User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
Outstanding work with awesome printing
Was this review helpful to you?
or
Nice book and I am so lucky because I got very early. Thank you.
Was this review helpful to you?
or
অসম্ভব ভালো লেগেছে
Was this review helpful to you?
or
good book
Was this review helpful to you?
or
অনেক ধন্যবাদ।
Was this review helpful to you?
or
কাজী নজরুল ইসলাম আমার অন্যতম প্রিয় কবি। নজরুলের সাম্যবাদী কাব্যগ্রন্থটি খুবই খুবই পছন্দের। যতবারই পড়ি ততবারই ভালো লাগে। এমন কাব্যগ্রন্থ নজ্রুলের দ্বারাই সম্ভব।
Was this review helpful to you?
or
আমার অন্যতম পছন্দের বই।
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নাম : সাম্যবাদী লেখক: কাজী নজরুল ইসলাম বাঙালির জাতীয় জীবনে সবচেয়ে প্রিয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। তার কবিতায় সমাজের জুলুম,নির্যাতিত,অত্যাচারিত মানুষ এক বিশেষ মর্যাদায় উপস্থাপিত হয়ছে। তাঁর কবিতায় অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী মনোভাব ফুটে ওঠার কারণেই তিনি বিদ্রোহী কবি নামে পরিচিত। সাম্যবাদী চেতনার বিকাশ ঘটাতে বইটি তুলনাহীন এবং অবশ্য পাঠ্য।
Was this review helpful to you?
or
কলমের আঁচড়ে বিদ্রোহীতার চরম স্বাক্ষরে কাজী নজরুল ইসলাম অনবদ্য এক ইতিহাসের নাম। তাঁর বিদ্রোহী বাণী শুধু বাঙালিকে নয়, বরং বিশ্বের টনক নড়িয়েছে। সাম্যবাদী কাব্যগ্রন্থটি এক অনবদ্য সংকলন। সর্বোপরি, রকমারি'কে ধন্যবাদ জানাই....
Was this review helpful to you?
or
চক্রবাক ও বিষের বাঁশী তে নজরুলের রোমান্টিক ও বিদ্রোহী সত্ত্বার পরিচয় পাওয়া যায়।আর "সাম্যবাদী"তে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর সাম্যবাদের স্বরূপ। নজরুলের সাম্যবাদের গুরু কার্ল মার্কস নন বরং ভারতীয় সুফি,ঋষি বা উভয়েই।মূলত প্রচলিত অর্থে সাম্যবাদ বলতে যা বোঝায় নজরুলের সাম্যবাদ তার ব্যতীক্রম।ক্ষেত্রগুপ্ত বলেছেন,"নজরুলের সাম্যবাদ একান্তই মানববাদী আবেগজাত ভাবনা।" কবিতাগুলোর মধ্যে দিয়ে তিনি প্রমান করতে চুয়েছেন যে মানুষের সবচেয়ে বড় পরিচয় হল যে সে একজন "মানুষ"।তাই জাতি,ধর্ম,বর্ণ,লিঙ্গ,শ্রেণী,পেশা ইত্যাদির ভিত্তিতে মানুষের মাঝে বৈষম্যের প্রাচীর গড়ে তোলার ব্যাপারে তিনি ঘোর বিরোধী। কাব্যের প্রতিটি কবিতায় তিনি বারবার বলছেন যে তাঁর ছোখে চোর-সাধু,পুরুষ-রমনী,ধনী-দরিদ্র,সৎ-অসৎ,পাপী-তাপী সবাই সমান। আসলে প্রজ্ঞার চেয়ে কবিতাগুলোতে আবেগের প্রাধান্যই বেশি।আর হিন্দু-মুসলমান সম্প্রীতি কামনা এ কাব্যের এক বিশিষ্ট অংশ।মোল্লা-পুরুতদের ভন্ডামিকে তিনি অত্যন্ত দক্ষতার সাথে তুলো ধরেছেন। প্রচুর পৌরাণিক কাহিনী ও ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বের স্বার্থক উপস্থাপন কাব্যটিকে ভিন্ন মাত্রা দান করেছে। এক কথায় একাব্যে কবির সাম্যবাদী চেতনার চরম স্ফূরণ ঘটেছে।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_রিভিউ_প্রতিযোগ_এপ্রিল বই:সাম্যবাদী লেখক:কাজী নজরুল ইসলাম প্রকাশক:আগামী প্রকাশনী ধরন:বাংলা কবিতা মূল্য:৭৭ টাকা মাত্র "গাহি সাম্যের গান_ মানুষের চেয়ে বড় কিছু নয়,নহে কিছু মহীয়ান! নাই দেশ-কাল-পাত্রের ভেদ,অভেদ ধর্ম জাতি, সব দেশে,সব কালে,ঘরে ঘরে তিনি মানুষের জ্ঞাতি। _মানুষ কবিতাংশটুকু বিদ্রোহী কবি,সাম্যবাদের কবি কাজী নজরুলের "সাম্যবাদী" কাব্যগ্রন্থের "মানুষ" নামক কবিতা থেকে উদ্ধৃত হয়েছে।বাঙালির জাতীয় জীবনে সবচেয়ে প্রিয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম।তিনি তার সাম্যবাদী ও বিদ্রোহী মনোভাবের কারণে ই সর্বাধিক পরিচিত।নিপীড়িত,মজলুম ও দারিদ্রপীড়িত মানুষ নজরুলেরর কবিতা জুড়ে এক বিশেষ মর্যাদায় রয়েছে।"সাম্যের প্রকাশ" নজরুল ইসলামের সমাজ চেতনার অন্যতম বৈশিষ্ট্য। কবি নজরুলের "সাম্যবাদী" বইটিতে আপাতদৃষ্টিতে মনে হতে পারে ১১ টি কবিতা রয়েছে।আসলে কবি নজরুল "সাম্যবাদী" শিরোনামে কবিতা লিখেছিলেন একটিই।বাকি ১০টি কবিতা এই "সাম্যবাদী" কবিতার মূল শিরোনামের অন্তর্ভূক্ত ১০টি উপশিরোনামের মাত্র। প্রতিটি কবিতায় স্পষ্ট ভাবে ফুটে উঠেছে কাজী নজরুলের সাম্যবাবাদী মনোভাব।আর প্রকাশ পেয়েছে তার ব্যক্তিমানস।কবিতাগুলোতে আরও প্রকাশ পেয়েছে মানবতা,শ্রেণি চেতনা,দলিত সম্প্রদায়ের মর্যাদা,জেন্ডার চেতনার অগ্রপথিকৃতি প্রভৃতি।কবিতাগুলোর রয়েছে বিভিন্ন দিক-কবিতার স্বরুপ,প্রকরণগত দিক প্রভৃতি। প্রতিটি কবিতা কবি নজরুল "গাহি সাম্যের গান" বা "সাম্যের গান গাই" উদ্ধৃতি দিয়ে শুরু করেছেন।যেহেতু কবি নজরুল ইসলাম সাম্য খুঁজেছেন বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যেও,তাই এসেছে বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থের নাম,এমনকি উপাসনালয়,ধর্ম প্রচারকদের নাম এবং ধর্নকেন্দ্রসমূহের নামও। ♦কোরান-পুরাণ-বেদ-বেদান্ত-বাইবেল-ত্রিপিটক- জেন্দাবেস্তা-গ্রন্থ সাহেব [ধর্মগ্রন্থের নাম] ♦....নীলাচল,কাশী,মথুরা,বৃন্দাবন,মদিনা,কাবা-ভবন [ধর্মকেন্দ্রের নাম] ♦মসজিদ এই,মন্দির এই,গির্জা এই হ্রদয় [উপাসনালয়ের নাম] নজরুলের সাম্যবাদী চেতনার স্বরুপটি এখানে প্রস্ফুটিত হয়ে আছে।"সাম্যবাদী" নামাঙ্কিত কবিতার বইটির মূল প্রণোদনা ফুটে উঠেছে এর প্রকরণগত দিকসহ বিভিন্ন দিককে কেন্দ্র করে।কবিতাগুলোতে যে উপমা-অলংকার ও অন্যান্য প্রকরণ ব্যবহৃত হয়েছে তা সাম্যবাদী চেতনাকে আরো পরিস্ফুটন করে তুলেছে খুব স্পষ্টভাবে। সাম্যবাদী চেতনার বিকাশ ঘটাতে বইটি তুলনাহীন এবং অবশ্য পাঠ্য।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগীতা বইয়ের নাম-সাম্যবাদী জনরা-কবিতা কবি-কাজী নজরুল ইসলাম মূল্য-৮০ সাম্যবাদী কাজী নজরুল ইসলাম রচিত ১৯২৫ সালের ডিসেম্বরে প্রকাশিত একটি কাব্যগ্রন্থ। নজরুল বিদ্রোহী কবি। নজরুল প্রেমিক কবি। নজরুল সাম্যবাদী কবি। এ কাব্যে জাতি, লিঙ্গ, ধর্ম নিয়ে মানুষের মাঝে সাম্যের কথা বলেছেন। সাম্যবাদ কবির অন্তরেই স্থাপিত। নজরুলের সাম্যবাদের মূল উৎস মানুষ। মানুষকে তিনি গভীরভাবে ভালবাসেন , মানুষের প্রতি কোন অন্যায় অবিচার তিনি সহ্য করতে পারতেন না। মানুষ হয়ে কোন মানুষকে অত্যাচার করবে তা তিনি মানতে পারতেন না। মানুষের ভেদাভেদও তিনি মানতে পারতেন না। নর-নারী মধ্য অধিকার বৈষম্যের তিনি বিরোধী। তিনি সকল ধর্মের উপরে মানবধর্মকে উপরে স্থান দিয়েছিলেন। তার সাম্যবাদ ঈশ্বরকে অস্বীকার করে না। মানুষের মাঝে তিনি সৃষ্টিকর্তাকে প্রতক্ষ্য করতেন। কার্ল মার্কেসের মত তাঁর সাম্যবাদ নাস্তিকতার নয় আস্তিক সাম্যবাদ। মানুষ হয়ে মানুষকে অপমান করবে , অত্যাচার করবে তা তিনি কখনেই মেনে নিতেন না। তাই মানুষের মাঝে এসব বৈষম্যের অবসান হোক তাই চাইতেন। সাম্যবাদের মূল সুর মানুষে মানুষে সমতা। "সাম্য" কবিতায় তিনি বলেন, "হেথা স্রষ্টার ভজন আলয় এই দেহ এই মন, হেথা মানুষের বেদনায় তার দুঃখের সিংহাসন। সাড়া দেন তিনি এখানে তাঁহারে যে নামে যে কেহ ডাকে, যেমন ডাকিয়া সাড়া পায় শিশু যে নামে ডাকে সে মাকে।" নজরুলের সাম্যবাদ সব ধর্মের একাত্মা। "গাহি সাম্যের গান যেখানে আসিয়া এক হয়ে গেছে সব বাধা ব্যবধান, যেখানে মিশেছে হিন্দু-বোদ্ধ-মুসলিম-ক্রীশ্চান।" কবির উপলব্ধি করেছেন, পুরুষশাসিত সমাজে নারী পুরুষের সাম্য নেই। নারী লাঞ্চিত, অপমানিত, অবহেলিত। অথচ সমাজ সভ্যতায় নারীর ভূমিকা কম নয়। তাই বলেন, "বিশ্বে যা-কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যানকর অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।" নারী কবিতায় কবি পুরুষ ও নারীর সাম্যের কথা বলেছেন। বারাঙ্গনা কাব্য বারাঙ্গনাকে কবি মা বলেছেন। সতী সাধ্বী নারীর মর্যাদা দিয়োছেন। "ঈশ্বর" কবিতায় কবি বলেন, পৃথিবীর কোথাও ঈশ্বরকে খোজার দরকার নেই। মানুষের মাঝেই ঈশ্বর কে পাওয়া যায়। এমনকি স্বর্গ নরকও মানুষের মাঝেই অবস্থান। "মানুষ" কবিতায় সব কিছুর উপরে তিনি মানুষকে তুলে ধরেছেন। "মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান।" "কুলি-মজুর" কবিতায় সর্বস্তরের মানুষকে তিনি সম্মান দেয়ার কথা বলেছেন। হোক সে রাখাল বা চন্ডাল। কোন স্তরের মানুষদের প্রতি ঘৃণা নয়। " চাষা বলে কর ঘৃণা! দেখো চাষা-রূপে লুকায় জনক বলরাম এলো কিনা!" সকল মানুষকে এক হয়ে মৈত্রী ও ভ্রাতৃত্বের পতকা তলে আহ্বান করেছেন। সকল ধর্মগ্রন্থ থেকে মানুষের হৃদয় বড় করে দেখেছেন। "সকল কালের সকল দেশের সকল মানুষ আসি, এক মোহনায় দাঁড়াইয়া শুন এক মিলনের বাঁশী।" নজরুলের সাম্যবাদ হলো, জাতি ধর্মের কোন বিবাদ থাকবে না। ঈশ্বর সবার মাঝেই আছে। মানুষ সম্পর্কে তার ধারণা অনেক। সাধারন মানুষের মধ্যে অসাধারন শক্তির সম্ভাবনায় কবি বিশ্বাসী। পাপী-তাপী ও বারাঙ্গনায় ভেতরে যে মানবসত্তা তা তিনি অস্বীকার করতে চান না। সমাজ সভ্যতায় পুরুষের ন্যায় নারীর অবদান অবশ্যই তাই তিনি তাদের মাঝেও কোন অধিকারের বৈষম্য মানতে চান না। নজরুলের সাম্য সকল মানুষ এক। মানুষ সৃষ্টিকর্তার শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি। এই শ্রেষ্ঠ সৃষ্টিকে অপমান বা লাঞ্চিত নয়। বরং সকল মানুষ সম্মানীয়। https://www.rokomari.com/book/2874/সাম্যবাদী
Was this review helpful to you?
or
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের উপাধি হচ্ছে, 'বিদ্রোহী'! আমরা অনেকেই ভাবি যে, কবি মনে হয় বিদ্রোহের কবিতাই লিখে গেছেন। আদতে তা নয়! কবির যে অনেক বড় একটি মন ছিল তা বোঝা যায় এই "সাম্যবাদী" নামক কবিতার বই পড়েই! পুরোটা বই জুড়েই মানবতার জয়গানে মুখরিত হয়ে আছে! কবি যেন মানবতার জয়গানেই আনন্দ পান। সাম্যবাদী কবিতায় কবি সকলকে মানুষ হিসেবে দেখতে চেয়েছেন। কারো পদের দিকে না তাকিয়ে তাকাতে হবে তার সৃষ্টির দিকে! তাঁর আসল পরিচয় সে একজন মানুষ! কবিতার শেষ লাইনটা পড়লেই পুরো কবিতার সারমর্ম বুঝে আসবে, "মিথ্যা শুনিনি ভাই, এই হৃদয়ের চেয়ে বড়ো কোনো মন্দির-কাবা নাই।" এখানে কবি সাম্প্রদায়িকতার যেই চরম পরিচয় দিয়েছেন তা সত্যিই অবিস্মরণীয়। ঈশ্বর কবিতা নিয়ে কোনো কৌতুহল নয়! সকল জায়গায় সৃষ্টিকর্তা আছে! কোথায় নেই? যে কোন জায়গায় খুজলেই পাওয়া যাবে সৃষ্টিকর্তা-কে! আপনার ভিতরেই যে স্রষ্টা লুকায়িত সেই কথাটাই কবি পুরো কবিতার মাধ্যমে পাঠককে বুঝাতে চেয়েছেন। আর 'মানুষ' কবিতা তো নজরুলের অমর কবিতা! কত চরম, করুন দৃশ্য কবি ফুটিয়ে তুলেছেন কলমের ডগায় তা ভাবলেই চোখে জল চলে আসে! উচু নিচু বেধ না করিয়া দুনিয়াতে কাধে কাধ মিলিয়ে দুনিয়াতে চলতে, ফিরতে সমস্যা কোথায়? উচু নিচু বেধ না করে মানুষকে মানুষ মনে করে আপন ভেবে চলার জন্যই কবি এই কবিতার প্রতিটি লাইনের মাধ্যমে আমাদেরকে মূল্যবান উপদেশ দিয়েছেন! যা সত্যিই মহা মূল্যবান! কবিতার দৃশ্য গুলো দেখতে চাইলে কবিতাটি পড়ে ফেলুন!পাপ কবিতায় কবি বললেন অচেনা এক কথা! পৃথিবীটা তো পাপের সাম্রাজ্য! সাধারণ মানুষের মধ্যে কে আছে? যে পাপ করে না! সকলেই পাপ করে! কবি মনে করিয়ে দিলেন এক চিরসত্য বাক্য, "পাপকে ঘৃনা করো! পাপীকে নয়" ফেরেশতাদের স্বর্গ সভার যেই মজার দৃশ্য নজরুল ফুটিয়ে তুলেছেন ছন্দে ছন্দে, তা সত্যিই মনে রাখার মতো! দৃশ্যটি দেখতে চাইলে বইয়ের পাতায় চোখ রাখতে হবে! চোর -ডাকাত নামক কবিতার মাধ্যমে কবি সবাইকেই চোর বা ডাকাত সাব্যস্ত করেছেন! হয়তো কেহ দৃশ্যমান আর কেহ অদৃশ্যমান! পার্থক্য এটাই। এই বইয়ের সবচেয়ে আকর্ষণীয় কবিতা, "নারী" এখানে কবি নারীদের পক্ষে কথা বলে তাদের যেই অবদান আমাদের সমাজে সেটা বুঝাতে চেয়েছেন। নারীদের পক্ষে অনেক উপমা আনা হয়েছে ছন্দে ছন্দে! আর মাঝে মাঝে কিছু বিদ্রোহী ভাব ফুটে উঠেছে স্পষ্ট ভাবেই! রাজা প্রজা পড়লেই বুঝতে পারবেন যে, আসলে একজন রাজা আর প্রজার মাঝে কোন ভেদ নেই! সত্যিকার অর্থে, রাজার চেয়ে প্রজাই বেশী সম্মানিত! পরিশেষে কবি কুলি মজুরের দুঃখ, দুর্দশা, নির্যাতিত হওয়ার করুন দৃশ্য পাঠকের সামনে তুলে ধরেছেন। চোখে জল চলে আসার মতো দৃশ্য! এক ধরনি কারা গড়ে তুলেছে? আপনি নাকি আমি? নাহ! আমরা কেউই নই! সব অবদান ঐ কুলি মজুরদের!এরপর কবিতা সমূহ নিয়ে গবেষণা করে বিভিন্ন কথা পাঠকের সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে। বিভিন্ন কবিতার অনেক লাইন অনেক কঠিন শব্দের কারণে হয়তো বা পাঠকের বুঝে নাও আসতে পারে! সেজন্যই পাঠকের বুঝার সুবিধার্থে প্রকাশনী তাদের যথা সাধ্য অনুযায়ী ব্যখ্যা করার চেষ্টা করেছে! এই মূল্যবান কাজটির জন্য প্রকাশনী অবশ্যই প্রশংসার প্রবল দাবীদার। বইটি পড়ে ভালো লেগেছে। কারণ, শুধু মানুষের জয়গানেই বইটা মুখরিত! মানুষকে মানুষ হিসেবে চিনতে, বুঝতে, বিচার করতে কাজী নজরুল ইসলাম ছন্দে ছন্দে, ইতিহাসের বহু দৃশ্য পাঠকের সামনে তুলে ধরেছেন। যা অবশ্যই পাঠকের কোমল মনে গেথে যাবার মতই! সবশেষে এটাই বলা যায় যে, মানবতার জয়গানে মুখরিত কাজী নজরুল ইসলামের "সাম্যবাদী" আসুন! মানবতার জয়গানের স্লোগান দেওয়া নজরুলকে চেনার জন্য কবিতার বইটা পড়া শুরু করি! আর প্রতিটি লাইনে প্রিয় কবির চেনা স্বরে নিজেকে সতেজ করি। জয় হোক মানবতার।
Was this review helpful to you?
or
কাজী নজরুলের অন্যতম জনপ্রিয় কাব্যগ্রন্থ 'সাম্যবাদী'। এই কাব্যগ্রন্থের প্রায় সবগুলো কবিতা যেমনঃ সাম্যবাদী, কুলি মজুরের মতো কবিতা তো পাঠকপ্রিয় ছিল, আছে এবং থাকবে। সর্বমোট ১১টি কবিতা রয়েছে। সবগুলোতেই সামাজিক অনাচার, শোষণ আর বৈষম্যে ভরা সমাজ বাদেও ধর্মের নামে ভণ্ডামিকে তীব্র ভাষায় আক্রমণের পাশাপাশি সাম্যের জয়গান গেয়েছেন কবি। অতিঅবশ্য পাঠ্য।