User login

Sing In with your email

Email Address
Password
Forgot Password?

Not Account Yet? Create Your Free Account

Send

Recipients:
Message:

Share to your friends

Copy link:

    Our Price:

    Regular Price:

    Shipping:Tk. 50

    • Size:
    • Color:
    QTY:

    প্রিয় ,

    সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
    মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?

    Please Login to Continue!

    Our User Product Reviews

    Share your query and ideas with us!

    Customer Reviews

      By jami jahan

      18 Feb 2017 10:39 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      #রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বই-সেঁজুতি, তোমার জন্য লেখক-আনিসুল হক ধরণ-উপন্যাস পৃষ্ঠা-৯২ মূল্য-১২০ পার্ল প্রকাশনী ... সেঁজুতি কাজ করে ঢাকার এক মেগা শপে। দোকানের নাম টেন টু টেন। তার কানে ইয়ারফোন। কাজ করছে আর গান শুনছে। রত্না নামের একটা মেয়েও এখানে কাজ করে। সেঁজুতি বুঝলো তাকে কিছু বলা হয়েছে কিন্তু তা কি জানার জন্য কান থেকে ইয়ার ফোন খুলে আবার জানতে চাইলো। রত্না কিছুটা বিরক্ত সুরে বলল, এটা কাজের জায়গা এখানে তো পিকনিক করার জায়গা না। এটা যদি কানে দিয়ে রাখে তো কাস্টমারের কোন কথাই তো সে শুনবে না। সেঁজুতি একটা হাসি দিল। রত্মা বিরক্ত হয়ে সুপারভাইজার এর কাছে গিয়ে সেঁজুতির নামে কিছু বলল। সুপারভাইজার তার কথা শুনে আর একটা হাসি দিলেন। রত্না বুঝলো সুপারভাইজারও তাকে কিছু বলবে না। সেঁজুতি মেয়েটা বেশ সতেজ হাসিখু্শি। রত্নার মতে তার হাসি রোগ আছে। কিছুক্ষন পরে সেঁজুতির ফোনে কল আসল। কল দিয়েছে শিশির । শিশির কাজ করে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের মোবাইল লাইব্রেরিতে। গাড়ি ভরা নানা জাতের বই। যেনো একগাড়ি আলো।সে এরকম একটা গাড়ির কর্মী।শিশির এমন একটা ছেলে যার রস বোধ প্রবল। তাদের দেখা হয়েছিলো বইমেলায়। এর পর থেকে তাদের ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে। তারা স্বপ্ন দেখে, ছোট একটা ঘরের। যা তারা খুব সুন্দর করে সাজাবে। সেঁজুতি আরো একটা কাজ করে তা হলো ব্লাড দেয়া। প্রতি ছয়মাস অন্তর অন্তর সে ব্লাড দেয়। তার ব্লাড গ্রুপ এবি নেগেটিভ। আজকেও শিশির যখন তাকে দেখা করতে বলল, সিনেমা দেখবে বলে। তখনও সেঁজুতির একটা বাচ্চা ছেলেকে ব্লাড দেওয়ার কথা। সুপারভাইজার কে বলে, সে ৫ টার আগে বেরুলো। শিশির আসতেই তাকে নিয়ে গেল ক্লিনিকে। একটা বাচ্চা ছেলেকে রক্ত দিতে হবে। বাচ্চাটার নাম শান্ত। এরকম করে সে আরো অনেকেই রক্ত দেয়। একসময় তার এই রক্তদানের ঘটনা থেকে এমন কিছু হয় যেখানে তাদের দুজনের জীবনের মোড় বদলে যায়। বইয়ের দ্বিতীয় গল্প হলো আদর। আদর একটা সাত বছরের বাচ্চা ছেলের নাম। সে চোখে দেখতে পায় না। তার পুরো নাম আবিদ রহমান আদর। ফরিদ সাহেব একজন আর্কিটেক্ট। তিনি আদর এর বাবা। আদর এর মা হলো সাবরিনা তিনি লন্ডনে থাকেন। আদর এর চোখের অপারেশান হবে । কিন্তু সে বলেছে, চোখ খুলেই সে তার মাকে দেখতে চায়। কিন্তু সাবরিনা তো কোন যোগাযোগ রাখে নি। এখন কি হবে তাই ভাবছেন ফরিদ। কিন্তু ছেলেকে কথা দেওয়া হয়ে গেছে। এখন কি হবে..? দুইটি আখ্যান মিলে এই একটি বই। সেঁজুতি, তোমার জন্য গল্পের মূল টা সত্য ঘটনা থেকে নেওয়া। দুটো গল্প লেখক ঈদসংখ্যায় বের করেছিলেন। মোস্তফা সারোয়ার ফারুকী এ দুটো গল্প দিয়েই টেলিভিশনের জন্য ছবি বানিয়েছিলেন। গল্প দুটি আবেগীয়। বিশেষ করে আদর গল্পটা বড় বেশি হৃদয়স্পর্শী। শিশিরের রসাত্নক আলাপ আমার বেশ ভালো লেগেছে। সেঁজুতি আর শিশিরের খুনশুটি গুলো ছিলো বেশ। শান্ত নামের পিচ্চি বাচ্চাটাকেও বেশ ভালো লেগেছে। বিশেষ করে সেঁজুতি কে বিয়ে করতে চাওয়া। আর একটা মেয়ের সাথে পরিচয় হয়েছে। তার নাম হলো "ভোর"। অসাধারণ নাম তাই না..? রক্তদানের পর কারো উপকারে আসা টা যে কতটা শান্তির। তা লেখক বেশ ভালো বুঝিয়েছেন। আর সেই সাথে আরো একটা ব্যাপার বুঝিয়েছেন যা থাকলো বইয়ের পাতায়। আনিসুল হক অন্যতম একজন কথা সাহিত্যিক। সাহিত্যের সকল শাখায় তার অবাধ বিচরণ। গদ্যকার্টুন নামে তার কলাম খুবই পাঠকপ্রিয়। তাঁর অন্যতম উপন্যাস "মা" পড়ে সরদার ফজলুল করিম তার দিনলিপিতে বলেন, "আমি বলি দুই মা। ম্যাক্সিম গোর্কির মা আর আনিসুল হকের মা। " রকমারি লিংক https://www.rokomari.com/book/30764/সেঁজুতি,-তোমার-জন্য

      By Rashel

      04 Feb 2017 06:55 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      #রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগীতা। বই- সেজুতী, তোমার জন্য। লেখক- আনিসুল হক। ধরন- রোমান্টিক, জীবনধর্মী। পৃষ্ঠাসংখ্যা- ৬২ প্রকাশনী- প্রধান চরিত্র- সেজুতী, শিশির। সেজুতী। সুন্দরী, হাসিখুশি, পরোপকারী এক তরুণী। শিশির। হাসিখুশি, রসবোধে ভরা সুন্দর মনের এক যুবক। দুজনের দেখা হয় একটি বইমেলায়। সেখান থেকে পরিচয়, প্রেম ও স্বপ্ন রচনা। নিজেদের ছোট্ট পৃথিবী সাজানো নিয়ে যাদের অনেক প্রচেষ্টা। দুজনেই নিজনিজ ক্যারিয়ার সাজানোর জন্যও কাজ করে যাচ্ছে। এরমধ্যেও একে অপরের জন্য ঠিকই সময় বের করে নেয়। একে অপরকে বুঝতে পারে। বুঝতে তাদের মনের অভ্যন্তরে থাকা প্রীয় মানুষটার জন্য ভালোবাসার পরিমান। পরোপকারী সেজুতীর প্রীয় শখ হচ্ছে রক্তদান করা। এ পর্যন্ত বহু মানুষকে সে রক্ত দান করেছে। রক্তদানের কল্যাণে সেজুতীর অনেকের কাছে খুব প্রীয় একজন মানুষ। দেখা যাচ্ছে আর্জেন্ট রক্ত লাগবে কিন্তু পাওয়া যাচ্ছেনা সেসময় সেজুতী ত্রাণকর্তা হিসেবে আসে। তার রক্তদানের কল্যাণে অনেক জীবন আলোর মুখ দেখে। শিশির অবশ্য রক্তদানে আগ্রহী না এবং তাকে সেজুতীর রক্তদানের ব্যাপারে কিছুটা বিরক্তও লাগে। তবুও সে সবসময় সেজুতীর পাশে থাকে। একটা সময় সেজুতী আর শিশির যখন তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের একদম কাছাকাছি তখনই এই রক্তদান নিয়ে একটা ভয়ানক সমস্যা সৃষ্টি হয় যা এলোমেলো করে দেয় সেজুতী ও শিশিরের জীবন। সেজুতীর রক্তে এমন কিছু আছে যা তার সমস্ত রক্তগ্রহীতার শরীরে গিয়েছে এবং তারা সবাই সেজুতীর সাথে মৃত্যুমুখে পতিত হয়েছে। এহেন অবস্থায় মানসিকভাবে বিদ্ধস্ত সেজুতী আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু পাশে থাকে শিশির। নিজের সমস্ত কিছু দিয়ে শিশির সেজুতীর পাশে থাকে। কিন্তু সে কিভাবে পারবে সেজুতীকে বাচাতে? গল্পটা সুন্দর। সাধারন কাহিনীর মধ্যে অসাধারনত্বের ছোয়া সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে। যেহেতু রক্তদানের ব্যাপার তাই যারা পড়েননি তারা হয়তো ভাববেন এইডস রোগ বুঝি রক্তের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লো। রক্তবাহিত রোগের ব্যাপার চিন্তা করলেই স্বাভাবিকভাবেই আমাদের সবার এইডসের কথাই মাথায় আসে। তবে না, এইডস ছাড়াও আরো অনেক সমস্যা আছে যা আপনার জীবনকে নিংড়ে মৃত্যুমুখে ফেলে দিতে পারে। সাদামাটার মধ্যে সুন্দর কাহিনী। শেষদিকটা সাসপেন্সে ভরা। আশা করি সবার ভালো লাগবে পড়তে। রেটিং- ৪.৫০/৫.০০

      By Jannatul Naym Pieal

      01 May 2014 09:35 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      সত্যি বলতে কি, 'সেঁজুতি, তোমার জন্য' উপন্যাসিকাটা পড়ার শুরু থেকে এটি থেকে আমি খুব বেশি কিছু আশা করি নাই। কারণ ইতিহাস নির্ভর উপন্যাস রচনায় আনিসুল হক যতটা মুনশিয়ানা দেখিয়েছেন, তার ছিটেফোঁটাও তার সাধারণ প্রেমের উপন্যাস বা সমকালিন উপন্যাস সমূহে আমি খুঁজে পাইনি। এগুলোকে মধ্যম মানের বেশি আমার কখনোই মনে হয়নি। হালকা গোছের এই লেখাগুলো পড়তে সুখপাঠ্য হলেও কাহিনীর গভীরতা না থাকায় শেষ পর্যন্ত সেগুলো চিত্তগ্রাহী হয়ে উঠতে ব্যর্থ হয়। কিন্তু সেদিক থেকে আলোচ্য উপন্যাসটি একদমই আলাদা। কেননা বইয়ের নাম দেখে এবং ফ্ল্যাপে লেখা কথাগুলো দেখে আমি আন্দাজই করতে পারি নাই যে এই উপন্যাসিকাটায় আসলে কি হতে চলেছে। আমি ভেবেছিলাম এটি নিছকই একটা বর্তমান প্রজন্মের দুই তরুণ তরুণীর প্রেম ভালোবাসার গল্প হতে চলেছে। হ্যাঁ, গল্পের মুখ্য চরিত্র সেঁজুতির রক্তদানের ব্যাপারটি কাহিনীর শুরু থেকেই বিদ্যমান তবু আমি আগে থেকে বুঝি নাই এই রক্তদানের বিষয়টিই একসময় কাহিনীর মোড় ঘুরিয়ে দেবে। উপন্যাসিকার প্রথম অর্ধেক পড়ে খুব বেশি ভাল লাগেনি আমার। আনিসুল হক এত সুন্দর করে লেখেন যে নিতান্ত সাধারণ মানের দৃশ্য ও সংলাপও বেশ ভাল লাগছিল। কিন্তু খুব একটা মন কাড়তে পারছিল না। কাহিনী এগুচ্ছিলও বেশ ঢিমেতালে। কিন্তু সেটা যে আসলে ছিল পরবর্তিকালে যে বিস্ফোরণটি ঘটবে তার প্রস্তুতি, সেটা আমি বুঝেছি অনেক পরে! আর সেই বিস্ফোরণটার পর থেকে উপন্যাসিকার কাহিনীর সাথে এতই জড়িয়ে পড়েছিলাম যে কখন বইয়ের শেষ পৃষ্ঠায় চলে এসেছি তাও টের পাইনি! সেঁজুতি নামের একটা হাসিখুশি মেয়ের কথা বলে হয়েছে এই উপন্যাসে যে অনেক প্রাণোচ্ছ্বল আর হাসিখুশি। নিজের মুখে যেমন সর্বদা হাসি লেগে থাকে, তেমনি সে চায় অন্যের মুখেও হাসি ফোটাতে। তাই মুমূর্ষু রোগিদের রক্ত ডোনেট করাকে সে অভ্যাসে পরিণত করেছে। এবং কাজটা করে প্রচন্ড মানসিক তৃপ্তিও সে লাভ করছে। কিন্তু এই মানসিক তৃপ্তি যে এক সময় অনুশোচনায় রূপ নেবে তা সে ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারেনি। প্রেমিক শিশিরকে নিয়ে যখন সে সবে স্বপ্ন দেখতে শুরু করছে একটা নির্ঝঞ্ঝাট জীবন শুরু করার, ঠিক তখনই ঘটল বিনা মেঘে বজ্রপাত। সেঁজুতি এক বৃদ্ধ কবিকে রক্ত দিতে গিয়ে জানতে পারল সে রক্ত দিতে পারবে না কেননা তার রক্তে নাকি কোন একটা ক্ষতিকর ভাইরাস আছে। বিষয়টাকে প্রথমে খুব একটা পাত্তা দেয়নি সে। যখন দিল, ততদিনে বড্ড দেরি হয়ে গেছে। সেঁজুতি জানতে পারল, তার রক্তে হেপাটাইটিস সি পাওয়া গেছে যার ফলে সে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়েছে এবং একই ঘটনা ঘটবে তাদের সাথেও, যাদের রক্ত ডোনেট করেছিল সেঁজুতি। সুতরাং, শুধু নিজের জীবনাবসানের কথাই শুনল না সেঁজুতি বরং জানতে পারল, সে যাদের রক্ত দিয়েছে এমন অনেকেরও পরিণতি হবে তারই মত। অনেকগুলো তাজা প্রাণ তার জন্যে ঝরে যাবে জানতে পেড়ে প্রচন্ড মানসিক অবসাদ ভর করল সেঁজুতির উপর। সে কি পারবে দুরারোগ্য ব্যাধিকে জয় করতে? আর যে মানসিক সমস্যায় সে জর্জরিত হয়েছে তারও কি অবসান ঘটবে? এমন প্রশ্ন দিয়েই শেষ হয়েছে উপন্যাসিকাটি। একদম বাস্তব একটা সত্যকে গল্পের আঙ্গিকে লেখক তুলে ধরলেও, গল্পের প্রয়োজনে শেষ পর্যন্ত তিনি বাস্তবতা থেকে সরে এসে নিজস্ব কল্পনাপ্রসূত 'হ্যাপি এন্ডিং' ঘটাতে পারেন নাই। কারণ বাস্তবতা যে বড়ই নির্মম! শুধু একটি ফিকশন হিসেবেই উপন্যাসিকাটিকে নেয়া অনেক বড় ভুল হবে। এই উপন্যাসিকার মাধ্যমে যেসব বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন পাঠকের কাছে, সেগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের সচেতনও হতে হবে। উপন্যাসিকায় দেখা যায় সেঁজুতি যখন রক্ত ডোনেট করত সে সময় হাসপাতালে তার রক্তের সাথে রোগীর রক্তের গ্রুপ ম্যাচ করে কিনা শুধু সেটাই পরীক্ষা করা হত। কিন্তু ডোনেটরের রক্তে কোন সমস্যা আছে কিনা তা না দেখায় পরবর্তিতে সেঁজুতির শরীরের রক্ত ছড়িয়ে পড়ে আরও অনেকের শরীরে। এই বিষয়ে আমাদের সকলের সাবধান হতে হবে। কারো রক্ত গ্রহণের সময় যেমন দেখে নিতে হবে তার রক্ত নিরাপদ কিনা তেমনি কাউকে রক্ত দেয়ার সময়ও খেয়াল রাখতে হবে যেসব যন্ত্রের সাহায্যে রক্ত ডোনেট করা হচ্ছে সেগুলো ঝুঁকিমুক্ত কিনা। এসব ব্যাপারে আমরা সাবধান না হলে আমাদের পরিণতিও সেঁজুতি আর তার রক্ত নিয়ে হেপাটাইটিস সি'তে আক্রান্ত হওয়া রোগিদের মত হতে পারে। সুতরাং বলা চলে, 'সেঁজুতি, তোমার জন্য' উপন্যাসিকাটিকে শুধু সাহিত্যিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করাই যথেষ্ট নয় বরং এর মাধ্যমে লেখক সামাজিক সচেতনার্থে আরও বৃহৎ যে বার্তাগুলো দিয়েছেন, সেগুলোকেও গুরুত্বের সাথে গ্রহণ ও বিবেচনা করতে হবে। কেবল তাহলেই 'সেঁজুতি, তোমার জন্য' এর মত অসাধারণ একটি উপন্যাসিকা পাঠের মহিমা আমরা সর্বাঙ্গীনভাবে উপলব্ধি করতে সমর্থ হব।

      By Mutasim Uddin

      30 Apr 2014 02:52 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      আনিসুল হকের লেখা ‘সেঁজুতি, তোমার জন্য’ উপন্যাসিকাটি খুব বেশি ভালো লেগেছে তা বলবো না। আবার একদম খারাপও লাগে নি। তবে আমার কাছে মনে হয়েছে, এই উপন্যাসিকায় অতি নাটকীয়তা করা হয়েছে। সে কারণে কিছু কিছু জায়গায় বাস্তবতাকে খুঁজে পাওয়া দায় হয়ে পড়েছে। ‘সেঁজুতি, তোমার জন্য’ বইটিতে কেন্দ্রীয় চরিত্র সেঁজুতি নামের একটি মেয়ে। সেঁজুতি খুব হাসি-খুশি একটা মেয়ে। গল্পের শুরুতেই দেখানো হয় সেঁজুতি একটা সুপার শপে কানে হেডফোন লাগিয়ে গান শুনতে শুনতে কাজ করছে। সেঁজুতি একটা ছেলেকে ভালোবাসে। ছেলেটির সাথে তার প্রথম পরিচয় বইমেলায়। পরে সে জানতে পারে ছেলেটি বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে কাজ করে। তারপর ধীরে ধীরে তাদের দু’জনের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে উঠে। তারা তখন একটা সুন্দর সংসার, স্বপ্নীল ভবিষ্যতের স্বপ্নে বিভোর। এরই মাঝে সেঁজুতি একটা এনজিওতে বেশ ভালো বেতনের চাকরি পেয়ে যায়। তাদের স্বপ্ন প্রায় সত্যি হয়ে ধরা দেবার দ্বারপ্রান্তে এসে যায়। কিন্তু সমস্যা হয় অন্য জায়গায়। সেঁজুতির আগে থেকেই মানুষকে সাহায্য করার স্বভাব আছে। আর সে ছিল একজন নিয়মিত রক্তদাতা। রক্ত দিয়ে সে অনেক মানুষের জীবন বাঁচিয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করে ধরা পড়ে সেঁজুতির নিজের রক্তেই হেপাটাইটিসের বিষ। মুহূর্তেই সেঁজুতির সব স্বপ্ন হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে। আর সবচেয়ে বড় সমস্যা দেখা দেয় সেঁজুতি যাদের রক্ত দিয়েছে তাদের নিয়ে। সেঁজুতি তো না জেনেই তাদের রক্তে হেপাটাইটিসের বিষ ঢুকিয়ে দিয়েছে। এখন কী হবে? সেঁজুতি পুরোপুরি ভেঙে পড়ে। এমনকি সেঁজুতির মত হাসিখুশি মেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টাও চালায়। শেষ পর্যন্ত সেঁজুতির ভাগ্যে কী ঘটে তা জানার জন্যে পাঠককে ‘সেঁজুতি, তোমার জন্য’ উপন্যাসিকাটি পড়তে হবে। ‘সেঁজুতি, তোমার জন্য’ বইটি খুব ছোট পরিসরের। এক বসাতেই শেষ করার মতন। আগ্রহীরা বইটি পড়বেন আশা করি।

    •  

    Recently Viewed


    Great offers, Direct to your inbox and stay one step ahead.
    • You can pay using


    JOIN US

    icon Download App

    Rokomari.com is now one of the leading e-commerce organizations in Bangladesh. It is indeed the biggest online bookshop or bookstore in Bangladesh that helps you save time and money. You can buy books online with a few clicks or a convenient phone call. With breathtaking discounts and offers you can buy anything from Bangla Upannash or English story books to academic, research or competitive exam books. Superfast cash on delivery service brings the products at your doorstep. Our customer support, return and replacement policies will surely add extra confidence in your online shopping experience. Happy Shopping with Rokomari.com!