User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
Well
Was this review helpful to you?
or
গুরু
Was this review helpful to you?
or
ভালো
Was this review helpful to you?
or
Good
Was this review helpful to you?
or
Excellent
Was this review helpful to you?
or
vlo
Was this review helpful to you?
or
Amr dekha best writer kazi nazrul islam ❤️??
Was this review helpful to you?
or
???
Was this review helpful to you?
or
অগ্নিবীণার দ্বিতীয় খন্ড বিষের বাঁশী। অগ্নিবীণার মতোই এই বইয়ের কিছু কবিতায় আছে তীব্র বিদ্রোহ, আবার আছে ধর্ম ও প্রেম। তবে নজরুল শুধু বিদ্রোহী নয় তিনি ছিলেন সত্যের পূজারী। তাই "অভয় মন্ত্র" কবিতায় কবি বলেছেন, বল নাহি ভয়, নাহি ভয় বল মাভৈঃ মাভৈঃ, জয় সত্যের জয়! ওরে সত্য যে চির স্বয়ম প্রকাশ, রোধিবে কি তারে কারাগার ফাঁস। আবার, আত্মশক্তি কবিতায় তিনি বলেছেন, ঈর্ষা-রণ ভীম-মাতন পদাঘাতে আনে পঞ্জরে শুধু আত্মা -বল-অবিশ্বাসীর, মহাপাপী সেই,সত্য যাহার পর-পদানত আনত শির! কবি ছিলেন দুঃসাহসিক। যিনি মৃত্যুকে বরণ করার কথা বলেছেন। মরণ-বরণ কবিতায় তিনি বলেছেন, এসো এসো এসো ওগো মরণ! এই মরণ-ভীতু মানুষ-মেষের ভয় করো তো হরণ॥ না বেরিয়েই পথে যারা পথের ভয়ে ঘরে বন্ধ-করা অন্ধকারে মরার আগেই মরে, তাতা থইথই তাতা থইথই তাদের বুকের পরে ভীম রুদ্রতালে নাচুক তোমার ভাঙন-ভরা চরণ॥ দীপক রাগে বাজাও জীবন-বাঁশি, মড়ার মুখেও আগুন উঠুক হাসি। কাঁধে পিঠে কাঁদে যেথা শিকল জুতোর-ছাপ, নাই সেখানে মানুষ সেথা বাঁচা-ও মহাপাপ। সে দেশের বুকে শ্মশান-মশান জ্বালুক তোমার শাপ, সেথা জাগুক নবীন সৃষ্টি আবার হোক নব নামকরণ॥ সত্যই নজরুল অনন্য। যত পড়ছি ততই মুগ্ধ হচ্ছি। কিছু কিছু কবিতা বুঝতে একটু কষ্ট হচ্ছে তবুও অসাধারণ অনুভূতি।
Was this review helpful to you?
or
‘অগ্নিবীণা’ দ্বিতীয় খণ্ড নাম দিয়ে তাতে যেসব কবিতা ও গান দেব বলে এতকাল ধরে বিজ্ঞাপন দিচ্ছিলাম, সেইসব কবিতা ও গান দিয়ে এই ‘বিষের বাঁশি’ প্রকাশ করলাম। নানা কারণে ‘অগ্নিবীণা’ দ্বিতীয় খণ্ড নাম বদলে ‘বিষের বাঁশি’ নামকরণ করলাম। বিশেষ কারণে কয়েকটি কবিতা ও গান বাদ দিতে বাধ্য হলাম। কারণ ‘আইন’-রূপ ‘আয়ান ঘোষ’ যতক্ষণ তার বাঁশ উঁচিয়ে আছে, ততক্ষণ বাঁশিতে তথাকথিত ‘বিদ্রোহ’-রাধার নাম না নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। ওই ঘোষের পো-র বাঁশ বাঁশির চেয়ে অনেক শক্ত। বাঁশে ও বাঁশিতে বাঁশাবাঁশি লাগলে বাঁশিরই ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কেননা, বাঁশি হচ্ছে সুরের, আর বাঁশ হচ্ছে অসুরের।
Was this review helpful to you?
or
অগ্নিবীনার ২য় খন্ড হল বিষের বাঁশি কাব্যগ্রন্থ টি। এই কাব্য গ্রন্থে কবি তার অাধ্যাত্বিক শক্তি দিয়ে সেই সকল নরপশুদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছেন। গাইছেন ঐক্যের বীনা,যে বীনায় সুর তুলেছে বৃষধর বাঁশি। যে বাশিঁর সুর অসুরের শক্তিকে দূর্বল করবে,তাদের অন্তরে কঠিন অাঘাত করবে। যাইহোক ভালবাসার কবিতা ও ছিল কয়েকখানি। অামি চাই,কাবপ্রেমীরা তার প্রত্যেকটি কাব্যগ্রন্থ রকমারি থেকে ক্রয় করবেন।
Was this review helpful to you?
or
নজরুলের মোট পাঁচটি গ্রন্থ নিষিদ্ধ করেছিল অভিশপ্ত ইংরেজ সরকার। এই পাঁচটি নিষিদ্ধ পুস্তকের পয়লাটি হলো 'বিষের বাঁশী' কাব্যগ্রন্থ। এই কাব্যগ্রন্থের ভূমিকাটি লিখেছিলেন কবি নিজেই। ফাতেহা ই দোয়াজদহম দিয়ে শুরু হয়েছে বইটি। অনেকগুলো ভালো কবিতা আছে। আত্মশক্তি, বন্দীর-বন্দনা আমার অন্যতম প্রিয় কবিতা। আগামী প্রকাশনী নতুন করে বইটি প্রকাশ করেছে। পৃষ্ঠার মান ভালো। তাই হয়তো দামটা একটু বাড়তি।
Was this review helpful to you?
or
বাংলাসাহিত্যে আজ পর্যন্ত যতজন কবি-লেখক জন্মগ্রহণ করেছেন তাঁদের মধ্যে কবি কাজী নজরুল ইসলামকে সবচেয়ে প্রতিভাবান বললে অত্যুক্তি হবেনা মোটেও।তিনি একই সাথে রোমান্টিক এবং বিদ্রোহী কবি;তাঁর এক হাতে বাঁকা বাঁশের বাঁশরী অন্য হাতে রণ তূর্য;তাঁর একই কণ্ঠে ধ্বণিত হয়েছে কখনও তূর্যনিনাদ কখনওবা বৃন্দাবনের সূর। "বিষের বাঁশী" কবি নজরুলের সাহিত্যজীবনের অনতম শ্রেষ্ঠ কীর্তি।এই কাব্যগ্রন্থের মধ্য দিয়েই তাঁর বিদ্রোহী কবি সত্ত্বার সার্থক বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।"চক্রবাক" এর মত রোমান্টিক আবহ এখানে অনুপস্থিত।তবে প্রথম কবিতা দু'টি ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ,এছাড়া অন্য কবিতা গুলো তীব্র বিদ্রোহের আগুনে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। কাব্যগ্রন্থটিতে মোট ২৫টি কবিতা আছে।তাছাড়া ১টি শিরোনামহীন কবিতা ও ১টি উৎসর্গ কবিতাও আছে। বোধন,শিকল পরার গান,চরকার গান,জাতের বজ্জাতি,যুগান্তরের গান,বিদ্রোহীর বাণী, মুক্তি সেবকের গান ইত্যাদি কবিতাগুলোর কথা না বললেই নয়।কবিতাগুলোর মধ্য দিয়ে কবির মনের তিক্ত ভাবনাগুলো ভাষারূপ পেয়েছে।এ কাব্যগ্রন্থ সম্পর্কে কবি বলেছেন,"বিষের বাঁশীর বিষ জুগিয়েছে আমার নিপীড়িতা দেশ-মাতা,আর আমার ওপর বিধাতার সকল রকম আঘাতের অত্যাচার।" ১৩৩১ সালে প্রকাশিত হওয়ার পরই গ্রন্থটি বাজেয়াপ্ত করা হয়।কবির দেশপ্রেম ও জাতিগত-সচেতনতার এক মূর্ত প্রতীক এই "বিষের বাঁশী"।যতদিন পর্যন্ত বাঙালি জাতি নিজ দেশ ও দায়িত্ব-কর্তব্য সম্পর্কে অচেতন থাকবে;ততদিন পর্যন্ত এই বিষের বাঁশীর দংশনে তারা নীল হতে থাকবে।