User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
একটি কবিতার বই।। রেটিং:-০৯/১০ লেখক:-কাজী নজরুল ইসলাম। ব্যাক্তিগত মতামত:-কাজী নজ্রুল ইসলাম এর কবিতা আমার সবথেকে ভালো লাগে। এই বই এর চক্রবাক,পথচারী, হিংসাতুর,কুহেলিকা,গানের আড়াল কবিতাগুলো বেশি ভালো লেগেছে।পদ্য প্রিয় মানুষদের জন্য বিশেষভাবে হয়ত তৈরি এটি।আসলেই অসাধারণ লেখক ছিলেন তিনি।যার কির্তী স্বয়ং এই বই।
Was this review helpful to you?
or
রকমারি_রিভিউ_প্রগিযোগ_মে বই:চক্রবাক লেখক:কাজী নজরুল ইসলাম প্রকাশক:আগামী প্রকাশনী ধরন:কাব্যগ্রন্থ "এপার ওপার জুড়িয়া অন্ধকার মধ্যে অকুল রহস্য পারাবার; তারি এই কূলে নিশি নিশি কাঁদে জাগি চক্রবাক সে চক্রবাকীর লাগি" -চক্রবাক বিরহ ও বেদনার এই সৌন্দর্য সন্ধান কবি কাজী নজরুলের "চক্রবাক" কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত "চক্রবাক" কবিতায় এসে উত্তীর্ণ হয়েছে পরমার্থ চেতনায়।বেদনা বিজয়ী কবি নজরুল তার এই কবিতায় যেমন প্রেমের রহস্যলোকে বিরহকে পরমসত্য অনন্ত মধুর রুপে গ্রহণ করেছেন এবং বিরহের সৌন্দর্য সন্ধানকে-ই আপন কবি সত্তার মৌল ব্রত ও পরম প্রাণনা হিসেবে আবিষ্কার করেছেন,তেমনি "চক্রবাক"কাব্যটিতে ধরা পড়েছে কবি নজরুলের রোমান্টিক,শাশ্বত,বেদনা বিজয়ী,কাব্যরস এবং সকল চারিত্র্যবৈশিষ্ট্য স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। কবি নজরুল রচিত কাব্যগ্রন্থ গুলোর মধ্যে "চক্রবাক"অন্যতম।শুধু অন্যতম-ই নয়,কাব্যগ্রন্থটিতে কবি কাজী নজরুল ইসলাম তার কবিত্বের সকল গুণাবলি উজাড় করে দিয়েছেন।বইটিতে রয়েছে শিরোনামহীন কবিতা বাদে অসাধারণ ও চমৎকার ১৯টি কবিতা যা কবি নজরুলের গীতল কাব্যরসেসে সিক্ত কবিতার শিরোনাম গুলো- ১.তোমারে পড়িছে মনে, ২.বাদল রাতের পাখি, ৩.স্তব্ধ রাতে, ৪.বাতায়ন-পাশে গুবাক-তরুর সারি, ৫.কর্ণফুলী, ৬.শীতের সিন্ধু, ৭.পথচারী, ৮.মিলন-মোহনায়, ৯.গানের আড়াল, ১০.তুমি মোরে ভুলিয়াছ, ১১.হিংসাতুর, ১২.বর্ষা-বিদায়, ১৩.সাজিয়াছি বর মৃত্যুর উৎসে ১৪.অপরাধ শুধু মনে থাক, ১৫.আড়াল, ১৬.নদীপারের মেয়ে, ১৭.১৪০০ সাল, ১৮.চক্রবাক এবং ১৯.কুহেলিকা। রোমান্টিক চারিত্র্যবৈশিষ্ট্য যে কবির স্বভাব লক্ষণ তা উপরোক্ত কবিতাগুলো পাঠ করলে ই উপলব্ধি করা যায়।যেসব ভাগ্যবান ব্যক্তিরা কবিতা গুলো পড়েছেন,তারা হয়তো উপলব্ধি করতে পারছেন আর আহরণ করতে সক্ষম হয়েছেন কবি নজরুলে "চক্রবাক" এর গীতল আর রোমান্টিক কাব্যরস।কবিতাগুলো পাঠকদের উপলব্ধি করায় কবি নজরুলের কবিচৈতন্যের সূক্ষ্ম রহস্যবোধের চেতনা,মননপ্রধান উদ্দাম,কৌতুহলবোধ এবং প্রকৃতিলোকে আত্মভাবের বিস্তারণ নামক প্রধান রোমান্টিক বৈশিষ্ট্য। প্রেমের অঙ্গনে বিরহের শাশ্বত পরমার্থকে আবিষ্কার,রোমান্টিক প্রকৃতিবোধ এবং গীতল কাব্যরস সৃজনে কবি কাজী নজরুল অদ্বিতীয় এবং "চক্রবাক" তার একটি বিশিষ্ট কাব্য।কেবল ভাবগত দিক থেকেই নয়,প্রকরণ-প্রকৌশলের দিক দিয়েও একথা সমান প্রযোজ্য। বিষয়ানুরাগ,ভাষা ব্যবহার,উপমা,রুপক,উৎপ্রেক্ষা ও সমাসোক্তি অলঙ্কারের শিল্পিত সৃজন এবং ভাবের অন্তরাশ্রয়ী গীতোময় গতিবেগে "চক্রবাক" কবি কাজী নজরুলের কাব্য ধারার ইতিহাসে এক উজ্জ্বল নির্মাণ। কাব্য ধারার রোমান্টিক,শাশ্বত ও গীতল কাব্যরস আহরণ করতে আপনাকে অবশ্যই পড়তে হবে কবি নজরুলের "চক্রবাক"।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বইয়ের নাম-চক্রবাক জনরা-কবিতা কবি-কাজী নজরুল ইসলাম মূল্য-৮০ নজরুল ইসলামের প্রেমের কাব্য হলল চক্রবাক। প্রকাশিত হয় সাল ১৯২৯। কবি এই কাব্য উৎসর্গ করেন শ্রীযুক্ত সুরেন্দ্রনাথ মৈত্র। উৎসর্গ ও ভূমিকা ছাড়া ১৯ টি কবিতা। প্রেমের জগৎ সম্পর্কে কবির ধারনা "প্রেমের জগতে প্রাপ্তি নয় অপ্রাপ্তি, মিলন নয় বরং বিরহই সত্য, শাশ্বত প্রাপ্তি।" নজরুল ইসলাম মূলত রোমান্টিক কবি। যদিও বিদ্রহী কবি হিসেবেই আমরা ভালো করে পরিচিত। এই কাব্যে বিদ্রোহী কবির কোন ছাপ নেই, আছে প্রেম ও প্রকৃতি সংক্রান্ত চেতনা আর রোমান্টিক মানসের পরিচয় পাওয়া যায়। চক্রবাকে প্রেম আর প্রকৃতি নিয়েই কবির আলোকপাত। কবি তার প্রিয়াকে দেখেছেন প্রকৃতির মাঝে। প্রকৃতি আর প্রিয়াকে তিনি একাকার করে দিয়েছেন। প্রেম বিরহ চেতনা এবং যন্ত্রণা এই কাব্যের বৈশিষ্ট্য। কল্পনায় সাথে যে বাস্তবের তফাৎ এটা কবি বুঝিয়েছেন "তুমি মোরে ভুলিয়াছে" আর "চক্রবাক" কবিতায়। কল্পনায় যে প্রত্যাশা, তা কখনই বাস্তবে পুরণ হয় না। তাই কল্পনার প্রিয়ার সাথে বাস্তবের প্রিয়ারও কোন মিল পাওয়া যায় না। "এ যেন স্বপ্নে দেখা কবেকার সুখ, এ যেন কেবলি সুখ কেবলি এ সুখ" ইহারে দেখিতে হয়- ছোওয়া নাহি যায়, এ যেন মন্দার পুষ্প দেব অলকায়।" কবি এটা জানেন যে, প্রেমিকার পরিপূর্ণ রূপ এবং প্রেম অসম্ভব। চক্রবাক তার প্রেম সৌন্দর্যের কাব্য। প্রেমে ব্যর্থতায় অসহনীয় বেদনা, একাকিত্ব। চক্রবাকের আগের কাব্য গুলোতে কবি প্রিয়াকে কাছে পেতে হাতে ছুয়ে দেখবার জন্য ব্যকুল ছিলেন।না পাওয়ার বেদনার যন্ত্রণায় লীন হয়েছেন। কিন্তু এ কাব্যে না পেয়ে যে বেদনা অনুভূত হয়। তা উপভোগ করতে চেয়েছেন। তিনি পোড় খাওয়া অভিজ্ঞতায় বুঝতে পেরেছেন , জীবন পাওয়াতেই নয়, মিলনেই নয় বরং না পাওয়া আর বিরহেই সত্যি। চক্রবাকে কবি পুরো একা। এই বিরহ বেদনার সুর উচ্চারণ করেছেন। প্রেমের সাথে কবি প্রকৃতিও উচ্চারণ করেছেন কবি প্রেম বিরহে মুখ লুকাতে চেয়েছেন প্রকৃতিতে, "তোমার কাঁদনে আমার আঙনে নিভে যায় তারা বাতি তুমিও শুন্য আমিও শুন্য, এস মোর হব সাথী।" "বাদল রাতের পাখি" কবিতায় বর্ষাক্লান্ত রাতের পাখি প্রতীকে কবির মানসিকতা, বেদনা, অভিমান এবং স্মৃতি রূপায়িত হয়েছে, "বাতায়ন পাশে গুবাক তরুর সারি" 'কর্ণফুলি' কবিতায় কর্ণফুলির সাথে কল্পনার প্রিয়ার মিল। চক্রবাক কবিতায় প্রকৃতির মাঝে প্রিয়াকে সন্ধান করেছেন। শীতের সিন্ধু'তে কবি বিরহের জয়বার্তা ঘোষণা করেছেন। "পথচারী" কবিতায় সাগর সম বেদনা নিয়ে কবি জীবনের প্রতীক নদীতে বয়ে চলছেন বহু পঙ্কিলতা নিয়ে। আড়াল কবিতায় বিরহের বেদনা উচ্চারিত হয়েছে। বর্ষা বিদায় কবিতায় বর্ষা ঋতুর বিদায় উপলক্ষে বলেন, "তুমি চলে যাবে দূরে ভাদরের নদী দুকূল ছাপায়ে কাঁদে ছলছল সুরে।" নদীর পারের মেয়েতে কবি বলেছেন, "ফুলের বুকে দোলে কাঁটার অভিমানের মালা আমার কাঁটায় ঘায়ে বোঝ আমার বুকের জ্বালা।" চক্রবাক যেমন নজরুলের প্রেমচতনা ও প্রকৃতি বোধের শৈল্পিক আচড় কেটেছেন তেমনি শব্দ শৈল্পিকতায়ও অনন্য। চক্রবাকে কবির অধরা প্রেমিকার উদ্দেশ্য প্রেমময় স্তুতি পাঠ করেছেন। https://www.rokomari.com/book/2867/চক্রবাক
Was this review helpful to you?
or
চক্রবাক কাব্যে নজরুলের প্রেম,প্রকৃতি ও সৌন্দর্য চেতনার চরম বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।তবে কবি এখানে প্রেমে মিলন অপেক্ষা বিরহকে বেশি গুরুত্বদান করেছেন।আর এই বিরহকে তিনি উপলব্ধি করেছেন প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক উপাদানের মধ্য দিয়ে। দোলন চাঁপা,ছায়ানট বা সিন্ধু হিন্দোর কাব্যে প্রকাশিত অসংযত আবেগ চক্রবাকে এসে লাভ করেছে এক প্রশান্ত পরমার্থবোধ। রবীন্দ্রনাথের মত আবরোহী পদ্ধতিতে নয়,বরং জীবনানন্দের মত আরোহী পদ্ধতিতে তাঁর প্রেমভাবনা উপস্থাপিত হয়েছে।একাব্যে প্রেম আর প্রকৃতি নিয়েই তাঁর পথ চলা। এককথায় চক্রবাক কবির প্রেমচেতনার এক শিল্পিত দলিল।