User login

Sing In with your email

Email Address
Password
Forgot Password?

Not Account Yet? Create Your Free Account

Send

Recipients:
Message:

Share to your friends

Copy link:

    Our Price:

    Regular Price:

    Shipping:Tk. 50

    • Size:
    • Color:
    QTY:

    প্রিয় ,

    সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
    মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?

    Please Login to Continue!

    Our User Product Reviews

    Share your query and ideas with us!

    Customer Reviews

      By Efrite Bin Taher

      08 Dec 2019 12:02 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      মৃত মানুষের আত্মার সাথে সরাসরি কাউকে কথা বলতে দেখেছেন? আচ্ছা বাস্তবতা যদি এরকমই হয়, তাহলে কেমন হবে ব্যাপারটা? এই অবিশ্বাস্য কর্ম কি বাস্তবে করা সম্ভব? তন্ত্রে মন্ত্রে যারা বিশ্বাস করেন, তারা হয়তোবা সায় দিবেন। আর বাকিরা? বাকিরা এক বাক্যে এ অবান্তর বিষয়টিকে নিশ্চিত উড়িয়ে দিবেন। আসলে এটাই স্বাভাবিক। ধর্মীয় বিশ্বাস আর অনুভূতির সাথে কোনো যুক্তির মিলন না ঘটলেও পশ্চিমবঙ্গের লেখিকা মহুয়া ঘোষ তাঁর চন্ডাল বইটিতে তন্ত্র মন্ত্রের ছলে অত্যন্ত নিঁখুতভাবে ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছেন অঘোরী তন্ত্র সাধক চন্ডালের নানাবিধ অবিস্বাস্য কল্প কাহিনীকে। জন্মের সময় মা মারা যাওয়ায় অপয়া অপবাদ নিয়েই জীবনের দশটি বসন্ত পাড়ি দিয়েছে দশ বছরের এক ছোট্ট বালক। শেষমেষ বাবার মুখাগ্নি না করায় গ্রামবাসীর দেয়া চন্ডাল উপাধি নিয়েই গ্রাম ছেড়ে শ্মশানে আসন পেতে বসতে বাধ্য হয়েছিল চন্ডাল উপাধিপ্রাপ্ত দশ বছরের ছোট্ট বালকটি। মৃত মানুষের আধপোড়া মাংস টেনে হিঁচড়ে গোগ্রাসে ভক্ষণ করত চন্ডাল। সূরা পানের জন্য পাত্র হিসেবে ব্যবহার করতো মৃত মানুষের মাথার খুলি। সময়ের পরিক্রমায় শ্মশান পরিণত হতে থাকে অঘোরীদের সাধনাক্ষেত্রে। আত্মার সাথে যাদের নিয়মিত থাকতো যোগাযোগ। শবদেহের আধপোড়া মাংসকে টরম তৃপ্তিতে তুলে নিত মুখে। শবদেহের উপর বসে চলত চন্ডালের অঘোরীয় সাধনা। শরীরে মৃত মানুষের ছাই মেখে অদ্ভূত সব কারসাজির মাধ্যমে অভিনব উপায়ে আসন পেতে শেষ রাত অবধি চলতো তন্ত্রসাধক চন্ডালের এ অঘোরীয় সাধনা। বহু ঘাত প্রতিঘাত পেরিয়ে চন্ডাল পৌঁছে যায় তার কাঙ্খিত লক্ষ্যস্থলে। অর্জন করে সে বিশাল তান্ত্রিক শক্তি। যে শক্তির বদৌলতে চন্ডাল আসন সাজিয়ে কথা বলতে পারে মৃত আত্মার সাথে। এছাড়াও নানাবিধ আধ্মাতিক কর্মকান্ডের সুনাম ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। মধুময়ের পরিবার পুত্র সন্তানের আশায় শরনাপন্ন হন অঘোর বিদ্যায় দক্ষ অঘোরী তান্ত্রিক চন্ডারের দরবারে। প্রাথমিক স্বপ্ন পূর্ণ হলেও বিধি না মানার অপরাধে ভয়ানক সব বিপদের সম্মুখীন হতে থাকে মধুময়ের পরিবার। তান্ত্রিক সাধক চন্ডাল স্বীয় তন্ত্র সাধনায় এ থেকেও মুক্তি দেয় মধুময় পরিবারকে। কিন্তু নিকট আত্মীয়ের বিশ্বাসঘাতকতা আর প্রতিহিংসার আগুনে দগ্ধ হতে থাকে মধুময় পরিবার। যার সাথে যোগসূত্র রয়েয়ে তন্ত্রসাধিকা কৃপালিনীর। যে কিনা আরেক অদৃশ্য শক্তির বলীয়ান হয়ে উঠে পড়ে লেগেছে তন্ত্র সাধক চন্ডালের বিরুদ্ধে। চন্ডাল কি পারবে তন্ত্রসাধিকা কৃপালিনীর মায়াজাল ছিন্ন করে মধুময় পরিবারকে সুরক্ষা করতে? কারা সেই নিকটাত্মীয়? মধুময়ের পরিবারের বিরুদ্ধে কি তাদের প্রতিহিংসা? কি চায় তন্ত্রসাধিকা কৃপালিনী? তন্ত্রসাধিকা কৃপালিনী কি পারবে তার প্রতিশোধস্পৃহা চরিতার্থ করতে? কিসের এই প্রতিশোধ? প্রবঞ্চক কৃপালিনীর জালে কি জড়িয়ে পড়বে অঘোর বিদ্যায় দক্ষ তন্ত্রসাধক চন্ডাল? ঘটনার দৃশ্যপটে হঠাৎ করেই আবির্ভূত হয় কালভদ্রের। কে এই কালভদ্র? কেন তার আগমন? দশ বছর বয়সে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয় নানান ঘাত প্রতিঘাত সহ্য করে ভয়নক সব চড়াই উতড়াই পেড়িয়ে ইহকালের মোহ ত্যাগী অঘোরী শক্তির বাহক চন্ডাল কি বন্দি হয়ে যাবে পাতানো সব মায়াজালের ফাঁদে? যারা বিশ্বাস রেখেছিল চন্ডালের উপর তাদের ভাগ্যেই বা কি জুটবে ঘটনার শেষ দৃশ্যপটে? প্রিয় পাঠক, গায়ের রক্ত হিম হয়ে যাওয়ার মতো ভয়নক সব তন্ত্র মন্ত্রের খেলায় এরকম হাজারো প্রশ্নের উত্তর পেতে হলে অবশ্যই আপনাকে পড়তে হবে মহুয়া ঘোষের এই চন্ডাল বইটি। এই লেখিকার বই এই প্রথম পড়লাম। যদিও হরর টাইপের বইগুলো আমার তেমন পছন্দ না, তথাপি তন্ত্র মন্ত্র আর অলৌকিক বিষয়াদি লিপিবদ্ধ ফ্ল্যাপের পাতাটি পড়ে খুব আগ্রহ নিয়েই বইটি কিনে আনা। যদিও ধর্মীয় রীতিনীতির আদলে বইটি লেখা, তারপরও তন্ত্র মন্ত্রের এই অলৌকিক বিষয়াদি একান্তই লেখিকার কল্পনাপ্রসূত ঘটনা। যা পাঠক মাত্রই সহজে অনুমান করে নিতে পারবেন। তবে লেখিকা যদি ভূমিকায় বিষয়গুলো একটু পরিষ্কার করে দিতেন, তাহলে বোধহয় আরো সুন্দর হতো। কিছু প্রিন্টিং মিসটেক আর বাক্যচয়নে কিছু ক্ষেত্রে অসঙ্গতি ছাড়া পড়তে গিয়ে তেমন কোনো জটিলতার সম্মুখীন হইনি। তবে একই বাক্য বিভিন্ন স্থানে বার বার ব্যবহার করায় মাঝে মধ্যেই আটকে গেছি। বিশেষ করে তন্ত্রসাধক চন্ডালের আস্তানায় এ অসঙ্গতিটি অধিক পরিমাণে পরিলক্ষিত হয়েছে। প্রিয় পাঠক, তন্ত্র মন্ত্রের অলৌকিকতায় নিজেকে সিক্ত করতে চাইলে নির্ধিদ্বায় হাতে তুলে নিতে পারেন পেপারব্যাকে মলাটবন্দি চমৎকার এই বইটি।

      By mahbub morshed

      06 Feb 2018 01:53 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      ‘গুরু ও চন্ডাল’ নামা বিজয় আহমেদ বহুদিন আগে, বন্ধু সারয়ার সামুর কাছ হতে নিয়া আহমদ ছফার ‘যদ্যপি আমার গুরু’ পড়ছিলাম। তারপর থেকে এ বইটা আমার খুব নিকটের হয়া উঠে। যে কারণে সামুকে বইটা আর ফেরত দেয়া হয় নাই। অনেকদিন পর সামুরে এইটা জানাইলেও, সে বেজার হয় নাই। প্রথম পাঠের পর থেকে আরো অনেকবার ‘যদ্যপি আমার গুরু’ পড়ছি। কিন্তু কহনই পাঠ তৃষ্ণা শেষ হই নাই আমার। বইটা শুধু তার গুরু আব্দুর রাজ্জাক, তার চিন্তা, যাপন ও পান্ডিত্য কে জানার জন্যেই প্রিয় ছিলো না আমার। আমার কাছে এটি আরো বেশি গ্রহনীয় এর ক্র্যাফটম্যানশিপ ও প্রকৌশলের কারণে। মানে বলতে চাইতাছি যে, একজন মানুষের পান্ডিত্যকে, নিজের লেখা দিয়ে নির্মোহ ভাবে, স্মৃতিকথারূপে, নিজের মন্তব্যসহ পাঠকের সামনে হাজির করা- এমন কী যেখানে গুরু ও তার শিষ্য (আহমদ ছফা) দুই জনেরই বিশালত্ব জারী থাকে; তা যে কী অদ্ভুত কাজ, তা আমি মোহিত হয়া বারবার পড়ছি। খেয়াল করছি। তো ঘটনা হইলো, ২৭/০৮/১১ তারিখে দুপুরবেলায়, মামুন খানের সাথে ভরপেট খায়া, তারে বিদায় দিয়া আমি যাই নতুন ধারা অফিসে। মানে টিপু ভাইয়েরর কাছে। গিয়া গল্প গুজব করি। টিপু ভাই বলেন, আমি মুগ্ধ হইয়া শুনি। উনার দপ্তরে, প্রচুর বইপত্র আসে। টেবিলের ওপর ছড়ায়াছিটায়া থাকে। এর মধ্যে সম্প্রীতি নামের একটা ম্যাগাজিন এর তরুণদের স্মৃতিকথা সংখ্যাটার দিকে নজর যায়। হাতে তুইলা লই। উল্টাই পাল্টাই। দুই পেইজের লেখক সূচি দেখি, গল্প করতে করতে। ফলে অনেকের নাম চোখে ধরা পরে না। আর তাই মনও ভরে না। ফলে সম্পাদকীয় পড়ি, চমকাই-দেখি যে, ওখানে মাহবুব ভাইয়ের একটা স্মৃতিকথা, যা ৪০টি পৃষ্ঠা দখল করেছে বলে জানা হয়। আর সাথে সাথে এইবার, পুনরায় দুই পেইজের লেখক সূচীতে যাই। তারপর মাহবুব মোর্শেদের লেখাটায় নজর বুলাই। লোভ হয়। আর গুমড়ে ওঠা এই লোভের কারণে ফেরার সময়, টিপু ভাইরে বইলা ম্যাগাজিনটা নিয়া আসি। তারপর রাত্রে যখন ‘গুরু ও চন্ডাল’ পড়া শুরু করি, টানা দুই ঘন্টার পাঠ-জার্নি শেষে, দেখি যে তখন রাত ১.৩০ টা। মাহবুব মোর্শেদওে ফোন দেওনের ইচ্ছাটা ফাল দিয়া ওঠে। কিন্তু নিজেরে সামলায়ে লই। নিজেরে এই ভাবে সামলাইতে পারলেও, একটা অসাধারণ গদ্য পাঠের যে তৃপ্তি তা একপ্রকার বুঁদ কইরা রাখে আমারে। ফলে পর দিন সকালে উইঠা পুনরায় পড়া শুরু করি। আর এবার সেলিম আল দীন সম্পর্কে তার চকিত কিন্তু গভীর মূল্যায়ন বা কথার ফাঁকে ফাঁকে, শিল্প-সাহিত্য-নাটক-ফিল্ম নিয়া মাহবুব মোর্শেদের মন্তব্যগুলা কালো কালিতে দাগাতে থাকি। যতই দাগাই ততই অবাক হই। বোঝার চেষ্টা করি, এই লেখার সততা ও প্রণোদনাকে। অবাক হয়া দেখি, একজন প্রায় মিথের মতন বিগত লেখক মানুষকে নিয়ে, তার সাহিত্যিক অভিলাষটা আসলে, মাটিতে নামিয়ে আনার চেষ্টা। মানে মিথ হতে একজন মানুষকে, তার আসল চেহারা-সুরত ও অবয়ব দানের চেষ্টা। দেখি যে কী অদ্ভুত ভাবে, গুরুর শিল্প চেতনা, তার সাথে আর্গুমেন্ট ও গ্রহণ-বর্জনের এক পার্থিব বয়ান তোলে ধরছেন। যে বয়ানগুলো সাহিত্যিক বিষয় আশয় হিসাবেও অদ্ভুতভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয় ওঠে, আমাদের কাছে। শুধু তাই নয় মাহবুব মোর্শেদের জাদুকরী গদ্যও প্রণম্য মনে হতে থাকে। দেখি যে গদ্যে মাহবুব মোর্শেদ, খুব ধীরে ধীরে ব্যক্তি সেলিম আল দীন হতে শুরু করে, একজন নাট্যকার সেলিম আল দীনের কাছে পৌছান। তার শিল্প চিন্তা-ভাবনা বলতে বলতে, কখনো বা মত বা প্রতিমত তোলে ধরতে ধরতে। ফলে মনে হতে থাকে মজলিসি ঢঙ্গে একটা ব্যাপক ঘটনা ঘটে চলছে। এবং প্রচারিত থাকে যে, গদ্যটার নাম ‘গুরু ও চন্ডাল’ হইবার কারনও এই যে, গুরুকে আদিখ্যেতার বাইরে রেখে, তার বড়ত্ব ও সীমাদ্ধতা উভয় নিয়াই একটা সফল জার্নি এখানে জীবন্ত হয়া উঠতে থাকে। এবং ঐ যে প্রথমেই বলছিলাম, একটা মিথকে বাস্তবিক অবয়ব দিয়েছেন তিনি এই গদ্যে-প্রকারন্তরে দেখি, তিনিই আবার শেষে, সেলিম আল দীনের মৃত্যুর পরের কান্নাকাটির দৃশ্য দেখে লেখেন, ‘বন্ধুদের কান্না আমি অহরহ দেখি কিন্তু গোপণ ও প্রকাশ্য শত্রুরা যখন কাঁদে তখন জীবনের আরেকটা গভীর সত্যের মুখোমুখি হইতে হয়। সেই সত্য কী এইখানে বলবো না। সেই সত্যের কথা লিখতে হলে সেলিম আল দীনের জীবন নিয়া আরেকপ্রস্ত রচনা আমাকে লিখতে হবে।’ এবং পুনরায় সেলিম আল দীনকে মিথই করে তোলেন। বোধকরি মিথের অন্তর্নিহিত শক্তি এমনই যে, তার দুই সহস্র ডানা ওড়াল শুধুই সূর্যগামী। উর্ধ্বগামী। আর রুপকথার মতই তার একটা ডানা কাইটা দিলে, হয়ত ৫টা কইরা নতুন ডানা জন্মায়! তবে কথা হইতাছে, মিথ টিথ বুঝি না। যেইটা বুঝি, তা হইলো-ভবিষ্যতে, সেলিম আল দীনের পাঠক হবেন যারা, তাদের জন্যে এই গদ্য অবশ্যপাঠ্য হবে বলেই বোধ করি। তা সেটা জীবনীরূপে কী সেলিম আল দীনের শিল্পচিন্তার খোঁজে- যাই হোক। শুধু তাই নয়, মনে হয়, এই গদ্য, আমাদের জন্য একটা উদাহারণ হয়া থাকলো। তবে মাহবুব মোর্শেদের আশ্চর্যময় আরো দুটি গ্রন্থ (ব্যাক্তিগত বসন্তদিন ও দেহ) পড়া আছে বইলাই বোধকরি, গুরু ও চন্ডাল পাঠের পর আমি অবাক হইনা। শুধু বিশ্বাসটা আরো পোক্ত হয়। ভাবি যে, মাহবুব মোর্শেদের গোলায় এমন সোনার ধানই তো উঠবার কথা বারবার। ০২ গদ্যটা পুরাটা যদি আমি এইখানে লেইখা দিতে পারতাম। তাইলে ভাল্লাগতো। কিন্তু সেইটা সম্ভব নহে। তবে কয়েকটা লাইন কোট করার লোভ সামলাইতে পারলাম না। (তবে পাঠকের জন্যে আনন্দেও কথা হইতে পারে, গদ্যটা বই আকাওে বাইর হইছে, ২০১৩ বইমেলায়। ঐতিহ্য থাইকা। ) সেলিম আল দীনের সঙ্গে সংগঠিত বহু ফালতু সাহিত্য আলোচনা আমার স্পষ্ট মনে রইছে। পরন্তু আমি গ্রামে ও মফস্বল শহরগুলোতে বড়ো হইছি। বড় সাহিত্যিক হওনের বাসনা সেই কৈশোরেই আমাকে লোভাতুর করে তুলেছিলো। বড় সাহিত্যিক জীবনে দেখি নাই। লেখকরা কেমনে লেখে এইগুলো বইয়ে পড়ছি। কাছ থিকা লেখক, সাহিত্যিক ও তাদের জীবন দেখি নাই। সেলিম আল দীনের সান্নিধ্য আমার সেই সাহিত্যিক দেখার বাসনাকে তৃপ্ত করছিলো। সেলিম আল দীন কত বড়ো সাহিত্যিক আমি জানি না। তবে অল্পদিনেই আমি বুঝতে পারছিলাম, উনি বড়ো সাহিত্যিকের মত জীবন যাপন করেন। নিজের নির্মিত একটা জগতে বাস করেন। যদ্দুর মনে পড়ে, ২০০৩ নাগাদ নিমজ্জন শেষ হইছিল। এইটা লেখার সময় আর উনি মঞ্চের কথা ভাবতেন না। একটা পরিপূর্ণ রচনার চিন্তাই শুধু তার মাথায় আছিল। গদ্য যাযাবর বৃত্তির আঙ্গিক নয়। মানুষ নগর তৈরী কইরা নাগরিক না হওয়া পর্যন্ত, নগরে শ্রেনী তৈরী কইরা বিভিন্ন এলাকায় ভাগ হয়া বসবাস না করা পর্যন্ত লিখিত উপন্যাসের উদ্ভব হয় নাই। কলকাতার কানাগলির বাইরে নিয়া গিয়া বাংলার বিস্তৃত ভূগোলের মধ্যে সাহিত্যকে প্রতিষ্ঠা করার যেঅভিযান তারাশঙ্কও শুরু করেছিলেন, তা সাহিত্যের একটা নতুন অংশকে নতুন দিক ও দিশা দিয়াছিল সত্য কিন্তু ভিতর থিকা প্রাণভোমরা লুটে নিয়াছিল। আন্দোলন সংগ্রাম শুরু হইলে স্যারের সঙ্গে আমার একটা দূরত্ব তৈরী হইত। দেখাসাক্ষাত কমে যাইত। স্যার ক্ষমতা কাঠামোর মধ্যে নিরাপদ থাকতে পছন্দ করতেন। রাজনীতি না কইরা, একবার দুইবার ভোট দিয়া, বন্ধুদের সাথে তুই তোকারী কইরা অল্প সুবিধা নিয়া নিরাপদে থাকতে পছন্দ করতেন। অন্য শিক্ষকদের মতো রাজনীতি কইরা ভালো পোস্ট পজিশন আদায় কইরা সুখে থাকা তার পক্ষে সম্ভব আছিল না। সেই পদ্ধতি উনি জানতেনও না। সেলিম আল দীন স্বভাবে খুব ভক্তিবাদী ছিলেন। তিনি নিজেও ভক্তি পছন্দ করতেন। যাদের ভক্তি করতেন মন থেকে করতেন। কৃতজ্ঞতাবোধ তাকে ভক্তির দিকে নিয়া যাইতো। ভক্তির মধ্যে কপটতা কি কখনো দেখা গিয়েছিল? আমার খুব মনে পড়ে না। তবে তার মধ্যে এক প্রকারের প্রতিহিংসা কাজ করত। মাঝে মাঝে মনে হতো প্রতিহিংসা বশত উনি লিখছেন। ভালো লিখে বিক্ষোভ জানাবেন বলে। উনি তীব্র বিক্ষোভ সহকারে ঘামতে ঘামতে লিখতনে। রিডারের সার্বভৌমত খর্ব কইরা তিনি নিজের টেক্সটকে একদেশধর্মী একটা ফ্লাটফর্মে দাঁড় করাইতে চাইতেন। যা তার সাহিত্য পাঠের ক্ষেত্রে অনেককে বিমুখ করছে। আমার ক্ষুদ্র বিদ্যায় আমি তার দ্তৈাদ্বতবাদী শিল্পতত্ব এবং একাকরবাদী শিল্প আঙ্গিকের তত্ত্বকথার দ্বারা খুব বেশি তাড়িত হইতে পারি নাই। তাছাড়া তিনি দূর্বোধ্য সংস্কৃত ভাষায় প্রবন্ধ লেখতনে। তৎসম ও তদ্ভব শব্দের বাহুল্যে সেইগুলো ভারাক্রান্ত হয়ে উঠত। প্রবন্ধ দিয়া তিনি যে কথা মানুষকে বুঝাইতে চাইতেন সেই কথা মানুষ উল্টা বুঝত। ০৩ মাহবুব মোর্শেদকে জানি এই শহরের ঘাড়ত্যাড়া লেখক হিসাবে। রাজনীতি, সমাজ, রাস্ট্র এবং সমকালীন যে কোনো বিষয় নিয়াই তার তীব্র ও তীর্যক প্রতিক্রিয়া ও মতামত হাজির থাকে আমাদের সামনে। আর সেই বুঝাবুঝি একান্তই তার। এইটা স্পষ্ট তার এই বোঝ অনেক সময়েই গণমতেরও বিরুদ্ধে চইলা যায়। তবু বুঝি রাজনীতি ও রাস্ট্র এবং তাদের যুগপৎ গতিবিধি নখদর্পণেই থাকবার লাগে একজন গদ্যশিল্পীর। যেমনটা দেখবার সুযোগ হয় আমাগোর ইলিয়ামের ডায়েরীতেও। যে ডায়েরীতে ছাত্র ধর্মঘটা, ডেসার কর্মচারীদের আন্দোলন, প্রেসিডেন্টের ভাষণ এমন কী স্লোগান-ও পর্যন্ত লিখিত হয়, চরম বিশ্বস্ততায়। আর এইটাও আমাদের বোধগম্য হয় যে, মাহবুব মোর্শেদ তার রসদ যোগাড় কইরা রাখতাছেন এইভাবে। আমরা ভাবি, শহরের এই কাউবয়, ঠিকই একদিন রোকসানা’র হাসবেন্ডর মত কোনো ক্যারেক্টারের প্রিয় স্নেক গেইমের সাপগুলারে, নোকিয়া ১১০০ সেটের ছোট্র স্ক্রিন থাইকা বাইর কইরা নিয়া আসবেন। দক্ষিণ মৈশুন্দির গল্পকারের দেহাবসানের পর, আমাদের চাওয়াটাও বাইরা যাইতে থাকে এইভাবে। আর এইটা তো সত্য যে, পুরান ঢাকার ডাইল পুরীর পেটে ডাইল না থাকনের যে পরাবাস্তব জীবন আমরা পাঠ করছি তার বাইরেও আরেকটা ঢাকা আছে। যে ঢাকা শ্যাওড়াপাড়া, মিরপুর, কল্যানপুর, ডেমরা, শনিরআখড়া, কাওলা, এয়ারপোর্ট, আব্দুল্লাপুর অথবা যাত্রাবাড়িতে শরীর ছড়ায়া থাকে। আমরা সেই শরীরের রন্ধ্রে রন্ধ্রে জমে থাকা ঘাম, কাম, ধূলি, ফুর্তি, রস বা রসিকতার কথাও জানবার চাই। আর এই চাওয়াটাই জারী থাকে মাহবুব মোর্শেদের প্রতি। যে কারণে, ফেইস বাই ফেইস বা মেলানকলিয়া ব্যক্তিগত ভাবে আমি গ্রহণ করতে পারি না। কিন্তু ঠিকই রোকসানা’স হাসবেন্ডে বুঁদ হই। বনসাইয়ের অসাধারণত্বে ও দার্শনিকতায় ঘোরগ্রস্ত হই। ব্যক্তিগত এক আড্ডায় মাহবুব মোর্শেদ আমারে কইছিলেন, ‘আমি যে জীবন যাপন করি। তার বাইরে আমি লেখতে পারি না!’ কইতে ইচ্ছা হয়, তার জীবন ও যাপন শুধুই যেন আরবান নৈসঙ্গ তাড়িতের জীবন না হয়। নায়িকা, মদের টেবিল আর শরীর ছাড়াও সেখানে যেন রোকসানারা থাকে। তাদের যেন কর্পোরেট হাউস বা ব্যাংকে চাকরী হয়। তাদের হাসবেন্ডদের যেন নোকিয়া সেট থাকে। স্নেক গেইম থাকে। শ্যাওয়াপাড়ার সকাল ও জ্যাম থাকে। পুলিশের টিয়ারসেল অথবা ৬ নম্বার বাস থাকে। যাই হোক, গুরু ও চন্ডাল নিয়া লেখতে গিয়া আরো একজন চন্ডালের জবান এখন বন্ধ করার দরকার মনে হইতাছে। কোনো এক সুন্দর সময়ে না হয়, মাহবুব মোর্শেদের গল্প ও গদ্য নিয়া নিয়া লেখবো। তার আগে যথেষ্ট মূর্খামি ও সাহস সঞ্চয় করতে থাকি।

      By nimo

      27 Jan 2018 12:01 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      সেলিম আল দীন ও মাহবুব মোর্শেদ ওয়াহেদ সুজন wahedsujan / June 10, 2013 সারাদিন ঘরে কাটাইয়া হাত-পা-চোখের আরাম দিতে বাইর হইয়া চোখ আটকে গেল উচাঁ উচাঁ বিল্ডিং-র কার্নিসে। শেষ বিকেলের আলোক তরঙ্গে কি সুন্দর চকচক করছে। কত কাছের অথচ দূরের জিনিস। হাত বাড়াইলে নাই টাইপের। আগের দিন মানিকগঞ্জ টু গুলিস্তানের বাসে চাইপা পিছনের যাত্রীদের কথা শুনতে শুনতে ঘুমাইয়া পড়ি। একজন বলে, দেখ চৌদ্দতলা বিল্ডিং। অপরজন গুনে বলে, বারো তলা। আগের জন বলে, নীচে আরো কততলা আছে কে জানে? ঘন্টা দুয়েক পর মাহবুব মোর্শেদের ‘গুরু ও চণ্ডাল’ বইখানা হাতে পাইলাম। ততক্ষণে ভুলে গেছি মাটির নীচের তলার কিচ্ছা। গুরু ও চণ্ডাল মাহবুব মোর্শেদ ফেব্রুয়ারি ২০১৩, ঐতিহ্য, ঢাকা ঝইঘ: ৯৭৮-৯৮৪-৭৭৬-১১৩-৮ একশ বিশ টাকা প্রচ্ছদ: চারু পিন্টু গুরু ও চণ্ডাল মাহবুব মোর্শেদ ফেব্রুয়ারি ২০১৩, ঐতিহ্য, ঢাকা ঝইঘ: ৯৭৮-৯৮৪-৭৭৬-১১৩-৮ একশ বিশ টাকা প্রচ্ছদ: চারু পিন্টু গুরু ও চণ্ডাল পাঠ করে আরামের খোঁজে যখন বাইর হইলাম গুরু সেলিম আল দীন আর চণ্ডাল মাহবুব মোর্শেদ কোত্থেকে সবকিছূর মধ্যে আইসা হাজির হইলেন। আসলেই হাজির হইলেন নাকি আমি এর মধ্যে তাদের হাজির-নাজির করে ছাড়লাম। তাইলে বলতে হয়, মাহবুব তার লেখায় এতটুকু স্পেস রাখছেন যে, দুনিয়াদারির ঐকতানের মধ্যে তাঁরে দেখা যায়। সেটা কি তার লেখার গুণে না আমার কল্পনা। পাঠকরে কল্পনার-চিন্তার সুযোগ করে দেয়াও লেখকের উত্তম গুণ। এই দুনিয়াদারিরে একই সুতার মধ্যে দেখন যায়, এমন কথার সুত্রে দেখা যাক মাহবুব কি বলতেছেন। কি বলতেছেন সেটা বর্ণনা করিব না, যা বলিব তাহা চুমুক মাত্র। মাহবুব প্রথম ফ্ল্যাপে জানিয়ে রাখছেন, সেলিম আল দীনরে লইয়া তার পাঁচ-ছয় বছরের অনেক অনেক স্মৃতি আজ গুম-খুনের স্বীকার। তবে যেটুকু মনে আছে তা এই বইয়ে পেশ করেছেন। পেশ করেছেন কথ্য ভাষায়। অর্থাৎ, ভাষার গুনাগুনে তিনি গুরুর চেয়ে ফারাক হচ্ছেন। তার জবানে সেলিম আল দীন তৎসম ও তদ্ভব বহুল লেখা লিখতে পছন্দ করতেন। গুরু ও চণ্ডালের কথা শুরু হইছে জনৈক ড. মাহবুবকে দিয়া। সেলিম আল দীন তার মৃত্যুর কিছুদিন পূর্বে মাহবুব মোর্শেদকে ড. মাহবুব মনে কইরা দুইবার কল দিছেন। তারপর এই কথা সে কথা ধরে তিনি বললেন, তার লগে সর্বশেষ দেখা বছর কয়েক আগে। মহুয়া উৎসবে। এই ইন্টারেস্টিং হুল্লোড় বাংলাদেশে আর কোথাও হয় বলে জানা নাই। হুল্লোড় সেলিম আল দীনের পছন্দের শব্দ। যাই হোক, সেই উৎসবের পর জীবিত গুরুরে তিনি আর দেখেন নাই। স্মৃতি তাজা হবার মতো কোন জায়গায়ও তিনি যান নাই। ফলে চণ্ডালের চিন্তায় গুরু গুরুপাকেই সজীব। সর্বশেষ মহুয়া উৎসবের কোন বর্ণনা এই বইখানায় নাই (বিলকুল গুম খুনের বিষয় নহে), মাহবুব রাশি রাশি স্মৃতির পসরাকে সাজিয়ে দিয়েছেন পাতায় পাতায়। মাহবুব মোর্শেদ এর বই গুরু ও চণ্ডালগুরু ও চণ্ডাল কোন কিসিমের পুস্তক? স্মৃতিচারণ, আত্মজৈবনিক এবং তীহ্ম পর্যবেক্ষণের এক ধরণের মাখামাখি। ব্যাপারটা এমন না যে, অমুক অমুক জায়গায় গেছিলাম, অমুক ঘটনা, শুনছি- এই। বরং, তার বাইরের কিছু। সেলিম আল দীন আমাদের মাথার ওপরে সূর্যের মত জ্বলতেছেন। মাহবুব বিল্ডিং-র উচাঁ কার্নিসের আলোটারে নানাভাবে হাজির করতেছেন। এরমধ্যে আলোক তরঙ্গের কি ভেদ আছে তাও বলতেছেন। ফলে তিনি আর সেই তরঙ্গ থেকে আলিদা হয়ে থাকছেন না। তার যদি একটু শিল্প আলোচনার ইচ্ছে থাকে, মনে পড়ে সেলিম আল দীনের কথা। যদি বৃক্ষের লগে কোন বাতচিত হত সেখানে খাড়াইয়া থাকবেন সেলিম আল দীন। তিনি বাংলা সাহিত্য নিয়া কথা কইবেন সেখানেও হাজির হইবেন সেলিম আল দীন। এই খাড়াইয়া থাকা মানে মাহবুবরে ধইরা বাইন্ধা কোন কিছুরে মানাইয়া নেয়া না। বরং, মাহবুবের নিজস্ব আয়না দাড়াইয়া সেলিম আল দীনের মুণ্ডুপাত। এমন চণ্ডালের গুরু হিসেবে সেলিম আল দীন নমস্য। সুতরাং, গুরু ও চণ্ডালের কথা বার্তা শেষমেষ স্মৃতিচারণ না। মাহবুবের লেখালিখির মধ্যে, ভাবাভাবির মধ্যে রাজনীতি, সাহিত্য নানা কিছু হাজির আছে। তিনি গুরুরে হাজির করেন সেসবের পর্যালোচনাসহ। তাঁর লগে তার যায় আর যাতে দ্বিমত আছে সেটা চমৎকারভাবে প্রকাশ করেন। এই বই মাহবুবের সেই ভাবাভাবির পরিচয় করাইয়া দেয়। একই সাথে লেখালেখির একটা শৈলীও দিচ্ছেন। কথ্য ভাষা। চার ফর্মার এই বইয়ের শেষে দশ পৃষ্ঠায় একখানা সাক্ষাৎকার আছে। সেটা মাহবুবের লগে নিছেন রায়হান রাইন ও সাইমন জাকারিয়া। বাকি পৃষ্ঠাগুলা হইল গুরু ও চণ্ডাল। কোন অধ্যায় ভাগ নাই। বাদ-বিবাদ নাই। সরল ভঙ্গিতে স্মৃতিচারণ ও মনের কথা কওয়া। এই বইয়ে গোপনীয়তা লঙ্ঘন না করার একটা বিষয় আছে। যেমন মাহবুব কনফেশনের কথা তুলেন। কিন্তু কথাগুলো তুলে ধরেন না। এমনকি যেসব শত্রুর দল সেলিম আল দীনের মৃত্যুতে কান্নাকাটি করছে তাদের নির্বিশেষ করে তুলেন। তাদের নাম পরিচয় ফাঁস করেন না। এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হতে পারে। একই সাথে সেলিম আল দীনের একান্ত বিষয় আশয় নিয়ে কথা তোলেন নাই। কিছু কথা তোলেন। যেমন- ক্ষমতা বলয়ের মধ্যে থাকতে পছন্দ, মৌলবাদ ও রাজনৈতিক আক্রমণ থেকে দূরে থাকার প্রক্রিয়া, শ্রদ্ধা পাইতে ও দিতে ভালোবাসা। মাহবুব তার চিন্তাগত পক্ষ-বিপক্ষ নিয়া বহু বাতচিত করছেন। কিন্তু বই পইড়া মনে হয় তিনি গুরুর সামনে দাড়াইয়া কথাগুলো বলতেছেন। এই বইয়ে তিনি বাংলা নাটক, সাহিত্য, ছাত্র রাজনীতি ও শিল্পের দায় নিয়ে নানা কথা হাজির করেছেন। সেগুলার বিবেচনার দরকার আছে। এই তো গেল চণ্ডালের দিক। গুরুর তরফে কি হাজির। মোটাদাগে এই বইয়ে ব্যক্তিগত সম্পর্ক থেকে আগাইয়া সেলিম আল দীনকে একটা নিমোর্হ বিশ্লেষণের সামনে দাঁড় করাইছেন। যদিও নিমোর্হ কথাটার মধ্যে আমার ফাঁকিবাজি আছে। এখানে ব্যক্তি সেলিম আল দীনের ঘটনা ধরলে একটা বিষয় হলো ঘটনার সত্যাসত্য নির্ধারণ করা। সে অর্থে মাহবুবকে চাপের মুখে ফেলার মতো কিছু নাই। যদি থাকে, তাইলে তা আশে পাশের মানুষের চিন্তার খোরাক হতে পারে। তবে এইটুকু তো সত্য- অনেকে গুরুগিরি করেন, সবাই তো চণ্ডালের ঘাড়ে গুরুরে বর্ণনা ও ব্যাখ্যা করার দায়িত্ব চাপাইতে পারে না। মাহবুব সেলিম আল দীনের মোহের কথা বলেছেন প্রশ্নসংকুল অর্থে। কিন্তু নিবেদন সেইসব প্রশ্নরে ঘাই মেরে যোগ্য নিবেদন বটে। সুতরাং, সেসব ঘটনা-অঘটনার সত্যাসত্যের বাইরে গুরু ও চণ্ডালের সম্পর্কটাই হয়তো আসল হয়ে ওঠে। কিন্তু মাহবুব যেভাবে তফাত হওয়া হাজির সে অর্থে এটা যতটা না সম্পর্কের অনন্যতাকে ধারণ করে, তারচেয়ে বেশি সেলিম আল দীনরে সামনে রাইখা দুনিয়ায় নিজেকে চিনতে পারার আকাঙ্খা। এই চিনতে পারার মধ্যে দারুন কিছু অনুমান আছে। যেমন উপন্যাস শহরে উদ্ভাবিত জিনিস হইলেও সাহিত্য দিয়া অপরকে আয়ত্ম করার শহুরে মানসিকতা। অপরকে না বুঝে অপরকে বর্ণনার শহুরে কেতা মাহবুবকে বহুত চোট দিসে। কিন্তু এর বাইরে দুনিয়ারে পাঠের বিষয় করার আর কি তরিকা আছে তা প্রশ্ন বটে। সেলিম আল দীনকে মর্মশাস থেকে দেখার চেষ্টা আছে। সেলিম আল দীনের বলয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক শিল্প চর্চার চমৎকার চিত্র পাওয়া যায় এই বইয়ে। তফাতে থাকা মাহবুব আপনার জন্য সুখপাঠ্য। কার্নিশে পড়া আলোর মতো অদেখা সেলিম আল দীনের সৌন্দর্য ও দূরত্ব যেন বোঝা যায়। এই তো গেল মাটির ওপরে থাকা সেলিম আল দীন। তিনি লুকাইয়া আছেন কতটুকু। প্রশ্নটা খারাপ না। মাহবুব বলেন সেলিম আল দীনের লগে মেশার কারণে রাজনৈতিক সতীর্থদের কাছে নানাভাবে তাকে হেনস্থ হতে হয়েছিল। অথচ সেসব রাজনৈতিকতার অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাই এখন তার মনে নাই। সাহিত্য বা শিল্পের দায় বা অ-দায়ভিত্তিক যে সংঘর্ষ এখানে পষ্ট। মাহবুব বলেন, গুরুর লগে যে বাতবিচ তা বিলকুল স্মরণযোগ্য- সেখানে সেলিম আল দীনের দিকটা স্পষ্ট। মাহবুব যেভাবে নিজেকে ক্রিটিক্যাল বলতেছেন, সে দিক থেকে চরিত্র আকারে সেলিম আল দীনকে পাঠ অবশ্য গুরুত্বপূর্ণ।

    •  

    Recently Viewed


    Great offers, Direct to your inbox and stay one step ahead.
    • You can pay using


    JOIN US

    icon Download App

    Rokomari.com is now one of the leading e-commerce organizations in Bangladesh. It is indeed the biggest online bookshop or bookstore in Bangladesh that helps you save time and money. You can buy books online with a few clicks or a convenient phone call. With breathtaking discounts and offers you can buy anything from Bangla Upannash or English story books to academic, research or competitive exam books. Superfast cash on delivery service brings the products at your doorstep. Our customer support, return and replacement policies will surely add extra confidence in your online shopping experience. Happy Shopping with Rokomari.com!