User login

Sing In with your email

Email Address
Password
Forgot Password?

Not Account Yet? Create Your Free Account

Send

Recipients:
Message:

Share to your friends

Copy link:

    Our Price:

    Regular Price:

    Shipping:Tk. 50

    • Size:
    • Color:
    QTY:

    প্রিয় ,

    সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
    মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?

    Please Login to Continue!

    Our User Product Reviews

    Share your query and ideas with us!

    Customer Reviews

    • Was this review helpful to you?

      or

      বইখানা ন্যারেটিভ কম, বরং ডেসক্রিপটিভ স্টাইলেই বেশি লেখা। সুনীলের ছবির দেশে কবিতার দেশে'তে প্যারিসকে আমরা পেয়েছিলাম গল্পের মতো। আবদুল হাই বিলেত বাসের গল্পের চেয়ে বিলেতের বর্ণনা দিয়েছেন বেশি। ইংল্যান্ডের আবহাওয়া, অধিবাসীদের আচার আচরণ এটিকেটস, শিক্ষাব্যবস্থা, উৎসব, খাবারদাবার, পার্ক, চিড়িয়াখানা-- ইত্যাদি সকল কিছুর একটা সারসংক্ষেপিত চিত্র পাওয়া যায় এই বইয়ে। আজকের ইন্টারনেটের যুগে সবকিছুই অনেক সহজে জানতে পারি আমরা। কিন্তু সেই ৫০/৬০ এর দশকে বিলেতকে জানার অন্যতম নির্ভরযোগ্য উৎস ছিলো এই বই। যেখানে লেখক একদিকে ইংল্যান্ডকে বর্ণনা করেছেন, অন্যদিকে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সাথে ইংল্যান্ডের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তুলনামূলক পার্থক্য তুলে ধরেছেন। সময়ের পরিক্রমায় কিছু তুলনা এখন অসারও মনে হতে পারে বৈকি! পুরো বইয়ে আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছে ইংল্যান্ডের কবি সাহিত্যিকদের বাসস্থানের বর্ণনাটুকু। শেক্সপীয়ার, বার্ণার্ড শ, কীটস, বাইরনদের বাড়িগুলোকে এমনভাবে মিউজিয়াম করে রাখা হয়েছে এবং বইয়ে তার বর্ণনা এ্যাতো গুছিয়ে দেয়া হয়েছে যে, মনে হচ্ছিলো আমি বুঝি চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি সব। জীবনে কখনো সুযোগ হলে আমি এই বাড়ি কাম মিউজিয়ামগুলোতে একটাবার উঁকি দিয়ে আসতে চাই! যুগের বিচারে মাস্ট রিড হয়তো নয়, তবে বিলেত সম্পর্কে একটা সারসংক্ষেপ পাবার জন্য বইটা মন্দ হবে না।

      By MD. KABIR HOSSAIN

      29 Mar 2024 02:35 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      প্রখ্যাত ধ্বনিবিজ্ঞানী মুহাম্মদ আবদুল হাই সাহেবের 'বিলেতে সাড়ে সাতশ দিন' অসাধারণ একটা ভ্রমনকাহিনী।

      By Md. Ajharul Islam

      05 Feb 2024 06:44 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অসাধারণ লেখনী। আমার পড়া সেরা বইগুলোর মধ্যে একটি৷ লেখকের লেখনীশৈলীর তারিফ করতেই হয়। বইটি প্রায় ৭৫ বছর আগে লেখা হলেও বইয়ের ভাষা এখনো জীবন্ত, প্রাঞ্জল। ইংল্যান্ডের বর্ণনা দিতে গিয়ে লেখক কিছুই বাদ দেননি বরং সমাজ, ধর্ম, রাজনীতি, শিক্ষাব্যবস্থা থেকে শুরু করে ব্যক্তিপর্যায়ের আলোচনাও স্থান পেয়েছে। ইংল্যান্ড নিয়ে লেখকের বর্ণনা অত্যুক্তি কী না তা আলোচনার বাইরে রাখলে বইটি থেকে শিক্ষা নেয়ার মত অনেককিছুই আছে।

      By নির্ঝর দ্রং

      20 Jun 2022 12:33 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Masterpiece

      By Sandwip Mitra

      22 Mar 2022 01:02 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Good Book!

      By MD. Rasul Ahmed

      15 Jan 2022 09:00 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      ঘরে বসে বিলেত সম্পর্কে ধারণা লাভ করা যায়।

      By towky fardin

      08 Jun 2021 09:54 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      পড়ে স্বপ্ন জাগার মতো একটি বই

      By MD Shuvo Loskor

      31 May 2021 01:19 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      This is really good book. I like it.

      By Sanowar Hossain

      19 Aug 2021 10:21 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      .

      By Shahariar Sajol

      12 Mar 2021 03:22 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      অজানা কোনো স্থানের মানুষ, ইতিহাস-ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, খাবারদাবার সম্পর্কে জানতে চান? অথবা ধরুন কোথাও বেড়াতে যাবেন। যাওয়ার আগে একটা জবরদস্ত পরিকল্পনা করতে হবে। কিভাবে ট্যুরটা পরিপূর্ণভাবে উপভোগ্য করা যায়? এক বাটি ছোলা, বুট, মুড়ি, চানাচুর, চা, কফি কিংবা ইচ্ছেমতো কিছু নিয়ে ইউটিউব খুলে বসুন। কোথায়, কোন জায়গা সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক? সার্চ করুন, একাধিক ভ্লগ পাবেন। কিন্তু আজ থেকে ৬০/৭০ বছর পূর্বে ব্যাপারটা কি এত সহজ ছিল? তখন তো ইন্টারনেটের জাদুকরী জাল ছিল না। যোগাযোগ ব্যবস্থাও ছিল অনুন্নত। তাহলে তখন কিভাবে মানুষ কৌতুহল মেটাতো? মানুষের মুখে কিচ্ছা-কাহিনি শুনে এবং পত্রপত্রিকা ও বই পড়ে। প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা শোনার সৌভাগ্য খুব কম মানুষেরেই হতো। বই এমন এক মাধ্যম যার মাধ্যমে পড়ে কল্পনায় বিচরণ করে অনেককিছু জানা এবং উপলব্ধি করা যায়। ষষ্ঠ শ্রেণীর আনন্দপাঠে 'ওকিং মসজিদে ঈদের জামাত' লেখাটার কথা মনে আছে? কিংবা আপনাদের সময়ে পাঠ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ছিল? আমার ছিল। শৈশবে সেই প্রথম বিদেশী বিচিত্র ঈদের কথা জানতে পেরেছিলাম। উনিশ শতকের মাঝামাঝি মুহম্মদ আবদুল হাই উচ্চ শিক্ষা অর্জনের নিমিত্তে বিলেত অর্থাৎ লন্ডন গমন করেন। সেখানে অবস্থান কালীন তাঁর লব্ধ অভিজ্ঞতা 'বিলেতে সাড়ে সাতশ দিন' গ্রন্থে লিপিবদ্ধ করেছেন। 'ওকিং মসজিদের ঈদের জামাত' এই গ্রন্থ থেকেই সংকলিত। একাধারে বাংলা ভাষার প্রধানতম ধ্বনিবিজ্ঞানী, শিক্ষাবিদ ও সাহিত্যিক মুহম্মদ আবদুল হাই এমনভাবে তাঁর অভিজ্ঞতা গুলো বর্ণনা করেছেন যা গতানুগতিক ভ্রমণ কাহিনি নয়। আমরা দেখতে পাই, অনেক ভ্রমণ কাহিনিতে লেখকের ব্যক্তিগত জীবনের সাথে ঘটে যাওয়া নানান ঘটনার আলোকে বিবিধ বিষয় লিখে থাকেন। এই গ্রন্থের লেখাগুলো তেমন নয়। বিলেতের সর্বসাধারনের জীবনযাপন লেখক এমনভাবে বর্ণনা করেছেন যেনো তিনি কাউকে বলছেন না। কিন্তু পাঠক পড়ার সময় নিজেই ভ্রমণ অভিজ্ঞতা অর্জন করছে। একটা সুসজ্জিত ঘর, সেখানে পাঠক প্রবেশ করে নিজের মতো উপলব্ধি করছে। এমন সম্মোহনী লেখা বিরল। পূর্বের বলেছি এটা উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ের কথা। বর্তমানে প্রযুক্তি অনেক এগিয়েছে। চাইলেই আমরা চাক্ষুষ লন্ডনকে দেখতে পারি। এই আধুনিক যুগে কেনো পড়বো? বর্তমান প্রজন্ম সেই সময়ের ইংরেজ সমাজের চিত্র এবং ইতিহাস জানতে পারবে। ততকালীন সময়েই বিশ্বজয়ী ইংরেজ জাতী কিভাবে আমাদের বর্তমান অবস্থানের চেয়ে কি অবস্থায় ছিল প্রত্যক্ষ করবে। সর্বোপরি অদ্ভুত অভিজ্ঞতার মাধ্যমে জ্ঞান লাভ এবং উপলব্ধি জাগ্রত হবে এটাই মূখ্য।

      By Sajjadul Alam

      11 Feb 2021 08:59 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Good book to enjoy the pure literature

      By Mayen Uddin

      21 Jul 2020 10:40 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      ভালো

      By Arman Hossian

      01 Jan 2020 09:15 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      লেখক ১৯৫০ সালে দুই বছরের জন্য বিলেত তথা ইংল্যান্ডে পাড়ি জমান। এই দুই বছরে তার চোখে দেখা প্রায় সবকিছুই লেখায় তুলে এনেছেন। ইংল্যান্ডের মানুষদের আচার আচরণ, তাদের সংস্কৃতি সবকিছুর ব্যাপারেই লেখক কিছুটা কিছুটা ধারণা দিয়েছেন। ইংরেজরা জাতি হিসেবে কেন এতটা এগিয়ে আছে তারও একটা ধারণা খুব সুন্দরভাবে বইয়ে দিয়ে গেছেন। এই বইটি মূলত ভ্রমন কাহিনি মূলক বই। যারা ভ্রমন কাহিনী পড়তে পছন্দ করেন তারা বইটি পড়ে মজা পাবেন আশা করি।

      By Dr. Asif Shufian Arnab

      15 Dec 2019 09:58 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বইটি প্রথমে আমার সংগ্রহে আসে পিডিএফ হিসেবে। যখন পিডিএফ টি পড়া শুরু করি, তখন প্রথম দুই পৃষ্ঠা পড়ার পরই হঠাৎ মনে হলো- না, এ বই পিডিএফ আকারে পড়ার জন্য লেখা হয়নি দরকার আসল বই। তারপর রকমারি থেকে অর্ডার করে বইটি আনিয়ে নিই। সত্যিই এ দেশ, দেশের প্রকৃতি আর লেখকের উপমাগুলো আর উপস্থাপনা ছিল মনোমুগ্ধকর।

      By Rezaul Karim

      07 Nov 2019 12:46 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      ভ্রমণ নয় স্মৃতিকথা,স্মৃতিকথা নয় ভ্রমণ,এ দুয়ের সংমিশ্রণে এক আশ্চর্য রস সৃষ্টি করেছেন লেখক মুহাম্মদ আবদুল হাই।যেখানে তিনি সঙ্গীতের সম্মোহ সৃষ্টি করেছেন ভাষায়। বিলেতের সাড়ে সাতশ দিনের ভাষা আশ্চর্য সঙ্গীতমুখর।অনুভব ও সংবেদনারর মহিমা মাখা স্বীকার করতেই হয়।লেখক মুহাম্মদ আবদুল হাই একজন খ্যাতনামা শিক্ষাবিদ ছিলেন অথচ বইটির মাঝে প্রসঙ্গক্রমে দু' একটি কথায় যেখানে তিনি পাঠককে যে তথ্য দান করেছেন তা বর্ণনার রসে তেতো ঠেকে নি। আশ্বর্য সমমাএিক দৃষ্টিভঙ্গি তার।কখনো সাহিত্য রসিক,শিল্প রসিক, শিক্ষাবিদ আবার কখনো কবি বা দার্শনিকের দৃষ্টি নিয়ে সমগ্র বইটি রচিত করেছেন,কিন্তু নেপথ্যে সর্বক্ষণ বিরাজ করেছেন একজন গভীর সংবেদনশীল স্রষ্টা মন।

      By Huzzatul Islam Alif

      14 Oct 2019 11:08 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      ১৯৫০ সালের ইংল্যান্ড কেমন ছিল? এই প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে পড়তে হবে মুহম্মদ আবদুল হাইয়ের ভ্রমনকাহিনী বিলেতে সাড়ে সাতশ দিন। উপন্যাসটি পড়তে গিয়ে আপনি অবাক হবেন ইংল্যান্ডের মানুষের জীবনধারা ও তাদের সংস্কৃতি তখনকার দিনে কতটা উন্নত ছিল। উপন্যাসের শুরুটা হয় বাংলার অথাৎ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রকৃতির সৌন্দয্য বর্ণনার মাধ্যমে। এই উপন্যাসে লেখন ইংল্যান্ডের জীবনধারা, সংস্কৃতি, তাদের অর্থনৈতিক প্রাচুর্য, প্রকৃতি এবং ইংল্যান্ডের আবহাওয়া ফুটিয়ে তুলেছেন। ঐতিহ্যের শহর লন্ডন। লন্ডনের বিশালত্বকে বুঝাতে গিয়ে তিনি বলেন, গোটা কতক কলকাতা লন্ডনের পেটে হজম হয়ে যাবে। ইংল্যাড শীত প্রধান দেশ হ্ওয়ায় লেখকে প্রথম দিকে তীব্র সমস্যার মধ্যে পরতে হয়েছিল। পরে অবস্য তিনি সেটাকে মানিয়ে নিতে পেরেছিলেন। ত্রীব শীত সেই দেশের মানুষকে করে তুলেছিল কর্মঠ। প্রয়োজনের বাইরে তারা কথা বলে সময় নষ্ট করে না তাই বলে তাদের বেরসিক বলা যাবেন। তারা যে বেরসিক না তার বেশ কিছু উদহারণ তিনি দিয়েছেন এই বইয়ে। আনন্দের সময তারা পরিপূণ আনন্দ তারা ভোগ করে। শীতের পরিমাণ বেশি বলে প্রকৃতি এদের নিরাশ করেনি। এদের প্রকৃতি প্রেম্ও দেখার মতও বটে। শহরের পার্ক গুলোকে তারা মনরম করে সাজিয়েছে। পার্ক গুলোতে গেলে বাইরের কলাহল থেকে মু্িক্ত প্ওায়া যায়। তাদের মিউজিয়াম গুলো ছিল ঐতিহ্যে ভরা। সেগুলো লেখকে মুগ্ধ করেছে। তাদের দেশ প্রেম কোন অংশে কম ছিল না। একজন শ্রমিক তার উপর অর্পিত দায়িত¦টুকু নিজ নৈতিকতা থেকেই পালন করত। সর্বপরি তাদের শিক্ষা ব্যবস্থা ছিল অনূকরণ করার মত। শিশুরা যে জাতির ভবিষ্যৎ ইংল্যান্ড বাসীরা তাদের কর্মে তার প্রমাণ দিয়েছেন। তাদের থেকে বাঙ্গালী জাতি যে অনেকখানি পিছিয়ে আছে তা লেখক আঙ্গুল দিয়েই দেখিয়ে দিয়ে গেছেন।

      By Tanvir Ahmed

      06 Sep 2022 12:10 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      এই বইটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ করে যারা পঞ্চাশ এর দশকের ব্রিটেন সম্পর্কে জানতে চান। তাছাড়া ব্রিটিশ জাতি সম্পর্কে ও অনেক কিছু জানতে পারবেন। বইটি নিছক তথ্য কোষ নয়। এতে সাহিত্য গুনও বিদ্যমান। সুখপাঠ্য।

      By Tahmid Uddin Uzayer

      24 May 2023 04:00 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      In one word the book was "Marvelous" The writer brilliantly portrayed his experience there and the way of life of the people of England From the harsh weather to the determined and hard working English From infrastructure to the preservation of nature And other numerous areas were covered by the writer Overall a must read for anybody, as it will provide its readers with the ability of thinking from a different perspective about life

      By farhad ahmed

      13 Jan 2020 12:10 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      ছোটবেলায় বিলেত বলতে বুঝতাম বিদেশ। পরে জানতে পারলাম বিলেত মানে ইংল্যান্ড। বর্তমানে ইন্টারনেটের কল্যাণে ইংল্যান্ড সম্পর্কে জানা কঠিন কিছু নয়। কিন্তু এই জানাটা যদি হয় বিংশ শতাব্দীর পঞ্চাশের দশকের ইংল্যান্ড সম্পর্কে? তাও আবার তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের তথা বাংলাদেশের অধিবাসী একজন বাঙালি পাকিস্তানির লেখা থেকে? যে পাকিস্তান কিনা তৎকালীন পরাশক্তি ইংল্যান্ড থেকে মাত্র কয়েক বছর আগে স্বাধীনতা লাভ করেছে। "বিলেতে সাড়ে সাতশ দিন" মুহম্মদ আবদুল হাই এর বিলেতে প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, উপলব্ধি এবং অনুভূতি এর তেমনি একটি সংকলন। মোট একশো পঁচিশ পৃষ্ঠার এই বইটিতে তিনি তাঁর বিলেত যাত্রা থেকে শুরু করে বিলেত থেকে ফেরা পর্যন্ত তার অর্জিত অভিজ্ঞতা, উপলব্ধি ও অনুভূতি বেশ প্রাণবন্ত করে লিপিবদ্ধ করেছেন। বইটিতে ইংল্যান্ডের আবহাওয়া, প্রকৃতি ও ইংরেজদের চরিত্র বেশ সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। ইংল্যান্ডের চারটি ঋতু যথা গ্রীষ্মের চমৎকার কোমল ঝকঝকে আরামদায়ক আবহাওয়া, হেমন্তের বার্ধক্য, শীতের তুষারাবৃত নির্মম সৌন্দর্য এবং বসন্তের নবযৌবনা বাহারি ফুল ও কচি সবুজ পত্রপল্লবের সৌন্দর্যের চিত্র জীবন্ত হয়ে উঠেছে লেখকের লেখার মাধ্যমে। লন্ডন শহরের বড়ত্ব, সৌন্দর্য ও নগর পরিকল্পনার নৈপুণ্য এই বই থেকে জানা যায়। ইংরেজ জাতির সাধারণ সদস্যদের আত্মমর্যাদাবোধ, পরোপকারী মনোভাব, আচরণে সংবেদনশীলতা, কর্তব্যবোধ, শৃঙ্খলা, সময়ানুবর্তিতা ইত্যাদি গুণাবলী যা তাদের জাতিগত চরিত্রেরই প্রতিফলন তা এই বইয়ে উল্লেখ করা হয়েছে। লেখক তাঁর অভিজ্ঞতা ও উপলব্ধি থেকে ইংরেজ জাত লুটেরা শোষকগোষ্ঠী হওয়ার পরও তাদের শ্রেষ্ঠত্বের কারণ উল্লেখ করেছেন। ইংরেজ জাতির ইতিহাস ও সংস্কৃতি লেখককে বিশেষভাবে মুগ্ধ করেছে। কিন্তু লেখক তাদের খাদ্যাভ্যাস দেখে বীতশ্রদ্ধ হয়েছেন। কেক আর বিস্কুট বাদে তাদের কোনো খাবারই মুখরোচক না। এছাড়াও লেখকের পারী তথা প্যারিসে সংক্ষিপ্ত সফরসহ আরও অনেক কিছুই এই ছোট্ট বইটিতে স্থান পেয়েছে। মোটকথা, লেখক এই বইটিতে তৎকালীন ইংল্যান্ড তথা লন্ডনের সার্বিক চিত্র-বৈচিত্র্য বেশ সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন।

      By Saroar

      23 Nov 2017 09:37 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      বিলেতে সাঁড়ে সাতশ দিন' বইটি মুলত একটা ভ্রমণকাহিনীর বই। এতে ইংরেজ জাতির বিভিন্ন গুন ও দোষ ফুটে উঠেছে। লেখক নিজের চিন্তা তুলে ধরেছেন। ইংরেজদের চিন্তাই একমাত্র মানুষের চিন্তা নয়। এর বাইরে আরো মানুষ আছে। লেখক তা এড়িয়ে গেছেন। তবে বইটি পড়ে ব্রিটিশ যারা দুনিয়ায় এক সময় সাম্রাজ্য গড়ে ছিল তাদের মন ও মানস ভালোভাবে বুঝা যাবে । সেই সাথে ৫০ দশকের ইংরেজ ও আজকের ইংরেজ জাতির তফাত ধরতে পারবেন।

      By Md Rakib Hossain

      01 Dec 2021 11:25 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      আমি বইটি আমার চাচুকে সারপ্রাইজিং উপহার দিয়েছি, তিনি আমাকে একদিন বলেছিলেন এই বইটি তার খুব পছন্দের কিন্তু পাচ্ছেন না। যখন রকমারি বইটি ডেলিভারি দিলো তখন আমার চাচু খুব খুব খুশি হলেন। ধন্যবাদ রকমারিকে মাত্র ২৪ ঘন্টার মধ্যে ডেলিভারি দেওয়ার জন্য

      By Efrite Bin Taher

      15 Dec 2019 03:13 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      স্বল্প খরচে (৳২০০) যখন এত ভালো একটি সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে, তখন কে-ই বা চাইবে সুযোগটা হাতছাড়া করতে? আমিও করিনি। পুরো সুযোগটাই যথার্থ লুফে নেওয়ার চেষ্টা করেছি। লেখকের 'সাড়ে সাতশ দিন' এর গল্প যদি সাত দিনও যা হয় তবে ব্যাপারটা খুবই খারাপ দেখায়। তাই, একটু সময় নিয়ে ধীরেধীরে সাত দিনের কিছুটা বেশি সময় নিয়ে শেষ করলাম #মুহাম্মদ_আব্দুল_হাই এর #বিলেতে_সাড়ে_সাতশ_দিন। ইংরেজ জাতির অপরূপ জীবনধারা, তাদের দৃষ্টিভঙ্গি, তাদের আত্মসচেতনতা, কর্তব্যবোধ, দায়িত্বশীলতা, সততা সবটাই মুগ্ধ করার মতো। তাদের সাথে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির কতটা তফাত, কতটা পশ্চাৎপদ সবটাই খুব পরিষ্কারভাবেই চোখে পড়ার মতো। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় শহর লণ্ডন। অধিকারে ব্রিটিশদের নিজস্ব জায়গা হলেও যে, সমগ্র পৃথিবীর মানুষের এক মিলনক্ষেত্র হয়ে উঠেছে, এটা পরিষ্কার হয়ে উঠে লেখকের লেখাটি পড়লেই। সত্যিকার অর্থে বইটি পড়ার সময় একবারের জন্যও ক্লান্ত হইনি। যতই সামনে এগিয়েছি ততই ভালো লেগেছে৷ ইংল্যান্ডের মানুষের প্রাত্যহিক জীবনযাপন যেমন স্পষ্ট হয়ে উঠেছে বইটিতে, ঠিক তেমনি শৈশব থেকে একটি ইংরেজ শিশু কিভাবে বেড়ে উঠে, তাদের প্রতি তাদের অভিভাবকদের দায়িত্বশীলতা ইত্যাদি বিষয়গুলোও খুবই স্পষ্ট হয়ে ফুটে উঠেছে বইটিতে। প্রবাসে একজন মানুষের অভিযোজন, তাদের সংস্কৃতির সাথে মানিয়ে নেওয়া, নতুন পরিবেশের রূপে বিমোহিত হওয়া, মোট কথায় পুরো বিষয়টাই ছিল স্বপ্নের মতো। সাধারণ মানুষের জীবনধারা থেকে শুরু করে রাজপরিবার, রাজনীতি, সাহিত্য, কৃষ্টি, উৎসব সকল বিষয় মিলিয়ে অভিজ্ঞতার ঝুলিটা পূর্ণতা পায়। যদিও ৫০ বছর আগের অভিজ্ঞতা লিপিবদ্ধ করে গেছেন লেখক তার লেখায়, তবুও লেখাটা যেন বর্তমানকে প্রতিনিধিত্ব করছে।

      By Jannatul Naym Pieal

      14 Apr 2014 05:06 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      ১৯৫০ সালের দিকে দুই বছরের জন্য ইংল্যান্ডে তথা বিলেতে পাড়ি জমিয়েছিলেন মুহম্মদ আবদুল হাই। সেই দুই বছরে নিজের চোখে ইংল্যান্ড, ইংল্যান্ডের প্রকৃতি আর মানুষকে যতটা চিনতে ও জানতে পেরেছেন, নিজের লেখায় পত্রিকায় প্রকাশের উদ্দেশ্যে সেসব তুলে ধরেছিলেন। আর বিলেতে অবস্থানকালীন সময়ে রচিত সেই লেখাগুলোরই সংকলন হল 'বিলেতে সাড়ে সাতশ দিন'। এটি গতানুগতিক ভ্রমণকাহিনী নয়। গল্প বা উপন্যাসও নয়। অনেকটা ডায়রির পাতায় যেমন মানুষ বিষয়ভিত্তিক ব্যক্তিগত অনুভূতির কথা লিখে রাখে, মুহম্মদ আবদুল হাইয়ের বিলেত সম্পর্কিত লেখাগুলোও অনেকটা সেই ধাঁচের। প্রথম দিকে লেখাকে একটু একটু ভ্রমণকাহিনী বলে যে মনে হবে না তা নয়। কেননা প্রথম যখন লেখক বিলেতে এলেন, সবই তো তার অচেনা অজানা। যা দেখছেন তার সবই নতুন। সেগুলোকে যখন নিজের ভাষায় তুলে ধরেছিলেন, তখন সেটা অনেকাংশে ভ্রমণকাহিনীর মতই গাঠনিক চরিত্র লাভ করেছিল। কিন্তু সাড়ে সাতশ দিন সময়ের হিসেবে কম না। এই দীর্ঘ সময়ে বিলেতে প্রবাস জীবন কাটাতে গিয়ে এক পর্যায়ে বিলেতের জীবনধারার সাথে জড়িয়ে পড়েছিলেন লেখক। কাছ থেকে বিলেতকে দেখার যে সৌভাগ্য অর্জন করেছিলেন, তা তার অন্তর্দৃষ্টিকে উন্মোচন করে দেয়। ফলে নতুন চোখে বিলেত, বিলেতের পরিবেশ, জীবনপ্রণালি এবং সর্বোপরি মানুষকে তিনি যতখানি দেখেছিলেন, তাও তার বিলেতজীবনের অপেক্ষাকৃত শেষের দিকের লেখাগুলোয় ফুটে উঠেছে। এই সংকলনের লেখা শুরু হয়েছিল একেবারে বিলেতের পথে বিমানাযাত্রা থেকে। অনেকটা ভ্রমণকাহিনীর আদলেই সেখানে নতুনকে দেখার আগমুহুর্তের উত্তেজনার পাশাপাশি যাত্রাপথে যা যা দেখতে পেলেন, সেগুলোর বর্ণনা যোগ করেছিলেন লেখক। তারপর লন্ডনে পৌঁছে প্রথম যে জিনিসটি তাকে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে তা হল লন্ডনের বিরূপ আবহাওয়া। এই আবহাওয়া যে লেখককে কতখানি কাত করে দিয়েছিল, সে সম্পর্কে জানা যাবে পরের অধ্যায়গুলোকে। পরবর্তিতে লেখক যখন আবহাওয়ার সাথে অনেকটাই মানিয়ে নিতে পেরেছেন, তখন তিনি একে একে বলতে থাকবেন লন্ডন শহরের বিশালত্ব আর মানুষের বিচিত্র আচরণের কথা। স্বভাবে অত্যাধিক গাম্ভীর্যপূর্ণ হলেও বিলেতের মানুষের যে সূক্ষ্ম রসবোধের কমতি নেই, এপ্রিল ফুলের উদাহরণ দিয়ে তা একটি অধ্যায়ে প্রকাশ করেছেন লেখক। এরপর লেখার মাধ্যমে লেখক লন্ডনের পার্ক, পার্কের মনোরম প্রকৃতি, লন্ডনের মানুষের প্রকৃতিপ্রেমের কথা যেমন বলেছেন, তেমন নিজেই পদে পদে বিস্মিত হয়েছেন গ্রীষ্মে বিলেতের প্রকৃতির অসাধারনত্বের চাক্ষুষ প্রমাণ পেয়ে। তিনি বলে গেছেন বাংলাদেশের ঋতুবৈচিত্র্যের সাথে বিলেতের ঋতুর পালাবদলের অজস্র ফারাক ও বৈসাদৃশ্যের কথা। বিলেতের বইয়ের দোকান আর শিক্ষাব্যবস্থাই যে জাতি হিসেবে ইংরেজদের কতখানি এগিয়ে দিয়েছে আর ঠিক এই জায়গাটাতেই যে বাঙালি বাকি দুনিয়ার সাথে লড়াইয়ে পিছিয়ে পড়েছে, সেটা জানাতে ভোলেননি লেখক। ইংরেজদের শিক্ষা কত দিক থেকেই না আসে, তা সত্যিই বিস্ময়ের। রাস্তাঘাটের ভাস্কর্য, ভৌগলিকতা ও আন্তর্জাতিকতাকে রাস্তাঘাটের নামকরণের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা, চিড়িয়াখানায় অসংখ্য প্রজাতির দেশি বিদেশী জীবজন্তু, লন্ডন শহরের একাধিক মিউজিয়াম যা জাতির গৌরব ও ঐশ্বর্যকে তুলে ধরে --- এসব কিছুর মাধ্যমেই ছোটবেলা থেকেই ইংরেজরা ব্যবহারিক জ্ঞানার্জন করছে আর মানসিকভাবে অনেকটা এগিয়ে যাচ্ছে, এমনটাই অভিমত দিয়েছেন লেখক। জানিয়েছেন লন্ডনের টিউব রেলের ব্যাপারে নিজের বিস্ময়ের কথা। লন্ডনের ওকিং মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়ে লেখক দেখেছেন একটি মসজিদ কিভাবে বিশ্বের কাছে মুসলিম বিশ্বের একতাকে তুলে ধরতে পারে আর লন্ডনের মসজিদ মিশন কিভাবে পশ্চিমা বিশ্বকে ইসলাম ধর্মের সঠিক বার্তা পৌঁছে দিতে কাজ করছে। লেখক বলেছেন ইংরেজদের চারিত্রিক দৃঢ়তার কথা। বলেছেন তাদের দায়িত্বজ্ঞান, আত্মমর্যাদা ও শৃংখলাবোধের কথা। দেখিয়েছেন যে ইংরেজ সমাজে সেই সময়কার দিনে ধনী গরিব, শিক্ষিত অশিক্ষিতের বিভেদ কত কমে এসেছিল। লেখক বলেছেন পারী ও ইতালি ভ্রমণের কথাও। আবারও বিলেতের প্রেক্ষাপটে ফিরে এসে তুলে ধরেছেন সাধারণ ইংরেজদের সারল্যের কথা, সততার কথা, বন্ধুভাবাপন্ন মনোভাবের কথা। এছাড়াও ইংরেজদের খেলাধুলা, খাওয়া দাওয়া, বিকিকিনি, পত্রিকা ও সাহিত্য সব বিষয়েই একটা সম্যক চিত্র লেখক তুলে ধরেছেন এই বইয়ের নানা অংশে। সমালোচকেরা বলতেই পারেন যে এই বইতে শুধু ইংরেজদের গুণকীর্তনই করা হয়েছে, তাদের ভালোটাই দেখানো হয়েছে। একচোখা লেখক ইংরেজ জাতির কোন নেতিবাচকতা দেখেন নাই বা দেখলেও ইচ্ছাকৃতভাবে তা এড়িয়ে গেছেন। আসল ব্যাপারটা আমি জানি না তাই সে ব্যাপারে কোন মন্তব্য করব না। কিন্তু ইংরেজ জাতির যেসব উল্লেখযোগ্য দিক লেখক তুলে ধরেছেন, সেগুলোই যে ইংরেজ জাতির আজকের এই সফলতার মূল চালিকাশক্তি, তা অনস্বীকার্য। প্রতি ক্ষেত্রে লেখক ইংরেজদের প্রতিটি বিষয়ের সাথে আমাদের দেশের মানুষের একটি তুলনামূলক বিচার করে দেখিয়েছেন। আমরাও যদি 'বিলেতে সাড়ে সাতশ দিন' বইটা পড়ে ইংরেজদের সাফল্যের পেছনে প্রভাব ফেলা ক্ষেত্রগুলোতে নিজেরাও আত্মশক্তিতে বলীয়ান হয়ে উঠতে পারি এবং জাতি হিসেবে একদিন ইংরেজদের সমপর্যায়ে পৌঁছাতে পারি, তাহলেই হয়ত লেখকের এই বই লেখার সার্থকতাও পূর্ণরূপে বিকশিত হতে পারবে।

    •  

    Recently Viewed


    Great offers, Direct to your inbox and stay one step ahead.
    • You can pay using


    JOIN US

    icon Download App

    Rokomari.com is now one of the leading e-commerce organizations in Bangladesh. It is indeed the biggest online bookshop or bookstore in Bangladesh that helps you save time and money. You can buy books online with a few clicks or a convenient phone call. With breathtaking discounts and offers you can buy anything from Bangla Upannash or English story books to academic, research or competitive exam books. Superfast cash on delivery service brings the products at your doorstep. Our customer support, return and replacement policies will surely add extra confidence in your online shopping experience. Happy Shopping with Rokomari.com!