User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
সৈয়দ মুজতবা আলীর বেশির ভাগ রচনা আলাপি ঢঙের। যেন কলমের মাথায় আড্ডার রেলগাড়ি চেপে বসেছে। গদ্য সাহিত্যে এ ধরন নিতান্তই দুর্লভ। তবে তার লিখনরীতিতে সম্পৃক্ত আড্ডাকে নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখলে চলবে না। এ আড্ডা পণ্ডিতের। এতে বিদ্যা থাকলেও নেই জাহিরের বাসনা। অহংবোধ, গর্বের মতো বিশেষণগুলো ব্রাত্য। সমালোচকদের কারো কাছে তিনি কবি। সৈয়দ মুজতবা আলীর ‘রচনাবলী’র প্রথম খণ্ডের ‘ভূমিকা’য় গজেন্দ্রকুমার মিত্রের চোখে কবির আসনে স্থান পেয়েছেন তিনি। তার কথায়, লেখকের ছিল কবির মন, কবির দৃষ্টি। তবে কিছু কবিতা লিখলেও সে পথে খুব বেশি বিচরণ করা হয়ে ওঠেনি তার। সাহিত্যিক জীবন খুবই অল্প দিনের। উপন্যাস-গল্পের সংখ্যাও কম। কিন্তু এ লেখা মোটেই কল্পনাপ্রসূত নয়। সব তার জীবন থেকে নেয়া। তাই তার বেশির ভাগ বই আত্মজীবনীমূলক বললেও অন্যথা হবে না। মুজতবা আলী লিখেছেন সাকল্যে চারটি উপন্যাস— ‘শবনম’, ‘অবিশ্বাস্য’, ‘শহর-ইয়ার’ ও ‘তুলনাহীনা’। রম্যরচনায় তার মনের খবর না মিললেও উপন্যাস থেকে নিজেকে এড়াতে পারেননি তিনি। অরুণকুমার মুখোপাধ্যায়ের আলোচনা থেকে জানা যায়— ‘শহর-ইয়ার’ ও ‘তুলনাহীনা’ লেখকের সাহিত্যজীবনের শেষ দিকের রচনা। মানবজীবনের দুঃখবেদনা নিয়েই উপন্যাসগুলো। দুটি কাহিনীই মুসলিম নারীকে ঘিরে।মুজতবা আলী বহুদেশ ভ্রমণ করেছেন, কর্মক্ষেত্রের পরিবর্তন করেছেন এবং বহুজনের সান্নিধ্য লাভ করেছেন। তাই তার লেখায় সে প্রতিফলন দেখতে পাওয়া যায়। তার রম্যবিষয়ক ছোট ছোট রচনা পাঠকদের চিত্তবিনোদন ও অনাবিল আনন্দদানে তুলনাহীন। বিশেষ করে উপন্যাস ও ছোটগল্পে মানবজীবনের অন্তহীন দুঃখ-বেদনা ও অপূর্ণতার কথা তিনি সহানুভূতির সঙ্গে চিত্রিত করেছেন।