User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
বার্ট্রান্ড রাসেলের সুখ বইটি সবার পড়া উচিত। তিনি বইটি এমন ভাবে উপস্থাপনা করেছেন যা আমাদের বিচ্ছিন্ন জীবনকে পরিবর্তন করতে সহায়তা করবে। তার এই বইয়ে দার্শনিক প্রতিভা প্রকাশ পেয়েছে। বাস্তবমুখী এই বইটি আশা করছি সবাই একবার পড়বেন।
Was this review helpful to you?
or
#বইয়ের নাম: সুখ #লেখক: বার্ট্রাণ্ড রাসেল #অনুবাদক : মোতাহের হোসেন চৌধুরী #পৃষ্ঠা সংখ্যা: ২৫৩ #রকমারি মূল্য: ২০৪ টাকা "এজন্যই আমি বেচে থাকা মানুষের চেয়েও মরে যাওয়া মানুষদের বেশি গুণকীর্তন করি। হ্যা, তাদের চেয়েও ভালো হচ্ছেন তারা-- যারা এখনো জন্মাননি এবং যেহেতু সূর্য্যের আলোর নিচে যেসব মন্দ ব্যাপার ঘটছে তা এখনো প্রত্যক্ষ করেননি" দুই অক্ষরের নামওয়ালা বই দেখে লাফিয়ে ওঠার কিচ্ছু নেই, লেখক প্রচুর যন্ত্রনা দিয়েছেন। কিরকম যন্ত্রনা দিয়েছেন সেটা জানানোর ইচ্ছে দমন করে আপনাদের আহ্বান জানাচ্ছি যন্ত্রনা উপভোগ করার। বইয়ের নাম সুখ হলেও লেখক এখানে দুটো ব্যাপার নিয়ে আলোচনা করেছেন, সুখ আর দুঃখ। বইয়ের প্রথম অর্ধেকে দু:খবাদ, প্রতিযোগিতা, অবসাদ, পাপ সচেতনতা, নির্যাতন স্পৃহা আর জনমত স্পৃহা এই সাতটি ধাপে সাজিয়েছেন। প্রথমেই বলেছেন দু:খবাদের কথা,,, মানব সভ্যতার শুরু থেকেই প্রাজ্ঞ লোকেরা মনে করতেন, ধরনীতে সুখ বলতে কিছুই নেই। ধরনী সাজানো হয়েছে দুঃখ দিয়ে। তারা নিজেদের দুখী ভেবে আনন্দ পেতেন। ভাবতেন সাধারন আর অসাধরনে মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টি করেছে এই ভাবনাটা। সাধারন ভাববে জগতে সুখ আর দুঃখ দুই'ই আছে, প্রাজ্ঞরা জানবে এই তথ্য ভুল! প্রাজ্ঞরা তাদের দুঃখবোধ নিয়ে গর্ববোধ করতেন। দুঃখ নিয়ে গর্ববোধ! ব্যাপারটা কেমন অদ্ভুত না? এ তো অনেকটা "সোনার পাথর বাটির" মতো ব্যাপার হয়ে দাড়ালো। তাহলে ব্যাপার কি দাড়ালো? হয় তাদের গর্বটা মিথ্যা আর নাহয় দুঃখটা। দুখের কারনে গর্ব করে মনে মনে সুখ উপলব্ধি! অদ্ভুত তো বটেই। তাহলে প্রাজ্ঞরা কেন ভাবতো এমন? ক্রুচ নামের কেউ একজন দুঃখের কথা আসতেই "প্রেমের" কথা বললেন। দুঃখ সংক্রান্ত আলোচনার এই অংশে ভীষন সুন্দর কিছু ব্যাপার তুলে ধরা হয়েছে। প্রেমের প্রাপ্তিতে আমরা সুখবোধ করি আর অভাবে করি দুঃখবোধ। এমনটা কেন? এই প্রশ্নের জবাবে একটা ব্যাপার জানা গেলো,,, "পৃথিবী আপনাকে আপনার প্রাপ্য মূল্য দিতে নারাজ, তাই আপনি এমন একজন কে খুজে নেন যে আপনার একতরফা প্রশংসা করবে, আপনার কার্য্যক্রমে মুগ্ধ হবে" তার মানে এটুকু পরিষ্কার যে, প্রেমের সংস্পর্ষে আপনি সুখ পাচ্ছেন। যদিও অপক্ষপাত সমালোচনা গ্রহন করতে পারাটাকেই সুস্থতার লক্ষন হিসেবে ধরা হয়েছে। যে এটা সইতে পারেনা সে নিঃসন্দেহে অসুস্থ!! এবার বলা যাক প্রতিযোগীতার কথা। "প্রত্যেক মানুষের দুটো ধর্ম। একটিকে আমরা জানি কিন্তু সবসময় মানিনে, আরেকটাকে আমরা সবসময় মানি কিন্তু জানিনা" এখানে কোন দুটি ধর্মের কথা বলা হয়েছে সেটা বলার ইচ্ছে দমন করে আমরা বরং একজন সরকারী কর্মচারির জীবনযাপনের দিকে দৃষ্টিপাত করি। মানুষটা একজন সুদর্শিনী স্ত্রী ঘরে রেখে অফিসে যায়। দিনভর অফিসে কাজ সামলানোর অভিনয় করে রাতে আবার বাসায় ফেরে। মানুষটা হয়তো ইউরোপ আমেরিকা ভ্রমন করে কিন্তু তৃপ্তি নিয়ে না। সপ্তাহের ছুটির দিনটাকে সে কাটিয়ে দেয় ঘুমিয়ে কিংবা বিশ্রাম নিয়ে। জীবন বলতে তার কাছে এটুকুই। প্রতিযোগীতার সাথে এই কথাগুলো খুব একটা খাপ খাচ্ছেনা, তাই না? পড়লেই বুঝতে পারবেন, ভীষন সুন্দরভাবে খাপ খাবে! বিজ্ঞরা বলতো, অন্যায় কাজের পূর্বেই বিবেককে জাগ্রত করে দেওয়াকে পাপসচেতনতা বলে। বিবেক আজকাল আর ঐশীবানী নেই। তাছাড়া বিবেকের ব্যাপারটা স্থান কাল আর পাত্রভেদে পালটে যায়। তাহলে বিবেকবোধ নামক জিনিসটা কেন, আর কেনইবা এর সুফল? বিবেক মূলত বিভিন্ন অনুভূতির সংহত রুপ। এর একটি হলো "যদি ধরা পড়ি" মানে হচ্ছে, ধরা পড়ার ভয় না থাকলে বিবেক জাগ্রত হয়না সচরাচর। অসাধুদের বেলায় বিবেক সংক্রান্ত এই যুক্তিটি পুরোপুরি সঠিক নয়। তারা নিশ্চিত কারাবাসের ঝুকি নিয়েই পাপকার্য্যে লিপ্ত হয়। এই যুক্তিটি খাটবে ঝোকের মাথায় ব্যাংক থেকে অনেকগুলা টাকা লোপাট করা ব্যাংকার অথবা দূর্বল মুহুর্তে নারীর ফাঁদে পা দেওয়া পাদ্রীর বেলায়। এই অধ্যায়ে পাপসচেতনতার এরকম যৌক্তিক ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। মাঝেমাঝে নির্যাতিত দুঃখগাঁথা শুনতে হয়। মানুষজন তার ওপর কতোভাবে নির্যাতন চালিয়েছে এসব ব্যাপারে শোনার সময় নির্যাতনকারীদের ওপর ক্ষোভ আসে ক্ষনিকের জন্য।মনে হয়,,সে মানুষগুলা আসলেই মানুষ তো, নাকি শয়তান? আচ্ছা নির্যাতিত মানুষটা যা বলছে সেটা পুরোটাই সত্যি? নাহ, কিছু হয়তো সত্যি কিন্তু পুরোটা কখনোই সত্য না। মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি হলো, একটুখানি নির্যাতন কে সে অনেক বড় করে দেখবে আর বলার সময় বলবে কয়েকগুন বাড়িয়ে। এমনভাবে বলবে যেন তার কোনো দোষই নেই। একজন মানুষের কোনো দোষ না থাকা সত্বেও তার ওপর সবাই নির্যাতন চালাবে, এটা যৌক্তিক? কারন হচ্ছে, আমরা মন্দটা সহজেই গ্রহন করিনা আর প্রশংসাকে ভাবি প্রাপ্য হিসেবে। মানুষজন আপনার উপকার করে বেড়ালো এটা আপনি আপনার প্রাপ্য হিসেবে দেখবেন, নিন্দা করলেই হবে নির্যাতন। একটা উপদেশ,,,নিজেকে খিঁচুনিমুক্ত রাখার চেষ্টা করুন, তাহলেই নির্যাতন স্পৃহার নির্যাতন থেকে নিজেকে মুক্ত করে সহজ হতে পারবেন। আর সহজ হওয়াটাই সুখী হওয়া। এখানে খিঁচুনি বলতে কি বোঝানো হয়েছে সেটা নাহয় বই পড়েই জানলেন। এইতো গেলো দুঃখসংক্রান্ত অধ্যায় সমূহের নাম ধাম আর হালকা আলোচনা। এবার কিছুক্ষন সুখের স্বরুপ উদ্ধার করা যাক। সুখের প্রকারভেদ জানেন তো? সুখ সাধারনত দুই প্রকার, শারীরিক আর মানসিক। আমরা সকলেই তথাকথিত শারীরিক সুখের সন্ধানেই প্রতিযোগীতা লাগাই। তাই বলা যায়, শারীরিক সুখের আশাদার প্রায় সকলেই। মানসিক সুখের অধিকারী কেবলমাত্র শিক্ষিত সম্প্রদায়, অশিক্ষিতরা এই সুখ থেকে বঞ্চিত। এছাড়াও সুখের নানাবিধ ক্ষেত্র আছে। একজন মালি তার বাগান থেকে পোকা তাড়ানোতে সফল হয়ে সুখী হন। রাজাধিরাজদের যুদ্ধ জয়ের গল্পের মতো এই সাফল্যের কথা দশজনকে বলে আনন্দ পান। ভাবছেন ক্ষুদ্র পোকা তাড়ানোতে আবার সুখ কি? এমনটা ভাবা ঘোর অন্যায়। জ্ঞানীগুনী ডাক্তাররা বাগানের ক্ষুদ্র পোকার চাইতেও লক্ষগুন ক্ষুদ্র জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করে সুখী হন। সে গল্পও রাজাধিরাজ এর যুদ্ধ জয়ের গল্পের মতো মুখেমুখে ছড়িয়ে পড়ে। আর হ্যা, সুখের কথা অধ্যায়টির সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ মূলভাব হচ্ছে,,আপনি নাকউঁচু বলে আপনার সমস্ত কর্ম উচ্চমার্গীয় হবে এমনটা ভাবলেই সুখের স্বাদ থেকে বঞ্চিত হবেন। মানুষের সবচাইতে বড় ক্ষমতা হচ্ছে, জীবনকে উপভোগ করার ক্ষমতা। প্রায় প্রতিটা মানুষই এই ক্ষমতার অধিকারী। আর এই ক্ষমতার অধিকারীরাই সুখী। এই ক্ষমতার অধিকারীরাই জীবনকে বিস্বাদের চোখে দেখেনা। বরং বিস্বাদকে স্বাদ হিসেবে গ্রহন করে। জানেন তো, নিজে অখুশী থেকে অন্যকে খুশী করা যায়না। know thyself কথাটি শুনতে সুন্দর হলেও মূলত পুরোপুরিভাবে সত্য না, অর্ধ সত্য। বাইরের ব্যাপারগুলো ছাড়া আমরা কখনোই ভেতরের আমিকে পুরোপুরি চিনবোনা। তাই পুরোপুরিভাবে জীবন উপভোগের জন্য ভিতরের আমি এবং বাইরের জগত দুটোকেই চেনার কথা বলা হয়েছে। এই দুইয়ের মিলনেই নাকি আত্নার প্রশান্তি, আর সুখের প্রাপ্যতা। সুখী হওয়ার অন্যতম উপায়, ভালোবাসা গ্রহন করতে পারা। সুখের গোড়ায় ভালোবাসা। যখন ভাববেন আপনাকে কেউই ভালোবাসেনা তখন জগত অন্ধকার দেখবেন বেচে থাকার অর্থ খুজে পাবেন না, নিজেকে মনে হবে বড্ড অসহায়। আর যদি ভাবেন প্রিয়জনের ভালোবাসা আপনি পাচ্ছেন তো জগত হবে আনন্দময়। যে ভালোবাসায় সুখ নিহিত সে ভালোবাসার আবার উল্টা ধর্ম! যে চেষ্টা করে তাকে পাওয়ার জন্য তার কাছে ধরা দেবেনা। যে চেষ্টা করেনা তার প্রতিই ঝোক!! স্নেহ, মমতা আর ভালোবাসা নামক অধ্যায়টিতে লেখক ভালোবাসা আর সুখের মিলবন্ধন ঘটিয়েছেন। স্নেহ আর মমতাকে প্রমান করেছেন সুখের অন্য নাম হিসেবে। সোজা কথায়,,,"স্নেহ মমতা আর ভালোবাসায় সিক্ত মানুষরাই সুখের প্রকৃত স্বাদ উপলব্ধি করতে সক্ষম হয়" এমনিটাই প্রমান করেছেন তিনি। সুখের স্বরুপ যাচাই করতে চাইলে পরিবারকে টেনে আনতে হবে। লেখকের মতে, অতীত থেকে এই অবধি যতোগুলো প্রতিষ্ঠান এসেছে তার মধ্যে সবচাইতে বিশৃঙ্খল হচ্ছে পরিবার। পরিবার থেকে আগে সুখ পাওয়া যেতো, বর্তমানে দুঃখের শুরু হয় এখান থেকে। মা পুত্র, স্বামী স্ত্রী, বাবা মা এমনকি ভাই বোনের বনিবনা না হওয়ার দরুন সমস্যা সৃষ্টি হয়। তবে এই অধ্যায়টি সেসব সমস্যা নিয়ে না। যেহেতু বইয়ের এই অর্ধেক সুখের স্বরুপ উদঘাটনে নিয়োজিত তাই এই পাঠে পরিবার থেকে প্রাপ্ত দুঃখ কষ্ট নিয়ে আলোচনা না করে কিভাবে পরিবার থেকে সুখ আদায় করা যায় সে সম্পর্কে বলা হয়েছে। জন্ম থেকে শুরু করে মৃত্যু অবধি একটি পরিবার থেকে আমরা কি পাই আর কি চেয়েও পাইনা। যা পাই তা কেন পাই আর যা পাইনা তা না পাওয়ার কারন কি? পরিবার থেকে সুখ লাভের উপায় সহ নানাবিধ ব্যাপারে বিশদ বলা হয়েছে এই পাঠে। বইয়ের শেষ চারটা অধ্যায় যথাক্রমে,,,কাজ, নৈর্ব্যক্তিক অনুরাগ, চেষ্টা ও বিরতি এবং সুখী মানুষ। কাজের অধ্যায়ে কাজ থেকে প্রাপ্ত সুখ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। আমরা সাধারনত কাজ মানেই কষ্ট বুঝি। কাজকে সবসময় বাঁকা চোখে দেখি। কিন্তু লেখক এখানে কাজ থেকে সুখ লাভের প্রক্রিয়া সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। বাকি দুইটা পাঠেও তিনি সুখের স্বরুপ উদঘাটনে বিস্তর আলোচনা করে শেষ পাঠে করেছেন সুখী মানুষের সন্ধান। আলোচনা বড় হয়ে যাচ্ছে, এইবার ক্ষান্ত দেওয়া উচিত। সাধারনত দর্শনের বইগুলোর রিভিউ লেখা কষ্টসাধ্য। আমার মতো নিন্দুকের পক্ষে সেটাতো একরকম অসাধ্য কাজ। তবুও স্পর্ধা দেখিয়ে রিভিউটা লিখলাম। ২৫৩ পেইজের এই বইটি পড়তে সময় নিয়েছি গোটা দুইদিন। প্রথমে মূল লেখাটা পড়ে এরপর অনুবাদে চোখ রেখেছি। এই পর্যায়ে একটা ছোট্ট উপদেশ,,পাকা ইংলিশ পড়ুয়া না হয়ে মূল বইয়ে হাত দেয়ার কথা চিন্তা করবেননা, দাঁত খুলে পড়বে। বইয়ের প্রতিটি অধ্যায় বিশ্লেষণ করে আরো অনেক বই লেখা হয়। এমন হতে পারে যে, লেখকের একটি উক্তি বিশ্লেষন করে পাচ ছয়শো পেইজের গোটা একটা বই লিখে ফেলা হয়েছে। অতএব বুঝতেই পারছেন বইটি কতোটুকু যন্ত্রনা দিয়েছে। বইয়ের অনেক অনেক লাইন বোঝার জন্য দুইবার তিনবার এমনকি সাত আটবার ও পড়তে হয়েছে।গুরুত্বপূর্ণ উক্তিগুলো উঠিয়েছি ডায়রিতে। এরকম কাঠখড় পুড়িয়ে বইটি পড়তে হয়েছে। এর আগে এতো যন্ত্রনা দিয়েছিলো আর একটি মাত্র বই, সেটাও দর্শনের!! #ব্যক্তিগত মতামত: প্রথমেই লেখক সম্পর্কে অল্প একটু বলি। "বার্ট্রাণ্ড রাসেল" লেখকের নামের প্রথম অর্ধেক উচ্চারন করতে পারিনা ঠিকমতো, ঠোটে আটকে যায়। ইংল্যান্ডের কয়েকটা প্রাচীন পরিবারের মধ্যে "রাসেল" পরিবার অন্যতম। পরিবার বলতে এখানে গোষ্ঠী বোঝনো হয়েছে। এমনি এক "রাসেল" পরিবারে এই দার্শনিকের জন্ম। লেখকের ঠাকুরদা ছিলেন একজন মহৎ এবং উদার মনের ব্যক্তি, বাবাও তেমনি মুক্তচিন্তক। সেই সুবাধে লেখক পান মুক্ত চিন্তা করা ক্ষমতা। দর্শনের অনেক শাখায় লেখকের অবাধ বিচরন। লেখকের সম্পর্কে আর কি বলবো? ওনার কৃতিত্ব সম্পর্কে বলতে হলে কয়েকশ পেইজ লাগবে। সুতরাং এতোটুকুই থাকুক। ব্যক্তিগত মতামতে বই নিয়ে বলার মতো কিছুই নেই। যেহেতু এতো যন্ত্রনা করে পড়েছি সেহেতু এটা বলার অপেক্ষা রাখেনা বইটি আমার কাছে কেমন লেগেছে। দর্শনের বই পড়ার এক অদ্ভুত ভুত চড়েছে মাথায়। কয়েকটা বই পড়েই মোটামুটি পাগল হয়ে যাওয়ার জোগাড়, সামনে কি হবে তা জানিনে। দার্শনিকদের জীবনী, তাদের চিন্তাভাবনা, তাদের যুক্তি পড়ার সময় শুধু একটা ব্যাপারই বারবার মনে হয়,,,,তাদের চিন্তার একটা ক্ষুদ্র অংশ মাথায় ধারন করতে পারিনা, মাথাব্যথা শুরু হয়, ঘুম আসে, ক্ষিদা লেগে যায়, বাথরুমের চাপ বাড়ে। তাহলে তারা কি ছিলেন!!!!!! রিভিউ লেখার উদ্দেশ্য পাঠকদের বইটি সম্পর্কে ধারনা দিয়ে হয় উৎসাহিত করা আর নাহয় জানিয়ে দেওয়া যে এটা পড়া উচিত না, সময় লস। যারা পড়েননি তাদের উদ্দেশ্যে,,,,মাঝেমাঝে হাজারটা বই থেকে আমরা যা নিতে পারিনা সেটা একটা বই থেকেই নেওয়া যায়। তো হাজার টা বইকে ফেলে রেখে আগে অই একটা বইয়ে চোখ বুলানো বেশি যৌক্তিক। তাই নয় কি?