User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
খুবই ভালো একটি বই I
Was this review helpful to you?
or
১৯৭১ সাল। রক্ত নদীর নয় মাস। অাজকের দিনে কাব্য, গাঁথাকাব্য, উপন্যাস, নাটক, প্রবন্ধ এবং ছোট গল্প নামক নানাবিধ সাহিত্য রচনা করা হয় মহান মুক্তিযুদ্ধের শ্বাসরুদ্ধকর ভয়াবহ বন্দীদশাকে উপজীব্য করে । যুগে যুগে যখনই কবি-সাহিত্যিকদের কলম চলেছে এ মহান মুক্তিযুদ্ধকে উপজীব্য করে, নিশ্চিতভাবে সাফল্যের সোনা ফলেছে ভয়াল সে দিনগুলি হতে সাহিত্যিকদের সৃষ্ট সাহিত্য নামক উর্বর ভূমিতে; সেই সাথে চোখ ছলছলিয়ে জল ফেলেছে কোটি কোটি বাঙ্গালী, বিবেকবান বিশ্ববাসী। রজনীর পর রজনী কেটে যাবে হয়ত, নব নব অাবেগে উদ্বেলিত হয়ে কলমও চালাবে অনেক নব্য কবি, সাহিত্যিক; তথাপিও অপ্রতুলতা থেকে যাবে – এ মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মরণে সৃষ্ট সকল সাহিত্যের । কারণ, পৃথিবীতে এখনও এত কলম তৈরীই হয়নি যে সীমাবদ্ধ কাগজের বুকে তাজা রক্তের অাচড়ে ইতি টেনে দিবে পাকিস্তানী নরপিশাচের দ্বারা সংঘটিত বর্বরতার। তবুও কলম চলে, দাগ কাটে সাদা কাগজের বুকে; তাজা রক্ত দেখে দেখে। কারণ, “রক্তের দাগ এখনো শুকায়নি”। বাংলা সাহিত্যাকাশের অনেক কবি, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, প্রবন্ধকার ইতোমধ্যে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে দিয়েছেন রক্ত নদী নয় মাসের ভয়াল সেই কালবৈশাখী ঝড়ের গল্প নতুন প্রজন্মের মাঝে। এরই সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে এগিয়ে চলেছেন অগণিত মুসাফির । সকলেই নওজোয়ানদের চোখে অাঙ্গুল দিয়ে দেখিয়েছেন সেই সময়ের নৃশংসতা; কাব্য, গান, নাটক, উপন্যাস, প্রবন্ধ প্রভৃতি রচনার মাধ্যমে।বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি অকথিত যুগসন্ধিক্ষণকে তিনি তুলে ধরেছেন এই উপন্যাসে। শেখ মুজিবের মৃত্যু থেকে শুরু করে জিয়ার মৃত্যু পর্যন্ত কালসীমায় ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলিকে গল্পের মতো করে বলে গেছেন। বিশাল ক্যানভাসের এই উপন্যাস আপনাকে এক নতুন বাংলাদেশ চেনাবে, জানাবে ইতিহাসের অনেক গোপন রহস্যময় ঘটনা।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা RF-07-018 বইঃ বন্দী শিবির থেকে লেখকঃ শামসুর রাহমান প্রচ্ছদঃ ধ্রুব এষ প্রকাশনীঃ বিউটি বুক হাউস পৃষ্ঠাঃ ৬৪ মূল্যঃ ১০০টাকা (রকমারি মূল্যঃ ৯০) "স্বাধীনতা তুমি রবি ঠাকুরের অজর কবিতা, অবিনাশী গান। স্বাধীনতা তুমি কাজী নজরুল ঝাঁকড়া চুলের বাবরি দোলানো মহান পুরুষ, সৃষ্টিসুখের উল্লাসে কাঁপা- স্বাধীনতা তুমি শহীদ মিনারে অমর একুশে ফেব্রুয়ারির উজ্জ্বল সভা স্বাধীনতা তুমি পতাকা-শোভিত শ্লোগান-মুখর ঝাঁঝালো মিছিল।" ... আমাদের স্বাধীনতা নিয়ে অসংখ্য কবিতা লিখা হয়েছে, এবং সামনেও আরো হবে, কিন্তু আমাদের স্বাধীনতার যে কী তীব্রতা, স্বাধীনতা যে আমাদের কাছে কতটুকু প্রানের ছন্দ, কতটুকু প্রতিবাদ আমাদের এই স্বাধীনতা, তা এই লাইনগুলির চেয়ে সুন্দর করে অতীতে কেউ বলেনি এবং বলা হবেও না। "তুমি আসবে ব‘লে, হে স্বাধীনতা, সাকিনা বিবির কপাল ভাঙলো, সিঁথির সিঁদুর মুছে গেল হরিদাসীর। .... ..... স্বাধীনতা, তোমার জন্যে মোল্লাবাড়ির এক বিধবা দাঁড়িয়ে আছে নড়বড়ে খুটি ধ’রে দগ্ধ ঘরের। স্বাধীনতা, তোমার জন্য হাড্ডিসার এক অনাথ কিশোরী শূন্য থালা হাতে ব’সে আছে পথের ধারে।" ...স্বাধীনতার মূল্য বোঝাতে আমরা কতো লাইন, কতো চিত্রকল্পই তো ব্যাবহার করি, কিন্তু এর চে জলন্ত চিত্রকল্প আর কি ই বা হতে পারে??? বইটিতে ৩৮টি কবিতা আছে। অথচ বইটির ওজন বোঝাতে উপরের দুটি কবিতাই কি যথেষ্ট নয়?? অথচ বাকী কবিতাগুলোও কি অসাধারণ মুগ্ধতা ছড়ায়! প্রেমিক হৃদয়ের অসহায়ত্ব এর চে সুন্দর করে আর কে বলেছিল? "দাউ দাউ পুড়ে যাচ্ছে নয়া বাজার, আমাদের চৌদিকে আগুন, গুলির ইস্পাতী শিলাবৃষ্টি অবিরাম। তুমি বলেছিলে আমাকে বাঁচাও। অসহায় আমি তাও বলতে পারিনি।" আমরা স্বাধীনতার মূল্য দেখতে পাই তার কবিতায়, আমরা অনেকেই হয়তো স্বাধীনতার ছন্দ অনুভব করি শামসুর রাহমানের ছন্দে, যখন এই অমূল্য সম্পদের অবমাননা দেখি তখন আমরাও পুড়ে যাই তার মতোই... "আমাদের বুকে জ্বলে টকটকে ক্ষত, অনেকে নিহত আর বিষম আহত" পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ তার পড়া আমার প্রথম কবিতা ছিল একটি ফটোগ্রাফ। সত্যি বলছি, তখন হয়তো অই কবিতা বোঝার ম্যাচিওরিটি ছিল না, তাই ভীষণ বিরক্ত হয়েছিলাম। অথচ যখন "বন্দী শিবির থেকে" পড়লাম, আমার সবটুকু বিরক্তি ভালবাসায় রূপান্তরিত হয়ে গেল। মনে শুধুই বাজতে থাকে আহা! সত্যিকারের ভালবাসায় আমরা নিজেদের কতো তুচ্ছই না ভাবতে ইচ্ছে করে... "অকস্মাৎ কুকুরের শানিত চিৎকার কানে আসে, যাই জানালার কাছে, ছায়াপ্রায়। সেই পথের কুকুর দেখি বারংবার তেড়ে যাচ্ছে জলপাইরঙ একটি জিপের দিকে, জিপে সশস্ত্র সৈনিক কতিপয়। ভাবি, যদি অন্তত হতাম আমি পথের কুকুর।" রেটিংঃ ৪/৫ পাদটীকাঃ বেশকিছু এপস এবং ওয়েবসাইটে দেখলাম 'তুমি বলেছিলে' কবিতার নয়া বাজার কে নতুন বাজার লিখেছে, এমনকি 'শামসুর রাহমান'কে শামসুর রহমান লিখেছে!!! আশা করি বইপোকারা বইয়ের স্পর্শে এই সমস্ত ভ্রান্তি এড়িয়ে যাবেন।।। হ্যাপি রিডিং :) রকমারি লিংকঃ https://www.rokomari.com/book/2828/বন্দী-শিবির-থেকে
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বইয়ের নাম- বন্দী শিবির থেকে লেখক-শামসুর রহমান জনরা-কবিতা পৃষ্ঠা-৬৮ মোটকবিতা-৩৮ মূল্য-১০০ ১৯৭১ সাল। ২৫ মার্চের কাল রাতে কবি শামসুর রহমান নিরাপদ আশ্রয় পেতে গ্রামেরবাড়ি চলে গিয়েছিলেন। তবে দেড়মাস পর তিনি ঢাকায় ফিরে আসেন। ঢাকা তখন পুরো অপরিচিত শহর। পথঘাট ফাঁকা, চেনা মানুষ নেই বললেই চলে। চারদিকে হত্যা, সন্ত্রাস! সে সময় কবির প্রাণ শুধু একটু আলোই খুঁজে ফিরত। কেন না, ঘরের দরজা বন্ধ, শিশু গুলোর মুখ চেপে দেওয়া হতো যাতে কন্ঠস্বর না শোনা যায়, ফৌজি জীপের শব্দ, ট্রাকের ঘর্ষণ, বুটের শব্দ, আগুন, ভয়, আর প্রতিনিয়ত মৃত্যু চিন্তাতো আছেই। প্রতিরাতে ঘুমের মাঝেই কবি চিৎকার করে উঠতেন। বুঝেতে পেরেছিলেন, এক বধ্যভূমিতে আটকে আছেন তিনি। যেখানে, প্রতিনিয়ত শ্বাসরোদ করছে কেউ। মৃত্যু আতঙ্ক সর্ব সময়ের সঙ্গী তখন। একেক সময় পরিচিত মানুষ গুলো হুট করে নিখোঁজ হতো। তাদের আর ফেরা হতো না। কতোজন যে চিরদিনের জন্য বিদায় নিয়ে যেতো তখন! প্রতিটি মানুষ, এক বিভীষিকাময় ফাঁদে আটকে থাকতো। আর সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত জীবনটাকে মনে হতো সব থেকে বড় শত্রু! এই আটকে থাকা অবস্থায় একেবারে নিশ্চুপ হয়ে দাতে দাত মেলানো ছাড়া আর কিছুই করা সম্ভব ছিলো না। এই অবস্থায় কবি ডুবে গেলেন অতল তলে। না হচ্ছিলো পড়াশোনা, না কোন লেখালেখি , খাবার টাও নামতো না তখন গলা দিয়ে। একেবারে খা খা করা শুন্যতা তখন চার দিকে! নিজ ঘরে তখন কয়েদির মতো অবস্থা। সে সময় কবির চোখে হুট করে ভেসে উঠে একটা ছবি। তা ছিলো ১৯৭১ সালে মার্চের প্রথম দিকের একটা সংবাদপত্রের ছবি। আর সেখানে গুলিবিদ্ধ এক লোক নিজের রক্ত দিয়ে লিখেছেন শ্লোগান, তার দেশ ও দেশবাসীর সপক্ষে। কবির ভেতর তখন চমকে উঠে! একটা মানুষ যে কিনা মারা যাচ্ছে, সে যদি দেশের জন্য তার বুকের রক্ত দিয়ে দেয়ালে শ্লোগান লিখতে পারে, তবে কবি কেন তার কাগজে অক্ষর বা শব্দের মেলবন্ধন ঘটাতে পারবে না? নিকষ কালো মুহূর্তে এই একটা অভয় বানী তার লেখায় শক্তি ফিরিয়ে আনে। যদিও সময় তখন খুব বেশি ঝুকিপূর্ণ তবুও তিনি লিখবেন বলে স্থির করলেন। কিন্তু সন্ত্রাস আর জঙ্গীজিপের শব্দে প্রায়ই লুকিয়ে রাখতে হতো তার ডায়রির পাতা। কখনো কোন আত্মীয়ের বাসায়, কখনো শাড়ি বা রান্না ঘরে মসলার কৌটায়। তবুও আড়ালে আবডালে ভরে উঠলো পাতাগুলো। দুই মলাটে আটকে থাকা পাতাগুলো ছিলো , এক ভয়ংকর অন্ধকার সময়ের দলিল। নিরাপদেই রয়ে গেলো সে গুলো। ১৯৭২ সালের জানুয়ারি মাসে, সে সময়ের পাতাগুলো একত্রে কলকাতা থেকে প্রকাশিত হলো "বন্দী শিবির থেকে" নামে কাব্যগ্রন্থ হয়ে। মোট ৩৮ টি কবিতা নিয়ে এই কাব্যগ্রন্থ। তবে কবি ঢাকা থেকে যখন , গ্রামের বাড়ি গিয়েছিলেন নিরাপত্তার আশায় তখন লিখেছিলেন "স্বাধীনতা তুমি" আর "তোমাকে পাওয়ার জন্য, হে স্বাধীনতা" -কবিতা দুটি। এছাড়াও মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে, কলকাতার দেশ পত্রিকায় এই কাব্যগ্রন্থের কোন কোন কবিতা ছাপা হয়েছে "মজলুম আদিব" অর্থাৎ "নির্যাতিত লেখক" ছদ্মনামে। মুক্তিযুদ্ধ আমাদের অস্তিত্ব। ক্ষত হয়ে থাকা এক জ্বলজ্বলে নক্ষত্র। নিজের অধিকার এভাবে ছিনিয়ে আনার গৌরব কম জাতিরই আছে। ১৯৭১ এর ২৫ মার্চের পর থেকে নয় মাস দেশ জ্বলেছে দাউ দাউ করে। সে সময়ের লেখা এই কব্যগ্রন্থের কবিতাগুলোও একেকটা আগুনের ফুলকি! "বন্দী শিবির থেকে" কাব্যগ্রন্থের বিভিন্ন কবিতায় চিত্রিত হয়েছে সে সময়ের পাকিস্তানি বর্বর সেনাদের কার্যাবলি। এই ৩৮ টি কবিতার কিছু কিছু কবিতা একেবারে পুরো মুক্তিযুদ্ধকে ধারন করে নিয়েছে। সব গুলো কবিতায় ছাপ থেকে গেছে যন্ত্রণার, কষ্টের, রক্তের। চিত্রিত হয়েছে হত্যা, অবিচার, ধর্ষণ! বাংলার স্বাধীনতা পাওয়ার জন্য যে ত্যাগ দিতে হয়েছে তার বর্ণনা দিয়েছেন কবি - "তোমাকে পাওয়ার জন্য, হে স্বাধীনতা" কবিতায়। বাংলার সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বের বর্ণনা সহ বাংলার বিত্ত-ভৈবব বর্ণনা করেছেন- " স্বাধীনতা তুমি" কবিতায়। "স্বাধীনতা তুমি রবি ঠাকুরের অজর কবিতা, অবিনাশী গান, স্বাধীনতা তুমি কাজী নজরুলের ঝাঁকড়া চুলের বাবরি দোলানো মহান পুরুষ, সৃষ্টি সুখের উল্লাসে কাঁপা স্বাধীনতা তুমি শহীদ মিনারে অমর একুশে ফেব্রুয়ারির উজ্জ্বল সভা। " "বন্দী শিবির থেকে", "পথের কুকুর", "উদ্বাস্তু" কবিতায় বর্ণিত হয়েছে, সে সময়ে মানুষের অবস্থা। কপাল ভেঙ্গেছে কারো, সিথির সিদুর মুছে গেছে কারো, জীবন গিয়েছে শত সহস্র মানুষের, ক্যাম্পে পরিনত হয়েছে তখন ঢাকা শহর! এত নিশ্চুপ যেখানে টিকটিকিরও শব্দ মিলে না! নিজের শহরে নিজে বন্দী, নিজের ঘরে নিজেই কয়েদি। "রক্তাক্ত প্রান্তর" কবিতায় উচ্চারিত হয়েছে, হায়েনা গুলোর দ্বারা এদেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যাকান্ডের চিত্র। যুদ্ধের মধ্যবর্তী সময় গুলোতে পাকিস্তানিরা নিরীহ মানুষ গুলোকে প্রতিদিন ধরে নিয়ে যেতো, আর খুন করে ফেলে দিতো পথে ঘাটে। তার ছবি দেখিয়েছেন "প্রাত্যহিক" কবিতায়।