User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
এরকম জীবন ঘনিষ্ঠ প্রাণবন্ত উপন্যাস বাংলা সাহিত্যে খুব কম লেখা হয়েছে। এটি এক কথায় একটি মাস্টারপিস।
Was this review helpful to you?
or
একসময় এদেশের জীবন আবর্তিত হত নদীর ভাঙনের সাথে তাল মিলিয়ে। উন্মত্ত যৌবনা পদ্মার ঢেউয়ের তালে মানুষের দিনলিপি লেখা হত। সেই সময়ের চরাঞ্চলের মানুষের সুখ-দুঃখ, সাধ-বাসনা, কামনা-লালসা, প্রেম- বিরহ নিয়েই উপন্যাসের কাহিনী। পদ্মার উন্মত্ত যৌবনের মত উদ্দাম এক যুবক ফজলের জীবন ঘিরে আবর্তিত এই উপন্যাস। বালক বয়সে বিয়ে করা জরিনাকে ভুলতে পারেনা ফজল, কিন্তু বর্তমান স্ত্রী রূপজানকে প্রাণের চেয়ে ভালবাসে ফজল। কখনো সেই ভালোবাসার টানে, কখনোবা পিতার প্রতি করা অন্যায়ের প্রতিশোধে তাই ফজল হয়ে যায় যেন ভয়ংকর পদ্মার মতই বাঁধহীন!!
Was this review helpful to you?
or
One of the best novel in Bengali literature
Was this review helpful to you?
or
আবু ইসহাক স্যার যে বাংলা সাহিত্যে কতটা শক্তিমান লেখক তা বুঝা যায় এই দারুন বইটি পড়লেই! কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য লেখক আমাদের জন্য খুব অল্প কিছু কাজ রেখে গেছেন।
Was this review helpful to you?
or
পদ্মার পলিদ্বীপ! আবু ইসহাকের এক অনবদ্য রচনা! বাংলা সাহিত্যের দুস্প্রাপ্য এক সংযোজন এই উপন্যাসটি! কিন্তু ‘সূর্য দীঘল বাড়ি’র ছায়াতেই যেন বা মলিন হয়ে গিয়েছে এই রচনা! সে যাই হোক, পদ্মার পাড়ের মানুষদের নিয়ে যত উপন্যাস, গল্প, কবিতা রচিত হয়েছে পৃথিবির অন্য কোন নদীকে কেন্দ্র করে এমনতর হয়েছে বলে মনে হয় না। এ নদীই যেন এমন! সবাই আকর্ষণ করে, সব কিছু কাছে টানে, নিজের গর্ভে নিয়ে নিতে চায় যেন। একবার একূল নিল তো আরেকবার ওকূল! এইভাবে যেন চলছে তার মায়ার টান! পদ্মা ভাঙ্গা গড়ার মাঝেই জীবন চলে আপন গতিতে। এক দিকে গ্রাম ভাঙ্গে তো আরেক দিকে চরের নতুন জীবন জাগে। এমনই চরের জীবনকে কেন্দ্রে নিয়ে ‘পদ্মা পলিদ্বীপ’! মাতব্বর এরফান মিয়া, তার তরুণ ছেলে ফজল, অদ্ভূত ডাকনামে পরিচিত ‘পা না ধোয়া জঙ্গুরুল্লা’, রূপজান, জরিনা চরিত্রগুলোকে কেন্দ্র করেই উপন্যাসের এগিয়ে চলা। এই পথচলাতে উঠে এসেছে নতুন চর দখলের উদ্দেশ্য, পরিকল্পনা, যুদ্ধবেশি রণ বর্ণনা, দখল বুঝে নেয়া ও দখল বজায় রাখা। জীবনের সংকটময় মুহূর্তে জীবনকে আঁকড়ে ধরে রেখে জীবনের কোমল অনুভূতিগুলিকে লালন করাও যে বেচে থাকার আরেক নাম তা প্রমান করে ত্রিভুজ প্রেমের উপস্থাপন করেছেন লেখক বইটির মধ্যে। ফজল, জরিনা আর রূপজানের এই ত্রিভুজ প্রেম যেন প্রেমের জগতে অপরূপ এক প্রেম-গাঁথা! পদ্মার বুকে জেগে থাকা চরের জীবন কেমন তা জানতে আবু ইসহাকের এই উপন্যাসের তুলনা কিছু হতে পারে না। সংগ্রামী জীবনের প্রতিই বর্ণনা যেন বাস্তব রূপ নিয়ে পাঠকের সামনে উঠে এসেছে লেখকের অনুবদ্য লেখনীর হাত ধরে! আফসোস শুধু একটাই যে এমন চমৎকার শৈলী পাঠক মহলে খুব একটা পরিচিত নয়! আশা করি বইটি পাঠক মহলে দ্রুত জনপ্রিয়তা লাভ করুক!
Was this review helpful to you?
or
পদ্মার পলিদ্বীপে আবু ইসহাক মানব-মানবীর প্রেমের এক অপরূপ চিত্র এঁকেছেন । ফজলের প্রতি জরিনার প্রেম যেন এক অমর বেদনাবিধুর প্রণয় উপাখ্যানের অংশবিশেষ। উপন্যাসে ব্যবহৃত আঞ্চলিক ভাষা আর গ্রামীণ পটভূমির নিঁখুত বর্ণনা উপন্যাসকে শক্তিশালী আর সুপাঠ্য করে তুলেছে।আবু ইসহাকের ‘সূর্য্য দীঘল বাড়ি’র মত ‘পদ্মার পলিদ্বীপ’ আরেকটি অমূল্য ঐশ্বর্য্য বাংলা সাহিত্যের।
Was this review helpful to you?
or
আবু ইসহাকের শুধু নয়, বাংলা সাহিত্যের অন্যতম উপন্যাস 'পদ্মার পলিদ্বীপ'। লিখেছিলেন দুই যুগের বেশি সময় নিয়ে। উপন্যাসটির একটি বড় অংশ বাংলা একাডেমির 'উত্তরাধিকার' পত্রিকায় বের হয়। কীর্তিনাশা পদ্মা একূল ভেঙে ওকূল গড়ে। এপাড়ে মাটি বিলীন হয়ে অপরপাড়ে জেগে ওঠে চর। সেই চরের মানুষের জীবন বড় সহজ নয়৷ সংগ্রামমুখর চর এবং চরের মানুষদের জীবন নিয়েই আবু ইসহাকের 'পদ্মার পলিদ্বীপ'। এটি এক চমৎকারতম আঞ্চলিক উপন্যাস। অথচ কেন যেন পাঠক এই উপন্যাসটির কথা আলোচনা কম করে।
Was this review helpful to you?
or
পদ্মার পলিদ্বীপ-আবু ইসহাক বুক মিভিউ পদ্মা নদীর মাঝি আর পদ্মার পলিদ্বীপ। এর আগে পড়লাম তিতাস একটি নদীর নাম। পদ্মা নামের মধ্যেই মনে হয় হিংস্রতা যৌনতা মিশে আছে। তিতাস নদী নির্ভর উপন্যাস যেমন শান্ত, বয়ে চলা। পদ্মা তেমনি হিংস্রতা, মৃত্যুতে ভরপুর। উপন্যাসের শুরুতে কতজনের অভিমত পড়ে পড়ার আগ্রহ আরো বেড়ে গিয়েছিল। “পর্বত গৃহ ছাড়ি বাহিরায় যাবে নদী সিন্দুর উদ্দেশ্যে, কার সাধ্য রোধে তার গতি”। বয়সের দোষ নয়তো অবিবাহিত থাকবার দোষ। জরিনা চরিত্র আসলেই রহস্যময়। রোমান্টিকতার দিক থেকেও উপন্যাসটি দোষে দুষ্ট। বিশেষ করে শেষে এসে ফজলের জ্ঞান গরিমায়, নায়ক ফজল হয়ে উঠায়-পদ্মার কষ্ট আর বুঝা যায়নি। পদ্মা নদীর মাঝিতে যেখানে কুবের নায়ক হয়েও সময়ের সাধারন চরিত্র। সেখানে ফজল নায়ক তো নায়কই, সবকিছুই তার পক্ষে। গ্রামের মাতবরদের সাথে ফজলের যুদ্ধ না দেখিয়ে তাকেই মাতবর হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে, লোভী মাতবরদের শাস্তি দেখানো হয়েছে। পা ধোয়া থেকে চৌধুরী জঙ্গুরুল্লাহ সেই হিসেবে ভিলেন আর কি। ভিলেনের মত নায়িকা নিয়ে টানাটানি করেন। হুম সিনেমা বটে। অনেকদিন লেখা হয়না, তাই বুক রিভিউ এর মানে নিম্নগতি ক্ষমাপ্রার্থনীয়।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা তথ্য: মুখর মাটি নামে এর ষোলটি অধ্যায় ১৯৭৪-৭৬ কাল-পরিসরে বাংলা একাডেমী’র সাহিত্য পত্রিকা ‘উত্তরাধিকার’-এ ছাপা হয়েছিল। ১৯৮৬ সালে এটি গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। যদি আপনি "পদ্মা নদীর মাঝি" বা "হাজার বছর ধরে" পড়ে তৃপ্তি পেয়ে থাকেন তাহলে সে তৃপ্তিকে আরো পরিপুর্ণতা দিবে "পদ্মার পলিদ্বীপ"। কিন্তু কী এই পদ্মার পলিদ্বীপ? যার নামই অত শুনা যায় না। এ বিষয়ে আলোকপাত করেছেন খোদ ঔপন্যাসিক নিজেই। আবু ইসহাক তাঁর এক বক্তৃতায় একবার বলেছেন, 'আপনারা প্রায় সবাই সাহিত্যিক। কিন্তু আমাদের দেশে সাহিত্য অবহেলিত, আপনাদের মধ্যেই অনেকেই আমার "পদ্মার পলিদ্বীপ" পড়েন নি। সূর্য দীঘল বাড়ির নীচে আমার এ সাহিত্যকর্ম চাপা পড়ে গেছে।' অবশ্য বিশ্লেষকদের মত ভিন্ন। তাদের মতে প্রথম এবং দ্বিতীয় উপন্যাস প্রকাশের সময়ের পার্থক্য ৩০ বছর হওয়ায় দ্বিতীয় উপন্যাস পাঠককে ততটা আকৃষ্ট করতে পারে নি বাংলা সাহিত্যের উল্লেখযোগ্য সংযোজন এ উপন্যাসের রিভিউ: বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। আর নদীর ধর্মই হলো, সত্যেন সেনের ভাষায়, "একূল ভাঙে তো ওকূল গড়ে।" আর দেশের প্রধান নদী যখন পদ্মা, তখন তার বুকে বছর বছর চর জাগা তো স্বাভাবিকই। তবে এসব চরের দখল নিয়ে যে দ্বন্দ্ব-সংঘাত তাও যেন স্বাভাবিক অনুষঙ্গে পরিণত হয়েছে। সে রকমই এক চর লটাবনিয়া, যা পদ্মার বুকে ক্ষণেক জাগে তো ক্ষণেক বিলীন হয়। এরফান মিয়া সে চরের আইনত মাতব্বর। তার ছেলে ফজল অর্ধশিক্ষিত তরুণ। বহুদিন পদ্মায় বিলীন থাকার পর একদিন এই চর জেগে উঠে। নিজেদের চর সদলবলে অধিকার করে ফজল এবং তাদের গ্রামবাসী। কিন্তু বিধিবাম! হঠাৎ করে তেড়ে আসে নতুন শত্রু ধনিক শ্রেণির প্রতিভূ, জোতদার; পা না ধোওয়া জঙ্গুরুল্লা। পা না ধোওয়া! এ আবার কী নাম? কিন্তু এই পা না ধোওয়াই ফজলের পরিবারকে ধুয়ে দেয়। নানা ফন্দি ফিকির সহ ফজলের বিরুদ্ধে একের পর এক গুরতর কেস করে সে। সমস্যা শুধু সামাজিক বা শারীরিক ভাবে নয়, সমস্যা আসে পারিবারিক দিক থেকেও। ফজল তার স্ত্রী রূপজানকে অনেক ভালোবাসে, এদিকে ফজলের শ্বশুর; রূপজান বাপের বাড়িতে গেলে তাকে আটকে রাখে- নানা অজুহাতে। ফজলের পরিবার তাদের পূত্রবধুকে ফিরে পাবার আশায় নানাভাবে ধর্ণা দেয়, কিন্তু রূপজানের পিতার মাথায় খেলা করে অন্য মতলব। ফজলের জীবনে আবার ফিরে আসার উপক্রম হয় তার ই তালাকপ্রাপ্ত পুর্বের স্ত্রী জরিনার। নানাভাবে বিপর্যস্ত ফজল কী পারবে তার চর পুনরুদ্ধার করতে? ত্রিভুজ প্রেমের এ উপাখ্যানে সে কী কাওকে তার জীবন সঙ্গী হিসেবে বাছাই করে নিতে পারবে? জানার জন্য বাংলা সাহিত্যের অন্যতম এই উপন্যাস পড়ে ফেলুন দ্রুত। বই পর্যালোচনা: প্রাচীনকালে রচিত সাহিত্য থেকে শুরু করে এ সময়কালের সাহিত্যেও নদী অপরিহার্য বিষয়। গীত, কবিতা, উপন্যাসসহ সাহিত্যের সব শাখাতেই নদী যুক্ত হয়েছে কখনো প্রধান ভূমিকায়, কখনো বিষয়বস্তুর প্রয়োজনে। নদী ও মানুষ একে-অপরের সম্পূরক। উপন্যাসে এ সত্যতা ধরা পড়েছে বিভিন্ন রূপে। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পদ্মা নদীর মাঝি’, অদ্বৈত মল্লবর্মণের ‘তিতাস একটি নদীর নাম’, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘হাঁসুলী বাঁকের উপকথা’, সমরেশ বসুর ‘গঙ্গা’, প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়ের ‘ইছামতী’, আবু ইসহাকের ‘পদ্মার পলিদ্বীপ’ প্রভৃতি নদীভিত্তিক উপন্যাস। নদী ও মানুষের জীবন যে এই সূত্রে আবদ্ধ, সে সত্যতা ধারণ করেই বিভিন্ন মাত্রিকে নির্মিতি পেয়েছে উপন্যাস। যা উপন্যাস সাহিত্যে গুরুত্বপূর্ণ ও অপরিহার্য এক প্রবাহধারা। বাংলা সাহিত্যে উল্লেখযোগ্য এ নদীভিত্তিক উপন্যাস নিয়ে সমালোচকদের রয়েছে ভিন্ন মত যেমন কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেছেন, ‘উপন্যাসটি শিল্পিত করার নানা উপাদান থাকলেও পাঠ শেষে মনে হয়, যে শিল্পসৌন্দর্য সাহিত্যে নান্দনিক উত্কর্ষ আনে, সে জায়গাটি ছুঁতে পারেনি লেখক’। তবে এর বিপরীত অভিমতও দুর্লভ নয়। যেমন আবুল হাসানাত বলেন, ‘আবু ইসহাক সমস্যার গভীরে গেছেন... দৈনন্দিন সাধারণ জীবন যাপনের জন্য কী অপরিসীম পরিশ্রম ও কষ্ট স্বীকার করতে হয় তার বাস্তবধর্মী, জীবনঘনিষ্ঠ চিত্র আবু ইসহাক তাঁর নিজস্ব রচনাভঙ্গিতে উপস্থাপিত করেছেন যা একাধারে তাঁর সৃষ্টিধর্মিতা ও সার্থক শিল্পসৃষ্টির উৎকৃষ্ট ও প্রকৃষ্ট দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত হবে বলে আমি মনে করি।’ কিংবা মুহম্মদ ইদ্রিস আলীর বক্তব্য- ‘উপন্যাসটির প্যাটার্নে সুনির্দিষ্ট কোনো জীবনবাদী বক্তব্য সুস্পষ্ট না হওয়া সত্ত্বেও গঠনশৈলীগত নৈপুণ্যের কারণে এ উপন্যাসে আবু ইসহাক শিল্প-সিদ্ধির দ্বারপ্রান্তে উপনীত।’ (পদ্মার পলিদ্বীপ, পৃষ্ঠা- ১৯৬)। সূর্যদীঘল বাড়ীর তুলনায় পদ্মার পলিদ্বীপকে তিনি উৎকৃষ্ট আখ্যায়িত করেছেন। প্রফেসর কবীর চৌধুরী লিখেছেন: “তাঁর প্রথম উপন্যাসের মতো এটিও পল্লীজীবন ভিত্তিক, এখানেও জীবনবোধ তীক্ষ্ণ, বাস্তব জীবনের পরিবেশ অকৃত্রিম ও সত্যনিষ্ঠ। তবে ‘সূর্যদীঘল বাড়ী’র চেয়ে বর্তমান উপন্যাসের পরিমণ্ডল বৃহত্তর, জীবন সংগ্রামের চিত্র এখানে আরো দ্বন্দ্বমুখর ও তীব্র নাটকীয়তায় তা অধিকতর উজ্জ্বল এবং পটভূমি পরিবেশেও ভিন্নতর।…দীর্ঘদিন পর (১৯৮৬) তাঁর দ্বিতীয় উপন্যাস প্রকাশিত হলেও আবু ইসহাক ‘পদ্মার পলিদ্বীপ’ উপহার দিয়ে বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কথাসাহিত্যিক হিসেবে তার পূর্ব খ্যাতি শুধু অমলিনই রাখেননি, আমার বিবেচনায় তাকে সম্প্রসারিত করেছেন।” পাঠপ্রতিক্রিয়া: রাজন্যবর্গ আর ব্রাক্ষণ্যবর্গ, সর্বদাই মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ। রাজা তার নিজ স্বার্থে ধর্মকে ব্যবহার করে, সাধারণ মানুষকে প্রভাবিত করবেন, এটা ঐতিহাসিক সত্য। ছোট করে হলেও এ বিষয় উঠে আসে লেখকের হাত ধরে, জঙ্গুরুল্লাহর পীর সাহেবকে চরে নিয়ে আসার মতলব থেকে, যা ধর্মব্যবসার উদাহরণ হিসেবে ক্ষুদ্র কিন্তু ইঙ্গিতবহ। লেখক যে রাজনীতিসচেতন এ বিষয় ও ক্ষুদ্র পরিসরে উঠে আসে উপন্যাসে। কাহিনীর একটি পর্বে রাজনীতি পরিষ্কার আলো ফেলেছে। ফজলের সাথে সাক্ষাৎ হয় মতি নামক এক রাজনৈতিক কর্মীর। ফজল তার কাছ থেকে উদারতা, ধর্মনিরপেক্ষতা ও মানবিকতার দীক্ষা পায়। ভিনদেশী শোষকদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পারে। উপলব্ধি করে নিজের ভেতরের সদর্থক পরিবর্তন। আর এখান থেকেই সে স্বপ্ন দেখে তার নিজে চরে প্রাথমিক স্কুল খুলার। এই যে নানা কাহিনীর বিস্তার, ধারাবাহিকতা, সময়োপযোগী বর্ণনা( চর দখলের পুর্বে যুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়া),এসবে ভাষার যে ব্যবহার হয়েছে তাতে নি:সন্দেহে বলা যায় এই উপন্যাস মহাকাব্যেরই বংশধর। "পদ্মার পলিদ্বীপ" আঞ্চলিক না জাতীয়, প্রেমের নাকি জীবনদ্বন্দ্বের, আধুনিক কি অনাধুনিক, এসব প্রশ্ন অবান্তর। এটি একটি আখ্যান। এতে আছে বিশাল মহাকাব্যিক প্রেক্ষাপট, কাহিনী ও প্লট। আছে নদী, চর এবং মানুষের জীবনের আন্তঃসম্পর্কের বিস্তারিত চিত্র। আছে ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজের দ্বন্দ্ব-সংঘর্ষ, প্রেমের ফল্গুধারা, প্রকৃতি ও কালের করাল আক্রমণ, জীবনজয়ের অবিরাম সংগ্রাম ও বীরত্বের কথা। পদ্মার পলিদ্বীপ-এর ‘ডকুমেন্টারি গুরুত্ব’ অনেক। কোনো সংজ্ঞার নিক্তিতে ফেলে তার কপালে এক কথায় ‘সফল’ অথবা ‘ব্যর্থ’ লেবেল সেঁটে দেওয়ার সুযোগ নেই। বরং নির্দ্বিধায় একথাই বলতে হবে যে, পদ্মার পলিদ্বীপ বাংলা সাহিত্যে একটি উল্লেখযোগ্য সংযোজন। আমার কাছে এর রেটিং ৫/৫।
Was this review helpful to you?
or
আমার প্রিয় কয়েকটি উপন্যাসের একটি । নাম শুনে ভেবেছিলাম হয়ত কিছুটা একঘেয়ে হবে, কিন্তু ওয়াও!! কি অসাধারণ একটা উপন্যাস!! চরের বাসিন্দাদের জীবন লেখক তাঁর অসাধারণ লেখনীর মাধ্যমে তুলে ধরেছেন ফজল আর রূপজানকে ঘিরে। আমি মুগ্ধ, আর বিশেষ করে শেষ লাইনটা - "আমরা জোড়াবান্দা কইতর-কইতরি। এই দুনিয়া জাহানের কেও আমাগো জোড়া ভাঙতে পারব না, কোনো দিন পারব না"।