User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
Well
Was this review helpful to you?
or
২০১৮ সালে প্রথম পড়ি।
Was this review helpful to you?
or
অামার পড়া অসাধারণ জসিমউদদীন!
Was this review helpful to you?
or
nice
Was this review helpful to you?
or
Good
Was this review helpful to you?
or
boi ta valo.
Was this review helpful to you?
or
নকশী কাঁথার মাঠ জসীমউদ্দিনের লেখা সেরা বইগুলোর একটি।কবিতার মাধ্যমে একটি গল্প উপস্থাপন করার অনন্য কৌশল দেখিয়েছেন তিনি।বইটি পড়লে অন্তত কবিতার উপর আগ্রহ তৈরি হতে বাধ্য।বাংলা সাহিত্যের কালজয়ী গদ্যগ্রন্থ গুলোর মধ্যে উপরের সারিতে থাকবে বইটি।মূলত এই বইটি জসীমউদ্দিনের খ্যাতি বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়।আশা রাখি, বইটি পাঠকের কাছে সমাদৃত হবে
Was this review helpful to you?
or
বাংলা কবিতা সম্পর্কে মোটামুটি ধারনা রাখেন কিন্তু জসীম উদ্দিনের নকশী কাঁথার মাঠ সম্পর্কে জানেন না এমন মানুষ পাওয়া দুষ্কর। নকশী কাঁথার মাঠ অনেকটা নাট্য কাব্যের মতো। দুটো গ্রাম্য কিশোর-কিশোরী রুপাই সাজুর প্রেম আলেখ্য নকশী কাঁথার মাঠ কাব্যটি। সহজ ভাষায় লেখা। যে কেউ পড়তে পারেন। আর এই বইটার শেষে দীনেশচন্দ্র সেনের আলোচনা আছে। একে তো তিনি লোক-গবেষক, তার উপর এ কাব্যটি লোক কাব্য। তার এ আলোচনা ছাত্রদের জন্য কাজে আসবে।
Was this review helpful to you?
or
পল্লীকবি জসীমউদ্দিন রচিত নকশী কাঁথার মাঠ অসাধারণ একটা বই। বলা যায়, কবিতায় গল্প। কবিতার চরণে বয়ে যায় জীবনের গল্প। গল্পগুলো নদীর মতোই বহমান। চিরায়ত গ্রাম বাংলার অতি পরিচিত গল্পগুলো এখানে ভিন্ন আঙ্গিকে তুলে ধরেছেন তিনি।
Was this review helpful to you?
or
বাংলা সাহিত্যের তথা বিশ্ব-সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ পল্লীকবি জসীম উদদীন আমাদের আবহমান গ্রাম-বাংলার কালজয়ী রূপকার I গ্রামবাংলার রূপরেখা - সংস্কৃতি - ঐতিহ্য তাঁর সৃষ্টিকর্মে দারুণভাবে প্রতিকায়িত হয়েছে Iআধুনিক কবিদের অনেকেই তাদের রচনায় এই ঐতিহ্যকে ব্যবহার করেছেন Iএই প্রসঙ্গে এলিয়ট থেকে শুরু করে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পর্যন্ত আমরা অনেকেরই নাম উচ্চারণ করতে পারি I জসীম উদদীনের বাল্য , কৈশোর ও যৌবনের অনেকটাই কেটেছে পল্লীর লীলাতলে , সেখানকার মাঠে-ঘাটে,নদী-তীরে , বালুচরে সাধারণ মানুষের মধ্যে Iজন্মসূত্রে পল্লীর প্রকৃতির সাথে তাঁর এই যোগ পরবর্তীকালে বিশেষ বিশেষ কর্মসূত্রে আরও অন্তরঙ্গ এবং গভীর হওয়ার সুযোগ পেয়েছিল I এই পল্লীর চিরায়ত শ্যামল-সুষমা তাঁর লেখক সত্তা এবং মানসে প্রতিফলিত I বাংলা সাহিত্যের অঙ্গনে তুমুল জনপ্রিয় একটি গাথা-কাব্য হলো "নক্সী কাঁথার মাঠ" I ১৯২৯ সালে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভূমিকাসহ "নক্সী কাঁথার মাঠ" কাব্যটি প্রথম প্রকাশিত হয় Iপল্লীর পটভূমিতে রচিত দুটি গ্রাম্য ছেলেমেয়ের প্রেমের উন্মেষ , বিকাশ ও বিষাদজনক পরিণতির চিত্র এঁকেছেন এই কাব্যে I"নক্সী কাঁথার মাঠ" কাব্যে একটি সম্পূর্ণ পল্লী- জীবন ভাষ্যরূপে এক সুডৌল কাহিনিতে পরিণতি লাভ করেছে I এই গ্রন্থের প্রথম অংশে আছে চাষীর ছেলে রূপাই এবং পাশের গ্রামের মেয়ে সাজুর প্রথম পরিচয় থেকে তাদের অনুরাগের বিকাশ ও বিবাহ এবং কয়েকমাসের সুখময় দাম্পত্য জীবনের কথা I আর দ্বিতীয় অংশের বিষয় তাদের "বিচ্ছেদ" I গ্রামীণ জীবনের মাধুর্য ও কারুণ্য ,সামাজিক আবেষ্টনী এবং মানুষের অসহায়ত্ব এই কাব্যের মূল উপকরণ I কবি দেখিয়েছেন স্নেহ-প্রেমে ,ভালোবাসা-বর্বরতার সংমিশ্রনে অঙ্কিত এক অদ্ভুত জীবন যা পল্লীর ঘরে ঘরে যুগ-যুগান্তর ধরে প্রবাহিত Iসেখানে প্রেমে পড়ে মানুষ স্বপ্নের ঘর বাঁধে আবার দাঙ্গা-হাঙ্গামার যাঁতাকলে পিষ্ট হয়ে সোনার সংসার গুঁড়িয়ে যায় I দুটি গ্রাম্য ছেলে-মেয়ের কাহিনি অবলম্বনে অঙ্কিত এই কাব্য-চিত্রে ১৪ টি ছোট ছোট দৃশ্যপটে পূর্ণতা পেয়েছে I প্রথম অঙ্কে আমরা দুটি গ্রামকে বিভক্ত করা "নক্সী কাঁথার মাঠ" প্রসঙ্গে জানতে পারি I দ্বিতীয় অঙ্কে কাব্যের নায়ক পল্লী কিশোর রূপার একটি সজীব চিত্র এঁকেছেন কবি - "কালো যে জন আলোকণায় ভুলায় সবার মন তারি পদরজের লাগি লুটায় বৃন্দাবন I" এখানে উল্লেখ করা আবশ্যক,আবহমানকাল থেকে হিন্দু পুরাণে কৃষ্ণ যেভাবে গ্রামের হিন্দু-মুসলমানদের মধ্যে উপস্থাপিত সেই কৃষ্ণ বা কানাই এই কাব্যের নায়ক "রূপাই" এর ছদ্মবেশে আবির্ভুত Iযেমন : "জনম কালো,মরণ কালো,কালো ভুবনময় চাষীদের ঐ কালো ছেলে সব করেছে জয় I" শুধু নায়কই নয় ,তাঁর সৃষ্ট নায়িকার রূপ-বর্ণনাতেও লৌকিক উপাখ্যানের নায়িকা শ্রীরাধিকা ছায়া ফেলেছেI যাইহোক , তৃতীয় অঙ্কে আমরা নায়িকা সাজুর উপস্থিতি টের পাই এবং এরপরের কয়েক অঙ্ক জুড়ে রূপাই এবং সাজুর প্রেমের আলো-আঁধারি রূপ প্রকাশ পেয়েছে Iপরবর্তীতে তাদের প্রেম পরিণয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছতে সক্ষম হয় Iকবি তাদের বিয়ের আসরের যে বর্ণনা দিয়েছেন তা বেশ জমকালো হলেও তাতে বাস্তবের পরিপূর্ণ স্বীকৃতি আছে I একাদশ অঙ্কে জমিজমা বিষয়ক দাঙ্গা-হাঙ্গামার চিত্র রূপায়িত হয়েছে Iদ্বাদশ অঙ্কে দাঙ্গা-হাঙ্গামার অবাঞ্ছিত পরিণাম হিসেবে কেমন করে রূপাই ও সাজুর জীবনে বিচ্ছেদের কালো পর্দা নেমে আসে তাই কবি দরদ দিয়ে প্রকাশ করেছেন I মূলত ত্রয়োদশ অঙ্কে কাহিনি সমাপ্তির পথে অগ্রসর হয় Iরূপাইয়ের অপেক্ষায় দিন গোনা সাজুর কাছে রূপাই আর ফেরত আসে না Iতাই গ্রামবাসী সাজুকে তার মায়ের কাছে রেখে যায় Iসময় কাটানোর জন্য সাজু যে নক্সী কাঁথা বুনতে শুরু করেছিল সেটা নিয়ে বসে আর পুরনো দিনের স্মৃতি রোমন্থন করে I এভাবেই ধীরে ধীরে শরীর রোগা হতে হতে পাণ্ডুর হয় এবং শেষ শয্যায় ঢলে পড়ে সাজু I পরিশেষে বলবো , মৃত্যুর মধ্য দিয়ে অভিশপ্ত দুটি প্রাণ প্রেমেরই জন্য যেন প্রায়শ্চিত্ত করেছে Iনক্সী কাঁথার ফোঁড়ে সেই বেদনার্ত কাহিনিই বিধৃত হয়েছে I
Was this review helpful to you?
or
It was a great experience and Thank you Rokomari for quick handover .
Was this review helpful to you?
or
Really great!
Was this review helpful to you?
or
বই: নক্সী কাঁথার মাঠ জনরা: কাব্যগ্রন্থ লেখক: জসীম উদ্দীন প্রকাশনী: পলাশ প্রকাশ কাল: বিংশ প্রকাশ ২০১৩ পৃষ্ঠা: ৯৬ প্রচ্ছদ: জয়নুল আবেদিন কাহিনী সংক্ষেপ: নকশী কাঁথার মাঠ জসীম উদ্দীনের এক অনবদ্য সৃষ্টি, দুইটি গ্রাম্য ছেলে মেয়ের ভালোবাসার কাহিনী। ১৪ টি ছোট ছোট দৃশ্যপটে এই কাব্যচিত্রে কবি নিপুন ভাবে বর্ণনা করছেন গ্রাম বাংলার অপার সৌন্দর্যরূপ। পাশাপাশি দুটি গ্রাম একটা মাঠ দিয়ে আলাদা করা হয়েছে, কালক্রমে সেই মাঠটিই 'নক্সী-কাঁথার মাঠ' নামে পরিচিতি পায়। রূপা আর সাজু দুই গ্রামের দু'জন। তাদের রূপ বর্ণনা করতে গিয়ে কবি বলেন রূপা চাষার ছেলে, দেখতে কালো হলেও সে যেন গ্রামটিকে আলো করে রেখেছে। এছাড়া লাঠি খেলায় তার জুড়ি মেলা ভার। অপরদিকে নায়িকা সাজু অসম্ভব রূপসী, গাঁয়ের লক্ষ্মী মেয়ে, হাঁটার সময় লাল মোরগের পাখার মতো তার শাড়ি ওড়ে। তাদের দুষ্ট-মিষ্টি প্রেমের লুকোচুরি আর প্রণয়ের কাহিনী বর্ণনা করেছেন এর পরের কয়েক দৃশ্যে। রূপার মিষ্টি বাশীঁর সুরে লাজুক রাঙা সাজুর মুখে যেন হাসি গলে পড়ে। কিন্তু এ সুখ যে বড়ই ক্ষণস্থায়ী। জমি নিয়ে গ্রামে দাঙ্গা-হাঙ্গামা হলে লাঠিয়াল রূপা তার নেতৃত্ব দেয়, ঘটনাচক্রে খুনের দায় পরে রূপাইয়ের উপর। অসহায় রূপা তার সুন্দরী স্ত্রী সাজুকে একা ঘরে রেখে তাই আত্মগোপন করে কেননা পুলিশের কাছে ধরা পরলে তার ফাঁসি হয়ে যেতে পারে। নিঃসঙ্গ সাজু বছরভরে নিপুন হাতের কাজে ফুটিয়ে তোলে মাঠ সংলগ্ন তাদের বাড়ি আর তাদের প্রেম-বিরহের করুনরস কাহিনীর নকশী কাঁথা। কাঁথার বুনোন শেষ হলে সাজু তার মাকে বলে যায় তার মৃত্যুর পর যেন তার কবরের উপর নকশী কাঁথাটা বিছিয়ে দেয়া হয় যাতে রূপা ফিরে আসলে তার কবর দেখতে পায়। এভাবে সাজুর মৃত্যুর পর অনেকদিন চলে যায়, গ্রামের মানুষও রূপাকে ভুলে যায়। বেশ কিছুদিন পরে একরাতে গ্রামবাসী করুন বাঁশীর সুর শুনতে পায়, সকাল বেলা এসে দেখে রোগামতন এক বিদেশী মরে পরে আছে। নিজস্ব মতামত: পাঠ্যবইয়ে রূপাই নামে সংক্ষেপিত আকারে নকশি কাঁথার মাঠ কাব্যগ্রন্থের একটা অংশ পড়া ছিল। এরপর আগ্রহ থাকলেও সে বয়সে কেন জানি ভালো লাগে নি বইটা। এই এতদিন পরে এসে মনে হলো কী ভুলটাই না করতাম যদি না দ্বিতীয়বার বইটা হাতে নিতাম। এত সুন্দর রূপ বৈচিত্র আর কাহিনীকাব্য যেন মনে হচ্ছিল সাজু, রূপাইয়ের সাথে আমি সে গ্রামের একজন। বর্ণনাগুলো এতটাই জীবন্ত ছিল যে, একবারের জন্যও মনে হয়নি কবিতার বই পড়ছি। মনে হচ্ছিল যেন সুন্দর কোন উপন্যাস পড়তেছি। বই পড়া শেষ হলে আরো একটু জানার জন্য গুগল মামার কাছে গেলাম। অবাক করার মত বিষয় হচ্ছে রূপা, সাজুর বাস্তব চরিত্র অবলম্বনেই এ কবিতা লেখা কবির। ফরিদপুরের কবির বাড়ি দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল আমার, এখন আবার রূপা, সাজুর সেই গ্রামখানি দেখার স্বাদ মনের কোনে উঁকি দিচ্ছে। কবিতা অপ্রিয় লোকেরাও বইটা পড়তে পারেন। খুবই সুখপাঠ্য হবে বলে আমার মনে হয়।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগীতা বইয়ের নাম-নকশী কাঁথার মাঠ জনরা-কবিতা কবি-জসীম উদ্ দীন পৃষ্ঠা-১২০ মূল্য-১২০ জসীম উদ্ দীন একজন বিখ্যাত বাঙালি কবি। তিনি বাংলাদেশে পল্লী কবি হিসেবে পরিচিত। তাঁর লেখা কবর কবিতাটি বাংলা সাহিত্যে এক অবিস্মরণীয় অবদান। নকশী কাঁথার মাঠ ও সোজন বাদিয়ার ঘাট কবির শ্রেষ্ঠ দুইটি রচনা। নকশী কাঁথার মাঠ ১৯২৯ সালে প্রকাশিত বাংলা সাহিত্যের একটি অনবদ্য কাহিনীকাব্য। এটি জসীমউদদীনের একটি অমর সৃষ্টি। ১৯২৯ সালে ই. এম.মিলফোর্ড কতৃক কাব্যগ্রন্থটি ইংরেজিতে The Field of Embroidered Quit নামে অনুবাদিত হয়। নকশী কাঁথার মাঠ-এর নায়ক রূপাই চাষীর ছেলে। তার শরীর মনে সোদা মাটির গন্ধ। গ্রামীন জীবনে তার বড় হওয়া। রূপাই কালো, কিন্তু কালো রূপাই সমস্ত গ্রামটিকে আলো করে রেখেছে। সে রূপা না হলেও রূপার চেয়ে দামী। কাঁচা ধানের পাতার মতো কচি মুখের মায়ার এই যুবকটির অনেক গুন। তার লাঠির শক্তি, কাজের দক্ষতা, বাঁশিতে সুর তোলার ক্ষমতা, বিভিন্ন খেলার দক্ষতা সবকিছুতে পিছু ফেলবার কেউ নেই। "কাঁচা ধানের পাতার মত কচি মুখের মায়া তার সাথে কে মাখিয়ে দেছে নবীন তৃণের ছায়া" অন্যদিকে মায়ের আদরে বেড়ে ওঠা পিতৃহীন সাজু এ কাব্যের অন্যতম চরিত্র। তার আসল নাম সোনা। সেজে বলে তাকে সাজু বলে ডাকা হতো। "পড়শীরা কয় মেয়েত নয় হলদে পাখি ছা ডানা পেলেই পালিয়ে যেত ছেড়ে তাদের গাঁ।" অসম্ভব রূপবতী এই সাজুকে বদনা বিয়ের অনুষ্ঠানে দেখে রূপাই। প্রথম দেখাতেই তার সমস্ত কিছু সাজুকে নিবেদন করেছে। বাঁশ কাটতে গিয়ে তার সাথে রূপাইয়ের সখ্যতা বাড়ে। তারপর ভাব ভালোবাসা। শেষ পর্যন্ত বিয়েতে গড়ায়। সাজু কে রূপাই এতদিন মন প্রান দিয়ে চেয়েছিলো। এবং আজ সে তার ঘরে। এতোটা প্রাপ্তিতে তার মন অজনা আশংকায় কেঁপে উঠে এবং ভয় পায়। নিজেকে প্রশ্ন করে এতোটা সুখ তার সইবে তো! এই শংকাই সত্যি রূপে ধরা পড়ে, সাজু আর রূপাই এর জীবনে। এক সময় হারিয়ে যায় রূপাই সাজুর জীবন থেকে। তবে যাবার আগে সাজুকে আল্লাহরে কাছে সপে দিয়ে যায়। "সখী দীন দুঃখীর যারে ছাড়া কেহ নাই সেই আল্লার হাতে আজি আমি তোমারে সঁপিয়া যাই। মাকড়ের আঁশে হস্তী যে বাঁধে, পাথর ভাসায় জলে তোমারে আজিকে সঁপিয়া গেলাম তাঁহার চরণতলে।" নকশী কাঁথার মাঠ কাব্যোপন্যাসটি রূপাই ও সাজু নামক দুই গ্রামীণ যুবক-যুবতীর অবিনশ্বর প্রেমের করুণ কাহিনী কাহিনী। এই দুজনই ছিলেন বাস্তব চরিত্র। বাস্তব রূপাই চরিত্রের নাম ছিলো রূপা। আর সাজুর নাম ছিলো ললিতা। ললিতা রূপার বাড়ির পাশের গ্রামের ছিলেন। রূপা তাকে ভালোবাসতেন। বাংলা কাব্যের প্রকৃতি যখন পল্লীজীবনের ঐতিহ্য থেকে আলাদা হয়ে যাচ্ছিলো তখন পল্লীকবি পল্লীর মাধুর্যময় রূপের উপাদান দিনে আবারো পল্লীর দিকে টেনে নিয়েছেন। "আমি হিন্দু, বেদ আমার নিকট পবিত্র। কিন্তু জসীমউদদীনের কবিতা বেদের থেকেও আমার কাছে পবিত্র। কারণ জসীমউদদীন আমার স্বর্গাদপী গীরয়সী পল্লী গ্রামের কথা তার কাব্যে লিখেছেন।"-দীনেশচন্দ্র সেন। বস্তুত 'নক্সী কাথার মাঠ' কাব্যে পল্লীর প্রকৃতি, এর নানা উপকরণ, ধর্মবিশ্বাস, সংস্কার, আচার-সংস্কৃতি ইত্যাদি বর্ণনা ফুটে উঠেছে সহজ ভাবে। https://www.rokomari.com/book/30285/নক্সী-কাঁথার-মাঠ
Was this review helpful to you?
or
এই গাঁয়ের এক চাষার ছেলে লম্বা মাথার চুল কালো মুখেই কালো ভ্রমর, কিসের রঙিন ফুল ... চেনা কবিতা? হ্যা, কবিতাটা জাতীয় পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন কমিটি ৭ম শ্রেণীর বাংলা বইয়ে অন্তর্ভুক্ত করেছে "রুপাই" শিরোনামে। কবিতার লেখক আমাদের "জসীমউদ্দীন"। আর কবিতার উৎস সেই বিখ্যাত "নকশীকাঁথার মাঠ" কাব্যগ্রন্থ। যার ইংরেজি অনুবাদ "The field of embroidery quilt" এক কাব্যগ্রন্থ। এক কবিতা। এভাবেই রচিত হয়েছে "নকশীককাঁথার মাঠ"। ১...২ শিরোনামে মোট ১৪ ভাগে শেষ হয়েছে পুরো কবিতা। **** কাহিনী সংক্ষেপ - জসীমউদ্দীনের লেখা মানে আবহমান বাংলারর কথামালা। গ্রামীণ সমাজের স্পষ্ট দর্পণ হয়েই বাংলা সাহিত্যে এসেছিলেন ফরিদপুরের কৃতী সন্তান জসীমউদ্দিন। সেই সাথে গ্রাম্য কথ্য ভাষার অসাধারণ ব্যবহার, কঠিন শব্দের চমৎকার সংক্ষেপণ আর মাত্রাবৃত্ত ছন্দ প্রয়োগে অনবদ্য দক্ষতা। সবমিলিয়ে অত্যন্ত পরিপাটী এবং গোছানো একটি কাব্য। রাখাল বালক রুপাই এবং তার স্ত্রীর জীবনের ঘটনাই কাব্যের উপজীব্য। ক্ষণিকের দেখায় তাদের মাঝে যে মানবিক প্রেমের উত্থান হয় তার বিবরণী এবং কিছু নির্মম পরিণতি অসাধারণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন পল্লীকবি জসীমউদ্দিন। কোন এক দুপুরে যাদের প্রেমের উত্থান হয় বিয়ের পর জমিদার রাখাল সংঘাতে সে সম্পর্কে ছেদ পড়ে। রুপাইয়ের লাঠির আঘাতে নিহত হয় একজন। বাধ্য হয়ে স্ত্রীকে একবার দেখেই বনের পথে হারিয়ে যায় রুপাই। তার স্ত্রী ফিরে যায় নিজের বাড়িতে। স্বামীর প্রতীক্ষায় তার দিন কাটতো নকশীকাঁথা তৈরী করে। কিন্তু মানসিক চাপ আর কাটিয়ে ওঠা হয়নি। এক রোদেলা দুপুরেই শেষ নিঃশ্বাস ছাড়ে মেয়েটি। ..... পাঠ প্রতিক্রিয়া . নিখুঁত পল্লীসমাজ চিত্র। দুটো মানুষ প্রেমের বাঁধনে আবদ্ধ হলে গ্রামীণ সমাজে যেসকল কানাঘুষা চলে কিংবা স্বামী স্ত্রী শাশুড়ির মাঝে যে সুন্দর বন্ধন আমাদের সমাজে ঐতিহ্যগতভাবে বিদ্যমান তার সবটুকুই আছে "নকশীকাঁথার মাঠে"। মাত্রাবৃত্ত ছন্দের ব্যবহার, গ্রামীণ কথ্য ভাষার সংযোজন পাঠের আনন্দ আরো অনেক উপরে তুলে ধরেছে। সবমিলিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ সমাজচিত্র। যেকোন কাব্যপিয়াসী মানুষের জন্য "নকশীকাঁথার মাঠ" আদর্শ একটি বই। ..... এক নজরে . বই - নকশীকাঁথার মাঠ লেখায় - জসীমউদ্দিন ঘরানা - আখ্যানকাব্য উপজীব্য - কৃষিভিত্তিক গ্রামীণ সমাজে গড়ে ওঠা প্রেমময় জীবন ও তার পরিণতি প্রকাশকাল - ১৯২৯ রেটিং - ৪/৫
Was this review helpful to you?
or
এমন কিছু বই আছে যেগুলো পড়লে মনের মাঝে “দোল”এর অনুভুতি একটু বেশী অনুভূত হয়। আর সেটা দোলায়মান থাকে বহুদিনের জন্য। এই বইটা সেইরকম দীর্ঘস্থায়ী দোল দিতে পেরেছে কিনা জানিনা, তার বিচারেও আমি যাইনি। যেহেতু বইটি আমি অতিসম্প্রতি পড়েছি, তাই বই পড়ার পর যেই সাধারন দোদুল্যমানতা থাকে, তা এখনও কমেনি। বইটি’র নাম নক্সী কাঁথার মাঠ, লিখেছেন কবি জসিমউদদীন। “মানুষের বাহির দেখে বিচার না করে, ভিতর দেখে বিচার করো।”- এমন এক প্রবাদের অস্তিত্ব আছে মানবসমাজে। যেহেতু, এরকম কোনো প্রবাদ বইয়ের ক্ষেত্রে নেই সেহেতু, আমি বইয়ের বাহির তথা প্রচ্ছদ এবং নাম দেখেই আগে বিচার করি। আর বিচারকার্যই একটা ঘটনার রুপ নেয়। ঘটনাটা এরকম – বইটির নাম আমি অনেকবারই শুনেছি। নাম শুনে আমি ধারণা করেছিলাম, এটি এমন একটি বই হবে যা গ্রাম-বাংলা’র আবহমান সৌন্দর্যের বর্ণনা করবে আর সেই সৌন্দর্যের উদাহরন হিসেবে ব্যবহার করা হবে এই নক্সী কাঁথা। বইয়ের প্রচ্ছদ এর মাধ্যমে আমার ধারণা আরো বদ্ধমূল হল। তবে এই নামের পেছনে যে রুপা-সাজু’র অনবদ্য প্রেমকাহিনী লুকিয়ে থাকবে তা আমি কল্পনা ও করিনি। মূলত, কাহিনীকাব্যের রস অনুভব করার জন্যই আমি এই বইটি পড়া শুরু করেছিলাম। আর শেষ করলাম, এক অপূর্ব অভিজ্ঞতা অর্জনের মধ্য দিয়ে। অসাধারণ এক বিষয়কে তখনই উপলব্ধি করা যায় যখন তার উপস্থাপনও সমপরিমানে অসাধারণ হয়। আর সেই উপলব্ধি আমাদের উপভোগ এর সুযোগ করে দেয়। যার প্রতিফলন আমি “নক্সী কাঁথার মাঠ” বইটি পড়ে পেয়েছি।
Was this review helpful to you?
or
নকশি কাঁথার মাঠে পল্লী কবি জসীম উদ্দীন তার কাব্যিক ভাষায় দু'জন মানুষের প্রেম কাহিনি খুব সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছেন রুপা আর সাজুর চরিত্রের মধ্যে দিয়ে।প্রথমদিকে প্রেম কাহিনীটি রোমান্টিক হলেও লাস্টে তা করুনবিদায়ক যা আমার মনকে হালকা হলেও ব্যথিত করেছে? তিনি দু'টো গ্রামকে এক বাস্তবিকভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন তার সাথে চরিত্রগুলোও তিনি বাস্তবিকঅর্থে ফুটিয়ে তুলেছেন।।তার এই কাব্যগ্রন্থে এক অমর প্রেম কাহিনির কথা বর্ণণা করেছেন যার শেষ পরিনতি মৃত্যু দিয়ে তিনি দর্শকের মনকে কাদিয়েছেন।সাজুর কাঁথায় তার প্রেম কাহিনি বুনন করে সেটি তার করবে বিছিয়ে দিয়েছেন।রুপার বাঁশির সুর শেষে তার পরিচয় বহন করেছে।।সর্বপরি বলতে গেলে কবিতা পড়ে আমি বাস্তবে হারিয়ে গিয়েছিলাম।। কল্পনার জগতে ভাসতেছিলাম।।আমার কাছে চরিত্রগুলো অনেক বাস্তব মনে হচ্ছিল।।। কবিতাটা পড়ে আমি চরিত্র গুলা কল্পনা করেছি।।। অনেক ভালো লেগেছে কাব্যটা।?? এই রিভিউটি সোশ্যাল সাইটে রিভিউ প্রকাশে অনাগ্রহী একজন পাঠিকার প্রতিক্রিয়া।
Was this review helpful to you?
or
আমার জীবনের অন্যতম সেরা বইটি আজ পড়ে শেষ করলাম। আর এই সেরা বইটি শুধুমাত্র আমার চোখেই সেরা না;বরং সমস্ত বাংলা সাহিত্যের সেরা এবং বইটি হচ্ছে জসীম উদ্দীন সাহেবের নকশী কাঁথার মাঠ।অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং ভালোবাসা সমৃদ্ধ একটি বই। কবি খুব সুন্দর ও চমৎকার ভাবে গ্রাম্য ছেলে-মেয়ের প্রেম কাহিনি তৈরি করেছেন। কোথাও ছন্দের কোনো অমিল নেই;প্রত্যেকটা লাইন একে ওপরের সাথে সমাঞ্জস্যপূর্ণ্য হওয়ার জন্যই যেনো তৈরি হয়েছে। বাঙালী পল্লী জীবনের সমস্ত ভাবধারা এই একটি বইয়ের মাধ্যমেই কবি আমাদের বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন। রুপাই ও সাজুর প্রেম কাহিনি আজও বর্তমান সময়ের সকল প্রেম কাহিনিতে ছাড়িয়ে যাবে।তাঁদের ভালোবাসা বাঙালি জাতির প্রথার মধ্যে এক অনন্য ধরনের পরিচয় পেয়েছে। নকশী কাঁথার মাঠ বাংলা সাহিত্যকে সফলতার চূড়ান্ত পর্যায়ে কিভাবে পৌঁছে দিয়েছিল সেটা আজই উপলব্ধি করতে পারলাম
Was this review helpful to you?
or
ভালো
Was this review helpful to you?
or
"নক্সী কাঁথার মাঠ" বাংলা কাব্যের আকাশে উজ্জ্বল নক্ষত্র কবি জসীম উদদীন কর্তৃক রচিত।জসীম উদদীনের কাব্যের মূল উপপাদ্যই হলো পল্লী জীবন, তাই তাকে বলা হয় পল্লী কবি। এই কবিতাও তার ব্যতিক্রম নয়।পল্লীবাসী এক জোড়া নর- নারীর প্রেম, পরিণয়, বিরহের কাহিনী নিয়ে লেখা কাহিনী কাব্যটি কবিকে দিয়েছে বিশ্বজোড়া খ্যাতি। বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে বইটি, সাহিত্য বোদ্ধাদের থেকে কুড়িয়েছে প্রশংসা। "নক্সী কাঁথার মাঠ" কাব্যের মূল কাহিনী আবর্তিত হয়েছে কৃষাণের ছেলে রূপাই আর পাশের গ্রামের মেয়ে সোনাকে কেন্দ্র করে। সোনার ডাক নাম ছিল সাজু। রূপবতী, গুণবতী সাজুর প্রেমে পড়ে গ্রাম-সেরা ছেলে রূপা। সাজুকে একবার দেখার আশায় নানান ছুতায় তার বাড়ির আশেপাশে যায় রূপা, দূর সম্পর্কের আত্মীয়তার সূত্র ধরে দেয় এটা সেটা উপহার। গ্রামের মানুষের দৃষ্টি এড়ায় না কিছু, গ্রাম্য সমালোচনার মুখে দূরত্ব বাড়ে দুজনের মাঝে। পরে পরিবারের সমঝোতায় বিয়ে হয়, বিরহের বদলে আসে সুখের ক্ষণ। এর মধ্যেই জমিজমা নিয়ে গ্রাম্য মারামারিতে জড়িয়ে যায় রূপা। খুনের দায়ে হয় ফেরারি। দিন, মাস, বছর পেরিয়ে বিরহী সাজু মারা যায়, তার আগে সুঁচের খোঁচায় এঁকে যায় তার কাব্যগাঁথা নকশি কাঁথায়। অনেক দিন পর সাজুর কবরের পাশে নকশি কাঁথা জড়ানো একজন মৃত মানুষ পরে থাকতে দেখে গ্রামবাসী, বুঝতে পারে রূপা এসেছিল তার সাজুর কাছে।এ কাব্যে কবি গ্রামীণ জীবনের নানা অনুসঙ্গের জীবন্ত চিত্র এঁকেছেন। অনাবৃষ্টির গান, বদনা বিয়ের আয়োজন, বিয়েতে ঘটকের ভূমিকা, ছোট বিষয় নিয়ে বিয়ে বাড়ির বিবাদ, ফসল ঘরে তোলার কাজের ব্যস্ততা, জমিজমা নিয়ে বিবাদ- সংঘাত এর সবই গ্রাম্য জীবনের প্রাত্যেহিক চিত্র। সেই সাথে নকশি কাঁথা, আল্পনা আঁকা, লাঠি লেখা, বাঁশি বাজানোর মতো ঐতিহ্যে কথাও তুলে ধরেছেন কবিতায়। এ কাহিনীর স্পর্শকাতরতা আর উপস্থাপনের নৈপুণ্য সহজেই পাঠককে আটকে রাখবে বইয়ের পাতায়। কবিতা পড়াতে যাদের খুব একটা আগ্রহ নাই তারাও এই বইটা শেষ না করে রাখতে পারবেন না সহজে।তাই দেরি না করে এখনই একবার বইটি পড়ে দেখুন।
Was this review helpful to you?
or
I love this book. This is my first book which i have bought from Rokomari. but i have found some problems on this book's hardcover. overall this book is just awesome.
Was this review helpful to you?
or
আমার দেখা সেরা একটি কবিতার বই।।যেখানে কবি এত সুন্দরভাবে চরিত্রটাকে কবিতার মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছে ,তা আসলেই অসাধারন
Was this review helpful to you?
or
জসীম উদ্দীনের "নক্সী কাঁথার মাঠ"কে আবহমান গ্রামবাংলার দর্পন বলা যেতে পারে।কারন পল্লীজীবনের সুখ-দুঃখ,হাসি-কান্না,প্রেম-বিরহ,উৎসব-অনুষ্ঠান,ঝগড়া-মারামারি ইত্যাদি বাংলা সাহিত্যের আর কোথাও এত সূক্ষ্মভাবে বর্ণিত হয়েছে কিনা সে বিষয়ে সন্দেহ আছে। নিঃসন্দেহে এই কাহিনী কাব্যটি বাংলা সাহিত্যকে এক অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। হৃদয় স্পর্শ করার আকুলতা নিয়ে পল্লীদুলাল জসীম উদ্দীন একাব্যের চরিত্রগুলো গড়ে তুলেছেন। প্রত্যেকটি অধ্যায়ের শুরুতে ব্যবহৃত লোকগানগুলো একে ভিন্নমাত্রা দান করেছে। দু'টি গ্রাম্য কিশোর-কিশোরী কিভাবে ধীরে ধীরে একে অপরকে আপন করে নেয় তার এক মনোজ্ঞ চিত্রায়ন পাঠককে মুগ্ধ করে। কিন্তু ফসল সংক্রান্ত কাইজার কারনে নায়ক রূপাইকে ঘর ছাড়তে হয়,সাজু হয়ে পড়ে চিরবিরহিনী।মাসের পর মাস রূপাইয়ের অপেক্ষায় পথপানে চেয়ে থাকে সে।এখানে বৈষ্ণব পদাবলীর নায়িকাদের কিছুটা বৈশিষ্ট্য তার মধ্যে দেখতে পাওয়া যায়। অকালমৃত্যুর পূর্বে ছোট্ট সংসার জীবনের সুখ-দুঃখের মুহূর্তগুলোকে সুই সুতোর আঁচড়ে সে নক্সী কাঁথায় ফুটিয়ে তোলে।আর তার কথামতই একদিন তার কবরের উপর বিছিয়ে দেওয়া হয় এই নক্সী কাঁথাটি। নির্বাসিত জীবন শেষে রূপাই ঠিকই ফিরে আসে তার কাছে,কিন্তু কতক্ষণে অনেক দেরী হয়ে গেছে।রোগপান্ডুর রূপাইও তখন সাজুর কবরের পাশেই সেই নক্সী কাঁথাটি গায়ে জড়িয়ে শেষ শয্যা রচনা করে। এভাবেই দুটি গ্রাম্য ছেলে মেয়ের নিষ্পাপ প্রেম কাহিনীর করুন সমাপ্তি ঘটে।
Was this review helpful to you?
or
সোজন বাদিয়ার ঘাট বইটি পড়ার পর প্রথম কাব্যগ্রন্থের প্রতি আগ্রহ তৈরী হয়, তার আগ পর্যন্ত ধারণা ছিল কাব্যগ্রন্থ গুলো খুবই বিরক্তিকর আর একঘেয়ে হবে... কিন্তু এতে যে এত চমৎকার করে একটী ঘটনা বা কাহিনী ফুটিয়ে তোলা সম্ভব তা সম্বন্ধে কোন ধারণাই ছিল না। নকশী কাঁথার মাঠ বইটি পড়লে বিরক্তি তো আসবেই না, বরং এর প্রতিটি পরতে পরতে গ্রাম বাংলার যে আবহ ছড়িয়ে আছে তা মন্ত্র মুগ্ধ করে রাখবে পাঠককে। কাহিনী সংক্ষিপ্ত আকারে আর নাই বললাম, এক পাঠক তার রিভিউ তে লিখে গেছে। আমি শুধু বলি এই বইটি আমি পড়েছিলাম কাপ্তাই লেকে নৌকায় বসে... বইটি এক কথায় অসাধারণ। এর ছন্দের গাথুঁনি, কাহিনীর বর্ননা, গ্রাম বাংলার পরিবেশ সম্বন্ধে শহরবাসীকে পরিস্কার ধারণা দেয়ার ক্ষেত্রে এই বইয়ের কোন তুলনা নেই... আরও কাব্যগ্রন্থ পড়ার আগ্রহ তৈরী করার জন্য এবং বইটি হাতের নাগালে এনে দেয়ার জন্য কবি জসীম উদ্দিন ও রকমারীর প্রতি কৃতজ্ঞতা...