User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
আলহামদুলিল্লাহ অর্ডারটি সুন্দর ভাবে হাতে পেয়েছি
Was this review helpful to you?
or
Best book ever. I have learned a lot to read this book
Was this review helpful to you?
or
Masterpiece ?
Was this review helpful to you?
or
এক কথায় অসাধারণ
Was this review helpful to you?
or
Good
Was this review helpful to you?
or
অনেকদিন কেনার অপেক্ষায় ছিলাম, পকেটে পয়সা আসতে কিনে নিলাম
Was this review helpful to you?
or
এক অর্থে অতি চমৎকার একটি বই। ব্যবসা বাণিজ্য, অর্থনীতি সম্পর্কে জানতে চাইলে এই বইটি সর্বাধিক উপযুক্ত হবে। ধন্যবাদ লেখককে, অর্থনীতির জটিল বিষয়গুলো সহজ ভাবে বোঝানোর জন্য।
Was this review helpful to you?
or
লেখক মানুষ হিসেবেও যেমন , তার লেখাও তেমন। খুবই ভাল
Was this review helpful to you?
or
Best book forever
Was this review helpful to you?
or
বইটা বেশ ভালো। অর্থনীতি ও ব্যাংকিং ব্যবস্থা অনেক অজানা বিষয় পাওয়া যাবে।
Was this review helpful to you?
or
Wow
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ বই ♥️
Was this review helpful to you?
or
চিন্তাশীল মানুষের অবশ্যই পড়া উচিত
Was this review helpful to you?
or
যারা ফিন্যান্স বা একাউন্টিং নিয়ে পড়তেছেন তাদের জন্য উপকারী একটা বই। বইয়ের আমরা শুধু তত্ত্বগত নীতি কথা পড়ি যে নিয়মে অর্থনীতি চলা উচিত। কিন্তু বাস্তবে কিভাবে চলে তা জানার জন্য এই বইটি।
Was this review helpful to you?
or
দারুণ একটা বই। সবারি এইটা পড়া উচিৎ ?
Was this review helpful to you?
or
This is a must read book for anyone interested in economics. Provides good explanation.
Was this review helpful to you?
or
অর্থনীতির গভীর রহস্যগুলো সহজে গল্পের মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে। সবার পড়া দরকার।
Was this review helpful to you?
or
The book is a must read to know how banks play with money.
Was this review helpful to you?
or
ভালো বই
Was this review helpful to you?
or
?
Was this review helpful to you?
or
বর্তমান ব্যাংকি সিস্টেমের পেছেনের কালো জগতটিকে দেখতেই এই বই
Was this review helpful to you?
or
A good economic book for all. Everyone should read, ❤️❤️
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ বই। প্রত্যের পড়া উচিত।
Was this review helpful to you?
or
Overall a good book for a better understanding about how interest and the banking system actually works, their root and their side-effects. The writer explained them in story style to avoid complexity and for our better understanding. RECOMMENDED BY ME
Was this review helpful to you?
or
প্রত্যেকের এই বই জীবনে একবার হলেও পড়া উচিৎ। লেখক অত্যন্ত বিচক্ষণ ব্যক্তি। সমাজে এরকম মানুষজন আরো দরকার আছে। এরা হাজারে একজন। ?
Was this review helpful to you?
or
আপনাকে আজ ইউটিউব আবিষ্কার করলাম, ব্যাংকব্যবস্থা ও টাকার গোপন রহস্য বইয়ের FDFভার্সনটা কিনে আজকেই অর্ধেক শেষ করে ফেলেছি। এক কথায় অসাধারণ ?
Was this review helpful to you?
or
বইটি পড়ার সময় হাত দিয়ে ধরে রাখতে হয়, নাহলে এমনিতেই বই বন্ধ হয়ে যায় ৷৷
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের লেখার ভাষাটা একটু কঠিন ছিল
Was this review helpful to you?
or
"মুদ্রাব্যবস্থা ও পুঁতিদুর্গন্ধময় অবিচারটা মানুষ বুঝতে পারলে, কাল সকাল নাগাদ গণ আন্দোলন শুরু হয়ে যেত।" --- এন্ড্রু জ্যাকসন, সপ্তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট "অর্থনীতি" আর "টাকা" আমাদের জীবনের এক অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিন্তু বর্তমান অর্থনীতি তথা আধুনিক ব্যাংকিং সিস্টেম অত্যন্ত জটিল। তাই এই বিষয়টাকে বুঝতে হলে একটা ক্ষুদ্র স্কেল থেকে শুরু করে ধীরে ধীরে বড় স্কেলে নিয়ে গেলে বোঝা সহজ হয়। তখন বর্তমান এই সিস্টেমের শুভংকরের ফাঁকিটা আমাদের সামনে স্পষ্ট হয়। গল্পাকারে "রুপসাগর" নামের দ্বীপ রাষ্ট্রের মাত্র ১০ টি পরিবারের সাধারণ জীবনে অর্থনীতির রূপরেখা কিভাবে জটিল থেকে জটিলতর হয় তার একটা চিত্র এখানে পাওয়া যাবে। সেই সাথে আধুনিক রাষ্ট্রে ব্যাংকিং সিস্টেমের প্রভাব কি ও কেমন সেটাও বোঝা যাবে। সুদ ও ব্যবসার পার্থক্য কোথায়? কিভাবে আমরা ঋনগ্রস্থ অর্থনীতিতে ডুবে আছি? কিভাবে একটা গোষ্ঠী সুদকে কাজে লাগিয়ে সমস্ত অর্থনীতির নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছে? আধুনিক ব্যাংক ব্যবস্থা কিভাবে দিনের পর দিন অর্থনীতিকে গ্রাস করছে ? এরকম আরো অনেক জটিল বিষয়কে লেখক সহজ করে তুলে ধরেছেন গল্পের ছলে৷ যারা অর্থনীতির এই জটিল বিষয়কে সহজভাবে বুঝতে চান তাদের জন্য অবশ্যই এই বই রিকমেন্ডেড।
Was this review helpful to you?
or
“টাকা তুমি মজুর আর শ্রমিকের ঘাম, তোমার জন্য সব করে সংগ্রাম, টাকা তুমি বউদের খুব প্রিয় স্বামী, তুমি আছো যে জনের সে তো মহা দামী! তোমার জন্য হয় খুন সন্ত্রাস, ডাস্টবিনে পড়ে থাকে অগণিত লাশ। হাসপাতালে শুয়ে করে আহাজারি, চিকিৎসাধীন রোগী যায় ধরা ছাড়ি। শুনেও শোনে না কেউ নিদারুণ ডাকা। টাকা টাকা টাকারে, আজব টাকা! টাকা ছাড়া দুনিয়াটা লাগে যে ফাঁকা...” (কলরব শিল্পীগোষ্ঠীর ‘আজব টাকা’ গানের একাংশ) টাকা কী? সুন্দর দেখতে চারকোণা রঙিন কাগজ। তাই না? নাহ্। টাকার সংজ্ঞাটা আসলে অতটাও সোজা না। এই কয়েকটা কাগজ বা নোট দিয়ে আমরা কতকিছুই না করে ফেলতে পারি। কিন্তু এই 'কাগজ'গুলো এতটা মূল্যবান হলো কী করে? আচ্ছা, সরকারের কাছে টাকা বানানোর মেশিন তো আছেই। তাহলে নতুন নতুন টাকা ছাপলেই তো আমাদের দেশ অনেক ধনী হয়ে যাবার কথা। তাই না? নাহ্, তাও না। এতে করে জনগণের কাছে রিজার্ভের বিপরীতে অনেক বেশি নোট চলে আসবে। ফলে দেখা যাবে দোকানে মাসিক বাজার করতে গিয়ে বস্তা ভরে টাকা নিয়ে যেতে হচ্ছে। এমনও হতে পারে আপনি টাকা দিয়ে টয়লেট পেপার কেনার বদলে নোট (টাকা) দিয়েই টয়লেট পেপারের কাজ সেরে ফেলছেন! কেমন হবে তখন? আচ্ছা, যখন নতুন টাকা বানানো হয় সেগুলো কি হেলিকপ্টারে করে আকাশ থেকে ছেড়ে দিয়ে জনগণের মাঝে বিতরণ করা হয়? না, তা করা হয় না। বরং ব্যাংক থেকে গ্রাহকদের যে ঋণ দেয়া হয় তার মাধ্যমে নতুন নোটগুলো বাজারে প্রবেশ করে। তার মানে আমরা ব্যাংকনোটধারী সবাই কি ঋণী? এই রঙচঙে কাগজগুলো এভাবেই আমাদের মনে নানাবিধ প্রশ্নের উদ্রেক করে। লেখক মোহাইমিন পাটোয়ারী তার "ব্যাংকব্যবস্থা ও টাকার গোপন রহস্য" বইটিতে টাকা সম্পর্কিত এই বিষয়গুলো নিয়ে বিশদ আলোচনা করেছেন। টাকার ব্যবহার আমরা সবাই করি, কিন্তু এসব জ্ঞান সবার জানা নেই অথবা জানার মতো এই বিষয়গুলো অনেক সময় অনেকটা ইচ্ছে করেই আমাদের থেকে গোপন রাখা হয়। এই বইটিতে লেখক টাকা বা মুদ্রা বিনিময়ের ইতিহাস, মুদ্রার প্রবাহ, মুদ্রাব্যবস্থার বিবর্তন, সুদ, ব্যাংকব্যবস্থা, ব্যাংকের ঋণ প্রদান ইত্যাদি বিষয়গুলো ছোট ছোট কয়েকটি ধারাবাহিক গল্পের মাধ্যমে উদাহরণসহ ফুটিয়ে তুলেছেন। এছাড়াও বইটিতে ফ্র্যাকশনাল রিজার্ভ নিয়ে লেখক ধারণা দিয়েছেন যেটা আমার কাছে সবচেয়ে বেশি কৌতূহলোদ্দীপক মনে হয়েছে। ফ্র্যাকশনাল রিজার্ভ ব্যাংকিং আর ফুল রিজার্ভ ব্যাংকিং এবং এর সাথে বর্তমান মুদ্রাব্যবস্থার সম্পর্ক যখন আমি জানতে পারলাম তখন আর অবাক না হয়ে পারিনি। তবে মুদ্রা ও ব্যাংকব্যবস্থা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার আগে লেখক সুদ এবং সমাজে সুদের নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। আমাদের মধ্যে অনেকেই মনে করেন যে সুদ আর ব্যবসা একইরকম। কিন্তু তাদের এ ধারণা মোটেও ঠিক নয়। কেননা ব্যবসার ক্ষেত্রে পণ্য ও অর্থের মালিকানার বিনিময় ঘটে। কিন্তু সুদের ক্ষেত্রে তা ঘটে না। মহাজন যে অর্থ ঋণগ্রহীতাকে প্রদান করে তার মালিকানা তো পরির্তন হয়ই না বরং মহাজন সেখান থেকে কিছু লাভ নিয়ে নেয়। ফলে সৃষ্টি হয় অর্থনৈতিক বৈষম্য। এই ব্যাপারটা কীভাবে ঘটে এবং আমাদের সমাজে এর নেতিবাচক প্রভাবগুলো কী কী সেসব নিয়েও লেখক বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। এখন কেউ কেউ মনে করতে পারেন লেখক হয়ত বইটির বিষয়বস্তু ইসলামী ভাবধারার আলোকে দাঁড় করিয়েছেন। কিন্তু ব্যাপারটা মোটেও এমন নয়। বইটি পড়লেই ভালোভাবে বুঝতে পারবেন। নিজের বিষয়ভিত্তিক অর্জিত জ্ঞান হতে লেখক বর্তমান বিশ্বের অর্থ ও ব্যাংকব্যবস্থাকে ফুটিয়ে তুলবার চেষ্টা করেছেন। আপনিও যদি ব্যাংকব্যবস্থা ও টাকার গোপন রহস্য নিয়ে জানতে চান তবে বইটি সংগ্রহ করে পড়ে দেখতে পারেন।
Was this review helpful to you?
or
insightful
Was this review helpful to you?
or
বইটি অবশ্যই সময় নিয়ে পড়তে বসবেন। কারণ শুরু করলে আপনি শেষ না করে থাকতে পারবেন না। গুরুত্বপূর্ণ কাজ ভুলে যেতে পারেন। অর্থনীতির এমন একটা বই কি করে এতো ইন্টারেস্টিং হয় সেটা ভেবে আমি অবাক হই। এই একটা বই পড়ে আমার মনে হয়েছে, অর্থনীতির এমন একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কেন টেক্সট বইয়ে শেখানো হয় না। বাংলাভাষায় এই বিষয়ে আর কোন বই আজ পর্যন্ত লেখা হয়নি-আমার দৃঢ় ধারণা। লেখকের অপর বই ‘ইসলামী ব্যাংক ব্যবস্থার শুভংকরের ফাঁকি’ ইতোমধ্যে ইতিহাস তৈরি করেছে। লেখক-কে অভিনন্দন।
Was this review helpful to you?
or
ভালো ব্যাখ্যা দিয়েছে।
Was this review helpful to you?
or
Good
Was this review helpful to you?
or
good book.
Was this review helpful to you?
or
valo
Was this review helpful to you?
or
A must read book for all who really want to understand why Allah declared war against interest.
Was this review helpful to you?
or
good
Was this review helpful to you?
or
আমরা অধিকাংশ মানুষ সাহিত্য পড়তে ভালোবাসি।কারণ সাহিত্যের রসবোধ আমাদের সবার মধ্যেই আছে। কিন্তু অর্থনীতি সম্পর্কে জানতে গেলে আমরা ভেবেই নেই যে জটিল জটিল সব ব্যাখ্যা পড়তে হবে কারণ অধিকাংশ ক্ষেত্রে অর্থনীতির বইগুলো এমনই হয়। কিন্তু লেখক মোহাইমিন পাটোয়ারী তার 'ব্যাংকব্যাবস্থা ও টাকার গোপন রহস্য বইটিতে জটিলভাবে কিছু ব্যাখ্যা করেননি।সহজ সরল ভাষায় গল্পের মাধ্যমে বিষয়গুলো ব্যাখ্যা করেছেন। আমাদের জীবনে বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজন খাদ্য, বস্ত্র,শিক্ষা,চিকিৎসা। এসব চাহিদার বাইরেও আমরা সভ্য হওয়ার সাথে সাথে লাক্সারির চাহিদাও বাড়ছে।আর এসব পূরণ করার জন্য প্রয়োজন টাকা।টাকার বিনিময়ে আমরা পণ্য ও সেবা পাই।এককথায় টাকা ছাড়া আমরা প্রাত্যহিক জীবনে চলতেই পারবোনা।আমাদের জীবনে এই এক টুকরো কাগজের টাকা কি করে এতো মূল্যবান হয়ে উঠলো? কিভাবে ব্যাংকব্যবস্থার উৎপত্তি এবং বিকাশ হয়েছে? একটা দেশের অর্থনীতিতে ব্যাংকগুলো কিভাবে প্রভাব বিস্তার করেছে? সুদী অর্থনীতি কিভাবে পুরো দেশের অর্থনীতিকে গ্রাস করছে?কি ব্যবস্থা গ্রহণ করলে আমরা আমাদের অর্থনীতিকে এই করাল গ্রাস থেকে বাঁচাতে পারবো? এগুলো এক রহস্যের মতোই লুকিয়ে আছে আমাদের চারপাশে।'ব্যাংকব্যবস্থা ও টাকার গোপন রহস্য ' বইটিতে লেখক সেই রহস্যই উদঘাটন করেছেন।এই বইয়ে লেখক এসব প্রশ্নের উত্তরগুলোই গল্পের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন। বইটা পড়লে মনে হবে গল্প পড়ছি,গল্পের মধ্যেই অর্থনীতির বিভিন্ন দিক সম্পর্কে জানা হয়ে যাচ্ছে।এক কথায় লেখক সহজ সরল ভাষায় গল্পের মাধ্যমে ব্যাংকব্যবস্থা ও টাকার গোপন রহস্য তুলে ধরেছেন।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারন!!! আমার মনের অনেক প্রশ্নের উত্তর পেয়েছি অনেক পরিষ্কার ভাবে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রত্যেকটি লাইন আমাকে উপকৃত করেছে অর্থ ব্যবস্থা, মুদ্রা ব্যবস্থা সম্পর্কে real image পাওয়ার ক্ষেত্রে। ধন্যবাদ লেখককে।
Was this review helpful to you?
or
ব্যাংক এবং বর্তমানে মুদ্রাব্যবস্থা কিভাবে কাজ করে তা জানার জন্য MUST READ একটা বই। সহজ এবং প্রাঞ্জল ভাষায় লেখা তাই শিক্ষাগত background যাই থাকুক না কেন বুঝতে কোন সমস্যা হবে না। সুদি অর্থব্যবস্থা যে কত ক্ষতিকর এবং আমাদের জীবনে সুদ আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে গিয়েছে সেটাই লেখক খুব সহজে বর্ণনা করেছেন। আবারও বলব সবার জন্য MUST READ!!
Was this review helpful to you?
or
great
Was this review helpful to you?
or
মাঝের অংশে আগ্রহ কমে গেল কিছুটা, রেখে দিয়েছি। পরে পড়ব।
Was this review helpful to you?
or
Excellent
Was this review helpful to you?
or
যা শিখছি বইটা থেকে তার দাম কোটি টাকা!....
Was this review helpful to you?
or
সবার পড়া উচিত
Was this review helpful to you?
or
Good book for Economy.
Was this review helpful to you?
or
Quick delivery
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটি বই।
Was this review helpful to you?
or
Best book to know about Banking system and currency
Was this review helpful to you?
or
'ব্যাংক ব্যবস্থা ও টাকার গোপন রহস্য' আমি যদি এক কথায় বলতে যাই তাহলে Total Banking system is equal to big ZERO!..... And currency শুভঙ্করের ফাঁকি। পুরো ব্যাংকিং সিস্টেমটা এখন এমনভাবে তৈরী করা হয়েছে ব্যাপারটা যেন মাছের তেলে মাছ ভেজে খাওয়ার সামিল। আরো সহজ কথায় বলতে গেলে আমাদের দেশে গরুর হাটের দালালের মতো, তোমার মাল তোমার টাকা মাঝখান থেকে আমি দুই চার টাকা লাভ করে নিলাম। যাইহোক বইটা অনেক সুন্দর করে খুব সহজ ভাষায় গল্পে গল্পে লিখে বোঝানো হয়েছে, জাস্ট ইয়াম্মি.....? বইটি পড়ার পর নিজের মধ্যে কনফিডেন্স গ্রো করেছে, আগের থেকে ভালো লাগে এখন ভাবতে!.... ভাবখানা এমন যে, 'কে আসবা আসো ২ মিনিট ডিবেট করে তোমায় নাড়া দেই।' আমাদের চোখে ব্যাংক একপ্রকার বুজুর্গ টাইপ যে অনেক বড় আমানত হেফাজতকারী। ব্যাংকিং সিস্টেম পুরোটাই সুদের ওপর ভিত্তি করে পরিচালিত হয়। ভাই যত নীতি কথাই শুনান না কেন, অমুক ব্যাংকে সুদ নাই, তমুক ব্যাংক হালাল। তাহলে আপনি এখনও বোকার স্বর্গ বসবাস করছেন। খাঁটি বাংলায় বলতে গেলে ব্যাংক হলো সূদী মহাজন পাশের বাড়ির শামসু কাকা, যার ৭০ বছর বয়স এখনও গায়ে শক্তি আছে বড় বড় কথা বলে আর গায়েবি নামায পরে এবং জীবনে রোজা রাখে না। আর মাঝখান দিয়ে সূদে টাকা লাগায়। শামসু চাচা (ব্যাংক) যত ভালো কথাই বলুক দিন শেষে সে এক ভন্ড পীরের মুরিদ। যার মুখে নীতি কথার অভাব নেই, কিন্তু নিজের নীতির ঠিক নাই। কীভাবে ব্যাংক মানুষকে, একটি দেশকে ঋণের অক্টোপাসে জর্জরিত করে সেটি খুব ভালোমতো বইটাতে ব্যাখা করা আছে। আপনি যতই চেষ্টা করুন না কেন এই ঋণ থেকে কখনো বেড়িয়ে আসতে পারবেন না, সমস্ত সিস্টেমটাই এভাবে ক্রিয়েট করা। কিছু লোক (ব্যাংক) নিজের সুবিধার জন্য নিজের অপকর্মকে বৈধতা দিতে রাষ্ট্রের আইন তৈরী করে নেয়। এজন্যই এত-শত ভেলকিবাজির পরেও ব্যাংক স্রেফ ফেরেস্তা!.... মূলত এই ব্যাংকিং সিস্টেমটাই পুরো পৃথিবী নিয়ন্ত্রণ করে। ব্যাংক যেভাবে কাজ করে, আপনি আমি যেই টাকা জমা রাখি সেই টাকা সূদে লাগায় জনে জনে। আয় করে ফুলে কলা গাছ হতে থাকে ব্যাংক। আর মাঝখান থেকে আপনি আমি হই দেউলিয়া!.... খুব চিকন বুদ্ধির সাহায্যে পুরো ব্যাংকিং সিস্টেম চলে।
Was this review helpful to you?
or
বাংলা ভাষায় এই বিষয়ের উপর এরকম সহজপাঠ্য ও মৌলিক বই আর একটিও নেই। সবাই পারলে এই বইটি একবার হলেও পড়বেন, বিফলে মূল্য ফেরত।
Was this review helpful to you?
or
মোহাইমিন পাটোয়ারী ভাইকে ধন্যবাদ দূঃখের বিষয় মানুষ এই ব্যাংব্যবস্থা নামক এই ফাঁদ সম্পর্কে জানেনা। সারা বিশ্বের বিভিন্ন সংকটের জন্য ইহুদী ও তাদের সুদ/টাকার অর্থনীতি দ্বায়ী। যতদিন পৃথিবীর অর্থব্যবস্থায় টাকা/ডলার নামক মৃদ্রা ও সূদ চালু থাকবে।ততদিন মানুষের নীতি নৈতিকতা মানবতা হারিয়ে যাবে সংকটের শেষ হবেনা। কারণ, ডলার/সূদ এর মাধ্যমে বিশ্ব থেকে সম্পদ চুষে নেওয়া হচ্ছে। আর যেখানে থেকে সম্পদ চুষে নেওয়া হচ্ছে সেখানে নীতি নৈতিকতা মানবতা হারিয়ে যাচ্ছে ?
Was this review helpful to you?
or
একদম অসাধারণ একটি বই, এ বিশ্ব ব্যবস্থার অর্থনীতির শুভঙ্করের ফাঁকি গুলো অনায়াসেই ধরতে পারবেন যদি বইটি আপনি পড়েন। বইটি পড়ার পরামর্শ রইল
Was this review helpful to you?
or
মোহাইমিন পাটোয়ারীর ‘ব্যাংক ব্যবস্থা ও টাকার গোপন রহস্য’ বইটি অর্থনীতির জটিল বিষয়গুলোকে সহজভাবে তুলে ধরেছে। বইটি পড়তে গিয়ে আপনি জানবেন, কীভাবে ব্যাংক ব্যবস্থা আমাদের জীবনের প্রতিটি অংশে জড়িয়ে আছে এবং কীভাবে ধনী দেশগুলো তাদের সম্পদ বৃদ্ধি করেছে। লেখক গল্পের ছলে আমাদের প্রতিদিনের জীবন এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক বাস্তবতাকে ব্যাখ্যা করেছেন। অর্থনীতি সম্পর্কে আগে কিছু না জানলেও, এই বইটি আপনাকে গভীরতর বোঝার সুযোগ করে দেবে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বই, যা পড়া উচিত সবার।
Was this review helpful to you?
or
বইটি দ্বিতীয়বার পড়তে বসে বইটির জন্য মন্তব্য দিচ্ছি। একটি অসাধারণ বই ছিল। আমার জন্য এটা আফসোস যে আমি অনেক কষ্ট করেও লেখক কে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করার জন্য তার নাম্বার বা ইমেইল পেলাম না। আপনাদের কারো কাছে যদি লেখকের নাম্বার বা ইমেইল থাকে দয়া করে আমাকে একটু দিবেন।।
Was this review helpful to you?
or
দৈনন্দিন জীবনে টাকা ব্যাবহার করলেও টাকার পেছনের গল্পগুলো আমাদের অজানা। এছাড়াও বর্তমানে সুদ ভিত্তিক ব্যাংকব্যবস্থা আমাদের তিলে তিলে ধ্বংস করলেও সে বিষয়ে আমরা বেখবর। অর্থনীতির নানান মারপ্যাচ ও ফাঁকফোকড় নিয়ে জানতে এই বইটি অনবদ্য।
Was this review helpful to you?
or
সাধারণ বইয়ের বাহিরে...মাস্টারপিসের কাতারে??
Was this review helpful to you?
or
ব্যবস্থা সম্পর্কে জানতে এই বইটি খুবই অসাধারণ। যারা যারা এই বইটি রকমারিতে দেখতে আসছেন, কিন্তু এখনো কিনেননি, তাদেরকে এই বইটি সংগ্রহ করার অনুরোধ রইলো। আমি বইটি পড়েছি, এবং ব্যাংক ব্যবস্থা ও ইসলামী ব্যাংক ব্যবস্থা সম্পর্কে আমার অনেক ভুল ধারণা ভেঙেছে। বইটার শুরুর দিকে একটা কথা লেখক উল্লেখ করেছেন, যে যদি মানুষ ব্যাংক ব্যবস্থা সম্পর্কে জানতো তাহলে আগামীকাল সকালেই মানুষ এই ব্যাংক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে বিদ্রোহে নেমে পড়তো। বইটি সম্পূর্ণ পড়ার পরে এই কথাটা সম্পূর্ণ বুঝে আসছে। এই বইটির সবাই কে নিজে পড়ার এবং অন্যকে পড়ানোর অনুরোধ রইলো।
Was this review helpful to you?
or
Something Solid must say
Was this review helpful to you?
or
ধন্যবাদ পাটোয়ারী ভাইকে। বইটি সকালের পড়া উচিত
Was this review helpful to you?
or
বইটি সকলেরই পড়া উচিত
Was this review helpful to you?
or
After reading this book I gained knowledge about the world economy and also learned about why Jews or zionist people control the world and why Riba is strictly prohibited in Islam. It's a self-question-answer book. Thanks to the Author.
Was this review helpful to you?
or
এই বই না পড়লে জানতাম না আসলে ব্যাংকব্যবস্থা কিভাবে আমাদেরকে বোকা বানাচ্ছে।
Was this review helpful to you?
or
সুদ যে কতটা ভয়ংকর, আর এটার প্রভাব কেন আমরা ওই রকমভাবে দেখতে পারি না কিন্তু খুব শীঘ্রই দেখতে পাবো, আর হারামজাদা ব্যাংকের পিছনে যেই মূল একটা দল মুদ্রার সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করতেছে, এগুলো জানে তো পুরো দৃষ্টিভংগী বদলে গেল।
Was this review helpful to you?
or
মাশাল্লাহ
Was this review helpful to you?
or
Good read. I became interested in Finance and economic now. Thanks to the writer
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটা বই। প্রত্যেকটা মানুষের বইটি পড়া উচিৎ। দৃষ্টিভঙ্গি বদলে যাবে ইনশাআল্লাহ।
Was this review helpful to you?
or
সত্যিই অসাধারণ একটা বই। ব্যাংকিং সম্পর্কে যার নূন্যতম ধারণা নেই তার জন্যও বইটি বুঝতে কোন সমস্যা হবে না। টাকা এবং ব্যাংকিং সম্পর্কে অনেক নতুন কিছু জানলাম যা আগে জানতাম না❤️❤️
Was this review helpful to you?
or
আঁকা বাঁকা গ্রাফ-ইকুয়েশন বাদ দিয়ে গল্পের মাধ্যমে যেভাবে বোঝানো হয়েছে তা এক কথায় অসাধারণ।
Was this review helpful to you?
or
ভালো
Was this review helpful to you?
or
An excellent book. Other way a must read book. This book gives one a easy grasp so that one can understand why "Riba" is prohibited in Islam strictly. An eye illuminating when it focus on the whole economic system including banks as frauds.
Was this review helpful to you?
or
একটি বই একটি বাস্তবতা, জীবনে মাথা উঁচু করে বাঁচতে হলে পড়ে হবে, আপনি যদি জীবনের সবচেয়ে মুল্যবান সম্পদ অর্থ ( টাকা) সম্পর্কে জানা না থাকে তাহলে এই উন্নত বিশ্বের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারবেন না, আর এই অর্থ ( টাকা) সম্পর্কে জানতে এই বই টি আপনাকে সাহায্য করবে , বই টি এমন ভাবে লেখা হয়েছে যা সাধারণ পাঠককে মজা দিতে দিতে শিখাবে, এই বই টিতে কঠিন সকল তত্ত্ব কে সহজ সাবলীল ভাষায় লেখা হয়েছে, আপনি যদি এই বিষয়ের শিক্ষার্থী নাও হয়ে থাকেন তাহলেও কোন সমস্যা নাই, আপনি বই টিতে সহজে কানেক্টেড হতে পারবেন,
Was this review helpful to you?
or
এক কথায় অসাধারণ একটা বই। লাইফের ওয়ান অফ দ্যা বেস্ট বুক। এতো এতো প্রশ্নের সমাধান সমাধান একসাথে সহজ ভাবে পেয়েছি যা সারা জীবন ধরে খুঁজছিলাম। কেনার আগে এতোটা চিন্তাও করিনি। জ্ঞান পিপাসুদের জন্য অসাধারণ একটা কালেকশন।
Was this review helpful to you?
or
স্বল্প সময়ে গল্পের মাধ্যমে অল্প অল্প করে বর্তমান অর্থনৈতিক হালচাল বোঝার জন্য অনন্য বই।
Was this review helpful to you?
or
“ব্যাংক-ব্যবস্থা ও টাকার গোপন রহস্য” বইটি পড়ে আমার খুব ভাল লেগেছে। আসলে সত্যি কথা বলতে গেলে যখনই কেউ সুদ ব্যবস্থার বিরুদ্ধে কথা বলে, এর কুফল সম্পর্কে সাধারণ মানুষদের অবহিত করতে চাই তখন তাকে ইসলামিক তকমা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়ে থাকে। এমন ভাবে উপস্থাপন করা হয়ে থাকে যে “সুদ” শুধুমাত্র ইসলামিক কনটেক্সট থেকেই আলোচনার বিষয় বাস্তবিক জীবনে এর কোন প্রভাব নেই বললেই চলে। তবে এই বইটিতে উপস্থাপনা ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন আঙ্গিকে, যার ফলে পূর্বেকার মত তকমা দেওয়া কারোও পক্ষে সম্ভব না বলে অন্তত আমার এই ক্ষুদ্র জ্ঞান দিয়ে তা উপলব্ধি করি। বইটিতে ব্যাংক-ব্যবস্থা সম্পর্কে সম্যক ধারণা দিচ্ছে যা কিনা সাধারণ পাঠকদের পক্ষে খুব সহজেই উপলব্ধি করা সম্ভব। বইটির ভাষা ছিল অত্যন্ত সাবলীল এবং যেকোনো বয়সের পাঠকের জন্য সহজেই বোধগম্য। আমার ব্যক্তিগত অভিমত হচ্ছে আধুনিক মুদ্রা-ব্যবস্থা যে একধরনের শুভঙ্করের ফাঁকি তা আসলে আমরা আমজনতা কখনো ভেবে দেখে নি। বইটির লেখক অত্যন্ত সহজ ভাষায় তা পাঠকদের কাছে তুলে ধরেছে। আরেকটি মৌলিক বিষয় এখানে তুলে ধরা হয়েছে “ফ্র্যাকশনাল রিজার্ভ ব্যাংকিং” যার মানে হচ্ছে টাকা ছাপানোর ক্ষমতা। এই ধারনাটি নতুন কিছু নয় তবুও এই নিয়ে আলোচনা সচরাচর কোথাও পাওয়া যায় না এবং কেউই তা করতেও চায় না। এখানেই লেখক তার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বলে আমি মনে করি। বইটির সবশেষের গল্প দুইটি ছিল আমার কাছে চিন্তার খোঁড়াক। আমরা আদ্যই কি আধুনিক ব্যাংক-ব্যবস্থা নামক এই ত্রুটিপূর্ণ সিস্টেম থেকে বেড়িয়ে আসতে পারব! সবশেষে বইটির লেখকের জন্য রইল অসংখ্য শুভকামনা। আমার লেখার ভুলগুলো ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। ধন্যবাদান্তে নাঈম
Was this review helpful to you?
or
recommended
Was this review helpful to you?
or
ভিত্তিমূলক
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ! অসাধারণ একটা চমৎকার বই।
Was this review helpful to you?
or
It's one of the best books I have ever read.
Was this review helpful to you?
or
সবস্থেময়ই আমরা শুনে থাকি যে সুদ হারাম। সুদ খারাপ৷ সুদ দেয়া যাবে না, নেয়া যাবে না। সুদ সিস্টেমে নাকি সমাজের অর্থসম্পদ একটা নির্দিষ্ট শ্রেণির মানুষের কাছে কুক্ষিগত হয়ে যায়। কিন্তু সুদ তো অনেকটা ব্যবসার মতই। আপনি ব্যবসায় ইনভেস্ট করলে রিটার্ন হিসেবে লাভ আসতো। সুদেও তো আপনি টাকা ইনভেস্ট করলে ঘুরেফিরে লাভই আসছে। তাহলে তফাৎটা কোথায়? ইনফ্যাক্ট লাভ-ক্ষতি সংক্রান্ত অনেক বৈশিষ্ট্যে তো ব্যবসা আর সুদ সিস্টেমকে আলাদাই করা যায় না। ঝুঁকির ক্ষেত্রেও সুদ আর ব্যবসার ফারাক তেমন একটা নাই। সব সিস্টেমেই রিস্ক আছে সম্ভাবনা আছে। সুদ শুধু সমাজে বৈষম্য তৈরি করে, ব্যবসা কি করে না? ব্যবসা করতে গিয়ে কেউ কেউ বড়লোক হয়, কেউ কি সর্বস্বান্ত হয় না! ব্যবসা দিয়ে কি সমাজে বৈষম্য দেখা দিতে পারে না? তাহলে দোষ একা শুধু সুদের কেন? কী এমন মৌলিক তফাৎ আছে সুদে আর ব্যবসায়? সমাজের সামষ্টিক লাভে সুদের আর ব্যবসার ভূমিকা কি? এসব মৌলিক প্রশ্নের জবাবে আমাদের দৈনন্দিন দৃষ্টিভঙ্গি হলো অনেকটা 'না জানলেও চলবে' এরকম। কিন্তু শুধু সুদ হারাম-সুদ হারাম বলতে থাকলেই চলবে? সুদ দিয়ে পুরো বিশ্ব চলছে এখন, সরকারব্যবস্থা চলছে, সব ব্যাংকের কার্যক্রম চলছে, প্রতিনিয়ত লেনদেন চলছে। এক বাক্যে হারাম বলে খারাপ বলেই কি এটা বর্জন করা সম্ভব। প্রচলিত অর্থব্যবস্থা, সুদ সিস্টেম সম্পর্কে আমরা আসলে কতটুকু জানি! সুদ যে হারাম কেন হারাম? সুদ সিস্টেমে কয়েকজনের কাছে টাকাপয়সা কুক্ষিগত হয়ে যায় কিন্তু ব্যবসাতে কি এরকম সম্ভব না? না হলে কেন হয় না? এসব জানতে হলে কি অর্থনীতির মোটামোটা বই নিয়ে বসতে হবে এখন? থিওরির উপর থিওরি পড়তে হবে? এসব নিয়ে আমি মাথাই ঘামাতাম না যদি না এই বইটি নিয়ে বসতাম। 'ব্যাংক ব্যবস্থা ও টাকার গোপন রহস্য'। সুদ হারাম এতটুক জেনেই বসে থাকতাম। বিকল্প চিন্তার সুযোগ না খুঁজে অপারগতার সান্তনা নিয়ে বসে থাকতাম। কিন্তু সুদের ক্ষতির পরিমাণ কোন লেভেলে, এই বইটি পড়ে এখন অনেক কিছুই পরিষ্কার। বইটি নন ফিকশন হলেও ফিকশন স্টাইলে মানে গল্পের ছলে আপনি বুঝে যাবেন মুদ্রা ব্যবস্থা, সুদ কি, সুদ আর ব্যবসার মৌলিক পার্থক্য, ব্যাংকিং সিস্টেমের ফাঁকিঝুঁকি। মনে হবে না কোনো অর্থনীতির বই পড়ছেন। মনে হবে গল্পে গল্পে শেয়াল পণ্ডিত কয়টা কুমিরের বাচ্চা গলাধকরণ করছে এটার একটা কাছাকাছি এনালজি পড়ছেন। এখানে শেয়াল হলো বর্তমানে চলমান অর্থনৈতিক ব্যবস্থা আর এই সুদ সিস্টেমে হেলেদুলে চলতে থাকা নিজের কষ্টার্জিত টাকার প্রতিনিয়ত মালিকানা হারানো কুমির বা কুমিরের বাচ্চা হলাম আমরা সাধারণ মানুষেরা। যদিও আমি এই উপমাটা দিলাম শুধু একটা প্রেক্ষাপট থেকে। কিন্তু এ বইয়ে আরো ধারণা পাবেন বিনিময় প্রথা, মুদ্রাব্যবস্থা, সুদ এর কাঠামো, ব্যবসার কাঠামো, আধুনিক ব্যাংক ব্যবস্থা, মূল্যস্ফীতি, মূল্যহ্রাস, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কারনামা, আপনার টাকার মালিক কি আপনি কি না, অর্থনৈতিক মন্দা, মুক্তবাজার অর্থনীতি সম্পর্কে। প্রকৌশলের ছাত্র হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতির একটা কোর্স আমাদের পড়ানো হয়। কোর্সের শুরুতে একটা কথা বলা হয়েছিল যে, অর্থনীতির জ্ঞ্যান আমাদের জীবনের প্রতিটি মুহুর্তে প্রয়োজন হয়। স্বাভাবিক কেনাকাটা থেকে শুরু করে মাসিক বাজেট, খাওয়া-দাওয়া, পড়াশুনা, চাকরি সবকিছুকে ড্রাইভ করে এই অর্থনীতি। সুতরাং অর্থনীতির পরিষ্কার বুঝ অর্জন করাটা আসলে জরুরী। তার চেয়েও জরুরী হলো হালাল-হারাম অর্থনৈতিক ব্যবস্থার পার্থক্য জানা, পার্থক্যের কারণগুলো জানা। হালাল হারাম নিয়ে কেন মাথা ঘামানো দরকার, এর রেফারেন্স তো কুরআন হাদিসে আছেই। সবচেয়ে বড় কথা আল্লাহ আমাদের জন্য সুদ নিষেধ করেছেন সেটাই মুমিনের জন্য যথেষ্ট। সুদ সম্পর্কে সচেতন হয়ে আপনি কালকেই বিপ্লব করে ফেলবেন, কম্পলিমেন্টারি একটা ব্যবস্থা নিয়ে দাঁড়িয়ে যাবেন এটা হয়ত অসম্ভব। কিন্তু 'ব্যাংক ব্যবস্থা ও টাকার গোপন রহস্য' এ বইগুলো পাঠ করা, সুদ হারাম হওয়ার কারণগুলো জানা, সুদের ক্ষতি ও ক্ষতির ব্যপ্তি সম্পর্কে জানা হতে পারে আমাদের কর্মপ্রচেষ্টার অংশ। জানলে আমলের সম্ভাবনা তৈরি হয়, না জানলে ভুল আমল করা হয়, বা করাই হয় না। 'ব্যাংক ব্যবস্থা ও টাকার গোপন রহস্য' বইটি কোনো ধর্মীয় বই না। লেখক কোনো হুজুর মাওলানা নন। তিনি একজন অর্থনৈতিক বিশ্লেষক। সহজ বোধগম্য আর গল্পে গল্পে উপস্থাপিত এ বইটি একটা নিরেট অর্থনীতি সংক্রান্ত বই। বাংলা ভাষায় অর্থনীতির পঠনে এ ধরনের বই নিসন্দেহে এক অনন্য সংযোজন।
Was this review helpful to you?
or
আধুনিক ব্যাংকব্যাবস্থার শোষণ সম্পর্কে জানার ক্ষেত্রে এই বইটি সহায়ক হবে বলে মনে করছি
Was this review helpful to you?
or
সব পয়সা উসুল।এই বইটি পড়ে অনেক কিছু জানা হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ।
Was this review helpful to you?
or
Must read book ???
Was this review helpful to you?
or
“এটা স্বস্তির বিষয় যে, মানুষ ব্যাংকিং এবং মুদ্রাব্যবস্থা বোঝে না। কারণ যদি তারা বুঝত, তাহলে রাত পোহাবার আগেই বিপ্লব শুরু হয়ে যেত।” - হেনরি ফোর্ড অর্থনীতি আমাদের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ, তবুও এর জটিলতা এবং অদৃশ্য কাঠামো সম্পর্কে আমরা খুব কমই জানি। অর্থনীতি, ব্যাংকিং ও মুদ্রার প্রবাহ সম্পর্কে না জানলে অনেক ক্ষেত্রেই মানুষ ভুল সিদ্ধান্ত নেয়, যা তাদের আর্থিক ক্ষতির দিকে ঠেলে দেয়। ঠিক এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করেই মোহাইমিন পাটোয়ারীর লেখা "ব্যাংক ব্যবস্থা ও টাকার গোপন রহস্য" বইটি রচিত হয়েছে। লেখক মোহাইমিন পাটোয়ারী অত্যন্ত সরল ভাষায়, গল্পের ছলে পাঠকদের সামনে মুদ্রাব্যবস্থার বিবর্তন, ব্যাংকিং সিস্টেম এবং সুদভিত্তিক অর্থনীতির বাস্তবতা তুলে ধরেছেন। সাধারণ পাঠক যারা অর্থনীতি নিয়ে পড়াশোনা করেননি, তাদের জন্যও বইটি সহজবোধ্য হবে। এটি কোনো একাডেমিক অর্থনীতির বই নয়, বরং সহজ ভাষায় লেখা একটি বই, যা অর্থনৈতিক জটিলতাগুলো সাধারণ পাঠকের কাছে স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে চেয়েছে। লেখক তার ব্যাখ্যা সহজ করতে গল্পের ছলে রূপসাগর, রূপনগর, সুবর্ণ-নগর, জীবনসাগর ইত্যাদি কাল্পনিক দ্বীপের উদাহরণ ব্যবহার করেছেন, যা পাঠকদের বিষয়বস্তু বুঝতে সহায়তা করে। ? এই বই মূলত দুটি বিষয়কে কেন্দ্র করে লেখা হয়েছে— ১. ব্যাংক ও মুদ্রাব্যবস্থার বিবর্তন ২. সুদভিত্তিক অর্থব্যবস্থার কুফল লেখক তার ব্যাখ্যায় দেখিয়েছেন কীভাবে আদিম সমাজের বিনিময় প্রথা থেকে শুরু করে ধাতব মুদ্রা, কাগুজে টাকা, এবং বর্তমানের ফিয়াট মানি (Fiat Money) ব্যবস্থার দিকে বিশ্ব অর্থনীতি ধাপে ধাপে অগ্রসর হয়েছে। বিশেষ করে, তিনি দেখিয়েছেন কীভাবে স্বর্ণের সাথে ডলারের সম্পর্ক মার্কিন প্রেসিডেন্টের একটি সিদ্ধান্তের মাধ্যমে মুহূর্তেই ছিন্ন হয়ে যায়, এবং এর ফলে বর্তমান অর্থব্যবস্থার ভিত্তি সম্পূর্ণরূপে পরিবর্তিত হয়ে যায়। লেখক বইয়ের বিভিন্ন অংশে সুদভিত্তিক ব্যাংকিং ব্যবস্থার ক্ষতিকর দিক তুলে ধরেছেন। তার ব্যাখ্যা অনুসারে, যখন অর্থব্যবস্থা সুদবিহীন ছিল, তখন ব্যবসায়িক লেনদেনের মাধ্যমে জনগণের মধ্যেই অর্থের প্রবাহ থাকত। কিন্তু সুদভিত্তিক ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু হওয়ার পর কয়েক বছরের মধ্যেই দেশের বেশিরভাগ সম্পদ ব্যাংকের হাতে কুক্ষিগত হয়ে যায়, আর সাধারণ মানুষ ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণের অর্থ ব্যবহার করে বেঁচে থাকতে বাধ্য হয়। ? গল্পের মাধ্যমে অর্থনীতির জটিলতা বোঝানো: বইটির অন্যতম আকর্ষণীয় দিক হলো লেখকের গল্প বলার ধরন। অর্থনীতি সাধারণত কাঠখোট্টা ও জটিল বিষয় বলে মনে হয়, তবে লেখক এটিকে সহজবোধ্য করতে রূপসাগর নামে একটি কাল্পনিক দ্বীপের উদাহরণ ব্যবহার করেছেন। এই দ্বীপে মাত্র ১০টি পরিবার বাস করত, যেখানে শুরুতে পণ্য বিনিময়ের মাধ্যমে লেনদেন হতো। এরপর বিভিন্ন প্রয়োজনের ভিত্তিতে সেখানে স্বর্ণমুদ্রা, কাগুজে টাকা এবং ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু হয়। ধাপে ধাপে এই অর্থনৈতিক কাঠামো কীভাবে পরিবর্তিত হয় এবং কীভাবে সুদের প্রচলন শুরু হয়, তা গল্পের মতো করে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। লেখক শুধু রূপসাগর দ্বীপেই থেমে থাকেননি, বরং রূপনগর, জীবনসাগর, সুবর্ণ-নগর নামে আরও কিছু দ্বীপের উদাহরণ এনেছেন। এই দ্বীপগুলোতে অর্থনীতির বিবর্তন দেখানোর পাশাপাশি, তিনি তুলনা করেছেন সুদভিত্তিক এবং সুদবিহীন অর্থনীতির পার্থক্য। বইটি পড়তে গিয়ে পাঠকের মনে হবে, তিনি যেন এক গল্প পড়ছেন, অথচ প্রতিটি গল্পের ভেতরেই গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক শিক্ষা লুকিয়ে আছে। ? সুদভিত্তিক অর্থনীতির বাস্তবতা: বইয়ের অন্যতম মূল বিষয় হলো সুদভিত্তিক অর্থব্যবস্থার কুফল। লেখক দেখিয়েছেন, কীভাবে শুরুতে ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড যখন সুদবিহীন থাকে, তখন জনগণের হাতে অর্থ থাকে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘটে। কিন্তু যখনই সুদভিত্তিক ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু হয়, তখন অর্থ ধীরে ধীরে সাধারণ জনগণের হাত থেকে বেরিয়ে ব্যাংকের হাতে চলে যায়। ফলে ধনী আরও ধনী হয় এবং গরিব আরও গরিব হয়ে পড়ে। এই প্রসঙ্গে লেখক বিভিন্ন বিখ্যাত দার্শনিক, অর্থনীতিবিদ এবং নীতিনির্ধারকদের উক্তি ব্যবহার করেছেন। যেমন, এরিস্টটল বলেছেন, "মুদ্রার উদ্দেশ্য বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে কাজ করা, সুদে বেড়ে যাওয়া নয়। সুদ মানে টাকা নিজেই আরেকটা টাকার জন্ম দিচ্ছে এবং নতুন জন্ম নেয়া টাকাটা অবিকল জন্মদাতা টাকার মতো। পৃথিবীতে সম্পদ বৃদ্ধির যতগুলো উপায় আছে, তাদের মধ্যে এটিই সবচেয়ে অ-প্রাকৃতিক।" এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় প্রেসিডেন্ট থমাস জেফারসনের উক্তি বইটিকে আরও শক্তিশালী করে তুলেছে, "আমি বিশ্বাস করি আমাদের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে বিদেশী সেনাবাহিনীর থেকেও বেশি বিপদজনক হচ্ছে ব্যাংক ব্যবস্থা।" ?এই বইয়ে গল্পের মধ্য দিয়ে লেখক ধাপে ধাপে দেখিয়েছেন— ?কীভাবে বিনিময় প্রথা থেকে মুদ্রার প্রয়োজনীয়তা তৈরি হলো। ?কীভাবে স্বর্ণমুদ্রা ব্যবহারের মাধ্যমে অর্থনীতির উন্নয়ন ঘটল। ?কীভাবে কাগুজে টাকা এবং পরে ফিয়াট মানি চালু হলো। ?কীভাবে সুদভিত্তিক ব্যাংকিং ব্যবস্থা জনগণের আর্থিক স্বাধীনতাকে হ্রাস করেছে। প্রতিটি ধাপে লেখক বাস্তব অর্থনীতির উদাহরণ টেনে এনেছেন এবং দেখিয়েছেন সুদভিত্তিক অর্থব্যবস্থা কীভাবে সাধারণ জনগণকে ঋণের জালে ফেলে দেয়। ? বিশ্বের খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ ও নেতাদের উক্তি: বইটিতে অনেক বিশ্বখ্যাত ব্যক্তিদের উক্তি ব্যবহৃত হয়েছে, যা পাঠককে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করবে। উদাহরণস্বরূপ, গ্রিক দার্শনিক এরিস্টটল সুদকে "অপ্রাকৃতিক" বলেছেন, কারণ টাকা নিজে নতুন টাকা জন্ম দিতে পারে না। যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় প্রেসিডেন্ট থমাস জেফারসন বলেছেন, ব্যাংক ব্যবস্থা একটি দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য সেনাবাহিনীর চেয়েও বিপজ্জনক। আর ব্যাংকিং সাম্রাজ্যের অন্যতম ব্যক্তি নাথান মায়ের রথসচাইল্ড স্পষ্টভাবেই বলেছেন, “যে ব্রিটেনের মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ করে, সেই ব্রিটেনের আসল ক্ষমতার মালিক।” এই উক্তিগুলো বইয়ের বক্তব্যকে আরও জোরালো করেছে এবং প্রমাণ করেছে যে, অর্থব্যবস্থার বর্তমান অবস্থা শুধু ব্যক্তিগত দৃষ্টিকোণ থেকে নয়, বরং ঐতিহাসিকভাবেও চিন্তা করার বিষয়। ? সহজ ভাষায় জটিল অর্থনীতি ব্যাখ্যা: অর্থনীতি একটি জটিল বিষয়, এবং এটি বোঝানোর জন্য সাধারণত কঠিন পরিভাষা ব্যবহৃত হয়। তবে লেখক অত্যন্ত সহজ ভাষায় এই বিষয়গুলো ব্যাখ্যা করেছেন, যাতে সাধারণ পাঠকও বইটি পড়ে বুঝতে পারেন। এমনকি মূল্যস্ফীতি, ভার্চুয়াল কারেন্সি, জম্বি ফার্ম, বেইল আউট, দেউলিয়াত্ব, তারল্য সংকট প্রভৃতি জটিল অর্থনৈতিক বিষয়ও গল্পের ছলে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। তবে কিছু পাঠকের জন্য গল্পের শেষে দেওয়া "চিন্তার খোরাক" এবং "চিন্তার টোটকা" অংশগুলো টেক্সটবুকের মতো মনে হতে পারে, যা বইয়ের গল্পধর্মী ধাঁচের সাথে পুরোপুরি মানিয়ে যায় না। ? বইটির কিছু সীমাবদ্ধতা: ১. অতিরিক্ত নামের ব্যবহার: বইটিতে বিভিন্ন দ্বীপের বাসিন্দাদের জন্য বিভিন্ন রকম নাম দেওয়া হয়েছে, যেমন— প্রেম, প্রীতি, আদর, সোহাগ, নিশি, স্বপন, নিদ্রা ইত্যাদি। যদিও লেখকের চিন্তাশক্তি এখানে প্রশংসার দাবিদার, তবে অতিরিক্ত নামের ব্যবহার অনেক পাঠকের জন্য বিভ্রান্তিকর হতে পারে। ২. কিছু অধ্যায়ে পাঠ্যপুস্তকের মতো অনুভূতি: গল্পের ছলে অর্থনৈতিক জটিলতা ব্যাখ্যা করা হলেও কিছু অধ্যায়ের শেষে দেওয়া "চিন্তার খোরাক" এবং "চিন্তার টোটকা" অংশগুলো অনেকটা একাডেমিক বইয়ের মতো মনে হতে পারে, যা পাঠকদের কাছে কম আকর্ষণীয় লাগতে পারে। ? শেষ কথা ও পাঠ প্রতিক্রিয়া: "ব্যাংক ব্যবস্থা ও টাকার গোপন রহস্য" একটি চমৎকার বই, যা সাধারণ পাঠকদের জন্য ব্যাংকিং ও অর্থব্যবস্থা সম্পর্কে একটি সুস্পষ্ট ধারণা দিতে সক্ষম। বইটি সহজ ভাষায় লেখা হলেও এতে গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক তত্ত্ব ও বাস্তব প্রমাণ সংযোজিত হয়েছে, যা পাঠকদের নতুনভাবে ভাবতে বাধ্য করবে। যারা অর্থনীতি, ব্যাংকিং, মুদ্রার বিবর্তন এবং সুদভিত্তিক অর্থব্যবস্থার কুফল সম্পর্কে জানতে চান, তাদের জন্য এই বইটি অবশ্যপাঠ্য। এটি দশটি বিচ্ছিন্ন প্রবন্ধ বা বিশটি ইউটিউব ভিডিওর চেয়ে অনেক বেশি সংগঠিত এবং গভীর জ্ঞান দেবে। ? বইটি কেন পড়বেন? ? অর্থনীতি সম্পর্কে ধারণা পেতে। ? সুদভিত্তিক ব্যাংকিং ব্যবস্থার প্রভাব বুঝতে। ? সহজ ভাষায় মুদ্রাব্যবস্থার বিবর্তন জানতে। ⁉️ চিন্তার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে। এই বইটি শুধু অর্থনৈতিক শিক্ষার জন্যই নয়, বরং আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অর্থনীতির প্রভাব বুঝতে সাহায্য করবে। ◾বই: ব্যাংক ব্যবস্থা ও টাকার গোপন রহস্য ◾লেখক: মোহাইমিন পাটোয়ারী ◾পৃষ্ঠা সংখ্যা: ১৫২ ◾মুদ্রতি মূল্য: ৩৩০ টাকা ◾প্রকাশনী: ঐতিহ্য প্রকাশনী © শাহরিয়ার নাবিল
Was this review helpful to you?
or
'ব্যাংক ব্যবস্থা ও টাকার গোপন রহস্য" বইটা এক অসাধরণ আলোচনা। আপনার কাছে যে টাকা আছে আদতে এ টাকার কোন মুল্য নেই। কিন্তু মানুষ জানেনা বলেই মুল্যবান মনে করে। ফলে আমি আপনি সকলে একটা ধোঁয়াশার মাঝে থাকি। এই ধোঁয়াশার কিছুটা কিনারা করেছেন প্রিয় বড়ভাই মোহাইমিন পাটয়ারী। সুদ ভিত্তিক অর্থব্যবস্থা মূলত এই ধোঁয়াশার প্রধান হাতিয়ার। এখানে ঋনের বিপরীতে অতিরিক্ত যা দাবী হয় তাই সুদ। আর সুদের যোগান দিতে প্রয়োজন হয় অতিরিক্ত অর্থ। সে অর্থ ছাপাতে হয়। আর যা কিছু ছাপানো হয় তার নাম কাগজ। এর বেশি কিছু বললে বলতে হয় প্রিন্টেড পেপারস। সুদ বৃদ্ধি পাচ্ছে চক্রবৃদ্ধি হারে আর ঋণ একই হারে বাড়ছে। সেই সাথে আরেকটা জিনিস বাড়ছে আর তা হল মাথাপিছু আয়। তাহলে মোদ্দকথা দাড়াল মাথাপিছু বেড়েছে এতে খুশি হওয়ার কিছু নেই কারন এতে আমাদের মাথাপিছু ঋন ও যোগ করা হয়। প্রশ্ন থেকে যায় মাথাপিছু আয়ের সাথে মাথাপিছু ঋন কি সমানতালে বাড়ছে। হুম সমান তালেই বাড়ে কিন্তু আমরা বিভিন্ন পন্য সামগ্রী বিদেশে রফতানি করি আর আমাদের প্রবাসী ভাই বোনরা, এদেশের শ্রমিক শ্রেনীর ঘামের পয়সাও এ ব্যালেন্সে ভুমিকা রাখে। এই বইয়ের ১৩২ পৃষ্ঠায় খুব ইন্টারেস্টিং ভাবে দেখানো হয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যংক টাকা ছাপিয়ে ঋণ দিচ্ছে কিন্তু এ ঋনের সুদ পরিশোধ করতে নতুন ঋণ গ্রহন করা লাগছে। ফলে মোটাদাগে ঋণ কখনোই পরিশোধযোগ্য নয়। এটা জানার পরেও কেন ওয়ার্ল্ড ব্যংক, আই এম এফ কেন তৃতীয় বিশ্বে ঋন দিচ্ছে? এর প্রধান কারন হল আধিপত্য প্রতিষ্ঠা, ছোট ভাই সুলভ দেশ তৈরি। আর অর্থনৈতিক ভাবে কোন দেশকে দেউলিয়াত্বে আনতে হলে ঋন দেয়ার বিকল্প আর কিছু নেই। উদাহরণঃ শ্রীলংকা ঋনের ভারে জর্জরিত। তাকে হাম্বান্টোটা বন্দর লিজ দিতে হয় চায়নার কাছে তবু তার মুক্তি নেই। আনুষ্ঠানিক ভাবে শ্রীলঙ্কা একটা দেউলিয়া দেশ। আর সুদের উপর এরুপ ঋন মুলত অর্থনৈতিক দেউলিয়াপনার মন্ত্র। একই ঘটনা আমেরিকার ক্ষেত্রে ভিন্ন ভাবে ঘটত। খেয়াল করলে দেখা যাবে, যে বেশী ঋনী সে তত ধনী যেমনঃ আমেরিকা । সবচেয়ে বেশী ঋণ আমেরিকার এর পর যুক্তরাজ্যের। আমেরিকার ঋনের পরিমান ২৬.৭ ট্রিলিয়ন ডলার আর আমেরিকার মোট বৈদেশিক রিজার্ভ ৪১ বিলিয়ন ডলারের কিছ বেশি। আমেরিকার জিডিপি মাত্র ১৯ ট্রিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি। মানে তারপক্ষে এ ঋণ পরিশোধ করা এ মুহুর্তে সম্ভব নয়। মোহাইমিন ভাই অত্যন্ত বিচক্ষন ভাবে উদাহরন দিয়ে সবকিছু সবিস্তারে বুঝিয়েছেন। ব্যাংক ব্যবস্থা ও টাকার গোপন রহস্য এতটাই সহজভাবে সব খুটিনাটি বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে ফলে যার অর্থনীতি বিষয়ে কোন ধারণা নেই সেও খুব সহজে বুঝে যাবে ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক্সের আদ্যপান্ত। আসলে বইটার নাম হওয়া উচিত "গল্পের আসরে অর্থনীতির পাঠ" আমেরিকার অর্থনীতির এই করুন অবস্থার সমাধানের জন্য বাজারে এসেছে হাওয়াই মুদ্রা। মানে ক্রেডিট কার্ড । এখন টাকা কোন ফ্যাক্ট না। ।টাকা ছাড়া দুনিয়াকে সেল করা যাচ্ছে দেদার্সে। এই অবস্থাটায় ব্যাংকের সুবিধা হল ব্যাংক টাকার সংকটে পড়বেনা নতুন টাকা ছাপাতে যে অর্থ খরচ হয় সে খরচও বাঁচল। তারল্য সঙ্কট বা কাঁচা টাকার সঙ্কট হবেনা আশা করা যায়। এভাবে সুদ ভিত্তিক অর্থব্যবস্থায় আমরা জড়িয়ে যাচ্ছি। ফলে ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে সামনে অগ্রসর হতে হচ্ছে। এর একমাত্র সমাধান ইসলামি অর্থনীতি চালু করা। যেখানে সুদ নেই। রয়েছে করজে হাসানাহ আর আছে ব্যবসা। আল কোরানে সুদকে হারাম করে এই দুটো বিষয়ে চালু করার নির্দেশ দেয়া আছে। সুদী অর্থব্যবস্থায় ধনী আরও অলস এবং আরও ধনী হয়; বিপরীতে গরীব আরো ঋনী আর অধিক গরীব হতে থাকে। সুদের সবচেয়ে বড় কুফল হল আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করা।
Was this review helpful to you?
or
"এটা স্বস্তির যে, দেশের জনগণ ব্যাংকিং এবং মুদ্রাব্যবস্থার রহস্য সম্পর্কে কিছুই জানে না। কারণ তারা যদি জানতো, আগামীকাল রাত পোহাবার আগেই দেশে গণবিপ্লব শুরু হয়ে যেতো।" ফোর্ড মোটর কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা হেনরি ফোর্ডের এমন কথা শুনে মোহাইমিন পাটোয়ারীর মনে খচখচ করতে থাকে। ফোর্ড সাহেব এমন কথা কেন বললেন? ব্যাংকিং এবং মুদ্রব্যবস্থার কী এমন রহস্য যা জনগণ জানে না? মোহাইমিন পাটোয়ারী অর্থনীতির ছাত্র ছিলেন। প্রথমে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ থেকে বিবিএ সম্পন্ন করেন। পরে নিশীথ সূর্যোদয়ের দেশ নামে খ্যাত নরওয়ে ও যন্ত্রের দেশ নামে খ্যাত জার্মানিতে পড়া শুনা করেন। তবুও এই রহস্য জানতে পারেননি। এই রহস্য কোনো প্রতিষ্ঠানে পড়ানো হয় না। তাই ব্যক্তিগত ভাবে রহস্য উদঘাটন করতে শুরু করলেন দীর্ঘ অনুসন্ধান। সেই অনুসন্ধান লব্ধ জ্ঞান দিয়ে গল্প আকারে লিখে ফেললেন একখানা বই যা যে কোন ব্যক্তি পড়ে বুঝতে পারবে; অর্থনৈতিক পূর্বজ্ঞান থাকা আবশ্যিক নয়। বইয়ের প্রথম অধ্যায়ে পাঠককে ভাবতে বলে যে, সুদ এবং ব্যবসার মধ্যে পার্থক্য কী? টাকা উৎপন্ন হয় কিভাবে? কাগজের টাকার মাঝে মূল্যমান প্রবেশ করে কেন? পাঠক সরল চিন্তা তার চিন্তা দিয়ে সুদ এবং ব্যবসার মধ্যে পার্থক্য কী বলবে— তা তিনি মনে হয় জানেন। তাই তিনি নিজ থেকে সে পার্থক্যের দুর্বলতা ধরিয়ে দেন। যেমন, অনেক পাঠক মনে করেন যে, সুদে কোন ঝুঁকি নেই। তিনি বলেন, এই কথা সম্পূর্ণ ঠিক নয়। সুদে ঋণ দিলে ঋণগ্রহীতা দেউলিয়া হতে পারে, অর্থ আত্মসাৎ করে পালিয়ে যেতে পারে কিংবা কোনো সম্পদ না রেখে মৃত্যুবরণ করতে পারে। প্রচলিত আরেকটি অভিযোগ যুক্তি দিয়ে উড়িয়ে দেন। অনেকে অভিযোগ করে যে, সুদ অর্থনৈতিক বৈষম্য সৃষ্টি করে। তিনি বলেন, যে কোনো সফল ব্যবসা করেই একজন ব্যক্তির পক্ষে সম্পদশালী হওয়া সম্ভব। সুদ অর্থনৈতিক বৈষম্য সৃষ্টি করে ; ব্যবসা করে না— এ অভিযোগ সঠিক নয়। প্রথম অধ্যায় পড়ে পাঠকের মনে হবে তিনি বোধ হয় ইয়াহুদীদের দালাল। ইয়াহুদীদের শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে সুদের পক্ষে ওকালতি করতে এসেছে। আমি নিশ্চিত যে, দ্বিতীয় অধ্যায় থেকে শেষ পর্যন্ত বইটা পড়ে যে কোন পাঠকের এ ধারণা ভেঙে যাবে। কারণ তিনি দ্বিতীয় অধ্যায় থেকে আস্তে আস্তে 'সুদ' কে ভিলেন বানাতে শুরু করেন। তার মাঝে তিনি সাধারণ পাঠককে অর্থনৈতিক চিন্তা কাঠামো তৈরি করে দেন। সাধারণত অর্থনৈতিক বিষয়গুলো কাঠখোট্টা। এগুলো সহজে বুঝে আসতে চায় না। জটিল মনে হয়। তিনি বলেন, অর্থনীতির জটিল বিষয়গুলো বোঝার একটি শক্তিশালী পদ্ধতি হলো প্রথমে খুব সরল পরিসরে চিন্তা শুরু করা এবং পরবর্তী কালে ধাপে ধাপে নতুন মাত্রা যুক্ত করে বড় পরিসরে নিয়ে আসা। তিনি প্রথমে খুব সরল পরিসরে চিন্তা শুরু করতে পাঠককে রূপসাগরে নিয়ে যান। এই রূপসাগর কোন সাগর না; এটা একটা দ্বীপ রাষ্ট্রের নাম। যেখানে প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর কিন্তু জনসংখ্যা খুব সীমিত। ঐ দ্বীপ রাষ্ট্রে লেনদেনের কোনো বস্তু অর্থাৎ 'টাকা' নেই। এই তাদের সমস্যা। এই সমস্যা সমাধানের সহজ পদ্ধতি বলে তিনি নিয়ে যান জটিল হিসাব নিকাশে। রূপসাগরের লেনদেন থেকে আস্তে আস্তে সহজে বুঝিয়ে দেন বর্তমান বিশ্বের অর্থ ও ব্যাংকিং ব্যবস্থা। এ ব্যবস্থায় সুদ কে দেখান ভিলেন যে সকল নষ্টের মূল। বিভিন্ন অধ্যায়ে বিভিন্ন বিখ্যাত ব্যক্তির চমৎকার উক্তি দিয়ে তাকে আরও পাকাপোক্ত করেন। তিনি লিখেন যে, সুদি ব্যবাসায়ী ২০% সরল সুদে ৫০ টাকা ঋণ দিয়ে ২০ বছরে ৮০০ টাকা কুক্ষিগত করবে। কারণ সে সুদের লাভজনক ব্যবসা কখনো ছেড়ে দিবে না। অন্যদিকে বুলবুল ২০% সুদের সমান ৫০ টাকা দিয়ে বাড়ি ভাড়া দিয়ে ২০ বছরে ২০০ টাকা কুক্ষিগত করবে। কেন সে ৮০০ টাকা করতে পারবে না? কারণ তিনি (লেখক) চান নাই! তার বেলায় তিনি দেখান যে, সে লাভের টাকা সিন্দুকে জমা রাখে। লাভের টাকা দিয়ে অন্য বাড়ি নিয়ে ভাড়া দেওয়া দেখালে হয়তো সেও ৮০০ টাকার কুক্ষিগত করতে পারতো। তাত্ত্বিকভাবে প্রমাণ করা যায় যে, সুদের কারণে দেশের সমস্ত টাকা মুষ্টিমেয় মানুষের চলে যায়। বাস্তবে দেখা যায় যে, ব্যবসার মধ্যে দেশের নয়, বিশ্বের সমস্ত টাকা মুষ্টিমেয় মানুষের হাতে চলে যায়।বিশ্বের ৯৯ শতাংশ মানুষের সম্পদ ১ শতাংশ মানুষের হাতে। সেই ১ শতাংশ মানুষ করে কী? ব্যবসা করে। বিশ্বসেরা ১০ জন ধনীর প্রোফাইল চেক করলেই তার প্রমাণ পাবেন। যাইহোক, মাঝে মাঝে পড়তে পড়তে মনে হবে সুদ ব্যবস্থায় সব শেষ। ধ্বংস অচিরেই। কিন্তু না! ছোট করে এক লাইনে বা দুই লাইনে হলেও লেখক একটা রাস্তা দেখান। যে রাস্তার কারণে কিছুই হয় না। হবে না। বইটা পড়তে পড়তে পাঠক একে একে ডেপজিট ব্যাংকিং, জম্বি কোম্পানি, হাওয়াই টাকা, অর্থনৈতিক মন্দা ও বেইল আউট, চেকের প্রবর্তন, মাল্টিপ্লায়ার ইফেক্ট, ফ্র্যাকশানাল রিজার্ভ ও টাকার গোপন রহস্যের মতো অনেক দরকারি বিষয় জানতে পারবে। অর্থনৈতিক চিন্তা কাঠামো গঠনের আরও বই চাই। আমাদের সমাজে অর্থনীতির মতো প্রয়োজনীয় বিষয়ের উপর লেখার মানুষ অনেক অনেক কম। মোহাইমিন পাটোয়ারী পেয়ে খুশি হয়েছি। অনুরোধ করি, তিনি নিয়মিত অর্থনৈতিক চিন্তা কাঠামো গঠনের জন্য নতুন নতুন বই লিখেন। আরও নিরপেক্ষ ভাবে, আরও নির্মোহ ভাবে লিখেন।
Was this review helpful to you?
or
One of the best books I have ever read :) Now I can understand the whole system of Banking.
Was this review helpful to you?
or
One of the best books on economics Written in Bangla
Was this review helpful to you?
or
'বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যেভাবে অর্থনীতি শিখানো হয় তা বাস্তবভিওিক না।বিশ্বব্যবস্থা কিভাবে চলছে তা জানার জন্য দ্বিতীয় আরেক রকম অর্থনীতি পড়া উচিত।' —রিচার্ড ভার্নার,কেন্দ্রীয় ব্যাংক গবেষক,লেখক এবং বিনিয়োগ কুশলী " ব্যাংকব্যবস্থা ও টাকার গোপন রহস্য " বইটি ভাষার সরলতা বজায় রেখে অর্থনৈতিক বৈষম্য,ব্যাবসা,ব্যাংক ইত্যাদি বিস্তারিত বিষয় লেখক মোহাইমিন পাটোয়ারী গল্পে গল্পে আলোচনা করেন। সুদ খাওয়া সুদ দেওয়া সুদে লেনদেন সাক্ষী হওয়া হারাম হারাম হারাম এই সম্পর্কে আয়াত নাযিল হবার পর কোন মুসলিম তা মানতে আস্বিকার করলে সে কাফের হয়ে যাবে। তদ্রূপ আল্লাহর দেওয়া বিধান দ্বারা ফয়সালা করতে আস্বিকার করলে বা এর বিপরীতে নিজেরা বিধান তৈরি করে ফয়সালা করলে তবে উক্ত শাসকগোষ্ঠী ইসলাম থেকে খারিজ(কাফের)। "যে সকল শাসক আল্লাহর দেয়া বিধান অনুযায়ী ফয়সালা করেনা তারা কাফের" সূরা আল মাদেয়া,আয়াত ৪৪ 'লুটপাট করা যখন একদল মানুষের জীবিকার মাধ্যম হয়ে যায়, তারা সেটাকে বৈধ করার জন্য আইন বানিয়ে ফেলে এবং এমন একটি নৈতিকতার মানদণ্ড দাঁড়া করায় যা তাদের কাজকে খুব ভাল বলে প্রচার করে' - ফ্রেডেরিক বাসতিতাত ফ্রেঞ্চ অর্থনীতিবিদ,লেখক ও ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির সদস্য (১৮০১-১৮৫০) ধন্যবাদ লেখক আবদুল মোহাইমিন পাটোয়ারী।
Was this review helpful to you?
or
ভাই আপনার এই বইটা পড়ে, দুঃখে আমার কান্না চলে আসতেছে, কি চলতেছে আমাদের এই সমাজে? এইভাবে দেশটাকে আর চলতে দেয়া যায় না।অবশ্যই আমাদের কিছু করতে হবে, এই সিস্টেমটার বিরুদ্ধে আমাদের দাঁড়াতে হবে তা না হলে অচিরেই আমরা সবাই ধ্বংস হব।
Was this review helpful to you?
or
বইটি আমি india থেকে অর্ডার করেছিলাম। বইটি সহজ সরল ভাবে উপস্থাপনের জন্য ধন্যবাদ।খুব ভালো লেগেছে। বর্তমান অর্থনীতির যে রহস্য তা, এই বই থেকে খুব ভালো ভাবেই জানতে পারলাম। যদি সত্যিই এই বিষয় গুলো মানুষ জানতো, তাহলে বিকল্প কিছুর কথা ভাবতে !! বইটি পড়ে খুব অবাক হয়েছি,।
Was this review helpful to you?
or
বইটা না পড়লে বুঝতামই না, টাকার গোপন পরিচয় সম্পর্কে। এটা সকল সকল বিশ্ববিদ্যালয় লেভের পাঠ্যক্রমে সংযুক্ত হওয়ার মতো উপযোগী বই। এরকম বই অর্থনীতির উপর বাংলা ভাষায় দ্বিতীয়টি সম্ভবত নাই৷ ধন্যবাদ লেখক কে।
Was this review helpful to you?
or
আমাদের হাতে যে মুদ্রা বা টাকা আছে তা কীভাবে কাজ করে, কীভাবে এর উৎপত্তি হয়েছে, অর্থ সরবরাহের নিয়ন্ত্রণ কী এবং কী করে প্রতিটি টাকা সৃষ্টির পিছনে (বাই ডিফল্ট) সুদ যুক্ত হয়ে যায় তা আমাদের বুঝতে হবে। দীর্ঘ দিন ধরে আমি মুদ্রা ব্যবস্থা ও ব্যাংক ব্যবস্থা নিয়ে লিখছি, কিন্তু বাংলাভাষায় এই বিষয়ে কোনো বই রেফার করতে পারিনি। অর্থনীতি বিশেষত মুদ্রা ব্যবস্থা একটি জটিল বিষয়। অধিকাংশ মানুষই এটা বুঝতে চায় না। জনৈক অর্থশাস্ত্রবীদ বলেন 'লক্ষাধিক মানুষের মধ্যে কেবল একজন ব্যক্তিই মুদ্রা ব্যবস্থা সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা রাখে'। অথচ এই বিষয়টি সকলের জানা অত্যাবশ্যক। যাইহোক, এই জটিল বিষয় সাধারনের কাছে সহজ ভাষায় উপস্থাপন করার কঠিন কাজকে খুব নিখুঁতভাবে প্রিয় ভাই আবদুল মোহাইমিন পাটোয়ারী তার বই "ব্যাংক ব্যবস্থা ও টাকার গোপন রহস্য'' বইতে আঞ্জাম দিয়েছেন। যেন গল্পের ছন্দে, নানান উদাহরণের মাধ্যমে তিনি পাঠককে অর্থ ব্যবস্থার প্রতিটি ওলি গলি চিনিয়ে দিচ্ছেন। আশাকরি যার অর্থ বিষয়ে প্রাথমিক কোনো জ্ঞানও নেই সেও বইটি পড়ে সহজে বুঝতে পারবে। প্রয়োজনে কয়েকবার বুঝে বুঝে পড়লে পুরো বিষয়টির এক স্বচ্ছ ধারণা তার মাথায় ফুটে উঠবে। সভ্যতার পরিয়ে দেয়া মিথ্যার কালো চশমা খুলে তখন স্বচ্ছ গ্লাসের চশমার মধ্য দিয়ে পাঠক এক নতুন দুনিয়া আবিষ্কার করবে। এমন দুনিয়া যার পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ পুঁজিবাদী-ব্যাংকারদের হাতে, যার রন্ধ্রে রন্ধ্রে সুদ ছড়িয়ে আছে। লেখকের আরেকটি বই হল "সুদ হারাম, কর্জে হাসানা সমাধান"। দুটি বই একে অপরের সহায়ক বলা যায়।
Was this review helpful to you?
or
অর্থ আয়ের প্রতি সবার যে পরিমান উৎসাহ সেভাবে অর্থ কিভাবে কাজ করে সে বিষয় এর প্রতি উৎসাহ অনেক কম জনসাধারণের। অথচ এই ব্যপারে মানুষ এর উৎসাহ থাকা উচিৎ ছিল আরও বেশি। মুহাইমিন ভাই যেভাবে সহজ ভাষায় উপস্থাপন করেছেন বইটা পড়ার সময় শুধু এটাই অনুভব হচ্ছিল যদি একাডেমিক অধ্যয়ন এর সময় এই বই পেতাম তাহলে অর্থনীতির পরীক্ষাগুলির আগের রাত এত আতংকে কাটাতামনা। আলহামদুলিল্লাহ এরকম একটা কাজ হয়েছে। ধন্যবাদ জানিয়ে ছোট করতে চাইনা, আশা রাখি যেতে হবে আরও বহুদূর। একজন সচেতন মানুষ হিসেবে একজন সত্যিকারের মুসলমান হিসেবে একজন সত্যানুসন্ধানকারী হিসেবে এই বই অবশ্যই পাঠ্য।
Was this review helpful to you?
or
রকমারি থেকে আজকে বইটি পেলাম। দুই অধ্যায় শেষ করেছি, যতটুকু পড়েছি মাথা আউলাইয়া যাওয়ার যোগাড়। হাইলি রিকোমেন্ডেড বুক।
Was this review helpful to you?
or
"আমাকে কেবল টাকা তৈরি এবং সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করার সুযোগ দাও,সেই জাতির আইন কার হাতে তা নিয়ে আমার কোনো মাথাব্যথা নেই" এম. অ্যানসেল্ম রথসচাইন্ড এই বইটাতে প্রথমেই সুদ এবং ব্যবসায়ের মধ্যে পার্থক্য দেখানো হয়েছে। সুদের মাধ্যমে যে সমাজের মানুষের সকল সম্পদ সুদ দাতা বা মহাজনের কাছে চলে আসে তা চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।আবার ব্যবসায়ের মাধ্যমে যে সকল সম্পদ নিজের কাছে কুক্ষিগত রাখা যায় না তার বর্ণনা সুন্দর ভাবে তুলে ধরা হয়েছে। সমাজের জন্য সুদ যে কতটা ভয়ানক লেখক তা সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। তাছাড়া মুদ্রা তৈরীর গোপন রহস্য, ব্যাংক কিভাবে কাজ করে থাকে, আধুনিক ব্যাংক ব্যবস্থা ইত্যাদি গল্পের আকারে আকর্ষনীয় ভাবে উপস্থাপন করেছেন। এটি একটি শিক্ষনীয় বই। সবার এই বইটি একবার হলেও পড়া উচিত। আমরা কেমন অর্থনৈতিক চক্রের মধ্য দিয়ে জীবন যাপন করছি তা এই বইটা না পড়লে বুঝার কোনো উপায় নেই। সবশেষে আবদুল মোহাইমিন পাটোয়ারী (লেখককে) অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি বই উপস্থাপন করার জন্য। আল্লাহ উনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুক।
Was this review helpful to you?
or
টাকা এবং সম্পদের পার্থ্যক্য, ব্যাংকিং ব্যবস্থার ভেতরের কথা, সরকার ও ব্যংকের মাঝে সম্পর্ক, সুদ ও ব্যবসার মাঝে সুক্ষ্ম পার্থক্য সহ অর্থনীতির বেশ কিছু মৌলিক ধারণা নিয়ে সহজ সরল ভাবে গল্পের আকারে লেখা চমৎকার একটি বই। সাধারণ মানুষের পড়ার উপযোগী বিষয়ভিত্তিক বইয়ের যে তীব্র অভাব তা পূরণে লেখক উল্লেখযোগ্য কাজ করেছেন। তার কলম দিন দিন আরো শক্তিশালী হোক এই আশাবাদ থাকলো...
Was this review helpful to you?
or
অর্থনীতির জটিল বিষয়গুলো সহজে বুঝলাম বইটি পরে। আগে যে বিষয়গুলো নিয়ে জানার আগ্রহ ছিল কিন্তু কখনো কোথাও সহজ ব্যাখ্যা পাইনি,বইটি পড়ে সেগুলো নিয়ে অনেক ভালো ব্যাখ্যা পেয়েছি। শুধু তাই নয়, সুদ, ব্যাংক বাবস্থা, সুদের ভয়াবহ কুফল এগুলো নিয়েও অনেক কিছু জানলাম। আমার মতো যাদের অর্থনীতির কাঠামো সম্পর্কে কোনো পূর্ববর্তী ধারনা নেই অর্থাৎ যারা একদম beginer,কিন্তু জানার অনেক আগ্রহ আছে তাদের জন্য উপযুক্ত এই বইটি।
Was this review helpful to you?
or
"ব্যাংকব্যবস্থা ও টাকার গোপন রহস্য" বইটি ইতোমধ্যে পড়া শেষ করেছি। বইটা লিখেছেন- মোহাম্মদ মোহাইমিন পাটোয়ারী। তার সাথে আমার পরিচয় মূলতঃ ফেইসবুক থেকে। তিনি ইকোনোমিক্স এর ছাত্র হওয়ায় তার সাথে আগ্রহ নিয়ে যুক্ত হয়েছি। তিনি আইবিএ, (ঢাবি) জার্মানী এবং নরওয়েতে ইকোনোমিক্স বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন। তাঁর বইটা কেন আমার জন্যে আশির্বাদ স্বরূপ সেই বিষয়টা আমি সামান্য ব্যাখ্যা করবো। ইসলামী ব্যাংকব্যাবস্থার সাথে নিবিড় সম্পর্ক থাকায় এবং আমার একাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ড মাদরাসার হওয়ায় আমি কয়েক বছর ধরে কুরআনের অর্থব্যবস্থা নিয়ে চিন্তা ভাবনা করে আসছি। আমার নিজস্ব অনুসন্ধান এবং প্রাকটিক্যাল কাজের ক্ষেত্রে উত্থিত অনেকগুলো প্রশ্নের মধ্যে প্রধান জিজ্ঞাসা ছিলো- সুদ এবং ব্যবসার মৌলিক পার্থক্য কিভাবে নিরুপণ করা হবে। অর্থনীতির বেশ কিছু ছাত্র এবং শিক্ষকের সাথে আলাপ করা সত্বেও সঠিক এবং নির্ভুল উত্তর পেয়েছি বলে মনে হয়নি। আমি অতৃপ্ত এবং আতঙ্কগ্রস্থ ছিলাম সুদের সাথে নিজের সম্পৃক্ততার জন্যে। বাংলাদেশের ইসলামী ব্যাংকগুলো বিভিন্ন প্রডাক্টের নামে যেভাবে ব্যাংকিং করছে তার আউটকাম এবং যারা কনভেনশনাল ব্যাংকিং করছে এদের মধ্যে সামান্যতম মৌলিক এবং উল্লেখযোগ্য পার্থক্য খুঁজে পাচ্ছিলাম না। শরীআহ ব্যাংকাররা বলছে- আমরা ব্যবসা করছি। কিন্তু আমার কাছে কোনভাবেই মনে হয়নি এটা ব্যবসা। এমতাবস্থায়, আমার জন্যে আবহমানকাল থেকে চলে আসা ব্যবসার সঠিক কনসেপ্ট এবং পদ্ধতি জানা অপরিহার্য হয়ে পড়ে। (আমি আমার নিজের সমস্যাগুলোর মাধ্যমে মোহাইমিন ভাইয়ের এই বইয়ের অপরিহার্যতা চিত্রিত করার চেষ্টা করছি মাত্র।) এমবিএ কোর্সে আমাদের ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স পড়াতেন বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন স্বনামধন্য ব্যাংকার যিনি হার্ভার্ডের ছাত্র ছিলেন। এখন অবসরে। তাকে আমি মুদ্রা ব্যাবস্থাপনা এবং এর সাথে সাধারণ জনগণের মৌলিক সম্পর্ক কি এবিষয়ে জানতে চেয়েছিলাম। তিনি বিষয়টি জটিল বলে এড়িয়ে গেলেন। তবে তিনি বলেছিলেন- যেহেতু তুমি জানতে চেয়েছ তাই তোমার আগ্রহই তোমাকে এবিষয়ে সাহায্য করবে। কেন জানি মনে হয়েছে, কাগজী মুদ্রায় এমন কোন গোপন রহস্য রয়েছে যা অধিকাংশ মানুষের জন্যে কল্যানকর নয়। অবশেষে, ২০২১ সালের শেষের দিকে মোহাইমিন পাটোয়ারী ভাইয়ের বিভিন্ন পোষ্ট আমাকে আশার আলো দেখাতে সক্ষম হয়। ফাইনালী তার বই " ব্যাংকব্যবস্থা ও টাকার গোপন রহস্য"---- বইটা আমার সামনে থাকা আলো আসতে বাধা দানকারী ওয়ালকে দূরীভূত করতে সক্ষম হয়। বইটার মাধ্যমে প্রাচীন এবং আধুনিক সুদ যে তা সুস্পষ্টভাবে প্রমানিত হয়েছে। সুদ এবং ব্যবসা যে সম্পূর্ণ আলাদা তা এই বই চমৎকার সব উপস্থাপনার মাধ্যমে বুঝিয়ে দিয়েছে। মুদ্রা কিভাবে সুদ সিষ্টেমে কুক্ষিগত হয় অপরদিকে ব্যবসার মাধ্যমে কিভাবে তা সম্ভব নয় তা গল্পের মাধ্যমে বুঝিয়ে দিয়েছে এই চমৎকার বইটা। বিনিময় মাধ্যম হিসেবে কাগজীমুদ্রা কিভাবে মানবজাতিকে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দিয়ে সম্পদহীন করে দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ করছে তা এই বইতে লেখক সুস্পষ্টভাবে অঙ্কন করেছেন। কাগুজে মুদ্রা মানেই যে সুদের অঙ্কুরোদগম তা সুবিন্যস্তভাবে শিশুদের বোঝানোর মত করে আলোচনা করা হয়েছে এই বইয়ে। সর্বশেষ, মোহাইমিন ভাই তার বইতে "Fractional Reserve Banking System" নিয়ে প্রাঞ্জল আলোচনার মাধ্যমে দেখিয়েছেন যে, কিভাবে ব্যাংক তার হাতে থাকা টাকার কয়েকগুন টাকা বেশি লেন্ডিং করে হাওয়াই টাকার মাধ্যমে মুনাফা অর্জন করে চলেছে। পরিশেষে- তিনি তাঁর বইয়ে মন্তব্য এবং রিকমেন্ডেশন দিয়েছে এভাবে- বর্তমান কাগজী মুদ্রার বিকল্প এমন বিনিময় মাধ্যম নির্ধারণ করতে হবে যার নিজের মূল্যমান আছে এবং কোন কর্তৃপক্ষ ইচ্ছে করলেই তাৎক্ষণিকভাবে তা তৈরি করতে পারেনা আবার চালু থাকা বিনিময় মাধ্যম বাতিলও করতে পারে না। এই পদ্ধতিই অর্থনৈতিক দাসত্ব থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় যা আবহমানকাল থেকেই পৃথিবীতে বিরাজমান ছিলো। বইটার কিছু ইউনিক ফিচার----------------- ক. অর্থনৈতিক ক্রমবিকাশের ঐতিহাসিক ধারনা খ. মূদ্রাব্যবস্থার বিবর্তন ধারা গ. সুদ এবং ব্যবসার সুস্পষ্ট পার্থক্যকরণ ঘ. চিন্তা করার নতুন কৌশল শিক্ষণ ঙ. কল্যানকর অর্থব্যবস্থার ধারণা চ. ঘৃণ্য সুদের ধবংসাত্বক কাঠামোর গানিতিক হিসেব ছ. ব্যাংক ব্যাবস্থার আলটিমেট আউটকাম জ. বিজনেসের পজিটিভ ফলাফল ঝ. অর্থনৈতিক বৈষম্যের প্রকৃত প্রধান কারণ ঞ. মুদ্রাস্ফীতির মৌলিক রহস্য ট. কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও সরকারের সম্পর্ক ঠ. টাকা ছাপানোর ক্ষমতা কে সংরক্ষণ করে ড. দেউলিয়া হওয়ার আসল কারণ সবশেষে বলবো, এই চমৎকার এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়ক বই আপনার পঠিত অসংখ্য বইকে অপ্রয়োজনীয় করে দিবে। আপনি সুদকে ঘৃনা করলে আপনার বিকল্প চিন্তায় পর্যাপ্ত রসদ যোগাবে।
Was this review helpful to you?
or
'ব্যাংকব্যবস্থা ও টাকার গোপন রহস্য' বইটা কেমন? এতে কিইবা আছে পড়ার মত? পড়তে ভাল লাগবে আদৌ?! জীবনে যে কয়টা ব্যাপারে আমরা ব্যাপক সিরিয়াস, তার মধ্যে একটা হল উপার্জন করা। ব্যবসা, চাকরি কিংবা জুয়া খেলা, যে যেভাবেই হোক, উপার্জনে ব্যস্ত। অপরদিকে, জীবনের যে কয়টা ব্যাপারে আমরা একদম উদাসীন বা কোন আগ্রহই খুঁজে পাই না বা জানতেও চাই না কিংবা জানতে গেলেও অনেক কঠিন লাগার ফলে 'থাক ভাই, হইসে, এগুলা আমার আর বোঝা লাগবে না' এটা বলে ফেরত আসি, সেইরকম ব্যাপারগুলোর মধ্যে 'অর্থনীতি' অন্যতম! আপনি চিনি কেনেন কিংবা পানি, এর পিছনে আছে অর্থনীতি। আপনি টাকা কামাই করেন কিংবা হাজী মহসিনের মত বিলিয়ে দেন, এর পিছনে আছে অর্থনীতি। আপনি সোনা-রূপায় লেনদেন করেন কিংবা কাগজ-কার্ডে, এর পিছনে আছে অর্থনীতি। কিন্তু অর্থনীতির এই সিদ্ধান্তগুলো কে দেয়? কেন দেয়? কিভাবে চিন্তা করে দেয়? আপনি যে বাজারদরে জিনিস কেনেন, সেই বাজারদর এরকম লাফায় কেন?! টাকা আর ব্যাংকের মধ্যে এত মধুর রসায়ন কেন?! সেইসব থ্রিলিং শোনাবে আপনাকে 'ব্যাংকব্যবস্থা ও টাকার গোপন রহস্য' বইটা। আপনি থ্রিলার পছন্দ করেনতো, বাস্তব থ্রিলার? এই বইটা এক কথায় একটা দুর্দান্ত থ্রিলার। শেষ পৃষ্ঠা পর্যন্ত না পড়ে উঠতে পারবেন বলে মনে হয় না এবং এই থ্রিলারে অর্থনীতির অচেনা অলি-গলি, খাল-বিল ও গ্যালাক্সির বহু কিছু ঘোরা হয়ে যাবে আপনার। যেহেতু আপনি অনেক কিছু জানেন না, এই বইটা তাই একটা রহস্য উপন্যাস। এটা একে একে ভেদ করবে আধুনিক অর্থনীতির মায়াবী জালের রহস্যগুলোকে। সুদের রহস্য, সোনা থেকে আমাদের কাগুজে টাকায় আসার রহস্য কিংবা ধেই ধেই করে উন্নয়নে এগিয়ে যাওয়া দেশের হু হু করে বেড়ে যাওয়া দেউলিয়ার রহস্য… এই বইটা বলবে টাকার আত্মকাহিনী। টাকার জন্ম, বেড়ে উঠা, ছোটবেলায় মেলায় হারিয়ে যাওয়া (মানে আপনি যদি কোথাও হারিয়ে যান, তাহলে আপনার পকেটের টাকার কি দশা হবে, সেটা…হে হে), টাকার ভাইবোন, যৌবনে যুদ্ধে যাওয়া কিংবা যুগের সাথে তাল মিলিয়ে টাকার আধুনিক হয়ে উঠার গল্প। বইটা আপনাকে সাথে নিয়ে ঝাঁপ দিবে অসম্ভব একটা আ্যডভেঞ্চারে, যার সাথে সিন্দাবাদের ভ্রমণ কিংবা আ্যালান কোয়াটারমেইনের গুপ্তধনের খোঁজে যাওয়ার যাত্রারই তুলনা চলে। অর্থনীতির যে যাত্রাটা আপনি সাহসের অভাবে কখনোই শুরু করেননি, আপনাকে 'বিলবো ব্যাগিন্স' বানিয়ে মোহাইমিন পাটোয়ারী 'গ্যানডাল্ফ' হয়ে রওনা দিবেন 'মিডল আর্থে' ব্যাংকব্যবস্থা ও টাকার গোপন রহস্য উদ্ধারে। এই অবিশ্বাস্য যাত্রার সকল সরঞ্জাম পেয়ে যাবেন যাত্রাপথেই! অর্থাৎ আপনি অর্থনীতির কিসসু না জানলেও কোন সমস্যা হবে না, আপনি পুরোটাই বুঝতে পারবেন ইংশাল্লাহ। এই মহাযাত্রার শেষে গুপ্তধন পাওয়ার কথা, সোনা-দানা-হীরা-চুনী-পান্না কিংবা নিদেনপক্ষে বিলবো ব্যাগিন্স এর সেই বিখ্যাত রিং। কিন্তু আপনি কি পাবেন এই যাত্রায়?! প্রথমত আপনি দেখা পাবেন মহা-ভিলেন 'সাওরন' এর। লর্ড অফ দ্যা রিংস বইয়ের এই পৃথিবী বিখ্যাত ভিলেন হল সেই দুনিয়ার সকল নষ্টের গোড়া এবং সকল কিছুকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাওয়া এক মহা ধুরন্দর। অর্থনীতির 'সাওরন' হল 'সুদ'। এই সমস্ত নষ্টের গোড়া কিভাবে পুরো অর্থব্যবস্থা ধরে নাচাচ্ছে, সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে এবং কোটি মানুষের সর্বনাশ করছে সেটা টের পাবেন এই যাত্রায়। আ্যালান কোয়াটারমেইনের সাথে পাল্লা দিয়ে গুপ্তধন খুঁজতে বের হয় ভিলেন বোগাটি আর কর্নেল বকনার। আপনার এই আ্যডভেঞ্চারে অবাক হয়ে আবিষ্কার করবেন যে, কিভাবে ব্যাংক শুভাকাংখীর বেশে ঋণ দিয়ে আপনার সকল সম্পদ হাতিয়ে নেয়ার মহাপরিকল্পনা করে রেখেছে! নষ্টের গোড়া চিনলেন, বন্ধুরূপী শত্রু চিনলেন, বাকি রইল কি? শিয়াল ও কুমিরের গল্প। গল্পের শিয়াল কুমিরের ৭ ছানার দায়িত্ব নেয়। সে প্রতিদিন ১টা করে ছানা খেয়ে ফেলে এবং কুমিরকে একই ছানা একাধিকবার দেখিয়ে শান্ত রাখে। যেদিন সবগুলো ছানা সাবাড় করা শেষ, সেদিন শিয়াল লাপাত্তা। ব্যাংকের কাছে আজকাল ১ টাকা জমা রাখলে, সেই ১ টাকার বিপরীতে সে ২০ টাকা ঋণ দেয়। এ যেন রিভার্স শিয়াল-কুমিরের গল্প। এই গল্পে শিয়াল ১টা কুমিরের ছানা ২০ বার দেখিয়ে আরো আরো কুমিরের ছানার দায়িত্ব নেয়! এই এক বইয়ে এত এত গল্প আর দুর্ধর্ষ আ্যডভেঞ্চারের মসলাদার সত্যি কাহিনী! এবার বইটি পড়েই বাকি স্বাদ নিন। আমার রিভিউটি ফুরোল, নটে গাছটি মুড়োল। আব্দুল্লাহ মুহাম্মাদ মিনহাজ রেজা
Was this review helpful to you?
or
আমার পূর্বের রিভিউটা একপ্রকার ক্ষোভ থেকেই দিয়েছিলাম। এই বইটা দুইবার অর্ডার দিয়েছিলাম, দুইবার কেন্সেল করাতে কষ্ট পেয়েছি। যদিও রিভিউটা কেটে দিয়েছেন কিন্তু ভাইয়ের বইয়ের রেটিং কমে যাওয়াতে আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
Was this review helpful to you?
or
আমাদের হাতে যত টাকা আছে, কোন কিছুই আমাদের নিজস্ব মালিকানাধীন নয়। সবকিছুর ব্যাংকের ঋণ!!! এটাই হচ্ছে বর্তমানে প্রচলিত কাগজী টাকার রহস্য!! মিডিয়ায় ক্ষুদ্রঋণকে বিশাল মহৎকর্ম বলে প্রোপাগান্ডা চালানো হয়।আসলে এসব সবই অন্তঃসার শূন্য ফাঁকা বুলি। মাইক্রোক্রেডিট সিস্টেম অন্যের মেধা ও কায়িক পরিশ্রমকে নিজের গোলাম বানানোর দুষ্ট চক্র ছাড়া আর কিছুই নয়। গ্রামের পয়সাবিহীন মানুষ গাধার মত খাটে আর ব্যাংক সিস্টেমকে টাকার পোয়াবারো বানায়। তার পরিশ্রমের কোন কিছুই যে তার জন্য নয়। বর্তমানে প্রচলিত চেকবই এর গূঢ় রহস্য আপনি জানেন কি? এটা ব্যাংক সিস্টেমকে অদৃশ্য টাকা বানাতে সাহায্য করছে আর সমাজের প্রতিটি মানুষ হচ্ছে তার টাকার বলি । আপনি হয়ত ভাবেন, ব্যাংক থেকে কেউ সুদ সহ ঋণ নিলে তা শুধু ব্যাংক আর ঋণগ্রহণকারী ব্যাক্তিকেই সম্পর্ক যুক্ত করে। কিন্তু সুদের ইন্দ্রজাল খুব ভয়াবহ। এটা সমাজের প্রতিটি স্তরের প্রতিটি মানুষকে ঋণগ্রস্ত করে ও সুদপ্রথার বলি হতে বাধ্য করে। বর্তমান ব্যাংকিং সিস্টেমের ভয়াবহ এসব তত্ত্ব সহজ সরল ভাষায় সাধারণ মানুষকে বুঝিয়ে বলতে এই বইয়ের কোন জুড়ি নেই। লেখক চমৎকার সব গল্পের মাধ্যমে আধুনিক অর্থনীতির কূট চালকে ব্যাখ্যা করে করেছেন।
Was this review helpful to you?
or
সারাজীবন শুনেছেন, সুদ বৈষম্য সৃষ্টি করে। কিন্তু প্রমান করতে পারবেন? ব্যবসা কিভাবে বৈষম্য তৈরি করেনা? কাগজ কিভাবে পন্যের বিকল্প হল? সম্পদ কিভাবে কুক্ষিগতগত হয়? টাকা নিয়ন্ত্রক হল আসল মাফিয়া। এগুলো কখনো ভেবে দেখেছেন? যদি না দেখেন, এই বই আপনার জন্য। অত্যন্ত সাবলীল ভাষায়, হাউজ টিউটরের মত করে পুরো বইটি লেখা হয়েছে। অর্থনীতির জটিল বিষয়ও সহজভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। আমি হলফ করে বলতে পারি, এই বই আপনার চিন্তার জগৎ কে নাড়া দিবে। এই বই একটি মৌলিক রচনা। তারেক শামসুর রেহমান, আকবর আলী খাঁন এদের বই যেমন সারাজীবনের কাজে লাগে ঠিক তেমনি অর্থনীতি বুঝতে এটাও কাজে দিবে। সহজে আপনি অনেক জিনিস বুঝতে পারবেন। পরিশেষে বই থেকে একটা লাইন- "permit me to issue and control the money of a nation, and i care not who makes its laws!!" Mayer Anselm Rothschild
Was this review helpful to you?
or
যে যাই বলুক না কেন, আমার মতে বইটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বই ।আমি নিজে বইটি পড়েছি আবার অনেকের কমেন্টও পরেছি । অনেকে বলেছেন যে বইটিতে সুদকে হালাল দেখানো হয়েছে । আসলে বিষয়টি এমন নয় বিষয়টি হচ্ছে সারা বিশ্বে বা বিশ্বের ধনী দেশগুলি কিভাবে এত ধনী এবং সমৃদ্ধশালী হয়েছে সেটা বোঝানো হয়েছে । আসলে অধিকাংশ মানুষই কোন কোন না ভাবে সুদের সাথে জড়িত । হয় সে কোন না কোন ভাবে নিচ্ছে, না হয় কোন না কোন প্রকিৃয়ার মধ্য দিয়ে দিচ্ছে। হতে পারে প্রতক্ষ্য বা পরক্ষ ভাবে । আসলে বইটিতে বর্তমানে প্রেক্ষটের আলোকে নীবির পর্যবেক্ষণ করে বিশ্বের ধনী দেশ ও অধিকাংশ ধনী ব্যক্তির গোপন রহস্য তুলে ধরেছেন । বৈশিক এই অর্থনীতির নতুন পরিমন্ডল ঘুরতে ও বুঝতে বইটি একাবার হলেও সত্যন্বেষী মানুষেদের পড়া উচিৎ । আর অর্থনীতির ছাত্র হলে তো কথাই নেই । সত্য ঘটনার আলোকে অর্থনৈতিক রূপরেখা যেভা্বে লেখক তুলে ধরেছেন তা সত্যিই বিরল । এমন একটি বইয়ের জন্য আমার পক্ষ থেকে লেখক ভাইকে ধন্যবাদ ।।
Was this review helpful to you?
or
আশারাখি বইটি অসাধারণ হবে
Was this review helpful to you?
or
আবদুল মোহাইমিন পাটোয়ারী ভাইকে প্রথম দেখি 'কর্জে হাসানাহ'র প্রোগ্রামে৷ এরপর মিম্বারে পেট্রোডলার নিয়ে ভাই একটা ভিডিও দেন৷ জ্ঞানী মানুষ যখন কথা বলেন, তা মুক্তোর মতন হয়৷ ভাইয়ের ভিডিওতে শুধুই মুক্তো ছিল৷ ভাইকে অনুরোধ জানাই এ সম্পর্কিত লেখালেখির জন্য৷ এইতো! এরপর থেকেই ভাইয়ের লেখার ভক্ত আমি৷ স্কুল, কলেজ ও য়ুনিভার্সিটিতে বিজ্ঞান পড়ার সুবাদে অর্থনীতিজ্ঞানের ভিত্তি ছিল খুবই দূর্বল৷ বিতর্ক করতাম বলে ভাসাভাসা কিছু জ্ঞান ছিল৷ কিন্তু মুদ্রানীতি সম্পর্কে আমি বরাবরই উম্মি! কিছুই জানি না৷ বরং অবাক হতাম এই ভেবে, কীভাবে দেশগুলোয় মুদ্রা ব্যবস্থা চলমান৷ এরপর আরেকটি জটিল বিষয় হলো ব্যাংকিং৷ সব মিলিয়ে আধুনিক অর্থনীতিই যেন এক অধরা বস্তু আমার কাছে৷ . বইয়ের প্রাথমিক পান্ডুলিপি পড়ার সুযোগ হয়েছিল৷ সহজ ভাষায় এত জটিল বিষয়কে ভাই অনেক সুন্দরভাবেই ফুটিয়ে তুলেছেন৷ আর ভাইয়ের পরিচয় না দিলেই নয়৷ লেখক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ শেষ করে ভাই সিএফএ করেছেন৷ এরপর বিশ্বের সেরা ইকোনমিকস য়ুনিভার্সিটি—নরওয়েজিয়ান স্কুল অফ ইকোনমিকস, নরওয়ে ও মানহাইম য়ুনিভার্সিটি, জার্মানি থেকে দুইটা মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন৷ সে হিসেবে ইকোনমিকস নিয়ে তিনি একজন বাঘা স্কলার৷ অর্থনীতি সম্পর্কে জানতে আগ্রহী সবার জন্যই বইটি একটি প্রেসক্রিপশন৷ কমেন্টে রকমারী প্রি-অর্ডার লিংক সংযুক্ত করে দিলাম৷ ও হ্যাঁ, একুশে বইমেলায় ঐতিহ্য প্যাভিলিয়নে বইটি পাওয়া যাচ্ছে৷ হ্যাপি রিডিং!
Was this review helpful to you?
or
ভাইয়ের বইয়ের জন্য অনেকদিন ধরে অপেক্ষা করছিলাম। ইনশাআল্লাহ পাঠক উপকৃত হবে। অনেক মিথ্যা ধারণা ধূলিসাৎ হবে....। শুভকামনা।
Was this review helpful to you?
or
একটি বই পড়ে যদি আপনি ঐ বিষয়ে আরো পড়তে চান অর্থাৎ আপনার মনে প্রশ্ন উৎপন্ন হয়,তবে লেখক নিঃসন্দেহে সার্থক। মোহাইমিন পাটোয়ারী রচিত 'ব্যাংকব্যাবস্থা ও টাকার গোপন রহস্য ' বইটির দাম একটু বেশি হলেও পাঠকের কোন ক্ষতি নাই।গল্পের ছলে, সহজ-সরল উদাহরনের মাধ্যমে আপনি আস্তে আস্তে বুঝে যাবেন,কিভাবে ব্যাংকব্যবস্থা টাকার মাধ্যমে সুদের হিসাবে আমাদেরকে আষ্টেপৃষ্টে বেধে ফেলেছে।বিষয়টা খুবই জটিল।। তবে তিনটি কথা না বললেই নয়ঃ ১।সুদের উপর আলোচনা,যা বইটির নামের সাথে যায় না। ২।লেখকের লক্ষই ছিলো সুদকে খারাপ দেখানো,তাতে বইটির মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়েছে। ৩।ইসলামি দৃষ্টিতে সুদকে দেখা হয়েছে,যার ফলে সুদের ভালো কোন কথাই আসে নাই। আশাকরি পরবর্তী বইগুলিতে অর্থনীতিকে একজন বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে পাবো,মুমিনের দৃষ্টভংগিতে নয়। ধন্যবাদ।।
Was this review helpful to you?
or
কীভাবে টাকা উৎপাদন হয়,কীভাবে এত এত উন্নয়ন হয়,আমরা কীভাবে ব্যাংক ব্যবস্থার কাছে জিম্মি, কীভাবে ক্রমান্বয়ে ব্যাংক সব টাকার মালিক হচ্ছে এসব কিছু মোহাইমিন পাটোয়ারী ভাইয়া গল্পে গল্পে খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। আল্লাহ ভাইয়ের লেখায় বরকত দিন।
Was this review helpful to you?
or
‘ব্যাংক ব্যবস্থা ও টাকার গোপন রহস্য’ নিয়ে বলার আগে বরং এর লেখক নিয়ে কিছু বলা যাক। মোহাইমিন যে অর্থনীতি (এবং আরও অনেক কিছু) ভালো বোঝে, তার অ্যাকাডেমিক এবং নন অ্যাকাডেমিক – দুই রকম প্রমাণই আছে। দেশে এবং বিদেশে শিক্ষাজীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রেই মোহাইমিন সেরা জায়গায় গেছে। গভর্ণমেন্ট ল্যাব, ঢাকা কলেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ থেকে বিবিএ, দুইটা মাস্টার্সের একটা নরওয়ের সেরা বিজনেস স্কুল – ‘নরওয়ে স্কুল অব ইকোনমিক্স’ এবং অন্যটা ‘মানহাইম ইউনিভার্সিটি’ – জার্মানীর শীর্ষ বিজনেস স্কুল থেকে। ঢাকা কলেজে মোহাইমিনের সাথে একই সেকশানে ছিলাম। কলেজের পরীক্ষাগুলোতে ওর রেজাল্ট ছিল গড়পড়তা। কলেজের প্রথম ফিজিক্স পরীক্ষায় ও সম্ভবত ২৫ এ ৬ পেয়েছিল। পরেও দেদার ফেলটেল করত। অ্যাকাডেমিক পড়াশোনায় ওর তেমন আগ্রহ দেখিনি। কিন্তু ঠিকই আন্তঃকলেজ সায়েন্স ফেয়ারে দারূণ সব আইডিয়া দিয়ে সেরার পুরস্কার বাগিয়ে আনত। এসব ‘যৌক্তিক’ কারণে কলেজে মোহাইমিনকে আমরা মোহাইমিনস্টাইন ডাকতাম! চিন্তাভাবনায় ও আমার এবং আরও অনেকের চেয়ে হাজার গুণ এগিয়ে থাকায় ওর সাথে মিশতে গেলে একটু জড়সড়ো থাকতাম। মোহাইমিন অবশ্য ক্লাসের সবার সাথেই সমানভাবে, সহজভাবে মিশতে পারত। ঢাকা কলেজের পাশেই নায়েম রোডের শেষ মাথায় ওদের বাসা ছিল। অনেক সময়ই এমন হয়েছে যে একটা কিছু নিয়ে কথা বলতে বলতে নায়েম রোড ধরে ওদের বাসা পর্যন্ত চলে যেতাম। মোহাইমিনকে তখন খুবই আপন কেউ মনে হত! মোহাইমিন যতটুকু বোঝে, তারও চেয়ে ভালভাবে বোঝাতে পারে। ওর ভয়েস শান্ত - সুন্দর। বোঝানোর মাঝখানে মুচকি হাসি সুন্দর। হাত নাড়া সুন্দর। মেটাফরগুলো সুন্দর। বোঝানোর ভঙ্গি এত অনবদ্য যে খুব বুঝে ফেলতে ইচ্ছা করে! অর্থনীতির জটিল কঠিন বিষয়গুলো জলবৎ তরলং করে বোঝানোর ওর ভিডিয়োগুলোই তার প্রমাণ। এই বইটা কতটা ‘পঠনযোগ্য’ সেই বিবেচনার জন্য কেউ চাইলে ভিডিয়োগুলো দেখে নিতে পারেন। বইটা পড়া উচিৎ কিনা এটা নিয়ে আরও একটা ‘গৌণ’ তথ্য জেনে নেওয়া যাক – মোহাইমিনের এই বই রকমারির ননফিকশান ক্যাটাগরিতে ১ নম্বরে ছিল! ‘ব্যাংকব্যবস্থা ও টাকার গোপন রহস্য’ সম্ভবত বাংলাভাষায় লেখা এই টাইপের প্রথম বই। ‘আপামর জনতার’ জন্য লেখা এই বইয়ে অর্থনীতির ‘গোপন – কঠিন – জটিল’ বিষয়গুলো একদম আদর্শ লিপির ‘অ’ তে অজগর, ‘আ’ তে আমের মত করে বোঝানো হয়েছে। মুদ্রাব্যবস্থা, তারল্য সংকট, মূল্যস্ফীতি, ঋণ, সুদ, ব্যবসায় ও অর্থনৈতিক বৈষম্য, ব্যাংকের কারসাজি, টাকার গোপন রহস্য ইত্যাদি অর্থনীতির যে বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের ভাসা ভাসা জ্ঞান আছে, এ বই পড়া শেষে সম্ভবত ওই বিষয়গুলোর ‘ডুবো জাহাজ’ হওয়া যাবে এটা সামান্য একটু ঝুঁকি নিয়ে বলাই যায়।
Was this review helpful to you?
or
কেন্দ্রীয় ব্যাংক যদি ছাপায় ১০০ টাকা আর টা সুদ ভিত্তিক ঋণের মাধ্যমে জনগণের কাছে পৌঁছে দেয়, তাহলে জনগণ ওই ১০০ টাকার উপর সুদ কিভাবে দিবে? মানে অতিরিক্ত টাকা তো কেন্দ্রীয় ব্যাংক ছাপায় নি এখনো, তাহলে সুদের টাকা কিভাবে জনগণের হাতে আসবে আর কিভাবেই বা ঋণমুক্ত হবে? বইটা পড়ুন। আমার বিশ্বাস ছিলো হুমায়ূন আহমেদ ব্যতীত কেউ সরল ভাষায় জটিল কিছু বর্ণনা করতে পারেনা। এই লেখকের লেখা পড়ে সেই ভুল আমার ভেঙেছে। আমরা সারাদিন চিন্তায় মরি কিভাবে টাকা কামানো যায়, আর যারা আসল খেলোয়াড় তারা চিন্তা করে কিভাবে টাকা ছাপানো যায়!
Was this review helpful to you?
or
ব্যাংক, টাকা,মুদ্রা ব্যবস্থা এই বিষয়গুলো আমাদের জীবনের চলার পথে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে আছে। আমরা এসবে জড়িয়ে থাকলেও ভেতরের মূল রহস্য ক'জন জানি! আর এই না জানার জন্য চারপাশে দেখবেন কেউ দেউলিয়া হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে, ঋণের বোঝা টানতে টানতে নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে। সেই ঋণ পরিশোধ করতে আবার ব্যাংকের নিকট গিয়ে সুদে ঋণ নিয়ে পূর্বের ঋণ পরিশোধ করছে। এভাবেই চলছে আর দিনশেষে মাথা চাপড়ানো ছাড়া উপায় নেই। আপনার যদি এসব বিষয়ে জানার ইচ্ছা থাকে এবং অর্থনীতির প্রচলিত ব্যাংক ব্যবস্থা, মুদ্রা ব্যবস্থা পরিবর্তন করার এবং সমাজে এর ইতিবাচক প্রভাব ফেলার চেতনা থাকে তাহলে মোহাইমিন পাটোয়ারীর ' ব্যাংক ব্যবস্থা ও টাকার গোপন রহস্য ' বইটি পড়ুন। লেখক খুবই সাবলীল ভাষায় এবং গল্পে গল্পে বইটি রচনা করেছেন। আপনার অর্থনীতি সম্পর্কে পূর্বে কোন ধারণা না থাকলেও চলবে। আমার মনে হয় বইটি প্রথবার পড়ে এরপর আবার পড়া উচিত। তাহলে মূল বিষয়গুলো ক্লিয়ার হয়ে যাবে। প্রচলিত ব্যবস্থাগুলোর পরিবর্তনে আমাদের সবাইকে একসাথে এগিয়ে যেতে হবে। তাই আপনি নিজে পড়ে চারপাশে মিলিয়ে নিন, চিন্তা করুন এবং আপনার পরিবার, বন্ধু ও আত্মীয়দের মাঝে ছড়িয়ে দিন। লেখকের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা, আল্লাহ তার কাজগুলোকে কবুল করে নিক। আমিন।।
Was this review helpful to you?
or
স্যারকে ফলো করি অনেকদিন অর্থনীতি, ইসলামিক অর্থনীতি, ব্যাংক ব্যাবস্থা, অর্থনীতির ইতিহাস ইত্যাদিতে স্যারের অসাধারণ জ্ঞান এবং বিশ্লেষণ ধর্মী দক্ষতা রয়েছে আশা করছি বইটিও অনুরূপ অসাধারণ হবে❤️❤️
Was this review helpful to you?
or
"এটা স্বস্তির বিষয় যে, মানুষ ব্যাংকিং এবং মুদ্রা ব্যবস্থা বোঝে না। কারণ যদি তারা বুঝত, তাহলে রাত পোহাবার আগেই বিপ্লব শুরু হয়ে যেত।" উক্তিটি ফোর্ড মোটর কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা হেনরি ফোর্ডের। আর "ব্যাংক ব্যবস্থা ও টাকার গোপন রহস্য" বইয়ের লেখক মোহাইমিন পাটোয়ারী তার বইয়ের ভূমিকা শুরু করেছেন এই উক্তিটি দিয়েই। এই উক্তির মধ্য দিয়েই তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন - তার এই বইটির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে পাঠককে সেই গোপন রহস্য সম্পর্কে জানানো, যা তারা জানে না। ... একেবারে সাধারণ পাঠকদেরকে বোঝানোর জন্য লেখক প্রথমেই রূপসাগর নামে একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপের কথা কল্পনা করেছেন, যেই দ্বীপে মাত্র ১০টি পরিবারের বসবাস। সেই গ্রামে শুরুতে কোনো টাকা-পয়সার প্রচলন ছিল না। সবাই সেখানে একটি পণ্যের বিনিময়ে অন্য একটি পণ্য গ্রহণ করত। এই মানদণ্ডকে এরপর লেখক ধীরে ধীরে জটিল থেকে জটিলতর করে তুলতে থাকেন। রূপসাগরের পর তিনি রূপনগর, জীবনসাগর, সুবর্ণ-নগর নামে ভিন্ন ভিন্ন দ্বীপের উদাহরণ টেনে দখাতে থাকেন, কীভাবে বিভিন্ন বাস্তবমুখী প্রয়োজনের প্রেক্ষিতে সেখানে ধীরে ধীরে স্বর্ণমুদ্রা, কাগজের টাকা, ভিন্ন ভিন্ন ধরনের ব্যাংকিং ব্যবস্থা, বিভিন্ন প্রকার শর্তের সুদ ব্যবস্থা আত্মপ্রকাশ করছে এবং সেসব দ্বীপের অর্থনীতি ক্রমেই আমাদের পরিচিত পৃথিবীর অর্থনীতির মতো হয়ে উঠছে। বইটিতে লেখক মূলত দুটি বিষয় পাঠকদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। প্রথমটি হচ্ছে ব্যাংক এবং মুদ্রা ব্যবস্থার বিবর্তন, এবং দ্বিতীয়টি হচ্ছে সুদভিত্তিক অর্থব্যবস্থার কুফল। এবং দ্বিতীয় এ বিষয়টির প্রমাণ লেখক দিয়েছেন বইটির প্রতিটি পরতে পরতে। একেবারে শুরুর কড়িভিত্তিক অর্থব্যবস্থা থেকে শুরু করে আধুনিক ফিয়াট মানি পর্যন্ত অর্থব্যবস্থার প্রতিটি ধাপ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে লেখক তুলনা করে দেখিয়েছেন, প্রথমে সুদ ছাড়া যখন শুধু ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড প্রচলিত থাকে, তখন কীভাবে জনগণের হাতেই অর্থ থাকে, এবং এরপর সুদভিত্তিক অর্থ ব্যবস্থা চালু হওয়ার কয়েক বছরের মধ্যেই কীভাবে দেশের প্রায় সকল অর্থ ব্যাংকগুলোর হাতে কুক্ষিগত হয়ে পড়ে। আমাদের আশেপাশে আমরা সাধারণত ধর্মীয় বক্তাদেরকেই সুদভিত্তিক অর্থব্যবস্থার কুফল সম্পর্কে আলোচনা করতে দেখি। এবং সেই আলোচনাও হয় কেবলই ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে। কিন্তু "ব্যাংক ব্যবস্থা ও টাকার গোপন রহস্য" বইটিও কোনো ধর্মীয় বই না, এবং এর লেখক মোহাইমিন পাটোয়ারীও কোনো ধর্মীয় বক্তা নন। তিনি একজন অর্থনৈতিক বিশ্লেষক, যিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আই বি এ থেকে বিবিএ সম্পন্ন করে এরপর নরওয়ে এবং জার্মানি থেকে অর্থনীতিতে দুটি মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন। সুদভিত্তিক অর্থব্যবস্থার যে কুফল, সেটা তার বইয়ে তিনি তুলে ধরেছেন অর্থনীতির দৃষ্টিকোণ থেকেই। সেটা করতে গিয়ে তিনি এমনসব পশ্চিমা দার্শনিক, অর্থনীতিবিদ, ব্যাংকার এবং নীতি-নির্ধারকদের উক্তি ব্যবহার করেছেন, যা পাঠককে বিস্মিত করতে বাধ্য। যেমন ধরা যাক এরিস্টটলের একটি উক্তি, যেখানে তিনি বলেছেন, “মুদ্রার উদ্দেশ্য বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে কাজ করা, সুদে বেড়ে যাওয়া নয়। সুদ মানে টাকা নিজেই আরেকটা টাকার জন্ম দিচ্ছে এবং নতুন জন্ম নেয়া টাকাটা অবিকল জন্মদাতা টাকার মত। পৃথিবীতে সম্পদ বৃদ্ধির যতগুলো উপায় আছে, তাদের মধ্যে এটিই সবচেয়ে অ-প্রাকৃতিক।” ... অর্থনীতি বিষয়টি এমনিতেই যথেষ্ট জটিল। তার উপর একটি বইয়ের ভেতরেই মূল্যস্ফীতি, ভার্চুয়াল কারেন্সি, দেউলিয়াত্ব, অর্থনৈতিক মন্দা, বেইল আউট, জম্বি ফার্ম, তারল্য সংকট প্রভৃতি বিষয় নিয়ে আলোচনা করলে বইটি আরো জটিল হয়ে ওঠার কথা। কিন্তু লেখক মোহাইমিন পাটোয়ারী অত্যন্ত সহজ ভাষায়, গল্পের ছলে এমনভাবে প্রতিটি বিষয় তুলে ধরেছেন, অর্থনীতি সম্পর্কে তেমন কোনো ধারণা না থাকলেও বইটি বুঝতে কোথাও কোনো সমস্যা হবে না। ... মূল রিভিউটা লিখেছি রোর বাংলার জন্য। এখানে নির্বাচিত কিছু অংশ তুলে দিলাম।