User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
সুন্দর একটি বই। অনেক জানতে পেরেছি ঠগীদের সম্পর্কে
Was this review helpful to you?
or
ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাসের জঘন্যতম দস্যু হিসেবে একটি সম্প্রদায়ের নাম আসবে। ইতিহাসে তারা ঠগী নামে পরিচিত। ষোলো এবং সতেরো শতাব্দীতে ভারতের মানুষের জন্য যমের কাজটি করতো এই দস্যুদল। ব্যবসা কিংবা অন্য প্রয়োজনে পথ চলা পথিকদের হত্যা করে তাদের সর্বস্ব লুঠ করাই ছিল এদের পেশা। সারা ভারতের আনাচে কানাচে প্রচুর ঠগী ছিলো। তাদের প্রকৃত সংখ্যা এখনও জানা যায় না। তবে মজার ব্যপার, হিন্দু মুসলিম যে কেউই ঠগী হতো, সে হতো ভবানী তথা কালীর উপাসক। মুসলিম ঠগী নামায পড়তো, আবার ভবানীকে দেবী মনে করতো। এক দুর্ধর্ষ ঠগী সর্দার আমীর আলি। তার বাবা মা ছেলেবেলায় ঠগদের হাতে খুণ হয়। অতঃপর ঠগী ইসমাইল তাকে ছেলে বলে বড় করে তোলে। দিনে দিনেনে আমীর একজন তুখোর ঠগীতে পরিণত হয়। পুরো ঠগী জীবনে সে প্রায় ৭০০ মানুষ হত্যা করে যার বর্ণণা সে দিয়েছে ইংরেজ অফিসারের কাছে। আমিরের জীবন নিয়েই এই বই। মূল বইয়ের তুলনায় অনুবাদ সংক্ষিপ্ত। কিছু জায়গায় খাপছাড়াও মনে হতে বাধ্য। আবার কোন কোন জায়গায় ইংরেজি শব্দের ব্যবহার দৃষ্টিকটু। ঠগীদের সম্পর্কে পূর্বজ্ঞান না থাকলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিভ্রান্তি আসবে। অনুবাদকের আরেকটু যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন ছিল।
Was this review helpful to you?
or
ভারতীয় উপমহাদেশে ১৬-১৭ শতকে ভয়াবহভাবে বিরাজ করা ঠান্ডা মাথার নিষ্ঠুর খুনি, সম্পদ লুন্ঠনকারী, বিকৃত ঠগীদের নিয়ে এই উপন্যাস-মূল চরিত্র আমির আলী। ঘৃণিত এ ঠগী জীবনে ৭০০ বেশি নিরীহ পথচারী-ব্যবসায়ী হত্যায় ধৃত রাজস্বাক্ষী হিসেবে নিজের জীবনের চমকপ্রদ উত্থান, ভয়ানক নিষ্ঠুরতার সরল স্বীকারোক্তি। আমির আলী ঠগী হিসেবে প্রশিক্ষণে অন্যন্য, হিংস্রতার পাশবিকতার অদ্বিতীয়, নিষ্ঠুরতা-ক্ষিপ্রতায় তার সময়ের শ্রেষ্ঠ। নিঃসঙ্গ কারাগারে বন্দী থাকার সময় বৃদ্ধ সঙ্গী ঠগীর নিকট হতে তার আসল পরিচয় জানতে পারে-ইসমাইল,তার পালক পিতা, খুব ছোটবেলায় তার পরিবাকে হত্যা করে সস্পদ লুন্ঠন করে, মাকে হত্যা করে বর্তমানে তার অন্যতম ঠগী সঙ্গী গণেশ। কারাগারে সঙ্গীর নিকট পরিবারের পুরো পরিচয় জানতে পারার পর আত্ম-উপলব্ধি হয় যে, সম্প্রতি সে তার আপন ছোট বোনকে হত্যা করেছে সামান্য একটা "রক্ষাকবজ তাবিজ'' এর লোভে, যা এক অসহনীয় মানসিক যন্ত্রনা আর অশান্তিকে মন বিষিয়ে তোলে-প্রতিশোধের নেশা পেয়ে বসে। ঠগীরা হিন্দু মুসলিম নির্বিশেষে পেশাজীবী হিসেবে কালী দেবী ভবানীতে বিশ্বাস-পূজা করে। কখনো কোন ঠগী ধরা পড়লে মা ভবানী তাকে পরকালে বর দিবে বিবেচনায় অকাতরে অনুশোচনা ছাড়াই জীবন ত্যাগ করে যা এক বিস্ময় কর। আমির আলী ঠগী জীবনে বিপুল সম্পদ ও অন্যন্য সাফল্য লাভ করলেও রাজা বাহাদুরের কাছে তার আসল পরিচয় তারই সঙ্গীদ্বারা ফাস হলে, রাজা তার বাবাকে হাতির পায়ের তলায় পিষ্ঠে হত্যা, তাকে নির্মম অত্যাচার, স্ত্রীর বিহ্বলিত মৃত্যু একমাত্র কন্যার অন্যের আশ্রয়ে চলে যাওয়া, এলাকা থেকে বহিস্কারের পরও তার ঘৃণিত শতকারী ঠগী জীবনের নির্মম পেশা ত্যাগ করতে পারে না। এই উপন্যাসের প্রতি পরতে পরতে আছে প্রতারণা, হত্যা ও লুন্ঠনের লোমহর্ষক কাহিনী। বইটি Confession of a Thug(1839) By Philip Meadows Taylor এর সংক্ষিপ্ত কিন্তু সাবলিল সুখপাঠ্য অনুবাদ।