User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
Very Good.
Was this review helpful to you?
or
Owesome
Was this review helpful to you?
or
nice
Was this review helpful to you?
or
.
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বইয়ের নাম-রাখালী জনরা-কবিতা কবি-জসীম উদ্ দীন পৃষ্ঠা-৬৮ মূল্য-৮০ "রাখালী" জসীম উদ্ দীনয়ের প্রথম কাব্যগ্রন্থ। ছাত্রাবস্থাতেই এই কাব্য রচিত। কবির তরুন বয়সের লেখা কবিতাগুলো এই কাব্যে রয়েছে। বইটি ১৯২৭ সালে প্রকাশিত। যদিও সূচনালগ্নের কাব্য তবুও কবির সাহিত্যিকর্মে এই কাব্য গুরুত্বপূর্ণ এক স্থান দখল করে আছে। এ কাব্যের জন্য আবুল ফজল তাঁকে "পল্লীর কবি প্রতিনিধি" রূপে চিহ্নিত করেছেন। বইটিতে ১৯টি কবিতা আছে এর মধ্য "কবর" কবিতাটি বেশ জনপ্রিয় হয়। ২টি কবিতা গান এর সুরে গান হিসেবে প্রচলিত। এর মধ্যে পাঁচটি রাখালিয়া ভাষায় রচিত কবিতা। বাঙালির স্বভাবের ভাষায় রচিত গানগুলোর মধ্যে পল্লী নরনারীর প্রাণের পরিচয় পাওয়া যায়। তাছাড়া কবিতায় পল্লীর বাস্তবতা, মৃত্যুর দৃশ্য, প্রেমের চিত্র, সাংসারিক চরিত্র ফুটে উঠেছে। "রাখালী" কাব্যের প্রথম এবং নাম কবিতা "রাখালী"। এক পল্লী কিশোর ও পল্লী কিশোরীর ব্যর্থ প্রেমের কাহিনী এখানে বর্ণিত। "সেই মেয়েটির চলা পথে সেই মেয়েটির গাঙের ঘাটে, একলা রাখাল বাজায় বাঁশী ব্যথায় ভরা গাঁয়ের বাটে।" "সিঁদুরে বেসাতি" কবিতায় ভিনদেশি এক সিঁদুর বিক্রেতা বেনে শাখা সিঁদুর নথ বিক্রির ছলে গ্রামপ প্রবেশ করে এক কিশোরীর মন কেড়ে নিয়েছে। সেই কিশোরী বেনের আশায় পথ পানে চেয়ে আছে। সিঁদুরের বেসাতি মূলত মেয়েলী সুরে বিরহের গান। "বৈদেশী বন্ধু " এই কবিতায় অন্যগ্রাম থেকে আসা এক চাষা যুবক ধান কাটার সময় ধান কাটতে আসে। এই গ্রামের এক নারী তাকে ভালোবেসে ফেলে। ধান কাটা শেষ হলে যুবক চলে যেতে চাইলে তার কাছে বিনীত অনুরোধ করছে দেশে ফিরে গিয়ে সে যেন তাকে ভুলে না যায়। "রাখাল ছেলে" কবিতায় কবি গেঁয়ো মাঠ ধরে হেটে ফিরা রাখাল ছেলেকে তুলে ধরেছেন। "খেলা মোদের গান গাওয়া ভাই, খেলা লাঙল চষা সারাটা দিন খেলতে জানি জানিইনেক বসা।" "কবর" জসীমউদদীনের অন্যতম কবিতা। এক স্বজনহারা পল্লী বৃদ্ধের দুঃসহ বেদনা উত্থিত হয়েছে। গ্রামীন বৃদ্ধ তার একমাত্র জীবিত পৌত্রের কাছে তার স্ত্রী, কন্যা, পুত্র, পুত্রবধু, পৌত্রীর অকাল মৃত্যুর কাহিনী বর্ণনা করছে। জসীমউদদীনের বিশেষ নৈপুণ্যে কবর কবিতায় লোকজ উপাদানে বৃদ্ধের ব্যক্তিজীবনের বেদনাকে সার্বজনীনতা পেয়েছে। "জোড়হাতে দাদু মোনাজাত করি,"আয় খোদা!রহমান, ভেস্ত নাজেল করিও সকল মৃত্যু-ব্যথিত-প্রাণ!"
Was this review helpful to you?
or
"রাখালী"জসীম উদ্দীনের প্রথম কাব্যগ্রন্থ হলেও এটি তাঁর সাহিত্যকর্মগুলোর মধ্যে এক মাইলফলক।এর মধ্য দিয়েই ধ্বনিত হয়েছিল "নক্সী কাঁথার মাঠ" আর "সোজন বাদিয়ার ঘাট" এর মত পল্লী প্রেমগাথার আগমনী গান। এ কাব্যের জন্য আবুল ফজল তাঁকে "পল্লী কবি প্রতিনিধি" উপাধি দেন।নাগরিকতার সর্বগ্রাসী প্রভাবের কবল থেকে পল্লীর অবহেলিত জীবনের প্রানস্পন্দনকে ব্যাকুল মাতৃহৃদয়ের মমত্ব দিয়ে তিনি আপন কাব্যে তুলে ধরার প্রয়াস পেয়েছেন। রাখালীর মোট ১৮টি কাব্যের ৫টি রাখালিয়া ভাষায় রচিত গ্রাম্য গান।কিন্তু তাঁর এই গ্রাম্য গান নগরবাসীকেও সমান পরিতৃপ্ত করে।গ্রাম্য জীবনকে উপজীব্য করলেও তিনি গ্রাম্য কবিদের মত অমার্জিত ভাষা বা অপূর্ণাঙ্গ ছন্দ ব্যবহার করেননি। আরবি-ফার্সি শব্দ,লোকজ শব্দ,আঞ্চলিক শব্দ ইত্যাদি ব্যবহারের মাধ্যমে তিনি গ্রামীণ জীবনের প্রেম-ভালোবাসা,রীতি-নীতি,কুসংস্কারসহ অন্যান্য অনুষঙ্গগুলোকে নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। মূলত রাখালি কাব্যে মৃত্তিকা ঘনিষ্ঠ অলংকার ব্যতীত অন্য কিছু নেই,কিন্তু এতে যা আছে তা নির্ভেজাল ও অমূল্য।এভাবেই কবি কব্যটিকে সৌন্দর্যমন্ডিত করে তুলেছেন।