User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
পাউঠি দিয়ে বানানো ব্লাকবক্সের ‘পর দাঁড়িয়ে শফিক আশরাফ অ্যালান দিলেন তাঁতিদের সামনে রেখে। ~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~ ‘রক্ত যেমন আমাদের একত্রে বেঁধেছে, তেমনি সমস্ত জিনিসও পরস্পরে বাঁধা। জীবনের জাল মানুষ বয়ন করেনি। সে তো এই জালে কেবল বাঁধা। এই জালের ক্ষতি করা মানে নিজেরই ক্ষতি করা।’ রেড ইন্ডিয়ান গোষ্ঠী প্রধান সিয়াটল যুক্তরাষ্ট্র সরকারের দেয়া পত্রের জবাবে যা লিখেছিলেন উপর্যুক্ত অংশটি তারই খণ্ডাংশ। এই জালে ঢুকতে যে ছুঁচো ছেড়ে দেয়া হয়েছে তাই প্রাচ্যবাদ। উল্লেখ্য, প্রাচ্য আর প্রাচ্যবাদ কিন্তু মোটেও একবস্তু নয়; প্রাচ্য হচ্ছে জীবন্ত, আর প্রাচ্যবাদ হচ্ছে সেই জীবন্ত সত্তার একটি চিত্রনির্মাণ— যে নির্মাণ পরিপূর্ণরূপে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং সেই কারণে বিকৃত। ঊদ্দেশ্যটা জ্ঞানতাত্ত্বিক নয়, উদ্দেশ্য হচ্ছে জ্ঞানকে শাসনকার্যে ব্যবহার করা। সাঈদের এই ঈগল উড়তে ঊড়তে গিয়ে বসেছে বি-উপনিবেশায়নে। বি-উপনিবেশায়ন বলতে আমরা বুঝব উপনিবেশের সেইসব প্রভাব নিষ্ক্রিয় করা, যেগুলো আমাদের প্রাক-ঔপনিবেশিক সামাজিক সাংস্কৃতিক উপাদান ও অভিজ্ঞতাসমূহ বিকৃত করেছে, গোটা জাতির মধ্যে হীনম্মন্যতার বোধ পুঁতে দিয়েছে।আবার যেসব সামাজিক-সাংস্কৃতিক উপাদান উপনিবেশ প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করে কিংবা নব্য উপনিবেশের সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করে,সেগুলোর বিরুদ্ধে লড়াতে হবে। আর এই লড়াইয়ের কাজটা করেছে শফিক আশরাফের ‘পাউঠি’— উঠে এসেছে এক অনবদ্য দ্যোতকতা : মতিউদ্দিনের মতো ছোটখাটো মহাজন প্রায় সবাই একে অন্যের কাপড়ের ডিজাইন নকল করা ছাড়াও কলকাতার শাড়ির পাড় নকল করে। তখনই স্মরণে আসে আফগানিস্তানের ফারহাদ আজাদের ‘পুরনো বাগান’র কথা : ’সব মিলিয়ে নানাভাইয়ের বাগানটি ছিল আফগানিস্তানের বিভিন্ন এলাকা থেকে সংগৃহীত ছোট ছোট হরেক রকমের জিনিস দিয়ে নির্মিত একটি অনবদ্য সৃষ্টি।’ — যেখানে তাঁতিরা হয়ে ওঠে কারিগর-ই জেবা (সৌন্দর্যের কারিগর)। গরিবুল্লা ভোটের সময় গণবাহিনীর প্রধান শরাফত সিরাজকে টাকা দিয়ে হাতে রাখে—সিরাজ হয়ে যায় কালিহাতী আসনের এমপি। সিরাজ হয়ে ওঠে মিসরের নাগিব মাহফুজের ‘নরওয়েজিয়ান ধাঁড়ি ইঁদুর’র মিস্টার এমএ : আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি : এই রাজনৈতিক ব্যবস্থার আদি নকশাবিদদের মধ্যে পরিষ্কারভাবে উদ্দেশ্যসমূহ প্রস্ফুটিত হয়েছিল সর্বাপেক্ষা প্রভাবশালী রূপকার জেমস্ মেডিসনের মাধ্যমে; মেডিসনের এই শেকড় পাওয়া যায় এরিস্টটলের ‘পলিটিকস্’–এ : মেডিসনের সমাধান ছিল গণতন্ত্রের ওপর নিয়ন্ত্রণারোপণ করা, অন্যদিকে এরিস্টটল চেয়েছেন অসাম্যদূরীকরণ, যা অধুনা কল্যাণমূলক রাষ্ট্রের ধারণাসম্পৃক্ত। কাদেরিয়া বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধা তমিজ আলী বন্দুক জমা না দিয়ে ডাকাতি ছাড়াও চেয়ারম্যান হওয়ার লালানিতে মানুষের কাটামাথা ব্যাগে এনে হাজিদের কাছে ভোট চায় : তার মুখে বিড়ালের বদলে নরওয়েজিয়ান ধাঁড়ি ইঁদুরের মুখের ছবি। গবেষক ভন্ড-এর মতে, ট্যাবু হচ্ছে মানবতার প্রথম অলিখিত আইন। ট্যাবু বলতে বোঝায়, বস্তু বা ব্যক্তির পবিত্র বা অপবিত্র ভাব। এই ভাব থেকে তৈরি হয়েছে ধর্মীয় বিশ্বাস অথবা ফোক-বিলিভ নিয়ন্ত্রিত নিষেধাজ্ঞাসমূহ : ছেলে পাহাড়ে বিয়ে করেছে এটা বু দিব্যজ্ঞানে জানতে পারলেও— জানতে পারে না মেকি সোনার বল দিয়ে তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা। একাত্তরের যুদ্ধে কোনো পক্ষ অবলম্বন না করায় পাকহানাদার ও মুক্তিযোদ্ধা উভয় পক্ষের প্যাঁদানি খেয়েছেন হোসেন হাজি : ইজরায়েলের এটগাব কেরেটের ‘পাগলা আঠা’র মতো হোসেন হাজির খালি পা বসার ঘরের উঁচু সিলিঙের সঙ্গে শক্তভাবে লেগে আছে আর হাসছে ‘ঠিক আছে। আমি কোথাও যাচ্ছি না।’ পশ্চিমের দীর্ঘদিনের শত্রু হচ্ছে ‘স্বাধীন জাতীয়তাবোধ’। হেনরি কিসিঞ্জার যেমন (উদাহরণ হিসেবে) ভাইরাস আবিষ্কার করেছিলেন চিলির ডেমোক্রেটিক সোসোলিজমের ভেতর। তিনি ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন যদি তা অন্যদেশে ছড়িয়ে পড়ে, বিশেষভাবে দক্ষিণ ইউরোপে। আর বিষয়টি নিয়ে তিনি লিওনিদ ব্রেজনভের সঙ্গেও অংশীদারিত্বে এসেছিলেন। তাই তিনি ১৯৭৩ সালের ১১ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার এই ছোঁয়াচে ভাইরাস সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করতে উদ্যোগ নিলেন । লোর্না রুথ উইডম্যানের মতে, উনবিংশ শতাব্দীতে ঔপন্যাসিক আত্মহত্যার ধরণ প্রথম আবির্ভূত হয়। তিনি উনবিংশ শতাব্দীর কাজগুলিকে পাঁচটি থিমের উপর ভিত্তি করে শ্রেণীবদ্ধ করেছেন সেগুলির একটি: "হত্যা-অনুসরণ-আত্মহত্যা।" কেভিন গ্রাউক বলেছেন যে আত্মহত্যা উনবিংশ শতাব্দীর কাজগুলিতে একটি ‘দ্বৈতবাদী অলংকারমূলক কাজ’ করে। কেট চোপিন , আর্নেস্ট হেমিংওয়ে এবং ভার্জিনিয়া উলফের মতো লেখকরা তাদের লেখায় আত্মহত্যার বিষয়বস্তু অন্তর্ভুক্ত করেছেন— আক্রান্ত হয়েছেন শফিক আশরাফও : ইছা ইমিগ্রেশন পাসিং চেকিংয়ে চেকিং পুলিশের দ্বারা নির্যাতিত হয়ে বাবার উপর অভিমান করে ফাঁসি নিয়ে আত্মহত্যা করে; পক্ষান্তরে ঔপন্যাসিক এখানে ইয়ং জেনারেশনের সম্ভাবনাকে নীৎশের রিক্সা নিয়ে সিংহের ন্যায় ছোটার বদলে নাহিলিজমে লটকে দিয়ে গেলেন। শারম্যান আলিক্সির মতো প্রশ্ন রেখে গেলেন ‘আমরা মিথ্যুকদের ভালোবাসব, নাকি একাকী বাস করব। অথচ আলেফের মধ্যে দ্বান্দিক বস্তুবাদের তাড়না যুগিয়ে রড-সিমেন্টের দোকানে তুলে দিয়ে তাকে কামিয়াবি করে তুললেন : এই দ্বন্দ্ব নীৎশেরই পুরানের সঙ্গে নতুনের দ্বন্দ্ব— যার অনাবৃত শরীর দেখা যায় জাপানিজ নিইনি নানাকিচি’র ’দাদুর লণ্ঠন’-এ দাদুকে বাল্ব ওয়েলকাম জানানোর মধ্যে। আব্দুল মজিদের পরিশ্রমের সাথে মানবেতর জীবনযাপন একটি ব্যর্থরাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্য : সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীরা উপযুক্ত ইস্যুকে কখনও তাদের পরিকল্পনার অগ্রভাগে আনে না। সবসময় নিচের দিকে রাখতে চায়। আর বিপরীতভাবে অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রীয় খাতে থাকে স্বল্পমেয়াদী ‘শক্তি’ ও ‘সম্পদ’। আদিবাসী আমেরিকান লেখক শারম্যান আলেক্সি ‘নির্ধারিত আয়’-এ এটাকে উদাম করে দাঁড় করিয়ে রেখেছেন। মালিনস্কি তাঁর ‘ দ্য প্রবলেম অব মিনিং ইন প্রিমিটিভ ল্যাঙ্গুয়েজ’ গ্রন্থে বলেছেন ‘বাকশক্তির উদ্ভব হয়েছে উৎপাদনের বাস্তব প্রকৌশলের অংশ হিসেবে। জর্জ টমসন মনে করেন, মানব প্রজাতি হাতিয়ারের উদ্ভাবন ঘটাতে গিয়ে সৃষ্টি করেছে ভাষা : মাথা দুলিয়ে দুলিয়ে গামছা মাথায় সাধু গোসাই পাবনার উপভাষার গেয়ে চলে— ‘চেকন নলি মোটা ক্যরি মাকুতে ঢোকে না নলি কারিগরের হয় সময় হরণ…’ বুলু মহাজনের সুতার বান্ডিলে কারচুপি, হালখাতায় সোবহান হাজি পরিশোধিত টাকা খাতায় না তুলে বেশি টাকা লিখে মতিউদ্দিনকে ঠকানো নেপালের লেখক দিলীপ আচার্যের ‘অলৌকিক আয়না’য় মহাজনের প্রতিবিম্ব দেখে বলে ওঠা ‘আমি যখন আয়নায় তাকিয়েছি, তখন বিম্বটি আমার কাছে ভালো লাগেনি’র মতো : পুঁজিবাদী সমাজ ব্যবস্থায় নিশ্চয়ই রোমান্টিক শিল্প প্রধানরূপ পাবে না। এই ধরনের সমাজ ব্যবস্থায় পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে শিল্পীকুল জেহাদই ঘোষণা করবে, তারই ফলশ্রুতিতে শিল্পে আসবে বাস্তবতার সুর। আইরার বলে ওঠে ‘এই জন্যই এই মফিজদের (রংপুরের লোক) কোনো উন্নতি নাই’— আমি অনুকৃতি মিশ্র ‘রঙ লাল’-এ যেমন বলে উঠেছেন তেমনি করেই বলবো ‘আমাদের ভেতর আমরা সবাই শুধু লাল বর্ণের।’ : পাশ্চাত্য আমাদের স্বাধীনতা ও মূল্যবোধ ঘৃণা করে থাকে; যখন পাশ্চাত্য আমাদের সমাজসমূহে গণতন্ত্রায়নের কথা বলে— তখন তা স্বঘোষিত ও স্ব-স্বার্থ সম্বলিত মিথ্যাচার বৈ কিছু নয়। জয়েস ক্যারল ওটস্ ‘তুমি কোথায়?’র উপর দাঁড়িয়ে যেভাবে ডাকে ‘হ্যালো? হ্যালো? তুমি কোথায়?’ রফিক পাউঠির অপর পাটাতে চাপ দিয়ে সানা ধরে টেনে তেমনি করে ডাকে। শফিক আশরাফের গ্রামে যে শাড়ি তৈরি হয় সেটাতে কেবল শাড়ির পাড়েই কাজ থাকে, সমস্ত কাপড়ে নয়— ঔপন্যাসিকের অবচেতন মনে এটার তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। বাংলা সাহিত্যে নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় ট্র্যাডিশনাল উপাদান দিয়ে নির্মাণ করেছেন উপমা; তাঁর ‘বন-জ্যোৎস্না’তে দেখতে পাই— ‘ক্ষুধার্ত সোনালি অজগরের মতো গর্জন করে এঁকেবেঁকে ছুটে চলেছে।’ অথচ আশরাফ জামদানির পাড়ের অনুকরণে অবচেতনে সৃষ্টি করে ফেলেছেন অজগরের স্থানে পাইথনকে— ‘একটা গ্রামীণ কাঁচা রাস্তা পাইথনের মতো এঁকেবেঁকে চলে গেছে।’ ? ইমরান নাইব
Was this review helpful to you?
or
সুন্দর একটি উপন্যাস।
Was this review helpful to you?
or
"পাউঠি" কেন পাঠ করবেন? যখন একজন তাঁতশিল্পী তাঁতে বসে 'মুঠি' চেপে ধরে শাড়ি বুনতে শুরু করেন,তখন ঠকাঠক শব্দ তুলে তাঁতযন্ত্র গুলো জীবন্ত সত্তা হিসেবে নিজের অস্তিত্বের জানান দেয়।এ শব্দ তাঁতিদের হৃদস্পন্দন। এ যেন তাদের প্রাণের গান। এই গান থেমে গেলে, তাঁতিদের হৃদস্পন্দনও থেমে যাবে। শফিক আশরাফ রচিত মহাকাব্যিক, গবেষণাধর্মী ,অনন্য এক উপন্যাস 'পাউঠি'। এই উপন্যাসের ভেতর তাঁতশিল্পীদের তথা এই উৎপাদক জাতির সামাজিক ,অর্থনৈতিক জঙ্গমতার কথা আছে। অর্থনৈতিক ভাবে পঙ্গু হয়ে যাওয়ায়,গৌরবময় অতীত ঐতিহ্যের অধিকারী এই সম্প্রদায়ের পেশা বদলের করুন ইতিহাস ,পরিত্যক্ত তাঁত যন্ত্র গুলোর কান্নার ভেতর দিয়ে উঠে এসেছে 'পাউঠি'র বিষাদময় জমিনে। 'পাউঠি' পাঠের মধ্য দিয়ে এই জঙ্গমতার প্রবল স্রোতে ভাসতে ভাসতে দেখতে পাওয়া যায়, এই কারিগর সম্প্রদায়ের ভেতর থেকে উঠে আসা একটি সত্তার বৃহত্তর সমাজের সাথে অভিযোজিত হবার সংগ্রাম। শিল্পী তাঁতিদের থেমে যাওয়া হৃদস্পন্দন জাগাতে ,মরে যাওয়া তাঁত যন্ত্রগুলোর প্রান ফিরিয়ে আনার আকাঙ্ক্ষার ভেতর দিয়ে, এ সত্তাটি যাপিত জীবনের প্রতি মুহূর্তে খুঁজে ফেরে পিতৃঋন শোধ করার উপায়।এই বৃহত্তর সমাজের সাথে যুক্ত হয়েও তার ভিতরে বিরাজমান থেকে যায় সেই 'কারিগর' সত্তা । এই সত্তাই যেন তাকে চালিত করে ,তাড়িত করে, বাধ্য করে ফিরে যেতে; শেকড়ে। নিভৃতচারী, অনালোকিত অথচ গৌরবোজ্জ্বল এক শিল্পী সম্প্রদায়ের বিষাদময় জীবনের ইতিহাস জানতে গেলে আপনাকে পাঠ করতে হবে 'পাউঠি'। তাঁতশিল্পীদের গৌরবময় হারানো ঐতিহ্য আর সোনালী দিনগুলো নিয়ে আপনার আগ্রহ থাকলে আপনি ডুব দিতে পারেন 'পাউঠি'র ভেতর। শিল্প অনুসন্ধিৎসু পাঠকেরা উপন্যাসে লেখকের গবেষণাধর্মী মননের যেমন পরিচয় পাবেন, তেমনি পাবেন উপন্যাসের নবতর এক আঙ্গিকের খোঁজ।পূর্বে কিছু উপন্যাসে তাঁত ও তাঁত শিল্পীদের জীবনের আংশিক চিত্র ফুটে উঠলেও শফিক আশরাফই প্রথম মহাকাব্যিক পরিসরে তাঁতশিল্প ও এর কারিগরদের নিয়ে 'পাউঠি' উপন্যাসটি রচনা করেছেন ।তাই এই প্রজন্মের পাঠকের কাছে 'পাউঠি' পাঠ অনিবার্য হয়ে উঠবে বলে সিদ্ধান্ত দেয়াই যায়।সমকালীন কথাসাহিত্যে 'পাউঠি' নিঃসন্দেহে অনন্য সংযোজন।