User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
❝শীত আসছে। সাপেরা আড়ালে লুকাবে। হিমঘুমের সময় সমাগত... এখন সাপেরা শিকারে ব্যস্ত।❞ কাম, ক্রোধ, লোভ, মদ, মোহ ও মাৎসর্য— মানুষের ছটি শত্রু, ষড়রিপু। সহজাত দোষ যার জালে ফেঁসে যায় আমরা। অনিয়ন্ত্রিত আবেগ ডেকে আনে অনিবার্য বিপর্যয়... ● আখ্যান — জীবন কতটা ঠুনকো আর মৃত্যু কতটা শক্তিশালী... দেশের বিশিষ্ট মোটিভেশনাল স্পিকার শোয়েব তপনের রহস্যময় লাশ পাওয়া গেছে তার নির্জন শহরের বাসায়। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট চমকে দেয় ডক্টর আদনানকে। সাপের কামড়ে মারা গেছেন শোয়েব তপন! শহরে সাপ? তাও যেনতেন সাপ নয়... কিং... কিং কোবরা! হোমিসাইড ক্যাপ্টেন কায়সার কবির রহস্যময় কেসের কিনারা করতে যখন হিমশিম খাচ্ছেন তখন পাওয়া যায় আরও একটি লাশ! এবারের গুপ্ত আততায়ী আর কেউ নয়... রাসেলস ভাইপার! একে একে মারা যেতে থাকে দেশের প্রভাবশালীরা! মৃত্যুর কারণ সাপের কামড়... খুন নাকি দুর্ঘটনা? নীল বিষাক্ত আঁধার যেন ঘিরে ধরতে শুরু করেছে শহরকে... অজানা আতঙ্কে বারবার কেঁপে উঠে কায়সার। সাপের হঠাৎ আক্রমণ কেন? পরবর্তী শিকার কে হবে? আর উধাওই বা হয়ে যাচ্ছে কীভাবে আততায়ী? রহস্যময় রক্তাক্ত ছোবল জানান দেয় অতীতের গুপ্ত যড়যন্ত্রের! প্রতিশোধের নেশায় মত্ত প্রাণঘাতী সাপেরা... কিন্তু সাপেরা কি পারে প্রতিশোধ নিতে? ● পর্যালোচনা ও প্রতিক্রিয়া — সলিড একটা থ্রিলার কিন্তু প্রথম একশত পেজ পর্যন্ত বারবার মনে হয়েছে ভৌতিক আর অতিপ্রাকৃতিক কিছু বিষয় তো অবশ্যই রয়েছে। যেভাবে খুন হচ্ছে আর সাপ গায়েব! তবে আরও একটা কারণ আছে, অন্ধকার সিরিজের নাফিস আর সত্য-কলাম। তবে রহস্যের জট ছড়ানো শুরু হলে জাস্ট তব্দা খেয়ে গেছি। টুইস্টগুলো মারাত্মক! রাজনীতি, মাদক, যড়যন্ত্র, সম্পর্কের টানাপোড়েন, খুন, লালসা বিষয়গুলোর উপর বেজড করে ঘটনা ঘটতে থাকে একের পর এক। ময়ালের কারণে মারা যায় সুজন তারপর থেকে কাহিনীর সূত্রপাত। ❝ময়াল❞- এর মানে কি জানা আছে? তবে বইয়ে ময়াল বলতে অন্য কিছুকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। প্রথমে চরিত্রগুলোকে আবছাভাবে দেখানো হয়েছে তারপর ধোঁয়াশা কেটে গেলেই খুন। কায়সার, আদনান, আরহাম, মাহফুজ, অনন্যা, রাজিবুলের টিমওয়ার্ক দারুণ ছিল। প্রথম ২৬০ পেজ পড়ার পর খুনি আর খুনের কারণ তো পরিষ্কার তাহলে বাকি ৯০ পেজে আছে কী? আসলে বইয়ে দুটা প্রতিশোধের গল্প আছে। প্রথমটা খুন-খুনির উপর থেকে পর্দা তুললেও শেষে ❝কিন্তু❞ রেখে দেয়। যার জবাব আছে পরেরটায়। তবে আমার কাছে প্রথমটাই বেশি ভালো লেগেছে। কিন্তু বইয়ের সেরা অংশ এর সমাপ্তি, এরথেকে তৃপ্তিদায়ক সমাপ্তি আর হতে পারে না। ❝অন্যায়ের প্রতিশোধ নেওয়া কি অন্যায়?❞- শেষ পর্যন্ত এই প্রশ্নটায় পাঠকের মনে ঘুরবে। ইউনিক প্লট সাথে ইউনিক অস্ত্র দিয়ে শিকার বধ। সেইসাথে ক্যাপ্টেন কায়সারের অভিযান যে শেষ হয়নি টুক করে লেখক কিন্তু এটাও বলে গেছেন। তিনটি বিষয়ে একটু খটকা আছে। ১১০, ১১১ পেজে সজলের হাঁটা আর দৌঁড়ানোর উল্লেখ আছে কিন্তু এটা তো সম্ভব না যেহেতু সে পঙ্গু। ২৮০ পেজে বলা হয়েছে কায়সারদের, কয়েকদিন আগেই চরে ঘুরতে এসেছিল গালিব আহসানের স্ত্রীর ছোটবোন। কিন্তু এটা তো কয়েকবছর আগের ঘটনা! ৩৩৬, ৩৩৭ পেজে একবার বলা হয়েছে জসীমের লাশ পানিতে তো আবার নৌকায়! এটা ঠিক বুঝলাম না। ● লেখনশৈলী ও বর্ণনা — প্রচুর খোঁজখবর নিয়ে যে লেখা হয়েছে ❝হিমঘুম❞ সহজেই বিষয়টা চোখে পড়ে। সহজ-সাবলীল উপস্থাপনা। বইয়ের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কাহিনী চলেছে একই গতিতে। পুলিশি প্রসিডিওরগুলোর বিস্তারিত আলোচনা রয়েছে তবে ফরেনসিক টার্মগুলোর তেমন নেই। সমাপ্তি অংশ যেভাবে টানা হয়েছে, এককথায় অদ্ভুত সুন্দর। পারিপার্শ্বিক আলোচনা খুঁটিনাটি করা হয়েছে। অনেকের কাছে এটা বোরিং লাগতে পারে কারণ কাহিনী লম্বা হয়েছে এরজন্য। এত হাই সিকিউরিটির ফাঁক গলে সাপরা কীভাবে শিকারের কাছে পৌঁছাচ্ছে এইটা আরও একটু খোলসা করলে ভালো হতো। ● চরিত্রায়ন — বইয়ে বহু চরিত্রের উল্লেখ করা হয়েছে। তবে মূল চরিত্র কিন্তু সাপেরা। বিভিন্ন প্রজাতির, বিভিন্ন দেশের সাপের বর্ণনা রয়েছে। সাপের প্রকৃতি নিয়ে মোটামুটি বিস্তারিত আলোচনাই করা হয়েছে বইয়ে। সেইসাথে আছে সাপ নিয়ে প্রচলিত কুসংস্কার আর লৌকিক বিশ্বাস। হোমিসাইড ক্যাপ্টেন কায়সার, কেসের শুরু থেকেই যুক্ত। পরবর্তীতে যোগ দেয় আরহাম। এই চরিত্র আমার কাছে বেশ ইন্টারেস্টিং মনে হয়েছে। তবে সজলের কথাও না বললে নয়। বইয়ের এমন এক চরিত্র যে বারবার দ্বিধায় ফেলে দিচ্ছিল। কলেবরে যেহেতু ছোট নয় ❝হিমঘুম❞, চরিত্রের সংখ্যাও নেহায়েত কম নয়। ● প্রোডাকশন — সচারাচর বাতিঘরের প্রোডাকশন যেমন তেমনটাই এই বইয়েও। বাঁধাই, পেজ, হার্ডকভার, বইয়ের জ্যাকেটের মান ভালোই। ● বানান ও সম্পাদনা — পরপর বাতিঘরের কয়েকটা বই পড়ে মনে হলো কিছু শব্দের সেম সমস্যা। নানা, নাকি, তত্ত্ব, উচ্ছ্বাস, নেই/নেয়, নাহলে, র/ড়, ঘড়/ঘর, আলোচ্ছ্বটা, চিৎকার এমন আরও কিছু শব্দ হয় ভেঙে গেছে নয়তো ভুল হয়েছে। কিছু জায়গায় মাহমুদ আর আরহামের বানানে ভুল আছে। বিরামচিহ্নেও টুকিটাকি কিছু ভুল আছে। ● প্রচ্ছদ ও নামলিপি — চোখে পড়ার মতো একটা প্রচ্ছদ। সিম্পলের মধ্যে বেশ সুন্দর। কাহিনীর মূল হাতিয়ারই বলতে গেলে প্রচ্ছদে, দেখে কেমন জানি গা শিউরে ওঠে। নামলিপিও সুন্দর। অভিযান পাবলিশার্সের প্রচ্ছদটাও দারুণ। সাপগুলো দেখতে কিউট লাগে। কালার বেশ ভাইব্রান্ট। কিছু সমাপ্তি অসমাপ্ত তৃপ্তি দেয়। শুধু এটাই বলবো ভালো লেগেছে। ◑বই: হিমঘুম ◑লেখক: বাপ্পী খান ◑জনরা: রিভেঞ্জ থ্রিলার ◑প্রচ্ছদ: বাপ্পী খান ◑প্রকাশনী: বাতিঘর ◑প্রথম প্রকাশ: ফেব্রুয়ারি ২০২২ ◑পৃষ্ঠা সংখ্যা: ৩৫১
Was this review helpful to you?
or
সাপ বিষয়ক দারুণ সব তথ্য এবং সুন্দর স্টোরি টেলিং। সব মিলিয়ে বইটা বেশ ভালো লেগেছে
Was this review helpful to you?
or
সেরা সেরা সেরা। লেখক মুন্সিয়ানায় গল্প বলেছেন। একঘেয়ে হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। গল্পে যেভাবে সাপ এসেছে, চমৎকার।
Was this review helpful to you?
or
মি বাপ্পি খান , আপনার এই বই পড়ে আগা মাথা কিছু বুঝি নাই। প্লট খুব দ্রুত মোড় নেয় , স্থান কাল ভেদে হুটহাট অবস্থা পরিবর্তন গল্পের সাথে খাপ খায় না। স্টোরি বিল্ড আপ ভালো কিন্তু ভালো বর্ণনা ছিল না বিধায় মনযোগ বা আকর্ষণ ধড়ে রাখতে অহ্মম। আমি পড়ে মজা পাই নাই। এনিওয়ে, ডিসাপয়েন্টেড।
Was this review helpful to you?
or
========= কাহিনী সংক্ষেপ ========== বাংলাদেশের সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সমাজের উঁচু স্তরের লোকদের জন্য সবকিছুই যেন একটু বেশি বেশি পরিমাণে বরাদ্দ থাকে। আরাম-আয়েশ থেকে শুরু করে চাল-চলন, আইন-কানুন, সুযোগ-সুবিধা সবদিকই। এমনই কেউ হঠাৎ মৃত্যু হলে; অনেকটা রুটিন তদন্তে নামে দেশের নব্য গঠিত হোমিসাইড ডিপার্টমেন্ট। যার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কায়সার প্রাথমিক তদন্তেই বুঝতে পারে ইট-পাথর ও কনক্রিটের ঢাকা শহরে সেই ভিআইপির মৃত্যু হয়েছে সাপের ছোবলে...!!! যা অতিমাত্রায় অকল্পনীয়। সেটার কূল-কিনারা করতে না করতেই একইভাবে অন্য এক ভিআইপির মৃত্যুর খবর আসলে, সেটার তদন্তেও একই আতোতায়ীর উপস্থিতি নিশ্চিত হয়। ফলে হোমিসাইড ডিপার্টমেন্টের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মৃত্যুর কারন খুজে বের করে খুশি হওয়ার বদলে উল্টো আরোও রহস্যে যেন হাবুডুবু খেতে শুরু করে। তাহলে কি সিরিয়াল কিলিংয়ে সাপেরা এখন নাম লিখিয়েছে? নাকি তাদের মতোই অন্যায়-অবিচারের প্রতিশোধ নিতে কেউ জেগে উঠছে হিমঘুম থেকে...! ========= পাঠ প্রতিক্রিয়া ========== বইয়ের শুরু থেকেই লেখকের অপূর্ব লেখনী ও কাহিনীর ব্যতিক্রমী প্লটের কারণে যেভাবে মনোযোগ ধরে রাখতে বাধ্য করেছে, তা অত্যন্ত প্রসংশনীয়। সাপের মতো ভয় লাগানো এক সরীসৃপ প্রাণীকে মুখ্য ভূমিকায় রেখে এরকম একটা প্লট ভাবার জন্য লেখককে বাহবা দিতেই হবে। সাপ নিয়ে এত দারুণ থ্রিলার আমি আগে কখনো পড়িনি। সাপ নিয়ে আমাদের মাঝে প্রচলিত নানা কুসংস্কারের কারণে প্রাণীটির অস্তিত্ব আজ হুমকির সম্মুখীন। বইটি আমাদের সাপদের নিয়ে সচেতন করার পাশাপাশি অনেক কুসংস্কারকে ভেঙ্গে দিয়েছে। তাছাড়া বইতে দেওয়া সাপের বর্ণনা অনেককে বিষধর সাপ সম্পর্কে জানতে ও সচেতন হতে সাহায্য করবে। শুধু তাই নয় আমাদের সমাজে বাস্তবেই ঘটে যাওয়া কিছু দুঃখজনক ঘটনা ও বিচারহীনতার নোংরা সংস্কৃতিও তিনি তুলে এনেছেন তার কাহিনীতে। বইটির মাধ্যমে লেখক শুধু মাত্র থ্রিলার নয় সামাজিক বার্তাও দিয়েছেন। সমাজের বিভিন্ন অবক্ষয়, ক্ষমতার অপব্যবহার তুলে ধরতে পেরেছেন খুবই নিখুঁত ভাবে। আর টুইস্টের পর টুইস্ট পাঠককে বাধ্য করবে বইটি শেষ করতে। থ্রিলারপ্রেমী পাঠকদের জন্য এই বই মিস করা কোনভাবেই কাম্য নয়। বইটির পরবর্তী অংশের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম। আশা করি লেখক খুব শীঘ্রই তা পাঠকদের উপহার দেবেন। প্রোডাকশনঃ কভার ডিজাইন আমার মতে আরোও ভালো হতে পারতো। কিছুটা অদক্ষ সম্পাদনা হয়েছে মনে হয়েছে আমার কাছে। কারণ বেশ বানান ভুল চোখে পড়েছে। বাতিঘর প্রকাশনীর কাছে এমনটা মোটেও কাম্য নয়। আাশা করি পরবর্তী সংস্করণে সেটা সংশোধন করা হবে। ব্যক্তিগত রেটিংঃ ৮/১০।
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নাম : হিমঘুম লেখক : বাপ্পি খান জনরা : সাসপেন্স থ্রিলার প্রকাশনি : বাতিঘর কাহিনী সংক্ষেপ : "ভয়" ব্যান্ডের এক সদস্য সুজনের মৃত্যু হয় অতিরিক্ত মাদক সেবনে।সুজন ছিল সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বোরহান লতিফের ছেলে।মিডিয়ার তোলপাড়,কানাঘুঁষা চলছে যে অতিরিক্ত মাদক সেবনের ফলেই সুজনের মৃত্যু হল নাকি অন্য কোন নিগূঢ় রহস্য আছে এতে?? বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইকবাল হোসেন, জনপ্রিয় সংবাদভিত্তিক চ্যানেল "সমাজ" এর মালিক মাহমুদ রহমান,শহরের সবচেয়ে বড় স্বর্ণ ব্যবসায়ী অসীম পাল এবং মোটিভেশনাল স্পিকার শোয়েব তপন চারজন এ তারা প্রত্যেকেই বন্ধু এবং ব্যবসায়ীক পার্টনার।হঠাৎ করেই এই তিন হোমড়া চোমড়া ব্যাক্তি শোয়েন তপন,অসীম পাল এবং মালিক মাহমুদ খুন হতে লাগলেন একে একে!তদন্তে নামল হোমিসাইড ডিপার্টমেন্টের অফিসার ক্যাপ্টেন কায়সার।প্রত্যকেরই বডি তে সাপের কামড়ের দাগ!হোমিসাইড প্রধান ক্যাপ্টেন কায়সার এবং ফরেনসিক ইনচার্জ ড.আদনান প্রথমে ভাবল নিশ্চয় নিছক দূর্ঘটনা!কিন্তু ঢাকা শহরেই এই আভিজাত্য জায়গায় সাপ আসবে কিভাবে?কেউ তাহলে ইচ্ছে করে সাপ এনে খুন করছে তাদের?নোংরা রাজনীতি এবং নেশার রাজ্যের অন্তরালে লুকিয়ে আছে কোন সত্য??তাহলে পুলিশ আর সাপের লড়াই কি দেখব "হিমঘুম" বইটিতে?? পাঠ-প্রতিক্রিয়া : পুলিশ এবং সাপের লড়াই না দেখলেও সাপের মত খোলস বদলানো কিছু মানুষের নোংরা রাজনৈতিক কূটচাল,একচ্ছত্র আমলাতন্ত্র,ক্ষমতার লোভ এবং অপব্যবহার,তরুণ সমাজের মূল্যবোধের অবক্ষয়,প্রতিশোধ সবকিছু দারুণভাবে লেখক দেখিয়েছেন গল্পটিতে। কি দারুণ রিভেঞ্জ থ্রিলার একটা! কি দারুণ লেখনী!সাধারণত বড় কলেবরের বই (৩০০-৫০০ পৃষ্ঠার)আমার শেষ করতে ৪-৫ দিন লাগে কিন্তু এই বইটা মাত্র দুই রাতেই আমি শেষ করে ফেলেছি।চুম্বকের মত পেইজের পর পেইজ উলটে গেছি।মনে হয়েছে গল্পটি শেষ হতেই মিরপুর চিড়িয়াখানা তে গিয়ে সাপ দেখে আসি কয়েকটা!! পজিটিভ দিক : অস্যংখ পজিটিভ দিক আছে।প্রথমেই লেখককে লেটার মার্ক গল্প বলার স্টাইল এর জন্য।সুন্দরভাবে তিনি গল্পটি কে এগিয়ে নিয়ে গেছেন।এক জায়গা থেকে হুট করেই আরেক জায়গায় চলে যান নি।বেখাপ্পা লাগে এমন কিছুও গল্পে সংযোজন বা বিয়োজন করেন নি।শব্দচয়ন এবং বাক্যগঠন ছিল অপূর্ব। মূল প্রোটাগনিস্ট এর চরিত্র টা ছিল দেখার মত। হোমিসাইড প্রধান হিসেবে কায়সার এর তৎপরতা গল্পে সুন্দরভাবে দেখিয়েছেন লেখক।তদন্ত প্রক্রিয়া,বিচক্ষণতা,বুদ্দীদীপ্তি সবকিছু ছিল একেবারে টপ নচ চরিত্রটিতে।কোন এক্সট্রা হিরো গিরি দেখানো হয় নি।গল্পের প্রয়োজনে যতটুকু দরকার ততটুকুই ছিল। এছাড়া গল্পের প্রত্যেকটা মুখ্য চরিত্র ইনক্লুডিং ভিলেন কেও যথেস্ট সময় দেওয়া হয়েছে ক্যারেক্টর ডেভেলপমেন্ট এর জন্য।একটা থ্রিলার গল্পে এটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।তাড়াহুড়োর ছাপ ছিল না গল্পে কোথাও।কনস্টেবল থেকে শুরু করে ডিআইইজি ছোট ছোট চরিত্রগুলো একেক জন গল্পের প্রয়োজনে একেক সময় এসেছে যে জিনিসটা খুব ভাল লেগেছে। গল্পের শেষ টুইস্ট টা ছিল মারাত্মক। আসলেই এত মজে ছিলাম গল্পের মধ্যে আমি টুইস্ট টা ধারণা করতে পারিনি যে অইটা হতে পারে।তবে হ্যাঁ শেষ দিকে টুইস্ট ছিল কিন্তু দুইটা এবং শেষের টা প্রথম টুইস্টটার চেয়েও মারাত্মক। এত এত সাপের বর্ননা ছিল যে আমি সত্যিই শেষ দিকে গুলিয়ে ফেলছিলাম! এতদিন "অজগর" এবং অ্যানাকোন্ডা এই দুইটা সাপের নাম ই জানতাম!এই বইটি পড়ার পর আসলেই সাপ সম্পর্কে অনেক জ্ঞান লাভ হয়েছে বিশেষ করে বইয়ের শেষ অংশে কিউয়ার কোডটির সৌজন্যে।বইটি পড়ার পর অবশ্যই কোডটী স্ক্যান করে দেখবেন সাপ সম্পর্কে জানার জন্যে। নেগেটিভ দিক : যে কোন মার্ডার মিস্ট্রির ক্ষেত্রে ক্রাইম সিন পর্যবেক্ষণ এবং ফরেনসিক তথ্য বিশ্লেষণ এই দুইটা জিনিস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমার মনে হয়েছে যে খুনের জায়গায় বিশেষ করে শেষের দিকে ঠিকঠাক ভাবে এই জিনিসটা গল্পে দেখানো হয় নি। আরো নিখুঁতভাবে দেখানো হলে ভাল হত। ফরেনসিক ইনচার্জ ড.আদনান এর চরিত্র টাও দূর্বল লেগেছে।এই চরিত্রটিকে আরো ফোকাস করলে ভাল হত।ফরেনসিক তথ্য গুলো আরো বিস্তারিত ভাবে বর্ণনা করলে দারুণ হত। প্রথম তিনটি খুনের সময় খুনী কিভাবে সাপ দিয়ে হত্যা করেছে বা কিভাবেই বা ক্রাইম স্পটে ঢুকল এবং নিরুদ্দেশ হল সেটার ব্যাখ্যা পেলাম না যদিও কায়সার অনুমান করেছে তবে সেটা পুরোপুরি ভাবে ক্লিয়ার করে দিলে বেটার হত। কেন বইটি পড়বেন : সাউথ ইন্ডিয়ান মুভি "I" আমার দেখা অন্যতম সেরা একটা রিভেঞ্জ থ্রিলার মুভি(যদিও এটা বইয়ের গ্রুপ তাও বললাম)।আর "হিমঘুম"হচ্ছে আমার পড়া অন্যতম রিভেঞ্জ থ্রিলার মৌলিক গল্প।মৌলিক বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ব্যাতিক্রমি প্লটের উপর কোন পেইজ টার্নার রিভেঞ্জ থ্রিলার পড়তে চান তাহলে মাস্ট মাস্ট রীড এই বইটি। প্রচ্ছদ : দুর্দান্ত!গল্পের থিম এর সাথে মিল রেখে মনে হচ্ছে এই মাত্রই কুন্ডলি পাকিয়ে সাপটি যেন শীতনিদ্রায় আছে! বাইন্ডিং : বাইন্ডিং ঠিকঠাক। হালকা টাইট বাট আমার জন্য চলনসই। বানান এবং সম্পাদনা : বাতিঘর এর ভুল বানান তূলনামূলক এই বইটিতে কম হলেও "নানা" এর জায়গায় "না না" প্রায় বেশিরভাগ জায়গায় ই দেখা গেছে। এছাড়া দুই এক জায়গায় চরিত্রই বদলে ফেলেছে!আর ছোটোখাট অল্পবিস্তর বানান ভুল ছিল। অসাধারণ লেখনশৈলীর কারণে তেমন বাধাগ্রস্ত হই নি পড়ার সময়। পরিশিষ্ট ; এই বছর মেলায় বের হওয়া অন্যতম সেরা মৌলিক একটি বই। যদি প্রতিশোধ জিনিসটার সাথে থ্রিলার এর মিশ্রণ ভাল লাগে তাহলে অব্যশই আপনাকে "হিমঘুম" এ স্বাগতম। অপেক্ষায় আছি "নিনাদ" এর জন্য। পার্সোনাল রেটিং : ৪.৫/৫