User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
বইটি বেশ ভালো
Was this review helpful to you?
or
আপনাকে কখনও সমুদ্রে, কখনও দ্বীপের নিরবতায় নিয়ে যাবে এই অসাধারণ বইটি
Was this review helpful to you?
or
vhaloi
Was this review helpful to you?
or
good
Was this review helpful to you?
or
জিম হকিন্স নামের এক কিশোর তার বাবা-মার সাথে সৈকতের কাছে "অ্যাডমিরাল বেনবো" নামক এক সরাইখানায় থাকে। হটাৎ নিত্তান্ত অস্বাভাবিক ভাবে তাদের সরাইখানায় এক বুড়ো নাবিক আসে ওঠে। অদ্ভুত এই বুড়ো নাবিকের খারাপ ও কর্কশ ব্যবহারে যদিও সবাই তার ভয়ে থাকতো, কিন্তু এই বুড়ো নাবিক সবার সাথে খারাপ ব্যবহার করলে সে সবসময় আতঙ্কিত হয়ে থাকতো এক খোঁড়া নাবিকের ভয়ে। এমনকি এই খোঁড়া নাবিকের খোজের জন্য জিমকে সে মাসে ৪ পেনি করে দিত। হটাৎ একদিন সরাইখানায় এই বুড়ো নাবিককে ব্ল্যাক ডগ নামের একজন আক্রমণ করে। সে যাত্রায় বুড়ো নাবিকের বেশি কিছু না হলেও তার কয়েকদিন পরে এক অন্ধ জলদস্যু তারদলের আক্রমণের পূর্বেই মারা যায় বুড়ো নাবিক। এই বুড়ো নাবিক মারা গেলে তার সিন্ধুকের মধ্যে এক মানচিত্র পাই। এই মানচিত্রে বলা আছে কোথায় আছে ইংরেজ দূর্ধর্ষ ডাকাত ফ্লিন্টের জমানো রত্নের সন্ধান। তারপর সেই মানচিত্র নিয়ে ট্রেজার আইল্যান্ডের উদ্দেশ্যে অভিযান শুরু করে জিম হকিন্স, তার এক ডাক্তার চাচা, ট্রেলনী নামের এক জমিদারসহ আরো অনেকে। তাদের এই অভিযান কি সফল হয়েছিল..? তারা কি খুঁজে পেয়েছিল সেই লুকানো রত্ন..??
Was this review helpful to you?
or
বিশ্বসাহিত্যের শ্রেষ্ঠ পাঁচখানা কিশোর উপন্যাসের নাম করলেও নির্দ্বিধায় ' ট্রেজার আইল্যান্ড' থাকবে। গুপ্তধনের গল্প শুনতে ভালো লাগে না, শিহরিত হয় না এমন পাঠক পাওয়া ভার। তায় গুপ্তধন যদি কুখ্যাত জলদস্যুর হয় তাহলে তো পোঁয়াবারো। এই উপন্যাসের গুপ্তধন উদ্ধারের আ্যডভেঞ্চারের সাথে তুলনা করা যায় এমন পুস্তক চোখে পড়ে না। যেকোনো বয়সের পাঠককে একেবারে চুম্বকের মতো ধরে রাখতে সক্ষম এই ক্লাসিক উপন্যাস। অবশ্য পাঠ্য।
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা এক নাবিককে দিয়ে গল্পের শুরু। সে হাজির হয় জিমদের হোটেলে। তার আচার আচরন ছিল খুবই রহস্যময়। জিমদের সেই হোটেলের নাম ছিল অ্যাডমিরাল বেনবোও। আর সে হোটেলে যে জলদস্যু এসে উঠল, তার নাম বিলি বোনস। সঙ্গে এক বিশাল সিন্দুক। হোটেলটা বেশ পছন্দও হয়ে গেল বোনসের। বোনস্ জিমকে একটা দায়িত্ব দিয়েছিল। বোনসের খোঁজে আরেকজন জলদস্যু আসতে পারে। তার এক পা খোঁড়া। দেখলেই যেন জিম তাকে খবর দেয়। সেদিন রাতে জিমের বাবা মারা গেল। তাই জিমেরও বোনস্কে দেখতে যাওয়া হলো না। পরদিন তাদের হোটেলে অদ্ভুত এক লোক জোর-জবরদস্তি করেই বোনসের ঘরে গেল, ধরিয়ে দিল ব্ল্যাক স্পট। ব্ল্যাক স্পট হলো জলদস্যুদের মৃত্যু পরোয়ানা। তাতে লিখে দেওয়া হয় কখন তাকে মারা হবে। ক্যাপ্টেন বোনস্ দেখল তার আয়ু মাত্র ছয় ঘণ্টা বাকী। স্ট্রোক করল বোন্স, মারা গেল। জিম আর ওর মা পাওনা নেওয়ার জন্য সিন্দুকটা খুলাতে তাতে সোনার মোহর আর অয়েল ক্লথে মোড়ানো একটা বান্ডিল পেল। এর মধ্যেই ওরা শুনতে পেল, কারা যেন হোটেলের নিচে জটলা পাকাচ্ছে। জিম অয়েল ক্লথে মোড়ানো বান্ডিলটা নিয়েই সরে পড়ল। সাথে সাথেই দস্যু দল এসে ঢুকলো। তারাও বান্ডিলটা খোজ করছিল। না পেয়ে পুরো হোটেলই তছনছ করতে লাগল। তখনই জিমের বাবাকে কবর দেওয়ার জন্য লোকজন আসায় ওরা বেচে গেল। জিম কিন্তু ওদের কথাবার্তা শুনেই বুঝে ফেলেছে, ওর কাছে যে বান্ডিলটা আছে, সেটা খুবই দরকারি। তাই দেরি না করে তক্ষুণি ছুটল ডাক্তার লেভসির কাছে। ডাক্তার লেভসির ঘরে তখন স্কয়ার ট্রেলায়নিও আছেন। বান্ডিলের ভেতরর তারা আবিস্কার করলো একটা গুপ্তধনের ম্যাপ! শুরু হলো দুঃসাহসিক অভিযান। যেতে হবে ট্রেজার আইল্যান্ড। জাহাজে নাবিক হিসেবে নেওয়া হলো লং জন সিলভারকে। সিলভার আসলে দুর্ধর্ষ জলদস্যু। দলবল নিয়ে ওদের জাহাজে নাবিক সেজে উঠেছে। উদ্দেশ্য, গুপ্তধন উদ্ধারের পর ওদের মেরেকেটে ওদেরই জাহাজে করে ওদেরই খুঁজে পেতে নিয়ে আসা গুপ্তধন নিয়ে মহানন্দে ফুর্তি করতে করতে ফিরে আসবে। কী ভয়ংকর!!! আর এর পরই শুরু হয় মূল থ্রিলার... একদিকে সিলভারের নেতৃত্বে একদল জলদস্যু। অন্যদিকে, ট্রেলায়নির নেতৃত্বে জিম, ডাক্তার আর কয়েকজন জাহাজের নাবিক। এর মধ্যে অবশ্য বিলি জেন নামক একজন এসে ওদের সংগে যোগ দেয়। ওদের কাছে অবশ্য ম্যাপটাও আছে। কিন্তু তার ভাষা যে বড়োই দুর্বোধ্য! শেষমেষ কি হলো ? কে জিতবে শেষ পর্যন্ত? জিমরা কি পারবে গুপ্তধন উদ্ধার করে ওই দুর্ধর্ষ জলদস্যুর দল থেকে নিজেদের বাঁচাতে? জলদস্যুরা যে কী ভয়ংকর ছিল! নিষ্ঠুরতা আর কি এক আশ্চর্য জীবনযাপন যে তাদের!!! তারা শুধু জাহাজ লুটই করত না, জাহাজের সবাইকে খুনও করত। সেই সব বর্ণনা আশ্চর্য মুন্সিয়ানায় দিয়েছেন লেখক। দুর্দান্ত গতময়তার থ্রিল,এডভেঞ্চার কখনো আপনার দৃষ্টি অন্যদিকে ফেরাতে দেবে না... তাই সময় নষ্ট না করে পড়ে ফেলুন কালজয়ী এই বইটি। যে বইয়ের জন্য আমরা পেয়েছি স্যার হেনরি রাইডার হ্যাগার্ডের মতো লেখককে!!!
Was this review helpful to you?
or
আমার জানা মতে সবচেয়ে জনপ্রিয় পাইরেট উপন্যাস এই ট্রেজার আইল্যান্ড। অন্তত আমার কাছে। প্রথম পড়েছিলাম ক্লাস সেভেনে যখন পড়তাম তখন। এখন ও মাঝে মধ্যেই পড়ি। ট্রেজার আইল্যান্ড এমন একটি বই যা ছেলে বুড়ো সবাইকে মাতিয়ে রাখতে পারে। উপন্যাসের অবিস্মরণীয় সব চরিত্র গুলোর হল জিম, ক্যাপ্টেন স্মলেট, ডঃ লিভসে, ইজরায়েল, বেনগান ও আরো অনেকে। গল্পটি শুরু হয় জিমের সরাই খানায় এক পাইরেটের রুম ভাড়া নেবার মাধ্যমে। তাকে কিছু লোক রাড়া করছে। কেন? জানা যায় সে মারা যাবার পর। তার কাছে একটি ম্যাপ আছে যা বিপুল ধন সম্পত্তির দিকে নির্দেশ করে। জিম ছুটে যায় সেখানে সঙ্গী হয় খোড়া নাবিক সিলভার এবং অন্যান্যরা। অপ্রত্যাশিত এবং জটিল সম্পর্ক সিলভার এবং জিম মধ্যে গড়ে উঠে এই যাত্রা পথে। সেই সম্পর্ক, সম্পদের লোভে কিছু পাইরেট সব মিলিয়ে রোমাঞ্চ কর একটি উপন্যাস। ক্লাস সেভেন থেকে আমি অনেক বই পড়েছি বয়স বেড়েছে এক দশকের মত, কিন্তু ট্রেজার আইল্যান্ড এখনো আমার কাছে কিশোর বয়সের উত্তেজনা নিয়েই ধরা দেয়।