্যামল ছায়া" লেখক হুমায়ুন আহমেদের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক এক অনবদ্য উপন্যাস। এ উপন্যাস মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে কিছু যোদ্ধার উপর রচিত হয়েছে। এ উপন্যাসের মূল চরিত্র আবু জাফর, হুমায়ুন, হাসান আলী, আনিস ও মজিদ। এরা সকলেই মেথিকান্দায় পাকবাহিনীর একটি ক্যাম্প দখলের জন্য নৌকা দ্বারা পানিপথ দিয়ে রওয়ানা দেয়। এই অপারেশনে এদের কমান্ডর নিযুক্ত করা হয় হুমায়ুনকে। হুমায়ুন একজন যোদ্ধা হয়েও মানুষ মারতে তার মনে আঘাত লাগে। এজন্য এ অপারেশনে হুমায়ুনকে কমান্ডর নিযুক্তকরণ অনেকের অপছন্দ। জাফর খুব ঘুমপাগলা ছেলে। সুযোগ পেলেই সে ঘুমিয়ে পড়ে। হাসন আলী এ নৌকার মাঝি। সে অত্যন্ত শান্ত টাইপের লোক। প্রয়োজন ছাড়া কোন কথা বলে না। কেউ কিছু জিজ্ঞাসা করলে কোনো জবাব দিতে চায় না। তবে তার শ্রবণশক্তি মারাত্মক ভালো। মজিদ অনেকটা মজার ও ভীতু টাইপের মানুষ। যে কোন অপরেশনে যাবার আগে মজি মারাত্মক ভীতিগ্রস্ত হয়ে যায়। তবে অপরেশন চলাকালে তা বোঝা দায়। তখন খুব ঠান্ডা মাথায় যুদ্ধ করে। তার নিশানা শক্তি অত্যন্ত তীক্ষ্ণ। আনিস খুব চাপা স্বভাবের ছেলে। আনিস খুব স্বভাবিক থাকে। তবে অপারেশন চলাকালে কিছুটা পাগলাটে হয়ে যায়।রাত দুটায় হুমায়ুন দলবলসহ মেথিকান্দারয় উপস্থিত থাকবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী টুনু মিয়ার দলের সহযোগে রাত তিনটায় পাক-বর্বরদের উপর হামলা করা হবে। এ পর্যন্ত মুক্তিবাহিনী চার চার বার হামলা করেও ব্যর্থ। বরং এ হামলায় তারা আবু ভাই, রমজান সহ কিছু প্রিয় মুখকে হারায়। পঞ্চমবার ঐ মেথিকান্দায় হামলার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। অতঃপর অনেক বিপদকে উপেক্ষা করে তারা তাদের কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে পৌছায়। কিছুক্ষণ পরেই তারা বোমা ফোটার শব্দ পায়। বোম দিয়ে মেথিকান্দার ব্রীজ উরিয়ে দিয়েছে। ফলে সকলের মধ্যে যেমন আনন্দ আসে তেমন আসে মনোবল। আশা করি সকলের এই উপন্যাসটা ভালো লাগবে।
Was this review helpful to you?
or
দেশে তখন মুক্তিযুদ্ধ চলছে। ঢাকা থেকে শয়ে শয়ে মানুষ গ্রামের দিকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তারমধ্যে কেউ যেতে পেরেছে কেউ বা পথেই মারা গেছে। পাকিস্তানি বর্বর সেনারা আমাদের মা বোনদের ইজ্জত নষ্ট করেছে। গ্রামে গ্রামে ঢুকে নির্বিচারে গুলি করে মেরেছে সাধারন জনগন। তাদের সহায়তা করেছে আমাদের দেশেরই ঘৃণিত কিছু ব্যক্তি। শান্তি কমিটি নামে তারা দল খুলেছে। পাকিস্তানিরা যখন আমাদের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে তখন তারাও শুরু করে লুন্ঠন, হত্যা, ধর্ষন। এসব দেখে বাংলার তরুণরা হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছিল। যে বয়সে তাদের হাতে থাকার কথা ছিল কলম, সে বয়সে তারা অস্ত্র হাতে ট্রেনিং নিতে চলে যায় ভারতে। সেখান থেকে ফিরে এসে একের পর এক অভিযান চালিয়ে ধ্বংস করে দেয় পাকসেনাদের ক্যাম্প। তখনকার সময়ে একদল মুক্তিযোদ্ধা বড় একটা নৌকায় করে অপারেশনে যাচ্ছে। তারই কাহিনী এটা। নৌকার মধ্যে আছে জাফর, আসলাম, মজিদ, হাসান আলি এবং হুমায়ূন ভাই। জাফর সবথেকে বিচক্ষণ। প্রতিটা অপারেশনে নিজ দায়ীত্ব ঠিকভাবে পালন করে সে। হাসান আলি দাড় বেয়ে নৌকা সামনে নিয়ে যায়। এই এলাকার পথঘাট সব তার চেনা। একদম অন্ধকারেও ঠিক জায়গায় নৌকা নিয়ে হাজির হতে পারে সে। তার আরেকটা ভাল গুন হচ্ছে তার শ্রবণশক্তি। দুই মাইল দূরে কোনও লঞ্চ অথবা নৌযান থাকলে সেটার আওয়াজ পেয়ে যায় সে। শুধুমাত্র তার সতর্কতার জন্য অনেকবার বেচে গেছে সবাই। এই দলের সবথেকে ভিতু হচ্ছে মজিদ। পাক সেনাদের নাম শুনলেই ভয়ে কলিজা শুকায় যায়। কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে, অপারেশনের সময় সবথেকে ঠান্ডা থাকে সেই। তার হাতের নিশানা অনেক ভালো। হুমায়ূন ভাই আপাতত এই মিশনের দলনেতা। যদিও জাফর আপত্তি করেছিল তাকে দলনেতা বানাতে। কারন হুমায়ূন ভাই একটু দুর্বল প্রকৃতির। তারা একটা অপারেশনে যাচ্ছে নৌকায় করে। একটা জায়গায় নৌকা থেকে নেমে ১০ মাইল এর মত হাটতে হবে। সাথে থাকবে মেশিনগান, গুলির বাক্স এবং আরও অস্ত্রশস্ত্র। যাবেন নাকি তাদের সাথে? নিজের দেশের স্বাধীনতা বলে কথা। না গিয়ে উপায় আছে? ব্যক্তিগত মতামতঃ পড়েছি আর মুগ্ধ হয়েছি। মাত্র ৪৮ পৃষ্ঠার একটা বইয়ে এত সুন্দর করে মুক্তিযুদ্ধের কাহিনী লেখা তার পক্ষেই সম্ভব। যারা পড়েননি এখনও তারা চরম মিস করেছেন।
Was this review helpful to you?
or
দেশে তখন মুক্তিযুদ্ধ চলছে। ঢাকা থেকে শয়ে শয়ে মানুষ গ্রামের দিকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তারমধ্যে কেউ যেতে পেরেছে কেউ বা পথেই মারা গেছে। পাকিস্তানি বর্বর সেনারা আমাদের মা বোনদের ইজ্জত নষ্ট করেছে। গ্রামে গ্রামে ঢুকে নির্বিচারে গুলি করে মেরেছে সাধারন জনগন। তাদের সহায়তা করেছে আমাদের দেশেরই ঘৃণিত কিছু ব্যক্তি। শান্তি কমিটি নামে তারা দল খুলেছে। পাকিস্তানিরা যখন আমাদের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে তখন তারাও শুরু করে লুন্ঠন, হত্যা, ধর্ষন। এসব দেখে বাংলার তরুণরা হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছিল। যে বয়সে তাদের হাতে থাকার কথা ছিল কলম, সে বয়সে তারা অস্ত্র হাতে ট্রেনিং নিতে চলে যায় ভারতে। সেখান থেকে ফিরে এসে একের পর এক অভিযান চালিয়ে ধ্বংস করে দেয় পাকসেনাদের ক্যাম্প। তখনকার সময়ে একদল মুক্তিযোদ্ধা বড় একটা নৌকায় করে অপারেশনে যাচ্ছে। তারই কাহিনী এটা। নৌকার মধ্যে আছে জাফর, আসলাম, মজিদ, হাসান আলি এবং হুমায়ূন ভাই। জাফর সবথেকে বিচক্ষণ। প্রতিটা অপারেশনে নিজ দায়ীত্ব ঠিকভাবে পালন করে সে। হাসান আলি দাড় বেয়ে নৌকা সামনে নিয়ে যায়। এই এলাকার পথঘাট সব তার চেনা। একদম অন্ধকারেও ঠিক জায়গায় নৌকা নিয়ে হাজির হতে পারে সে। তার আরেকটা ভাল গুন হচ্ছে তার শ্রবণশক্তি। দুই মাইল দূরে কোনও লঞ্চ অথবা নৌযান থাকলে সেটার আওয়াজ পেয়ে যায় সে। শুধুমাত্র তার সতর্কতার জন্য অনেকবার বেচে গেছে সবাই। এই দলের সবথেকে ভিতু হচ্ছে মজিদ। পাক সেনাদের নাম শুনলেই ভয়ে কলিজা শুকায় যায়। কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে, অপারেশনের সময় সবথেকে ঠান্ডা থাকে সেই। তার হাতের নিশানা অনেক ভালো। হুমায়ূন ভাই আপাতত এই মিশনের দলনেতা। যদিও জাফর আপত্তি করেছিল তাকে দলনেতা বানাতে। কারন হুমায়ূন ভাই একটু দুর্বল প্রকৃতির। তারা একটা অপারেশনে যাচ্ছে নৌকায় করে। একটা জায়গায় নৌকা থেকে নেমে ১০ মাইল এর মত হাটতে হবে। সাথে থাকবে মেশিনগান, গুলির বাক্স এবং আরও অস্ত্রশস্ত্র। যাবেন নাকি তাদের সাথে? নিজের দেশের স্বাধীনতা বলে কথা। না গিয়ে উপায় আছে? ব্যক্তিগত মতামতঃ পড়েছি আর মুগ্ধ হয়েছি। মাত্র ৪৮ পৃষ্ঠার একটা বইয়ে এত সুন্দর করে মুক্তিযুদ্ধের কাহিনী লেখা তার পক্ষেই সম্ভব। যারা পড়েননি এখনও তারা চরম মিস করেছেন।