User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
Frankenstein is a novel that tells the story of Victor Frankenstein, a young scientist who creates a hideous sapient creature in an unorthodox scientific experiment. Frankenstein is written in the form of a frame story that starts with Captain Robert Walton writing letters to his sister. It takes place at an unspecified time in the 18th century. In the story following the letters by Walton, the readers find that Victor Frankenstein creates a monster that brings tragedy to his life.
Was this review helpful to you?
or
কাহিনি সংক্ষেপ ধীরে ধীরে খুলে গেল নিস্তেজ দুটো হলুদ চোখ। হাপরের মত উঠছে নামছে বুক- শ্বাস নিচ্ছে প্রাণীটা। তারপর নড়তে শুরু করলো হাত পা। গবেষণার চূড়ান্ত পরিণতি হিসেবে জন্ম নিল ভয়ঙ্কর এক দানব। হলুদ কোঁচকানো চামড়া, নিষ্প্রভ দৃষ্টি, মুখে বীভৎস বিকৃত হাসি। গবেষকের স্বপ্ন পরিণত হলো ভয়াবহ দুঃস্বপ্নে। . সর্বকালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভয়াল কাহিনী। দুর্বলচিত্তের পড়া বারণ। পাঠ প্রতিক্রিয়া ঠিক একশ আটানব্বই অর্থাৎ প্রায় দুইশ বছর আগে ১৮১৮ সালে প্রথম কল্পবিজ্ঞান হিসেবে স্বীকৃত বইটা প্রকাশ পায়। প্রথম কল্পবিজ্ঞান বইটার লেখিয়ে, একজন লেখিকা, মেরী শেলি। . দুনিয়া কাঁপানো বইটা অনেক দেরিতে পড়েছি। পড়ে আশাহত হয়েছি। যতটা ভালো লাগবে ভেবে শুরু করেছি, লাগেনি। বরং কিছু কিছু বর্ণনা পড়তে খুবই বিরক্ত লেগেছে। সেবা কতটা কাটছাঁট করেছে জানি না, কিন্তু এটুকু শেষ করতেই বিরক্ত লেগেছিল। . কারণ আমি জানতামই না বইটা অনেক আগের লেখা, আর আমি দুইশ বছর পরে এসে পড়েছি। পড়তে বসার আগে ওই চিন্তাটা মাথায় নিয়ে পড়তে শুরু করা উচিৎ ছিল। এমন একটা ক্লাসিক বই আমার ভালো লাগেনি, এটা ভেবেই কেমন যেন লাগছিলো। . যখন জানলাম, এটা দুইশ বছর আগের লেখা প্রথম কল্পবিজ্ঞান, আরেকবার পড়লাম বইটা। . গল্পটা শুরু হয়েছে এক ইংরেজ ক্যাপ্টেনের প্রিয় বোনকে লেখা চিঠির মাধ্যমে। তার জবানিতেই ফ্রাঙ্কেস্টাইনের জনকের দেখা পাই। তারপর সেই গবেষক, ভিক্টর, যিনি ফ্রাঙ্কেস্টাইনের জন্ম দিয়েছেন, তার জবানীতে পুরো কাহিনিটা। যদিও শেষ দিকে ক্যাপ্টেনের ওয়ালটনের কথাতেও ছিল। . আলকেমি, ন্যাচারাল ফিলোসোফি নিয়ে গবেষনা করতে করতে ভিক্টর তৈরি করে ফেলল আট ফুট লম্বা আর সেই অনুপাতে চওড়া এক মানুষ। কিন্তু কঠোর পরিশ্রমের ফল যখন সে পেল, যখন তার হাতে নিষ্প্রাণ জিনিসে প্রাণ সঞ্চার হলো, তখন সে ওটাকে ভয় পেতে শুরু করলো। প্রচন্ড ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে, এমন একটা প্রাণীকে ছেড়ে রেখে সে পালিয়ে গেল। এই ব্যাপারটাই আমার প্রচন্ড অপছন্দ হয়েছে। যখন ওই প্রাণীটার শিক্ষার দরকার ছিল তখন সে ছেড়ে দিয়েছে এমন একটা জায়গায় যে জায়গার সম্পর্কে প্রাণীটার বিন্দু মাত্র ধারণা নেই। স্রষ্টা হিসেবে ভিক্টর তার সৃষ্টির প্রতি কোন দায়িত্বই পালন করেনি। বরং এই অপরিচিত পৃথিবীটায় যখন প্রাণীটা বেরিয়ে গেল তখন সে খুশিতে আচ্ছন্ন হয়ে পড়লো। এখানে বলে রাখা ভালো, ভিক্টরের প্রতি আমার এই রাগটা এসেছে দ্বিতীয়বার পড়ার সময়। প্রথমবারে আমিও ভিক্টরের মতোই ভয় পেয়েছিলাম। . তারপর একে একে ভিক্টরের অনিষ্ট ঘটতে লাগলো। শেষ পর্যন্ত এমন হলো যে ভিক্টরের বেঁচে থাকার কোন উপকরণই বাকি রইল না। . দানবটার জন্যও খারাপ লেগেছে। সে যখন ভিক্টরের কাছে তার দুর্দশার কথা বলছিল, তখন খারাপ লেগেছে। সত্যি বলতে কি, দানবটার মত করুণ অবস্থা সত্যিই আর কারো ছিল না। তার যুক্তিগুলি আমার কাছে অকাট্য মনে হয়েছিল। . আবার ভিক্টরের ভাবনাগুলিও ছিল নির্ভেজাল। কৌতুহলী হয়ে সে এমন এক জিনিস বানিয়েছে, মৃত্যু ছাড়া যেটা থেকে মুক্তি পাবার কোনও উপায় নেই। . অনেক ধ্বংসযজ্ঞ করলেও শেষটায় আবার দানবটার জন্য মায়া লেগেছে। মিশ্র সব অনুভূতি। . যারা এই বইটা এখন পড়বেন, তাদের কাছে অনুরোধ - আপনারা এই ভেবে বইটা পড়তে শুরু করবেন যে বইটা দুইশ বছর আগের লেখা। এখন এটা খুব সাধারণ মনে হলেও সে সময়ে এমন কিছু চিন্তাও করতো না কেউ। ফ্রাঙ্কেস্টাইন তো একটা মিথ।
Was this review helpful to you?
or
মেরি শেলির ‘ফ্রাঙ্কেনস্টাইন’ বইটার কথা অনেক আগেই শুনেছি।কিন্তু পড়া হয়ে উঠছিল না।বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের নতুন উদ্যোগ এর কল্যাণে তা হল।বইটি পরে মানবতার সেই চিরন্তন সত্যটাই যেন আবার উপলব্ধি করলাম।মানুষই পারে এই পৃথিবীটাকে স্বর্গ বানাতে আবার এই মানুষ পারে নরক বানাতে।মানব জাতি যেমন হিটলার দেখেছে তেমনি দেখেছে মাদার তেরেসাকে।মানুষ মানুষের জন্য কতোটা বিভীষিকাময় তা যেমন আমরা দেখেছি হিটলার এর কর্মকাণ্ডে ঠিক এর উল্টোটাও আমাদের দেখিয়েছেন মাদার তেরেসা।এছাড়াও নিঃসঙ্গতার এক বিরূপ দিকও প্রতীয়মান হয়েছে বলে আমার ধারনা।সর্বোপরি,বইটি এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেলার মত বই মনে হয়েছে আমার কাছে।
Was this review helpful to you?
or
একটি সুপাঠ্য, সুনির্ভরযোগ্য সায়েন্স-ফিকশন বইয়ের খুব দরকার ছিল। এক্স-রে, আয়রন-থ্রাস্টার আর জেট-শো এর মত দূর্বোধ্য সব শব্দের ব্যাবহার আমাদের মাথায় যেন এক নতুন সাম্রাজ্যের জন্ম দিত। বেশ কয়েকজন সাই-ফাই বইয়ের নাম শুনলেই দাঁত কিড়মিড়িয়ে উঠে। বর্তমান শতাব্দীতে অনেক পাঠকই তাই ধীরে ধীরে সাই-ফাই বিমুখ হয়ে উঠেছেন। ঊনিশষো চূরানব্বই সালে "মেরী শেলী" নামে এক মহিয়সী 'ফ্রাঙ্কেস্টাইন' নামে একটা সুখপাঠ্য সাই-ফাই বই লিখে গিয়েছেন। প্রেম-দ্রোহ-ঈর্ষা আর ঘৃণার মেলবন্ধনে ঘেরা এই বইটি। মানুষ, নিজের সৃষ্টির কাছেই যে কতটা হেয় আর দূর্বল হতে পারে তার অদ্ভুত দৃষ্টান্ত এই বইটা। বর্তমান-ভবিষ্যৎ সবসময়ই হয়তো ফ্রাঙ্কেস্টাইন নামটা ইতিহাস হয়ে থাকবে। বর্তমান কালের অনেকেরই, ফ্রাঙ্কেস্টাইন নাম শুনলে চোখের সামনে ভাসাতে থাকেন- গলার কাছে সেলাই, দীর্ঘাদেহী আর দু'হাত সমান্তরালে রেখে হাঁটা কোন এক বিভৎস দানব চেহারা। ছোটবেলায় আমিও ভাবতাম। মেরী শেলীর এই বইটা, আমার সম্পূর্ণ ভুল ভেঙ্গে দিয়েছে। বইটা হাতে নেয়ার সময় অদ্ভুত এক অভিজ্ঞতা অনুভব করি। উত্তেজনায় না বহুদিনের কাঙ্খিত বইটা পেয়ে -জানিনা। বইটা পড়ার সময় মাঝে মাঝে চোখ ঝাপসা হয়ে গিয়েছে, মনের অজান্তেই দু'ফোঁটা অশ্রুজল গাল বেঁয়ে নেমে এসেছে। তবে, আর দেরি কেন- বদিউদ্দিন নাজিরের করা রূপান্তরিত এই মাষ্টারপিস-টা একবার চেখেই দেখতে পারেন। বইয়ের নামঃ ফ্রাঙ্কেনস্টাইন লেখকঃ মেরী শেলী রূপান্তরকঃ বদিউদ্দিন নাজির ঘরানাঃ হরর সাই-ফাই রেটিং:- ০৪/০৫ রিভিউ লেখকঃ মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম প্রকাশনীঃ দি ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড (ইউ পি এল)