User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
একদম পিঠাপিঠিভাবে মাহমুদুল হক দুটো বিখ্যাত উপন্যাস “জীবন আমার বোন” ও “কালো বরফ” শেষ করলাম। দুটোই খুবই ছোট সাইজের উপন্যাস। সাইজের দিক থেকে নয়, এর গুণমান বিবেচনায় উপন্যাস দুটি অত্যন্ত পাঠকপ্রিয়। দুটো উপন্যাসই ইতিহাসকে বন্দি করে; কিংবা বলতে পারি ইতিহাসকে সাক্ষি রেখে লেখা। ইতিহাসকে পুঁজি করে যে কোনো লেখা এতদিন পাঠক সমাদৃত হয়ে আসছে। বিখ্যাত যত উপন্যাস বাঙলা সাহিত্যে নিবেদিত তার অধিকাংশই ইতিহাসকেন্দ্রিক। মাহমুদুল হকের এই দুটো উপন্যাসের মধ্যে “কালো বরফ”ই সবচেয়ে বেশি পাঠকের ভালোবাসা পেয়েছে। যদিও কালো বরফের চেয়ে “জীবন আমার বোন” উপন্যাসটির মাঝে ইতিহাসের বর্ণনা অতীবগুরুত্ব পেয়েছে। কালো বরফ রচিত হয়েছে দেশ ভাগের সময়কে ধারণ করে, দ্বিজাতি তত্বের বিভীষিকাময় অনুভূতিকে চারণ করে, চরিত্রগুলোকে দোদুল্যমানতায় পর্যবসিত করে। অন্যদিকে জীবন আমার বোন রচিত হয়েছে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে কেন্দ্র করে। মুক্তিযুদ্ধের পূর্ব প্রস্তুতি হতে গণহত্যার শুরুর সময়টা বিবর্ধিত হয়েছে এই উপন্যাসে। লেখক জীবন আমার বোন উপন্যাসটি প্রথম প্রকাশ করেন সর্বপ্রথম ১৯৭২ সালে একটি সাময়িকীর ঈদ সংখ্যায়, পরবর্তীতে তা ১৯৭৬ সালে পুস্তাকারে প্রকাশ পেয়েছে। অন্যদিকে কালো বরফ প্রকাশ পেয়েছে ১৯৭৭ সালে। অর্থাৎ জীবন আমার বোন উপন্যাসটি লেখক সমসময়কে সদ্য পর্যবেক্ষণ করেই লিখে ফেলেছিলেন। কিন্তু কালো বরফ লিখেছিলেন দেশ ভাগের দীর্ঘ সময় বাদে। ততদিনে ঘটনাটি শুধু অতীত নয়, বাঙলার ইতিহাসের খুবই গুরুত্বপূর্ণ ইনসিডেন্স বলা যায়, যা প্রতিটি পাঠ্যপুস্তকে ইতিহাসের নতুন অধ্যায়ে যুক্ত করেছে। দুটো সময়ে রচিত বর্তমান ও অতীতের সময়ে রচিত হওয়ায় গ্রন্থগুলোর মাঝে সিরিয়াস পাঠক আবশ্যিকভাবে কিছু পার্থক্য দেখতে পাবেন। ব্যক্তিগতভাবে আমার এই পার্থক্যভিত্তিক দৃষ্টিকোণ “কালো বরফের” চেয়ে “জীবন আমার বোন” উপন্যাসকেই সবচেয়ে সফল বলে বিবেচনা করে। অতীতে গিয়ে স্মৃতিকে বিশ্বাস করে লেখার কারণে পার্থক্যের যুক্তিটা আমার যথেষ্ট নড়বড়ে কারণ আমরা জানি হাসান আজিজুল হক “আগুন পাখি”তে তা স্বচ্ছ কাচের মতো পাঠককে দেখিয়ে দিয়েছেন, কতটা সফলভাবে ইতিহাস কেন্দ্রিক একটি উপন্যাস স্মৃতিতে আঁকা চিত্রে নির্ভর করে গঠন করা যায়! যাক এতো তুলনার পর উপন্যাসের গল্পভিত্তিক অনেককিছুই উহ্য রয়ে গেল। এর বিশদ বিবরণ একটি নিবন্ধ ডিজার্ভ করে, আমি এই ডিজার্ভিং কাজটি শীঘ্রই করব। তবে যা না বললেই নয়, তার মাঝে “জীবন আমার বোন” উপন্যাসে খোকা চরিত্রের উদাসীন জীবন আর একমাত্র বেঁচে থাকা বোনকে নিয়ে চক্রাকারে ঘুরতে থাকা দিন। আর “কালো বরফে” এক বিপ্লব প্রত্যাশী লেখক বিবেচিত চাকুরিজীবী আবদুল খালেক ও তাকে আবৃত করে রাখা সংসার, দেশ, রাজনীতি, পরিস্থিতি ও আপেক্ষিক বিপর্যয়ের মুক্তি। সকল অনুভূতির কেন্দ্রে পুঞ্জীভূত অতীত যে বর্তমানকে বিভ্রান্ত করে রাখে তার প্রতিবিম্ব কালো বরফ। মাহমুদুল হকের ব্যবহৃত সকল ভাষ্য, বাক্য-বর্ণ-ব্যকরণ যেভাবে উপন্যাসগুলো গড়েছে তার পৌনঃপুনিকতা গঠন-বর্ণন-পরিমাপে বেশ আঁটসাঁট হয়ে আসার মতো। তার উপস্থাপন ও গল্প গঠনের শিল্প যে প্রবল বেগে পাঠকের হৃদয় কেড়ে উজানে ভাসিয়ে নিয়ে যায়! শুরু থেকে সমাপ্তিতেও বিছিয়ে রাখে কৌতুহলের সূক্ষ্ম জাল। বহুমুখী ভাষার ব্যবহার ও নিজস্ব লেখনরীতি তাকে এত সকল বাঙালি সাহিত্যিকের মাঝে একটি অত্যুদীপ্ত তারকার ন্যায় ধ্রুব করে রেখেছে, মর্যাদায় স্থান দিয়েছে, সবচেয়ে বড় যে অর্জন একজন লেখক আহ্বান করে- অসংখ্য পাঠক পেয়েছে। -হাবিবুর রহমান মুন্না
Was this review helpful to you?
or
দারুণ
Was this review helpful to you?
or
খুব সাধারণ করে কিছু লেখা তার জন্য স্বভাববিরুদ্ধ।তিনি চাইলেই পারেন প্রাণশক্তি বিবর্জিত নির্জীব লেখাকে অসামান্যতাই ভরে দিতে।তিনি মাহমুদুল হক।আর তারই এক অনন্য সৃষ্টি "জীবন আমার বোন" বইটি।শক্তিশালী একটি চরিত্রকে ঘিরে গড়ে উঠা এই গল্পে ভাষার কাজ ঈর্ষণীয়।অসাধারণ একটি মুক্তিযুদ্ধের গল্প,যেখানে গল্পের মূল চরিত্র 'খোকা' আবর্তিত হয় নিজের সাথে নিজের অস্তিত্বের গভীর অতল যুদ্ধের মধ্যদিয়ে,সাথে সমান্তরাল ভাবে লেখক আঁকতে থাকেন গোটা দেশের মধ্যে দুরারোগ্য ব্যাধির মত জন্মাতে থাকা যুদ্ধের ভয়াবহ চিত্র। খোকার ব্যক্তিগত যুদ্ধটির বিশ্লেষণের মধ্য দিয়েই লেখক দেশের যুদ্ধের জটিলতার যাবতীয় খন্ড খন্ড চিত্র তুলে ধরেছেন স্পষ্ট প্রচ্ছন্নতায়।এখানেই লেখকের সার্থকতা।
Was this review helpful to you?
or
Good book
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নাম: জীবন আমার বোন লেখক: মাহমুদুল হক মাহমুদুল হকের বহুল পঠিত উপন্যাস 'জীবন আমার বোন'। বরাবরই মধ্যবিত্তের জীবনসংগ্রাম, তাদের দ্বিধাগ্রস্ততা, অপূর্ণতা আর সুবিধাবাদী চরিত্র অসাধারণভাবে এঁকেছেন এই শিল্পী তাঁর প্রতিটি উপন্যাসে। 'জীবন আমার বোন' উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র জাহেদুল করিমের মধ্যবিত্তীয় সুবিধাবাদী মানসিকতার পাশাপাশি যুদ্ধের নানা বাস্তবতায় নিজের বোঝাপড়াও লেখক তুলে ধরেন পাঠকের সামনে। লেখকের অসামান্য উপস্থাপনা, ভাষার কাব্যিক ব্যঞ্জনায় ছোট্ট, হৃদয়গ্রাহী উপন্যাসটি যতই পড়া যায় ততই বিষমবেদনায় ভারাক্রান্ত করে।
Was this review helpful to you?
or
'জীবন আমার বোন' লেখক- মাহমুদুল হক। জীবন আমার বোন গ্রন্থের পেছনের প্রচ্ছদে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে কবি শামসুর রাহমান লিখেছিলেন-‘খুব বেশি নয় তার রচনার পরিমাণ কিন্তু মাহমুদুল হক যখনই লেখেন, লেখেন স্থায়ীভাবে, বারবার পড়তে হয় তার প্রতিটি বই, অসামান্য ভাষা শিল্পী তিনি। উপন্যাসে তিনি একাত্তরের উত্তাল দিনগুলোর ছবি এঁকেছেন কাব্যের ভাষায়। ভিন্ন চোখে দেখে ঘটনার বর্ণনা করেছেন একান্তই নিজস্ব শৈল্পিক ভাষায়। অশরীরী উপন্যাসেও একাত্তরের কথা, পাক হানাদার ক্যাম্পে অম্বিয়ার করুণ যন্ত্রণা-পরিণতি পাঠকের কাছে দাঁড় করিয়েছেন। .
Was this review helpful to you?
or
জীবন আমার বোন মাহমুদুল হকের অন্যতম প্রধান সৃষ্টি, বাংলা কথাসাহিত্যে একটি উল্লেখযোগ্য সংযোজন সার্বিক বিবেচনায় একটি শিল্পসফল উপন্যাস। এ উপন্যাসের অধিকাংশ পরিসরজুড়ে প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে তৎকালীন মুক্তিযুদ্ধ শুরুর ঠিক আগের, সমাজ ও রাজনীতির উত্তেজনা জায়গা করে নিয়েছে। তার বিশ্লেষণও রয়েছে। সম্ভবত বলা চলে না যে মুক্তিযুদ্ধ এই রচনার মূল বিষয়, কিন্তু তার চেয়েও বড় কথা সমকালের অন্তর্লীন টানাপোড়েন ও গতি-প্রকৃতি এতে ব্যক্তির অনুভূতির মধ্য দিয়ে বিশ্লেষিত হয়েছে। সে হিসেবে এই উপন্যাসটি সমকালের অন্তর্দর্শন বটে।
Was this review helpful to you?
or
#জীবন_আমার_বোন #লেখকঃ #মাহমুদুল_হক #প্রকাশনীঃ #জাতীয়_সাহিত্য_প্রকাশনী আমার পড়া শ্রেষ্ঠ একটি বই। এই বইটা নিয়ে আমার প্রথম কথা হচ্ছে বইটি কেন পড়বেন? সবকিছুর পেছনে কারন থাকে। এই যে বইটি কেন পড়বেন? তাঁর কারনও আমার কাছে আছে। বই এর প্রতিটি লাইন আমার কাছে অসম্ভব ভালো লেগেছে। একদম উপমার ছড়াছড়ি বলতে পারেন। পড়তে পড়তে মাঝে মাঝেই আমার মনে হয়েছে যেনো আমি কবিতা পড়ছি। দারুন দারুন সব উপমা দিয়ে বইটির লিখাগুলি সাজানো হয়েছে। বলতে গেলে অতি সাধারন একটি ছেলে #খোকা। তাঁকে নিয়েই গল্প এগিয়ে যায়। গল্পটি যে প্রেক্ষাপটে তা আমারও পছন্দ ছিলো না বা এই টাইপ পছন্দ করতাম না। কিন্তু পড়ার পর আমার ধারনা সম্পূর্ণ পরিবর্তন হলো। এই প্রেক্ষাপটে এত সহজ আর সাধারন ভাবে যে এরকম একটা লিখা লেখা যায় তা এই বই পড়ে জানতে পারলাম। যেই প্রেক্ষাপটে লিখা হয়েছে সেই সময় আর সেই সময়কার ছোট-বড় গল্প, প্রতিদিনের ছোট ছোট গল্প সুন্দর আঙ্গিকে উপস্থাপন করেছেন লেখক। বাংলা কথা সাহিত্যে এই বই একটি অন্যতম সংযোজন। #মাহমুদুল_হকের অন্যরকম সৃষ্টি এই বই। শিল্পসফল উপন্যাস বললেও ভুল হবে না বৈকি। #শেষ_কিছু_কথাঃ বই এর কিছু কিছু অংশ আমার চিন্তা-ভাবনাই পরিবর্তন করে দিয়েছে। আমি সবসময় আমার নিজের প্রতিটা কাজ নিয়ে সংশয়ে থাকি। এই ঠিক হলো না ভুল। কিন্তু এই বই পড়ার পর নিজের অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় আমি থমকে গিয়েছি। এমন এমন বিষয় যার বর্ণনা অন্যরকম হতে পারতো কিন্তু লেখক তাঁর লিখার মাধ্যমে তাঁকে এমন রুপ দিয়েছেন যা যে কেউ পড়লে অবাক হতে বাধ্য। বেশি কিছু লিখলাম না কারন আর একটু লিখলেই গল্পটা অনেকেই এখনি ধরে ফেলে গদ বাধা নিয়মের মধ্যে ফেলে দিতেন। কিন্তু এটা কোনো গদ বাধা গতানুগতিক লেখা নয়। এখানে মাত্র আমি একটি পাতার কিছু অংশ তুলে ধরছি যা পড়ে আমার নিজের প্রতি নিজের আত্মবিশ্বাস আরো বেড়েছে। ‘’নিজের সম্পর্কে মনের ভেতর কোনো গ্লানি পুষে রাখতে নেই। নিজেকে, নিজের চিন্তা-ভাবনাকে, নিজের অভিরুচিকে কারা বোকার মতো ছোট করে দেখতে অভ্যস্ত তা জানো? যারা নিজের অগোচরে নিজের ধংস চায়’’ এরকম আরো অনেক লেখাই লেখক তাঁর এই বইতে লিখেছেন। তো আর দেরি না করে পড়ে ফেলুন বইটি। যাদের কাছে বইটি আছে কিন্তু পড়ছেন না আর সময় নষ্ট না করে দ্রুত পড়ে ফেলুন বইটি।
Was this review helpful to you?
or
#পাঠ_প্রতিক্রিয়া #জীবন_আমার_বোন শেষ করলাম মাহমুদুল হকের আরেকটি মাস্টারপিস 'জীবন আমার বোন'। লেখকের একেকটি বই শেষ করি আর বই পড়ার আনন্দের সাথে সঙ্গী হয় কিছুটা কষ্টও। কষ্টটা এই যে আস্তে আস্তে মাহমুদুল হকের সবগুলো উপন্যাস পড়া শেষ হয়ে যাচ্ছে! আর মাত্র তিনটি বাকি। অবশ্য কষ্ট কিছুটা লাঘব হয় যখন মনে হয়, তাঁর সবগুলো উপন্যাসই তো একাধিকবার পড়ার যোগ্য। আমি অবশ্যই এগুলো বারবার পড়বো। আমাকে পড়তেই হবে কারণ আমার পাঠক সত্ত্বাকে মাহমুদুল হকের মতো অন্য কেউ নাড়া দিতে পারেনি। যাই হোক, 'জীবন আমার বোন' নিয়ে কিছু বলি। গল্পটা সেই সময়ের যখন সবাই বুঝতে পারছে বিরাট কিছু একটা হতে যাচ্ছে সামনে, যুদ্ধ লেগে যাবে লেগে যাবে গুঞ্জন চারদিকে, মানুষের স্বাভাবিক জীবনে দেখা দিয়েছে অস্থিরতা, শহর ছেড়ে মানুষ গ্রামে পালাচ্ছে। কারো কাছে যুদ্ধই একমাত্র মুক্তির পথ, আবার কেউ ভাবে কিছু মানুষ নিজেদের স্বার্থের জন্য জনসাধারণকে লেলিয়ে দিচ্ছে। গল্পের প্রধান চরিত্র খোকা সব দেখতে চায় সবার চেয়ে আলাদাভাবে, নির্ভিকার থেকে সবকিছু পাশকাটিয়ে যেতে চায়। এবং তা পারে কি-না সেটা বুঝা যাবে বইটি শেষ করলে। মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক উপন্যাস বলতে আমরা যা বুঝি 'জীবন আমার বোন' তার থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। তবে শেষের চার পৃষ্টায় যুদ্ধের ভয়াবহতা এবং করুণতা দারুণভাবে ফুটে উঠেছে৷ এতো অল্প কথায় এটা সম্ভব করতে হলে অসম্ভব কলমের জোর লাগে, সেটা মাহমুদুল হকের যে কতটা বেশি আছে তা যারা তাঁর লেখা পড়েছেন তারাই বুঝবেন। ব্যক্তিগত রেটিং: ৫/৫
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের মূল কাহিনী বলতে ঠিক কি বলব বুঝতে পারছিনা। কেমন যেন একটা আচ্ছন্ন ভাব চলে এসেছে বইটা পড়ার পর, আর সেই আচ্ছন্নতার ভাবটা যেন কাটতেই চাচ্ছেনা। আচ্ছা থাক না! রয়েই না হয় থাকলাম বইটার আচ্ছন্নতায় ডুবে.... খোকা বইটার মূল চরিত্র(?), তার মধ্যে কিছুটা ভবঘুরে ভাব থাকলেও দিন শেষে যে সেও একজন সামাজের অন্তর্গত কেউ, তারও যে একটা পরিবার আছে তা হোক সেটা জীবনের বেখেয়ালিপনায় ভাঙ্গাগড়া শেষ প্রান্তের কোনো পরিবার। দিনে শেষে তাকেও ফিরে আসতে হয় ক্লান্ত কোনো চড়ুই এর মত। অন্ধকার কোঠরিতে জ্বালতে হয় আশার আলো। ওহ! সেই আলো অবশ্য তাকে জ্বালতে হয়না আলো জ্বালার জন্য তো রঞ্জু আছেই। রঞ্জু খোকার বোন, আর তাদের পরিবার বলতে এই দুইজন'ই। গল্পের সময়কাল ঠিক মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার অল্প কিছুদিন আগের। যে সময় চারিদিকে জ্বলে সাধারণ মানুষের মুক্তির আগুন! চারিদিকে যখন সত্যের চেয়ে গুজব বেশি মাত্রায় রাজত্ব করে বেড়াচ্ছে। শহরের ব্যস্ত পথ গুলো যখন সন্ধ্যে নামতেই প্রেতপুরীতে রূপান্তরিত হয়। আর সেই প্রেতের ভয়েই কোণঠাসা হয়ে কাটে সবার রাত গুলো। সবার মধ্যে শহর ছেড়ে যাওয়া ধুম পরে গেলেও খোকার তা নিয়ে খুব একটা মাথাব্যথা নেই। কারণটা, সে অবশ্য গুজব এর চেয়ে সত্যটাকেই বেশি মূল্যায়ন করে থাকে। কিন্তু সেই সময়টা যে ছিলো সত্যের জন্য ভয়াবহ একটা সময়! সত্য যে বুলেটের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত। তবে? খোকা কি রয়ে যাবে এই শহরে? গুজবও যে সত্যে পরিনত হতে পারে সেটা কি সেটা আঁচ করতে পারবে? নাকি তাকেও ইতিহাসের পাতায় নাম লিখাতে হবে? আমার পড়া লেখকের প্রথম বই এটা। আর প্রথম বারেই লেখকের ভক্তে পরিণত হলাম। সত্যিই অসাধারণ একটা বই। বা অসাধারণ এর চেয়ে বেশি কিছু। প্রতিটা চরিত্রকেই যেন জীবন্ত মনে হয়েছে। তারা হেটে বেরিয়েছে আমার চারিপাশে কখনো বা আমায় নিয়ে হেটেছে। অনুভূতি গুলো এমনই ছিলো তখন। হ্যাপি রিডিং