User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
আমার কাছে এক অতিরোমান্টিক, বাস্তবতা-বিবর্জিত প্রেমগল্পের বইয়ের খোলামেলা রিভিউ এটি। গল্প, সংলাপ, সময়কাল ও যুক্তির মারাত্মক অসঙ্গতি হতাশ করেছে। রসকষহীন, একঘেয়ে কাহিনি আর অতিমাত্রায় নাটকীয় সম্পর্ক-চিত্র ছিল সময়ের অপচয়।
Was this review helpful to you?
or
শেষ ১৫ দিনের শেষ ১৫ দিনের ঘটনা বুঝলে আপনি ভাষা হারিয়ে ফেলবেন,,এটাই বুঝি জীবন?
Was this review helpful to you?
or
কয়েকটা শব্দ কাগজের পাতায় ঠুকে দিলেই কি তা বই হয়ে যায়? আর আমরা বই কেনো পড়ি? অবশ্যই জ্ঞান আহরণের জন্য।কেবল জ্ঞান ছাড়াও থ্রিল,রোমাঞ্চ,ভয়,আনন্দ ইত্যাদি অনুভূতি উপভোগ করার জন্য ও আমরা বই পড়ে থাকি। তবে সব কিছুর মূল্যে শিক্ষাটাই প্রাধান্য দেওয়া হয়। " শেষ পনেরো দিন " বই টি পড়ে আমি তেমন কিছুই অনুভব করতে পারি নী। এই গল্পে ঢাকার নারায়ণগঞ্জ এর ফতুল্লা অবস্থিত দুই টিনেজ চরিত্র এর মধ্যকার প্রণয়ের একটি অধ্যায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।জাত, পাত,ধর্ম,বিবেক ভুলে ভালোবাসার এক অপার দৃশ্য ফুটিয়ে তুললে ও এ ক্ষেত্রে অনেক কিছুই পরিলক্ষিত হয়। উপন্যাস বিস্তারিত: নারায়ণগঞ্জ এর বাসিন্দা হৃদয়।কলেজ পড়ুয়া সেই হৃদয়ের প্রেমহীন জীবনে হুট করেই চলে আসে অনাকাঙ্ক্ষিত প্রেম।যথারীতি প্রেম দিয়েই উপন্যাস এর শুরু। উপন্যাসের অন্যতম প্রধান চরিত্র অর্পিতা। এই দুই চরিত্রের প্রেম চলতে থাকা কালীন হুট করেই একদিন অর্পিতার ফোন থেকে কোন কল বা টেক্সট আসে নী বিধায় আমাদের টিনেজ লয়াল গল্পের নায়ক হৃদয় উদভ্রান্ত হয়ে গেছিলো।পরে অর্পিতা জানায় তার ভাই নাকি তাকে দেখে ফেলেছিল আর অরায়ের কাছে নাকি ওর ফোন থাকবে তাই কয়েকদিন যোগাযোগ বন্ধ রাখতে হবে।এখন থেকে চিঠি চালাচালি করে যোগাযোগ করতে হবে। যাক ভালো কথা। এর মাঝেই একদিন অর্পিতা কল দিয়ে হৃদয় কে দেখা করতে বলে।হৃদয় ও অর্পিতা কে শাড়ি পরে আসতে বলে।বিকেল বেলা অর্পিতা নীল শাড়ি,নিল চুরি,খোঁপায় নীলকন্ঠ ফুল গুঁজে দেখা করতে আসে।তারা অনেক ভালো সময় কাটায় এমনকি রেস্টুরেন্টে খাওয়ার সময় ভালোবেসে হৃদয়ের মুখে লেগে থাকা খাবার ওড়না দিয়ে মুছে দেয়। ওয়েট...... অর্পিতা না শাড়ি পরে এসেছিলো! তবে ওড়না দিয়ে মুখ মুছলো কেমন করে?! How strength! রাত ৮ টা বাজে তবু অর্পিতা বাসায় ফিরতে চায় না আরো ঘোরাঘোরি করতে চায়।আশ্চর্য অর্পিতার বাড়ির কেউ কি এখন আর অর্পিতার খবর রাখে না! যাক ব্যাপার না। এমন করেই দিন যাচ্ছিল।দেখতে দেখতে রমজান মাস আসে।আমাদের নায়ক হৃদয় কেবল নামে রোজা রাখে আর তার সারাদিন কেবল অর্পিতার সাথে মনের কথা বলে,ভালোবাসা বিনিময় করে,মাঝে মাঝে দেখা সাক্ষাৎ করে ও কাটে।কত অভিমান ভাঙা ভাঙি চলে।পাক্কা রোযাদার। কখনো সখনো হৃদয় অর্পিতার বাড়িতে ও যেত।অর্পিতার মা মেনে নিয়েছিল ওদের।একদিন আবার অর্পিতার সাথে ওদের বাড়ির ছাদে বৃষ্টিতে ভেজা ও হয়েছিল যখন বাড়িতে কেউ ছিলো না। এতবার অর্পিতার বাড়ির আশেপাশে যাওয়ার পর ও ওর ভাইয়ের নজরে পরে নী!!!! চমৎকার! এরপর এলো গল্পের টুইস্ট! অর্পিতা মুসলিম ছিলো না ও ছিল হিন্দু।সম্পর্ক প্রায় এক দেড় বগর যাওয়ার পর ও হৃদয় নাকি জানতই না অর্পিতা হিন্দু!সিরিয়াসলি??? অর্পিতার নাম শুনে ও হৃদয়ের মনে কোনো প্রশ্ন জাগে নী? এছাড়াও অর্পিতার বাসায় যাওয়া, অর্পিতার বড়ো চাচার ছেলে নাদিম এর সাথে এত ভালো বন্ধুত্ব ছিল (নাদিম যদি ও মুসলিম নাম,তথাপি ও নাদিম হিন্দু হলে তো সেইটা অত্যন্ত হৃদয় এর জানার কথা),অর্পিতার অর্পিতা সহ অর্পিতার পরিবার কে এতটা কাছ থেকে দেখার পর ও এই বিষয় টা না জেনে থাকা কি সম্ভব? হ্যা মানা যায় গল্প কাল্পনিক,তাই বলে এতটা?বাস্তবতার লেশ নেই মাত্র। তারপর যাওয়া যাক... একদিন অর্পিতার মা হৃদয় কে ফোন করে বলে হৃদয় কে অর্পিতার টিচার হিসেবে ওদের বাসায় পরের দিন সকালে পড়াতে যেতে। হৃদয় ও যথারীতি পরেরদিন অর্পিতার বাড়ি উপস্থিত হয় এবং অর্পিতার বাবার সাথে দেখা হয়ে যায়।তিনি ও কে? জিজ্ঞেস করলে ও কোনো জবাব দেয় না পরমুহুর্তে অর্পিতার মা বিষয় টা সামলে নেয়। অর্পিতার রুমে ঢুকল সে হৃদয় কে প্রসাদ খেতে দেয় তখন ও হৃদয় বুঝতে পারে না ও হিন্দু।এরপর ওরা দুইজন বসে কথা বলার একটা পর্যায়ে দুইজন দুইজন কে জড়িয়ে ধরে এবং সেইটা অর্পিতার বাবা দেখে ফেলে। পরমুহুর্তে তিনি সিদ্ধান্ত নেন আজকেই অর্পিতা কে নিয়ে গ্রামের বাড়ি চলে যাবেন। সেইদিন বিকালে সত্য সত্য ওরা গ্রামের বাড়ি চলে যায় এবং অর্পিতার বাবা ওর থেকে ফোন নিয়ে নেয়।পুরো একদিন অর্পিতার সাথে কথা হয় না হৃদয়ের । পরের দিন অর্পিতা কল করে জানায় তার বাবা তার বিয়ে ঠিক করেছে।আর সে যে হিন্দু এইটা নাকি সে হৃদয় এর কাছে লুকিয়েছে তাও জানায় । ভাল যেহেতু বেসেছে তাই হৃদয় আর জাত,ধর্ম বিবেচনা না করে অর্পিতা কে কথা সে পরের দিন তৈরি থাকতে সে অর্পিতা কে নিজের কাছে নিয়ে আসবে। পরের দিন হৃদয় ভাবির আলমারি থেকে টাকা নিয়ে অর্পিতার গ্রামের বাড়ি চলে যায় এবং অর্পিতার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে । কোনো ক্রমেই তা সম্ভব হচ্ছিল না । অপর দিকে হৃদয় এর বাড়ি থেকে কাল আসে তার বাবার অবস্থা খুব খারাপ,তিনি হাসপাতালে ভর্তি। একদিকে প্রেমিকা অন্যদিকে বাবা বিশাল বিপদে পড়ে যায় হৃদয়। অনেক ক্ষন অপেক্ষা করে ও রাত ৩ টায় ও যখন অর্পিতার দেখা পায় না এবং তৎক্ষণাৎ ফোন আসে তার বাবা আর দুনিয়াতে নেই সে তড়িঘড়ি করে চাপ কষ্ট বুকে রেখে চলে আসে ঢাকায়। তার চোখে বেঈমান হিসেবে চিহ্নিত হয় অর্পিতা। কিন্তু পরেরদিন সে জানতে পারে অর্পিতা আগের দিন গলায় ফাঁ*স নিয়েছে তাই সেইদিন এত অপেক্ষার পরেও অর্পিতার দেখা মেলে নী।বাবার মৃত্যু ও প্রিয়তমার মৃত্যুতে হৃদয়ের দুনিয়া উল্টে পাল্টে যায়। এক আকাশ বিষাদ দিয়ে উপন্যাস এর ইতি টানা হয়। বই সম্পর্কে আমার মতামত: এই বই এ মূলত টিনেজ বয়সের প্রেমের একটি অংশ প্রকাশ করা হয়েছে।বই এর আগে গোড়ায় কখন কিভাবে কনসেপ্ট পরিবর্তন হচ্ছিল বোঝা মুশকিল ছিলো। তা ছাড়াও উপন্যাস এর কিছু কিছু স্থান এ ভাবার্থ মিল ছিল না। আমার নিজস্ব পছন্দ থেকে বলছি,ফেসবুক এ এমন টাইপ অহরহ গল্প পাওয়া যায় যেই গুলো আমি পড়ে ও দেখি না।আসলে রোমান্টিক উপন্যাস কম পড়া হয় ।বাস্তব ধর্মী রোমান্টিক উপন্যাস কিছু টা হলে ও ভালো লাগে। আমার মতে পয়সা দিয়ে এই বই কিনে পড়াটা বোকামি। তবে সবার পছন্দ এক হবে না এইটা স্বাভাবিক।যেইটা আমার কাছে ভালো লাগে নী সেইটা অনেকের কাছে ভালো লাগতেই পারে।তাই রিভিউ দেখে ভালো খারাপ বিবেচনা করবেন না।সুযোগ হলে নিজে পরে দেখুন। আর এইটা লেখক সাহেবের প্রথম বই ।তার কাছে আশা রইলো সামনে তিনি আমাদের আরো ভালো কিছু উপহার দিবেন। অগ্রিম শুভকামনা রইলো।
Was this review helpful to you?
or
আমার পড়া সবচেয়ে ফালতু বই ছিল। এটা পড়া মানে সময় আর টাকা দুইটারই অপচয়।
Was this review helpful to you?
or
একটি আবেগমিশ্রিত বই?
Was this review helpful to you?
or
শেষ পনের দিন,,,আহাম্মেদ হৃদয় ? ঝরে যাওয়া দুটো প্রাণ, চাইলে ও ফেরানো যায় না,!!সমস্ত আবেগ, অনুভূতির মিশেল দিয়ে বুঝে নিতে হবে শেষ পনের দিনের শেষ অংশটুকু। শেষ অংশটুকু লিখে প্রকাশ করার মত শব্দ বা ভাষা জানা নেই আর জানা ও হবে না, সূক্ষ্ণ ব্যাথা টা রয়েই যাবে।