User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
বইগুলো খুব দারুণ। তবে বাক্স রহস্য বইটির কোনায় একটু ছেঁড়া রয়েছে। গিফট দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
Was this review helpful to you?
or
this book is full of adventures
Was this review helpful to you?
or
এর কাহিনী গড়ে উঠেছে মুকুল নামে একটি জাতিস্মর বালককে কেন্দ্র করে। সুধীর ধরের ছেলে মুকুল ছয় বছর বয়সে পূর্বজন্মের স্মৃতিচারণ করতে থাকে। তারপর ঘটনাক্রমে এই কেস চলে আসে গোয়েন্দা ফেলুদার কাছে। তিনি তার সঙ্গী তোপসেকে নিয়ে যোধপুরের উদ্দ্যেশে বেরিয়ে পড়েন সোনার কেল্লা খুঁজতে। আমাদের প্রিয় ফেলুদা কি পারবেন সোনার কেল্লার খোঁজ পেতে? রহস্যগল্প পাঠকদের জন্য এটা একটা অমৃতসদৃশ বই।
Was this review helpful to you?
or
'সোনার কেল্লা' বই টি বিখ্যাত লেখক সত্যজিত রায়ের তার লেখা বিখ্যাত ফেলুদা সিরিজের বই । লেখক সত্যজিত রায় ১৯২১ সালের ২ মে কলকাতায় জন্মগ্রহন করেন । তিনি কলকাতার প্রেসিডেন্সী কলেজ এ ও শান্তিনিকেতন এ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রতিষ্ঠিত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন । তিনি একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা ও বিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ চলচিত্র পরিচালক । তিনি কর্মজীবনে একজন বানিজ্যিক চিত্রকর হিসেবে শুরু করেন । এরপর তিনি চলচ্চিত্র নির্মানে যোগদান করেন । সোনার কেল্লা বইটি প্রকাশিত হয় ১৯৭১ সালের ডিসেম্বর মাসে আনন্দ পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড প্রকাশনী থেকে । প্রকাশক সুবীরকুমার মিত্র । প্রচ্ছদ করেছেন স্বয়ং লেখক নিজেই । সোনার কেল্লা বইটি লেখকের বিখ্যাত ফেলুদা সিরিজের বই । ফেলুদা সিরিজ সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছু নেই । বাংলার রহস্য প্রিয় পাঠক সমাজ ও যারা গোয়েন্দা গল্প পছন্দ করেন ফেলুদা তাদের কাছে একটি অতি পরিচিত নাম । উপন্যাসে একটি চরিত্র মুকুল । তার ভাষ্যমতে সে একজন জাতিস্মর । পূর্ব জন্মে সে একটি সোনার কেল্লায় থাকতো । সেই কেল্লায় গুপ্তধন রয়েছে এই কথাও বলে মুকুল । এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পরে মুকুল কে ঘিরে শুরু হয় নানা রকম ঘটনা । তার পিছে লাগে কিডন্যাপার এর দল । তার কথামতো পেতে চায় গুপ্তধন । এর মধ্যে জটায়ু এর সাথে ফেলুদার দেখা হয় । উল্লেখ্য যে জটায়ু ফেলুদা সিরিজে অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ন চরিত্র যা এই উপন্যাস থেকেই আবির্ভাব হয় । এরপরে ডঃ হাজরা মুকুল কে নিয়ে সটকে পড়ে । তারপরে শুরু হয় ফেলুদা আর জটায়ু এর রোমাঞ্চকর অভিযাত্রা । ফেলুদা কি পারবে এই রহস্য বের করতে ? এইরকম টান টান উত্তেজনাকর একটি উপন্যাস সোনার কেল্লা যা ফেলুদা সিরিজ প্রেমী মানুষ সহ সর্বোপরি সকল পাঠকের মনেই জায়গা করে নিবে । অসাধারন সব স্থানের বর্ননা আর সবসময় ই রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা পাওয়া যাবে বইটি তে । লেখক তার জীবনে অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন , তার মধ্যে সেরা হচ্ছে একাডেমী সন্মানসূচক পুরষ্কার বা অস্কার । তিনি ১৯৯২ সালের ২৩ এপ্রিল মৃত্যুবরন করেন ।
Was this review helpful to you?
or
সত্যজিৎ রায়ের লেখা ফেলুদা সিরিজের 'সোনার কেল্লা' উপন্যাসটি ধারণ করে আছে বাংলা শিল্প-সাহিত্য অঙ্গনের একাধিক গৌরবময় ইতিহাস। স্রেফ উপন্যাস হিসেবে এটি বাংলা সাহিত্যের সর্বকালের অন্যতম সেরা কিশোর-গোয়েন্দা উপন্যাস তো বটেই, এর কাহিনী নিয়ে নির্মিত ছবিও ভারতীয় বাংলা চলচ্চিত্র হিসেবে সবচেয়ে বেশি জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত। এমনকি এটি সমগ্র ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসেও চেতন ভগতের 'ফাইভ পয়েন্ট সামওয়ান' হতে নির্মিত 'থ্রি ইডিয়টস' এর পর কোন উপন্যাস থেকে এডাপ্ট করা ছবির মধ্যে সবচেয়ে বেশি পুরস্কারপ্রাপ্ত। ফেলুদা সিরিজের প্রথম দিককার উপন্যাস এটি। এর আগে মাত্র ৫টি উপন্যাস/গল্প লিখেছিলেন সত্যজিৎ রায় ফেলুদা আর তোপসেকে নিয়ে। তখনো কাহিনীতে বিখ্যাৎ লেখক লালমোহন গাঙ্গুলী ওরফে জটায়ুর আগমন ঘটেনি। এই উপন্যাসেই প্রথম তাকে দেখা যায়। ফেলুদা আর তোপসে পুজোর এক সকালে তাদের বৈঠকখানায় বসে জিওমেট্রি নিয়ে আলাপ করছিল। এমন সময় এক লোকের আগমন। সে এসে জানাল সে মুকুল নামের ছেলেটির বাবা যার কথা সাম্প্রতিক সময়ে পেপারে এসেছে। মুকুল ছেলেটি নাকি জাতিস্মর, পূর্বজন্মে সোনার কেল্লায় থাকত। সারাদিন সে সোনার কথা বলে, সোনার কেল্লায় যেতে চায়। সোনার কেল্লার ভেতর গুপ্তধনের উপস্থিতির কথাও জানিয়েছে সে। এই খবর শুনে ডক্টর হাজরা নামে এক প্যারাসাইকোলজিস্ট মুকুলকে নিয়ে তিনদিন আগে রওনা দিয়েছেন যোধপুরে। আর যেদিনের কথা হচ্ছে, ওইদিন মুকুলদের পাড়া থেকে মুকুল ভেবে অন্য একটা বাচ্চাকে তুলে নিয়ে গেছিল কিডন্যাপাররা। তাদের উদ্দেশ্য গুপ্তধনের কথা জানা। ভুল হয়েছে ভেবে তারা অন্য বাচ্চাটিকে ফেরত দিয়েছে বটে কিন্তু মুকুলের বাবা ভয় পাচ্ছে যোধপুরে গিয়ে যদি মুকুলের ওপর এবার হামলা চালায় কিডন্যাপাররা? এজন্য মুকুলের নিরাপত্তার্থে ফেলুদাকে যোধপুরে যেতে বলল মুকুলের বাবা। কেসটি নিল ফেলুদা। তোপসেকে নিয়ে চলল রাজাস্থানের উদ্দেশ্যে। ট্রেনেই দেখা হল জটায়ুর সাথে। তখনো কিন্তু সে নিছকই একটা চরিত্র। এছাড়াও যোধপুরের গেস্টহাউজে গিয়ে দেখা মিল মিস্টার বোস নামে এক লোকের যে নাকি গ্লোব ট্রটার। এছাড়া ডক্টর হাজরা আর মুকুলকে তো পাওয়া গেলই। ইতোমধ্যে দেখা মিলেছে রাজাস্থানী স্থানীয় পোশাক পরা আরেক সন্দেহজনক চরিত্রেরও। এরপর একে একে ঘটতে লাগল অনেক ঘটনা। ফেলুদা কোলকাতা ফিরে যাওয়ার হুমকিবার্তা পেল। মুকুলকে নিয়ে ফেলুদাকে কিছু না জানিয়েই সটকে পড়ল ডক্টর হাজরা। এরপর তোপসে আর জটায়ুকে নিয়ে শুরু হল ফেলুদার অ্যাডভেঞ্চার। পদে পদে বাধার সম্মুখীন হতে হল তাকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কি মুকুলকে পাওয়া যাবে? মুকুল কি আদৌ জাতিস্মর? সে যদি সত্যিই জাতিস্মর হয় তাহলে তার বর্ণনা মোতাবেক সোনার কেল্লার দেখা কি মিলবে? আর সবচেয়ে বড় কথা, মুকুলের পিছনে লেগেছে যারা, তারা কারা? ফেলুদা কি তাদের সনাক্ত করে পরাস্ত করতে পারবে? এমন কাহিনী নিয়েই 'সোনার কেল্লা' উপন্যাস। বেশি কথা বাড়াব না। ফেলুদা সিরিজের আমার অন্যতম প্রিয় উপন্যাস। যেরকম টানটান বুননে রহস্যের জাল বেধেছেন লেখক, তেমনি ভারতবর্ষের বিখ্যাত স্থান রাজাস্থানেরও নিখুঁত বর্ণনা দিয়েছেন। সবমিলিয়ে সোনার কেল্লা' অসাধারণ।
Was this review helpful to you?
or
বইঃ সোনার কেল্লা লেখকঃ সত্যজিৎ রায় সোনার কেল্লা বইটি নওরোজ কিতাবিস্তান থেকেও প্রকাশিত হয়। রহস্য রোমাঞ্চ লেখক জটায়ুর সাথে সোনার কেল্লা উপন্যাসেই প্রথম ফেলুদা আর তোপসের সাথে দেখা হয়। সুধীর ধরের ছেলে মুকুল ধরের আগের জন্মের কথা মনে পড়ে যায়। সে একটা কেল্লার কথা বলতে থাকে যার নাম সোনার কেল্লা। ড. হাজরা জাতিস্মর নিয়ে গবেষনার জন্য তাকে মানে মুকুলকে নিয়ে রাজস্থানের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবার পরের দিনই তার পাড়ার আরেকটি ছেলে যে কিনা মুকুলের মতই দেখতে তাকে কারা যেন উঠিয়ে নিয়ে যায়। ফেলুদা আর তোপসে বেরিয়ে পড়ে তাদের যদি কোনো বিপদ নাও হয় তাহলে অন্তত রাজস্থান ঘুরে আসা যাবে এই ভেবে। সেখানে গিয়ে তারা জড়িয়ে পড়ে রহস্যের জালে। সত্যজিৎ রায় ফেলুদা চরিত্র নিয়ে যেদুটি সিনেমা বানিয়েছিলেন তার মধ্যে সোনার কেল্লা অন্যতম এবং প্রথম।