User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
সময় আর নদীর স্রোত কারো জন্য অপেক্ষা করে না — এই প্রবাদটা তো আমরা সবাই শুনেছি। কিন্তু এই প্রবাদের সাথে কিঞ্চিৎ দ্বিমত আমার আছে। সময় ও নদীর স্রোতের পাশাপাশি জীবনও কারো জন্য অপেক্ষা করে না। নিজের নির্দিষ্ট গতিপথে এগিয়ে যায়। পিছে ফেলে যায় হাজারো গল্প। যাকে আমরা অতীত বলে অবিহিত করি। অতীত আবার কখনও সময়কে থামিয়ে দেয়। সেই থেমে যাওয়া সময়ের বৃত্তে মানুষ ঘুরপাক খায়। জীবনের গতিময় পথে খাবি খেতে খেতে খোঁজার চেষ্টা করে নিজেকে বা প্রিয় কাউকে। পেতে গিয়েও পাওয়া হয় না। কারণ যারা একবার হারিয়ে যায়, তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা বৃথা! "তক্ষক" এমন এক হারানোর গল্প, যা হয়তো এক বা একাধিক জীবনকে অন্যরকম করে দিয়েছে। জীবনে প্রাপ্তির চেয়ে অপ্রাপ্তির সংখ্যাটাই বেশি। কত ঝড়ঝাপ্টা আসে, তাকে পেরিয়ে যাওয়া যায় না। একটু থিতু হওয়ার চেষ্টা করলে, নতুন কোনো ঝড়ে এলোমেলো হয়ে যেতে হয়। এ গল্পটা আসলে কার? ঝিতু নাকি মিম না-কি শিপনের? শিপন আর ঝিতুর মধ্যে একটা মিল আছে। দুইজনেই লড়াই করে বাঁচতে চাচ্ছে জীবনকে তার তালে ফিরিয়ে আনার আপ্রাণ চেষ্টা করছে। ঝিতু আর মিমের বাবা- তাদের ফেলে চলে গিয়েছে ।সংসারের অবনতি, মায়ের অসুস্থতা, সব মিলিয়ে ঝিতু নিজেও স্বাভাবিক হতে পারছে৷ না। অন্য দিকে মিমের অবণতি দিন দিন বেড়েই চলেছে। খারাপ হয়ে জ্বেলের মধ্যে বন্দি হয়ে আছে। শিপন কিছু করতে পারছে না ছোট বেলার খেলার সাথীদের জন্য। তাঁর ভালোবাসার জন্য এ এক অন্য রকম হতাশা। কাহীনি সংক্ষেপ : শিপন, ঝিতু এবং মিমের দুরন্তপনায় কাটানো শৈশবের রঙিন দিনগুলোর কথা দিয়ে গল্পের শুরু। কীভাবে তিনটি শিশু একসাথে আনন্দে বেড়ে ওঠে সেই গল্পের মাধ্যমেই উপন্যাসের শুরু। শিপনের জবানিতে গল্প এগিয়ে যায়, তাদের তিনজনের একসাথে সাঁতার কাটা,নৌকা নিয়ে বিলের মাঝে চলে যাওয়া,চড়ুইভাতি খেলা,বড়াই ভর্তা করা,নানুর হাতের মজার রান্না খাওয়া গ্রীম্ষের ছুটিতে নানা বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে তৈরি হওয়া স্মৃতির কথাই শিপন বলে যায়। আস্তে আস্তে তাঁরা তিনজন বড় হতে থাকে শৈশব হারিয়ে যায় সেই সাথে হারিয়ে যায় নানা - নানু আর নানা বাড়িতে কাটানো সুন্দর মুহুর্ত গুলো। জীবন তবুও থেমে থাকে না নিজের রঙ পরিবর্তন করে চলতে থাকে। এক সময় সবাই বড় হয়ে যে যার পথ বেছে নেয় কিন্তু সবাই যেন ঠিক একই সুতোয় গাঁথা পড়ে থাকে। শিপন, ঝিতু,মিমের গল্প চলতেই থাকে। তাঁদের সাথে যুক্ত হয় নতুন সদস্য তক্ষক। সেই তক্ষকই ঝিতু,মিম এবং শিপনের জীবনের একসাথে চলা পথের ইতি টানে কিন্তু কিভাবে? তা জানতে হলে পড়তে হবে তক্ষক বইটি। পাঠ প্রতিক্রিয়া : সামাজিক উপন্যাসের সাথে রহস্য ও কিঞ্চিৎ থ্রিলারের যে সংমিশ্রণ ঘটিয়ে যে নতুন জনরার আবির্ভাব তানজিম তানিম ঘটিয়েছেন, তাকে সামাজিক থ্রিলার হিসেবে অভিহিত করাই যায়! “তক্ষক” এমনই এক সামাজিক থ্রিলার। যেখানে সমাজের গল্প বলা হয়েছে। বলা হয়েছে জীবনের গল্প। জীবন তার আপন স্রোতে বয়ে যায়। যে স্রোতে ভেসে রহস্য আসে। সমাজের অন্ধকার দিক, মানুষের অন্ধকার অনুভূতিগুলো ফিরে ফিরে আসে। যা হয়তো এই সমাজে খুব বেশি বাস্তব। কিন্তু এই অন্ধকার দিকগুলোর আলোচনা তেমন হয় না। ভুক্তভোগীরা নীরবতা পালন করে বলেই হয়তো, তারা আড়ালে থেকে যায়। নানান অপকর্ম করে। তানজিম তানিমের লেখা আমার ভীষণ ভালো লেগেছে। তার লেখার মধ্যে এক ধরনের নিজস্বতা আছে। এই নিজস্বতায় তিনি গল্পকে এক ভিন্ন ধরনের গাঁথুনি দেন। যে গল্প স্বমহিমায় এগিয়ে চলে। এখানে লেখকের কোনো জোর থাকে না। নিজস্ব গতিতে গল্প তার লক্ষ্য খুঁজে নেওয়ার চেষ্টা করে। আমি লেখকের বর্ণনা আমাকে এক ধরনের প্রশান্তি এনে দেয়। তার লেখায় অদ্ভুত এক বিষন্নতা আছে। যে বিষন্ন বর্ণনায় জীবন্ত হয়ে ওঠে সবকিছু। পরিবেশ, প্রকৃতির যেরূপ বর্ণনা তিনি দেন; পড়তে মধুর মনে হয়। সেই সাথে প্রাণ সঞ্চার করেন প্রতিটি মুহূর্তে। পাঠকের সাথে গল্পের সংযোগ স্থাপন করতে পারেন বলেই লেখকের লেখা ডুবে যেতে অসুবিধা হয় না। "তক্ষক ” মূলত আশির ও নব্বই দশকের ঘটনা। সেই সময়ের ঘটনা ফুটিয়ে তুলতে হলে সেই সময়টাকে ধারণ করতে হয়। লেখক খুব দক্ষতার সাথে সেই কাজটি করেছেন। বইটি পড়ে আমি বেশ তৃপ্তি পেয়েছি। বইয়ের প্রচ্ছদ আমার খুব ভালো লেগেছে। চমৎকার প্রোডাকশন লেখা স্পষ্ট এবং বানান ভুল চোখে পড়েনি। বইয়ের বাঁধাইও খুব ভালো হয়েছে। সব মিলিয়ে কোয়ালিটি সম্পূর্ণ একটি বই । লেখক পরিচিতি : আমার মনে হয় একজন লেখকের সবচেয়ে বড় পরিচয় তার লেখায় তার উপন্যাসে। একজন লেখকের চমৎকার লেখা তার পরিচয় বহন করে। লেখক তানজিম তানিম একজন সার্থক গল্পকার তার লেখার জাদু তাকে পাঠকের কাছে পরিচিত করছে এবং করে যাবে এই কামনা করি। বই : তক্ষক লেখক: তানজিম তানিম প্রকাশনী : জ্ঞানকোষ পৃষ্টা: ৭৮ রেটিং : ৪.৫/৫
Was this review helpful to you?
or
বুক রিভিউ: বই: তক্ষক (উপন্যাস) লেখক: তানজিম তানিম প্রকাশনী: জ্ঞানকোষ প্রকাশনী মুল চরিত্র: শিপন, ঝিতু, মিম। মূলভাব: বইয়ের নাম তক্ষক শুনেই এটা মাথায় আসতে পারে যে হয়তো বইটাতে তক্ষক ক্রয় বিক্রয় এর যে সিন্ডিকেট দেশে চলতেছে তা অন্যায়, ভালো না এইসব বিষয়ে লেখা হয়েছে। কিন্তু বইটার মূল বিষয় তা নয়। মূল চরিত্র শিপন এর জবানিতে উপস্থাপন করা হয়েছে উক্ত উপন্যাসটি। শিপন, মিম আর ঝিতুর (আমি বইয়ের অর্ধেক পর্যন্ত এটাকে ঋতু পড়েছি) শৈশব থেকে শুরু এই উপন্যাস। গ্রামের প্রকৃতি, শৈশব এর দুষ্টুমি, নানা নানির আদর আর আছে তক্ষক। এই নিয়েই কেটেছে তাদের শৈশব। ধীরে ধীরে বড় হয়েছে মূল চরিত্ররা, সাথে বড় হয়েছে তক্ষক।জীবনের নানা চড়াই-উতরাই পার হতে থাকে এই তিন চরিত্র।বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবনে এসে বখে যায় শিপন। মিম (ছেলে) পড়াশোনা ছেড়ে গরুর খামার দেয়। এদিকে মন আদান প্রদান চলে শিপন আর ঝিতুর মাঝে। একটা সময় নেশায় আসক্ত মিম তাদের শৈশব এর সৃতি জড়ানো তক্ষকটা বিক্রি করে রাতারাতি কোটি টাকার মালিক হতে চায় সে। এই কাজে তার সঙ্গী হিসাবে চায় শিপন কে। শিপন কি সঙ্গ দিয়েছে মিম কে? শিপন আর ঝিতুর ভালোবাসা কি পূর্ণতা পাবে? না কি ঝড়ে যাবে শুকনো পাতার মতো? জানতে চাইলে পড়তে হবে। অনুভূতি: হুমায়ূন আহমেদ এর বই যারা পড়েন, তারা এই বিষয়টা নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন যে বই শেষ করার পর ও বেশ অনেকটা সময় জুড়ে একটা ঘোর লেগে থাকে মাথার ভিতর। তক্ষক উপন্যাস শেষ করার পর ও আমার সেই অবস্থাই হয়েছে।এখনো মাথার ভিতর ঘোর রয়েছে।এই বিষয়টা বেশ ভালো লেগেছে। খারাপ অনুভূতি: আমার মনে হয় ১৮ বছরের নিচের কারো বইটা পড়া উচিত নয়। রেটিং: ৮/১০ রিভিউ লেখায়: #ইমন_মৃধা
Was this review helpful to you?
or
আমার কেন যেন পঁয়ত্রিশশো টাকার টিউশনের কথা মনে পড়ছে। দু'টাকার জন্য মগবাজার থেকে মতিঝিল হেঁটে যাওয়ার কথা মনে পড়ছে। কবিতা মনে পড়ছে না। দিনগুলো ভালো ছিল। আজকাল পেট ভরছে, মন ভরছে না। বলছি "তক্ষক" এর কথা। তক্ষক। দক্ষিন এশিয়ার বিপর্যস্ত একটি প্রাণী। ব্যপক নিধন এর কারণ। মানুষ একে সরীসৃপ এর সাথে তুলনা করলেও আদপে তা নয়। আয়ুর্বেদ ও আধুনিক চিকিৎসার নামে ব্যপক নিধন এই প্রাণীর দ্রুত বিলুপ্তির কারণ। শুধু কি এই প্রাণীর বিলুপ্তি? সাথে জড়িয়ে থাকে কত অন্যায়, কত অবিচার। কখনও বা জখম থেকে খুনও। আর তক্ষক দেখতে দেখতে বড় হওয়া? সেও যে প্রকৃতির আরেক রুপ। শৈশব-কৈশোরের দুরন্তপনার দিন, নানার বাড়ি, দাদার বাড়ি, খেয়া নৌকা, নদী, বিল, ডুব-ডুবানি খেলা, ঝড়-বৃষ্টির রাত, নানুর চুলে পানের গন্ধ, খালাতো-মামাতো-পাড়াতো ভাইবোনেদের লুকোচুরির দিন, বড়দের আয়-ব্যয়ের উঠাপড়ন, কান্না-হাসির একটু একটু ভালোবাসার খুনশুটি, ইত্যাদি ইত্যাদি দেখতে দেখতে যে শৈশব কৈশোর ছুঁতে চাই তারুণ্য, সে তারুণ্যে উষ্ণতা ছড়ায় আচম্বিত ঠোঁটের চাপে পিষে মরার ইচ্ছেই। তবুও কি জীবন ছাড় দেয় না ছেড়ে দেয়? তাই যদি হবে তবে মিথ্যা কলঙ্কের টিপ কপালে এঁকে দড়িকেই কেন মালা করে ফাঁস করে নিতে হবে স্বেচ্ছা মরনের ইচ্ছেই? জলজ্যান্ত যুবক লোভের থাবায় হারিয়ে স্বর্বস্ব নিথর দেহ হয়ে পড়ে থাকে পথের ধুলোয়। সেও কি পথের দাবি নাকি সময়ের দাবি ছিল? আর ভালোবাসা কিংবা কর্তব্যবোধ অথবা দ্বায়িত্ববোধ? সেগুলোও কি বয়ে নিতে হয় আজন্ম কিংবা আমৃত্য? জানি না এতসব। শুধু জানি আগেই সব ভালো ছিল। সব সব। আজকাল পেট ভরছে কেবল কিন্তু মনটা ভরছে না। হ্যাঁ, আমি এখনও "তক্ষক" এর কথাই বলছি। "তক্ষক" একটি উপন্যাসের নাম। সত্যিই এই উপন্যাস পড়ে আমার মন ভরেনি। উপন্যাস না বলে বড় গল্প বলতে পারলেই বোধকরি ভালো লাগত। মাত্র আশি পৃষ্ঠার এই বইটি হাতে নিতেই শেষ হয়ে গেল। এত ঝরঝরে আর ঘরের ভাষা যে পড়তে পড়তে হৃদয়ঙ্গম করতে পারা গেল সহসাই। মনে হল এই তো এ যেন আমার চিরচেনা পাশের বাড়ির মায়া। অবিচ্ছেদ্য আর চিরকালের আড়ি-ভাবের আদান-প্রদান। তাই মুদ্রণ প্রমাদ গুনলেও বুঝে নিতে কষ্ট হয়নি একটুও। এরপরের উপন্যাস এর চেয়ে দ্বিগুন বড় হবে সেই আশা করি প্রিয় লেখকের কাছে। প্রিয় ছোট্ট তানিমের কাছে। অনেক বড় হও। অনেক অনেকের ভিড়ে সেদিনও যেন তুমি আমায় আর আমি তোমাকেই খুঁজে নিই বারংবার। "তক্ষক" লেখকঃ তানজিম তানিম প্রকাশকঃ শহীদ হাসান তরফদার (জ্ঞানকোষ প্রকাশনী) প্রচ্ছদঃ সাদিতউজ্জামান প্রথম প্রকাশঃ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ দ্বিতীয় মুদ্রণঃ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ পাঠ_প্রতিক্রিয়া ______ইসরাত জাহান ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ৭ ফাল্গুন ১৪২৯ সোমবার/রাত ৮,২৪ মিনিট।
Was this review helpful to you?
or
তক্ষক রিভিউ- পড়ছিলাম তানজিম তানিম ভাইয়ার লেখা "তক্ষক" সাধারণ ব্যাপার ও অনেক সময় মন ছুঁয়ে যায় যদি সেটা সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা যায়। সাধারণ একটি ঘটনাকেই অসাধারণভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বইটিতে। ভাইয়ার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা। সামনে আমাদেরকে আরো ভালো ভালো বই উপহার দিবেন এই প্রত্যাশা রইলো।
Was this review helpful to you?
or
#বুকরিভিউ "তক্ষক" লেখকঃ তানজিম তানিম তক্ষক মূলত একটি সমকালীন উপন্যাস। তক্ষক উপন্যাসের মাধ্যমে লেখক নিজেকে রিভিল করেছেন। উপন্যাসের শুরু হয় তিনটি ছেলেমেয়ের দুরন্তপনা দিয়ে। মিম, ঝিতু এবং উত্তম পুরুষে লেখা লেখকের কাল্পনিক চরিত্র। উপন্যাসটির শুরু হয়েছে তাদের রঙিন দুরন্ত শৈশব দিয়ে যা অবশ্য পরে হারিয়ে গিয়েছে জীবনের হট্টগোলে। এই তিনজনের আনন্দের দিনক্ষণ থাকে কৈশোর পর্যন্ত। তারপর হারিয়ে যায় সামাজিক দ্বন্দ্বে। তাদের কৈশোরের বন্ধু তক্ষকের সাথে তাদের একজনের জীবনাবসান ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে যায়। এই উপন্যাসের আরও কয়েকটি চরিত্র ওঠে এসেছে তিন্নি ম্যাডাম, শিহাব স্যার, শিবু ভাই। তারা সবাই লেখকের কাল্পনিক উত্তম পুরুষ চরিত্রের বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের চরিত্র। এই উপন্যাস পড়ার মাধ্যমে হলে থাকা দেশের সেরা মেধাগুলোর কষ্ট আমাকে কষ্ট দিয়েছে। উপন্যাসে লেখক বলেছেন, "হলে সবার সাথে একটা করে মা থাকলে হলের অনেক মারামারি-কাটাকাটি কমে যেতো।" লেখকের এই আক্ষেপ আমি আমার মাঝেও দেখেছি। কেন এমন হয়? 'তক্ষক' পড়তে গিয়ে আমি যা দেখে বিমোহিত হয়েছি তা হচ্ছে এর ভাষা। এই উপন্যাসের মূল উপজীব্য শৈশব, কৈশোর, ছাত্রজীবন, মেস লাইফ, গণরুম, নিম্নমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত জীবনের টানপোড়েন, সমাজে নারীর অবস্থান, নরনারীর প্রেম, ইউনিভার্সিটি লাইফ। 'তক্ষক' শুরু করতেই মুগ্ধ হই গীতিময় কবিতায়- "আমার কেন যেন পঁয়ত্রিশশো টাকার টিউশনের কথা মনে পড়ছে। দু'টাকার জন্য মগবাজার থেকে মতিঝিল হেঁটে যাওয়ার কথা মনে পড়ছে। কবিতা মনে পড়ছে না। দিনগুলো ভালো ছিল আজকাল পেট ভরছে, মন ভরছে না।" তবে উপন্যাসটি পড়ে আমার সময় দারুণ কেটেছে।
Was this review helpful to you?
or
'তক্ষক' অনেক অনেক দিন পর আমি কোনো উপন্যাস পড়লাম। কিন্তু একটা মুহূর্তের জন্য আমার বিরক্ত লাগে নাই কিংবা একটা মুহূর্তের জন্য বইটা পড়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলি নাই। হ্যাঁ বলতেছিলাম তানজিম তানিম ভাইয়ের লেখা 'তক্ষক' উপন্যাসটার কথা। তক্ষক যেমন রং বদলায় ঠিক তেমনি জীবনের বিভিন্ন সময়ের বিভিন্ন রং সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন উপন্যাসটিতে। উপন্যাসটির প্রত্যেকটা ধাপে মনে হইছে, আরে এটাই তো আমাদের স্কুল লাইফ,কলেজ লাইফ কিংবা ইউনিভার্সিটি লাইফে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনার আক্ষরিক রূপ।এমনটাই তো আমাদের চারপাশে ঘটছে প্রতিনিয়ত। স্কুল-কলেজ-ইউনিভার্সিটি লাইফ এর উত্থান,পতন, ম্যাচ্যুরিটি আশা, পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নেওয়া, সেই সাথে পারিবারিক উত্থান পতন সব কিছুরই একটা সুন্দর অবয়ব এই উপন্যাসটা। শৈশবের স্কুল যাওয়া থেকে শুরু করে মায়ের হাতের মার, নৌকায় করে বিলে শাপলা কুড়ানো, কৈশরের স্কুল পালানো থেকে শুরু করে পাড়ার মাঠে ক্রিকেট ফুটবল খেলে দাপিয়ে বেড়ানো, কলেজ লাইফে নিজেকে মানিয়ে নেওয়া থেকে শুরু করে ইউনিভার্সিটি লাইফের ডাইনিং এর মুরগি, সাথে সেখানকার রাজনীতি, সাথে আছে ৩৫০০ টাকার টিউশন থেকে শুরু করে প্রেমিকাকে কাছে পাওয়ার আকুতি।শৈশবকালের ভালোলাগা থেকে শুরু করে কৈশোর কালের ভালোবাসা সেখান থেকে সকল বাধা বিপত্তি পেরিয়ে স্বপ্নের মতো এক পরিণয়।আছে কঠিন সব মুহূর্তে নিজেকে মানিয়ে নিয়ে সামনে এগিয়ে চলার গল্প। আছে বন্ধুত্ব,আছে ভ্রাতৃত্ববোধ, আছে মানুষরূপী পশুদের হিংস্রতার প্রতিচ্ছবি। সব কিছুরই যেনো কম্বাইন্ড প্যাকেজ এই উপন্যাসটি।যা আমাদের চারপাশে আমাদের সাথে ঘটে যাওয়া অনেক ঘটনারই একটি বহিঃপ্রকাশ। ও হ্যাঁ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আছে 'তক্ষক' যা কিনা রং বদলায়, আবার টককো টককো বলে ডাকে। ইংরেজি নাম Gecko. Scientific name,"Gekko gecko".
Was this review helpful to you?
or
খুব চমৎকার একটি বই অবসর সময়ে পড়ার জন্য।
Was this review helpful to you?
or
তানজিম তানিম ভাইয়া, তক্ষ্ক একটা মাস্টারপিস হইছে। তিন নাম্বার বইটা যেন আপনার সফলতাকে আরো একধাপ এগিয়ে নিয়ে যায় এই দোয়া করি। প্রি অর্ডারের বই হাতে পেয়েছি, তার জন্য কৃতজ্ঞতা। খুব কমন এবং প্রায় সবার পরিচিত একটা গল্প যা হয়ত আমরা সবাই এক্সপেরিয়েন্স করেছি সেটাকে এত্তবেশি প্রাণবন্ত আর অসাধারণ ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন আপনি।। জাস্ট মোহ নিয়ে পড়েছি, এক কথায় এক্সট্রিমলি গুড। পড়ার সময় সবাইই নিজের সাথে রিলেট করতে পারবে। সবচেয়ে বড় কথা, মনে হচ্ছে নিজের চোখের সামনে কল্পনা করা যাচ্ছিল। প্রতিটা মানুষের জীবনের আপস এন্ড ডাউন যে একসাথেই সমান্তরালে চলে এটার প্রকাশটা খুব ভাল ছিল।।। আবারো অভিনন্দন আপনাকে আর তক্ষকের জন্য অনেক শুভ কামনা।। পৃথিবী বইয়ের হোক।