User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
good
Was this review helpful to you?
or
খুব ভালো বই
Was this review helpful to you?
or
বইটিতে বিবর্তন বিষয়ক মোটামুটি উল্লেখযোগ্য প্রচলিত তথ্য এবং ডারউইনের এই তত্ত্ব আবিষ্কার করতে নানারকম প্রতিকূলতা, পর্যবেক্ষেণ এবং সমস্ত কিছু সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরা আছে। বইটি মাত্র ৫০ পৃষ্ঠার এবং ডারউইনের এই আবিষ্কারের পেছনে যেসব সমসাময়িক বা তার চেয়েও পুরনো বিজ্ঞানীদের অবদান ছিলো তাদের সংক্ষিপ্ত জীবনী পরিশিষ্টে দেওয়া আছে। বইটি আমার কাছে মনে হয়েছে শিশু-কিশোরদের বোঝার মতো ওতোটা সহজভাবে লেখা হয়নি।
Was this review helpful to you?
or
দেশের যে-সকল ডারউইনবাদি সাধারণ মানুষের মাঝে বিবর্তনকে প্রচারের জন্য অনেক চেষ্টা করে গেছেন তাদের মধ্যে অধ্যাপক দ্বিজেন স্যার অন্যতম। বামপন্থী এই লেখক বেশ নামকরাও বলতে হবে। নটরডেমের শিক্ষকও ছিলেন এককালে। বইটিকে যথাসাধ্য সহজবোধ্য করার চেষ্টা করেছেন, তবে সবই বহু পুরানো প্যাচাল দিয়ে। লেখক প্রত্যয়ের সাথে বলেছেন: ''ডারউইনবাদ সম্পর্কে বিজ্ঞানী মহলেও ব্যাপক বিভ্রান্তি প্রচলিত, বলা বাহুল্য যা অত্যন্ত ক্ষতিকর । এদের অনেকেই বলেন, বর্তমান গবেষণার ফলে নাকি তত্তটি ভ্রান্ত প্রমাণিত ও বর্জিত হয়েছে। এটা একটা ডাহা মিথ্যা।'' আমি বুঝলাম না উনার মতো একজন নিসর্গী এত বড় ভুল কথা বললো কীভাবে। দিন এখন বদলেছে। হতে পারে উনি রিসেন্ট গবেষণাগুলো সম্পর্কে জানেন না। তাই এমন বড় ভুল কথা বলেছেন। বইয়ের বাকি অংশের ঐ টিপিক্যাল কথাবার্তা। পড়ে তেমন মজা লাগেনি। তবে উনার কেন বিবর্তনবাদ পছন্দ তার একটা কারণ হতে পারে তার কমিউনিজমের প্রতি আনুগত্য। তার গুরু মার্কস সম্পর্কে তিনি এই বইয়ে বলেছেনঃ ''ডারউইন শুধু বিজ্ঞানী নন, দার্শনিক তথা বিপ্লবীও। যারা তার গ্রন্থের শেষোক্ত তাৎপর্যগুলো সবার আগে উপলব্ধি করেছিলেন, কার্ল মার্কস্ তাদের অগ্রগণ্য। নিজের বিশ্ববীক্ষা গড়ে তোলার জন্য জীবজগতের উত্তব ও বিকাশের অত্যন্ত জরুরি বস্তুবাদী ব্যাখ্যা তিনি বিবর্তনবাদেই খুঁজে পান। তাই মার্কস্ তার Capital অর্থাৎ 'পুজি' গ্রন্থের ইংরেজি সংক্করণ ডারউইনকে উৎসর্গ করতে চান। অস্বস্তিপীড়িত ডারউইন রাজি হন নি।'' ধর্মবিরোধিতার বড় অস্ত্র হিসেবে বিবর্তনবাদ একেবারে শুরু থেকে ব্যবহার হয়ে আসছে। অনেকে স্রষ্টার অস্তিত্বের বিপরিতেও বিবর্তনকে দাঁড় করায়। এ অজ্ঞ আচরণ থেকে লেখক সতর্ক করেছেন দেখে অবাকই হয়েছি। তিনি বলেছেন: ''বিজ্ঞানের দর্শনের সামনে ধর্মকে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দীড় করানো নিরর্থক। ডারউইনের সমসাময়িক প্রায় সমস্ত বিজ্ঞানীই ছিলেন ধর্মবিশ্বাসী, আস্তিক এবং তারা এই বলে ডারউইনবাদ গ্রহণ করেন যে, ঈশ্বর প্রাণের আদিস্রষ্টা আর বিবর্তন ঘটেছে তারই নির্দেশে, সুতরাং একে স্বীকৃতিদানে ধর্মচ্যুতির আশঙ্কা অমূলক। অন্যথা ডারউইনের শিক্ষক হেনশ্রো এবং বন্ধু লায়েল ও হুকার কখনোই তার তত্ত্বের পৃষ্ঠপোষক হতেন না।'' পৃষ্ঠার মান ও ছাপা বিবেচনায় দাম ঠিক আছে।
Was this review helpful to you?
or
বিজ্ঞানের এমন কোন তত্ত্ব এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয়নি যা গোটা ধর্মীয় ও সামাজিক আচার, প্রতিষ্ঠানে প্রভাব ফেলেছে, যেমনটি বলা চলে বিজ্ঞানী চার্লস ডারউইনের প্রাকৃতিক নির্বাচন ও বিবর্তনবাদের ক্ষেত্রে। এ মতবাদ পাল্টে দিয়েছে জগৎকে, জন্ম দিয়েছে অনেক নতুন ধারণার। চার্লস ডারউইনের ব্যক্তি জীবনের সমান্তরালে বিবর্তনবাদকে তুলে ধরার ক্ষেত্রে দ্বিজেন শর্মা অনেকটা মুন্সিয়ানার পরিচয় রেখেছেন। তাঁর অনবদ্য প্রাঞ্জল উপস্থাপনায় তিনি বিবর্তনবাদ, এর ইতিহাস, সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মতবাদের পরিচয় তুলে ধরেছেন অব্যর্থভাবে। সরল আদিম জীব থেকে কালক্রমে জটিলতর উন্নততর জীবের উদ্ভবের ধারণা, যা বিবর্তনবাদ নামে পরিচিত- তা প্রথম ডারউইনই ব্যাখ্যা করতে সক্ষম হন; তিনি এটি করতে সক্ষম হয়েছেন বিগল জাহাজে চড়ে বেড়িয়ে বিভিন্ন জীবের ক্রম পরিবর্তন পর্যবেক্ষণের মতে। ১৮৩২ সালে ব্রাজিলের বোহিয়া বন্দরে নোঙর ফেললে সেখানে ডারউইন টেক্সোডেন নামের একটি বিলুপ্ত প্রজাতির মাথার ফসিল খুজেঁ পান। এরপর বিগলের দক্ষিণ আমেরিকার পূর্ব উপকূল জরিপ কালীন সময়ে ডারউইন সেখানকার ভূ-তাত্ত্বিক বৈচিত্র্য পর্যবেক্ষণ করেন,উদ্ভিদ ও প্রাণীর জীবিত ও শিলীভূত প্রজাতির নমুনা পর্যবেক্ষণ করেন। ১৮৩৫ সালে বিগল পৌঁছে গ্যালাপেগোস দ্বীপপুঞ্জে। সেখানকার ভূপ্রকৃতির সাথে জীববৈচিত্রও সচেতনভাবে পর্যবেক্ষণ করেন ডারউইন। গ্যালাপেগোস থেকে বিগল অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণ দিক ঘুরে উত্তমাশা অন্তরীপ পেরিয়ে আবার ১৮৩৬ সালে কর্ণওয়ালের ফালমাউথ বন্দরে ফেরে। এ দীর্ঘ সফরের অভিজ্ঞতা, সংগৃহীত নমুনা, পর্যবেক্ষণকৃত বৈচিত্র্য প্রভৃতির উপর কাজ করতে থাকেন ডারউইন। সমস্ত চিন্তাজগতকে এ ধারণার উপর ঢেলে তিনি বিবর্তনবাদের মূল সিদ্ধান্তে উপনীত হন। এরপর দীর্ঘদিনের গবেষণা,ভাবনাচিন্তা,অধ্যবসায় শেষে ১৮৫৯ সালে তার 'অরিজিন অব স্পিসিস বাই মিনস অব ন্যাচারাল সিলেকশন' বইটি প্রকাশ করেন। বইটি প্রকাশের দু'সপ্তাহের মধ্যে ডারউইন বিরুপ মন্তব্যে ভরা হাজারখানেক চিঠি পান, এতে কিছুটা উদ্বিগ্ন হন তিনি। কিন্তু ওয়ালেস,টমাস হাক্সলি প্রমুখ বিজ্ঞানীর সহায়তায় তার এই তত্ত্বটি সুপ্রতিষ্ঠিত হয়। এভাবে তাঁর বিবর্তনবাদকে দাঁড় করানোর কাহিনী আরো সুবিস্তৃতভাবে আলোচিত হয়েছে বইটিতে। রয়েছে সমসাময়িক বিজ্ঞানীদের পরিচয়,ছবি, তাদের ভূমিকার কথাও। ডারউইনের মতবাদের উপর বিভিন্ন বিতর্কের সাররূপও। বিভিন্ন প্রাণীগোষ্ঠী এবং বিলুপ্ত প্রজাতির ফসিলের ছবি বিবর্তনবাদকে বুঝতে হবে সহায়ক। বইটির শেষাংশে পরিশিষ্ট অংশে রয়েছে অ্যারিস্টটল, উইলবারফোর্স, এডওয়ার্ডস, ওয়ালেস, ওয়েন, কার্লাইল, চেম্বার্স, ডারউইনের পিতামহ এরেসমাস ডারউইন, পিতা রবার্ট ডারউইন, বুফোঁ, অগাস্ট ভাইজম্যান, ম্যালথাস, মিভার্ট, টমাস মেকলে, মেন্ডেল, ল্যামার্ক, লায়েল,সেজউইক, স্পেনসার, হাইকেল, টমাস হাক্সলি, হামবোল্ড, হুকার এবং হেনশ্লো প্রমুখ মনীষীর জীবনী। মোটকথা, বইটি পড়ে চার্লস ডারউইন,তাঁর বিবর্তনবাদ, এর ধর্মীয় ও সামাজিক প্রভাব,বিভিন্ন বিজ্ঞানীর জীবনী সম্পর্কে জানা যাবে সংক্ষেপে অথচ বেশ কার্যকরভাবে।