User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
Overpriced
Was this review helpful to you?
or
আমার পড়া সেরা একটা কাহিনী কাব্য।
Was this review helpful to you?
or
এই বইটাকে যদি অসাধারণ বলি তাও কম হয়ে যাবে।
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নামঃনক্সী কাঁথার মাঠ লেখকঃজসীম উদদীন প্রকাশনীঃপলাশ প্রকাশনী মূল্যঃ১৮৭টাকা জসীম উদ্দীনের "নক্সী কাঁথার মাঠ"কে আবহমান গ্রামবাংলার দর্পন বলা যেতে পারে।পল্লীজীবনের সুখ-দুঃখ,হাসি-কান্না,প্রেম-বিরহ,উৎসব-অনুষ্ঠান,ঝগড়া-মারামারি ইত্যাদি বাংলা সাহিত্যের আর কোথাও আলোচনা করা হয়নি। কবি খুব সুন্দর ও চমৎকার ভাবে গ্রাম্য ছেলে মেয়ের প্রেম কাহিনি তৈরি করেছেন। কোথাও ছন্দের কোনো অমিল নেই;প্রত্যেকটা লাইন একে ওপরের সাথে সমাঞ্জস্যপূর্ণ্য হওয়ার জন্যই যেনো তৈরি হয়েছে। বাঙালী পল্লী জীবনের সমস্ত ভাবধারা এই একটি বইয়ের মাধ্যমেই কবি আমাদের বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন।রুপাই ও সাজুর প্রেম কাহিনি আজও বর্তমান সময়ের সকল প্রেম কাহিনিতে ছাড়িয়ে যাবে।তাঁদের ভালোবাসা বাঙালি জাতির প্রথার মধ্যে এক অনন্য ধরনের পরিচয় পেয়েছে।নকশী কাঁথার মাঠ বাংলা সাহিত্যকে সফলতার চূড়ান্ত পর্যায়ে কিভাবে পৌঁছে দিয়েছিল সেটা উপলব্ধি করতে পেরেছিলাম এবইটি পড়ার পর। আমার জীবনে পড়া সেরা বই এই নক্সী কাঁথার মাঠ।
Was this review helpful to you?
or
Really great!
Was this review helpful to you?
or
নাম ঃ নকশী কাঁথার মাঠ লেখক ঃ পল্লীকবি জসিমউদ্দিন প্রকাশকাল ঃ১৯২৯ প্রকাশনীঃ পলাশ প্রকাশনী মুল্যঃ ১৩২ ধরনঃ কাব্য প্রচ্ছদ ঃ শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন কাহিনী সংক্ষেপঃ এই এক গাঁও, ওই এক গাঁও --- মধ্যে ধু ধু মাঠ, ধান কাউনের লিখন লিখি করছে নিতুই পাঠ | এ-গাঁও যেন ফাঁকা ফাঁকা, হেথায় হোথায় গাছ ; গেঁয়ো চাষীর ঘরগুলি সব দাঁড়ায় তারি পাছ | ও-গাঁয় যেন জমাট বেঁধে বনের কাজল কায়া, ঘরগুলিরে জড়িয়ে ধরে বাড়ায় বনের মায়া । নকশী কাঁথার মাঠ-এর নায়ক রূপাই গাঁয়ের ছেলে, চাষার ছেলে,লাউ এর মত সরু বাহু,কৃষ্ণবর্ন, কাঁধ ছোঁয়া চুল। বহু গুনে গুণান্বিত : ঘর ছাওয়া, বাঁশি বাজানো, দরাজ গলার গান, সব কাজেই তার সমান দক্ষতা একদিন রুপাই এর জীবনে আসে সেলাই এ নিপুণ মেয়ে সাজু, পাশের গ্রামের মেয়ে...। পরিচয়, প্রেম বিয়ে...।। শুরু হয় তাদের সুখের সংসার...... একদিন গ্রামের কাইজ্জা তে অংশ নিতে রপাই ঘর ছাড়ে...............।। সাজুর সাথে বিচ্ছেদ............. একদিন সাজু মারা যায়, মৃত্যুর আগে মা কে দিয়ে যায় এক নকশী কাথা, কি আছে সেই কাথায়? রুপাই ফিরবে?? শুনবে রুপাই এর বাঁশির সুর আর কেউ? পাঠপ্রতিক্রিয়াঃ আসলে রোজার দিনে রিভিউ লেখাটা বোধহয় একটু হলেও কঠিন... তাও লিখলাম “আজো এই গাঁও অঝোরে চাহিয়া ওই গাঁওটির পানে নীরবে বসিয়া কোন্ কথা যেন কহিতেছে কানে কানে।” বই নিয়ে আসলে কি বলব জানিনা, তবে বই টা বেশ ধৈর্য নিয়ে পড়তে হবে, যেহেতু কাব্যিক উপন্যাস, সেহেতু প্রতিটা লাইন বুঝে আগাতে হবে, প্রতিটা লাইন, প্রতি মুহূর্ত কাব্যের আঙ্গিকে প্রকাশ করা খুব কঠিন কাজ... আর সবকিছুর মত সুখের শেষ নাই, সুখ রুপাই সাজুর জীবনে খুব কম দিনের জন্য এসেছিল, বেশ কিছু বাস্তব ঘটনার আলোকে রচিত উপন্যাস এটি... সবার বইটি ভালো লাগা উচিৎ , তবে ভাল লাগার জন্য বুঝে পড়তে হবে। মন খারাপ করে দেবে, চোখে পানি চলে আসাটা অস্বাভাবিক না, না পড়লে পড়ে ফেলুন। রেটিং ঃ ৫/৫
Was this review helpful to you?
or
"নক্সী কাঁথার মাঠ" বাংলা কাব্যের আকাশে উজ্জ্বল নক্ষত্র কবি জসীম উদদীন কর্তৃক রচিত।জসীম উদদীনের কাব্যের মূল উপপাদ্যই হলো পল্লী জীবন, তাই তাকে বলা হয় পল্লী কবি। এই কবিতাও তার ব্যতিক্রম নয়।পল্লীবাসী এক জোড়া নর- নারীর প্রেম, পরিণয়, বিরহের কাহিনী নিয়ে লেখা কাহিনী কাব্যটি কবিকে দিয়েছে বিশ্বজোড়া খ্যাতি। বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে বইটি, সাহিত্য বোদ্ধাদের থেকে কুড়িয়েছে প্রশংসা। "নক্সী কাঁথার মাঠ" কাব্যের মূল কাহিনী আবর্তিত হয়েছে কৃষাণের ছেলে রূপাই আর পাশের গ্রামের মেয়ে সোনাকে কেন্দ্র করে। সোনার ডাক নাম ছিল সাজু। রূপবতী, গুণবতী সাজুর প্রেমে পড়ে গ্রাম-সেরা ছেলে রূপা। সাজুকে একবার দেখার আশায় নানান ছুতায় তার বাড়ির আশেপাশে যায় রূপা, দূর সম্পর্কের আত্মীয়তার সূত্র ধরে দেয় এটা সেটা উপহার। গ্রামের মানুষের দৃষ্টি এড়ায় না কিছু, গ্রাম্য সমালোচনার মুখে দূরত্ব বাড়ে দুজনের মাঝে। পরে পরিবারের সমঝোতায় বিয়ে হয়, বিরহের বদলে আসে সুখের ক্ষণ। এর মধ্যেই জমিজমা নিয়ে গ্রাম্য মারামারিতে জড়িয়ে যায় রূপা। খুনের দায়ে হয় ফেরারি। দিন, মাস, বছর পেরিয়ে বিরহী সাজু মারা যায়, তার আগে সুঁচের খোঁচায় এঁকে যায় তার কাব্যগাঁথা নকশি কাঁথায়। অনেক দিন পর সাজুর কবরের পাশে নকশি কাঁথা জড়ানো একজন মৃত মানুষ পরে থাকতে দেখে গ্রামবাসী, বুঝতে পারে রূপা এসেছিল তার সাজুর কাছে।এ কাব্যে কবি গ্রামীণ জীবনের নানা অনুসঙ্গের জীবন্ত চিত্র এঁকেছেন। অনাবৃষ্টির গান, বদনা বিয়ের আয়োজন, বিয়েতে ঘটকের ভূমিকা, ছোট বিষয় নিয়ে বিয়ে বাড়ির বিবাদ, ফসল ঘরে তোলার কাজের ব্যস্ততা, জমিজমা নিয়ে বিবাদ- সংঘাত এর সবই গ্রাম্য জীবনের প্রাত্যেহিক চিত্র। সেই সাথে নকশি কাঁথা, আল্পনা আঁকা, লাঠি লেখা, বাঁশি বাজানোর মতো ঐতিহ্যে কথাও তুলে ধরেছেন কবিতায়। এ কাহিনীর স্পর্শকাতরতা আর উপস্থাপনের নৈপুণ্য সহজেই পাঠককে আটকে রাখবে বইয়ের পাতায়। কবিতা পড়াতে যাদের খুব একটা আগ্রহ নাই তারাও এই বইটা শেষ না করে রাখতে পারবেন না সহজে।তাই দেরি না করে এখনই একবার বইটি পড়ে দেখুন।
Was this review helpful to you?
or
কাহিনী সংক্ষেপ: নকশী কাঁথার মাঠ জসীম উদ্দীনের এক অনবদ্য সৃষ্টি, দুইটি গ্রাম্য ছেলে মেয়ের ভালোবাসার কাহিনী। ১৪ টি ছোট ছোট দৃশ্যপটে এই কাব্যচিত্রে কবি নিপুন ভাবে বর্ণনা করছেন গ্রাম বাংলার অপার সৌন্দর্যরূপ। পাশাপাশি দুটি গ্রাম একটা মাঠ দিয়ে অালাদা করা হয়েছে, কালক্রমে সেই মাঠটিই 'নক্সী-কাঁথার মাঠ' নামে পরিচিতি পায়। রূপা অার সাজু দুই গ্রামের দু'জন। তাদের রূপ বর্ণনা করতে গিয়ে কবি বলেন রূপা চাষার ছেলে, দেখতে কালো হলেও সে যেন গ্রামটিকে অালো করে রেখেছে। এছাড়া লাঠি খেলায় তার জুড়ি মেলা ভার। অপরদিকে নায়িকা সাজু অসম্ভব রূপসী, গাঁয়ের লক্ষ্মী মেয়ে, হাঁটার সময় লাল মোরগের পাখার মতো তার শাড়ি ওড়ে। তাদের দুষ্ট-মিষ্টি প্রেমের লুকোচুরি অার প্রণয়ের কাহিনী বর্ণনা করেছেন এর পরের কয়েক দৃশ্যে। রূপার মিষ্টি বাশীঁর সুরে লাজুক রাঙা সাজুর মুখে যেন হাসি গলে পড়ে। কিন্তু এ সুখ যে বড়ই ক্ষণস্থায়ী। জমি নিয়ে গ্রামে দাঙ্গা-হাঙ্গামা হলে লাঠিয়াল রূপা তার নেতৃত্ব দেয়, ঘটনাচক্রে খুনের দায় পরে রূপাইয়ের উপর। অসহায় রূপা তার সুন্দরী স্ত্রী সাজুকে একা ঘরে রেখে তাই অাত্মগোপন করে কেননা পুলিশের কাছে ধরা পরলে তার ফাঁসি হয়ে যেতে পারে। নিঃসঙ্গ সাজু বছরভরে নিপুন হাতের কাজে ফুটিয়ে তোলে মাঠ সংলগ্ন তাদের বাড়ি অার তাদের প্রেম-বিরহের করুনরস কাহিনীর নকশী কাঁথা। কাঁথার বুনোন শেষ হলে সাজু তার মাকে বলে যায় তার মৃত্যুর পর যেন তার কবরের উপর নকশী কাঁথাটা বিছিয়ে দেয়া হয় যাতে রূপা ফিরে অাসলে তার কবর দেখতে পায়। এভাবে সাজুর মৃত্যুর পর অনেকদিন চলে যায়, গ্রামের মানুষও রূপাকে ভুলে যায়। বেশ কিছুদিন পরে একরাতে গ্রামবাসী করুন বাঁশীর সুর শুনতে পায়, সকাল বেলা এসে দেখে রোগামতন এক বিদেশী মরে পরে অাছে। নিজস্ব মতামত: পাঠ্যবইয়ে রূপাই নামে সংক্ষেপিত অাকারে নকশি কাঁথার মাঠ কাব্যগ্রন্থের একটা অংশ পড়া ছিল। এরপর অাগ্রহ থাকলেও সে বয়সে কেন জানি ভালো লাগে নি বইটা। এই এতদিন পরে এসে মনে হলো কী ভুলটাই না করতাম যদি না দ্বিতীয়বার বইটা হাতে নিতাম। এত সুন্দর রূপ বৈচিত্র অার কাহিনীকাব্য যেন মনে হচ্ছিল সাজু, রূপাইয়ের সাথে অামি সে গ্রামের একজন। বর্ণনাগুলো এতটাই জীবন্ত ছিল যে, একবারের জন্যও মনে হয়নি কবিতার বই পড়ছি। মনে হচ্ছিল যেন সুন্দর কোন উপন্যাস পড়তেছি। বই পড়া শেষ হলে অারো একটু জানার জন্য গুগল মামার কাছে গেলাম। অবাক করার মত বিষয় হচ্ছে রূপা, সাজুর বাস্তব চরিত্র অবলম্বনেই এ কবিতা লেখা কবির। ফরিদপুরের কবির বাড়ি দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল অামার, এখন অাবার রূপা, সাজুর সেই গ্রামখানি দেখার স্বাদ মনের কোনে উঁকি দিচ্ছে। কবিতা অপ্রিয় লোকেরাও বইটা পড়তে পারেন। খুবই সুখপাঠ্য হবে বলে অামার মনে হয়।