User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
বই: জার্মানির কিল শহরে লেখিকা: বেগম মমতাজ জসীমউদ্দীন প্রকাশক: পলাশ প্রকাশনী পৃষ্ঠা সংখ্যা: ৪০ মূল রিভিউ: বেগম মমতাজ জসীমউদ্দীনকে তো সবাই চেনেন। পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের অর্ধাঙ্গিনী। জীবনে প্রথমবারের মত জার্মানীতে যাত্রা নিয়ে লেখা জার্মানীর কিল শহরে৷ বইটিতে ছোট ছোট অংশে ভাগ করে কাহিনির বর্ণনা দিয়েছেন লেখিকা। জার্মানীতে তার সফরের মূল কারণ আদরের দুই নাতি আমিন ও আরিফ৷ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ শুরুর আগেই আমিন ও আরিফ পূর্ব পাকিস্তান থেকে জার্মানিতে পাড়ি জমায় তাদের মা-বাবার সাথে। সেখানেই তারা নতুন জীবন শুরু করে। কিন্তু বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর তারা আর বাংলাদেশে আসার সুযোগ পায়নি। এদিকে লেখিকা আদরের দুই নাতিকে দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন। অবশেষে সেই মোক্ষম সুযোগ পেয়েও যান। লেখিকার বড় মেয়ে হাস্না জার্মানীতে যাওয়ার জন্য তাকে টিকিট কেটে দেন। অবশেষে লেখিকা নাতিদের কাছে পাওয়ার সুযোগ পান। ইরান, ইস্তাম্বুল হয়ে অবশেষে জার্মানীর মাটিতে পা ফেলেন। আমিন, আরিফ বহুদিন পর দাদীকে কাছে পায়। তাদের কাছে তাদের দাদী "আম্মা"। কারণ তাদের বাবা দাদীকে আম্মা বলে ডাকেন তাই লেখিকা তাদেরও আম্মা। দুই নাতি আর ছেলের শ্বশুরবাড়ির সাথে কবির সাথেও দেখা হয় তার। কবি অসুস্থ তাই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। একদিন সাগরপাড়ে কবির সাথে লেখিকা ঘুরতে যান। কবির সাথে লেখিকাকে দেখে একজন জানতে চান লেখিকা ভারতীয় নাকি। তিনি হেসে উত্তর দেন তিনি বাংলাদেশী৷ এরপর কবিকে দেখিয়ে আরেকজন জিজ্ঞেস করেন তিনি আফ্রিকান নাকি। এই অংশটুকু পড়ার সময় অনেক হেসেছি৷ এখানে উল্লেখ্য, লেখিকা দেখতে খুব সুন্দরী ছিলেন। আর লেখক জসীমউদ্দীনের গায়ের রঙ কালো ছিল। এজন্যই সমুদ্রের ধারে ঘুরতে গেলে সেখানকার মেয়েরা তাদের এসব প্রশ্ন করে। আর কবি-কবিপত্নীর অনেক ছবি গুগলে সার্চ করলে পেয়ে যাবেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশকে নিয়ে সবাই নতুন স্বপ্ন বুনেছে। লেখিকাও তেমন স্বপ্ন দেখেন। সাথে কিছু আফসোসও তুলে ধরেছেন বইটিতে। যেমন এক জায়গায় দেখা যায় জার্মানীতে বরফ (স্নো ফল) পড়ার সময়েও জার্মানী শ্রমিকরা কোনোরকম বিরক্তি ছাড়াই কাজ করছে। ট্রেন, বাসে যাত্রী না থাকলেও দায়িত্বরত ব্যক্তিরা ঠিকই দায়িত্ব পালন করছে। বাড়ির মহিলারাও স্নো ফলের সময় বাড়ির বাইরে বাচ্চাদের শরীর, হাত মুখ ঢেকে বাইরে নিয়ে আসে। ছোট ছোট বাচ্চারা তীব্র শীত উপেক্ষা করে বাড়ির সামনে রাস্তায় সার ধরে হেঁটে হেঁটে স্কুলে যায়। আমিনকে তীব্র শীতে একা একা স্কুলে যেতে দেখে লেখিকা কাঁদেন৷ তখন তার ছেলে বাঁসু তাকে বুঝান এই প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকার জন্য জার্মানরা ছোটবেলা থেকেই কঠোর পরিশ্রম করে। এজন্যই এই জাতি এত উন্নত। লেখিকাও চোখের পানি মুছে মনকে শক্ত করেন, আমিন-আরিফের জন্য মন থেকে দোয়া করেন। অবশেষে বিদায়বেলার বর্ণনা দিয়ে লেখিকা লেখনীর সমাপ্তি টানেন। ব্যক্তিগত মতামত: পুরো বইটি চাইলেই এক বসায় শেষ করা যায়। অল্প সময়ে পড়ার জন্য চমৎকার একটি বই। যাদের ভ্রমণকাহিনি ভালো লাগে তারা চাইলে সংগ্রহে রাখতে পারেন।
Was this review helpful to you?
or
সেরা
Was this review helpful to you?
or
ভাল