User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
আইজাক আসিমভ আমার অসম্ভব প্রিয় একজন লেখক। কারন হলো তার লেখার বিষয়-বস্তুগুলো সম্পূর্ন অন্য রকম। আসিমভ যে বিষয়গুলো নিয়ে লিখেন তা অন্য কোন লেখক ভাবতেও পারে না। ভবিষ্যাৎতে আমাদের এই পৃথিবীটা কেমন হবে, তারই একটি কল্প-কাহিনী এই উপন্যাসটি। আইজাক আসিমভকে কেন অসাধারন প্রতিভার একজন বৈজ্ঞানিক কল্প-কাহিনী লেখক বলা হয়, তা পাঠকরা সহজেই বুঝতে পারবে এই বইটি পড়লে। দ্য গডস দেমসেলভস উপন্যাসটি তিনটি ভাগে ভাগ করেছেন লেখক। প্রথম পর্বটি খুবই ইন্টারেষ্টিং। রহস্য এবং দ্বন্দ্বে ভরা সবগুলো চরিত্র, যা পাঠকদের অবশ্যই আকর্ষীত করবে। কল্পবিজ্ঞান উপন্যাসের সব ধরনের উপকরন আছে বইটিতে। আসিমভকে এজন্যই এত ভাল লাগে আমার। আগামী ১০০ বছরের মধ্যে পৃথিবীর মানুষ যে সংকটটিতে সবচেয়ে বেশি ভুগবে তা হল এনার্জি মানে তেল, গ্যাস ইত্যাদি এ জাতিয় জিনিসের। ঘটনাক্রমে মানুষ প্রচুর এনার্জি উৎপন্ন করে এমন একটি উপাদান পায় এলিয়ানদের সাথে কিছু ধাতুর বিনিময়ের মাধ্যমে। তরতর করে উন্নতি করতে থাকে পৃথিবীর মানুষ। কিন্তু এর যে একটি খারাপ দিকও আছে সেটা নিয়ে কেউ মাথা ঘামাতে রাজি না। প্রচুর এনার্জি উৎপাদনে সক্ষম রেডিওএকটিভ পদার্থটি মুহুর্তে পৃথিবীকে পরিনত করতে পারে আগুনের পিন্ডতে।যুগ যুগ ধরে পৃথিবীকে এমন বিপদ থেকে উদ্ধার করেছে কিছু ভাল মানুষ। আর এই সব মানুষরা সব সময় পৃথিবীর মঙ্গল চায়। শুরু হয় পৃথিবীকে বাচানোর আর একটি আশ্চর্য ও উত্তজনাপূর্ন কাহিনী। অপুর অনুবাদ নিয়ে বিতর্ক হওয়ার কোন কারনই নেই।
Was this review helpful to you?
or
আগামী শতকের কাহিনী এটা। পৃথিবীতে দুই হাজার কোটি মানুষ। তীব্র এনার্জি ক্রাইসিস। কিন্তু এরই মাঝে একদিন আবিস্কার হল অদ্ভুত কিছু নতুন পদার্থ। প্রচন্ড শক্তিশালী রেডিওএকটিভ পদার্থ, যেগুলো ব্যবহার করে প্রচুর পরিমানে সস্তা এনার্জি পাওয়া সম্ভব। কিভাবে এগুলো এল? বাস্তব মহাবিশ্বের আইন অনুসারে এরকম পদার্থের কোন অস্তিত্বই থাকার কথা নয়। এভাবেই পৃথিবীর মানুষ পেল ইলেট্রন পাম্প। সমান্তরাল মহাবিশ্বের বুদ্ধিমান অস্তিত্বরা আমাদের সাথে পদার্থ বিনিময় করতে আগ্রহী। আমাদের এখানে যে জিনিসটা সাধারন, খুবই সহজলভ্য, সেটা তাদের জগতে দারুণ দামী, প্রচুর এনার্জির ভান্ডার। আমাদের ক্ষেত্রেও বিষয়টা ঠিক তাই। ওদের কাছে সহজলভ্য ইউরেনিয়াম ১৮৬ আমাদের কাছে প্রচন্ড দামী এবং জিনিসটা প্রচুর এনার্জির উতস!! চেহারা পরিবর্তন হয়ে যায় পৃথিবীর। এই প্রথম সর্বকালের ইতিহাসে মানুষ অপরিমেয় এনার্জির মালিক হল। পরিবর্তন হল অর্থনিতীতে, পরিবর্তন হল রাজনিতী এবং সামাজিক অবস্থায়। কিন্তু অল্প কিছু মানুষ বুঝতে পারলেন, এই ইলেকট্রন পাম্প ব্যবহারের ভবিষ্যত হতে পারে ভয়াবহ। হয়ত এর ফলে আমাদের সুর্য্য নোভাতে পরিনত হতে পারে, মুহুর্তেই পৃথিবীকে পরিনত করতে পারে পোড়া অঙ্গারের টুকরোয়। কিন্তু পৃথিবীর মানুষ এ কথা মানবে কেন!! ইলেকট্রন পাম্প যে সাংঘাতিক লোভণীয় একটা জিনিস!! আর কয়েক হাজার বছর পরে কি হবে সেটা নিয়ে কয়জনই বা মাথা ঘামায়!! মানুষ চোখবন্ধ করে রাখার চিন্তা করে। কিন্তু সবাই নয়, সচেতন মানুষ সবসময় ছিল, থাকবে। আর তাই একজন ভাষাবিদ, একজন ট্যুরিস্ট গাইড, দুজন রেডিও কেমিস্ট প্রানপনে চেষ্টা করে চলেছেন এই বিপদ ঠেকাতে... আমি জানি না এই বইটা কেন নেবুলা আর হুগো এওয়ার্ড পেল। বইটা নি:সন্দেহে একটা ভাল সায়েন্স ফিকশন বই, কিন্তু কিছুতেই পরিস্কার নয় আমার কাছে কেন এটা পুরস্কার পেল!! আশাকরি কোন পাঠক হয়ত বুঝতে পারবেন আর সেই জ্ঞান শেয়ার করবেন সবার সাথে। বইটা কিনে পড়ুন, সংগ্রহে রাখুন। আজিমভ একজন অসাধারন লেখক, তার বেশিরভাগ বইই ট্রেজার করে রাখার মত বই।