User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
I was just looking for a regular daily life stories. So I bought this book reading the initial pages. But I was surprised to see how touching the story is. They writing style is excellent. Don't see any reason not to rate him less than any famous writers in Bangladesh. I've ordered all the other books.
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের তথ্য : শিরোনাম : গজদন্তিনী লেখক : যোবায়েদ আহসান প্রথম প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ২০২২ পৃষ্ঠা সংখ্যা :১৪৪ প্রকাশনী : নয়া উদ্যোগ -এটি লেখকের চতুর্থ উপন্যাস। প্রত্যেক পাঠকের জীবনে কিছু কিছু বই আসে যা তাদের চিন্তাভাবনার জগতে এক নতুন আলোড়ন তোলে। যোবায়েদ আহসান-এর "গজদন্তিনী" এমনই একটি বই, যা পাঠকের হৃদয়ে এক অনির্বচনীয় ছাপ ফেলে। আর মজার ব্যাপার হলো উপন্যাসটি তিনি ঢাকা শহরের জ্যামে আটকে থাকা কোনো এক যানবাহনে বসে লিখেছেন। উনার সবগুলো কর্মই মোটামুটি জ্যামে বসে লিখা। এই প্রথম আমি এমন কোনো লেখকের লিখা পড়ছি যেগুলো জনবহুল এবং কোলাহলপূর্ণ,শব্দ দূষণের মতো বিরক্তিকর পরিবেশে বসে লিখেছেন। এত সবকিছুর মধ্যেও তিনি পড়েছিলেন অন্য কোনো এক জগতে। অথচ আমরা সময়কে কতভাবেই না অপচয় করি। আমার কাছে মনে হয় সময়ের সবচেয়ে বেস্ট ইউটিলাইজেশন এটা। আরেকটা ভালোলাগার কথা হলো আমি নিজেও উনার মতো এটা জ্যামে বসে পড়ে শেষ করেছিলাম। ভাবলাম এটা এনজয় করে দেখি কেমন লাগে! যেভাবে তিনি জ্যামে বসে লিখেছেন সেভাবে আমিও জ্যামে বসে পড়ে চারপাশের জ্যাম আর কোলাহলময় সান্ধ্যনগরীকে অবহেলায় দূরে সরিয়ে রেখেছি। চলুন, এই উপন্যাসের গভীরতা এবং মাধুর্যকে একসঙ্গে আবিষ্কার করি-- কাহিনীর যাত্রা: উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র অন্তু, একজন আধুনিক তরুণ, যার জীবনে প্রেমের এক অদ্ভুত খেলা চলছে। রুমকী, এক সপ্রতিভ তরুণী, যে কোনোভাবেই বশ মানতে চায় না। অন্তুর আধ খাওয়া কফির কাপ দিয়ে রুমকীকে বিভ্রান্ত করার প্রচেষ্টা এবং এর বিপরীত প্রতিক্রিয়া কাহিনীকে এক নতুন মাত্রা দেয়। এই খেলার মাঝে তাদের সম্পর্কের গভীরতা এবং জটিলতা ক্রমশ প্রকাশিত হয়। -অন্তুর ক্রিয়া ও রুমকীর প্রতিক্রিয়া : "কাউকে আধ খাওয়া কফি খেতে বলাটা অভদ্ৰতা। অন্তু জেনেশুনেই এই অভদ্রতাটা করলো। তার উদ্দেশ্য গজদন্তিনীকে বিভ্রান্ত করা। সুন্দরী তরুণীকে পটাতে হলে প্রথম প্রথম তাকে বিভ্রান্ত করতে হয়। এর ফলে তরুণী ঘন ঘন ভাবতে থাকে – লোকটা এমন কেন ? এতে তরুণীর মস্তিষ্কে নিজের একটা অবস্থান তৈরী করে নেওয়া যায়।" "কিন্তু অন্তুর এই চালে গজদন্তিনী মোটেও বিভ্রান্ত হলো না। বরং উল্টো অন্তু নিজেই বিভ্ৰান্ত হয়ে গেলো। অন্তুর ধারণা ছিলো আধ খাওয়া কফির কাপ অফার করায় রুমকী ছিঃ ছিঃ বলে তার উপর খেপে যাবে। কিন্তু বাস্তবে সেটা ঘটলো না। উলটো রুমকী কফির কাপটা হাতে নিয়ে নির্বিকারভাবে চুমুক দিয়ে কফি খাওয়া শুরু করলো।" চরিত্রের গভীরতা : অন্তু: চরিত্রটি অত্যন্ত জটিল এবং বুদ্ধিমত্তার প্রতীক। প্রেমের জগতে তার বিভ্রান্তির প্রয়াস এবং ব্যর্থতা তাকে বাস্তব ও মানবিক করে তুলেছে। রুমকী: তার সাহস, আত্মবিশ্বাস, এবং সপ্রতিভতা তাকে অসাধারণ করে তুলেছে। তার প্রতিটি পদক্ষেপে তার ব্যক্তিত্বের দৃঢ়তা প্রকাশ পায়। আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হচ্ছে যার সাথে রুমকীর বিয়ে হওয়ার কথা হয়। আগে থেকে নাম ও বৈশিষ্ট্য কিছুই বলতে চাচ্ছিনা। কারণ, আমার কাছে এই চরিত্রটা উপভোগ্য ছিলো। স্পয়লার দিলে পাঠকদের আগ্রহ কমে যাবে। লেখকের শৈলী : যোবায়েদ আহসান-এর লেখনী পাঠককে বলা যায় এক অদ্ভুত মায়ায় আবদ্ধ করে রাখে। উনার ভাষায় সরলতা, বর্ণনার গভীরতা এবং সংলাপের স্বতঃস্ফূর্ততা রয়েছে যা প্রতিটি পৃষ্ঠায় জীবন্ত হয়ে ওঠে। বিশেষ করে, লেখক তার বর্ণনার মাধ্যমে প্রেমের সূক্ষ্মতা এবং সম্পর্কের জটিলতা অসাধারণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা : উপন্যাসটি পড়ে মনে হয়েছে, প্রতিটি মানুষের জীবনে এমন কিছু মুহূর্ত আসে যা তাকে ভিন্নভাবে চিন্তা করতে বাধ্য করে। অন্তু এবং রুমকীর সম্পর্কের ধরন ও তাদের মধ্যে থাকা দ্বন্দ্ব আমাকে গভীরভাবে ছুঁয়ে গেছে। "গজদন্তিনী" আমার জীবনের এক অনন্য অভিজ্ঞতা হয়ে থাকবে। প্রেমের উপন্যাস খুব কমই পড়া হয়। হয়তো সেটাও এক কারণ হতে পারে। কিন্তু আমার মনে হয়েছে প্রাঞ্জল ও সাবলীল লিখার অধিকারী কোনো লেখকের লিখা নতুন পাঠকদের শুরুতেই পড়া উচিত। এতে লেখার সঠিক মর্মার্থ অনুধাবন করা যায়। বইয়ে কিছু কিছু জায়গা পড়ে অনেক হেসেছি। নিজের বোনকেও পড়ে শুনিয়ে দুইজনে একসাথে হেসেছি। " বিরতির সময় বাথরুমের ইউরেনালের সামনে দাঁড়িয়ে ফিতা খুলতে গিয়ে দেখে মরা গিট্টু। অন্তু গিট্টু খোলার চেষ্টা করছে,কিন্তু খুলছেনা। তার পেছনে লোকজনের লাইন বাড়ছে,তলপেটের চাপও বাড়ছে।কিন্তু গিট্টু খুলছেনা। পেছন থেকে চ্যাংড়ামতো এক ছেলে বলে উঠলো- কিরে ভাই, মোতেন না কেন? মুতের লাইনে কি জ্যাম লাগছে নাকি? আরেকজন বলে উঠলো-কিরে ভাই, স্লুইসগেটের চাবি কি হারাইয়া ফেলছেন? " আর হ্যাঁ, মজার দুইটি চরিত্র হচ্ছে অন্তুর নিঃসন্তান "ফুপা-ফুপু। " সুপারিশ: যারা প্রেমের গল্পের মাঝে জীবনের গভীরতা খুঁজছেন, তাদের জন্য "গজদন্তিনী" একটি অবশ্যপাঠ্য। এটি আপনাকে প্রেম এবং সম্পর্কের নতুন দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করবে এবং আপনার মনে এক গভীর ছাপ ফেলবে। কিছু ব্যক্তিগত অসন্তুষ্টি : প্রেমের উপন্যাস ইগনোর করার আরেকটা কারণ হচ্ছে ফেইসবুকে মাঝেমধ্যে বিভিন্ন পেইজ থেকে গল্প রিকমেন্ডেশনে আসতো সেখানে দেখতাম নায়ক/নায়িকাদের চোখ ঝলসানো সৌন্দর্য উল্লেখ থাকতো। যেগুলো বিরক্তিকর। কেননা ভালোবাসা শুধু যদি সৌন্দর্যের ওপর ডিপেন্ড করে হতো তাহলে পৃথিবীতে ভালোবাসার অস্তিত্ব টিকেই থাকতোনা। প্রতিটা উপন্যাসেই শুধু প্রেমিক/প্রেমিকার সৌন্দর্যে মোহিত হয়ে ভালোবেসে ফেলে। এটা কি আদৌ ভালোবাসাকে রিপ্রেজেন্ট করা নাকি সুন্দরি হলেই কেবল এমন ইম্পর্ট্যান্স পাওয়া যায় সেটা সবার মাঝে তুলে ধরা? আমার মনে হয় তারাই শুধু এমন চোখ ধাঁধানো সৌন্দর্যের বিষয় উপন্যাসে উল্লেখ করতে চান যারা এখনও কম বয়সী অর্থাৎ ইমমেচিউর। কিন্তু যোবায়েদ আহসান এর মতো একজন ম্যাচিউরড্ ব্যক্তিও সৌন্দর্যকে রিপ্রেজেন্ট করেছেন এই বিষয়টা ভালো লাগলোনা। এটা একান্তই আমার ব্যক্তিগত অভিমত। সমাপ্তি : যোবায়েদ আহসান-এর "গজদন্তিনী" একটি হৃদয়স্পর্শী উপন্যাস, যা প্রেমের কাহিনীকে নতুন দৃষ্টিতে তুলে ধরে। এটি মানবিক সম্পর্কের একটি গভীর প্রতিচ্ছবি। সৌন্দর্যকে বেশি ফোকাসে রাখলেও পারিপার্শ্বিক বিভিন্ন ঘটনা স্টোরিকে আরও শক্তিশালী করেছে। সেজন্যই বইটা আমার কাছে ভালো লেগেছে। নাহলে হয়তো শেষ করতে পারতাম না। তারপর, আপনার হৃদয়ে একটি স্থায়ী ছাপ ফেলার জন্য "গজদন্তিনী" পড়ুন এবং আবিষ্কার করুন প্রেমের নতুন মানে। রেটিং : ৪/৫ শুভকামনা রইল।
Was this review helpful to you?
or
#গজদন্তিনী #পাঠ_অনুভূতি ♦এক নজরেঃ •উপন্যাসের নামঃ গজদন্তিনী •লেখকঃ যোবায়েদ আহসান •ধরনঃ রম্য, রোমান্টিক •প্রকাশনীঃ নয়া উদ্যোগ •প্রচ্ছদঃ এনক সাং তিন লিয়ান বম •মুদ্রিত মূল্যঃ ৩৫০ •পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ১৪৪ •প্রকাশকালঃ সেপ্টেম্বর ২০২২ লেখনীতেঃ রিফায়াত হাসান সাকিব ♦ভূমিকাঃ এই বইটা নিয়ে বেশ ভালো একটা কাহিনী আছে আমার জন্য । হঠাৎ করে একদিন কি ভেবে যেন বইটা নিয়ে ফেসবুকে একটু আলোচনা দেখেই বইটা নিয়ে ফেলতে ইচ্ছে হলো খুব । বেশ কয়েকবার ভাবনা চিন্তাও হলো খুব । তারপরে হঠাৎ একটা সময়ে বইটা অর্ডার করে ফেলা হলো । আশ্চর্য হয়ে আমি খেয়াল করলাম তারই দিন দুয়েক পরে হঠাৎ করে বইটা কে যেন গিফট দিয়ে ফেললো । আমি সাথে সাথে নিজের অর্ডারের বইটা পরিবর্তন করে ফেললাম । আমার পাঠক জীবনে এরকম কিছু কিছু মুহূর্ত থাকে বই অর্ডার করার সময়ে । যেগুলোকে বেশ অন্যরকম লাগে । অন্যরকম ভাবে তা নিয়ে ভাবতে ইচ্ছে করে খুব । ♦পারিপার্শ্বিক দিকঃ এই বইটা পড়ার ইচ্ছা আজ আমার ছিল না । কিন্তু আজকে আমার ছুটির দিন । অনেকদিন পরে একটা নিজের জন্য সময় পেলাম । নিজের জন্য সময় মানেই আমার জন্য বই নিয়ে বসে পড়া । যেখানে শুধু আমি, আর তারা । তা ভেবেই বইটি পড়তে চেয়েছিলাম । ঠিক দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে বইটি পড়তে শুরু করেছিলাম । সময়টা এখন ঠিক দুপুর ২টা ৪০ মিনিট । যখন বইটি পড়া শেষ হয়ে গেল । ♦নামকরণঃ পৃথিবীতে ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে পড়ার পিছনে দেখা যায় শুরুতে একটা কারণ থাকে । কিন্তু সেই কারণ কবে যেন ধুয়ে মুছে অন্যরকম কিছু একটা হয়ে যায় । তখন ভালোবাসা কেনো যে হয়ে যায়, কেনো যে রয়ে যায় আলগোছে আবেশিত করার অনুভূতি নিয়ে কেউ বোধহয় আর টের পায় না । এই ভালোবাসার গল্পের শুরুটা কারো গজদাঁত বিকশিত হয়ে হাসি নামক এক মায়ায় জড়িয়ে যাওয়ার শুরু দিয়ে । যে গজদাঁত বারেবারে কিছু মায়া দিয়ে জড়িয়ে দিতে চায় । গজদাঁত, এবং তা নিয়ে আঁকড়ে থাকা এক নারী এবং তাতেই ভালোলাগা থেকে ভালোবাসা হওয়ার বিভিন্ন মুহূর্ত নিয়েই এই আখ্যান । ♦ফ্ল্যাপে লেখাঃ ...কাউকে আধ খাওয়া কফি খেতে বলাটা অভদ্ৰতা । অন্তু জেনেশুনেই এই অভদ্রতাটা করলো । তার উদ্দেশ্য গজদন্তিনীকে বিভ্রান্ত করা । সুন্দরী তরুণীকে পটাতে হলে প্রথম প্রথম তাকে বিভ্রান্ত করতে হয় । এর ফলে তরুণী ঘন ঘন ভাবতে থাকে - লোকটা এমন কেন ? এতে তরুণীর মস্তিষ্কে নিজের একটা অবস্থান তৈরি করে নেওয়া যায় । কিন্তু অন্তুর এই চালে গজদন্তিনী মোটেও বিভ্রান্ত হলো না । বরং উল্টো অন্তু নিজেই বিভ্ৰান্ত হয়ে গেলো । অন্তুর ধারণা ছিলো আধ খাওয়া কফির কাপ অফার করায় রুমকী ছিঃ ছিঃ বলে তার উপর খেপে যাবে । কিন্তু বাস্তবে সেটা ঘটলো না । উলটো রুমকী কফির কাপটা হাতে নিয়ে নির্বিকারভাবে চুমুক দিয়ে কফি খাওয়া শুরু করলো । অন্তু একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে মনে মনে বললো- এই মেয়েকে পটানো এতো সহজ হবে না… ♦প্রচ্ছদঃ মূলত এই উপন্যাসটির নামের থেকেও ফেসবুকে প্রথম আমি যা দেখেছিলাম তা হলো এই প্রচ্ছদটি । এত সুন্দর করে কেউ নীলে আচ্ছাদিত হয়ে খোলা আকাশের দিকে হাসি নিয়ে তাকিয়ে আছে দেখলেই ভীষণ মায়া লাগে । সাথে অদ্ভুত সুন্দর ভাবে পাখি উড়িয়ে দেয়ার দৃশ্যটাও মন কেড়ে নিতে চায় । ভীষণ ভালো লেগে যায় প্রচ্ছদটা তাই । ♦পাঠপ্রতিক্রিয়াঃ √উপন্যাসের পটভূমি লেখার আগেই লিখবো যেভাবে উপন্যাসটি বর্ণনা করা হয়েছে তার ধরনে সামান্য রম্য আবহের ধাঁচ আছে । রম্য ধরনের লেখা থাকা এবং তাতে সামান্য ধাঁচ দিয়ে ঘিরে রাখা এই পটভূমি সেভাবেই সাজানো হয়েছে । উপন্যাসের পটভূমিতে সেভাবে গভীরতার ছাপ নেই । মূলত কিছু কিছু উপন্যাস থাকে যেগুলো শুধু বর্ণনা করে যাওয়া হয় । যেখানে আবহের সেভাবে স্থায়ীত্ব নেই । কাহিনীতে গভীরতার ছাপ নেই । শুধু ঘটনাপ্রবাহে একটা আলগোছে আবেশ দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা আছে যেন । ঠিক সেভাবেই উপন্যাসটি বয়ে গিয়েছে । তাই অদ্ভুত সুন্দর কিছু মুহূর্ত নিয়ে ঘিরে রাখা বইটি পড়তে পড়তে সময় কেটে যায় । √এই উপন্যাসের চরিত্র সংখ্যা খুবই কম । সামান্য কয়েকটি চরিত্র তাদের উপস্থিতি দিয়ে উপন্যাসটিকে ধরে রাখে । উপন্যাসে তাদের গঠন সেভাবেই এসেছে । উপন্যাসে আছে অন্তু নামক একজন মানুষ, যে জীবনে অল্পতেই নিজের জীবনের সুখ খুঁজে । বেশ অনেককিছু পাওয়ার ইচ্ছে না থাকার মানুষটি হঠাৎ করেই ভালোবাসায় পড়ে । এরপর তার জীবন এগিয়ে যায় অন্যরকম ভাবে । এরপর আছে ময়না নামের একজন চরিত্র । মানুষকে ভালোবেসে যত্ন করা মানুষটি সহজেই মিশে যেতে পারেন সবার সাথে । অল্পতেই সবার সাথে মানিয়ে নিতে পারেন তিনি । এছাড়াও উপন্যাসে আছে শফিকুর রহমান নামের একজন চরিত্র । যার বিভিন্ন অন্যরকম ধরনের চিন্তা তাকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে ফেলে । তবুও সে এগিয়ে যেতে থাকে এসব চিন্তায় । আছে রুমকী নামের একজন ভীষণ বুদ্ধিমতী নারী । যে প্রতিটি পদক্ষেপ খুব ভেবেচিন্তে নিতে চেষ্টা করে । তাকে ঘিরে থাকা মানুষদের পদক্ষেপ সে বোঝার চেষ্টা করে খুব । আছে সাখাওয়াত নামের একজন দারুণ আড্ডাবাজ চরিত্র, যে যখন তখন যা বলে দেয়ার মতো করে সব বলে দেওয়ার পাশাপাশি হাসিখুশি ভাবে চলার অদ্ভুত সুন্দর একটা গুণ আছে তার । এছাড়াও আছে উপন্যাসে সামি নামের একটি চরিত্র । দারুণ ভাবে পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করতে চাওয়া মানুষটি হিসেব করে করে জীবনের পথ চলতে চায় । এছাড়াও উপন্যাসে আছে আরো কিছু চরিত্র । যারা উপন্যাসকে এগিয়ে নিয়ে যায় তার গতিপ্রকৃতিতে । ♦প্রিয় অংশঃ এই উপন্যাসের কিছু কিছু অংশ আমার ভালো লেগেছে খুব । মানুষের ভালোবাসায় পড়ে যাওয়া যে কখন হয়ে যায় তার অদ্ভুত সুন্দর একটা ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে যা বেশ ভালো লেগেছে আমার । এছাড়াও পাখি নিয়ে বর্ণনাটা বেশ লেগেছে আমার । সেই অংশটুকু কেনো যেন ভালো লাগা দিয়েছে আমাকে । এছাড়াও উপন্যাসের শেষটা বেশ সুন্দর করে বর্ণনা করা হয়েছে । ভালোবাসার সাথে আগের প্রজন্মের কিছু ব্যাখ্যা বেশ ভালো ভাবে বর্ণনা করা হয়েছে । মাঝে মাঝে রম্য ঘরানার কিছু উপন্যাস পড়তে বেশ লাগে । ♦অন্যান্য বিষয়ঃ √প্রকাশনীঃ নয়া উদ্যোগ প্রকাশনীর বই আমার খুব কম পড়া হয়েছে । যাহোক এই বইটির বাঁধাই বেশ ভালো ছিল । বইটি হাতে নিয়ে ধরতে তাই বেশ লাগে । প্রচ্ছদটিও বেশ সুন্দর করে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে । যে কারণে দেখতে বেশ সুন্দর লাগে বইটি । তবে বইতে টাইপিং মিস্টেক আছে প্রচুর । যে কারণে তা সামান্য অস্বস্তিতে ফেলে । এছাড়াও বইতে চিরায়ত এক রূপ রাখার চেষ্টা করলেও তা এক জলছাপ থেকে আরেক জলছাপে কাহিনীর পরিবর্তন হোক কিংবা দৃশ্যপটে পরিবর্তন হোক, এই সময়টিতে একটু ফাঁকা জায়গায় দূরত্ব রাখাটা বেশ জরুরি ছিল । যার ফাঁকা জায়গা একটু কম হয়েছে বলে আমার মনে হয়েছে । ♦লেখক প্রসঙ্গেঃ ‘গজদন্তিনী’ লেখক যোবায়েদ আহসান এর চতুর্থ উপন্যাস । আমার পড়ার হিসেবে এটি তার প্রথম লেখা উপন্যাস । সোজা সরল ভাষায় এবং শব্দপ্রয়োগ করে ছোট ছোট বাক্যে উপন্যাসটিকে সাজিয়েছেন লেখক । যা রম্য এবং রোমান্টিক উপন্যাসের মিশেলে বেশ লাগে । উপন্যাসে আবহ সৃষ্টি কিংবা পটভূমিতে গভীরতা দুইটি বিষয়েরই অভাব রয়েছে । হয়তো তা উপন্যাসেরই স্বার্থে, কিংবা হয়তো উপন্যাসের এটিই ভালো দিক আবার হয়তো এগুলো থাকলে উপন্যাসটি আরো সৌন্দর্য বৃদ্ধি হয়ে নতুন রূপে ভেসে আসতে পারতো । যাহোক এই ধরনের উপন্যাসে যেহেতু আবহ নেই তাই বর্ণনামূলক দৃষ্টিভঙ্গির জায়গাটিও খুব কম থাকে । সেক্ষেত্রে দৃশ্যপট পরিবর্তনে তা খুব কম লাইনে হয়ে থাকে । সেক্ষেত্রে রম্য জায়গাটি যেহেতু হঠাৎ করে চলে আসে তাই হঠাৎ করেই যেন হাসি চলে আসে । আবার হঠাৎ করেই যেন দৃশ্যপট পরিবর্তন হয়ে তা চলে যায় । এর আসলে ভালো দিকও আছে, আবার তাকে নিয়ে বিশ্লেষণ করতে গেলে তা আরো বেশি ভালো হতে পারতো বলে অনুভব করাও যায় । লেখকের লিখনশৈলী আরো সুন্দর হোক, তার জন্য শুভকামনা রইলো । ♦রেটিংঃ ৪.২/৫ ♦উপসংহারঃ ঢাকায় বসে বই পড়াটা আমার জন্য নতুন রকমের অনুভূতি দেয় । হঠাৎ মনে পড়ে যায়, আমি আমার প্রিয় কয়েকটি উপন্যাস ঢাকা বসে পড়েছিলাম । এই বিষয়টা ভাবতে বসলেই কেনো যেন ভালো লাগারা এসে বলতে থাকে, নতুন ভাবে ভালো লাগা এভাবেই আসুক, অভ্যাস করিয়ে নিক নতুন জীবনে । আমি ভীষণ উদাসীন হয়ে বলি আর ভাবি, এই বইতে ঢাকা শহর নিয়ে যে লেখাটা তা আসলেই শহরে বাঁচা প্রতিটি মানুষের জন্য সত্যি । এই শহরের প্রতিটি সকাল মানুষদেরকে উদাসীন করে দেয় । হয়তো এরজন্যই শহরের প্রতিটি দিনের শেষের সন্ধ্যাটি তাই ফিরিয়ে দেয় মায়া নিয়ে আর সৌন্দর্য নিয়ে । হয়তো ঘরে ফেরার তাড়া আসলেই সৌন্দর্য নিয়ে ফিরে ফিরে আসে ।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ , মনোমুগ্ধকর ?? বার বার পরতে ইচ্ছে করে।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ ??
Was this review helpful to you?
or
নাটক দেখেছিলাম, ভীষন প্রিয় একটি নাটক । তারপর বইটায় ৫০% রাইটার আরো কিছু যোগ করেছেন কাহিনীতে। বেস্ট বই , পড়ে ভালো লেগেছে , এক কথায় অসাধারণ ।